নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মারাামারির সুযোগে, দেশের রাজনীতির চাবিকাঠি ভারতের হাতে

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

মোদী বাংলাদেশে আসার আগে আওয়ামী লীগ চেস্টা করছিলো যে, খালেদা জিয়া যেন মোদীর সাথে দেখা করতে না পারে, আর বিএনপি চেস্টা করছিলো যে, খালেদা যেন দেখা করতে পারে; আরো শত ঘটনাকে বাদ দিলেও, শুধু এ ঘটনা থেকে সহজে বুঝা যাচ্ছে যে, আওয়ামী শক্তি ও বিএনপি শক্তি নিজেরাই ভারতকে আমাদের রাজনীতির রক্ষক বানায়েছে ও বানাচ্ছে।

ভারতের ভৌগোলিক অবস্হান, অর্থনীতি, রাজনৈতিক অবস্হান এ ধরণের ভুমিকায় যেতে ভারতকে সাহায্য করছে; এবং বিশ্ব শক্তিতে পরিণত হতে ভারত নিজকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখাতে এ ধরণের ভুমিকা ভারতের জন্যও দরকারী।

ভারত বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত ছিল; এক সময়ে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে নির্লিপ্ত ছিল; এখন ভারত আবার বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করছে।

এখন পরিস্কার যে, শেখ সাহেবকে যারা ১৯৭০ সালে ভোট দিয়েছিলেন, তাদের একাংশও চায়নি যে, পাকিস্তান ভেংগে বাংলাদেশ হোক; যারা ভোট দেয়নি, তারা তো চায়নি সেটা পরিস্কার।

যাক, দেশ হয়ে যাওয়ার পর, যদি সবাই সমানভাবে উপকৃত হতো, সবাই যদি শুখ শান্তির মুখ দেখতো, সবাই মানসিকভাবে দেশকে ভালোবাস তো; শুধু হয়তো পরাজিত জামাতী রাজাকারেরা একটা সমস্যা হয়ে থাকতো; কিন্তু দেশ খুবই সামান্য অংশের জন্য বে-আইনীভাবে ভালো করেছে, তাদেরকে বে-আইনী ক্ষমতা দিয়েছে সম্পদ ও ক্ষমতা দখলে; ফলে, মানুষের কাছে জাতি, দেশ, ঐক্য বড় হয়নি।

শেখ সাহেবকে হত্যা করে, জাতিকে ভুল পথে নিয়ে গিয়ে জিয়া ভয়ংকরভাবে জাতির ক্ষতি করেছিল; জিয়া সামরিক বুদ্ধি দিয়ে রাজনীতিকে আইয়ুবের আদলে সাজায়েছিল, সেই মডেল ভাংতে গিয়ে দেশের মেরুদন্ড আরো ভাংগে; কারণ, যারা দেশকে আবারও সঠিক পথে আনতে চেয়েছিল, তারা এরশাদের হাতে পরাজিত হয়। এরশাদ আসার পর থেকে মানুষ ক্রমে সরকার বিরোধী হয়ে যায়; মানুষ আজও সরকার বিরোধী; ফলে, সরকার যে, শুধু বিরোধী দলের ভয়ে থাকে তা নয়, ওরা মানুষের ভয়েও থাকে।

মানুষ ও বিরোধী দল থেকে টিকে থাকার পথ হলো ভারত নির্ভরশীল হওয়া; সেটাই এখন রাজনীতি; সেটাতে ভালো করছে আওয়ামী লীগ; বিএনপিও ভারতের আশীর্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অবশ্য এখন শেখ হাসিনা চাইলে মানুষই রাজনীতির ক্ষমতাবিন্দু হতে পারতো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: যাক, দেশ হয়ে যাওয়ার পর, যদি সবাই সমানভাবে উপকৃত হতো, সবাই যদি শুখ শান্তির মুখ দেখতো, সবাই মানসিকভাবে দেশকে ভালোবাস তো; শুধু হয়তো পরাজিত জামাতী রাজাকারেরা একটা সমস্যা হয়ে থাকতো; কিন্তু দেশ খুবই সামান্য অংশের জন্য বে-আইনীভাবে ভালো করেছে, তাদেরকে বে-আইনী ক্ষমতা দিয়েছে সম্পদ ও ক্ষমতা দখলে; ফলে, মানুষের কাছে জাতি, দেশ, ঐক্য বড় হয়নি।

##

উপরের কথাটা ভালো বলছেন। তবে আপনার হাসিনা প্রীতি ঈর্ষনীয় উচ্চতার। ব্যাপার খারাপ না, মানুষ হিসেবে আর যোগ্যতায় খালেদার চেয়ে হাসিনা ভালো, বদমাইশ তারেকের চেয়ে জয় (গর্ধব হইলেও) শতগুন ভালো। তবে দল হিসেবে আওয়ামী কর্মীদের জমিদারী ভাব কমা উচিত। মুক্তিযুদ্ধ আর দেশটা আওয়ামীপন্থীরা অনেকটা বাপের সম্পত্তির মতো মনে করে, এই ব্যাপারগুলা ভাল্লাগেনা।

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

ষেহেতু হাসিনা সময় শেষ, উনি এর থেকে ভালো কিছু আর করতে পারবেন না; শেষ সুযোগ চলে গেছে ২০০৯সাল থেকে; কিন্তু খালেদার ডাকাত পাটি ও পাকি মিলিশিয়াদের থামায়েছে কিছুটা; নাই মামার চেয়ে কানা মামা

যেহেতু শেখ হাসিনার চেয়ে বুদ্ধিমানদের কেহ আর সহজে রাজনীতিতে অবদান রাখার সম্ভাবনা নেই, শেখ হাসিনাই এখন উল্লখযোগ্য।

২| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

আটলান্টিকের প্রবাল বলেছেন: পোস্টের মুল বক্তব্যের সাথে একমত। আমাদের উচিৎ আওয়ামী লীগ বর্জন করা।

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনীতি না করলে, রাজনীতি না বুঝলে, রাজনীতিতে শুন্যতা আসে; এমন শুন্যতার মাঝে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা এসে ৩৪ বছর জাতিকে ভুলভাবে চালাচ্ছে।

আপনি ভালো তাস খেললে, আওয়ামী লীগকে বুঝতে পারবেন; খেলায় কেহ এককভাবে খেলতে পারে না, অন্যদের প্রভাব আছে।

৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

অন্তর মাশঊদ বলেছেন: যার দ্বারা দেশ উপকৃত হবে তুলনামুলকভাবে তাঁর সাথে আমরা থাকব। আর আমাদের দেশের ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যেটা ভারত করে। নিজেদের চুল পরিমান ক্ষতি বিসজর্ন দেয়না তাঁরা/

২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

রাজনীতি শিখতে হবে, রাজনীতি করতে হবে।

বিএনপি, জামাত ও আওয়ামী লীগ দেশ চালনাকে বড় ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে মাত্র।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন: আমাদের এক সীমান্ত রক্ষীকে ধরে নিয়ে গেছে মগের মুল্লুকের সীমান্ত রক্ষীরা; কি অবস্হায়, কেন ধরে নিতে পারে, সেটার সরকারী ব্যাখ্যা মানুষকে জানানো উচিত; কারণ, অনেকেই মনে করছে যে, এ ধরণের আচরণ আমাদের প্রতি অসন্মান।

আমরা বার্মা দখল করার চেস্টা করছি না, বার্মা বাংলাদেশ দখল করার চেস্টা করছে না; আমাদের সীমান্ত নিয়েও তেমন সমস্যা নেই; সমস্যাটা কি, সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কার করার দরকার আছে।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসল সত্যটা আমি,আপনি সবাই জানে।। মুখ ফুটে না শুধু........।।
কিছু মনে না করলে বলি, লেখায় অন্ধপ্রীতি থাকলে কিন্তু মূলভাবটা হারিয়ে যায়।।

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার অন্ধ প্রীতি আছে আমার শিক্ষকদের জন্য।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন: ১৭৫৭ সাল থেকে শুরু করে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী দখল করেছিল রাজতান্ত্রিক ভারত; ১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত ছাড়ার সময় ২টি গণতান্ত্রিক দেশের সৃস্টি করে যায়; ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান মিলিটারীর ডিক্টেটরশীপে চলে যায়; এতে পাকিস্তানের প্রদেশসমুহের মাঝে অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখা দেয়; ফলাফল, পুর্ব পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানে জাতীয়তাবাদের সম্প্রসারণ ঘটে; পুর্ব পাকিস্তানে জাতীয়তাবাদের নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবর রহমান ও সাম্যবাদের প্রবক্তা মাওলানা ভাসানী। ডিক্টেটরশীপের অবসান ঘটায়ে, গণতন্ত্রে ফিরে যাবার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে ভোট দেয়া হয় দেশে; এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে ও প্রদেশে সংখ্যা গরিস্ঠ্যতা পায়। কিন্তু মিলিটারী ও জুলফিকার আলী যড়যন্ত্র করে সরকার গঠন করতে দেয়নি; বাংগালীরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে ১৯৭১ সালের মার্চের ১লা সপ্তাহে; অসহযোগ আন্দোলন এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, উহা স্বাধীনতা ঘোষনার পটভুমি সৃস্টি করে; পাকিস্তানের মিলিটারী এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য ২৫ শে মার্চ রাতে পুরো জাতিকে আক্রমণ করে বসে; শুরু হয় যুদ্ধ; বেংগল রেজিমেন্ট, ইপিআর, আনসার, পুলিশ ও সামান্য পরিমাণ সাধরণ জনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সেই রাতেই; এতে, ৫/৬ কোটী লোকের সায় ছিল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্ল্যান ছিল, বড় বড় শহরে গণহত্যা চালিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেবে; কিন্তু ২৬ তারিখ পাকিস্তান সেনাবাহিনী বুঝতে পারলো যে, দমন সম্ভব হয়নি, বরং তারা যুদ্ধ জড়িয়ে পড়েছে; ( ক্রমে লিখব )

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:০৫

দ্যা লায়ন বলেছেন: হাসিনা খালেদা গলাগলি করলেও এই দেশের চাবিকাঠি ভারতের হাতেই থাকবে, সেটা নিয়ে বিশেষ চিন্তা কিংবা চেতনার কিছু নেই। সকল শক্তিশালী দেশ গুলোই আশে পাশে দুর্বল দেশ গুলো নিয়ন্ত্রণ করে এটাই পৃথিবীর নিয়মে দাড়িয়েছে।

২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শক্তিশালী দশগুলো প্রভাব রাখছে, কিন্তু রাজনীতি নিয়ন্ত্রয়ন করলে সেটাকে সমস্যা হিসেবে বুঝতে হবে, সেটার সমাধান দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.