নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধিমানদের হত্যা করলো ঘর থেকে নিয়ে, যুদ্ধ করলেন কারা?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

পরাজয়ের আগে, মনে হয়, ২ হাজার শিক্ষিত মানুষকে ঘর থেকে নিয়ে হত্যা করেছে আল-বদর; আল-বদরের লোকেরা এদের সাথে একই যায়গায়, বা একই ধরণের কাজ করার সুবাদে, বা পড়ার সুবাদে এদের জানতো! ভাগ্য ভালো যে, আল বদর যথেস্ট সময় পায়নি; সময় পেলে আরো ১০/২০ হাজারকে ধরে নিয়ে যেতো।

যে ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের সামান্য কয়েকজন নিজের ভুলের জন্য, পাকী এবং রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েছিলেন; বাকীদের প্রাণ গেছে রনাংনে!

৯ মাসের যুদ্ধে পাকী বাহিনী প্রতিটি মুক্টিযোদ্ধার ঠিকানা, পরিবারের ডাটা সংগ্রহ করেছিল; ৯০% মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীঘর পোড়ায়ে দিয়েছে; পরিবারের লোকজনকে হতয়া করেছে, নির্যাতন করে আহত করেছে, আটকায়ে রেখেছিল।

যাঁরা যুদ্ধে ছিলেন, তাঁদেরকে বাড়ী থেকে ধরার প্রশ্ন উঠেনি; কারণ তাঁরা ছিলেন রণাংগণে; অনেক গেরিলা ছিল দেশের ভিতরে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তাদের ট্রেনিং ছিল বাড়ীতে না থাকার জন্য, এমন কি অন্যদের বাড়ীতে না থাকার ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। যাঁরা গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম মানেননি, সেই রকম সামান্য কিছু গেরিলা ধরা পড়েছিলেন।

যাক দেখা যাচ্ছে যে, বুদ্ধিমানদের বাড়ী থেকে বা কাজের যায়গা থেকে ধরে নিয়ে গেছেন; যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, বিজয় এনেছেন, বণক্ষেত্রে প্রাণ দিয়েছেন, এঁরা কাঁরা?

আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি, যাঁরা জাতির ঘোর দুর্দিনে, যুদ্ধের সময়, হাতে অস্ত্র নিয়েছিলেন, প্রাণ দিয়েছেন, দেশ মুক্ত করেছেন, তাঁরা ছিলেন সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিমান।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এইভাবে কখনও চিন্তা করিনি। তাহলে তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলা হয় কেন? বাড়িতে বসে বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিলেন বলে নাকি যুদ্ধের বিভিন্ন কলা কৌশল বা দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন? অথবা অন্য কোন ভাবে মুক্তি যুদ্ধাদের সহায়তা করছিলেন অথবা বিদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করছিলেন? আসলে আমি জানতে চাচ্ছি সেই সময়ে তাদের ভুমিকা কি ছিল?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাঁদের বাড়ীথেকে নিয়ে হত্যা করেছে, তারা পরিচিত মুখ ছিলেন; আল বদরেরা জানতো যে, এসব লোক পাকিস্তান বিরোধী।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

কবি এবং হিমু বলেছেন: দেশ আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চিন্তা করলে মাথা ব্যাথা হয়ে যায়।হিসেব মিলাতে পারি না।কেবল মন থেকে এটা কামনা করি তাদের এই আত্মদান যেন বিফলে না যায়।যেন দেশটা তাদের দেখা স্বপ্নের মতো গড়ে উঠে।আর যারা দেশ চালনায় বসবে তারা যেন এ বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ করে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরিদ্র ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, কৃষকের ছেলেরা, দরিদ্র পরিবারের ছাত্ররা যুদ্ধ করেছিলেন।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যাঁরা জাতির ঘোর দুর্দিনে, যুদ্ধের সময়, হাতে অস্ত্র নিয়েছিলেন, প্রাণ দিয়েছেন, দেশ মুক্ত করেছেন, তাঁরা ছিলেন সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিমান। এবং দেশপ্রেমিক।। বুদ্ধিমান লোকদেরও দেশপ্রেমকেও আমি সন্মানের চোখে দেখি কিন্তু ফ্রিডম ফাইটারদের পরে।।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই সময়ে, প্রয়োজন ছিলো, অস্ত্রধারী যোদ্ধা

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিজীবী কি এক কথা?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

না, এক নয়।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমি কিছুটা দ্বিমত পোষন করছি, তাঁরা বুদ্ধিমান ছিলেন না, তাঁরা ছিলেন সত্যিকারের নিখাদ দেশপ্রেমিক, সর্বকালের। আমাদের তখন বুদ্ধিমানদের চাইতে সাহসি মানুষদের প্রয়োজন ছিলো। বুদ্ধিমানদের একটা অংশ তখন রাজাকারও হয়ে গিয়েছিলো, আরএকটা অংশ যুদ্ধে না যোগদান করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখন দরকার ছিলো অস্ত্রহাতে যোদ্ধা

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮

কোলড বলেছেন: "বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিজীবী কি এক কথা" This statement is right. You cant expect Pakistan army to do nothing when you criticize them during critical time and draw salary while staying in Dhaka university unless you are an imbecile.

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



You are mistaken, a civilian cannot be killed without going thru some kinds of prosecution; only Pakis and Bangladeshi mentally sicks can kill people without reasons.

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: বুদ্ধিজীবী শব্দের অর্থ কি? কৃষিজীবী, চাকুরীজীবী, মৎস্যজীবী ইত্যাদি শব্দের অর্থানুসারে হিসাব করলে যারা বুদ্ধি যোগান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে৷ তাহলে যুদ্ধের সময় তারা আসলে কি করত? তাদের কাজ আসলে কি ছিল?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিহতরা ডাক্তার, শিক্ষক, প্রফেসর, ইন্জিনিয়ার, সাগবাদিক ছিলেন; উনাদের এক কথায় বুদ্ধিজীবি বললে কোন অসুবিধা নেই।

তবে, যাঁরা অস্ত্র হাতে নিয়ে ছিলেন, সঠিক বুদ্ধি উনাদের ছিল।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩

সজিব্90 বলেছেন: তালগোল পাকানো মুক্তি যুদ্ধ, কোনও কিছুতেই স্বচ্ছতা নাই। পাকিস্তান কে এক পাশে রেখে যদি নিজেদের ভিতরে বিশ্লষণ করেন দেখতে পাবেন মুক্তি যুদ্ধ কে ছিনতাই করার ষড়যন্ত্র ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, এর বাইরে বলার কিছু নেই।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: বুদ্ধিজীবী হিসেবে তালিকার প্রথমে যাদের নাম আছে তাদের অবদান তো স্বীকার করা যায় না। আসলে সেই সময়ের চিন্তাধারা এই সময়ের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করাটা খুব কঠিন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি সেই সময়ের লোক, যখন গ্রামের চাষীর ছেলে, দিন মুজুর ও দরিদ্র ঘরের ছাত্রা দেশের জন্য যুদ্ধে গেছেন।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: বুদ্ধিমানরা বাড়ীতে বসে থাকেনি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

স্বধীনতা অর্জন করতে হয়

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

হুমায়ুন রাশেদ শোভন বলেছেন:
“দরিদ্র ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, কৃষকের ছেলেরা, দরিদ্র পরিবারের ছাত্ররা যুদ্ধ করেছিল।”
১৬ ডিসেম্বরে পাকিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এদের কোন প্রতিনিধিত্বকারী উপস্থিত ছিলেন না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

আত্মেসমর্পণটা মোটামুটি হয়েছিল ভারতীয় কমান্ডের কাছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা ছিলেন তাজুদ্দিন, ওসমানী ও শেখ সাহেব; ৩ জনই নিজের মানুষদের চিনেননি, উনাদের বুদ্ধিমত্তা সঠিক ছিলো বলে মনে হয় না।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

নীল জানালা বলেছেন: যুদ্ধখানা যদি এখন হইত তাইলে দেখা যাইত খেইল। যেইসকল জোয়ান মর্দ আজকের ক্ষমতাবানদের প্রটেকশনে জয় বাংলা জয় বাংলা বইলা গলা ফাটাইতাসে তাদের একটা বিরাট অংশরেই তখন দেখা যাইত প্যাকিস্তান ঝিংগারবাপ বইলা আলবদর রাজাকার গিরি করত। কারন, সুবিধাবাজ সব সময়ই সুবিধাবাজ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, নির্বাচিত ৮০ জনের বেশী আওয়ামী এমপি পাকীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।

১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি, যাঁরা জাতির ঘোর দুর্দিনে, যুদ্ধের সময়, হাতে অস্ত্র নিয়েছিলেন, প্রাণ দিয়েছেন, দেশ মুক্ত করেছেন, তাঁরা ছিলেন সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিমান।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটাই বিশ্বাস

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১

ঘূণে পোকা বলেছেন: চাদ্গাজী আপনি আর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেখছি দুই মায়ের একই পোলা , জন্ম ঠিকমত হইছিলো কি নাকি পাকি বীর্য এর মিশ্রনে আসছেন এই সোনার বাংলায় ;) ;)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

বুদ্ধিমানেরা যুদ্ধ করেছেন; সামনা সামনি যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন।

শিক্ষিত দুরের কথা, কেরানীও যুদ্ধে যায়নি

১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

ঘূণে পোকা বলেছেন: দাদা যুদ্ধে যারা নিজেদের শারীরিক সর্ব চ্চ শ্রম দিয়ে একটি পতাকা ছিনিয়ে এনেছে তাদের প্রতি আ্মাদের ভালবাসা কোন কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না, তেমনি যারা তাদের লেখনির মাধ্যমে এদেশের আপামর বাংলার জন্য লড়াই করে গেছেন আপনি তাদের অবদান কিভাবে নিমকখারামের মত ভুলে যান :( :(

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি কিছু ভুলছি না, ছেড়া কগজে কেহ কাব্য লেখে না, উহা চানাচুরের ঠোংগার কাজ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.