নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ফেল করেছে, মন্ত্রী নাহিদ তাদের জন্য কি ব্যবস্হা নিয়েছেন?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

মন্ত্রী নাহিদ এইএসসি রেজাল্ট প্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সন্মেলন করেছেন; সাংবাদিকদের মাঝে একজনও উনাকে প্রশ্ন করেননি যে, যারা ফেল করেছে, তাদের জন্য কি তিনি ব্যবস্হা নিয়েছেন? প্ররশ্নটা করলে, গবুচন্দ্র ভ্যাবাচেকা খেয়ে যেতেন; কোন শব্দ বের হতো না উনার মুখ থেকে; ফেল করাদের জন্য কি ব্যবস্হা?

রেজাল্ট বের হওয়ার ১২ ঘন্টার মাঝে সরকারী একজন 'কাউনসেলর' ফেল করা ছেলেমেয়েদের সাথে কথা বলার ব্যবস্হা করার দরকার ছিল।

এইচএসসি'তে ৩০% ফেল করলে বুঝতে হবে যে, উনার মিনিস্ট্রিতে লালবাতি জ্বলছে।

৩ লাখ ৩০ হাজার ছেলেমেয়ে ফেল করেছে; এরা মাত্র ২ বছর আগে এসএসসি পাশ করেছে; যারা এসএসসি পাশ করেছে, তারা কি করে এইএসসি ফেল করে? ঠিক আছে, ফেল তো করেই ফেলেছে, এখন কি করতে হবে, উনার কোন দায়িত্ব আছে? নাকি সব দায়িত্ব ফেল-করা ছেলেমেয়েদের ও তাদের পরিবারের?

যারা ফেল করেছে, তারা এই ফেলের দায়িত্ব নেয়ার মতো দক্ষ কিনা? তারা যদি ফেল করার দা্যিত্ব নেয়ার মতো হতো, কোনভাবেই ফেল করতো না। যারা ফেল করেছে, তাদের খবর নিয়ে দেখেন, এদের পরিবারও খুব একটা সাপোর্ট করার মত পজিশনে নেই; একটা অংশের বাবা বিদেশে।

নাহিদ উনার দায়িত্ব শেষ করেছেন, 'রাজনৈতিক' সমস্যার উপর দোষ চেপে দিয়ে; উনি ৩ লাখ ৩০ হাজারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়া ও ফখরুলকে দায়ী করে মামলা করছেন না কেন?

নাহিদ অবশ্যই শেখ হাসিনার সরকারের শ্রেস্ঠমনত্রী; কিন্তু বাংলাদেশের প্রয়োজনের তুলনায় আগাছা ছাড়া কিছুই নয়।

দোষ খালেদা জিয়ার আছে, সন্দেহ নেই; কিন্তু সেটা হলো শেষ ৩ মাস, যখন ক্লাশে যাবার দরকার হয়নি; বাকী ১ বছর ৯ মাস তো পেয়েছে পড়ার জন্য, ওটা হিসেবে নিলে কারো ফেল করার কথা নয়।

নাহিদের মাথায় আসল সমস্যা ধরা পড়েনি, আসল সমস্যা হলো শিক্ষকেরা পড়ায় না; বেশীরভাগ ছেলেমেয়ে 'পরীক্ষের আগে পড়ে' পাশ করার নীতি নিয়ে কলেজ জীবনের আনন্দে মেতে থাকে। ইহা যদি নাহিদের মাথায় ঢুকতো, নাহিদ নিজেই মানুষ হয়ে যেতো, তিনি ব্যবস্হা নিতে পারতেন, বাচ্ছারা পাশ করতো।

আধুনিক টেজনোলোজী ব্যব হার করে, শিক্ষদের ও ছাত্রদের কার্যকলাপ প্রতিদিন ট্রেকিং করা সম্ভব। শিক্ষকেরা সঠিভাবে পড়াচ্ছে না; কারণ, তাদের দক্ষতার অভাব ও আয়ের অভাব; এটা সমাধান যোগ্য। বাচ্ছারা স্কুল থেকে কলেজে আসার পর, তাদের জীবনে একটা পরিবর্তন আসে, সেটাকে মিলায়ে তাদের পড়ালেখা ঠিক রাখার জন্য 'এডুকেশন কাউনসেলর' দরকার।

যারা ফেল করেছে, তাদের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব; পহেলা পদক্ষেপ হলো, এদের সবাই যেন আগামী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, এবং যেসব সাবজেক্টে সমস্যা আছে, সেগুলোতে সরকারীভাবে টিউটোরিং করার ব্যবস্হা করা নাহিদের দায়িত্ব; আরো অনেক কিছু করা সম্ভব; যেহেতু নাহিদ কোনটাই করবে না, অযথা বকবক করতে চাই না।












মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

তপ্ত সীসা বলেছেন: আগে তো ভায়া সবই ফেল করতো। তখন অগো দায়িত্ব কে লইতো? ওরে আগে কন পাসের হার কমাইতে। এত্ত পাস করা পুলাপান ধারনক্ষমতা বাংলার নাই মাম্মা

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

মগজ ঠিক মতো ব্যবহার করেন; আপনার কথায় বেকুবী আছে; আমাদের দরকার প্রতিটি নাগরিককে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়া; ১০০% যেন পাশ করে; কোয়ালিটি এডুকেশন ছাড়া বাংলার নতুন জেনারেশনের জন্য অন্য কোন সুযোগ নেই।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

তপ্ত সীসা বলেছেন: বেকুবই ভালো মাম্মা, বেধি শিক্কিত হইলে নিলাদ্রি মানসিকতা গজাইতে পারে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:

৪০% শিক্ষিত হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে; ৮০% বা তার বেশী শিক্ষিত হয়ে গেলে মানুষের মাঝে শান্তি আসতো।
১৯৭২ সালে ১০০% ভাগ শিশুকে স্কুলে পাঠানোর ক্ষমতা ছিল জাতির; শুধু শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের মাথায় মগজ ছিল না।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: অপ্রাসংগিক কমেন্ট:

আজকাল হিজড়া ও আমাদের জাতির মত মেয়েদের কে কম মূল্যায়ন করছে। ছেলে প্রসব হলে ১০০০ টাকা দাবী আর মেয়ে প্রসব হলে ৫০০ টাকা দাবী

Sexist attitude

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

জাতির সমস্যা নিয়ে মানুষ লিখছেন; সরকারের দরকার ছিলো এ সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু লোককে নিয়োগ দেয়া, সমাধান খোঁজা

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২৫

প্রামানিক বলেছেন: যারা ফেল করেছে তাদের জন্য খুব কষ্ট লাগছে। কমপক্ষে এক বছর পিছিয়ে পড়ল।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন ব্যবস্হা না নেয়াতে, ১ বছর পর, ৩ লাখ ৩০ হাজারের সবাই পরীক্ষা দিতে পারবে না; সংখ্যটা কমে আসবে।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আঙ্কেল, আমাদের সময় ৩৩% পাশ করছিলো!!

আমার মতে এসএসসি আর এইচএসসি ও সেমিস্টার ভিত্তিক হতে পারে একেবারে একটাই মাত্র ফাইনাল পরীক্ষা না নিয়ে। ভুল শোধরাবার কোন সুযোগ থাকেনা। ভাগ্য, প্রস্তুতি, স্বাস্থ্য কিংবা অন্য কিছু একটা খারাপ হলেই একটায় ফেল করা কোনো ব্যাপার না।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩৩% পাশ করার পেছনেও কারণ ছিলো; সে সময় বাংগালীদের মাঝে দক্ষ লোক কম ছিলেন; আজ মানুষ আছেন, ষম্পদ আছে।

পরীক্ষা নেয়ার হাজার পদ্ধতি আছে আজ পৃথিবীতে; বিশ্বের সবাই ১২ ক্লাশ একত্রে পড়াচ্ছে, সেটাও করা সম্ভব।
এমন কি যাদের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পৃথকভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব।

২০১৫ সালে, বাংগালীরা বিশ্বের সাথে চলতে গিয়ে ১০০ জনের মাঝে ৩০ জনকে দুর্বল করে গড়ার জন্য জাতিকে দারিদ্রতায় ভুগতে হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরীক্ষার সময় অসুস্হতা, একসিডেন্টের শিকার সবার পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে নেয়া কিছুই না; শুধু উন্নত ভাবনার দরকার।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শিক্ষকেরা সঠিভাবে পড়াচ্ছে না; কারণ, তাদের দক্ষতার অভাব, ঠিক।। কিন্তু আয়ের অভাবটা মানতে পারলাম না।। কারনটা অবশ্যই জানেন বলে র উল্লেখ করলাম না।।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

টিউশনী করে কোটীপতি হয়েছেন, লাখপতি হচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষক; এটা জাতির উপর বিরূপ অবদান রাখছে; শিক্ষকদের দরকারী দক্ষতা গড়ে তোলার জন্য ট্রেনিং দরকার; বেতন এমন হওয়া দরকার যেন, টিউশনি করতে হয় না; শিক্ষকদের ছেলেমেয়েরা যেন পড়ালেখার সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্হার দরকার।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বেতন যতই বাড়ান না কেন ভাই,টাকার লোভ বড়।। এই চোরাবালি থেকে এদের তুলে আনা অসম্ভব।। একটি বইয়ের কথা বলছি,অনেক আগের পড়া।। মনোজ বসুর "মানুষ গড়ার কারিগর"।। সেই বস্তবতার কঙ্কালরা আজো আছে।।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা জাতির জন্য চ্যালেন্জ

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ওরা আবার পরীক্ষা দেবে। ব্যবস্থা এটাই।

শিক্ষকরাও এখন দূনীর্তিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। প্রাইভেট এর জন্য ক্লাশে ঠিকমতো পড়াচ্ছে না। আর প্রাইভেটা বা কোচিং হচ্ছে মানহীন।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

শিক্ষক হিসেবে যারা বেতন পাবেন, তাঁরা প্রাইভেট টিউটোরিং করতে পারবেন না; উনাদের বেতন বেশী হতে হবে।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বেতন বেশি হলেও টিউটোরিং করবে। কারণ মানুষের চাহিদা অসীম।

বেতন বেশি হলে আরো বেশি টাকা কামানোর জন্য টিউটোরিং চালিয়ে যাবে। শিক্ষকদের মধ্যে সততা ও আদর্শ নেই। আগে আদর্শবান শিক্ষক তৈরী করতে হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষক পেশা স্পেশাল; এখানে নেয়ার সময় স্পেশালদের নিতে হবে।
৪/৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে শিক্ষকের চাকুরী দিলে সেটা কি জাতি থাকে?

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: আর যাই হোক, প্রয়োজনে লিখে পাস করিয়ে দেয়ার যন্ত্রনা থেকে হয়তোবা শিক্ষক সমাজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

শিক্ষা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশে হাজার হাজার লেখা প্রকাশ হয়, প্রতিটিতে একটা ভুল, তারা শিক্ষাকে সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখে; শিক্ষা বিশালভাবে আলাদা বিষয়।

যারা কম পড়া লেখা করেছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা ভালো করেছ।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

নিশাত সুলতানা বলেছেন: পাশ ফেল সরকারের ইচ্ছা । আগের বার গুলোতে শিক্ষকদের বলে দেয়া হয়েছে , ''কাগজ ঠিক মত কাটবেন ,সরকারের যেন বদনাম না হয় ।
পত্রিকায় দেখেছি , কম নম্বর দেয়ায় ফল প্রকাশের পর কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে,রাজাকার , বি এন পি বলে একশনও নেয়া হয়েছে ।

মনে হয় এবার শিক্ষকদের উলটোটা বলা হয়েছিল ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সময় সবই সম্ভব।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

কারণ গুলো বুঝার চেস্টা করেন।

১২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৯

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: ভাই আপনার কি বুঝতে পারছেন- ভবিষ্যত প্রজন্ম কে অন্ধ করার পায়তারা চলছে। দেশের পড়ালেখার মান এর যা অবস্থা ..আগামী তে ডিগ্রি পাশ কইরা রিক্সা চালাইতে হবে। প্রাইমারী স্কুল এর শিক্ষক এর চাকুরী পাইতে হলে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়! চিন্তা করেন যে আহম্মক দেড় -দুই লাখ দিয়ে স্কুল শিক্ষক এর চাকুরী নিবে সে কত বড় জ্ঞানী হবে আর সে ছোট ছোট বাচ্চাদের কি শিক্ষা দিবে। পুরাই অন্ধাকার আর অন্ধকার

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঘুষ দিয়ে শিক্ষক যারা হচ্ছে, তারা পড়াবে না কোনদিন।

১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৬

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: আর আমাদের সরকার বাহাদুর সেই সব আহম্মক দের হাতে কোমলমতি শিশুদের ভাগ্য ছেড়ে দিচ্ছেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার ১৯৭২ সাল থেকে চেস্টা করছে, যাতে গরীবদের ছেলেমেয়েরা পড়টে না পারে; তারা যেন বাসার চাকর হয়, গরুর রাখাল হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.