![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির মেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে তার বাবার ডেথ সার্টিফিকেটের আনুষ্ঠানিক কপি দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি'র কাছে আর্জি পেশ করেছেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি অনুকূল হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং এক সময় জনগণের মনে পিতার আসনটি দখল করতে সক্ষম হন।
লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হওয়ার সময়ও তার একমাত্র কন্যা আয়েশা গাদ্দাফি দেশে ছিলেন না। এবার তিনি বিদেশে বসে রাজনৈতিক ততপরতা শুরু করেছেন এবং ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিনত হচ্ছেন।
তাহলে কি আমরা এখন থেকে ২০ বছর পর আয়েশা গাদ্দাফিকে লিবিয়ার ক্ষমতার মসনদে দেখতে পাবো?
০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০০
চঞ্চল বালী বলেছেন: ভাইজান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী অবস্থার কথা বিবেচনা করুন। ১৯৭৬,৭৭,৭৮,৭৯,৮০ - এ বছরগুলোতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে কল্পনা করা যেত কি?
তিনি এ বছরগুলোর বেশির ভাগ সময় ইন্ডিয়ায় ছিলেন এবং ইন্দিরা গান্ধি তাঁকে পরম মমতা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। জাতি হিসেবে আমরা আজও ইন্ডিয়ার সে অবদানের কথা স্মরণ করছি।
কাজেই আয়েশা গাদ্দাফির স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে এখনই ভাবতে হবে না। আগামী ৫ বছর পর দেখবেন লিবিয়ার জনগণই তাকে দেশে আসতে বলবে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি হবে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন বিমানবন্দরে
২| ০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:০১
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: বিশ বছর অনেক বিশাল ব্যাপার। এই সময়ে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তবে আগামী কয়েক বছরে আয়েশা বা গাদ্দাফী পরিবারের কেউই তেমন কোন সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না।
ত্রিপলী-মিসরাতা-বেনগাজীতে সাম্প্রতিক সময়ে যত আন্দোলন হয়েছে বা হচ্ছে, তার অধিকাংশই হচ্ছে এনটিসি থেকে মুতাসাল্লেকীনদের (সুবিধাবাদী, যারা গাদ্দাফীর সময়েও ক্ষমতায় ছিল) সরানোর জন্য। সিরত, বেনওয়ালিদ, সাবহা ছাড়া অন্যান্য শহরের অধিকাংশ মানুষই এই মুহূর্তে ক্ষমতায় গাদ্দাফীপন্থী কাউকে চায় না।
০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১১:২২
চঞ্চল বালী বলেছেন: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল ২১ বছর পর। ৭৫ পরবর্তী সময়ে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি এই আওয়ামী লীগ একদিন ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার করবে বা দেশে সেক্যুলার শাসনব্যবস্থা কায়েম করবে। আমরা বর্তমানকেই দেখতে পারি। ভবিষ্যত সম্পর্কে ধারণা করা আমাদের জন্য কঠিন।
আমিও শুধু সম্ভাবনার কথা বলেছি। বাস্তবতা সময় আসলে বোঝা যাবে
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:১৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ২০ বছর লাগবে না। এখন লিবিয়ার যে অবস্থা দু'চার বছর পরেই দেখবেন অবস্থা উল্টে যাবে। গাদ্দাফির অনুগত এবং সাধারণ জনগণ বলবে গাদ্দাফির শাসনই ভালো ছিল। আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহল যে তেল লুটপাটের জন্য লিবিয়াকে ধ্বংস করার পায়তাড়া চালিয়েছে তা অচিরেই লিবিয়ার জনগণ বুঝতে পারবে।
০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১১:২৫
চঞ্চল বালী বলেছেন: গাদ্দাফি একনায়ক ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের সরকারগুলো মাত্র ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসে ধরাকে শরা জ্ঞান করে। ছাত্রলীগের জ্বালায় আজ মানুষ অতিষ্ট। এখান থেকে আন্দাজ করা যায় গাদ্দাফি ৪২ বছরের শাসনামলে নিজের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে কীভাবে দেশের মানুষকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন।
কিন্তু তা সত্ত্বেও গাদ্দাফির শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। মানুষ খেয়ে পরে ভালো ছিল। বর্তমান বা ভবিষ্যত সরকার যদি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে না পারে, তবে তারা গাদ্দাফির কথা আবারো ভাববে। আর তখন আয়েশা হতে পারেন তাদের মুক্তিদাতা/দাত্রী
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০১
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারে না। তবে এখন পর্যন্ত লিবিয়ার অবস্থা ভালো।
১। যুদ্ধের পরপরই সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে ন্যাটো লিবিয়া ছেড়ে চলে গেছে।
২। জিনিস পত্রের দাম প্রায় যুদ্ধের আগের পর্যায়ে চলে এসেছে। অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যুদ্ধের আগের চেয়ে .২৫ বা .৫০ দিনার বেশি। (১ দিনার = ৬৪ টাকা)। দিনারের দামও যুদ্ধের পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। যুদ্ধের পূর্বে মোটামুটি ছিল ১ ডলার = ১.২৯ দিনার, এখন ১.২৮ দিনার।
৩। মানুষের আয় বেড়েছে। অধিকাংশ বাংলাদেশী শ্রমিক, যারা বাইরে দিন মজুর হিসেবে কাজ করে, আগে যেখানে দিনে মাত্র ১০ দিনার পেত, এখন ২০ থেকে ৩৫ দিনার পর্যন্ত পায়।
৪। আর চাকরির কথা বললে সর্বনিম্ন যেই চাকরি, সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনার, সেখানে আগে বেতন ছিল ৪০০ দিনার, এখন ৫০০-৬০০ দিনার। অবশ্য শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে শ্রমিকের অভাব।
৫। শিক্ষা-চিকিত্সা গাদ্দাফীর আমলে নামে ফ্রি থাকলেও আক্ষরিত অর্থে ফ্রি ছিল না। ভার্সিটি সেমিস্টার প্রতি রেজিস্ট্রেশন ফী ছিল ৭.৫ দিনার। সিরতের মুজাম্মা হসপিটালে লিবিয়ানদের ভিজিট ছিল ১ দিনার, বিদেশীদের ১০ দিনার। এখন শিক্ষা-চিকিত্সা সম্পূর্ণ ফ্রি।
৬। যুদ্ধের পর থেকে ওয়াইম্যাক্স এবং এডিএসএল এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্রি চলছে। ওয়াইম্যাক্স আগে ছিল মাসে ১৫ গিগা লিমিট এবং চার্জ ছিল ৪০ দিনার। এডিএসএল ১০ গিগা লিমিট, চার্জ ১০ দিনার। এখন দুটোই সম্পূর্ণ ফ্রি এবং আনলিমিটেড। ওয়াই ফাই টেলিফোন এবং ইন্টারনেটও সম্পূর্ণ ফ্রি এবং আনলিমিটেড।
৭। ভার্সিটিতে আগে শুধু অন্য শহর থেকে আগত ছাত্ররা মাসে ৯০ করে বৃত্তি পেত, স্থানীয়রা কিছুই পেত না। কিন্তু এখন বহিরাগতরা ৩০০ দিনার করে পায়, স্থানীয়রাও ৭৫ দিনার করে পায়।
৮। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে লিবিয়ার প্রতিটি পরিবারকে ২০০০ দিনার করে এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে অতিরিক্ত ২০০ দিনার করে উপহার দেওয়া হয়।
এখন কথা হচ্ছে, যদি সব তেল আমেরিকাকেই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে এখন মানুষকে এতো (ক্ষেত্রবিশেষে আগের চেয়েও বেশি) সুযোগ-সুবিধা কিভাবে দিচ্ছে?
তবে দেশের একটাই সমস্যা এবং সেটা খুবই ভয়াবহ সমস্যা - তা হল মিলিশিয়াদের দৌরাত্য। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এখনও শক্তিশালী হয়ে উঠেনি। দেশ নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এবং স্বভাতই তারা দিনে দিনে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মিসরাতী এবং জিনতানীরা বেশি বাড়াবাড়ি করছে। এরা গাদ্দাফীকে হঠাতে মূল ভূমিকা পালন করেছে, তাই এদের এখন ধারণা দেশটা এদেরই হয়ে গেছে।
লিবিয়ার ভবিষ্যত যদি খারাপ হয়, যদি আবার সেই গাদ্দাফী সমর্থকদের ফিরে আসতে হয়, তাহলে সেটা হবে একমাত্র এই তথাকথিক থোওয়ারদের (বিপ্লবী) দোষেই, অন্য কোন কারণে নয়। দোয়া করি সেটা যেন না ঘটে।
০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৭
চঞ্চল বালী বলেছেন: আমরা লিবিয়া সম্পর্কে যে সব খবরাখবর এতদিন পেয়েছি, তা বার্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এবং এসব বার্তা সংস্থার সবই পশ্চিমা। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রথম লিবিয়ায় অবস্থানরত একজন বাংলাদেশির পক্ষ থেকে তথ্য পেলাম।
আপনি চমৎকারভাবে লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। মানুষ কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে ভালো থাকতে চায়। সে ব্যবস্থাটি যদি নিশ্চিত করা যায়, তবে সরকার নিয়ে মাথা ঘামাবে না লিবিয়ার জনগণ।
কিন্তু মিসরাতি ও জিনতানিদের যে কথা শোনালেন, তা কিন্তু খুবই আশঙ্কাজনক। আমি বাংলাদেশি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকিছু চিন্তা করতে ভালোবাসি।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ দেশ একেবারে খারাপ চালাচ্ছে না। কিন্তু আগামী নির্বাচনে যদি জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে, তবে তা আনবে ছাত্রলীগের দৌরাত্মের প্রতিবাদ হিসেবে। আগের বার বিএনপি সরকারের পতন ঘটেছিল তারেক রহমানের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ নিকট অতীতের কথা মনে রাখে। দুরবর্তী অতীত ভুলে যায়।
আপনি লিবিয়ায় আছেন, দেখবেন, ৫ বছর বা ১০ বছর পর এই গাদ্দাফিবিরোধী জনগণই বলতে শুরু করবে 'গাদ্দাফি কতই ভালো ছিল'।
আপনার শুভ কামনা করছি। লিবিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কত সংখ্যক বাংলাদেশি ছাত্র আছে?
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৫৮
এবিসি১০ বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষণে নিলাম।
তবে একটা বিষয় কি দেখেছেন, আজমান আন্দালিব বাংলাদেশে বসেই কীভাবে লিবিয়ার বর্তমান অবস্থা গড়গড়িয়ে বলে গেলেন। ব্রেইনওয়াশড মানুষ এমনই হয়।
মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা আড়াই বছর বয়েস থেকে লিবিয়াতে আছেন। তিনি সেখানকার অবস্থা জানেন।
তবে একথা অনস্বীকার্য যে ন্যাটো লিবিয়াতে ইন্টারভেনশন চালিয়েছে কিন্তু তেলসম্পদ সিকিওরড রাখবার জন্যে। তেলও নিরাপদ থাকলো, জনগণও মুক্তি পেলো। ন্যাটো বাহরাইনে কখনও ইন্টারভেনশন চালাবে না। যদিও গাদ্দাফি আর বাহরাইনের সম্রাট একই গোত্রের নৃশংস। কারণ বাহরাইনের জনগণের মুক্টি হলে তেলের নিরাপত্তা হাতছাড়া হয়ে যাবে।
০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৩
চঞ্চল বালী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আম্রিকা কখনো মধ্যপ্রাচ্যের চাকতিওয়ালা কোন বাদশাহ'কে ক্ষমতাচ্যূত করতে সাহায্য করবে না। কারণ, এরা আম্রিকাকে তেল সম্পদ লুণ্ঠনে সহায়তা করছে। অন্যদিকে এসব চাকতিওয়ালাকে ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করছে ইসরাইল ও আমেরিকা
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০৭
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: ত্রিপলীর ইসলামিক কল ইউনিভার্সিটি দশ-বারো জনের মতো বাংলাদেশী ছাত্র প্রতি বছরই থাকে। তবে এবার যুদ্ধের সময় সবাই চলে গেছে। আমার জানা মতে একজন আছে।
আল ফাতাহ ইউনিভার্সিটিতে (বর্তমানে ত্রিপলী ইউনিভার্সিটি) দুই-তিনজন, ক্বারিউনূস ইউনিভার্সিটিতে (বর্তমানে বেনগাজী ইউনিভার্সিটি) সম্ভবত এক বা দুই জন আর সিরত ইউনিভার্সিটিতে (প্রাক্তন আল তাহাদ্দী ইউনিভার্সিটি) আমরা চারজন আছি। তিন জন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, একজন ইংলিশে। আগামী সেমিস্টারে আরও তিনজন ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গাদ্দাফী যে আসলে খুব একটা খারাপ ছিল না, সেটা অনেকের মতো আমিও স্বীকার করি। গাদ্দাফী তার পতন নিজেই ডেকে এনেছে।
লিবিয়া, বিশেষ করে লিবিয়া যুদ্ধ, আরও বিশেষ করে সিরত যুদ্ধ সম্পর্কে আপনার আগ্রহ থাকলে আমার "লিবিয়া যুদ্ধে আমি এবং আমাদের নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স" সিরিজটা পড়তে পারেন: Click This Link
০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬
চঞ্চল বালী বলেছেন: লিবিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। আর আপনার সিরিজটি সময় করে পড়ার ইচ্ছে থাকলো
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:১২
মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: @এবিসি১০, তা তো বটেই! নইলে ন্যাটোর খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই তো লিবিয়ার জনগণকে "উদ্ধার" করতে আসে! এই মুহূর্তে হয়তো তারা তেল নিতে আসবে না, কিন্তু একটা সুযোগ যখন পাওয়া গেছে, তখন গাদ্দাফীকে সরিয়ে দিতে পারলে মন্দ কী!
০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪
চঞ্চল বালী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, অনেকটা স্বাধীনচেতা গাদ্দাফিকে সরিয়ে দেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি ন্যাটো। সেইসঙ্গে ন্যাটোর প্রতি 'কৃতজ্ঞ' একটি সরকারও বসিয়ে দেয়া গেল। তেল খাওয়ার সুযোগ একদিন আসবে সেই আশায় বসে আছে পশ্চিমা কুত্তারা।
গাদ্দাফির পররাষ্ট্রনীতির প্রতি আমার সমর্থন ছিল। কিন্তু টানা ৪২ বছর ক্ষমতায় থাকলে একজন মানুষ যে চরম স্বৈরাচারী আচরণ করবেন জনগণের সঙ্গে তাতে কোন সন্দেহ নেই। একজন আরেফ বলেছেন, "মানুষকে যদি তার ইচ্ছেমতো ছেড়ে দেয়া হয় এবং যা করতে তার মন চায় তা তাকে করতে (সব উপকরণ যোগান দিয়ে) দেয়া হয়, তবে সে একদিন আল্লাহর জায়গাটি দখল করতে চাইবে। আল্লাহকে বলবে, আপনি নীচে নেমে আসুন, আমি আপনার জায়গায় বসবো"
আমি ওই আরেফের কথা শতভাগ সঠিক বলে মনে করি।
একটি অফিসে এক ব্যক্তি যখন সাধারণের কাতারে থাকে, তখন তার আচরণও সাধারণ থাকে। কিন্তু এই ব্যক্তিকেই যখন ১০/১২ জন মানুষের বস বানিয়ে দেয়া হয়, তখনই তার আচরণে আকাশ-পাতাল পার্থক্য এসে যায়। সাধারণদেরকে তখন সে আর মানুষ বলে মনে করে না।
এই যদি হয় অফিস বসের অবস্থা, তখন গাদ্দাফি তার দেশে কী না করেছেন?!
তারপরও তিনি হয়তো মন্দের ভালো ছিলেন। লিবিয়ার ভবিষ্যত বলে দেবে গাদ্দাফি কেমন মানুষ ছিলেন।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৪২
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: তবে হাচিনারে কেউ টেক্কা দিতে পারবে বলে মনে হয় না। সারা দুইন্নায় ঐ এক পিসই আছে- গলার কাটা।
০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৪
চঞ্চল বালী বলেছেন: ভালোরও ভালো আছে, খারাপেরও খারাপ। ইবলিসের চেয়ে খারাপ কেউ নেই। কাজেই হাসিনা যতদিন ইবলিস না হতে পারছে, ততদিন তাকে টেক্কা দেয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১২ রাত ৯:৫৬
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: বর্তমানে লিবিয়ার সার্বিক অবস্থা তেমন প্রচারিত হচ্ছে না।আর আয়শা গাদ্দাফি লিবিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে কিনা সেটাও দেখার বিষয়।