নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কোন ধরণের সংলাপ বোমাবাজদের পক্ষে যাবে

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

দেশ এখন যেখানে, সেখান থেকে যেই দিকেই মোড় নেক না কেন, লুজার হবে জনতা; ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত কমবেশী লাভবান হবে। খালেদা জিয়ার বুদ্ধিদাতারা বুঝতে পারছে যে, খালেদা জিয়া ডুবে গেছে; তাকে ভাসিয়ে রাখতে হলে, পেট্রোল বোমাবাজিকে পেছনে সরাতে হবে; কমপক্ষে সাময়িকভাবে; সেটা করা সম্ভব সংলাপকে সামনে আনতে পারলে।



সরকারের দরকার বোমাবাজ ও তাদের ফাইন্যান্সকারীদের লিস্ট প্রকাশ করা।



সংলাপ করে কিছু সময় অতিবাহিত করতে আওয়ামী লীগও চায়; তারা জানে, সংলাপ কিছু দেবে না; বিএনপি-জামাতও সেটা ভালোভাবে জানে; আওয়ামী লীগের নিজের এজেন্ডা আছে, বিএনপি-জামাত নিজের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। এজেন্ডা যাদের নেই, তারা হচ্ছে এদেশের মানুষ, যাদের ৫০ ভাগ জীবনে স্কুলেও যেতে পারেনি, এরা পরিস্হিতি অুমান করতে পারবে না; বাকীরা এ অবস্হায় এক হতে পারবে না; সরকারের বিপক্ষে বললে বিপদ, খালেদা জিয়ার পক্ষ মানে জাতির ক্ষতি করা।



যেহেতু বিএনপি-জামাত সংলাপ চাচ্ছে পেট্রোল বোমার অপবাদকে পেছনে ফেলে, একটু পরিস্কার হয়ে নতুন করে মাঠে আসতে, আওয়ামীরা 'না' করে দিচ্ছে; বিএনপি-জামাত যা করতে চাইবে, আও্য়ামী লীগ 'না' বলবে'; বিএনপি-জামাত যদি এখন বলে "আমরা ভোট চাই না", আওয়ামী লীগ বলবে, "ভোটে আসতেই হবে"।



আওয়ামী লীগ সংলাপে বসলে, পেট্রোল বোমা পেছনের সারিতে চলে যাবে, বোমাবাজরা রাজনীবিদদের দলে চলে আসবে; এটা হতে দেয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সংলাপে বসলে, তারা অবশ্যই বিজয়ী হবে; সাথে সাথে বিজয়ী হবে বোমাবাজরা, তাদের ফাইন্যান্সকারীরা; এমন কি বোমাবাজরা পাট্টীতে বীর হিসেবে পরিগণিত হবে; তারা জাতিে অংশ হয়ে যাবে, এর থেকে দুর্ভাগ্য জাতির জন্য কিছুই হতে পারে না।



আওয়ামী লীগ এখন সংলাপ চাচ্ছে না, এটা ভালো; সংলাপ যদি হয়, খালেদা জিয়ার পতনের পর, শুধুমাত্র খালেদা-হীন বিএনপি'র সাথে সংলাপ হতে পারে; কোন ২০ দল বা মলের সাথে হওয়া ঠিক হবে না; বোমাবাজদের বেশীর ভাগ ২০ দলের লোক, বোমাবাজরা খালেদা জিয়ার লোক; খালেদা জিয়াকে আিনের অধীনে নিলে বোমাবাজেরা থেমে যাবে।



মানুষ সাময়িকভাবে পেট্রোল বোমা থেকে বাঁচার জন্য সংলাপ চাইবে; কিন্তু সংলাপই বোমাবাজদের রাজনীতির লাইসেন্স দিয়ে দিবে; সংলাপ না হলে, বোমাবাজরা সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য হবে, এবং তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত আইনের হাতে।



বোমাবাজরা ও খালেদা জিয়া ক্লান্ত হয়ে গেছে, বা শীগ্রই ক্লান্ত হয়ে যাবে; তারপরও যদি বোমা পড়ে জরূরী অবস্হার দরকার হবে; তখন আসল বোমাবাজরা কোথায়ও পালাতে পারবে না।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

চলতি নিয়ম বলেছেন: সংলাপই বোমাবাজদের রাজনীতির লাইসেন্স দিয়ে দিবে

এই লাইনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এবং বেশীর ভাগ সুশীল এইটা কেন জানি এড়িয়ে যায়।

এইমুর্তে সংলাপ হয়তো সাময়িক সমাধান দেবে কিন্তু আসল সমস্যা আজীবন থেকে যাবে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সংলাপ ২ পক্ষকে চুরি ধার দেয়ার সময় দেবে।
খালেদা জিয়ার অপর নাম হয়ে গেছে 'পেট্রোল বোমা'; এই অপবাদ থেকে বের হওয়ার উপায় হলো সংলাপ।

আমরা জানি সংলাপ মায়া, নাসিম, টুকু, রিজভী, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনাদের জন্য নয়; ফলাফল জিরো।

যাদের অনেকে সুশীল বলছে, তারা মোটামুটি রাজনৈতিক ক্লাউন।

সরকারকে বোমাবাজদের ও তাদের অর্থ যোগানদারদের লিস্ট প্রকাশ করতে হবে।

আমরা বোমাবাজদের দেশে থাকতে দিতে পারি না।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ বেশ ভালো কিন্তু বাস্তবতার সাথে আপনার দেওয়া সমাধানের দূরত্বটা অনেক।
সহিংসতা নির্মূল করতে হলে আগে তো ইচ্ছা থাকতে হবে। সেই ইচ্ছাই তো কোন দলের নেই।
বাস্তবতা হচ্ছে- বিরোধী দল চায় ক্ষমতায় যেতে এবং তার প্রক্রিয়া হিসাবে আপাত বেছে নিয়েছে শক্তি প্রদর্শন (সহিংসতা, ভাংচুর, হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি)।
আর সরকার চাচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং তার প্রক্রিয়া হিসাবে বেছে নিয়েছে শক্তি প্রয়োগ (দমন-পীড়ন, মামলা, হামলা ইত্যাদি)।
শক্তি প্রয়োগ করে স্থায়ী কোন সমাধান আসবে না। সাধারণ মানুষ দিশেহারা। তারা সহিংসতার বিরোধী হলেও কার্যত কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। জনগণ যদি কোন পদক্ষেপ নিতে পারে তবেই একটি ভালো ফলাফল আশা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির দিকে তাকিয়ে থেকে কোন লাভ নেই।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


খালেদা জিয়া-জামাত, আওয়ামী লীগ শক্তি ও সন্ত্রাস খাটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আগে; এখনও সেটাই তাদের পথ।

দেশের মানুষ শ্রেণী বিভক্ত হয়ে গেছে; পয়সাওয়ালারা সাধারণ মানুষের আন্দোলনে আসবে না; তারা সরকার, বিএনপি-জামাতের সাথে থাকবে; ফলে, সমস্যার সমাধান সহজে হচ্ছে না।

খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানো সম্ভব এখন; এতে একটা সন্ত্রাস কমবে।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০০

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:

এইমুর্তে সংলাপ হয়তো সাময়িক সমাধান দেবে কিন্তু আসল সমস্যা আজীবন থেকে যাবে ।

সহমত ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাময়িক সমাধানও আওয়ামী লীগের পক্ষে যাবে; কিন্তু বোমাবাজরা পুলিশের আওতার বাহিরে চলে যাবে।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১২

মিতক্ষরা বলেছেন: তৃতীয় পক্ষ আসলে সবচেয়ে ভাল।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


তৃতীয় পক্ষ নেই।

মানুষকেই ৩য় পক্ষ হতে হবে।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন: খালেদা জিয়াকে 'আপোষহীন নেত্রী' কে উপাধি দিয়েছিল কে জানে! বাংলাদেশে যেকোন জন ইচ্ছা করলে, যেকোন উপাধি দিয়ে ফেলে; পিন্টু মিন্টু কেহ একজন দিয়েছিল হয়তো; সেই কারণেই, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার উপাধির শেষ নেই। নানক ও আজম একবার শেখ হাসিনাকে 'শান্তির কন্যা' উপাধি দিয়েছিল; অনেকে তখন বলাবলি করছিল যে, উনারা ২ জন শেখ হাসিনাকে 'নোবেল পুরস্কার'ও দেবেন। অসুবিধা ছিল না, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে নোবেল পুরস্কারে দেয়ার মত ক্ষমতা নানকের ও আযমের অবশ্যই ছিল ও আছে।

আপোষহীন নেত্রীকে আমি একটা নতুন উপাধি দিতে চাই, 'অবরোধ কন্যা', নাকি 'অবরুদ্ধ কন্যা' হবে? এতে আমরা ট্রয় নগরীর সুন্দরী হেলেনের ইতিহাসকে আমাদের ইতিহাসের সাথে যুক্ত করতে পারবো; এবং আমাদের আপোষহীনার বয়সও কমে আসবে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতি সংঘ আমাদের 'গণতন্ত্রের মানস কন্যা' ও 'আপোষহীন নেত্রীর' মাঝে সংলাপ চাইছেন; সমস্যা হলো, উনারা আমাদের 'আপোষহীন নেত্রীর' উপাধিটার ইংরেজী অনুবাদ (Uncompromising Leader? ) জানেন না, জানলে উনারা এত সময় ব্যয় করতেন না। আর 'গণতন্ত্রের মানস কন্যা'র ইংরেজী অনুবাদ ( Love child of Democrazy?) শুনকে উনারা হাসার জন্য বাংলা শিখতেন।

আমাদের লোকেল রাজনৈতিক ক্লাউনরাও সংলাপের কথা বলছেন; তারা ভাবছেন যে, তাতে পেট্রোল বোমা থেমে যাবে! বোমা না হয় থামলো, বোমাবাজ, বোমার হুকুমদাতা, কারিগর ও ফাই্যানেন্সিয়ারদের কি হবে?

সংলাপ হোক, প্রথমে হতে হবে বোমার উপর, ঠিক করা হোক, যারা প্রাণ হারায়েছেন ও পংগু হয়েছেন তাদের ক্ষতিপুরণ ও বোমাবাজ, বোমার হুকুমদাতা, কারিগর ও ফাই্যানেন্সিয়ারদের বিচারে আনা হোক; বোমাবাজি চিরতরে বন্ধ হোক।

তারপর আসল সংলাপ শুরু হবে; তার প্রথম ধাপ হবে, কোন আপোষহীন সংলাপে থাকতে পারবে না; কারণ, সংলাপ মানেই 'আপোষ'; উনাকে অবসরে যেতে হবে; তখন 'হাসি তামাসার গণতন্ত্রের মানস কন্যার' থাকার কোন দরকার হবে না; উনাকেও অবসরে যেতে হবে; সমস্যা ৫০% কমে যাবে।


৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন: ৫ই জানুয়ারীকে ঘিরে শুরু হওয়া সন্ত্রাস কোন সাধারণ মানুষের সৃস্টি নয়; এটা হলো বাংলাদেশের ৩৪ দলের উপরের সারি নেতাদের ভাবনার প্রয়োগ; তাদের অর্থের প্রয়োগ। সন্ত্রাসকে কার্যকরী করতে অপরাধী মনের সাধারণ কিছু মানুষ ব্যবহৃত হচ্ছে; তবে, তারা খুবই নগন্য ভুমিকা পালন করছে।

আজকের সন্ত্রাসের ফলাফল শুধু কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি নয়; ইহার প্রভাব থাকবে দীর্ঘদিন; এমন কি সন্ত্রাসের সৃস্টিকারিরা জাতিতে থাকবে দীর্দদিন। ১৯৭৩/১৯৭৪ সালের সন্ত্রাসের ফলাফল আমরা আজও ভোগ করছি: সেদিনের সন্ত্রাসের ফলে, যাদের পড়ালেখার সুযোগ হারিয়ে গেছে, তারা ও তাদের ছেলেমেয়েরা রিকসা টানছে, গার্মেন্টস এ কাজ করছে, সৌদীতে উট চরাচ্ছে, মালয়েশিয়ায় রাবার বনে কাজ করছে, দুবাই, বোম্বে, করাচীর পতিতালয়ে আছে।

১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সালের মাঝে ছাত্রদের মাঝে সন্ত্রাসী গড়ে তোলার ফলে, সন্ত্রাসী মনোভাবের শিক্ষক আছে আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্হায়; তারা আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোকে সার্টিফিকেট দেয়ার প্রতিস্ঠানে পরিণত করেছে: একটা ইউনিভার্সিটিতেও উন্নত মানের পড়ালেখা ও রিসার্চ হয় না।

আজকে যাদর এসএসসি পরীক্ষা দিটে দিচ্ছে না, তাদের একাংশ আজকের সন্ত্রাসের পক্ষে বিপক্ষে অবস্হান নেবে; তাদের জীবনে সন্ত্রাস একটা ফ্যাক্টর হবে; তাদের মাঝে আজকের সন্ত্রাসী রাজনীতিবিদদের সন্ত্রাসী ভাবনা জীবিত থাকবে। এখন থেকে এই ১৫ লাখ কোন মতে সার্টিফিকেট পাবার মতো পড়ালেখা করবে। এরা পংগু শিক্ষিত হবে; যা হয়ে আসছে ৭০ দশক থেকে।

আপনারা আজ যাদের ৩৪ দলের নেতা হিসেবে দেখছেন, এদের একাংশ আসল সন্ত্রাসী; দেখেন, এর মাঝে আপনার পছন্দের নেতা আছে কিনা; নাকি আপনিও ওদের আসল শিষ্যে পরিণত হয়েছেন?

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন: বিশ্বের ২য় সন্ত্রাসতম এলাকায় বসবাস করেও তরুণ আফগানী ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে; এটা খুবই আশা ব্যন্জক; আমাদের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন, সাথে সাথে আফগানদের আগামী খেলাগুলোর জন্য শুভেচ্ছা রলো।

আফগানিস্তানে ফ্যানাটিজম চরম আকার ধারণ করেছে; মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য ফ্যানাটিকদের সাথে থাকতে হচ্ছে, বা থাকার অভিনয় করতে হচ্ছে; ফ্যানাটিকরা খেলাধুলা ও পড়ালেখার বিরোধিতা করে চলছে। পুরো জাতিকে ফ্যানাটিকেরা কব্জা করে ফেলেছে; অনেক শিক্ষিত আফগানও মেয়েদের পড়ালেখার বিরোধিতা করছে।
আমাদের ইতিহাসের সাথে আফগানদের ইতিহাসের মিল আছে; ১৯৭০ সালের দিকে আফাগানরা রাজতন্ত্র থেকে বের হয়ে, গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করে ভালো থাকতে চেয়েছিলো; তা ঘটেনি; অনেক যুদ্ধ, অনেক প্রানের বিনিয়ময়েও জাতি নিজের পথ খুঁজে পেলো না। আমরাও পাকী দুস্ট ধনীদের খপ্পর থেকে বের হতে গিয়ে বাংগালী সন্ত্রাসী বিলিওনিয়ার-মিলিওনিয়ারদের যুদ্ধের মাঝে ক্রস-ফায়ারে।

আফগানদের চরম দুর্গতির মুলে এখনো পাকী সেনা বাহিনী ও পাকী মৌলবাদিরা; আমাদের উপরও পাকী বাহিনীর প্রভাব বিদ্যমান।
আফগানেরা কিছুতেই নিজের পা্যে দাঁড়ানোর চেস্টা করছে না; সরকারগুলো সারাক্ষণ বিদেশের ঘাঁড়ে উঠে বসে থাকে; নিজের মানুষদের সাথে নিয়ে কিছু করছে না।

এত খারাপ অবস্হার মাঝেও তারা খেলছে, তাদের আগামী খেলাগুলোর জন্য সাফল্য কামনা করছি; ওদের মানুষরা যেন আমাদের মত কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনতে পায়; ক্ষনেকের জন্য হলেও আনন্দের স্ফুলিংগ দেখে।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন: রকার আপাতত টিকে গেছে; খালেদা জিয়ার আশা পুরণ হয়নি; প্রশাসনের ডাকাতদের পোয়া বারো; জনগণ আতংকে থাকবে, পড়ালেখা তেমন করা লাগবে না; প্রাইভেট সেক্টর স্হবির থাকবে; বিনিয়োগের নামে ব্যবাংকগুলো থেকে ডাকাতি করবে পরিচিত মুখগুলো।

শেখ হাসিনার সরকার ও প্রশাসনকে জন্য বিরাটভাবে সাহায্য করেছে খালদা জিয়ার বেকুবী, সন্ত্রাসী অবরোধ ও অনন্তকাল ব্যাপী হরতাল।

মানুষের সাথে সরকার নেই, এটা পরিস্কার; মানুষকে নিজ চেস্টায় বেঁচে থাকতে হবে; মানুষ সুযোগ পেলে বিদেশে চলে যাবে।

যেসব পরিবারের সামর্থ আছে, তাদের ছেলেমেয়ােরা বিদেশে পড়ালেখা করবে। পাবলিক, প্রাইভেট কোথায়ও পড়ালেখা হবে না; ছাত্রদের উপস্হিতি হবে খুবই কম; পড়ালেখার স্টান্ডার্ড খুবই নীচে নেমে যাবে।

সরকারের প্রজেক্টগুলো টাকা গুনবে; কাজ হোক না হোক বিল দিতে থাকবে; চোর-ডাকাতরা কাজ না করেই বিল নিয়ে যাবে।

মাঝে মাঝে বোমা ফুটায়ে বর্তমান আতংকে ধরে রাখার চেস্টা করা হবে; তা'ছাড়া আসল সন্ত্রাসীরাও মাঝে মাঝে আসল আক্রমণ চালাবে।

ব্যবসায়ী, প্রশাসনের লোকদের চোরা টাকা বিদেশে নিয়ে যাবে। এ হলো মোটামুটি আগামী ৪ বছরের চিত্র; ঘোলাজলে ক্যাপিটেল গঠনের উর্বরক্ষেত্র তৈরি হলো।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন: -এই আন্দোলানে মানুষের নামও ছিল না, মানুষের কোন স্বার্থ নেই; মানুষের নাম এলো পেট্রোল বোমায় মৃত ও দগ্ধদের লিস্টে।
-১৯৯০ সালের অর্তনীতি নেই; মানুষের জীবনযাত্রা ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে, ঘরভাড়া, যাতায়ত, টিউসনী, বিল মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে; এখন অবরোধ, হরতালকে দীর্ঘ সময় রাখা যাবে না।
-গণতন্তের নামে আন্দোলন করতে পারবে না আমাদের সুয়োরাণী, দুয়োরাণী; উনারা ২ জনই চেনা ব্রাম্মন; উনাদের গণতন্ত্রকে সবাই বুঝে।
- দুই দলের মাঝে মৌলিক পার্থক্য নেই; ওরা ক্ষমতায় যায় দখলবাজির জন্য।
-ভোট দিতে পারেনি বলে, হা-হুতাশ আছে; তবে, ভোটে কাহারা নির্বাচিত হবে, সবাই জানে; নির্বাচিত হয়ে উহারা কি করে, সবাই বুঝে।
-পেট্রোল বোমার ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে 'অবরোধ'। সন্ত্রাস জাতিকে পংগু করে দিচ্ছে; আতংক চায় না মানুষ।
-এসএসসি পরীক্ষার জন্য হরতাল না তুলে নিয়ে রাণীর নিজ পায়ে কুড়াল মেরেছেন।
-কোকোর দাফনের দিন অরোধ রেখে মানুষের চোখ কিছুটা খুলে দিয়েছেন; দুয়োরাণীর কৃত্রিমতা চোখে পড়েছে।
-সরকার কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, হয়েছে শুধু নাগরিকেরা। মানুষ পোড়ায়ে কেহ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।

আমার মনে হয়, অনেক কারণের মাঝে এগুলোর থাকার কথা; সময় সুয়োরাণীর পক্ষে।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন: বৃটিশ কলোনী থেকে বের হওয়ার পর, ইংরেজী ছিল পাকিস্তানের অফিসের ভাষা; ইংরাজী থেকে তাকে অন্য ভাষায় নেয়ার কোন দরকার ছিল না; কারণ, তখন পাকিস্তান সেই রকম পজিশনে ছিল না; আর ব্যুরোক্রেটরা ইংরাজীই পছন্দ করতো।

পাকিস্তান তখন অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত; বিশেষ করে পুর্ব পাকিস্তানে চাকুরী ছিল না; কারণ, বাংলা ছিল কলিকাতা কেন্দ্রিক; বাংগালীরা তখনো চাকুরী করছে মাটিয়া বুরুজে, জাহাজে, ছোটখাট কলকারখানায়। পুর্ব বাংলায় রেলওয়ে ব্যতিত কোন চাকুরী নেই; সরকারী চাকুরীতে সামান্য লোকের চাকুরী হচ্ছিল, কিন্তু শিক্ষিত বলতে কেহ ছিল না; যারা সিক্ষিত ছিল, তারা দেশ ছেড়ে কলকাতা যাচ্ছিল।

রাজধানী পশ্চিম পাকিস্তানে যাওয়ায় সেখানে কিছু চাকুরী হচ্ছিল; কিন্তু বাংগালীরা করাচী বা লাহোর কোথায় তা জানতোও না; তারা চিনতো কলিকাতা ও রেংগুন।

দেশ বিভাগের পর, আলীগড় থেকে এক পিএইচডি এসেছিল করাচীতে, নামটা ভুলে গেছি; সে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে তালিম দিয়েছিল যে, মুসলমানদের এক ভাষা হবে, তা হবে উর্দু; জিন্নাহ মনে করেছিল যে, ভালোই, একভাষা, এক সংস্কৃতি, এক জাতি।

কিন্তু তিনি ভেবে দেখেননি যে, ১৩০০ মাইল দুরের বাংগালীরা অন্য সংস্কৃতির লোক; তাঁরা হঠাৎ নতুন ভাষা শিখে এক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
জিন্নাহ ঢাকায় এসে, এক জাতি, এক ভাষা ও এক সংস্কৃতির ঘোষনা দিলেন; কিন্তু ছাত্ররা উনাকে না করে দিলেন; তিনি মন খারাপ করলেন। তিনি নিজেই ইংরেজী বলতেন, উর্দুর জন্য উনার মন কাঁদেনি; কিন্তু বাংলার ছাত্রদের 'না' উনাকে মর্মাহত করে; সাথে সাথে, উনার মন আরো খারাপ হয়, যখন ছাত্ররা উল্টো বাংলাকে 'রাস্ট্রভাষা' হিসেবে দাবী করে।

যাক, ইংরেজী যেভাবে চলছিল, সেটাকে চলতে দিলে কোন সমস্যা হতো না; পুর্বে বাংলা, পশ্চিমে উর্দু, ফেডারেলে ইংরেজী; কোন সমস্যা হওয়ার কথা না; অকারণে সমস্যার সৃস্টি করলো, গোলাগুলি হলো, মানুষ মরলো; দেশ হতে না হতেই সমস্যার সৃস্ট হলো। ভারত এ ধরণের সমস্যার সৃস্টি করেনি; ইনংরেজী সেন্ট্রালে, বাকীরা নিজ ভাষায় প্রদেশ চালাও।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন: আমাদের শিক্ষার হার বাড়ছে, ২০ বছর বা তার নীচের বয়সের শতকরা ৭০ জন বাংলায় বই পড়তে পারার কথা; সব ধরণের বই পড়ার বয়সও ১২ থেকে ৩২ বছরের মাঝে; ৩২ বছরের পরে যারা বই পড়েন, তারা নিদ্দিস্ট ধরণের বই পড়েন মোটামুটি।

শিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে ভালো লেখকের হার সামানুপাতিক হারে বাড়ে না; লেখক বাড়ে, তবে বেশীর ভাগ লেখক কবিতা, গল্প ইত্যাদি লিখেন; এখন তরুণ লেখকেরা সহজ ও হালকা ভালোবাসার উপর লেখেন। সমাজ, পরিবেশ, মানুষের জীবন সম্পর্কে তরুণ লেখকদের অনেকের সঠিক ধারণা থাকে না; ফলে, তাদের লেখা মানুষের মন কাড়ে না।

আমাদের বই মেলার প্রথম সপ্তাহে, উপস্হিত জনতার এক বিরাট অংশই কবি, লেখক; আপনি সেই দিনগুলোতে উপস্হিত থেকে আড্ডায় অংশ নিতে পারেন, অনেক তরুণ লেখকের সাথে পরিচিত হতে পারবেন, তাদের আলাপ আলোচনা শুনতে পারবেন। আলাপ থেকেই বুঝতে পারবেন যে, এসব অনেক লেখকের লেখা বেশ কাঁচা।

মানুষ একই ধরণের লেখা বারবার পড়তে চান না; তরুণ লেখকদের লেখার মাঝে বেশ মিল থাকে; কারণ, বেশীর ভাগ তরুণ লেখক অন্যের লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়, এবং সেই পঠিত গন্ডীর মাঝে লিখেন।

বই মেলায় কেনা অনেক বই পড়া হয় না; অনেকে চোখ বুলায়ে রেখে দেন; বই সেলফে পড়ে থাকে, কেহ পড়তে নিয়ে ফেরত না দিলেও কিছু আসে যায় না।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন: মান্নাকে শেখ হাসিনা নেতা বানাচ্ছে; আগামী কয়েকদিন লাথি কিল ঘুষি খেয়ে, মান্না এদেশের রাজনীতি, সরকার, বিরোধীদল, রাজনৈতিকদল, পুলিশ, র‌্যাব, স্পেশাল পুলিশ, অসহায় জনতা সবাইকে চেনার সুযোগ পাবে।

এতদিন মান্না ছাত্র রাজনীতিবিদ ছিল, পড়ালেখার দরকার হয়নি; এমনিতেই ইউনিভার্সিটি শেষ করে ফেলেছে। শেখ হাসিনা তাকে বিরাট একটা পোস্ট দিয়েছিল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পোস্ট; সে তা ধরে রাখতে পারেনি; বাম, ডান, বাম, ডান করতে করতে বেদিশা হয়ে গেছিল।

ড: কামাল, ডা: বদরুদ্দোজার মত বন্ধ্যা রাজনীতিবিদদের সাথে ঘুরে ফিরে মানুষের রাজনীতি ভুলে গিয়েছিল।

এবার সবচেয়ে বড় ভুল করেছে, বিএনপি'র আন্ডার-ওয়ার্লডের মাফিয়া ও চক্রান্তকারী ডাকাত খোকার সাথে অকারণে টেলিফোনে কথা বলে নিজকে বড় ধরণের রিস্কের ভেতর ফেলেছে।

যাক, সময়ের সাথে মান্না বেরিয়ে আসবে; যে শিক্ষা সে পাবে, সরকারের যেইরূপ সে দেখবে; সেই সবের সাথে এদেশের দু:খী মানুষের জীবনকে বুঝতে পারলে, মান্না রাজনীতিতে একটা স্হান করে নিতে পারবে।

যদি মার খেয়ে সাহস হারায়ে ফেলে, মানুষকে ভুলে যায়; তা'হলে আজীবন ক্লাউন হয়ে থাকবে।
মান্নাকে ধরে নিয়ে, শেখ হাসিনা তাকে নেতা বানাচ্ছে; হয়তো শেখ হাসিনার পতনও মান্নার কারণে হতে পারে। মান্নার জন্য একটা সুযোগ আসছে।

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন: পিলখানায় বিডিআর সৈনিকদের বিদ্রোহ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মাঝে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কমান্ডিং অফিসারেরা পিলখানায় আক্রান্ত অফিসারদের থেকে সংবাদ পান। যেহেতু, বিডিআর সৈনিকদের অফিসারেরা বেংগল রেজিমেন্টের সদস্য, পাখী-মারা জেনারেল মইনই বিডিআর'দের চীফ কমান্ডিং অফিসার।

আক্রান্ত অফিসারেরা নিজেদের বন্ধু বান্ধব, ব্যাচমেট সবাইকে অনুরোধ করতে থাকে তাদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য। এসব অফিসারেরা, সাথে সাথে কমান্ডিং অফিসকে এই ভয়ংকর পরিস্হিতির কথা জানায়।

একজন জেনারেলের প্রথম দায়িত্ব, যেকোন অবস্হায় বিদ্রোহকে আয়ত্বে আনা; হতাহতের সম্ভাবনা থাকলে, সবচেয়ে কম প্রাণের বিনিময়ে পরস্হিতিকে কন্ট্রোলে আনা।

পিলখানা থেকে সংবাদ পাওয়ার ৫ মিনিটের ভেতরেই, জে: মইনকে পরিস্হিতি আয়ত্বে আনার জন্য ব্যবস্হা নেয়ার দরকার ছিল; ১০ মিনিটের মাঝে কমান্ডোরা পিলখানায় পৌঁচার দরকার ছিল; ২০ মিনিটের ভেতর, কমপক্ষে অফিসারদের রক্ষার চেস্টা করার দরকার ছিল।

তিনি কোন ব্যবস্হা না নিয়ে, সরকারের অসামরিক লোকদের সমস্যার কথা জানান, যারা ঘটনার মাথামুন্ড বুঝার মত অবস্হায় ছিল না। এ ধরণের ঘটনা, তাদেরকে ব্যখ্যা করতে লাগে ঘন্টা বা তার বেশী সময়; তারপর, তারা বুঝতে পারে, বা নাও বুঝতে পারে; বুঝলে বা কি; তারা সিভিলিয়ান মাথায় ভাবতে শুরু করবে; তারা মিলিটারী ইমারজন্সীর জন্য নিশ্চয় ট্রেনিং পায়নি; মইন দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০/২৫ বছর কমান্ডে থেকে তা শিখেছে।
মইন কি জানতো, বা কি জানতো না, সেটা পরের ব্যাপার; তার কোন বাহিনী এ ধরণের সমস্যার জন্য তৈরি ছিল না; তার কমান্ডো বাহিনীর 'ক'ও ছিল না আশে পাশে; তার হেলিকপ্টার কোথায় ছিল কে জানে। সে নিজে কি করবে বুঝতে না পেরে, সবকিছু সরকারের বেসামরিক ব্যক্তিদের হাতে ছেড়ে দেয়। পুরো ব্যাপার চলে যায় পল্টনের বক্তা ও মিচিলের নেতাদের হাতে; ফলাফল, মইনের ৫৭ জন অফিসার ও ১১ জন সৈনিক নিহত।

১৯৭১ সালে, পাকিস্তানের সাথে পুরো যুদ্ধে বাংলাদেশ বাহিনী এত অফিসার হারায়নি; পাখী-মারা জেনারেলের কমান্ডে থাকলে কার প্রাণ কিভাবে যাবে কেহ অনুমানও করতে পারার কথা নয়।




১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন: -এই আন্দোলানে মানুষের কোন সংযুক্তি নেই, মানুষের কোন স্বার্থ নেই; আন্দোলনটি সন্ত্রাসী রূপ নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ও সরকারের স্বার্থের কারণে পেট্রোল বোমায় মানুষ প্রাণ হারায়েছে।
-১৯৯০ সালের অর্তনীতি নেই, একজনের আয়ে পরিবার চলে না; মানুষের জীবনযাত্রা ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে, ঘরভাড়া, যাতায়ত, টিউসনী, বিল মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে; এখন অবরোধ, হরতালকে দীর্ঘ সময় রাখা যাবে না।
-গণতন্তের নামে আন্দোলন করতে পারবে না আমাদের সুয়োরাণী, দুয়োরাণী; উনারা ২ জনই চেনা ব্রাম্মন; উনাদের গণতন্ত্রকে সবাই বুঝে।
- দুই দলের মাঝে মৌলিক পার্থক্য নেই; ওরা ক্ষমতায় যায় দখলবাজির জন্য।
-ভোট দিতে পারেনি বলে, হা-হুতাশ আছে; তবে, ভোটে কাহারা নির্বাচিত হবে, সবাই জানে; নির্বাচিত হয়ে উহারা কি করে, সবাই বুঝে।
-পেট্রোল বোমার ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে 'অবরোধ'। সন্ত্রাস জাতিকে পংগু করে দিচ্ছে; আতংক চায় না মানুষ।
-এসএসসি পরীক্ষার জন্য হরতাল না তুলে নিয়ে রাণীর নিজ পায়ে কুড়াল মেরেছেন।
-কোকোর দাফনের দিন অরোধ রেখে মানুষের চোখ কিছুটা খুলে দিয়েছেন; দুয়োরাণীর কৃত্রিমতা চোখে পড়েছে।
-সরকার কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, হয়েছে শুধু নাগরিকেরা। মানুষ পোড়ায়ে কেহ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।

৩১ বছর বিএনপি'র সভাপতি থাকা অবশ্যই অগণতান্ত্রিক। বিএনপি'র উচিত খালেদা জিয়াকে অবসরে পাঠায়ে সঠিক রাজনীতিতে যোগদান করা।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন: ৯৭১ সালের পর, বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক জীবন ও মানব উন্নয়নে বিশাল বড় ভুমিকা রেখেছে; ব্লাজিল, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত এদের মাঝে অন্যতম। আবার অনেক দেশের ভয়ংকর পতন হয়েছে; ইরাক, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া অন্যতম।

আমরা মাঝামাঝি, আমাদের আকাংকিত ও সম্ভাব্য উন্নয়ন ঘটেনি; আমরা অর্থনৈতিভাবে সামন্য এগিয়েছি; কিন্তু তার জন্য দেশের বিরাট অংশকে ভয়ানক মুল্য দিতে হয়েছে; এক কোটী লোক ভাগ্যের সন্ধানে এখনো বিদেশে; এদের অনেকে ভয়ানক কস্ট করে সামান্য আয় করছে; বিদেশে যেতে অনেকে যায়গা জমি, বসত বাড়ী বিক্রয় করে নি:স্ব হয়েছে।

আমাদের মানুষকে কৌশলে শিক্ষা থেকে দুরে রাখা হয়েছে; শিক্ষার মান নীচু রাখার ফলে, আমাদের গ্রাজুয়েটরা জাতির জন্য অবদান রাখতে পারেনি; দেশের সবচেয়ে ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি পেয়েও বিদেশে ট্যাক্সী ড্রাইবার হয়েছে।

আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যাংককিং, প্রশাসন, রিয়েলস্টেট, ম্যানুফেকচারিং সুকৌশলে কিছু লোক দখল করেছে; তারা মনোপলি কায়েম করে, বাকীদের সুযোগ দখল করে রেখেছে; এগুলো সঠিক নয়।

আমাদের যা সম্পদ আছে, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে, আমারা এখনো সন্মানের সাথে ভালো জীবন যাপন করতে পারবো; তার জন্য কিছু সঠিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নিয়ম চালু করতে হবে; প্ল্যান মাফিক সবার জন্য সুযোগ সৃস্টি করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.