নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেজর জিয়া সম্পর্কে মেজর রফিক যদি কিছু বলতেন, ভালো হতো

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

বাংলাদেশের ৪৪ বছরের জীবন দুই ভাগে বিভক্ত, ১৯৭২ সাল থেকে শেখ সাহেবের মৃত্যু অবধি বাংলাদেশ চলছিল শেখ সাহেবের মতানুসারে, ছয়দফা (হয়তো) ও বাকশালের তত্বানুসারে; ১৯৭৬ সাল থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ চলছে জিয়ার ভাবনাকে অনুসরণ করে; এখন শেখ হাসিনাও জিয়ার পথ ধরে চলেছেন; শেখ হাসিনা কিন্তু উনার বাবার শেষ ভাবনা, 'বাকশালে' ফেরত যাননি, বাবাকে অনুসরণ করছেন না, তিনি জিয়ার রেখে যাওয়া পথেই চলছেন আজ অবধি।

জিয়া সম্পর্কে কোন বই কেহ লিখেছেন কিনা জানি না; লিখলে ভালো, অবশ্যই ভুলের ফসল হবে নিশ্চয়। জিয়া কি ছিলেন, কি করতে চেয়েছিলেন, জিয়া কাউকে বলেননি; 'জিয়ার আদর্শ' বলে যা উচ্চারণ করা হয়, উহা মানুষের আবিস্কার, জিয়া সেই রকম কোন কিছুর কথা বলেননি; উনি বিএনপি গঠনের সময় ১৯টি দফানুসারে বিএনপি কাজ করার কথা লিফলেটে যোগ করেছিলেন; সেগুলো লিখেছিল ডিজিএফআই, কিছু মিলিটারী অফিসার ও উনার পায়ের নীচে জমা হওয়া ভাঁড়েরা।

১৯৭১ সালের ২৭ শে মার্চ মানুষ জিয়ার গলায় স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ শুনেছিলেন; এরপর উনি যুদ্ধে ছিলেন ১৬ই ডিসেম্বর অবধি; তিনি সামান্য সময়ের জন্য ১ নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন; কিন্তু বেশীরভাগ সময় ফ্রন্টে থাকায়, সৈনিকেরা ব্যতিত অন্য মানুষ উনাকে দেখেননি। মেজর রফিক ১ নং সেক্টরের কমান্ডার হওয়ার পর, মেজর রফিককে কমপক্ষে ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা দেখেছেন ত্রিপুরার হরিণায়; কিন্তু এই ২২ হাজারও মেজর জিয়াকে দেখেননি; যদিও তিনি বেশ কয়েকবার হরিণায় যাওয়া আসা করেছেন। হরিণা থেকে ৩০/৩৫ মাইল দুরে, 'পংবাড়ীতে' ছিল মেজর জিয়ার 'জেড ফোর্সের' হেড কোয়ার্টার। যুদ্ধ চলাকালীন মেজর জিয়া ওখানে খুবই কম গিয়েছেন।

চাঁদগাজী যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, মেজর জিয়া একাধারে কয়েকদিন পংবাড়ীতে ছিলেন; তখন সৈনিকেরা উনাকে কাছের থেকে দেখেছেন, কিছুটা জেনেছেন!

মেজর জিয়াকে যাঁরা ঘনিস্টভাবে জানতেন, তাঁদের অনেকই আজ নেই, মেজর শওকত, ক্যা: মাহফুজ, ক্যা: শামসু, ক্যা: হামিদ এঁরা নেই; জীবিতদের মাঝে আছেন, মেজর রফিক, ক্যা: ভুঁইয়া, ক্যা: ওলি, ক্যা: এনাম, লে: খালিদ; এঁদের মাঝে ক্যা: ওলি বিশ্বাসযোগ্য লোক নন; লে: খালিদ খুবই ইমোশানেল ছিলেন; ক্যা: ভুঁইয়ার মানসিক রোগ দেখা দিয়েছিল যুদ্ধের ভেতর। বাকী রলো মেজর রফিক ও ক্যা: এনাম; ক্যা: এনাম মুখ খোলার লোক নন।

মেজের রফিক আও্য়ামী রাজনীতি করেন; রাজনীতিবিদ হিসেবে উনি মেজর জিয়ার সম্পর্কে কিছু বললে মানুষ হয়তো সঠিক কিছু জানতে পারতেন। নিশ্চয় খালেদা জিয়া, ডা: বদরুদ্দোজা, সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, নাসিম, বা দিপুমনি মেজর জিয়াকে জানা, বা চেনার কথা নয়।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি কোন সেক্টরের যোদ্ধা ছিলেন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

বলতে চাচ্ছি না।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: জিয়া কিছুটা ইনট্রোভার্ট ছিলেন। রাশভারী ভাব নিতে দেখেছি যখন তিনি ডেপুটি চীফ ছিলেন। দীপুমনির নাম শুনলাম কবে? যখন তিনি পররাস্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভ্রমনে প্রায়বিশ্বরেকর্ড গড়লেন!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি জিয়াকে সামনাসামনি দেখিনি, বিরাট হতাশা!

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

ক্যাকটাস বলেছেন: ২ টি আদ্বর্শের কোনটা কি বাস্তবায়িত হচ্ছে???

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিয়ার অনাদর্শ এখন চালু আছে। বাংগালীদের ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুকে উনি কোন মুল্যই দেননি।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

চলন বিল বলেছেন: চাঁদগাযী কোন মুক্তিযোদ্ধা না, ও হচ্ছে রামছাগল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাম ছাগলেরা দেশ এনেছে, ধুর্তগুলো ব্যবসা বাণিজ্য, সম্পদ দখল করেছে।

ইপিআর'রা কোনভাবে নাম লিখতে পারতন, বেংগল রেজিমেন্টেরও একই অবস্হা ছিল; পড়ালেখা ও বুদ্ধির দিক থেকে রাম ছাগলের কাছাকাছি।

বুদ্দিমান ছিল ডা: বদরুদ্দোজা, ড: এমাজউদ্দিন, নোমান, মোল্লা শফিরা।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

প্রামানিক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, কাদের সিদ্দিকী যুদ্ধের সময় কিছু দিন মেজর জিয়ার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেছিলেন সে সম্পর্কে একটু লেখেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:

এ সম্পর্কে আমি আজ প্রথম শুনলাম; মেজর যখন ১ নং সেক্টরে ছিলেন চট্টগ্রম-নোয়াখালীতে, টানাগগাইলের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ ছিল বলে আমার মনে হয় না; হলে, ওয়ারলেসে হয়েছে, আমি জানি না।

যুদ্ধের শেষদিকে মেজর যখন ১১ নং সেক্টরে ছিল, তখন যদি যোগাযোগ হয়ে থাকে, তাও আমার জানার বাহিরে; আমি নিজেই কাদের সিদ্দিকীর নাম শুনেছি যুদ্ধের পর।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাচ্ছা, চলনবিল নামের পাগলটা কোথা থেকে অাসে? একে বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়ে দেয়া যায় না? কিছু বোঝেনা, অান্দাজে মন্তব্য করে! অশিক্ষিত গোঁয়ার! এসব লেখা বোঝার মত জ্ঞান এর কি আছে? এর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা দরকার!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি খালেদা জিয়ার ৩য় ছেলে; উনাকে সহজে কিছু করা যাবে না।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

প্রামানিক বলেছেন: কাদের সিদ্দিকী খান সেনাদের সাথে যুদ্ধে আহত হয়ে বাপসহ ভারতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে মেজর জিয়ার সাথে দেখা করে এবং মেজর জিয়া তাকে খুব সহযোগীতা করেছিল। কাদের সিদ্দিকীর নিজের লেখা বইয়ে বিস্তরিত উল্লেখ আছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




যথাসম্ভব, মেজর যখন ১১ নং সেক্টরে চলে গেছেন, তখনকার ঘটনা; আমি আপনার কাছেই শুনলাম।

আমি কারো লেখা বই পড়িনি; ফলে, মুক্তিযু্দ্ধ সম্পর্কে ১নং সেক্টরের বাহিরে আমার ধারণা নাই বললেই চলে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




একবার এক লেখক, যিনি যুদ্ধ করেননি, মুক্তিযুদ্ধের উপর উনার লেখা ২ খন্ড বই আমাকে দেন; আমি মুল্যের চেয়ে বেশী টাকা দিয়েছিলাম উনাকে; তারপর, সেক্রেটারিয়েটের একটা গার্ভেজে বই ২টাকে ফেলে দিয়েছি।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই লেখাটা মেজর রফিকের নজরে আনা রায় ?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি ব্লগিং করলে তো উনার নজরে পড়ার কথা; তবে, উনাকে অত আধুনিক বলে মনে হয়নি কোনদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.