নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৬০ কোটী মুসলমান, পুরো ইউরোপ, ৪০ ভাগ ইহুদী চায় যে, ফিলিস্তিন দেশ হোক, ফিলিস্তিন হচ্ছে না

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

১৬০ কোটী মুসলমান, পুরো ইউরোপ, ৪০ ভাগ ইহুদী চায় যে, ফিলিস্তিন দেশ হোক, ফিলিস্তিন হচ্ছে না; সমস্যা কোথায়? এত মানুষের মিলিত শক্তি কাজ করে না কেন?

প্রথমে বাংলাদেশের একটা সেকশনের কথা বলি: বাংলাদেশের জামাতের আন্তর্জাতিক এজেন্ডার মাঝে আছে ফিলিস্তিন দেশ গঠনে সহযোগীতার প্রত্যয়; এখন দেখুন, ১৯৭১ সালে জামাত চেয়েছিল যে, বাংলাদেশ যাতে না হয়; কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেছে; তা'হলে দেখা যাচ্ছে যে, তাদের চাওয়ার মাঝে সমস্যা আছে; তারা ফিলিস্তিন চাইলে, ফিলিস্তিন হওয়ার সম্ভাবনা কম; তারা আধুনিক বিশ্ব, আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝার মতো অবস্হানে নেই, তারা অনেক পেছনে।

এবার দেখুন একটা দেশ, পাকিস্তান; আশাকরি, ওরা সবাই ফিলিস্তিন চায়; কিন্তু ওরা বাংলাদেশে যে ধরণের হত্যা ও নারী নির্যাতন করেছে, তাদের ফিলিস্তিন ভাবনা চিন্তা, প্রত্যাশার কোন লজিক্যাল মিল আছে? অবশ্যই নেই। ওরা কোনদিন মাথা তুলে ইসরায়েলের বিপক্ষে কথা বলতে পারবে না ইউএন'এ, সবাই হাসবে।

বাকী মুসলমানদের অবস্হা, চাওয়া পাওয়া পাকিস্তান থেকে একটু ভালো, বা একটু খারাপ; ফলে, তাদের চাওয়ার মুল্য আসলে নেই। আপনি প্যালেস্টাইনের উপর ইউএন আলোচনাগুলো দেখবেন, যারা ফিলস্তিন নিয়ে কথা বলতে আসে, ওদের কারোই ক্রডিবিলিটি নেই নিজ দেশেই। ফলে, সংখ্যাটা ১৬০ কোটী হলেও ওজনের দিক থেকে নগন্য।

এবার বাংলাদেশ সরকারের কথা বলি, যতবার বাংলাদেশের সরকার প্রধানগণ ইউএন এ কথা বলেছে, বেশীর ভাগই সাহায্য চেয়ে কথা বলেছে; ভিক্ষা চাইলে কারো বড় গলা থাকে না; আবার দেখবেন, যখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সুদানের কেহ ইউএন'এ বক্তৃতা দেয়, কেহ তাদের কথা তেমন শোনে না; কারণ, তারা আগেই ধরে নিয়েছে যে, উল্লেখযোগ্য কোন কিছু থাকার সম্ভাবনা নেই; এসব দেশের বক্তাদের অদক্ষের তালিকায় রেখেছে ওরা।

এবার আসুন খৃস্টান জগৎ ইউরোপের কথায়; ইউরোপ যেভাবে চায় ফিলিস্তিন, আর হামাস, পিএলও, হিজবুল্লাহ যেভাবে চায়, তা মেটেই সম্পুরক নয়; ইরান, হিজবুল্লা, হামাস চায় ইসরায়েলকে ধ্বংস করে, তার উপর ফিলিস্তিন হবে; ইউরোপ কি তা চায়? বাংলাদেশ, পাকী, আফগানীরা ইউরোপে গিয়ে নিজ সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করে, ওখানে থাকার অনুমতি পায়; ইউরোপিয়ানদের কাছে মানুষের মুল্য অপরিসীম; তারা যদি বাংলাদেশের সামান্য একটা মানুষের জন্য হাত বাড়ায়, তারা কি চাইবে যে, হামাস ইহুদীদেরকে পাথর মারুক, রকেট মারুক, গৃহহারা করুক? কখনো চাইবে না।

ফলে, ইউরোপিয়ানদের চাওয়াকে স্বয়ং ফিলিস্তিনীরাই নাকচ করে দিচ্ছে; সুরংগ করে কাউকে মারুক, বোমা মারুক, কোনটাই চায় না ইউরোপ, ইউরোপ চায় যে, পাশাপাশি ২টি জাতি শান্তিতে থাকুক; কিন্তু হামাস চায় ১টি জাতি থাকবে। এখানেই ইউরোপিয়ান বক্তব্য দুর্বল হয়ে গেছে; তবুও তারা ১৯৯৩ সালে 'ওসলো চুক্তি' করে দিয়েছে যাতে ফিলিস্তিন হতে পারে।

বৃটিশের ইসরায়েল সৃস্টির ব্যাপারটা আমি একটা উদারঃরণ দিয়ে বুঝাতে চেস্টা করবো, দেখি আপনাদের মগজে স্হান পায় কিনা। ১৯৪৭ সালে, ভারত যুদ্ধ করে বৃটিশ কলোনী দখল করেনি; কিন্তু ১৭৭৬ সালে আমেরিকা যুদ্ধ করে বৃটিশ কলোনী দখল করে স্বাধীন দেশ প্রতিস্ঠা করে। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ নিজের ভারতীয় কলোনীকে ২টি দেশে বিভক্ত করে, কলোনী থেকে স্বাধীনতা দেয়; সেখনে ভারতীয়দের চাওয়া পাওয়া বৃটিশ পার্লামেন্টের মতানুসরেই হয়েছে।

বৃটিশ কলোনীতে কোন জাতি রাজ্য শাসন বা সরকার গঠনের মতো অধিকার পেতো না; নাগরিকেরা নিজেদের পারিবারিক সম্পত্তির মালিকানা পেতো মাত্র। ১৯২০ সালে, বৃটিশ ভারতীয়দের হাতে ক্রমেই পার্লামেন্টারী ক্ষমতা দিচ্ছিল।

ফিলিস্তিন স্বাধীন দেশ ছিলো না, উহা ছিল অটোমান (ওসমানিয়া) সাম্রাজ্যের অংশ; বৃটিশ যুদ্ধ করে ইহা দখল করেছে, ফিলিস্তিনীদের থেকে নেয়নি; বৃটিশ কলোনীকে তারা স্বেচ্ছায় ২টি দেশে ভাগ করে, ইহুদীদের ও আরবদের দিতে গিয়েছিল; আরবরা নেয়নি, তারা পুরোটা চেয়েছিল।

****** আমার এক পাঠক আমাকে ভয়ংকর মুসলিম বিদ্বেষী বলেছেন, আমি উনাকে প্রশ্ন করেছি যে, কামাল পাশা কেমন মুসলমান ছিলেন; উনি এখনো উত্তর দেননি, দিলে এই পোস্টে দেবো। আমার ধারণা, আমি চেস্টা করছি, সঠিক এনালাইসিস করতে, যা মুসলামানদের সাহায্য করবে; হামাসের বা ইরানের অবস্হান মুসলমানদের ক্ষতি করছে।














মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যতদিন গাজার হামাস আর পূর্ব-তীরের আল-ফাত্তাহ'র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটবে ততদিন ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে না!

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

হামাস ও ফাতাহকে এক হতে হবে।

আস্ত্র ছাড়তে হবে।

মুসলিমদের শক্ত হতে হবে প্যালেস্টাইনীদের প্রতি, রকেট মেরে মানুষ মারা যাবে না; তা'হলে ইসরায়েলীরা তাদের ভয় পাবে না; পাশাপাশি থাকতে পারবে, সবার জন্য যায়গা আছে।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

মো কবির বলেছেন: অনেক ভাল বলেছেন.।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

৬৮ বছর পর, ইসরায়েলকে তুলতে পারবে না; মানুষের দিকে চেয়ে, অস্ত্র বাদ দিয়ে ফিলিস্তিন গড়ার দরকার।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০০

বীরেশ রায় বলেছেন: অধিকাংশ ইসলামিক মস্তিস্ক যত সহজে আইএস, আল-কায়দা, বোকো-হারাম কন্সেপ্ট গ্রহণ করবে, এই ধারনা তত সহজে গ্রহন করবে না বা মানতে চাবে না !!

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৬০ কোটী মুসলমানদের মাঝে যাদের রাজনৈতিক ধরণা নেই, যাদের মানসিক সমস্যা আছে, তারা সন্ত্রাসকে সমাধান হিসেবে নিচ্ছে; সমাধান হলো, শিক্ষা, টেকনোলোজী ।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহা! কামাল পাশা কেমন মুসলমান ছিলেন= এই প্রশ্নের উত্তর আমারও জানার ইচ্ছা! তবে বাংলাদেশের একটা রাস্তার নাম কিন্তু কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ! এই দিকে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক বা কামাল পাশা'র বীরত্ব নিয়ে কাজী নজরুল লিখেছিলেন-

"কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই
হো হো কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই"

গ্রাম বাংলার অনেক লোক যদি এখন কামাল পাশার ব্যাপারে জানতে পারে তাহলে রাস্তায় নেমে এসে ঐ সড়ক পরিবর্তনের দাবি তুলতে পারে।

এনিওয়ে, আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে।


২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:

৬ শত বছর রাজত্বের পর, অটোম্যনরা সময় মতো গণতান্ত্রিক হতে পারেনি, ও শিক্ষায় পেছনে পড়ে যাওয়ায়, তাদের পতন হচ্ছিল ;১ম বিশ্ব যুদ্ধে তাদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যেতো , এবং তুর্কীদের কোন দেশ থাকতো না। ভলকানে ও আনাতোলিয়ায় মিলে দেড় মিলয়ন মুসলিম প্রাণ হারায়েছিল; ভলকান ও আর্মেনিয়া থেকে রিফিউজি আসছিল ঢলের মতো, তাদের জন্য থাকার জায়গা, ও তুকীদের জন্য থাকার যায়গা রক্ষা করেছে কামাল পাশা। বাংগালীরা যখন নাম লিখতে পারতো না, তখন উনি শক্ত অটোম্যান জেনারেল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার কমেন্ট ক্ষমতা নেই এখন; আপনি একটু দেখুন, নিয়ম মেনে চলার চেস্টা করছি, ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

মারুফ ৪০২ বলেছেন: ভালো বলেছেন.....

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:

এটা একটা উদাহরণ যে, মুসলমানরা শিক্ষায়, সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে পেছনে পড়ে ভুল ধারণা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: হা হা হা কামাল পাশা =p~

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

কামাল সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে, তুর্কীদের রক্ষা করেছে।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

রাজীব৪৪ বলেছেন: আরো বিস্তারিতভাবে লিখলে লেখাটা চমৎকার হতো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

বিস্তারিত লিখতে সময়ের দরকার।
এসব ব্যাপারগুলো ব্লগারদের কাছে একেবারে নতুন নয়; তাই বড় করতে চাইনি।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০১

রাতুল রেজা বলেছেন: ফিলিস্তিনের অস্ত্র ছারতে হবে ক্যানো? ইসরায়েলের অস্ত্র থাকবে আর ফিলিস্তিনের অস্ত্র থাকবেন এটা তো সাম্যতা হবেনা। ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃ্তি না পেলেও যেহেতু তাদের ওঠানো যাচ্ছেনা সেহেতু ২ দেশই অস্ত্র নিয়ে সম অবস্থায় থাকতে পারে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


অস্ত্র সম্পর্কে হয়তো আপনার ধরণা নেই; যারা অস্ত্রের ব্যভার জানে না, তাদের হাতে অস্ত্র থাকলে তার মৃতয়ু হবেই; ফিলিস্তিনীরা ৩ জন মেরে ২৩০০ মরেছে, ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি হারায়েছে গতবার।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩২

মাসূদ রানা বলেছেন: @চাঁদগাজী ভায়া,
আপনি উপমহাদেশ আর অটোমানকে এক করে ফেলছেন ........ উপমহাদেশ ইংরেজদের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছিল । ফলশ্রুতিতে উপমহাদেশ ইংরেজদের কলোনীতে পরিনত হয় । কিন্তু আরবরা ইংরেজদের বশ্যতা স্বীকার করে নি ........ গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে । অনেকের সে বোধক্ষমতা নেই তাই তারা বোঝে না প্যালেস্টানিয়ানরা কেন এরকম করছে ..........

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




গেরিলা যুদ্ধ করেছিলেন ইয়াসীর আরাফাত ও জর্জ হাবাস; উনারা সফল হননি; একন যা হচ্ছে, উহা যুদ্ধের ডেফিনেশনে পড়ে না।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৫১

কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: আপনি ৫০ বিলয়ন সংখ্যায় লিখতে পারবেন তো?

এটা দিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন???

বড় মাপের বা ভাল লেখক মনে করছিলাম আপনাকে!!

এক বাক্যে বুঝিয়ে দিলেন!!


আগে নিজে মানুষকে সম্মান করতে শিখুন পরে অন্যদের কথা লিখুন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, ভুল হয়েছে।

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:২১

মাসূদ রানা বলেছেন: ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১৯ ০
লেখক বলেছেন:
গেরিলা যুদ্ধ করেছিলেন ইয়াসীর আরাফাত ও জর্জ হাবাস; উনারা সফল হননি; একন যা হচ্ছে, উহা যুদ্ধের ডেফিনেশনে পড়ে না।


War is a state of armed conflict between societies. সোর্স :: Wikipedia

ধন্যবাদ ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছছিলেন, তাঁদের থেকে কোন অফিসারকে প্রশ্ন করলে বুঝতে পারবেন যে, ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ করার মত কেহ নেই মিডল ইস্টে; পাথর মারা ও রকেট ছোঁড়া শুধু ফিলিস্তিনীদের জন্য মৃ্ত্যু ডেকে আনছে ও আনবে।

অশিক্ষত ফিলিস্তিনীরা নিজের মানুষের মৃত্যুকে জীবনের চেয়ে দাম দিচ্ছে বেশী, এটা সমস্যা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


৬ মিলিয়ন প্যালেস্টাইন দেশ পেলে তারা শুধু আরবদের টাকায় ইনফ্রাস্টাকসার দাঁড়া করায়ে, ৫ বছরে মাথপিছু আয় ৪/৫ হাজার ডলারে চলে যেতে পারবে; তাদের দরকার দেশ।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

মাসূদ রানা বলেছেন: হুম, আপনার কথাগুলো লজিকাল। কিন্তু আরব রক্ত তো ....... জান দিবে তবুও মান দিবে না ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মান হলো ভালো জীবন, ফিলিস্তিনীদের জন্য ভালো জীবন; আরবদের বুঝানোর জন্য কোন মুসলীম নেতা নেই; আরবেরা পশ্চিমের কেহকে বিশ্বাস করে না।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১৪

রামন বলেছেন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না, হবে না এই জন্য যে ইঙ্গ-মার্কিনিদের মদদ পুষ্ট যায়ানবাদী ইসরাইলিদের অভিধানে ফিলিস্তিনি বলতে কোন রাষ্ট্র নেই৷ আর ১৬০কোটির মুসলিম দেশগুলো যে ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছুই করতে পারবে না সেটা ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইলিদের মধ্যে ৬ দিন ব্যাপী সংক্ষিপ্ত যুদ্ধেই প্রমান হয়ে গেছে। প্যালেস্টাইনদের ভূমি উদ্ধার করা তো দুরের কথা যুদ্ধে মিশর সিরিয়া,জর্দান উল্টো তাদের ভূমি হাতছাড়া করেছে যা এখন পর্যন্ত পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি তারা। এখন ইরান,তুরস্কসহ হাতেগোনা যে কয়টি মুসলিম রাষ্ট্র আছে, মূলত তারা প্যালেস্টাইনকে নিয়ে শুধু রাজনীতি করছে।
পশ্চিমারা মুখে যতই বলুক তারা মনে প্রাণে কখনই চায়নি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক, আর সেটা চাইলে কোন অজুহাত ও প্ররোচনা ব্যতিরকে ১৯৬৭ সালের মানচিত্র নিয়েই ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করত৷ পাথর নিক্ষেপ করার বদলে যেভাবে নির্বিচারে হাজার হাজার শিশু নারীদের হত্যা করা হচ্ছে তার প্রতিক্রিয়ায় উ-আহা করা ছাড়া কোন পদক্ষেপ নেয়নি পশ্চিমারা জায়োনিস্টদের বিরুদ্ধে যেমন নেয়া হয়েছিল সাদ্দামের বেলায়। নিষেধ থাকা সত্বেও দখলদার বর্ণবাদী জায়ানিস্ট সরকার সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে বস্তি নির্মান করে রাজ্য সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে আর সেই দৃশ্য দেখেও ঘুমানোর ভান ধরে আছে তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বর্জাধারী পশ্চিমারা। নিজ মাতৃভূমি, বসতবাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে সুসজ্জিত বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর ট্যান্ক ও কামানের গোলার সামনে যারা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে তাদেরকেই 'সন্ত্রাসী' অভিহিত করে তিরস্কার করা হচ্ছে। এভাবেই হয়ত হত্যা আর বহিস্কারের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে রেড ইন্ডিয়ান জাতির ন্যায় ফিলিস্তিনি জাতিকে পৃথিবীর মাটি থেকে ধুয়ে মুছে ফেলা হবে৷

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফিলিস্তিনীরা যদি কোন ইহুদীকে না মারে, অস্ত্র ব্যবহার না করে, রকেট না ছোঁড়ে, পশ্চিম ইসরায়েলকে বাধ্য করতো ফিলিস্তিনের ভুমি থেকে সরে ১৯৬৭ সালের সীিমানায় চলে যেতে।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: ইসরাইলীরা ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের অস্থিত্ব অতীতেও মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না! এরা ইহুদী! ইহুদীরা কেমন তার পরিচয় হিটলার কিছুটা দিয়েছিল।

চাঁদগাজী! আমি যদি আপনার বাসায় গিয়ে আপনাকে বের করে দিয়ে বাসা দখল করে বসি! এমতাবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে সলিউশন দিল যে বাসা দুই ভাগ করে চাঁদগাজী আর আমাকে দেয়া হবে! অতএব, সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক না দিয়ে উল্টো আপনার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করতে লাগলাম!

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনার উদাহরণটা ঠিক আপেলের সংগে আপেলের তুলনা হয়নি।

কলোনীতে লোক বিভিন্ন দেশে যাবার সুযোগ ছিল; ভারত থেকে মানুষ গেছে গায়ানা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা, উগান্ডা, তিউনিশিয়ায়।

সেইদিক থেকে ইহুদীরাও প্যালেস্টাইনে আসছিল; প্যালেস্টাইন ছিল কলোনী ও রাজতন্ত্রের অংশ; ফলে, ঘর ছিল, মালিকানায় সমস্যা ছিল।

এখন ২ জাতিকে পাশাপাশি থাকতে হবে; ইসরায়েলের পাশে শক্তিশালী ফিলিস্তিন করাটা দরকার।

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৭

জেন রসি বলেছেন: এই সমস্যার সাথে আর্থসামাজিক অনেক প্রেক্ষাপট জড়িত। শুধুমাত্র একটি সমস্যাকে প্রধান কারন হিসেবে দেখানোটা ঠিক হবেনা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:

এখানে কমপক্ষ ২টি জাতীর সমস্যা, যা নিয়ে বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে; এই সমস্যাকে, ছোটাকারে বলতে হলে বলতে হয়, ফিলিস্তিনকে দেশ বানানোর জন্য ইসরায়েলী ও আমেরিকান নীতি মানতে হবে; তাতেও আরবদের লাভ হবে।

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

মহাকাল333 বলেছেন: ইউরোপিয়ানদের চাওয়াকে স্বয়ং ফিলিস্তিনীরাই নাকচ করে দিচ্ছে; সুরংগ করে কাউকে মারুক, বোমা মারুক, কোনটাই চায় না ইউরোপ, ইউরোপ চায় যে, পাশাপাশি ২টি জাতি শান্তিতে থাকুক; কিন্তু হামাস চায় ১টি জাতি থাকবে। এখানেই ইউরোপিয়ান বক্তব্য দুর্বল হয়ে গেছে; তবুও তারা ১৯৯৩ সালে 'ওসলো চুক্তি' করে দিয়েছে যাতে ফিলিস্তিন হতে পারে।" ভাই, দারুন বলেছেন। সহমত। কিছু সংগঠন যেমন আইএস, আল-কায়দা, বোকো-হারাম, হামাস, হিজবুল্লাহ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি বাদি কাজকর্মের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাধারন মুসলিমদের ইউরোপ,আমেরিকায় অনেক ভোগান্তির ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এশিয়ার আফ্রিকার কিছু লোক কয়েক শতাবদী থেকে অশিক্ষিত রয়ে গেছে, তার তাদের সন্ত্রাসী আচরণ দ্বারা মানুষের ক্ষতি করছে; এদের অনেকেরই পারিবারিক ধর্ম ইসলাম; এরা বাকী মুসলমানদের খারাপ পজিশনে নিয়ে যাচ্ছে।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: দুই জাতিরর পাশাপাশি বসবাস আপনি আমি মানলেও ইসরাইলীরা মানবেনা, মানছেনা। যদি মানতো তাহলে ইসরাইলী রাষ্ট্রের সীমানা প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হতো না!

হামাসের একটাই অপরাধ - হামাস যদি ইসরাইলীদের মতো নারী-শিশু, হাসপাতাল, স্কুলে আক্রমণ করেনি, তারা যদি গাজায় মুসলিম নারী-শিশু হত্যার বদলায় তেলআবিবের ইহুদী নারী-শিশুদের হত্যা করতো, তাহলেই ইহুদীদের একটা শিক্ষা হতো! তারা বুঝতে পারতো জোর যার মুল্লুক তার নীতি সবখানে চলে না!

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

ইসরায়েল পুরো আরবদের পরাজিত করেছে বার বার; এটা তাদের অহেতুক কনফিডেন্ট করে তুলেছে; আবার, আরবেরা প্রথম আক্রমণ করে, এবং পরাজিত হয়ে, বিশ্বের সহানুভুতি হারায়ে; ৬৮ বছরের কমপ্লেক্স অবস্হাকে মাথায় রেখে, ফিলিস্তিনীদের সব তয়াগ করে, স্বাধীনতার চেস্টা করা উচিত; এজন্য তাদের অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে।

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:২৯

মাসূদ রানা বলেছেন: কামাল পাশা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষন কি ?

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

তুর্কিরা ৬ শত বছর পশ্চিম এশিয়া ও পুর্ব ইউরোপ শাসনের পর, ক্রমেই পতনের দিকে যাচ্ছিল; কিন্তু ১ম বিশ্বযুদ্ধ তাদেরকে নিশ্চিন্ন করে দিচ্ছি; কামাল সেটা বুঝতে পেরে তুর্কি মুসলমানদের মাতৃভুমিকে রক্ষা করেছেন।

১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: হামাসের উচিত মৃত্যু অবদি অস্ত্র ত্যাগ না করা! আমৃত্যু যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া!
সর্বোপরি ইহুদী নারী-শিশুদের পাইকারীভাবে হিটলারের মত হত্যা প্রক্রিয়া শুরু করা। তবে স্বাধীনতা পায়ে এসে পড়বে! কারও দান-করুণা স্বাধীনতা নয়! একে গোলামী বলা হয়!

হামাস তোমায় স্যালুট জানায়
ইসরাইলের গোলামীত্ব গ্রহণ না করায়!

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


হামাস আরবদের দু:খ।

যুদ্ধ করতে হয় জয়ী হওয়ার আশায়, প্রতিশোধের আশায় নয়।

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

গরল বলেছেন: মানুষ কেন বুঝে না যে ফিলিস্তিন নামে কোনোদিন কোন দেশ বা জাতি ছিল না, ওখানে সবাই আরব অভিবাসী। তবে ইসরায়েলী গোষ্ঠী হাযার বছরের পুরাতন এবং তাদের গোড়পত্তন ঐ জাগাতেই হয়েছিল বলেই বৃটিশরা তাদেরকে ওখানে রাষ্ট্র গঠনের জন্য সহযোগীতা করেছিল। আরব অভিবাসীদের জন্যও যায়গা দিয়েছিল কিন্তু আরবরা তা প্রত্যাখান করেছিল পাশবর্তী আরব দেশ গুলোর ইন্ধনে। আবার যে কেউ নিজেকে ইসরায়েললি বলে দাবি করতে পারে না, তাদের একটা স্বতন্ত্র জেনেটিক বৈশিষ্ঠ আছে। এখন কেউ যদি ইসরায়েল এর নাগরিকত্ব চায় তাকে ডিএনএ টেস্ট করে মিল পাওয়া গেলে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় বা দিতে বাধ্য। একটা স্বতন্ত্র জাতি গোষ্ঠীর জন্য েকটা রাষ্ট্র থাকতেই পারে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:




এলাকার নাম অনুসারে, প্যালেস্টাইনের অধিবাসীরা প্যালেস্টাইনী নামে পরিচিত হয়েছিল; বৃটিশ স্বাধীন প্যালেস্টাইন দখল করেনি; আবার বৃটিশ ও আমেরিকা ইহুদীদের পক্ষে থাকায় ২ দেশ করতে চেয়েছিল ১৯৪৮ সালে; আরবদের ভুল বুদ্ধিতে প্যালেসটাইন হয়নি; অনেক রক্তপাত হয়েছে; এখন ফিলিস্টিনীরা অস্ত্র ব্যবহার না করলে দেশ পাবে।

২১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৫

মামুন আকন বলেছেন: লেখাটা ভাল হয়েছে,,তবে একটু অগোছালো !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.