নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ সাহেব কি খালেদা জিয়া, এরশাদ ও জিয়া থেকেও কম বুঝতেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

বাকশাল বুঝার মতো দুরদর্শিতা খালেদা জিয়া, এরশাদ বা জেনারেল জিয়ার থাকার কথা নয়। শেখ সাহেব ৮০% হত-দরিদ্রদের অবস্হার উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য বাকশাল তত্ব ভেবে বের করেছিলেন।

সময়ের দিক থেকে হিসেব করলে, খালেদা জিয়া শেখ সাহেবের জন্য বিরাট রাজনৈতিক গুরু; শেখ সাহেব ৪ বছরের কম বাংলাদেশের প্রধান ছিলেন, ১৩ বছরের কাছাকাছি আওয়ামী প্রধান ছিলেন; খালেদা জিয়া ৩৩ বছর বিএনপি প্রধান ও ১৬ বছর দেশ চালায়েছেন; এরশাদ ৮ বছর দেশ চালায়েছেন, অর্ধেকটা সামরিক প্রধান হিসেবে, বাকীটুকু পপুলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে; ৩২ বছর জাপার প্রধান এরশাদ; জিয়াও শেখ সাহেব থেকে দেড়গুণ সময় বেশী ছিলেন দেশের প্রধান হিসেবে; এরা ৩ জন দেশকে অপথে, কুপথে, বিপথে নিয়ে গিয়েও এত পপুলার, আর শেখ সাহেব বাকশাল করে, কেন এত আন-পপুলার হলো যে, উনার মেয়েও বাকশালের নাম নেয় না?

তা'হলে সমস্যা কি শেখ সাহেব; উনি এত কম জানতেন যে, তিনি বাকশাল করেছিলেন? বাকশালটার নাম যদি হতো, "সর্বদলীয় সরকার", তা'হলে কেমন হতো? বাকশাল কি ভুল পদক্ষেপ ছিলো, নাকি মানুষের রাজনৈতিক ধারণা কম ছিল, ও এখনো কম আছে?

শেখ সাহেবই তো বাংগালী জা্তীয়তাবাদকে "৬ দফা" নাম দিয়ে সংকলন করেছিলেন, ও মানুষকে ৬ দফার অধীনে সংগঠিত করেছিলেন; তা'হলে, একই লোক যখন 'বাকশাল' বানাচ্ছে, সেটা কি করে মহাভুল হচ্ছে? কারা বলছে বাকশাল ভুল ছিল, এরা কোথাকার রাজনীতিবিদ, এরা কখন বাংগালীকে এতো ভালোবাসলো, এরা কোন দলের কি ছিল?

বাকশাল বুঝার মতো দুরদর্শিতা খালেদা জিয়া, এরশাদ বা জিয়ার থাকার কথা নয়।

শেখ সাহেব নিশ্চয় খালেদা জিয়ার মত কেহ ছিলেন না, তিনি এরশাদের মত কেহ ছিলেন না, তিনি জিয়ার মতো কেহ ছিলেন না; তিনি বাংগালীদের জন্য বেশী ভেবে ফেলেছিলেন, যা বাংগালীরা হজম করার মত অবস্হায় ছিলো না; তাদের জন্য বুটওয়ালারা ও খালেদা জিয়ার মত ডাকুই দরকার ছিলো।

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৬

আমি মিন্টু বলেছেন: :|| :| :-/ /:) :-0 B:-) :-< |-) :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:

মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া, এরশাদ ও জিয়ার রাজনৈতিক শিষ্য?

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৭

সেয়ানা ০১ বলেছেন: আবার আরেকটা পোষ্ট প্রসব.......?? আমলীগের চুরি আর লুট-পাটের টাকায় ভাড়াটিয়া ব্লগার যোগার করছে আর ঘন্টায় ঘন্টায় খালি খালেদা, বিএনপি আর জিয়া নিয়া গার্বেজ প্রসব করতেছে|

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা শেখ সাহেব ও বাকশাল নিয়ে; একটু আগে এক ব্লগার বাকশালকে খারাপ বললো; তাি লিখতে হলো; আমি কারো হয়ে লিখি না; আপনার মগজের এনালাইজিং ক্ষমতা নেই। এখানে খালেদা জিয়া, জিয়া, এরশাদের ও মানুষের রাজনৈতিক ধারণাকে মাপা হচ্ছে মাত্র।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৯

সেয়ানা ০১ বলেছেন: হাসিনার সরকার গত ৭ বছরে দেশ থেকে কত হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে নিয়েছে সেইটা নিয়া লিখতে মন চা্য না , বাকশালী ??

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখছি, পড়তে থাকেন, পাবেন।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৫

সেয়ানা ০১ বলেছেন: হাসিনার লুট-পাট নিয়া লিখলে কি আয় রোযগার বন্ধ হইয়া যাইবো ?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার আয় কারো উপর নির্ভরশীল নয় বলেই, আমি রাজনীতি নিয়ে লিখছি; এটা লজিক্যালী কি আপনার মাথায় আসতে পারতো?

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

চলন বিল বলেছেন: চাঁদগাযী হল মুজিবচাটা
চাঁদগাযী হল মুজিবের পূজারী।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেখ মুজিবকে বুঝার, উনার সময়, উনার ভুল, উনার অবদানকে বুঝার দরকার আছে!

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: গোলাম আযমের পোষ্য রা এখন জিয়ার সৈনিক হয়েছেন। একবার আপনি ঠিকই বলেছিলেন যে ১৯৭১ এরা জিয়ার খবর পেলে পায়ে হেটে পাকিদের কাছে যেয়ে বলে দিয়ে আসতো.....।আর এখন জিয়ার সৈনিক

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জামা্তীরা মগজহীন খুনী, ওদের কথার কোন মুল্য নেই।

খালেদা জিয়া, জিয়া, এরশাদ বলেছিল যে, বাকশাল করা ঠিক হয়নি, তারা বাকশালের কিছু বুঝার কথা কি ছিলো?

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কারা বলছে বাকশাল ভুল ছিল, এরা কোথাকার রাজনীতিবিদ, এরা কখন বাংগালীকে এট ভালোবাসলো, এরা কোন দলের কি ছিল?

মাওলানা ভাষানী,বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন,অলি আহাদ,নুর আলম সিদ্দিকী,কর্ণেল তাহের,মেজর জলিল,মিজান চৌধূরী,কাজী জাফর,শাহ মোয়াজ্জেম,ওবায়েদুর রহমান,শাহজাহান সিরাজ,মেনন,ইনু,মতিয়া.............মোদ্দাকথা তৎকালীন চাটার দল ছাড়া সবাইতো বাকশালের বিরুধীতা করেছিলো!!!
খালেদা জিয়াকে ডাকু বলছেন,আরেকজন কি দেবী মা???

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

ওরা বাকশালের বিরোধীতা করেছিল, কারণ ওরা ২২ পরিবারের পরিত্যক্ত সবকিছু দখল করার জন্য তৈরি হয়েছিল।

তাজুদ্দিন বিরোধীতা করেনি।

দেশকে গ্রাস করার জন্য সবাই যখন তৈরি, শেখ সাহেব বুঝেছিলেন যে, ৮০% ভাগ দরিদ্র মানুষ উনার উপর নির্ভরশীল, এদের সম্পদ রক্ষার জন্য তিনি 'সর্বদলীয় সরকারে' যান, যাকে উনি 'বাকশাল ' নাম দিয়েছিলেন।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

সেয়ানা ০১ বলেছেন: খালেদা ডাকু ? তাহলে হাসিনা কী ???

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেখ হাসিনা কি জানা যাবে শীঘ্রই; তবে, বাকশালের সমালোচক নন।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৫

সেয়ানা ০১ বলেছেন: হাসিনা কি যে গত ৭ বছরেও বুজতে পারে নাই , সে হইলো বলদ..!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেখ হাসিনা বাকশাল বুঝতে পারেননি, বাবাকে বুঝতে পারেননি।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯

এম. আরাফাত মাহমুদ বলেছেন: ভাই, ভাবছিলাম আপনি আগের পোষ্টে দেওয়া আমার কমেন্ট পড়ে একটু মানুষ হবেন। কিন্তু তা আর হলো না। ওই যে কথায় আছে, বিড়ালের লেজ কি আর শত চেষ্টা করলেও সোজা হয়। ঠিক আপনি তেমনই।






.......।
.........।
..............
তবে ভাই আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন, আপনি খুব শীঘ্রই সেলিব্রেটি হতে যাচ্ছেন।
এবং সেলিব্রেটির হওয়ার কিছুদিন পরের সময় টা কিন্তু খুবই মারাত্মক যায়। সেটা আপনার মাথায় মগজ থাকলে বুজতে পারবেন নিশ্চিয়। ....




এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যান।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মাথায় বিড়ালের চেয়েও কম পরিমাণ মগজ আছে।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাকশাল ৭২ সালে করলে কেউ সমালোচনা করতে পারতো না, ৭৫ সাল পর্যন্ত অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো । দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, দুঃশাসন, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ সামাল দিতে না পারা সহ বিভিন্ন কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা ভাটা পড়ে গিয়েছিলো । রাষ্ট্রপরিচালনার অনভিজ্ঞতার দরুণ এমন হয়েছে ।
এখানে জিয়ার কয়েকজন সাগরেদকে দেখলাম, উনারা কি জানেন, জিয়া বাকশালের সদস্যপদ নিয়েছিলেন?
৭৫ এর পরে বাকশালকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে । দেশের বেশিরভাগ লোক বাকশাল কী জানেই না । না জেনেই সমালোচনা করে! একটা লোক জাতির জন্য এতকিছু করলো, জাতি অাজ তাকে চিনতেই পারলো না । এর জন্য দায়ি উনি নিজেই । এতবেশি উদার না হয়ে মাও সে তুং এর মত শক্ত হাতে দেশ চালালে এমন দুর্গতি হতো না ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:

১৯৭২ সালেই সর্বদলীয় সরকার গঠন করার দরকার ছিল।

মানুষের সাথে আলোচনা না করেই, মানুষের হয়ে তিনি তা করেছিলেন; উনি ধরে নিয়ে ছিলেন যে, সাধারণ ৮০% মানুষ উনার সাথে আছেন; কিন্তু স্বাধীনতার ৩ বছর পর, সেই ৮০% পেছনের সারিতে চলে গিয়েছিল।

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার শিরোনামেই তো উত্তর দেয়া আছে। তা নাহলে, নাহলে আপনার মত কট্টর ছাড়া আর কেউ এই বিষয়ে এই সময়ে সাফাই ‍গায় না। তবে হ্যাঁ, উনি ক্ষমতায় গিয়েই যদি এটা করতেন তাহলে সফল হতেন। কারণ, তখন ৯৯% জনগণ তাঁকে ভালবাসতেন, মানতেন। কিন্তু এমন সময় তিনি বাকশাল করেছেন ততদিনে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রায় শূন্যের কোটায় গিয়ে পড়েছিল। কটু মন্তব্য করলে আপনার ব্লগে মন্তব্য করা যাবে না। ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


হ্যাঁ, প্রথমেই বাকশাল করার দরকার ছিল।

উনি উনার কিছু ভুল বুঝতে পেরেছিলেন ১৯৭৪ সালে; সেটাকে ঠিক করতে তিনি বাকশাল করেছিলেন; কিন্তু তাও সঠিক শক্তি পেছেন দেননি।

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ৥রূপক -
আমি কিন্তু আপনার কমেন্ট না দেখেই জবাব লিখছিলাম। কাকতালীয় ভাবে মিলে গেল। আমিও এটাই মনে করি। জিয়া কিন্তু প্রথমেই দল করেননি। আগে সব কিছু ঠিক করে তারপর দল করেছেন। এরশাদও তাই। তারা জানতেন, প্রথমেই গণতন্ত্র দিলে নতুন জাতির মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। যেটা শেখ মুজিবের সময় হয়েছিল। আর উনি তো রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদেরই বিচার করতে পারেননি। তাই তো বিশৃঙ্খলা আরো বেড়ে যায়। আর যখন বাকশাল করেছেন, তখন তো তার পতন ছিল সময়ের ব্যপার।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ অশিক্ষিত থাকায় বুঝতে পারেনি, জিয়া বা এরশাদেরা কি করতে চাচ্ছে।

উনার পতন দেশের ভেতর থেকে আসেনি; যদি অবস্হা ভালো ছিল না।

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব , আপনার বেশ কিছু লেখার বিশ্লেষন করে বুঝাতে পারলাম, আপনি বোধহয় চান , বা আশা করেন,শেখ হাসিনা 'বাকশাল' টাইপ কিছু পুনরায় চালু করুক। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় সেটা সম্ভব না। কারন বাকশাল ব্যবস্হায় মানুষকে অনেক বেশী সামস্টিক হতে হবে, যা বর্তমান ব্যাক্তি কেন্দ্রিক সুযোগ সুবিধা ভোগ বিলাসিতায় অভ্যস্ত কোন মানুষই চাইবে না। যেখানে মানুস যৌথ পরিবার থেকে এককেন্দ্রিক পরিবারে খন্ডিত হয়েও স্বামী- স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছে না, হর হামেশা ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে জাস্ট ব্যাক্তিগত চাওয়া পাওয়া না মেলায়। সেখানে সমাজের কোন মানুষই এখন চাইবে না তাদের বর্তমান সুযোগ সুবিধায় বা স্বাধিনতায় এতটুকু টান পরুক।তাছাড়া আবাল বাঙ্গালীর ব্যালট পেপারে মাল্টি মার্কার লুটেরাদের সমাহার দেখার সুযোগ ও হাতছাড়া করতে চাইবে না কোন দিন। ভোটের পর পাছায় লাথি খেলেও সম্যসা নাই, বাট ভোটের আগের চা বিড়ি বাঙ্গালী চাই -ই-চাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যা বলেছেন, তাই ঘটছে; কিন্তু জাতির এখানে স্হবির হয়ে যাবে; সামনে এগুনোর সঠিক কোন পথ নেই; লোক সংখ্যা বাড়ছে; পড়ালেখা দামী, চাকুরী সৃস্টির নামও নেই।

শেখ হাসিনা বাকশালকে ভয় পান, কর্ণের ফারুক, সালমান রহমান, শেখ সেলিমরা ভয় পান; এমন কি সুরজিত ও মেনন বাকশালকে ভয় পান।

আমি বাকশালের কথা বলছি এজন্য যে, আমাদিগকে কম্যুনিটি উন্নয়ন করতে হবে, বাকশালকে যারা খারাপ বলছে, তাদের বুঝার শক্তি কম, সেটা বুঝানোর জন্য পোস্ট।

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সব দলই বাকশাল করেছে।
সংসদে সবগুলো দল মিলে সর্বসম্মত ভাবে দলের নাম বাকশাল দিয়েছে। কেউ ওয়াকআউট করেনি।
বাকশাল একটা অন্তর্বর্তিকালিন অস্থায়ী ব্যাবস্থা্র মত ছিল।
বাকশাল কোন দল কে নিষিদ্ধ করেনি।
তাজউদ্দিন বাকশালে যোগ দিলেও এর বিরোধী ছিলেন, মন্ত্রীপদ ছেড়ে দিলেও, বাকশাল ও দলের সদস্যপদ ছিল, সংসদসদস্য পদও ছিল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে পরবর্তি দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেশের সব গুলো দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়।
আওমিলিগের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত সবগুলো দলই কোন বড় বিতর্ক না করে দেশের দুর্যোগ সামাল দিতে সবাই সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়। যোগ দিতে কাউকে জোড়পুর্বক বাধ্য করা হয়নি।
মাওলানা ভাষানীর ন্যাপ, আ স ম রব, শাজাহান সিরাজের জাসদ,
চীন পন্থি, মস্কো পন্থি কমুনিষ্ট পার্টি সহ, দেশের সব গুলো রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়।
তখন BNPর জন্মই হয়নি। জামাত পাকিস্তানে পলাতক ছিল।
একটি দলও এর বিরোধিতা করে নি।
এর বিরুদ্ধে একটা মিছিল বা একটি হরতালও হয়নি।
সুধু জাসদের একাংশ গণবাহিনী অনেক পরে বিরোধিতা সুরু করে।

খুনি জিয়া এসেই গনতন্ত্র দেয়ে দেন নি।
দুই বছরে কয়েক দফা কু এর নামে স্বসস্ত্র বাহিনির ১৪০০ সহকর্মি অফিসার সহ ২০০০ সৈনিক খতম করা র পর কিছু দলছুট চোরচোট্টা-রাজাকার জুটিয়ে নিজেই দল গঠন করেন। তার পর নিজের গদি স্থায়ী করে তারপর সিমিত ভাবে ঘরোয়া রাজনীতির পারমিশন দেয়া হয়।
এর অনেক পরে নির্বাচন তামাসা করে নিজে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা নিশ্চিত করে, এরপর "গণতন্ত্র" কে দেয়া হয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিআইএ ততকালীন বাংগালীদের মানসিকতা জানতো, সেই অনুসারে বাংলাদেশকে পাকী কায়দায় জিয়ার অধীনে নিয়ে এসেছিল।

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নীচে কিছু কথা তুলে দিচ্ছি, আপনার যদি মনে হয় আমি ভুল তথ্য উপস্থাপন করছি তাহলে আমাকে বলবেন। তবে এই ব্যাপারে সবচেয়ে বড় রেফারেন্স বাংলাদশের সংবিধান। কিভাবে পড়ে দেখতে হয় খুঁজে বের করতে না পারলে আমাকে বলবেন। সাহায্য করা সহ ব্লগার হিসেবে আমার দ্বায়িত্ব। বাকশাল কিভাবে কার্যকর করা হয় আর কি ছিলো আপনার না জানবার কথা নয়।

###
১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে দেশে জরুরী অবস্থাও জারী করা হয়। দেশ জুড়ে চলছিলো আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান। এরই মধ্যে সংসদে চতুর্থ সংশোধনীর আওতায় নিজেকে দেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। সংবিধান সংশোধনী কার্যকরের দিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য উনি নির্বাচিত হলেন প্রেসিডেন্ট। স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ম্নসুর আলী হলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে উনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন পার্লামেন্টারী পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থেকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অধীনে একনায়কতান্ত্রিক প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির দিকে।

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে বলা হলো যে যখন একটি জাতীয় দল ঘোষনা করা হবে তখন নিম্নলিখিত ধারাগুলো কার্যকর হবেঃ

- যদি কেউ সংসদের সদস্য হন, তবে যেদিন থেকে জাতীয় দলটি গঠিত হবে, তার সদস্যপদ শুন্য বলে গন্য হবে যদিনা তিনি প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট করে দেয়া সময়ের মধ্যে সেই জাতীয় দলটির সদস্যপদ গ্রহন করেন।

- প্রেসিডেন্ট অথবা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেননা যদিনা প্রার্থী হিসেবে জাতীয় দলের দ্বারা মনোনীত হন।

- কেবলমাত্র জাতীয় দলটি ছাড়া অন্য কোন দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করা যাবেনা, বা অন্য কোন রাজনৈতিক দল গঠন করা কিংবা তার সদস্যও হবার অধিকার বাতিল বলে গন্য হবে।

আর তাজউদ্দীন আহমেদ বিরোধী ছিলেননা এ ব্যাপারে আপনি কি নিশ্চিত? দয়া করে এখানে গিয়ে পড়বেন, আমি লিখিনি কিন্তু। উনার মেয়ের লেখা বইয়েও আছে উনি কি করেছিলেন, উনার পিএসও এ ব্যাপারে বলেছেন। লিগ্যাসী অফ ব্লাডেও আছে।

http://tajuddinahmad.com/interviews
http://tajuddinahmad.com/interview-with-abu-sayeed-choudhury-private-secretary-of-finance-minister-tajuddin-ahmad

আর সেদিন আরেকটা কথা বলার ছিলো। আপনি বললেন যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি তাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব না ওই সময় কেমন ছিলো। আর ১০-১৫ বছর পরে হয়তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেছে এমন একজনও বেঁচে থাকবেনা, তার মানে কি ওই প্রজন্ম জীবনেও বুঝবেনা মুক্তিযুদ্ধ আসলে কি ছিলো? না বুঝুক, কিন্তু একটা ধারনার তো অবশ্যই দরকার একেবারে ইতিহাস না জেনেও তো বড় হওয়া উচিত হবেনা, তাইনা? আর আমরা নতুন প্রজন্ম সেই কাজটাই করছি। দেশের প্রতি মমত্ববোধ আপনাদের প্রজন্মের একার অধিকার নয়, আমরাও দেশকে ভালোবাসি।

@হাসান কালবৈশাখী,

আপনিও পড়বেন। আপনার মন্তব্যও আমার কাছে ভুল মনে হইলো। আমি কিছু ভুল বলে থাকলে বলবেন, আমার ভুল হইলে আমি স্বীকার করি। বাকশাল সম্পর্কে আপনিও পড়েন ভালো করে। ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করে নেয়া কাউকে ছোট করেনা বরং ভুলকে ভুল আর সত্যকে সত্য বলে মানতে পারাটাই মানুষকে বড় করে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"এর মাধ্যমে উনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন পার্লামেন্টারী পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থেকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অধীনে একনায়কতান্ত্রিক প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির দিকে।"

-প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি মানে একনায়কতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়। প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে পার্লামেন্টের ভুমিকা সমান।

শেখ সাহেব প্রসিডেন্ট হওয়ার পর, বাকশাল সম্পর্কিত সবকিছুই প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রিতে করা হয়েছিল; সংবিধানে শুধু 'পদ্ধতি' বদলের সংশোধনী আনা হয়েছিল; শেখ সাহেবকে মারার পর, ডিজিএফআই, সিআইএ মিলে, সংবিধানকে বিকৃত করে, নতুন প্রিন্ট রেখে আসল সংবিধানের কপিগুলো নস্ট করেছিল। ফলে, আপনাদের কাছে যে সব ফটোকপি পোঁচেছে, ওগুলো জাল।

জাষদে সব মুসলিম লীগার ও জামাতী প্রবেশ করার পর, উনি সাময়িকভাবে কিছু ডিক্রি দিচ্ছিলেন; আসল ডিক্রিগুলো সব বদলায়ে, জালকপি সব যায়গায় সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

নতুন জেনারেশন যেই দেশকে ভালোবাসছে, সেটা এই মহুর্তের বাংলাদেশ; আমরা যেই দেশকে ভালোবেসেছিলাম ও ভালোবাসি সেটি ছিল 'কল্পনায় এক আদর্শ বাংলাদেশ', যা কখনো হয়নি।

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শতদ্রু ভাই, উত্তেজিত হবেন না।
আপনি জ্ঞানী মানুষ, আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। যখন যা মনে আসে তাই লিখি।
আমার লেখাটা আরেকবার পড়ুন, মুল বক্তব্য, ভ্যালু খুব একটা ডিফার করে না।

তাজউদ্দীন আহমেদ বিরোধী ছিলেননা একথা আমি বলিনি, বরং উল্টোটা বলেছি।
তাজউদ্দিন বাকশালে যোগ দিলেও এর প্রবল বিরোধী ছিলেন,
মন্ত্রীপদ ছেড়ে দিলেও, বাকশাল ও দলের সদস্যপদ ছিল, সংসদসদস্য পদও ছিল।
প্রেসিডেন্ট অথবা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেননা যদিনা প্রার্থী হিসেবে জাতীয় দলের দ্বারা মনোনীত হন।

- কেবলমাত্র জাতীয় দলটি (বাকশাল) ছাড়া অন্য কোন দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করা যাবেনা, বা অন্য কোন রাজনৈতিক দল গঠন করা কিংবা তার সদস্যও হবার অধিকার বাতিল বলে গন্য হবে।

আমি আমার বক্তব্যে এর বিপরিত মন্তব্য করিনি।
এই ধারা সমুহ সম্পুর্ন মেনে নিয়ে রব, ভাষানী, মোজাফফর সহ সকল কট্টর আওয়ামী বিরোধী প্রাইম নেতৃবৃন্দ কোন বড় বিতর্কে না যেয়ে সবাই এই "জাতীয় দল" বাকশালে যোগ দেয়। (ইত্তেফাকের বাষ্টার্ড মইনুল বাদে)

যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজকোষ শুন্য একটি শিশু দেশ, ৭৫এ যার বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর।
৩ বছরেই সব ঠিক করে 'সোনার বাংলা' হলনা কেন? তাকে মেরে ফেল।

যা ৩ট সামরিক সরকার ৪০ বছরেও পারেনি, সেটা ৩ বছরেই চাই। নইলে মৃত্যুদন্ড।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: @হাসান কালবোইশাখী, একেবারে শেষের প্যারাটা আপনার উদ্দেশ্যে ছিলো, বাকীটা চাদগাজীর জন্য। উনার আরো পড়াশুনা দরকার। এতো বয়স হবার পরেও যদি জানাশোনা প্রাথমিক পর্যায়েই থেকে যায় তাহলে ব্যাপারটা দুঃখজনকই লাগে। উনি আমাকে একটা ইঙ্গিত দিছিলেন তো, আমিও এই কারনে উনার প্রতি একটা বিশেষ ইঙ্গিত দিচ্ছি আর বর্তমানে একটা বিশেষ ধারনাই পোষন করছি। আমি ব্লগের খোচাখুচির ব্যাপারে সমানমাত্রার পালটা খোচায় বিশ্বাস করি।

এই শেষের আপনার কমেন্টের ক্ষেতরে বলবো, উনি বাকশালে যোগ দেননি। উনার সরকার থেকে বেরিয়ে আসার কারন প্রধানত এই বাকশাল। এই পোস্টটা পড়বেন, মনে হয় ভুল তহ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছিনা।

http://www.somewhereinblog.net/blog/snatcher/30079524

উনি সরকার থেকে বেরিয়ে এলেও আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যাননি। আর বাকশালে যোগ দেবার প্রশ্নই আসেনা। এটা সম্পুর্ন ভুল ধারনা।

সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার কি জানেন। তাজউদ্দীন আহমেদও নাকি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র হচ্ছিলো জানতে পেরে জুলাই এর দিকে উনাকে এটা জানাতে ছুটে যান। সবাই জানতো তলে তলে কিছু হচ্ছে। কেবল উনিই বুঝেননাই। উনি যাদের কথা বিশ্বাস করা উচিত তাদের থেকেই দূরে সরে যাচ্ছিলেন। আর চাটার দল আসেপাশে থেকে চেপে ধরতেছিলো। আমি যে মিথ্যা কথা বলতেছিনা তার যুক্তি হচ্ছে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভা। সম্ভবত বাকশালের দুইজনকে বাদ দিয়ে মুজিব সরকারের সবাই বহাত তবিয়তেই সেখানে ছিলেন। এই ব্যাপারগুলা থেকে আমাদের উপলব্ধির অনেক কিছুই আছে।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: অবশ্যম্ভাবী পতন
=========
"... বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সূত্রপাত হয় গত বছরের মাঝামাঝি সময়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুজিব ভারতে ধান, চাউল ও পাট পাচারের বহর দেখে সন্ত্রস্ত হয়ে উঠেন। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে মোট উৎপাদনের শতকরা ১৫ ভাগ ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছিল। অপরদিকে যখন লাখ লাখ বাঙালী না খেয়ে মরেছে, তখন মুজিবের ঘনিষ্ঠ সহচররা চোরাচালানের ব্যবসায় মোটা অংক কামাই করেছে - রাতারাতি ধনী হয়ে উঠেছে।
চোরাকারবার থামাবার জন্য মুজিব সেনাবাহিনীকে তলব করলেন, কিন্তু তাদের হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে রাজী হলেন না, বরং রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য চাপ দিলেন। বিশেষ সুবিধাভোগী রক্ষীবাহিনী মুজিবের প্রতিরক্ষার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল। রক্ষীবাহিনীর প্রতি সেনাবাহিনীর বিশেষ বিরাগ ছিল। সেনাবাহিনীর জনৈক অফিসার মন্তব্য করেছিলেন যে, "রক্ষীবাহিনী শুধুমাত্র ঢাকাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম, কেননা তারা স্থানীয় গুন্ডাদের তুলনায় উন্নত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ঠগদের নিয়ে গঠিত।"
সেনাবাহিনীর অসন্তোষ চাপা দেওয়ার জন্য মুজিব একদিকে কোন কোন অফিসারকে প্রমোশন ও অপরদিকে সময় সময় মেজর, লে: কর্নেল ইত্যাদি মাঝারি পদমর্যাদার অফিসারদের অপসারণের নীতি গ্রহণ করেন।
চোরাচালানীদের দমনের অভিযান সফল হয়নি। কারণ বেশীর ভাগ দোষী ব্যক্তি সরকারের আশ্রয় লাভে সমর্থ হয়। কিন্তু এই অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনী ক্ষমতার কিছুটা আস্বাদ পেয়েছিল। এতে তাদের অসন্তোষ আরো বেড়ে যায় এবং তারা সুযোগের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে।
পরের অংক শুরু হয় গত বছরের শেষ দিকে। শেখ মুজিব দেশের গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র পাল্টিয়ে, জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে, নিজেকে প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত করলেন এবং সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দিয়ে তিনি একটি নতুন একদলীয় শাসন প্রবর্তন করলেন। চারটি ছাড়া বাদবাকী সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হল। সারা দেশকে ৬১টি নতুন জেলায় বিভক্ত করা হল।
নিজের বিশ্বাসে অটল থাকার মত সৎসাহস শেখ মুজিবের কোন দিনই ছিল না। দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের চাপে একক দল পুরাতন পাপীদের ভীড়ে নতুনত্ব লাভ করতে ব্যর্থ হল। এদের অনেকেই সাধারণ মানুষের দু:খ দূর্দশাকে পুঁজি করে রাতারাতি সম্পদশালী হয়ে উঠেছিল।
সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মুজিব নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে নিয়েছিলেন। ফলে, নিতান্ত সামান্য ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে মাসের পর মাস লেগে যেত। কারণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে না পৌঁছালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভবপর ছিল না। শাসন ব্যবস্থার এ দূর্বলতা সব সময়েই সুস্পষ্ট ছিল।
মুজিব তোষামোদপ্রিয় ছিলেন এবং ক্রমেই চাটুকারীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে উঠেছিলেন। এই চাটুকারের দল সযত্নে তার কাছ থেকে অপ্রিয় সত্য গোপন করে রাখত। সংবাদপত্রের উপর নির্দেশ জারি করা হয়েছিল মুজিবের বড় ফটো ফলাও করে ঘন ঘন ছাপাবার জন্য।
তার নিজের পরিবারের লোকজনের আর্থিক স্বার্থ আদায়ের প্রতি তার নজর ছিল। তিনি নিজে ঘুষ নিয়েছেন কিনা এ প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক। কারণ তা নেওয়ার তো তার প্রয়োজন ছিল না। বাংলাদেশের কাগজের নোটের উপর তার ছবি ছাপা হয়েছিল। সবচেয়ে গরীব দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট পদের সঙ্গে যে সব ব্যয় বহুল সুযোগ-সুবিধা সম্পৃক্ত তার সবই তার করায়ত্ত ছিল।
তবে অনেকেই তার ছেলেদের এবং অন্যান্য আত্মীয়দের সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। ইদানিং ঢাকায় লোকমুখে একটা গল্প শোনা যায়। তা হল : পুলিশ দু'জন কমবয়সী গুন্ডাকে ধরেছে। গ্রেফতারকারী পুলিশ অফিসার তার উপরের অফিসারের কাছে জানতে চাইলেন গুন্ডা দু'টিকে বিচারে সোপর্দ করা ঠিক হবে কিনা। উপরের অফিসার তার উপরের অফিসারকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন তার উপরের অফিসারকে এবং এইভাবে বিষয়টি স্বয়ং প্রেসিডেন্ট মুজিবের কাছে আসল। শেখ মুজিব তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, "কামাল ও জামাল কি ঘরে ফিরেছে?" বেগম সাহেবা জবাব দিলেন, "হ্যাঁ, ফিরেছে।" এ কথা শোনার পর শেখ পুলিশকে তরুণ গুন্ডা দু'টিকে বিচারের জন্য সোপর্দ করার অনুমতি দিলেন। এ গল্পটি সত্য না বানানো তা বিচার করতে যাওয়া অবান্তর, কারণ বহু লোক এ গল্পের সত্যতায় বিশ্বাস করে এবং এ গল্প বহু লোকের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছে।
কিছুকাল আগে শেখ পরিবারের দু'অংশের মধ্যে ঘরোয়া সংঘাত দেখা দেয়। তার ফল হিসাবে বেশ কয়েকটি জীবন বিনষ্ট হয়েছে। একটি বিবদমান অংশের প্রধান ছিলেন মুজিবের ছেলে কামাল এবং অপরটির প্রধান ছিলেন তার ভাগিনা শেখ মণি। শেখ মণির পেছনে বেগম মুজিবের সমর্থন ছিল।
স্বজনপ্রীতির প্রশ্নটি এ বছরে বড় হয়ে ধরা পড়ে। শেখ মুজিবের বয়োজ্যোষ্ঠ সহকর্মীরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলেন যে, শেখ তার ভাবী উত্তরাধিকারী হিসাবে ভাগিনা শেখ মণিকে গড়ে তুলছেন্। প্রতিটি ব্যাপারে তিনি ভাগিনার পরামর্শ নিতেন। দেশব্যাপী সংবাদপত্র নিধন অভিযানের মুখে যে কয়টি পত্রিকা টিকে থাকতে পেরেছে তার একটি হল শেখ মণির পত্রিকা।
কার্যত: মাস কয়েক আগেই অবশ্যম্ভাবী পতনের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছিল। রক্ষীবাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও যানবাহন দিয়ে শক্তিশালী করা হচ্ছে দেখে সেনাবাহিনী শংকিত হয়ে পড়ল। কয়েকটি রাজনৈতিক উপদলও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল, কেননা একদিকে তাদের অপসারিত করা হচ্ছে, কিন্তু অপরদিকে তাদের চেয়েও বেশী দূর্নীতিবাজদের অবাধ লুটতরাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পদে পদে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে দেখে সাধারণ মুসলমানরাও অসন্তুষ্ট হয়ে উঠল। তাদেরকে পাশ কাটিয়ে একটা পারিবারিক বাদশাহীর ভিত গড়ে তোলা হচ্ছে দেখে মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আতংকিত হয়ে উঠেছিলেন॥"
- কেভিন রেফার্টি / ফিনান্সিয়াল টাইমস (লন্ডন) - ১৬ আগস্ট, ১৯৭৬ ইং
তথ্যসূত্র :- বাংলাদেশ : বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর / সম্পাদনা : মুনিরউদ্দীন আহমদ [নভেল পাবলিশিং হাউস - জানুয়ারি, ১৯৮৯ । পৃ: ৬৬৬-৬৬৮

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


গরুর রচনা

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@শতদ্রু ভাই
উনার সরকার থেকে বেরিয়ে আসার কারন প্রধানত এই বাকশাল। সেটা আমিও বলেছি।
আপনার লেখায় তাজউদ্দিন সাহেবের সুধু মন্ত্রীপদ ত্যাগের কথা লেখা।
সংসদপদ অটুট ছিল, নতুবা তার এলাকায় শুন্যপদে নতুন নির্বাচন করতে হত। যা অবশিষ্ট ৮ মাসে হয়নি।
আর হিসেবে তার বাকশাল সদস্য থাকার কথা, নইলে আইনমত সংসদপদ বাতিল হত, ৯০ দিনের ভেতর শুন্যপদে নির্বাচন হত।

তাজুদ্দিন কন্যা সারমিনের লেখা বিশ্বাসযোগ্য না। সে এবং একে খন্দকার একসাথে মাথা বিক্রি করে ফেলেছিল বিম্পি-জামাত গং এর কাছে। তাদের আগের লেখাগুলোর তুলনা করলে .. একটু চোখবুলালেই বোঝা যায়।
এই কুলাঙ্গার কন্যা হত্যাকারি সমর্থকদের "নিজ পিতা হত্যার ওযুহাত" খুজে দেয়।
এইসব কুলাঙ্গার বেইমানদের তৈরি ইতিহাস কখনোই নির্ভরযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ।

২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এবারো মানএ পারলামনা। উনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাননি এবং বঙ্গবন্ধু ও দলের প্রতি আনুগতই ছিলেন। কিন্তু বাকশালেও যোগ দেননি। বাকশালের কোন কমিটীতেই তাকে রাখা হয়নি এবং সদস্যপদও অফার করা হয়নি। কমিটীর লিস্ট উইকিতেই পাবেন।

https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh_Krishak_Sramik_Awami_League
http://tajuddinahmad.com/interviews

এই ধারাটি আবার পড়েন,
- যদি কেউ সংসদের সদস্য হন, তবে যেদিন থেকে জাতীয় দলটি গঠিত হবে, তার সদস্যপদ শুন্য বলে গন্য হবে যদিনা তিনি প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট করে দেয়া সময়ের মধ্যে সেই জাতীয় দলটির সদস্যপদ গ্রহন করেন।

প্রেসিডেন্ট সম্ভবত সেই সীমা তখনও নির্দিস্ট করে দেননি। বাকশাল গঠিতই হয় জুনের মাঝামাঝি। আগস্টেও নানা দলকে বাকশালের ভেতরে নিয়ে আসার চেস্টা চলছিলো। সময়সীমা বেঁধে দেবার কোন তথ্য জানা নাই। আর ঠিক এ কারনে কারোরই সদস্যপদ শুন্য বলে বিবেচিত হয়নি মনে হয়। যে আটজন বিরোধী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাদের চারজন বাকশালে যোগ দেন, বাকী চারজন দেননি। তাদের সদস্যপদ যদি বহান থাকে তবে তাজউদ্দীন আহমেদের কেন থাকবেনা? আর বাকশাল কায়েম মানে আওয়ামী লীগ এমনি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। তবে পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগ নামেই বহান থাকা এটাই বোঝায় যে দলের লোকেরাও বুঝতে পেরেছিলো বাকশাল ভুল ছিলো। সঠিক মনে করলে পরবর্তীতে রাজনীতি কেন এই নামের অধীনেই আবার শুরু করা হলোনা? বিএনপি কিংবা এরশাদের আমলে সম্ভব না থাকলেও নিজেদের আমলেও কিন্তু তা করেনি।

আমার মতে চতুর্থ সংশোধনী আর বাকশাল বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক ছিলো এবং চরম একটা ভুল পদক্ষেপ ছিলো।

@হাসান কালবৈশাখী

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

তাজুদ্দিন সাহেবের এ মেয়ে ও ছেলেটি হাউকাউ

২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনি গাজা টাজা কিছু খাননাতো? সিআইএ, ডিজিএফআই সব কপি পুড়াইয়া ফেলছিলো???

বাংলাদেশের যেকোন একটা কোর্টের পিয়নকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন এইটা সম্ভব নাকি। প্রতিটা অধ্যাদেশ, প্রতিটা সংশোধনী, প্রতিটা নতুন এক্ট পাস হবার সাথে সাথেই সারা দেশের সকল আদালত পর্যন্ত পৌছে যায়, বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্টো সব জায়গায় কপি পৌছে দেয়া হয় এবং আইনজীবিরাও নিজেদের কপি রাখেন পেশাগত কাজের জন্যই। একটা বর্নও এদিক সেদিক করবার উপায় নাই। আর আইন মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটেও সংবিধানের তুলে দেয়া আছে। সেখানে ক্রোনোলজিক্যাল চেঞ্জগুলোও আছে। একে তাকে মগজহীন বলেন, আমি আমার সাধারন মস্তিস্কেই বুঝতেছি আপনার মাথায় পুশ করে দেয়া বর্জ্য পদার্থ ছাড়া কিছু নাই।

তাজউদ্দীন আহমেদও নাকি বিরোধীতা করেননাই বলছেন, জেনে বলছিলেন তো? নাকি এসব অতিরিক্ত গাজার ফল?
আপনি মুক্তিযোদ্ধা হইতেই পারেননা। মুক্তিযোদ্ধাদের মিথ্যাচার করার কথা না। যা সত্য তা বলতে সাহস থাকবার কথা। আপনার তো আমার সত্য নির্ভয়ে বলতেও সমস্যা থাকে। আপনি মুক্তিযোদ্ধা অবশ্যই না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আর আইন মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটেও সংবিধানের তুলে দেয়া আছে। সেখানে ক্রোনোলজিক্যাল চেঞ্জগুলোও আছে। "

-ওয়েব-সাইট আমেরিকায় কখন চালু হয়েছে?

শেখ সাহেব হত্যার পরের দিন থেকে, ১৯৯৬ এ হাসিনা ক্ষমতায় যাবার আগে বাংলাদেশ বিরোধীরা প্রশাসন চালায়েছে; সিআইএর নিযুক্ত ও আইএসআই'এর দক্ষ লোক আমাদের কাগজপত্র নিয়ে সব অফিসিয়েলী ঠিক রেখেছে।

শেখ সাহেব ঠিক মত অফিস মেইনটেিন করতে জানতেন না; সেটাও প্লাস পয়েন্ট হয়েছিল দেশ বিরোধীদের জন্য।

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

সেয়ানা ০১ বলেছেন: @চাঁদগাঁজা, গাঁজা খেয়ে ব্লগ লেখা শাস্তিযোগ্য আপরাধ !!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখুন, খালি বকবক করলে কে পাত্তা দেবে?

২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২১

সেয়ানা ০১ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী : জিয়ারে খুনি কইলে মুজিব কী ?? খুনের একটা তুলনামুলক চিত্র দিলে বুজা যাইবো মহামতি মুজিব কয় হাজার মারছে আর জিয়া কয় জন মারছে !!

আরেক কথা বিডিআর ম্যসাকারের হাসিনা সেনা বাহিনীর ৭৫ জন আফিসার আর ক্যংগারু কোর্টের বিচারের মাধ্যমে ১২০০ বিডিআর সৈনিকের ফাঁসির ব্যবস্হা করেছে !!

২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@শতদ্রু ভাই
বাকশালের কোন কমিটীতেই তাকে রাখা হয়নি এবং সদস্যপদও অফার করা হয়নি।
আমি কোথাও দাবি করিনি বাকশাল কমিটীতে থাকার ব্যাপারে। কমিটীতে থাকার প্রশ্নই আসেনা কারন উনি এর বিরোধী ছিলেন।
যেহেতু পর্যাপ্ত তথ্য এখন আর খুজে পাওয়া যাবেনা, তাই অযথা বিতর্ক করে কোন লাভ দেখি না।
আর তার সদস্যপদ নিয়ে গোঁ ধরে বসে থাকার কারন দেখিনা, কারন সদস্যপদ একটি মামুলি ব্যাপার।

অবস্যই উনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাননি এবং বঙ্গবন্ধু ও দলের প্রতি আনুগতই ছিলেন। সুধু মন্ত্রীপদ ত্যাগ করেছিলেন।
সদস্য পদ থাকার জন্য আলাদাভাবে বাকশালে যোগ দেয়ার প্রযোজন হয়নি, কারন পরে সকল লীগ সদস্য পদাধিকার বলে বাকশাল সদস্য হয়ে গেছিলেন। সংসদ পদও বহাল ছিল। পরবর্তিতে বংগবন্ধুর সাথেও যোগাযোগ ভাল ছিল। ফিরে আসারও সম্ভাবনা ছিল।

সে কারনেই বংগবন্ধুর খুনিরা বাকশালের প্রাইম ৩ নেতার সাথে তাকেও জেলে ঢুকায় ও দ্রুত হত্যা করে।
নতুবা মার্কিন পন্থি হিসেবে পরিচিত তাজউদ্দিন কে শাহ মোয়াজ্জেম, ওবায়দুরদের সাথে মোসতাক মন্ত্রীসভায় দেখা যাওয়ার কথা।
আপনার সাথে বিতর্ক এখানেই শেষ হবে আসা করি।
চাঁদ সাহেবকে পরে ধরছি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

আমার মণে হয়, আপনার সঠিক ধরণা আছছে।

আমাকে ধরার কোন দরকার আছে কি? আমি বলছি যে, সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য শেখ সাহেব বাকশাল হয়ে সামাজিক অর্থনীতিতে যেতে চেয়েছিলেন; এটাটে একমত হলে, আমরা ২ জন একই লেভেলে ভাবছি।

২৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৪

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: গরুর রচনা গরু কিন্ত পড়ে না।মানুষঈ গরুর রচনা লেখে এবং পড়ে।২০১৫ সালে যে বাকশালের পক্ষে কথা বলে,সে গরু ছাড়া আর কিছু না।যদি গরু না হন,তাহলে আমার মন্তব্য ভালো করে সুত্রসহ পড়বেন।আশা করি মানুষ হবেন।না হলে আমি গেয়ে উঠব ো,গরু তুই মানুষ হইলি না। বাকশাল কেন খারাপ,তা কিছু গরুরুপি মানুষের জন্য তখনকার সাংবাদিকরা লিখে গেছেন। আপনার জন্য উতসর্গিত আরেকটি লেখা-

"... তিন বছরেই বাংলাদেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। হাজার হাজার লোক অনাহারে মরছে। দুর্নীতি আর প্রশাসনিক অব্যবস্থার সংমিশ্রণে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। দেশে ব্যাপকহারে রাজনৈতিক হত্যা ও সংঘর্ষ চলছে।
বাংলাদেশ - পাকিস্তানের প্রাক্তন পূর্বাংশ - যখন স্বাধীন হয় তখন শুভানুভূতি ও আন্তর্জাতিক সমর্থনের উচ্ছাস বয়ে গিয়েছিল। আগামী গ্রীষ্মকাল নাগাদ বাংলাদেশ ৩ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়ে যেত, কিন্তু সাহায্যকারী দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান পরিতাপ এই যে, বাংলাদেশ একটি প্রশাসনিক কাঠামো পর্যন্ত গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দুর্নীতির পঙ্কিলে ডুবে আছে। অধিকন্তু, জনসংখ্যা বৃদ্ধির মোকাবেলায় একটি সংঘবদ্ধ কৃষি-নীতির রূপ দেওয়ার এখনো বাকী আছে।
এ দেশের জনগণ, রিলিফকর্মীরা এবং কূটনীতিবিদগণ দুনিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটির সমস্যাবলীর ব্যাপকতায় পর্যায়ক্রমে হতাশ ও শংকিত বোধ করছেন। জাতিসংঘের একজন অফিসার মন্তব্য করলেন, "ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১৯৮০ সালের পর যা ঘটতে পারে, বাংলাদেশে এই মুহুর্তে তা ঘটছে।"
জনৈক বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ বললেন, "আমি আশা ছেড়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতে যে কি হবে, জানি না। নিজের পরিবারের ভরণ পোষণ আমার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে; অবস্থার অবনতি ছাড়া আমি আর কোন পরিবর্তন দেখছি না।"
একজন উর্ধ্বতন সরকারী কর্মচারী বললেন, "অবস্থা শুধু নৈরাশ্যব্যঞ্জকই নয়, মর্মান্তিকও বটে। নৈরাশ্যজনক এই জন্য যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ দেশের প্রতিকূলে বয়ে চলেছে। মর্মান্তিক এই জন্য যে, দেশের লোক অনাহারে মরছে। বাইরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখুন।"
অনাহারে হাজার হাজার লোক মারা গেছে। গত এক বছরে মোটা চাউলের দাম ২৪০ পার্সেন্ট বেড়েছে। প্রধান বিদেশী মুদ্রা অর্জনকারী পাটকলগুলোর উৎপাদন চার বছর আগের তুলনায় শতকরা ৪০ ভাগ কমে গেছে। হাজার হাজার চাষী হাঁড়ি-পাতিল, চাষের বলদ, এমন কি জমি-জমা বিক্রি করেও চাউল কিনে খেয়েছে। আজ তারা নি:স্ব হয়ে গ্রামের মাটি আঁকড়ে পড়ে আছে। ঢাকার রাস্তা দু:স্থা মেয়েলোকে ছেয়ে আছে এবং পয়সা ভিক্ষে করছে। কোলের নগ্ন শিশুগুলো এত জীর্ণ-শীর্ণ যে, দেখে ভয় লাগে। ক্ষুধার্ত মানুষ চারপাশে নীরবে বসে আছে। একটি মহিলা মৃত শিশু বুকে করে আমেরিকান এ্যাম্বেসী ভবনের বাইরে বিলাপ করছে।
দুর্নীতির প্রত্যক্ষ প্রমাণের কাহিনীতে ঢাকা ভরপুর। জনৈক প্রাক্তন সরকারী কর্মচারী বললেন যে, "দাতব্য ৭টি বেবীফুড টিনের মাত্র একটি এবং ১৩টি কম্বলের মধ্যে একটি মাত্র গরীবদের কাছে পৌঁছায়।" বাংলাদেশে রেড ক্রসের প্রধান ও ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, শেখ মুজিবের পরিবার এবং শিল্প, যোগাযোগ ও বাণিজ্য দপ্তরের পদস্থ আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়।
জনৈক কেবিনেট মন্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে একজন বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ বললেন : "যুদ্ধের পর তাকে (ঐ মন্ত্রীকে) মাত্র দুই বক্স বিদেশী সিগারেট দিলেই কাজ হাসিল হয়ে যেত, এখন দিতে হয় অন্তত: এক লাখ টাকা (প্রায় ১২ হাজার ডলারের মত)।"
ব্যবসার পারমিট ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আওয়ামী লীগারদের ঘুষ দিতে হয়। সম্প্রতি জনৈক অবাঙালী শিল্পপতি ভারত থেকে ফিরে আসেন এবং শেখ মুজিবের কাছ থেকে তার পরিত্যক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানাটি পুনরায় চালু করার অনুমোদন লাভ করেন। শেখ মুজিবের ভাগিনা শেখ মণি - উল্লেযোগ্য যে, তিনি ঐ কারখানাটি দখল করে বসে আছেন - হুকুম জারি করলেন যে তাকে ৩০ হাজার ডলার দিতে হবে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যে চাউল পাচার হয়ে গেছে, তার পরিমাণ ৩ থেকে ১০ লাখ টন।
শেখ মুজিবের সহকর্মীরা স্বীকার করেছেন যে, শাসক হিসেবে তার যোগ্যতা খুবই কম। খুব নগণ্য ব্যাপারাদি অনুমোদনের ফাইলে তার ডেস্ক সদা ভরে থাকে।
শেখ মুজিবকে ভাল করে জানেন এমন একজন বাংলাদেশী বললেন, "লোকজন তাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করুক, তাকে দেশের সর্বময় কর্তা হিসাবে সম্মান করুক, এটা তিনি পছন্দ করেন। তার অনুগত্য নিজের পরিবার ও আওয়ামী লীগের প্রতি। তিনি বিশ্বাসই করেন না যে, তারা দুর্নীতিবাজও হতে পারে কিংবা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে॥"
- বার্নার্ড ওয়েনবার / নিউইয়র্ক টাইমস - ডিসেম্বর ১৩ , ১৯৭৪ ইং
তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ : বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর / সম্পাদনা : মুনিরউদ্দীন আহমদ ॥ [নভেল পাবলিশিং হাউস - জানুয়ারি, ১৯৮৯ । পৃ: ৬০১-৬০২

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

এগুলো ঘটেছিল উনার ভুলের জন্য।
উনি ভুল থেকে বের হওয়ার জন্য ও যাটে েকই অবস্হা আর না হতে পারে, সেটার জন্য বাকশাল করতে চেয়েছিলেন।

২৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৫

সেয়ানা ০১ বলেছেন: তাজ উদ্দীন কি বাকশালী ছিলেন, না-কি বাকশালী ছিলেন না, এই প্রশ্নের উত্তর তার ছেলে মেয়ের চেয়ে বেশী ভাল জানে হাসান কাল বৈশাখী আর চাঁদ গাঁজী......!!!

দেশের কি ইন্ডিায়ন গান্জা আমদানী শুরু হইছে ?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার মটে তাজউদ্দিন সাহেব খারাপ অর্থনীতিবিদ ছিলেন; উনি অর্থনীতিকে কোনভাবেই কোনদিকে নেননি; তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেননি; সেই তখনকার ৩ বিলিয়ন দ্বারা চাকুরী স্বস্টি করলে দেশ তখনি ভালোর দিকে চলে যেতো।

২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৬

আমি মিন্টু বলেছেন: ওইটা মিয়া ভাই কইতে য়য় ওটাতো বুঝেনি । বাাব যে কি রুকুম দেশ চালাইছে তা আমজনতা তার কন্যার দেশ চালানোর অবস্থা
দেখেই বুঝতে পারছে। :)
তয় দুঃখের কথা কি গাজী ভাই ভালো চালাক আর খারাপ চালাক আমি মনে করি হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকা ভালো হবে ।
না হলেতো বুঝেনি কি হতে পারে তাই দুআ করুন আল্লাহুর কাছে দেশে যেন এই সরকারই ক্ষমতায় থাকে । :)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার খারাপ লাগছে যে, যারা শেখ সাহেবকে দেখেননি, কিন্তু হাসিনাকে দেখছেন; তারা শেখ সাহেব সম্পর্কে খুবই খারাপ ভাববেন।

২৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৪

কিরমানী লিটন বলেছেন: সত্যের মোড়কে সাহসী পোষ্ট-অভিবাদন আপনাকে

সতত শুভকামনা ...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মনেকরি, আমরা অনেকই আমাদের জাতিকে, ও জাতির প্রয়োজনকে বুঝি।

৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: চাদগাজীরে ধরার কিছু নাই। সারাদিন গাজার উপরেই থাকেন মনে হয়। কালকে দেখলাম মন্তব্য করছেন ক্রাক প্লাটুন বইলাও কিছু ছিলনা। ওইটা সম্প্রতি যোগ করা একটা শব্দ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উনার হাত দিয়া নতুন মাত্রা পাইতেছে। ;)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যাদর বই পড়ে লিখছেন, তারা শুনে লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা শুধু তাঁদের আছেন, যারা অংশ নিয়েছিলেন।

যুদ্ধকালীন, জেড-ফোর্সের অনেকেই অন্য প্লাটুনের লোকদের নাম জানতেন না; জানানো হতো না। ক্রেক ফ্রেক গ্রেক প্লাটুন এগুলো মুখরোচক গল্প।

৩১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

এম. আরাফাত মাহমুদ বলেছেন: আর আপনার মাথায় একটি ছাগলের পরিমান বুদ্ধি আছে বলে ধরা যায় না। কারন আপনার ইদানিং কর্মকান্ডে গরু রাইখা ছাগলও ফেল করে ফেলছেন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

কি বলেন, জিজেও হতো বুঝেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.