নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেতাব-প্রাপ্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কি অবস্হা?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১০

মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা খেতাব পেয়েছেন, তাঁদের ৯৫% হলো বেংগল রেজিমেন্টের বা ইপিআর'এর সাধারণ সৈনিক; খেতাবের ক্ষেত্রে বেশ বড় রকমের বৈষম্য হয়েছে; যেমন, 'জেড-ফোর্সের' মেজর জিয়া ও ক্যা: ওলি আহমেদ খেতাব পেয়েছেন, আরো অনেক সৈনিক খেতাব পেয়েছেন; কিন্তু স্টুডেন্ট প্লাটুনের ৫ জন শহীদ হওয়ার পরও, একজনও খেতাব পাননি; এর পেছেনে ব্যাখ্যা হলো, খেতাব ইতয়াদির কথা ভাবা হয়েছিল বিজয়ের পর, যখন সেনা বাহিনী ক্যানটনমেন্টে ফিরে গেছেন; তখন সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অফিসারেরা মাথা ঘামায়নি, তারা নিজেদের সৈনিকদের নামগুলো সংযুক্ত করেছেন; তাঁদের দক্ষতা কম ছিল; সবার তথ্য নিয়ে সঠিকভাবে করতে পারেননি।

খেতাব পেয়েছেন, বা পাননি বড় কথা নয়; ১৯৭২ সালে, বেংগল রেজিমেন্টের বা ইপিআর সৈনিকদের পরিবারের অর্থনীতি ও শিক্ষার কি অবস্হা ছিল? পরিবার প্রধান যুদ্ধে শহীদ হওয়ার পর, পরিবারের অবস্হা কি হয়েছিল? সামান্য সরকারী সাহায্য কি ঐসব পরিবারের অবস্হার কোন পরিবর্তন ঘটায়েছিল? পিতাহারা সন্তানেরা কি লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন? এসব পরিবারের সন্তানেরা যাতে "শিক্ষা" পায়, সেই ধরণের কিছু করেছিলেন শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব? মোটেই না। আসলে, এসব পরিবারের বিধবা মাতারা সন্তানদের কিছু দেয়ার মতো অবস্হানে ছিলেন না; প্রায় পরিবারের সন্তানেরা শিক্ষা পাননি।

২২ হাজার শহীদ পরিবারগুলোর দায়িত্ব নেয়ার দরকার ছিল শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের; তাঁদের ২ জনের মাথায় হয়তো এই ধরণের কোন দায়িত্ববোধ কোন কালেই আসেনি; এটাই প্রমাণ করেছে যে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন ২ জনেই নিজেদের দায়িত্ব সঠিভাবে জানতেন না; যারা দায়িত্ব বুঝেন না, তারা কম বুদ্ধিমান; এজন্যই বাংলাদেশের শত্রুরা শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবকে অত সহজে সরায়ে দিতে পেরেছিলেন।

আমরা যদি দেখি, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিনের সবচেয়ে নিকটতম পরিবার কাহারা ছিল? এই ২২ হাজার পরিবারই উনাদের জন্য সবচেয়ে ঘনিস্ততম পরিবার ছিলেন। তাঁরা ২ জনে ভুল করে, এসব পরিবারের সাথে কোনদিন দেখাও করেননি; কিন্তু জিায়র পরিবার, সেক্রটারীদের পরিবার, ফজলুল কাদেরের পরিবার নিয়ে সময় কাটায়েছিলেন; ফলাফল আপনারা দেখেছেন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আরেকটু ব্যাখ্যা করেন

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

আজকে খেতাবপ্রাপ্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা দিন মুজুরের কাজ করছে, টং দোকানে চা বেছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হয়েছেন কেন?
কারণটা বলেছি। আর কি ব্যাখ্যা করবো?

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ওই দুজন তো বটেই আরো ম্যালা নেতারা কেউ তাদের দায়িত্ব বা কর্তব্য নিয়ে সঠিকভাবে ভাবেননি। ফলাফল!! দেখলুম আর দেখছি!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:

এই ২ জন ব্যতিত বাকীগুলো "নেতা" ছিলো না, ছিলো , "খেঁতা"।

এই ২২ হাজার শহীদ পরিবারের সন্তানদের শেখ সাহেব নিজের সন্তানদের সমান করে বড় করার দরকার ছিল।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কথা পেটের মধ্যে ঘুরপাক খায় বলতে পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

বলে ফেলেন, কথা ধরে রাখতে নেই।

আজকে আমরা যা দেখছি, তা কিছু পদক্ষেপের ফলাফল; আমাদেরকে এসব বুঝতে হবে।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: প্রথমেই আসি ভুল তথ্যের ব্যাপারে। আপনি বললেন ৯৫%!!??

সর্বমোট ৬৭৬ জন বীরত্বসূচক পদক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন। এর মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীর উত্তম ৬৮ জন, বীর বিক্রম ১৭৫ জন ও বীর প্রতীক ৪২৬ জন। এঁদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২৯১ জন, নৌবাহিনীর ২১ জন, বিমানবাহিনীর ২৩ জন, ইপিআর এর ১১ জন, পুলিশ বাহিনীর ৫ জন এবং গণবাহিনীর ২১৮ জন। আবার এদের সবাই যে সার্ভিং ছিলেন তাও কিন্তু না। এখন শতকরা হারটা বের করেন।

বলতে পারেন অনেককেই দেয়া হয়নি। কারন যাদের দেয়া হয়নি তারা কোনো সংগঠিত বাহিনীর লোক ছিলেন না। তাদের কমান্ডাররাও এসব খেতাব সম্পর্কে জানতেননা আর কিভাবে প্রসেস কিংবা রস্তাব পাঠাতে হয় জানতেননা। আর যুদ্ধ শেষ হবার পর অনেকেই নিজের বাড়ি চলে যাবার পর আর এসবের খোজ রাখার প্রয়োজন মন করেননি। যুদ্ধটা যেমন জীবনের তাগিদে ছিলো এরপর জীবিকার তাগিদে অন্যদিকে মন্দিতে হয়েছিলো যেটা সামরিক বাহিনীর লোকেদের করতে হয়নি।

এবার আসি শেখ মুজিব কিংবা তাজউদ্দীনের কথায়। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে হাজ্র সমস্যা থাকে। আর এখন যেমন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মাতামাতি হয়, তখন এমন ক্রেজ ছিলো নাকি জানিনা। আপনারা ভালো জানবেন। তখন সবাই যুদ্ধে গিয়েছিলো সময়ের প্রয়োজনে। সরকারও হয়তো মনে করেছে কিছু করা দরকার কিন্তু এতো এতো পরিবারকে সরকারীভাবে সাহায্য করা কতটা আর্থিক সামর্থ্যের ভেতর ছিলো সেটা প্রশ্ন করার মত। হাজার হাজার বীরাঙ্গনা ছিলো, যুদ্ধে ভেঙ্গে পরা অবকাঠামো ছিলো, সরকারের ছিলোনা কোনো রিজার্ভ। এরপরেও হয়তো উঠে দাঁড়ানো সম্ভব ছিলো, কিন্তু ৭৩ প্তহেকেই শুরু হ্য দলীয় পাতি নেতা কর্মী আর প্রভাবশালীদের অনাচার। শেখ মুজিব এগুলো নিয়ন্ত্রন করতে পারতেন হয়তো, উনার সেই সক্ষমতা ছিলো। কিন্তু উনি ছিলেন আবেগী নেতা, দুরদর্শী না। আর আবেগ দিয়ে কতটা দেশ চালানো সম্ভব কে জানে। আর এমন অনেক পরিস্থিতির কারনেই হয়তো উনার জনপ্রিয়তা কমে যায়। আর তাই উনার হত্যার পর বলার মত কোনো প্রতিবাদ হয়নি।

তবে এরপর যত সরকার আছে কেউই তো করেনি। উনাদের সময় তো তাও কিছু করার চেস্টা ছিলো, হয়তো আর্থিক সামর্থ্যে সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতেও কিন্তু মুক্তিযোধা আর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা ছিলো এবং আছে। যেটার সুফল যাদের পাওয়ার কথা তারা পায়না। এই কোটা টা হচ্ছে এখন সরকারী নিয়োগে অনিয়মের সবচেয়ে বড় খনি।

আবার অন্য কথা বলি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু আমরা তো এখন পর্যন্ত ভাতা তুলিনি, সরকারী চাকরী করলেও এই চাকরীটা তো কোটায় পাওয়া না। এমন অনেকেই আছে। আবার আমার পিয়ন যে, সেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় সুযোগ পাওয়া। আবার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেই যে বখে যেতে পারবেনা এমন কোনো কথা নাই। হয়তো অনেক চেস্টা করা হয়েছে, সাহায্যও পেয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু বুঝেনাই আর যে কারনে জীবনে দুর্ভোগে পরছে। এই দ্বায়িত্ব কিংবা দায় কিন্তু সরকার বা জাতির হবার কথা না। জাতি কিংবা দেশ নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে অনেকটাই করতে চেস্টা করেছে। আরো হয়তো করা উচিত ছিলো, কিন্তু একেবারে খাদ থেকে সবাইকে টেনে তুলবার দায় সরকার নিতে পারেনা।

আমার ভুল হইলে বইলেন।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার হিসেবে গণবাহিনী পেয়েছে ৩৩%।
গণ বাহিনীর মাঝেও যাঁরা পেয়েছেন, অনেকেই অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ; যাক এটা সমস্যা নয়; কারণ, তখন সঠিক তথ্য পাওয়া মুশকিল ছিল; সাধারণ মুক্ততিযোদ্ধাদের বাড়ী পাঠায়ে দেয়ার পর, সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কমান্ডিং অফিসারদের সাথে।

১ নং সেক্টর হলো সবচেয়ে বড় সেক্টর, ২১ হাজার লিস্টেড মানুষ অস্ত্র পেয়েছিলেন, ট্রেনিং পেয়েছিলেন; নিয়মিত সৈনিকদের বাহিরে ২ জন খেতাব পেয়েছিলেন: একজন অনসরপ্রাপ্ত হাবিলদার, অন্যজন আনসার। হয়তো আরো অনেকে পেয়েছিলেন, আমি জানি না।

এবার আপনার ও কোটী লোকের স্টাইটমেন্ট, "একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে হাজ্র সমস্যা থাকে। "

-বাংলাদেশ সরকার ১৬ই ডিসেম্বর যেই দেশ পেয়েছিলেন, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের দিক থেকে উহা "একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ" ছিল না, ছিল দরিদ্র দেশ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


" হাজার হাজার বীরাঙ্গনা ছিলো, যুদ্ধে ভেঙ্গে পরা অবকাঠামো ছিলো, সরকারের ছিলোনা কোনো রিজার্ভ। "

-মোটামুটি, হাতে গোণা কয়েকজন নির্যাতীত মহিলার নাম গিয়েছিল সরকারের কাছে। তাদের ভার দিয়েছিলো শেখ সাহেব সাজেদা চৌধুরীর হাতে; সাজেদা চৌধুরী বেকুব চোর ছিল।

৩ মাসের ভেতর সরকার "প্রিন্টেড" টাকা পায়, যা সরকার ব্যবহার করতে পেরেছিল।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একই কারনে বোধহয় সর্বোচ্চ খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ সেনার বাইরে নয়!!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

খেতাব কিসের ভিত্তটে দেয়া হয়েছে, সেসব নিয়ম কানুন আমি জানি না; টবে, যুদ্ধের পর, সেনাবাহিনীর সাথে তাদের সাধারণ মানুষ থেকে হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আর সম্পর্ক না থাকায়, অনেক কইছু সঠিকভাবে হয়নি।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ঠিক কোন অর্থে ছিলোনা? দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো সহ শিল্প কারখানা এবং অন্যান্য অনেক কিছুর কম ক্ষতিও হয়নাই। এই অংশ এমনি দরিদ্র ছিলো, এর উপর এইসব কিছুর ধকল সামলানোর চাপ, আরো কত সমস্যা, যুদ্ধবিধ্বস্ত যদি নাও হয় সমস্যার কিন্তু কমতি ছিলনা। এমন অবস্থায় প্রসাশন ভেঙ্গে পরে।

সামরিক বাহিনীর লোকেরা খেতাব বেশি পেয়েছে তার মানে এই না যে অবিচার করে নেয়া সবকিছু। অন্যরা পায়নি তাদের নিজেদের এবং কমান্ডারদের অজ্ঞতার কারনে। যেটা সামরিক বাহিনীর লোকেরা জানতো। ওই সময় এই খেতাবের ব্যাপারটা এতো বেশি বড় ইস্যুও ছিলনা। খেতাবের জন্য নাম পাঠানোর জন্য দুইবার প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। পরেরবার সাড়া পরে কারন তখন আর্থিক সুবিধার কথা ঘোষনা করা হয়।

লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের প্রতি অবহেলা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু হওয়ার খবর জানার পরেও যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে সেখানেই সরকারের ব্য্রর্থতা।

প্রিন্টেড টাকা পায় কিন্তু সেটার পরিমান কি বিশাল বড় কিছু ছিলো? একটা দেশের মুদ্রা ছাপার ক্ষমতা অনেককিছুর উপর নির্ভর করে। ইচ্ছামত মুদ্রা ছাপানো হলে মুদ্রার মান কমে যায়। এইজন্য জিম্বাবুইতে বিলিয়ন ডলারের নোটও দেখবেন। আমার জানামতে বেশ কিছু দেশের আর্থিক সাহায্যের পরেও অর্থ সংকট প্রকট ছিলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



" প্রিন্টেড টাকা পায় কিন্তু সেটার পরিমান কি বিশাল বড় কিছু ছিলো? একটা দেশের মুদ্রা ছাপার ক্ষমতা অনেককিছুর উপর নির্ভর করে। ইচ্ছামত মুদ্রা ছাপানো হলে মুদ্রার মান কমে যায়। "

-যাক বই পড়েছেন কমপক্ষে, সেটা ভালো।
জিম্বাবের মত বা আমেরিকার মতো অবস্হা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ঘটেনি; ভারত ও ফ্রান্স মিলে, ১৯৭১ সালে পুর্ব পাকিস্তান সরকারের সেন্ত্রাল ব্যাংকে থাকা অংকের সম পরিমাণ টাকা ছাপায়ে দেয়; যা সরকার ব্যব হার করার ফলে কোন ধরণের বিরূপ প্রক্রিয়া হয়নি। আইএমএফ বা কেহ আমাদে টাকার মান নিয়ে প্রশ্ন করেনি। এগুলো ২০/২৫ পাতা আলোচনার বিষয়; সংক্ষেপে এটুকু বুঝে নেন যে, সরকার বেতন দিতে পেরেছে, সরকারী খরচ চালাতে পেরেছে; বাজেটের টাকা ছিল।

আন্তর্জাতিক সাহায্য ছিল ডলার পাউন্ডে।

সমস্যা হয়েছিলো, সরকার মনে করেছিল যে, এত মানুষের মৃত্যু, গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে যাওয়া মানে সরকারের ক্ষতি; যেহেতু মানুষের জন্য ও পরিবাররদের ক্ষতির জন্য কোন ক্ষতি পুরণ দেয়া হয়নি, এবং সরকারী কর্মচারীদের মৃত্যু হয়নি, সরকার কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পরিবার পর্যায়ে।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

"রিন্টেড টাকা পায় কিন্তু সেটার পরিমান কি বিশাল বড় কিছু ছিলো? একটা দেশের মুদ্রা ছাপার ক্ষমতা অনেককিছুর উপর নির্ভর করে। ইচ্ছামত মুদ্রা ছাপানো হলে মুদ্রার মান কমে যায়। "

-যাক বই পড়েছেন কমপক্ষে, সেটা ভালো।
জিম্বাবের মত বা আমেরিকার মতো অবস্হা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ঘটেনি; ভারত ও ফ্রান্স মিলে, ১৯৭১ সালে পুর্ব পাকিস্তান সরকারের সেন্ত্রাল ব্যাংকে থাকা অংকের সম পরিমাণ টাকা ছাপায়ে দেয়; যা সরকার ব্যব হার করার ফলে কোন ধরণের বিরূপ প্রক্রিয়া হয়নি। আইএমএফ বা কেহ আমাদে টাকার মান নিয়ে প্রশ্ন করেনি। এগুলো ২০/২৫ পাতা আলোচনার বিষয়; সংক্ষেপে এটুকু বুঝে নেন যে, সরকার বেতন দিতে পেরেছে, সরকারী খরচ চালাতে পেরেছে; বাজেটের টাকা ছিল।

আন্তর্জাতিক সাহায্য ছিল ডলার পাউন্ডে।

সমস্যা ছিল সরকার মনে করেছিল যে, এত মানুষের মৃত্যু, গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে যাওয়া মানে সরকারের ক্ষতি; যেহেতু মানুষের জন্য ও পরিভারদের ক্ষতির জন্য কোন ক্ষতি পুরণ দেয়া হয়নি, এবং সরকারী কর্মচারীদের মৃত্যু হয়নি, সরকার কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: প্রথম বাজেটের কিছু বিষেষ দিক ছিলো। খুব সম্ভবত ওই বাজেটের একটা বড়ো অংশ উদবৃত্ত ছিলো। আবার এখন যেমন বাজেটে বৈদেশিক নিরভরশীলতা খুবই কম, সেই বাজেটের ৬০ ভাগের মত মনে হয় বৈদেশিক সাহায্য ছিলো। বাজেটের বেশিরভাগই ছিলো উন্নয়ন বাজেট, দেশের ভেঙ্গে পরা অবকাঠামো আগের পর্যায়ে আনতে অনেক খরচ হয়, নতুন উন্নতির সুযোগ খুব বেশি ছিলনা।

তবে আপনি প্রধানতদোষ দিচ্ছেন মুজিব র তাজউদ্দীননকে। মানলাম উনাদের জন্যই মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের এই অবস্থা। উনাদের যা করার তা উনারা করেননাই। তাইলে তো বলতে হয় উনারা অযোগ্য ছিলেন। তাইলে ৭৫ কিংবা এমন সময়ে কেউ যদি উনাদের না মাইরাও এমনি এমনি ক্ষমতা থাইকা উচ্ছেদ করতো, ওইটাই তো ঠিক হইতো, তাইনা?

আর পিতার এই পর্যায়ে ব্যর্থতা দেখাইছেন, আপনি তার কন্যার উপর এতো ভরসা করেন কিভাবে?

অঃটঃ হ্যা, কিছু তো পড়িই। চেস্টা করি। আপনিও আবার অ আ ক খ থেকে শুরু কইরেন। আপনার বানান আর বাক্য তৈরীকরনে বিশাল সমস্যা আছে, যা আমার মত অতি নিম্নমানের ব্লগারের চোখেও ধরা পরে। নিজের স্ট্যান্ডার্ডটাও একটু জাতের কইরেন আরকি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বুঝেন না; রাস্ট্র যখন কোনকিছু করতে চায়, নগদ টাকা হাতে থাকটে হয় না; যেমন ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার পদ্মাসেতু নিজে করতে পারবে ও করবে বলে পোস্ট দিয়েছিলাম ডজন খানেক।

ফাইন্যান্স এর ব্যাপারে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের ভাবনা, আপনার সম পর্যায়ের ছিল; উনারা বলতেন, " পাকিস্তান আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে, আমাদের কইছুই নেই"।

আসলে, সবই ছিল, উনাদের ভাবনা শক্তির অভাব ছিলো।
প্রসংগক্রমে, উনারা ২ জনই আমার নেতা; আর ২ জন নেতা ছিলেন, শেরে বাংলা ও মওলানা

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরিসংখ্যানের ব্যাপারটা যাই হোক । সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আসলে কষ্টই লাগে । উনারা জীবনবাজি রেখে কিংবা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেও প্রাপ্য সম্মান পাননি (এখনো ভিক্ষে করা, চা বিক্রি করা মুক্তিযোদ্ধাকে পাওয়া যায়)। সব খেতাব সামরিক বাহিনীর দখলে । শতদ্রু একটি নদীর সাথে অনেকাংশেই একমত । আর যা বলতে পারতাম, তা হলোঃ বঙ্গবন্ধুর সরকার চোর-দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেননি । বেশি আবেগপ্রবণ ছিলেন বলে ভবিষ্যৎ দেখতে পারেননি ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেখ সাহেব দরকারী পদক্ষেপ নিটে পারেননি; তাতে উনাকে সরায়ে দেয়া সহজ হয়েছিলো; উনি পরাজিত হওয়ার পর, সবকিছু দুস্টরা দখল করে নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.