নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনারেল জিয়া, জেড-ফোর্স, বিএনপি (১)

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৩

মেজর জিয়ার নাম শুনেছেন বাংগালীরা ২৭ শে মার্চ, ১৯৭১ সালে, যখন তিনি কালুরঘাট বেতার থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পড়েন; স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পড়া একটি বড় ব্যাপার ছিল; মানুষ মনে রেখেছিলেন; কিন্ত মেজরকে সাধারণ মানুষ দেখেননি, তিনি পরবর্তী ৯ মাস যুদ্ধ করেছেন; তাঁর বাহিনীর নাম ছিল, "জেড-ফোর্স"। তিনি ১নং সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন; মে মাসের দিকে, মেজর রফিক ১নং এর কমান্ডার হন মেজর জিয়ার স্হলে; জিয়া "জেড-ফোর্স" নিয়ে সন্মুখ যুদ্ধ চালনা করতে থাকেন ১ নং সেক্টরে। মেজর রফিকের হেড-কোয়ার্টার ছিল ত্রিপুরার হরিণায়, তিনি গেরিলা ট্রেনিং দিচ্ছিলেন ও ১ নং সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধ করছিলন।

"জেড-ফোর্সের" হেড-কোয়ার্টার ছিল ত্রিপুরার পংবাড়ীতে, বেংগল রেজিমেন্ট, ইপিআর ও স্টুডেন্ট প্লাটুন মিলে লোক সংখ্যা চার শতের মতো ছিলেন। জেড-ফোর্স মার্চের ২৭ তারিক থেকে শুরু করে আগস্ট মাস অবধি সন্মুখ যুদ্ধ করেন: কুমিরা, চট্টগ্রাম শহরে, বাড়বকুন্ড, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, মস্তাননগর, জোরারগন্জ, করেরহাট, নারায়ন হাট, রামগড়, শুভপুর, রেজুমিয়া ও চাঁদগাজীতে তাঁরা যুদ্ধ করেন।

তাঁদের প্রথম সন্মুখ যুদ্ধ ছিল কুমিরাতে, আর শেষ সন্মুখ যুদ্ধ ছিল নোয়াখালীর চাঁদগাজীতে। প্রথমদিকে মেজর রফিক, মেজর শওকত আলী, ক্যা: এনাম, ক্যা: মাহফুজ, ক্যা: হামিদ, ক্যা: শামসুর রহমান, ক্যা: ভুঁইয়া, ক্যা: ওলি জেড-ফোর্সে ছিলেন।

জেড-ফোর্স চাঁদগাজী হারানোর পর, করেরহাট ও রামগড়ের মাঝখানে আরেকটা ডিফেন্স গড়ার সময়, মেজর জিয়াকে ১১ নং সেক্টরের প্রধান করা হয়; তিনি ১১ নং সেক্টরে যোগদান করার পক্ষে ছিলেন না; সেটা নিয়ে কর্ণেল ওসমানী ও তাজুদ্দিন আহমেদের সাথে সমস্যার সৃস্টি হয়; এ সমস্যা হয়তো পরবর্তীতে জিয়ার জীবন বদলায়ে দেয়!
(চলবে)















মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১০

জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনি যেহেতু জেড-ফোর্সের সাথে ঘনিষ্টভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন সুতরাং আপনার দেওয়া তথ্যগুলো প্রামাণিক দলিল।

আপনার এই সিরিজটির প্রতি বিশেষ আগ্রহ রইলো এবং ধারাবাহিকভাবে সেটা পড়ার জন্য আপনাকে অনুসরণে নিলাম।

ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানবেন।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এ মহুর্তে, জেড-ফোর্সের ক্যাপটেনদের মাঝে ক্যা: ওলি ও ক্যা: ভুঁইয়া রাজনিতীতে আছেন; ক্যা: এনাম অবসর জীবন যাপন করছেন। লে: খালিদ কোথায় আছে জানি না; তাঁরা যদি ব্লগিং করতেন, মানুষ মেজর জিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারতেন।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৬

শিপন মোল্লা বলেছেন: হুম ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যেই জেনারেল জিয়াকে জানেন, তাঁর সাথে মিলায়ে দেখুন!

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২৩

দিশেহারা আমি বলেছেন: চালিয়ে যান।

যতটুকু জানেন,যতটুকু দেখেছেন নিজের মত করেই বলুন।

ক্যা: ওলি ও ক্যা: ভুঁইয়া এরা রাজনীতির কারনে ইতিহাস বিকৃতিও করতে পারে।

জাফরুল মবীন ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করছি।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি যা দেখেছি, বুঝেছি, তা বলবো।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০৫

রামন বলেছেন:
আমি শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জিয়া রণাঙ্গন নিয়ে যতটুকু না আগ্রহ দেখাতেন, তারচেয়ে আয়না চিরুনী দিয়ে নিজের চুলের পরিপাটি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করতেন তিনি।

সে যাইহোক আশাকরি আপনার এই ধারাবাহিক লেখায় সেই দিনের অনেক অপ্রকাশিত সত্য আলোর মুখ দেখবে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যা শুনেছেন, তা নিশ্চয়ই জেড-ফোর্সের কারো থেকে শুনেননি; যুদ্ধের ভেতর, জিয়াকে জেড-ফোর্সের বাইরের লোক দেখার সুযোগ পায়নি।

জিয়া আজীবন মিস্টিরিয়াস থেকে যাবে; কারণ, বাইরের য লোক যত কথা বলুক, তারা কেহই কাছে থেকে জিয়াকে দেখেনি।

জিয়া কথা খুবই কম বলতেন , উনার সম্পর্কে উনার লোকেরা খুবই কম জানতেন।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি জেট ফোর্সে ছিলেন! টাস্কি! এই সিরিজটা তাহলে পড়তেই হচ্ছে :-P

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেড-ফোর্সের ভয়ানক দেশ প্রেমিকদের সাথে থাকার সুযোগ হয়েছিল, দেখার, বুঝার সুযোগ হয়েছিল।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: জিয়া ছিলো ক্রিম টাইপ অফিসার। নাইলে মিলিটারী একাডেমীর ইন্সট্রাকটার হইতোনা। এদের বোঝা অনেক কস্টের। পরে কি করছিল এইটা আপনার পোস্টের বেলায় ইরেলিভেন্ট। সেই সময়ে কি হইছিলো জানতে চাই।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
জাফরুল মবীন একমত।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি যতটুকু দেখেছি, যতটুকুর সাথে জড়িত, তা লিখব।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: মাই গড, আমি আপনাকে হেজি পেজি কেউ ভেবেছিলাম।মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন এমন প্রজন্ম আগামি ২০ বছর পর আর খুজে পাওয়া যাবে না।খুব দুর্লভ হয়ে যাবে । আপনি লিখে যান

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলেই হেজি পেজি
আরেক মুক্তিযো্দ্ধা কর্ণেল রব বেঁচে থাকলে এখন বয়স হতো ১১৬ বছর।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: পুরো সিরিজ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম৷

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লিখব

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আঙ্কেল কি ইস্ট বেঙ্গলে ছিলেন, না স্টুডেন্ট প্লাটুনে?

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্টুডেন্ট প্লাটুনে যোগ দিয়েছিলাম; পরে আমাদের বেংগল রেজিমেন্টে নেয়া হয়।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ব্লগার আগুন ডানা অথবা নায়লা আপার পোস্টে একটা কমেন্ট দেখেছিলাম, আপিনি প্রশ্ন করেছিলেন ইস্ট বেঙ্গলের ১২ হাজার লোক যুদ্ধ করলো কিন্তু উনি পালায় যুদ্ধ করলেননা কেনো। উনি পরের পোস্টে রিপ্লাই দিয়েছেন উনার মত করে, আমি ওই ব্যাপারে বলছিনা।

আমার জানা মতে, ১২ হাজার তথ্যটাই তো ভুল বলেছেন। পুর্ব পাকিস্তানে সে সময় কেবল ১৪ নং ডিভিশন ছিল, যাতে ৩ টা পদাতিক ব্রিগেড থাকবার কথা থাকলেও ছিলো ৪ টা ব্রিগেড। ২৩তম, ৫৩তম, ৫৭তম এবং ১০৭তম ব্রিগেড। সবগুলা ব্রিগেড মিলেও ২০ হাজার সেনা ছিলনা। কারন একটা ব্রিগেডের জনবল ৩-৪ হাজার হয়। সর্বোচ্চ হলে ৫ হাজার হয় কদাচিত।

আর বাংলায় ইস্ট বেঙ্গলের ইউনিটই ছিলো ৬ টি। ১,২,৩,৪,৮ এবং ১০ নং ইস্ট বেঙ্গল। ৯ নং ছিলো, কিন্তু চিটাগাং এ প্রশিক্ষনরত ছিলো। আর নামে বেঙ্গল রেজিমেন্ট হলেও পুরো ফর্মেশন বাঙালি ছিলোনা। ৭০-৯০ পারসেন্ট বাঙালি ছিলো। একটিতে ৯০০-১০০০ সেনা ধরলেও ৭ টি বেঙ্গল ইউনিটে ৬-৭ হাজার জনবল থাকা সম্ভব ছিলো। সঠিক হিসেব আমি নিজে নিশ্চিত করে বলতে পারবোনা। খাতা কলমের হিসেবতো এখন তেমন নাই এগুলা সবচেয়ে নির্ভরযোয় তথ্য বলতে পারেন। অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানী ব্যাটালিয়ান ছিলো ১২ টির মত। যাতে বাঙ্গালী প্রায় ছিলই না।

১২ হাজার বাঙ্গালী সেনা হয়তো পুরো পাকিস্তান সেনাবাহিনী জুড়ে ছিলো। ইস্ট বেঙ্গলে একা না।

এরমধ্যে মারাই তো যায় অনেকে। ১০ বেঙ্গলের প্রায় সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যশোর আর চিটাগাং এ অনেক মারা যায়। কম করে হলেও ৩-৪ হাজার প্রথম সপ্তাহেই মারা যায়। তাই সংখ্যাটা এতো হবার কথা নয়।

কুমিল্লায় ৪ বেঙ্গল মেজর শফিউল্লার বুদ্ধির কারনে হয়তো বেঁচে যায়। কিন্তু গ্যারিসনে থাকা পদাতিক অথবা অন্য আর্মসের কেউ রক্ষা পায়নি। ৪ বেঙ্গলকে এমবুসের জন্য আগেই প্লান করে বাইরে পাঠানো হয়েছিলো। যেটা সফল হয়নি।


উনার পোস্টে কোথাও উনি উনার বাবাকে গ্লোরিফাই করার চেস্টা করেননাই, ওটা উনার বাবার গল্প নয়। উনার নিজের গল্প। আবার বলতে পারি, উনি কিন্তু যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষিত সেনা ছিলেননা, উনি ছিলেন ডাক্তার। আর ডাক্তারেরা সম্মুখ সমরের অংশ নয়।

প্রশ্নের জবাব প্রশ্ন দিয়ে দেয়া যায়, এই যেমন আমিও প্রশ্ন করতে পারি ৭১ এ রেডিও আর টিভিতে কত বাঙ্গালী কাজ করেছে, ঢাকা ভার্সিটির ম্যাসাকারের পরেও কি সব শিক্ষক ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন? তারা কি পাকিস্তান সরকারের বেতন নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন? কিন্তু উনারাই তো ছিলেন দেশের চেতনা।

আরো প্রশ্ন করি। দেশে তো সাত কোটি মানুষ ছিলো, ভারতে গেছে ১ কোটি, তারা মানবেতর জীবন যাপন করেছে। অনেক কস্ট করেছে। ঢাকা কি ফাকা ছিলো যুদ্ধের পুরোটা সময়ে? দেশের সব থানায় কি কেবল পাকিস্তানী পুলিশই কাজ করেছে? সিভিল সার্ভিসের সব কর্মচারী কি কর্মস্থল ছেড়ে চলে গিয়েছিলো?

একটা ক্যান্টন্মেন্টের ভেতরে যোগাযোগ করবার অবস্থা কেমন ছিল সে সময় আপনি বুঝবেন। মোবাইল আর ফেসবুকের যুগ ছিলনা সেটা। খবর পাবার উপায় ছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার। কিন্তু তাতে গান, ভাষন অথবা স্যাটায়ারই নাকি বেশি শোনা যেত। বাঙ্গালীরা কোথায় কেমন শক্তিতে আছে বোঝার তেমন উপায় ছিলনা।

আর সেনাবাহিনীতে শপথ নিয়ে ঢুকতে হয়। বিদ্রোহ করা খুবই ঝুকির আর দেশ বিরোধী কাজ হিসেবে ধরা হয়। আর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিন্তু ভারতকে শত্রু হিসেবেই দেখতো। মেজর জিয়া, লেফটেন্যান্ট তাহের এরা কিন্তু পাকিস্তানের কাছ থেকেও খেতাব পেয়েছিল ৬৫ তে, তখন পাকিস্তান তাদের নিজের দেশ ছিলো, ৭১ এ আর মনে হয়নি, সোজা হিসেব। উনার বাবার নিজস্ব দৃস্টিতেও হয়তো তাই ছিলো, তবে ভারতকে বন্ধু হিসেবে মনে করতেননা হয়তো, দীর্ঘদিনের ধারনা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা এতো সহজ নয়। বাঙ্গালী সেনারা কিন্তু মার্চে নিজেদের উপর গুলি চলার আগ পর্যন্ত বিদ্রোহ করেনি। হামলা হবার পরেই করেছে। চিটাগাং এ মেজর জিয়ার বিদ্রোহ সফল ছিল কারন ওখানে বাঙ্গালীরা বেশি ছিল। কিন্তু বাকি সব জায়গায় কিন্তু পালাতে হয়েছিলো। মেজর খালেদ সুযোগ থাকার পরেও জয়দেবপুরে আক্রমনে যাননি। সব বিচক্ষন অফিসারেরই তাই করা উচিত। নিজেদের শক্তির আর শত্রুর সামর্থের পুরোটা না জেনে হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া বোকামী। আর এতো কম সময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে এটাও কিন্তু বাঙ্গালীর একক প্রচেস্টায় নয়। প্রশিক্ষন, আশ্রয়, অস্ত্র এসব যদি ভারত না দিত সময়টা আর অনেকই দীর্ঘ্য হত। আর ৪ ডিসেম্বর ভারত সরাসরি অংশ না নেয়া শুরু করলে সমাপ্তিটা অন্তত ৭১ এ সম্ভব ছিলনা।

আবারো বলি, ওটা উনার বাবার গল্প নয়, উনার গল্প। উনার নিজের বেঁচে থাকার গল্প। স্বাধীনতার সময় উনি ছিলেন শিশু, কিন্তু পরোক্ষভাবে উনার আর উনার পরিবারও তো কস্ট করেছে। হারিয়েছেন উনার বোনকে। অনেক আত্মত্যাগের কাছে সারা দেশের হিসেবে সেটা তুচ্ছ। কিন্তু উনার ছোট বোনকে হারাবার কস্ট অন্য সব কস্টকে ছাপিয়ে উনার পরিবার অথবা উনার কাছে কিন্তু অনেক অনেক বড় কস্টেরই ব্যাপার, হয়তো এখনো...

এতো কথা লিখলাম কেনো জানেন, মাঝের প্রশ্নুলোর উত্তরের জন্য। আপনার কমেন্ট আমি খেয়াল করি। ভিন্ন দৃস্টির মানুষ মনে হয়। মাঝের প্রশ্নউলোর উত্তর দেবার চেস্টা কইরেন। ওই পোস্টে দিলাম না, কারন, ব্লগে হুদাই ক্যাচাল হয়। এরচেয়ে এইখানে আলাপ করা ভাল মনে হইলো। জানার হয়তো আছে অনেক কিছুই। পরে এই ব্যাপারে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছাও আছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি 'আগুনের ডানা' থেকে বুঝার চেস্টা করেছিলাম যে, উনি বুঝতেন কিনা যে, উনার বাবা ইচ্ছা করলে যুদ্ধে যোগদান করতে পারতেন।

যুদ্ধে যোগদান করতে 'কমবেট' সৈনিক হতে হয় না; চাইলে সবাই যোগদান করতে পারতেন।




আপনি অনেক বিষয় নিয়ে এসেছেন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীতে আনুমানিক সাড়ে ৩ লাখ সৈনিক ছিল।

বেংগল রেজিমেন্টে হয়তো ৩৬ হাজার বা তার বেশী ছিল।

১২ হাজার বেংগল রেজিমেন্টের সংখ্যাটা আনুমানিক; এই ১২ হাজারের একটা বিরাট অংশ ছিলেন 'অবসরপ্রাপ্ত'। আমাদের প্লাটুনে (স্টুডেন্ট) ৫৬ বছর বয়স্ক হাবিলদার ছিলেন, যিনি ৮ বছর ধরে চিটাগং স্টীল মিলে চাকুরী করছিলেন সিকিউরিটিতে। চাকুরী থেকে সরাসরি যুদ্ধে এসেছিলেন। যুদ্ধের শেষের দিকে আরো একজন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সৈনিক আমাদের প্লাটুনে যোগদান করেছিলেন। 'জেড-ফোর্সে' অনেক যোগদান করেছিলেন, যাঁরা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যুদ্ধের আগে ছুটিতে এসেছিলেন। যত আনসার যোগদান করেছিলেন, সবাইকে বেংগলের ব্যাজ দেয়া হয়েছিল; যত অবসর প্রাপ্ত ইপিয়ার যোগদান করেছিলেন, সবাই বেংগলের ব্যাজ নম্বর পেয়েছিলেন; ফলে, সংখ্যা কাছাকাছি হবে।

আপনার বাকী লেখা ঠিক আছে বলে মনে হয়।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনি সেনাবাহিনী থেকেই অবসর নিছিলেন, নাকি থাকতে পারেননাই?

আপনাদের সেনাবাহিনীতে আত্মীকরনের প্রক্রিয়া নিয়া কিছু বইলেন। আপনার র‍্যাঙ্ক সবশেষে কি ছিলো এইটাও বইলেন কোন সমস্যা না থাকলে।

তখন তো শুনছি অনেক গ্রুপ হইছিলো। মুক্তিযোদ্ধা, পাকিস্তান ফেরত অফিসার এইসব হাবিজাবি গ্রুপ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছিলাম ছাত্র; আমাদের নেয়া হয় বেংগলে রেজিমেন্টে।

২২ শে ডিসেম্বর অস্ত্র জমা দিতে বলায় বুঝলাম আমরা কেহ নই।

আমরা ছিলাম "এফএফ", এ ছাড়া ছিল "বিএলএফ"; ভাসানী ও মোজাফ্ফর গ্রুপের লোকেরাও ছিল সামন্য।

যুদ্ধের সময় পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন শুধু বেংগল রেজিমেন্ট, উনারা আমাদের সাথে "এফএফ"।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.