![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যা হতে কিছু সময় বাকি এখন তো সন্ধ্যা হতে সাড়ে পাঁচটা বেজে যায়।কিছু বুঝে উঠতে হঠাৎ জোরে একটা ধাক্কা খেলাম মাথা ভোঁ ভোঁ ঘটনার আকস্মিকতায় হতবম্ভ।বুঝতে কিছু সময় লাগলেও কিছু সময় পর হুঁশ হল আমার,আর আমি দেখলাম আমার ঠিক সামনের দুটো দাঁতের বাম পাশের দাঁতটাতে একটু ব্যথা অনুভব হচ্ছে।ব্যথায় খুব যে কষ্ট পাচ্ছি তা নয়।অনেক সময় দেখা যায় অল্প একটু আঘাতে অনেক ব্যথা পাই আবার অন্য সময় অনেক ব্যথাতে ও খুব বেশি কষ্ট লাগেনা।অনুভুতি তখন একটু ভোতা হয়ে যায়।““অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর” ”অনেক টা তার মতন।হাত দিতে বুঝলাম দাঁত টা ঝুলে আছে।হাতে নিলাম কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম –একি একেবারে মূলসহ দাত উঠে আসে তাতো দেখেনি। যখন ছোট ছিলাম সবাই বলতো দুধ দাঁত পরে যায়। দাঁত একটু নড়াচরা , ঢিলেঢালা হলেই নানি দাদি যে পাশে থাকতো এক টান দিয়ে আসতো মূলটা উপড়ে। দাঁত নেই জায়গাটা খালি আর ঠিক তখন যদি বাসায় কোন আত্মীয়ের আগমন ভীষণ লজ্জার ব্যাপার কারন আত্মীয় আসেই সবার প্রথম সেই নাই দাঁত টা নিয়ে হাসাহাসি। একবার আমার মেঝো কাকী আমার বাম পাশের তিন নাম্বার দাঁত টা টেনে জোর করে ফেলে দিলেন,খুব যে নড়ছিল দাঁতটা টা কিন্তু না।তারপর থেকে মহাবিপদ দিন যাই মাস যাই আমার ওঁই দাঁতের জায়গাটা ফাকা নতুন দাঁতের কোন খবর নাই। দীঘ আটটি মাস পার হলো আমার ওঁই দাঁত নাই।তার কিছু দিন পর এক কাজিন এলো সোদিআরব থেকে জমজম কুপের পানি আনলো সবার পরামর্শে আমাকে সেই পানি খাওয়ানো হলো,আমি মনে মনে চাচীর উপর ভীষণ খ্যাপা কারণ আমার মনে হচ্ছিলো সব কিছুর জন্য তিনি ই দায়ী ,তার কারণে আমার এই দুরবস্থা।পানির বদোলতে হোক আর যেভাবে হোক ওঁই খালি জায়গাটা আর বেশিদিন খালি থাকলো না একটা গজ দন্ত বেরিয়ে আসলো।এখন যখন সবাই ওঁই গজ দন্ত এর জন্য হাসি সুন্দর বলে মনে মনে কাকী কে ধন্যবাদ জানাতে ইচ্ছে হয়। ওঁই দন্তের সমস্যাতো গেল কিন্তু হাতের এই দন্ত নিয়া কি করবো বুঝতে পারছিলাম না,এই বয়সে তো আর দুধ দাঁত থাকার সম্ভাবনা ০%।তাও আবার সামনের দাঁত যে দুইটা সবার আগে উড়ে যায়। মিনিট পাচেক পর আমার মনে হলো কোথায় যেন পড়েছিলাম দাঁত কখনো যদি অ্যাকসিডেন্টলি পড়ে যাই এবং তা যদি ছয় ঘণ্টার মধ্যে আবার সেট করে নেয়া যায় তাহলে বিপদ উদ্ধার। তারপর যার কথা সবার প্রথম স্মরণ হলো তিনি হলেন ডঃ শাখাওয়াত হোসেন শায়ানথ, যার কাছে আমি আমার রেগুলার চেকআপ জন্য যাই।আর কি দে ছূট-আলোর বেগ 3*1০^8 m/s পড়েছিলাম কিন্তু আমিতো মনুষ্য প্রজাতি সুতরাং আমার পক্ষেতো আর এই বেগটা মেইনটেন করা সম্ভব না বললে ভুল হবে একেবারে অসম্ভব।তারপর ও আমি এতটুকুন বুঝতে পারছি যতটুকুন আমি পারি আমার সােধ্যর মধ্যে তারচেয়ে অধিক বেগে আমি দোডাচ্ছি। মজার ব্যাপার হলো আমি কোন সি,এন,জি অথবা অটোরিকশার সাহায্য নিচ্ছিনা,এতো করুন অবস্থাতেও আমার এতটুকু হুস আছে যতখানি বিশ্বাস আমি আমার দু পায়ের উপর করতে পারি ট্রাফিক সিগন্যাল কে কোনভাবে নয়।একবার চিপায় পড়লে ঢেলার নাম বাবাজী!ছুটতে ছুটটে পোছলাম শাখাওয়াত ভাইর চেম্বারে ভেতর দেখলাম ভাই চেম্বারে আসেনি।আমার ঠিক মনে আছে উনি ছয়টায় চেম্বারে আসেন।ভাইকে কল করলাম যা শুনলাম তারপর বুকের টিপ টিপ আওয়াজ ছাড়া আর কিছু স্পষ্ট শূনতে পারছিলাম না। ডঃ সাখাওয়াত বগুড়া গিয়েছেন একটা কনফারেন্স এ।উনি বি,এস,এম,এম,ইউ এর অ্যাসিসট্যাঁনট প্রফেসর।আর লোড নিতে পারছিলাম না,আর কোন ডঃ কথা ও ওঁই মুহূর্তে মনে ও আসছিলনা।ঘুমটা ভাঙতে ই হলো,সবার আগে নিজেকে আশ্বাস দিলাম ,না এটা বাস্তব নয়-এ “আমার বাস্তব স্বপ্ন কথা”!!!!
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩১
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: হুম।
আমার ব্লগে আপনার আগমনে আমি খুশি
কিন্তু যখন আপনাদের ব্লগে যাই লিখা পড়ি কিছু বলতে ইচ্ছে হয় তখন ই বাধা-
দুঃখিত আপনি এখানে মন্তব্য করতে পারবেন না ।
লক্ষ্য করুনঃ নতুন ব্লগারদের জন্য নীতিমালা - নতুন ব্লগাররা প্রথম পাতায় একসেস না পাওয়া পর্যন্ত অন্য কারও ব্লগে মন্তব্য করতে পারবেন না । কিন্তু নিজের ব্লগে পোস্ট বা মন্তব্য করতে পারবেন । কিছু ব্লগারের নতুন নিক রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে, ফ্লাডিং এবং ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যকে ঠেকানোর জন্য সাময়িক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।
কথা বলতে না পারা মানুষের কষ্টটা একটু হলেও বুঝতে পারি
এ জন্য সামুকে ১০টা লাইক।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০২
আরিফ রুবেল বলেছেন: নিয়মিত ভালো ভালো পোস্ট দিয়ে যান, মডুর নজরে পড়বেই
২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: আরিফ রুবেল ,আপনাকে এখন দেখিনা কেন??
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৬
আরিফ রুবেল বলেছেন: ও আচ্ছা !
ব্লগে স্বাগতম, হ্যাপ্পি ব্লগিং