নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

" একজন মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়", আগাছা জাতীয়, অপক্ক ভাবনা!

২১ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

" একজন রাজাকার চিরকালই রাজাকার, একজন মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়", এ কথাটা বলেছিলেন ড. হুমায়ুন আজাদ; কথাটা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে, অনেকে না বুঝে বেশ ব্যবহার করছেন; কথাটা বেশ অপক্ক ভাবনার ফসল; ড: হুমায়ুন আজাদ সাহেব যুদ্ধের বয়স সত্বেও যুদ্ধ করেননি; মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝার সুযোগ উনার হয়নি; যুদ্ধ কঠিন ব্যাপার, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ, যেখানে একজন সাধারণ মানুষ এক সেনাবাহিনীর বিপক্ষে অস্ত্র ধরে, এবং শুধুমাত্র দেশ ও জাতিকে ভালোবেসে, মানুষ যুদ্ধ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন ।

একজন মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধাই; অন্যেরা না বুঝলেও, মুক্তিযোদ্ধারা অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝেন; এবং এটাই যথেস্ট!

ড: হুমায়ুন আজাদ আমার শিক্ষক ছিলেন; সবেমাত্র উনি শিক্ষকতা শুরু করছিলেন; উনি তখন শিক্ষকতায় ভালো করতে পারেননি; হয়তো উনি ভালো বাংলা জানতেন, কিন্তু আমাদের সেকশনের ছেলেমেয়েরা উনাকে ঘনিস্ট করে নেয়নি; শুনেছি, পরে উনি অনেক নাম করেছেন; তা ভালো। উনি অবশ্যই জাতির পক্ষের প্রতিবাদী ছিলেন, সেই কারণেই উনাকে রাজাকারদের দলের লোকেরা হত্যা করতে আক্রমণ করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধ যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের মাঝে লেখক কবি, ইতিহাসবিদ ছিলেন না; ইপিআর, বেংগলের বেশীরভাগ সৈনিক ছিলেন কয়েক শ্রেণী পাশ; ছাত্ররা এমন কিছু জানতো না যে, মুক্তিযু্দ্ধকে তাঁরা তুলে ধরতে পারতেন; আর কৃষকের ছেলেদের লেখার কি ছিল?

ছাত্ররা, যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, হয়তো পরে তাঁদের অনেকই উচ্চ শিক্ষা পেয়েছিলেন; কিন্তু পুরো মুক্তিযু্দ্ধ পেছনের সারিতে চলে যাবার পর, কেহ আর আগ্রহ পায়নি এ ব্যাপারে বড় কিছু লিখতে; আমার চোখে তেমন কিছু পড়েনি।

যারা যুদ্ধ করেনি, যুদ্ধে যায়নি, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থাকেনি, তাদের অনেকে অনুমান করে অনেক কিছু লিখেছেন; এগুলোর তেমন দাম নেই; অন্তত আমার কাছে হাসির খোরাক বলে মনে হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে, ড. হুমায়ুন আজাদের অপক্ক ভাবনার ফসল, ঐ বিশ্রী বাক্যটি ব্যবহার করা ভাবনহীনতার পরিচয় মাত্র। রাজাকারদের নিয়ে যার যা ইচ্ছে বলুক, কারণ ওরা ছিল বাগানের ভেতর কদাকার বিষাক্ত ঘেসো সাপ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের বেলায় কিছু বলতে ভাবার দরকার আছে, বুঝার দরকার আছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আল মাহমুদও মুক্তিযোদ্ধা? জিয়া? এদের যোদ্ধা বললে আপনারা যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদের ছোট করা হয় না?

২১ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল জিয়া মুক্তিযোদ্ধা।
উনি অনেক মিলিটারী জেনারেলদের মতো, অনেক বাংগালীর মতো ক্যাপিটেলিস্ট সিস্টেমে বিশ্বাস করতেন। তিনি আইয়ুব খানের রাজনৈতিক পুত্র, যেমন এরশাদ, জিয়াুল হক, ইয়াহিয়া, মোশারফ; উনি উনার পথে চলে গেছে।

১৯৭১ সালে মেজর জিয়ার প্রয়োজন বাংগালীদের সাথে মিলেছিল, স্বাধীনতার পর, তিনি মিলিটারীর পথে চলে গেছেন; তিনি মারাত্মক ভুল করার পরও জাতি উনাকে গ্রহন করেছিল; সেটা ছিল জাতির ভুল।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ৪৪ বছর ধরে একটা ইস্যুকে জিয়িয়ে রাখা, এখনো যোদ্ধাদের তালিকা বানানো, জাতিকে এখনো বিভক্ত করে রাখা জাতির জন্য খুব একটা মঙ্গলদায়ক হয়না। আমাদের চাইতে বহুমাত্রায় বেশি যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা বহু জাতি ওসব যুদ্ধ টুদ্ধ ভুলে গেছে কবেই! যুদ্ধে যাবার সময় আমি রাজনীতি ভাবিনি, দেশ ভেবেছিলুম। যাকগে। আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

স্বাধীনতা যু্দ্ধকে মাপা হয় না বোধ হয়; একমাত্র মাপ হলো, সাফল্য, যেমন প্যালেস্টাইন সাফল্য দেখেনি।

কেহ কিছু জিইয়ে রাখেনি; বরং মুছে দেয়া হয়েছে।

জাতি বিভক্ত হয়ে থাকেনি মুক্তিযুদ্ধের ফলে, জাতি বিভক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে মুছতে গিয়ে।

এখানে আমি একটা মোটামুটি প্রবাদের উপর কথা বলেছি, যা ভুল ও ভুল লোকের দ্বারা সৃস্ট।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

আজাদ মোল্লা বলেছেন: একটা কথা আমি বুঝতে পারিনা যুদ্ধ আর যুদ্ধ । এটার মানেকি । নির্দিষ্ট কিছুর জন্য আমারা কি যুদ্ধ টা করেছি লাম । সবাই কে মারা দরকার । হোক মুক্তি যুদ্ধা বা রাজাকার সব ???? ।

২৩ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

গরু যদি জানতো যে, তার শেষ ঠিকানা কসাইখানা, কোন গরু বাঁচতে চাইতো না; গরুর জীবনটা স হজ হয়েছে এই কারণে যে, তারা নিজেদের জীবন ইতিহাস বুঝতে পারে না।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৭

প্রামানিক বলেছেন: গরু নিজেদের ইতিহাস জানে না। কথা সত্য

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


অশিক্ষিত জাতি নিজের ইতিহাস মনে রাখতে পারার কথা নয়।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: হু.আজাদ নামক পন্ডিত মশাই একটু বেশি জ্ঞানী,,,,, তাই তো জাতীয় কবি নজরুলকেও গুনতে নারাজ।

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

সামাজিক সমস্যার ফসল আজাদ মোল্লারা।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারাও তো মানুষ, ভুলেভালেই মানুষ। যুদ্ধ তো কেউ বছর দশেক চিন্তা কইরা এরপর করেনাই। সময়ের প্রয়োজন ছিল।

কেউ নিজের মতাদর্শের কারনে রাজাকারে যোগ দিছিলো তাও মাইনা নিলাম, কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন এই যোগ দেয়াটা দেশের বিরুদ্ধে যায়, মানবতার বিরুদ্ধে যায়। অনেকে কিন্তু এমনও ছিলো যাদের পাকিস্তানীদের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল কিন্তু গোপনে দেশের জন্য কাজ করছে। অনেকের প্রান বাচাইছে। আবার হাজার হাজার মানুষ পাকিস্তান সরকারের হইয়া সরকারি চাকরি চালাইয়া গেছে যদিও দেশ স্বাধীন হবার পর এদের চেতনাবাদী হিসেবে দেখা যায় কিন্তু ওই অস্থির সময়ে কিছু করেনাই। ওইসব চেতনা দিয়া আমরা কি করবো?

আবার আপনে তো যুদ্ধ দেখছেন, আপনিই বলেন, আপনি কি এমন একটা ঘটনাও জানেননা যেইখানে মুক্তিযোদ্ধারাও যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ের কিছু করছে?

যেকোন অপরাধের বিচার হওয়া উচিত, সেইটা রাজাকারই হোক আর মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়াই হোক। যারা বলে বিচারের দরকার নাই তাদেরও বিচারের দরকার আছে। এরা সুবিধাবাদী, দেশ আর জাতির ভবিষ্যতের জন্য ভালোনা। বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী হইলে আলাদা ট্রাইবুনাল লাগতোনা, সরকারের সদিচ্ছা কিংবা অযাচিত হস্তক্ষেপ না থাকলেই হইতো।

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

পাকী ও রাজাকারেরা এত নীচু মানের জানোয়ার ছিল যে, যুদ্ধ বলতে যুদ্ধ করেনি তারা, সিভিলিয়ান হত্যা করে তারা জাতিকে নিচিহ্ন করতে চেয়েছিল।

আমার জামা মতে মুক্তিযোদ্ধারা এক বিরল ইতিহাস স্হাপন করেছেন।
কিছু মানুষ যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে নিজেরা অপরাধ করেছে, পরে রাজনীতিবিদদের সাহায্যে যো্ধাদের তালিকায় নাম লিখায়েছে।

৭| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনি ঠিক কোন পরিস্থিতিতে, কি ভাইবা, কোন মতাদর্শের ভিত্তিতে যুদ্ধে গেছিলেন এইসব বলেন। ভেগু ভেগু আলোচনায় লাভ নাই। এরচেয়ে নিজে ঠিক কেন যুদ্ধে গেছিলেন এইগুলা শেয়ার করলে পরের প্রজন্ম ব্যাপারগুলা ভালো বুঝতে পারবে।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

বঙ্গমিত্র সিএইচটি বলেছেন: যুদ্ধ শেষে জাতী কি পেল। নিজেদের মধ্যে হানাহানি । যুদ্ধচলাকালে সবাই এক ছিল । নেতারা মহৎ ছিল বলে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুদ্ধ শেষে জাতির আশা ধুলার সাথে মিশে গেছে, তাজুদ্দিন ও শেখ সাহেব এই ভয়ানাক যুদ্ধ ও প্রাপ্তিকে মোটেই অনুধাবন করতে পারেননি, মানুষের অবদান ভুলে নিজেরা হাউকাউ কিছু করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.