নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্লোবেল ওয়ার্মিং, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় কি পদক্ষেপ নিতে চান আপনি?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৯

আমাদের ৪৪ বছরের রাস্ট্র প্রধানদের নীতি মেনে, আমাদের ভিক্ষায় নামা উচিত; এই ভিক্ষা হতে পারে সিরিয়াস ব্যাপার, ধনী দেশগুলো ডলার, পাউন্ড, ইউরো ছাড়বে অনেক, মনে হচ্ছে! জলবায়ু ঝুঁকিতে আমরা ৬ নং স্হানে আছি; ১ম স্হানে হন্ডুরাস, শেষস্হানে গুয়াতেমালা; ওসব দেশে আমাদের একবস্তির সমান মানুষও নেই; ফলে, টাকা পেলে আমরাই পাবো! সুতরাং, ভিক্ষাই উত্তম হতে পারে।

আমরা বর্তমানে যে অবস্হায় আছি, এ রকম চলতে থাকলে, আমাদেরকে ভিক্ষা করতে হবে; তারপরও আমাদের মানুষ মরে, জাতি ছোট হয়ে আসবে; সেটাও একটা সমাধান!

অথবা, আমরা সঠিক ব্যবস্হা নিয়ে, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারি সসন্মানে; এটা অনেক কঠিন হবে; প্রথমত: আমাদের ভুমির তিন ভাগের একভাগ পানির নীচে চলে যাবে; যখনই ঘটনা ঘটবে, তখনই লোক সংখ্যার ঘনত্ব একলাফে ৩৩% বেড়ে যাবে; এখন, প্রতি বর্গমাইলে ৩০০০'এর কাছাকাছি, কানাডায় ৭২ জন। চাষবাস দুরে থাকুক শোয়ার যায়গাই পাওয়া যাবে না; কারণ, মানুষ নিজের যায়গা ছেড়ে দেবে না।

সিরিয়ার অবস্হা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে, কোটী কোটী মানুষ কেহ নেবে না; বিশেষ করে অশিক্ষিত, অদক্ষ, ভাষা না জানা মানুষকে কেহ নিবে না; রোহিংগাদের মত ভাসতে ভাসতে গেলেও তাড়িয়ে দেবে; মনে আছে, বাংগালীরাই রোহিংগাদের নৌকা থেকে নামতে দেয়নি গতবার। তদুপরি বিশ্বে মুসলিম সমস্যা যেভাবে প্রকট হচ্ছে, এতে সব পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অনেক ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব; এমনকি সরকার কোন ব্যবস্হা না নিলেও মানুষ নিজ চেস্টায় অনেক কিছু করতে পারবে; কোন ভিক্ষার দরকার হবে না; এমনকি বিশ্ব এসে সাহায্য করে যাবে, যদি দেখে আমরা নিজেরাই টিকে থাকার চেস্টা করছি।

আপনার কোন আইডিয়া থাকলে জানাতে পারেন।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

মাকড়সাঁ বলেছেন: Sorbo prothom amader prisromi hoita hobe and sikkito tobea amader unnoti kono bisho atkaita parbena.....taro agea proyjon ek haoea !

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংগালীরা 'এক' হয়েছিল ১৯৭০/১৯৭১ সালে; এখন আর এক হবে না সহজে।

আমাদের বেকার সমস্যার কারণে প্রা্য অর্ধেক লোক কোন 'অবদান' রাখছে না।
শিক্ষা না থাকায়, 'শ্রমের মুল্য' মোটামুটি ২/৩ ডলারের সমান দৈনিক।

ওকে, কিছুটা হলেও ভাবছেন!

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: কারিগরি শিক্ষার বহুল প্রসার দরকার। সাধারণ শিক্ষার সুযোগ সুবিধা দেশব্যাপী এক হওয়া দরকার । আর ন্যায়পরায়ণতা সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা থেকে কেন যে আমরা দূরে সরে থাকি তা বুঝিনা এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার- সমাজ পরিবর্তন বা উন্নয়নের জন্য।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:

শিক্ষিত ও দক্ষ লোকের চাহিদা বিশ্বে সব সময় আছে।
সবাইকে শিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষিত মানুষ প্রকৃতিকে জয় করতে পারে সহজে

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমাদের ৪৪ বছরের রাস্ট্র প্রধানদের নীতি মেনে, আমাদের ভিক্ষায় নামা উচিত; এই ভিক্ষা হতে পারে সিরিয়াস ব্যাপার, ধনী দেশগুলো ডলার, পাউন্ড, ইউরো ছাড়বে অনেক, মনে হচ্ছে! জলবায়ু ঝুঁকিতে আমরা ৬ নং স্হানে আছি; ১ম স্হানে হন্ডুরাস, শেষস্হানে গুয়াতেমালা; ওসব দেশে আমাদের একবস্তির সমান মানুষও নেই; ফলে, টাকা পেলে আমরাই পাবো! সুতরাং, ভিক্ষাই উত্তম হতে পারে।

আমরা বর্তমানে যে অবস্হায় আছি, এ রকম চলতে থাকলে, আমাদেরকে ভিক্ষা করতে হবে; তারপরও আমাদের মানুষ মরে, জাতি ছোট হয়ে আসবে; সেটাও একটা সমাধান!

আপাত দৃষ্টিতে আপনার মাথা ঠান্ডা বোঝা গেলেও এই কয়েকটি বাক্যে বোঝা যাচ্ছে আপনার চিন্তার দৈন্যতা। আপনি ঠান্ডা মাথার মানুষ নন। জোর করে মাথা ঠান্ডা রাখার অকার্যকরী চেষ্টা করেন। এই ব্যাপারটা আপনার মন্তব্যে ও লেখায় প্রায়ই উঠে আসে।

যেভাবে আমরা এগুচ্ছি তাতে দেশের আয়তন কমে গেলে আবাসন সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই বলে মানুষ মরে যাওয়া একটি সমাধান কোনভাবেই মানা যায় না। হয়তো এই সমস্যার জন্য দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। আর আমরা ৭১ এর পরে কবেই বা শান্ত ছিলাম?

আমার কাছে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সমাধান আছে। তবে সেটা কার্যকরী হওয়া খুবই মুশকিল কারণ সরকারের আন্তরিকতার ওপ আস্থা নাই। তাই বলেও লাভ নাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

এখনই ব্যবস্হা না নিতে পারলে, আমরা জাতি হিসেবে টিকতে পারবো না; প্রকৃতিকে জয় করতে বিদ্যার দরকার।
সরকারের পাশাপাশি শিক্ষিতদেরকে পথ বের করতে হবে।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: যদি আমরা আগত প্রাকৃতিক বির্পযয় ঠেকাতে না পারি তাহলে আমাদের এমন কোন প্রযুক্তি বের করা উচিত যাতে নিশ্চিন্তে পানির উপর বসবাস কিংবা অল্প জয়াগায় অনেক গুলো মানুষ বসবাস করতে পারে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

বিশ্বে সে সময় ৯ বিলিয়ন বাস করবে।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

স্বতঃস্ফূর্ত সুমিত বলেছেন: ১। কোন বাড়ি বা অন্য যে কোন বিল্ডিং বানানোর সময় আর্কিটেকচারকে বলা উচিৎ এমনভাবে ডিজাইন করতে যাতে বিল্ডিং এর কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কম হয়।

২। প্রাইভেট কারের চেয়ে বাস ভাল, কারণ কয়েক লেনের প্রাইভেট কারকে বাস এক লেনে নিয়ে আসতে পারে। ছোট দূরত্বের জন্য সাইকেল, রিকসা ভাল।

৩। বাসায় নরমাল লাইট বাল্বের বদলে CFL বা LED বাল্ব ব্যাবহার করা উচিৎ।

৪। বারান্দায়, ঘরে, ছাদে, আঙ্গিনায় পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগানো উচিৎ।

৫। মাংসের উপর চাপ কমিয়ে মাছ, শাক সবজির উপর বেশি নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ।

৬। আমাদের ফারনেস ও এয়ার কনডিশন এর এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার ও নিয়মিত বদলানো উচিৎ।

৭। কাগজ পত্র, খাতা ইত্যাদির অপচয় করা করা উচিৎ না। ফটোকপি করার সময় এপিঠ-ওপিঠ ফটোকপি করুন। টিস্যুপেপার ইউসও কম করুন। টয়লেট এ টয়লেট পেপার ব্যবহারের চেয়ে পানি ব্যবহার করা ভাল।

৮। ছোট ফ্রিজ না কিনে বড় ফ্রিজ কিনুন; ফ্রিজকে ওভেন, চুলা, রোদ থেকে দূরে রাখুন; এনার্জি সেভার সুইচ থাকলে সেটা ব্যবহার করুন; ফ্রিজ ১০ বছর পুরোনো হয়ে গেলে নতুন একটা কিনুন; দরজা বেশিক্ষণ খুলে রাখবেন না; কোন জায়গায় খাবারের বেশি ভিড় না করে সমান ভাবে ছড়িয়ে রাখুন সব জায়গায়; তাপমাত্রা প্রয়োজন এর চেয়ে বেশি কমাবেন না।

৯। কাপড় ধোয়ার সময় বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিৎ না, ডিটারজেন্ট প্রয়োজনের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ না, ওয়াশিং মেশিন ফুল লোডে রাখা উচিৎ, কাপড় ড্রাই করার ক্ষেত্রে ড্রায়ার ব্যাবহারের চেয়ে ন্যাচারাল উপায়ে মানে নেড়ে দিয়ে ড্রাই করা ভাল যেটা আমরা বেশিরভাগই করে থাকি।

১০। গরম পানিতে গোসল না করে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে পানির অপচয় করবেন না। টয়লেটে এক্সট্রা ফ্ল্যাশ করবেন্না, পারলে লো ফ্লো ফ্ল্যাশ লাগান, অন্যান্য ক্ষেত্রেও যেমন কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পানির অপচয় কমান।

১১। রান্নার সময় ঢাকনা খুলে খাবারের অবস্থা কি চেক করা হয়, এই অভ্যাসটা কমানো উচিৎ; ওভেন, মাইক্রোওয়েভ, স্টোভ ইত্যাদি পরিষ্কার রাখা উচিৎ; ওভেন ইউস এর ক্ষেত্রে প্রিহিটিং কেবল যে খাবারের জন্য প্রিহিটিং দরকার তাদের বেলাতেই করুন; মাইক্রোওয়েভ ইলেক্ট্রিক ওভেন এর চেয়ে অনেক ভাল, সেটা ব্যবহার করুন; রান্নার ক্ষেত্রে বা খাবার গরম করার ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ চুলা বা স্টোভের চেয়ে অনেক ভাল; প্রেশারকুকার ব্যাবহার করুন; পানি গরম করার সময় সেটা ফুটতে শুরু করলে তা আর বেশি হিট নেয় না, তাই সেসময় হিট কমিয়ে দিন; প্রয়োজনের বেশি পানি গরম করবেন না; শাক সবজি কাটার সময় যত ছোট করে কাটবেন তত ভাল।

১২। যে সব ইলেক্ট্রিক বা অফিস ইকুয়িপমেন্টে রিমোট কনট্রোল, ব্যাটারি চার্জার, ইন্টারনাল মেমোরি, এসি এডাপ্টার প্লাগ, ইনস্ট্যান্ট-অন ফিচার, পারমানেন্ট ডিসপ্লে, সেন্সর আছে সেগুলো সুইচ অফ করার পরও ইলেক্টিসিটি ব্যবহার করে। এগুলোর মধ্যে টিভি, ভিসিআর, মাইক্রোওয়েভ, কমপিউটার, ব্যাটারি চার্জার সহ আরও অনেক কিছুই আছে। এসব ক্ষেত্রে সুইচ অফ করার পর প্লাগও খুলে ফেলা উচিৎ।

১৩। ব্যাটারিচালিত জিনিসের চেয়ে এসি কারেন্টে চলা জিনিস ভাল কিন্তু স্ট্যান্ডবাই রেটিং যেন কম হয়। ব্যাটারি চালিত জিনিসগুলো ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলো রিচার্জেবল হয়।

১৪। কম্পিটারের ক্ষেত্রে স্ক্রিন সেভার কখনোই এনার্জি সেভ করে না। এটা তৈরি করা হয়েছিল যাতে আপনার ইনেক্টিভিটির সময় ডকুমেন্টগুলো "বার্ন" না করে। এটা আজকের মনিটরগুলোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না। কিন্তু কম্পিউটারকে স্লিপ মোডে (স্ট্যান্ডবাই) রাখাটা কাজের। এটা ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ একেবারে বন্ধ করে ফেলা আরও বেশি কার্যকরী। তাই ১ ঘণ্টার বেশি সময় ইনেফেক্টিভ থাকলে তা বন্ধ করাই শ্রেয়। পূর্বের একটা ধারণা ছিল যে বার বার কম্পিউটার অন অফ করলে হার্ড ড্রাইভে বেশি চাপ পড়ে ও তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে আর তা হবে না কারণ এখনকার হার্ডড্রাইভগুলো ২০ হাজার অন অফ সাইকেল সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। বন্ধ করা হার্ড ড্রাইভের জন্য এখন আরও বেশি ভাল কেননা আপনি হার্ড ড্রাইভকে এক্ষেত্রে কম সময়ের জন্য ব্যবহার করছেন। মনিটরের ক্ষেত্রে CRT এর চেয়ে LCD অনেক ভাল।

১৫। ফটোকপি করার সময় পৃষ্ঠার এপিঠ-ওপিঠ ফটোকপি করুন, আর আলাদা আলাদাভাবে ফটোকপি না করে, আধুনিক ডিজিটাল ফটোকপি মেশিনে এক সাথে অনেক পেজ ফটোকপি করতে দিন। আর যত কম কাগজ ব্যবহার করবেন তত ভাল এটা তো আগেও বলেছি।

১৬। বিল্ডিংগুলোতে বানানোর সময় থার্মাল ইনস্যুলেটর ব্যবহার করুন, জানালার গ্লাসও আর্কিটেকচারারদের সাথে কথা বলে নির্বাচন করতে হবে। থার্মাল ইনস্যুলেটিং সিস্টেম ভাল হলে বিল্ডিং এর ভেতরে তাপের সমবণ্টন হয়। ফ্যান ও এয়ারকনডিশন কম ইউস করা লাগে। এতে এনার্জি সেভিং হয়।

১৭। ফ্যানে রেগুলেটর দিয়ে স্পিড কমালে বেশি বিদ্যুৎ সমান খরচ হবে না কম খরচ হবে এক্ষেত্রে অনেক মানুষের অনেক রকম ধারণা আছে। এই পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করে আপনি কিরকম রেগুলেটর ব্যবহার করছেন তার উপর। যদি রিওস্টেট প্রিন্সিপল এর রেগুলেটর বা কনভেনশনাল রেগুলেটর ব্যবহার করেন (গ্রামে গঞ্জে যেগুলো ব্যবহার করা হয়) তাহলে ফ্যানের স্পিড কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমবে না। কিন্তু যদি ক্যাপাসিটর ইউস করা ইলেকট্রিক রেগুলেটর ব্যবহার করেন (শহরের মানুষেরা বাসাবাড়িতে যেমন্টা ব্যবহার করে) তাহলে ফ্যানের স্পিড কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমবে, এনার্জির সেভিং হবে।
১। কোন বাড়ি বা অন্য যে কোন বিল্ডিং বানানোর সময় আর্কিটেকচারকে বলা উচিৎ এমনভাবে ডিজাইন করতে যাতে বিল্ডিং এর কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কম হয়।

২। প্রাইভেট কারের চেয়ে বাস ভাল, কারণ কয়েক লেনের প্রাইভেট কারকে বাস এক লেনে নিয়ে আসতে পারে। ছোট দূরত্বের জন্য সাইকেল, রিকসা ভাল।

৩। বাসায় নরমাল লাইট বাল্বের বদলে CFL বা LED বাল্ব ব্যাবহার করা উচিৎ।

৪। বারান্দায়, ঘরে, ছাদে, আঙ্গিনায় পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগানো উচিৎ।

৫। মাংসের উপর চাপ কমিয়ে মাছ, শাক সবজির উপর বেশি নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ।

৬। আমাদের ফারনেস ও এয়ার কনডিশন এর এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার ও নিয়মিত বদলানো উচিৎ।

৭। কাগজ পত্র, খাতা ইত্যাদির অপচয় করা করা উচিৎ না। ফটোকপি করার সময় এপিঠ-ওপিঠ ফটোকপি করুন। টিস্যুপেপার ইউসও কম করুন। টয়লেট এ টয়লেট পেপার ব্যবহারের চেয়ে পানি ব্যবহার করা ভাল।

৮। ছোট ফ্রিজ না কিনে বড় ফ্রিজ কিনুন; ফ্রিজকে ওভেন, চুলা, রোদ থেকে দূরে রাখুন; এনার্জি সেভার সুইচ থাকলে সেটা ব্যবহার করুন; ফ্রিজ ১০ বছর পুরোনো হয়ে গেলে নতুন একটা কিনুন; দরজা বেশিক্ষণ খুলে রাখবেন না; কোন জায়গায় খাবারের বেশি ভিড় না করে সমান ভাবে ছড়িয়ে রাখুন সব জায়গায়; তাপমাত্রা প্রয়োজন এর চেয়ে বেশি কমাবেন না।

৯। কাপড় ধোয়ার সময় বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিৎ না, ডিটারজেন্ট প্রয়োজনের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ না, ওয়াশিং মেশিন ফুল লোডে রাখা উচিৎ, কাপড় ড্রাই করার ক্ষেত্রে ড্রায়ার ব্যাবহারের চেয়ে ন্যাচারাল উপায়ে মানে নেড়ে দিয়ে ড্রাই করা ভাল যেটা আমরা বেশিরভাগই করে থাকি।

১০। গরম পানিতে গোসল না করে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে পানির অপচয় করবেন না। টয়লেটে এক্সট্রা ফ্ল্যাশ করবেন্না, পারলে লো ফ্লো ফ্ল্যাশ লাগান, অন্যান্য ক্ষেত্রেও যেমন কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পানির অপচয় কমান।

১১। রান্নার সময় ঢাকনা খুলে খাবারের অবস্থা কি চেক করা হয়, এই অভ্যাসটা কমানো উচিৎ; ওভেন, মাইক্রোওয়েভ, স্টোভ ইত্যাদি পরিষ্কার রাখা উচিৎ; ওভেন ইউস এর ক্ষেত্রে প্রিহিটিং কেবল যে খাবারের জন্য প্রিহিটিং দরকার তাদের বেলাতেই করুন; মাইক্রোওয়েভ ইলেক্ট্রিক ওভেন এর চেয়ে অনেক ভাল, সেটা ব্যবহার করুন; রান্নার ক্ষেত্রে বা খাবার গরম করার ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ চুলা বা স্টোভের চেয়ে অনেক ভাল; প্রেশারকুকার ব্যাবহার করুন; পানি গরম করার সময় সেটা ফুটতে শুরু করলে তা আর বেশি হিট নেয় না, তাই সেসময় হিট কমিয়ে দিন; প্রয়োজনের বেশি পানি গরম করবেন না; শাক সবজি কাটার সময় যত ছোট করে কাটবেন তত ভাল।

১২। যে সব ইলেক্ট্রিক বা অফিস ইকুয়িপমেন্টে রিমোট কনট্রোল, ব্যাটারি চার্জার, ইন্টারনাল মেমোরি, এসি এডাপ্টার প্লাগ, ইনস্ট্যান্ট-অন ফিচার, পারমানেন্ট ডিসপ্লে, সেন্সর আছে সেগুলো সুইচ অফ করার পরও ইলেক্টিসিটি ব্যবহার করে। এগুলোর মধ্যে টিভি, ভিসিআর, মাইক্রোওয়েভ, কমপিউটার, ব্যাটারি চার্জার সহ আরও অনেক কিছুই আছে। এসব ক্ষেত্রে সুইচ অফ করার পর প্লাগও খুলে ফেলা উচিৎ।

১৩। ব্যাটারিচালিত জিনিসের চেয়ে এসি কারেন্টে চলা জিনিস ভাল কিন্তু স্ট্যান্ডবাই রেটিং যেন কম হয়। ব্যাটারি চালিত জিনিসগুলো ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলো রিচার্জেবল হয়।

১৪। কম্পিটারের ক্ষেত্রে স্ক্রিন সেভার কখনোই এনার্জি সেভ করে না। এটা তৈরি করা হয়েছিল যাতে আপনার ইনেক্টিভিটির সময় ডকুমেন্টগুলো "বার্ন" না করে। এটা আজকের মনিটরগুলোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না। কিন্তু কম্পিউটারকে স্লিপ মোডে (স্ট্যান্ডবাই) রাখাটা কাজের। এটা ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ একেবারে বন্ধ করে ফেলা আরও বেশি কার্যকরী। তাই ১ ঘণ্টার বেশি সময় ইনেফেক্টিভ থাকলে তা বন্ধ করাই শ্রেয়। পূর্বের একটা ধারণা ছিল যে বার বার কম্পিউটার অন অফ করলে হার্ড ড্রাইভে বেশি চাপ পড়ে ও তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে আর তা হবে না কারণ এখনকার হার্ডড্রাইভগুলো ২০ হাজার অন অফ সাইকেল সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। বন্ধ করা হার্ড ড্রাইভের জন্য এখন আরও বেশি ভাল কেননা আপনি হার্ড ড্রাইভকে এক্ষেত্রে কম সময়ের জন্য ব্যবহার করছেন। মনিটরের ক্ষেত্রে CRT এর চেয়ে LCD অনেক ভাল।

১৫। ফটোকপি করার সময় পৃষ্ঠার এপিঠ-ওপিঠ ফটোকপি করুন, আর আলাদা আলাদাভাবে ফটোকপি না করে, আধুনিক ডিজিটাল ফটোকপি মেশিনে এক সাথে অনেক পেজ ফটোকপি করতে দিন। আর যত কম কাগজ ব্যবহার করবেন তত ভাল এটা তো আগেও বলেছি।

১৬। বিল্ডিংগুলোতে বানানোর সময় থার্মাল ইনস্যুলেটর ব্যবহার করুন, জানালার গ্লাসও আর্কিটেকচারারদের সাথে কথা বলে নির্বাচন করতে হবে। থার্মাল ইনস্যুলেটিং সিস্টেম ভাল হলে বিল্ডিং এর ভেতরে তাপের সমবণ্টন হয়। ফ্যান ও এয়ারকনডিশন কম ইউস করা লাগে। এতে এনার্জি সেভিং হয়।

১৭। ফ্যানে রেগুলেটর দিয়ে স্পিড কমালে বেশি বিদ্যুৎ সমান খরচ হবে না কম খরচ হবে এক্ষেত্রে অনেক মানুষের অনেক রকম ধারণা আছে। এই পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করে আপনি কিরকম রেগুলেটর ব্যবহার করছেন তার উপর। যদি রিওস্টেট প্রিন্সিপল এর রেগুলেটর বা কনভেনশনাল রেগুলেটর ব্যবহার করেন (গ্রামে গঞ্জে যেগুলো ব্যবহার করা হয়) তাহলে ফ্যানের স্পিড কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমবে না। কিন্তু যদি ক্যাপাসিটর ইউস করা ইলেকট্রিক রেগুলেটর ব্যবহার করেন (শহরের মানুষেরা বাসাবাড়িতে যেমন্টা ব্যবহার করে) তাহলে ফ্যানের স্পিড কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমবে, এনার্জির সেভিং হবে।


১৮। আর আসল কথা বলতে তো ভুলেই গেছি। ম্যাচের কাঠি বাঁচানোর জন্য চুলা জ্বালিয়ে রাখার মত লেইম জিনিস আমাদের দেশের মত ঝুঁকিপূর্ণ দেশে আর কিছুই হতে পারে না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাড়ে ৭ বিলিয়ন যদি আপনার নিয়মগুলো মেনে চলে, গ্লোবেল ওয়ার্মিং কিছুটা পেছনে সরবে।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

তাল পাখা বলেছেন: আগেভাগে মংগল গ্রহে বুকিং দেয়া উচিত মনে হয়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ পৃথিবী ছেড়ে কোথায়ও যেতে পারবে না।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুবই চিন্তার বিষয়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:

চিন্তা হলো সমাধানের উপায়।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই অসাধারন অভিযোজন ক্ষমতার অধিকারী। তা না হলে এত ছোট্ট একটা দেশে এত লোকের টিকে থাকার কথা না যা মুক্তিযুদ্ধের পরে অনেক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মতামত দিয়েছে।

কিন্তু তাদের সে ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে আজো আমরা মাথা উঁচু করে টিকে আছি। এবং শুধু টিকেই নেই অনেক দেশের জন্য উদাহরণ হয়েছি। আর মনে করার কারণ নেই যে এইসব কিছু তথাকথিত সরকার পরিচালনাকারীরা এই সাফল্য বয়ে এনেছে। বরং তারা দেশটাকে আরো পিছনে টেনেছে। আজ যা কিছু ঘটেছে সব এই বাংলার অসীম সাহসী মানুষের প্রচেষ্টার ফলেই ঘটেছে।

তাই বলাই যায় এই নতুন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আসন্ন দুর্যোগও এই আবুল-হাবুল-কাবুলেরাই মোকাবেলা করবে। আমরা কিংবা এসি রুমে বসে সরকার প্রধানেরা যতই কিবোর্ডে ঝড় তুলি না কেন? তারা অতীতেও দেখিয়েছে (মুক্তিযুদ্ধ), বর্তমানেও দেখাচ্ছে (ধানের ফলন), ভবিষ্যতেও দেখাবে এ আশা করাই যায়।

আর জলবায়ু তহবিলের টাকা কতটা জনগণের কাজে আসবে আর কতটা ভদ্রবেশী কুলাংগারের পকেটে যাবে সেটাও ভাবনার বিষয়।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জলবায়ু ফান্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার দৌড়ছে শুধু ডাকাতির আশায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.