নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখী-মারা জেনারেল মইন ও বিডিআর বিদ্রোহ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

পিলখানায় বিডিআর সৈনিকদের বিদ্রোহ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মাঝে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কমান্ডিং অফিসারেরা পিলখানায় আক্রান্ত অফিসারদের থেকে সংবাদ পান। যেহেতু, বিডিআর সৈনিকদের অফিসারেরা বেংগল রেজিমেন্টের সদস্য, পাখী-মারা জেনারেল মইনই বিডিআর'দের চীফ কমান্ডিং অফিসার।



আক্রান্ত অফিসারেরা নিজেদের বন্ধু বান্ধব, ব্যাচমেট সবাইকে অনুরোধ করতে থাকে তাদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য। এসব অফিসারেরা, সাথে সাথে কমান্ডিং অফিসকে এই ভয়ংকর পরিস্হিতির কথা জানায়।



একজন জেনারেলের প্রথম দায়িত্ব, যেকোন অবস্হায় বিদ্রোহকে আয়ত্বে আনা; হতাহতের সম্ভাবনা থাকলে, সবচেয়ে কম প্রাণের বিনিময়ে পরস্হিতিকে কন্ট্রোলে আনা।



পিলখানা থেকে সংবাদ পাওয়ার ৫ মিনিটের ভেতরেই, জে: মইনকে পরিস্হিতি আয়ত্বে আনার জন্য ব্যবস্হা নেয়ার দরকার ছিল; ১০ মিনিটের মাঝে কমান্ডোরা পিলখানায় পৌঁচার দরকার ছিল; ২০ মিনিটের ভেতর, কমপক্ষে অফিসারদের রক্ষার চেস্টা করার দরকার ছিল।



তিনি কোন ব্যবস্হা না নিয়ে, সরকারের অসামরিক লোকদের সমস্যার কথা জানান, যারা ঘটনার মাথামুন্ড বুঝার মত অবস্হায় ছিল না। এ ধরণের ঘটনা, তাদেরকে ব্যখ্যা করতে লাগে ঘন্টা বা তার বেশী সময়; তারপর, তারা বুঝতে পারে, বা নাও বুঝতে পারে; বুঝলে বা কি; তারা সিভিলিয়ান মাথায় ভাবতে শুরু করবে; তারা মিলিটারী ইমারজন্সীর জন্য নিশ্চয় ট্রেনিং পায়নি; মইন দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০/২৫ বছর কমান্ডে থেকে তা শিখেছে।

মইন কি জানতো, বা কি জানতো না, সেটা পরের ব্যাপার; তার কোন বাহিনী এ ধরণের সমস্যার জন্য তৈরি ছিল না; তার কমান্ডো বাহিনীর 'ক'ও ছিল না আশে পাশে; তার হেলিকপ্টার কোথায় ছিল কে জানে। সে নিজে কি করবে বুঝতে না পেরে, সবকিছু সরকারের বেসামরিক ব্যক্তিদের হাতে ছেড়ে দেয়। পুরো ব্যাপার চলে যায় পল্টনের বক্তা ও মিচিলের নেতাদের হাতে; ফলাফল, মইনের ৫৭ জন অফিসার ও ১১ জন সৈনিক নিহত।



১৯৭১ সালে, পাকিস্তানের সাথে পুরো যুদ্ধে বাংলাদেশ বাহিনী এত অফিসার হারায়নি; পাখী-মারা জেনারেলের কমান্ডে থাকলে কার প্রাণ কিভাবে যাবে কেহ অনুমানও করতে পারার কথা নয়।









মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াএকজন সেনা কমান্ডার কোন অবস্থায়ই নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
আমার ৩ বছর আগের দুটি লেখা পড়ুন, অনেক প্রশ্নের জবাব পাবেন।

কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে.?

উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লিংকগুলো পড়েছি; মিলিটারী বিদ্যার সাথে মিল নেই।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: ঐটা ছিল মইনুদ্দীনের পাপ, আর তার শাস্তি সে এখন পাচ্ছে। কবরেও পাবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



মইনকে অপকর্ম করার জন্য খালেদা জিয়া উপরে নিয়ে এসেছিল; মইনের দক্ষতা ছিল না; মুল্য দিয়েছে উনার বাহিনী।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: সে নিজে কি করবে বুঝতে না পেরে, সবকিছু সরকারের বেসামরিক ব্যক্তিদের হাতে ছেড়ে দেয়। পুরো ব্যাপার চলে যায় পল্টনের বক্তা ও মিচিলের নেতাদের হাতে; ফলাফল, মইনের ৫৭ জন অফিসার ও ১১ জন সৈনিক নিহত। - এই বক্তব্য যথাযথ.

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াএকজন সেনা কমান্ডার কোন অবস্থায়ই নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। - ভুল. আই রিপিট ভুল. সামরিক সদস্যদের রক্ষায় নিজ কর্তৃত্ববলে হস্তক্ষেপ করার সকল অধিকার একজন সেনাপতি সংরক্ষণ করেন. তার পদাধিকার এই কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা তাকে দিয়েছে. বেসামরিক পরিমন্ডলে বা বহিঃশত্রুর ক্ষেত্রে অনুমতি বা আদেশের প্রশ্ন আসে.

তার কমান্ডো বাহিনীর 'ক'ও ছিল না আশে পাশে - ভুল. প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অবস্থান সিলেটে, কিন্তু একটি কোম্পানি সব সময় ঢাকায় থাকে, সেদিনও ছিল. তিন দিন পরে সেই ব্যাটালিয়নের সিও, যার পিতা বিডিআর-এর একজন প্রাক্তন এসএম (জৈষ্ঠতম পদাধিকারী সৈনিক) ছিলেন, তার সাথে দেখা হলে উত্তেজিত হয়ে তাদের অপারেশন না করতে দেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছিলেন. শুধু তাই নয়, তারা বেপরোয়া হয়ে অপারেশনে চলে যেতে পারে আশংকায় এপিসি (ট্যাংকসদৃশ) দিয়ে রোডব্লক দেয়া হয়েছিল বলেও তিনি আমায় জানিয়েছিলেন.

মইনউদ্দিন নিজে অনেক অপকর্ম করে নিজের নৈতিক মনোবল হারিয়েছিলেন. অন্যদিকে একচুয়াল সেনাপ্রধান মইনউদ্দিনকে সাইডলাইনে বসিয়ে ভারচুয়াল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন জেনারেল (অব) তারেক. তার সহযোগী ছিলেন কর্নেল ফারুক খান. আমি জেনেছি, এপিসি দিয়ে রোডব্লক দেয়া হয়েছিল জেনারেল (অব) তারেকের আদেশে.

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



দক্ষতাহীন অফিসার গড়ছে বাংলাদেশ।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন: অভিজিত আহত অবস্হায় অনেক্ষণ পড়েছিল, মানুষ চারিপাশ থেকে দেখেছে, কাছে গিয়ে সাহায্য করেনি। গতকাল বিকেলে, চিটাগং কলেজের পেছনে বাসস্ট্যান্ডে একটা মেয়েকে ২টি ছেলে ৫ মিনিটের বেশী কিলঘুষী মেরে হেঁটে চলে গেছে; ১০/১১ জন লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে, কেহ কিছু করেনি।

এটা সাধারণ মানুষের মানসিক অবস্হার বহির্প্রকাশ; মানুষের অন্যের বিপদে এগিয়ে যাওয়ার মতো অবস্হানে নেই; মানুষের মনে সহানুভুতির ধরণ বদলেছে।

এই পরিবর্তনে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে; সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হলো, অর্থনৈতিক বৈসম্য

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন: ছাত্রজীবনে মান্না সমাজতান্ত্রিক মনোভাবের তরুণ ছিল; এটা স্বাভাবিক; প্রতিটি স্বাভাবিক তরুণই অন্যের দু:খ কস্টে দু:খিত হয়, তাদের অনুভুতি অকৃত্রিম; তারা অপরের দু:খ কস্ট লাঘব করার পণ করে; পরে, হয়তো সময়ের সাথে অনেক কিছু হয়ে উঠে না। আজকের তরুণ ব্লগারদের লেখা পড়ুন, প্রাণের সমারোহ, অন্যায়ের বিপক্ষে জ্বলন্ত দ্রোহ!

মান্না পরে সরে গেছে, সরে গিয়ে শেখ হাসিনার বলয়ে প্রবেশ করেছিল; কিন্তু শেখ সেলিম, মেনন, শামীম ওসমানদের গুরুর সাথে মান্নার মন মিলেনি; পাখী-মারা জেনারেল'এর সময়, শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে গিয়ে বিফল হয়।

তারপরেও নিজের তারুণ্যে ফিরে আসতে পারতো; চেস্টা করে দেখতে পারতো মানুষের জন্য কিছু করতে; কিন্তু ছাত্ররাজনীতির মগজে দাস্ত্ব লেখা থাকে, মনিবের অধীনে থাকতে চায়। এবার আরো দক্ষিণে সরার চেস্টা করছিল; উপরে উপরে নাগরিকের নাম জপ করলেও ভেতরে ভেতরে আশা ছিল খোকা বাবুর নেত্রীর সেবা করা।

কেহ যদি রাজনীতির 'রা' বুঝে, সে কখনো মেয়র খোকা, মেয়র মহীউদ্দিন, শামীম ওসমান, আব্বাসের ধার পাশ দিয়েও হাঁটার কথা না; কিন্তু মান্না ঢাকার আন্ডার গ্রাউন্ডের বস খোকার সাথে টেলিফোনে আলাপ করে, রাজনীতির গতি ঠিক করার চেস্টা করছিল; খোকা কি নিয়ে আলাপ করতে পারে?

খোকা কি রাজনীতি করে, ডিজিএফআই জানে; তাই, আমাদের ক্লাউনকে এখন ডিজিএফআই'এর চা খেতে হচ্ছে! মান্না কি কিছু শেখে বের হবে?












৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন: গতকাল গার্মেন্টস'এর মালিকেরা আমাদের বলদমন্ত্রী মুহিতের সাথে দেখা করে, তাদের ২১ দফা দাবী পেশ করেছেন; ৬ দফায় পুরো পুর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হয়ে গেলো, ২১ দফার পর, উহার কি হবে? যা হবার তাই হবে, মালিকেরা এই সুযোগে সরকার থেকে টাকা আদায় করবে বিভিন্নভাবে; দেশ বলদমন্ত্রী ও কারখানার মালিকদের।

চট্টগ্রাম থেকে প্রায় প্রতি রাতেই ক্রীতদাস বোঝাই ট্রলার মালয়েশিয়ার পথে ছাড়ে যায়; যখন ডুবে যায়, তখন সংবাদে আসে। এসব ক্রীতদাসদের জন্য আমাদের বলদমন্ত্রীর মাথা ঘামাতে হয় না; স্বাধীন দেশ, এরা স্বাধীনভাবেই মালয়েশিয়া যাচ্ছে, কোন ভিসা ফিসার দরকার নেই।

খালেদা জিয়ার অবরোধ শুরু হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় বলদমন্ত্রী বলেছিল যে, ১ সপ্তাহ পরে সব ঠিক হয়ে যাবে; কিছু ঠিক হয়নি, বলদমন্ত্রী না বুঝেই ১ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। বলদ বাকী কাজগুলো কি না বুঝেই চালিয়ে যাচ্ছে?

বাংলাদেশের বেকারদের একটা ভালো গুণ হলো যে, তারা সরকারকে কোনদিন দোষারূপ করে না; তাদের ভালো গুণ, ভাগ্যে বিশ্বাস করে।

গার্মেন্টস'এর দুস্টরা যখন সরকারের পকেট কাটবে ২১ দফা দিয়ে, দেশ বেকারদের জন্য কিছু করার কথা ভাবতে পারবে না; কোটীপতিরা সব সময়ই সমস্যায় থাকে, বেকারেরা ট্রলারে উঠে।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাখী-মারা জেনারেলের কমান্ডে থাকলে কার প্রাণ কিভাবে যাবে কেহ অনুমানও করতে পারার কথা নয়।

কথা সত্য।

তারউপর সেই জেনারেলের চালক যদি হয়- রং হেডেড তখন সেই অনুমানে অনিশ্চয়তা আরো বাড়ে বৈকি!!!! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.