![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
১৯৭১ সালে, ৯০ হাজার সাধারণ বাংগালী খুব সামন্য ট্রেনিং নিয়ে সোজাসুজি যুদ্ধে চলে যায়; ৯ মাসে তারা শত্রুদের হত্যা করেছেন, আহত করেছেন, বন্দী করেছেন; নিজেদের মানুষ হারায়েছেন ২২ হাজার, ১০ হাজার আহত হয়েছেন; নিজেদের পরিবারের লোকজন হারায়েছেন, আত্মীয় স্বজন হারায়েছেন, ঘরবাড়ী হারায়েছেন, যাদের জন্য যুদ্ধে গেছেন তাদের ৩০ লাখ হারায়েছেন; এসব কি এই ৯০ হাজার মানুষের মনের উপর কোনরূপ প্রভাব ফেলেনি?
আসলে ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছিল; বেংগল ও ইপিআর'এর যুদ্ধের ট্রেনিং ছিল ও যুদ্ধ সম্পর্কে আগের এক্সপেরিয়েন্স ছিল; কিন্তু কৃষকের ছেলে, ছাত্র, শ্রমিকদের যুদ্ধের ভয়ংকর নাশকতা সম্পর্কে কোন ধরণাই ছিল না; ৯ মাস পরে যখন তাঁরা আবার সাধরণ জীবনে ফিরে এসেছিলেন, তাঁরা তখন পরিবর্তিত মানুষ ছিলেন।
আমাদের সরকার, সমাজ তাঁদের সম্পর্কে জানতে চায়নি; ফলে, তাঁদের বিরাট পরিবর্তন অজানা রয়ে যায়। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন এসব সমস্যা ক্রমেই বাড়ছিল, ও কমান্ড এ সম্পর্কে জানতেন; যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে, 'জেড-ফোর্সের' এক সদস্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন; সৌভাগ্য যে, উনাকে ১ নং সেক্টরের হেড কোয়ার্টারে রাখা সম্ভব হয়েছিল; উনার পরিবার মিরসরাই থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে গিয়ে সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারেননি; উনি মনে করেছিলেন যে, পরিবারের লোকজন পাকিদের হাতে নিহত হয়েছে; যাক, পরে পরিবারকে আমরা আগরতলায় খুঁজে পেয়েছি। 'জেড-ফোর্সের' আরেক যোদ্ধার পিতা স্হানীয় গেরিলাদের হাতে প্রাণ হারান; সেই যোদ্ধা সেই কারণে বাড়ী যেতে চাইলে অনুমতি দেয়া হয়নি; সৈনিক পিস্তল নিয়ে কমান্ডার আক্রমণ করতে যাচ্ছিল; পরে, সঠিকভাবে কাউনসেলিং করে, সেই সমস্যার সমাধান করা হয়।
বাংলাদেশে মানুষের মানসিক সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করলে, পরিবার ও সমাজ মনে করে যে, জ্বীন, ভুতের ছায়া পড়েছে; বাকী যাদের সমস্যা প্রবল আকারে প্রকাশ পায়না, যারা শক্ত মনের অধিকারী, তাদের সমস্যা অজানাই থেকে যায়।
অনেক মুক্তিযোদ্ধার সমস্যা রয়ে গেছে; সরকারের উচিত তাঁদের এ ব্যাপারে সাহায্য করা, ডাক্তার দেখানো।
একজন মুক্তিযোদ্ধা আত্মহতয়া করেছেন সামান্য সচিবের উপর রাগ করে; কোন সচিব বা তাদের পরিবার মুক্তিযু্দ্ধের সাথে জতিত ছিল না; যারা মুক্টিযুদ্ধের সনদ দেখায়ে সচিব অবধি গিয়েছেন, তারা মিথ্যুক অথবা বিলএলএফ'এর লোক, যারা যুদ্ধ করেনি; মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের উচিত সচিব ইতয়াদি থেকে দুরে থাকা; মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করা উচিত, এবং তা খুবই সম্ভব।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কয়েক লাখ প্রসব করেছেন বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা।
ইপিআর, বেংগল ও সাধারণ মানুষ মিলে ছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি।
৯০ হাজারের কাছাকাছি ছিলেন সাধারণ মানুষ।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:২৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা এখন লাভ জনক একটি ব্যাপার হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে আপামর জনসাধারণ যুক্ত হতে চেয়েছিল কিন্তু তখনও সবাইকে ট্রেনিং দেয়া হয় নাই। নির্দিষ্ট মতাবলম্বীরাই সুযোগ পেয়েছিল। আর এখন সুবিধামত মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে তার অংশ গ্রহন এখন আর মুখ্য কোন বিষয় না। যারা দেশকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তারা কেউ অর্থনৈতিক সুবিধা পাবার আশায় কারো পদলেহন করে না। মুক্তিযোদ্ধা নামধারীরা সুবিধার আশায় পদলেহনে ব্যস্ত। মাত্র একটা আত্মহত্যা কোন বিষয় না। কত মুক্তিযোদ্ধা অভাবে দিন কাটাচ্ছে সে হিসাব কারো কাছে নেই। কমান্ডাররাই বলতে পারে না কতজন বা কে কে তার অধীনে যুদ্ধ করেছে।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কথানুসারে আপনাকে বিহারী বা পাকিস্তানী বলেই মনে হয়।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা। ভালো লাগল আপনার মূল্যায়ন। যদি সম্ভব হয় তাহলে একটু বুঝিয়ে বলবেন কি জন্য এমন মনে হল। আর আমার কমেন্ট এর ভুলগুলো কোথায়!
বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা কতজন ভারতে মুক্তিযুদ্ধের জন্য ট্রেনিং পেয়েছিল? বাম রাজনীতির সাথে জড়িতদের কি জন্য স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছিল?
এখন কতজন সচিব, রাজনীতিবিদ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে?
কতজন সচিবকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে?
এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কি অর্থনৈতিক লাভের আশায় পদলেহন করে নি?
সেক্টর কমান্ডারদের কাছে কি মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা আছে? যদি থাকে তাহলে ৪৩ বছর পরেও কেন সঠিক তালিকা প্রকাশিত হয় না।
যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার মন্তব্য মেনে নেব। আর আমার কথা যদি ভুল না হয় তাহলে আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে না। জাস্ট ভবিষ্যতে মন্তব্য করার আগে একটু বিবেক বুদ্ধি ব্যবহার করবেন।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কমেন্টে আমি ভুল দেখছি না।
যারা যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা জানেন এদেশের ও জাতির মুল্য।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইপিআর, বেংগল রেজি, গ্রামের মানুষ শিক্ষিত ছিলেন না; উনাদের অবদান উনারা বুঝতে পারেননি।
শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিনের বেকুবীতে এই মানুষগুলোর অবদান হারিয়ে গেছে।
সেক্টর কমান্ডারগণ ছিলেন পাকিস্তান এ ট্রেনিং পাওয়া অফিসার; যুদ্ধের পরপরই তারা নিজের স্হান দখল করে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভুলে যান।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনি বললেন আমার কমেন্টে ভুল দেখছেন না। তার মানে ভুল বলি নি। আমার কমেন্টে আমি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বলেছি। কাউকে বিহারী কিংবা পাকিস্তানি বলার আগে তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই বলা উচিৎ। ভবিষ্যতে কাউকে এগুলো বোলার আগে চিন্তা করে বলবেন।
হ্যা, মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশ এবং জাতির অমুল্য সম্পদ। কিন্তু সার্টিফিকেটধারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা না।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভুয়ারা ভুয়া, তাদের নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই।
ঠিক আছে, পাকী সহজে ডাকবো না।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৬
প্রামানিক বলেছেন: আপনি কইলেন ৯০ হাজার এখন তো খাতা কলমে কয়েক লাখ।