নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতীয়, পাকিস্তানী, মংগল গ্রহের কে কি বলছে?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯

২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার কি 'বীর' ছিল, নাকি 'খলনায়ক' ছিল, সেটা বুঝার জন্য এনালাইটিক্যাল ও লজিক্যাল ধারণার অধিকারী হতে হয়; বাংগালী তো পলাশীর যুদ্ধও ঠিকমত বুঝে পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারে না! তারা কি করে, পাকিস্তানী বাহিনীর বিপক্ষে, সাধারণ মানুষের 'ভলনটিয়ার মুক্তিসেনাদের কমপ্লেক্স যুদ্ধকে' বুঝবে?

ভারতীয় কোন সাংবাদিক আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি লিখছে, কোন পাকী মন্ত্রী বা রিটায়ার্ড লেফটান্যান্ট কি বলেছে, বা মংগল গ্রহের এলিয়েন, E.T. কি বলেছে, সেটা নিয়ে ঘর্মাক্ত হওয়ার আগে কি মেজর জিয়া, মেজর রফিক, মেজর জলিল, ক্যাপটেন ওলি কি লিখেছেন, বা ১১ জন সেক্টর কমান্ডার কি লিখেছেন, তা পড়া সম্ভব হয় না?

ভারতীয় কোন পাগল, বা পাকী কোন ছাগলেের মলমুত্র কি মেজর জিয়া, মেজর রফিক, ক্যাপ ওলির বই থেকে বেশী? গ্রামের চাষীর ছেলের যুদ্ধের বিবরণ, চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রযোদ্ধাদের বিবরণ, বেংগলের সৈনিকের বিরবরণ, ইপিআর সৈনিকের বিবরণ কি খাট মনে হয়?

আসলে আপনারা শ্রোতাও নন, পাঠকও নন, আপনাদের এনালাইসিস ক্ষমতা ছোট, দিব্য চক্ষু নেই; না হলে, ৯ মাসের মানুষের যুদ্ধ, ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার আত্মদান আপনাদেরকে সঠিক ইতিহাসকে অনুধাবন করার ক্ষমতা দিতো।

ভারতীয় সাংবাদিকেরা কি ঢাকার সাংবাদিকদের থেকে অনেক বেশী দক্ষ? পাকীরা কি নিজেদের ইতিহাস জানে? তাদের কথায় এত লাফালাফি কেন? আমাদের ইতিহাস তো আমাদের জানতে হবে, আমাদেরকে লিখতে হবে, আমাদেরকে বুঝতে হবে! এবং ইতিহাস মনে রাখা, বুঝা ও এনালাইসিস করার জন্য ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়; কোন সবাজেক্টে চান্স না পেয়ে ইসলামি হিস্ট্রি নেয়া মানে, ইতিহাস সোজা হয়ে যায়নি।

৯ মাসের যুদ্ধকে পাকী মিলিটারী সরকার পাকিস্তানের জনতা থেকে লুকায়ে রেখেছিল; তারা মানুষককে সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়নি, এবং ১৯৭১ সালে কত জন পাকিস্তানী দেশকে বুঝতো; আবার, ইন্দিরা গান্ধীও বাংলার মানুষের যুদ্ধকে 'লো-প্রোফাইলে' রেখেছিলেন; কারণ, ভারত আমাদের অস্ত্র ও ট্রেনিং দিচ্ছিল; গান্ধী এটাকে বড় করে ফলাও করেনি, কারণ চীন ও আমেরিকা দুটোই পাকীদের পক্ষে ছিল; এবং পাকীরা চাচ্ছিল চীনকে ভারতের বিপক্ষে যুদ্ধে টানতে; ভারতের চীন পন্হিরাও আমাদের যুদ্ধকে সমর্থন করেনি; ফলে, ইন্দিরা কৌশলে মিডিয়াকে আয়ত্বে রেখেছিল, যাতে ভারতে অবস্হিত ট্রেনিং সেন্টার ইতয়াদি বেশী ফোকাস না হয়।

নিজের জাতির গল্প নিজেদের সৈনিকদের থেকে শুনুন; আপনার সম্পর্কে সব কাহিনী আপনার মা জানেন, আপনার মাসী নয়; ভাবতে শিখেন, মগজকে ব্যবহার করেন; আর ধরে নেন, পাকীি মানেই ধুর্ত ও মিথ্যুক, আর ইন্ডিয়ান মানে সবাই ইন্দিরা গান্ধী নয়।



মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আজকের ব্লগের কিছু পোস্টের গেলো গেলো রবে এটা দারুন উত্তর। অনেক ধন্যবাদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আপনাকে।

"নিজের জাতির গল্প নিজেদের সৈনিকদের থেকে শুনুন; আপনার সম্পর্কে সব কাহিনী আপনার মা জানেন, আপনার মাসী নয়; " দারুন বলেছেন। শেষলাইন দুর্দান্ত।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

মাকে ফেলে মাসীরকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে যায় আমাদের তরুণ ইতিহাসবিদেরা।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার কাছে আমি যেটা জানি,সেটাই বড়।। আর কারো কথা বা লেখার তোয়াক্কা করি না।।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুদ্ধ করেছে বাংগালীর বাচ্ছারা, ভারতীয় সাংবাদিকও করেনি, পাকি মন্ত্রীও করেনি।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩

আমি মিন্টু বলেছেন: খুব সুন্দর ভাবে বয়ান দিছেন নিজের জাতির গল্প নিজেদের সৈনিকদের থেকে শুনুন; আপনার সম্পর্কে সব কাহিনী আপনার মা জানেন, আপনার মাসী নয়; ভাবতে শিখেন, মগজকে ব্যবহার করেন; ভালো লাগলো আপনার জন অনেক
শ্রদ্ধা থাকলো সাথে বিজয় এর শুভেচ্ছাও থাকল ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিজয়ের শুভেচ্ছা।

ভারতের পুর্ব সীমান্তে যেসব ডিভিশন '৭১ সালে ছিলেন, তারা জানেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে; উনারা আমাদের সন্মান করতেন।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩

রাফা বলেছেন: বিদেশি সার্টিফিকেট ছাড়া আমরা জাতে উঠতে পারিনা।কাজেই সেটার পেছনেই ছুটতেছে -।আমি একজনকে পেয়েছি ,বাংলাদেশের সাংবাদিক লিখছে তাই সেটা বিশ্বাস করাইতে পারতেছিনা।এখন ভাবতেছি নিউ ইয়র্ক টাইমস ছাড়া কোন লিংক দিবোনা কোন ছাগিয়তাবাদি সৈন্যদের।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয় মুভি দেখে, চীনা কলম ব্যবহার করে, আমেরিকান কসমেটিকস ব্যবহার করে, জাতির অনেকই ভুলে গেছেন যে, আমাদের নিজেরও কিছু থাকতে পারে।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভারতীয় সাংবাদিকেরা কি ঢাকার সাংবাদিকদের থেকে অনেক বেশী দক্ষ? পাকীরা কি নিজেদের ইতিহাস জানে? তাদের কথায় এত লাফালাফি কেন? আমাদের ইতিহাস তো আমাদের জানতে হবে, আমাদেরকে লিখতে হবে, আমাদেরকে বুঝতে হবে! এবং ইতিহাস মনে রাখা, বুঝা ও এনালাইসিস করার জন্য ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়।


চরমভাবে সহমত!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রামের চাষীর ছেলে যুদ্ধ শেষ এসে যা বলেছেন সেটাই আমাদের যুদ্ধ, যা বলেছেন বেংগল ও ইপিআর' সৈনিক, সেটাই আমাদের ইতিহাস!

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭

কবি এবং হিমু বলেছেন: অনেক চমৎকার একটি লেখা।আসলেই কথাটা ঠিক বলেছেন।তারপর ও আমার মতে আমাদের নিজেদের ইতিহাস নিজেদের মানুষের কাছ থেকে জানার পাশাপাশি এটা ও জানা দরকার আমাদের ইতিহাস নিয়ে বর্হি বিশ্বের মানুষ কি ভাবে।আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব আর সম্মান যদি অন্যরা তাদের নামে চালিয়ে দেয় তাহলে কোন কিছু করার ক্ষমতা না থাকলে ও প্রতিবাদ টুকো তো করতে পারি বা করা দরকার।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইতিহাস কঠিন বিষয়; কার কাছে শুনছি সেতাও বিষয়; লাখ লাখ বাংগালী ইতিহাসকে না বুঝে, মনে করে হিটলার বীর ছিলো। কোন বিদেশীর কাছে শনছি তা দেখটে হবে, সে কি ইতিহাসের লোক, নাকি ফেইসবুকের পোকা

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "নিজের জাতির গল্প নিজেদের সৈনিকদের থেকে শুনুন; আপনার সম্পর্কে সব কাহিনী আপনার মা জানেন, আপনার মাসী নয়; ভাবতে শিখেন, মগজকে ব্যবহার করেন; আর ধরে নেন, পাকীি মানেই ধুর্ত ও মিথ্যুক, আর ইন্ডিয়ান মানে সবাই ইন্দিরা গান্ধী নয়।"

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

আমরা যা পেরেছি, সেটাই আমাদের ইতিহাস; ভারত সাহায্য করেছে, ৯ মাস যুদ্ধ করেছেন বাংগালীরা; এটা বুঝতে মনে হয়, অনেকেরই টিউটরের কাছে যেতে হবে।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৬

গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: ভারতকে পাগল বলার আগে নিজের চেহাটা আগে দেখ বা নিজেকে দাঁড়িপাল্লায় মাপ ৷

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতের সবাই গুরু নন; বিহারের লোক দুস্ট, শিখেরা বেকুব, কলিকাতার লোকেরা অতি চালাক, মারাঠারা অসৎ, কশির লোক ধোঁকাবাজ


আপনি নিজেই অকারণে ভারত বিরোধী

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: বিদেশী বলতে যে আমরা অজ্ঞান সেখানে দেশের রত্নদের দাম আমরা কিভাবে দিবো ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশী মানুষ বারবার শঠতা করায় সমসয়া দেখা দিয়েছে; কিন্তু আমাদের সেইদিনের মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন সবকিছু র উর্দ্ধে।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৫

াহো বলেছেন:

অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির নতুন মিশন
view this link


During the cholera epidemic, I remember that in one refugee camp of 15,000 people, over 750 died in one month - about 5 percent. People should also remember that many of the refugee camps were severely flooded during the heavy monsoon of 1971. Sanitation could not be maintained and many died of gastroenteritis as well as cholera. By September 1971, hundreds of children were dying every day from malnutrition and doctors, who had also earlier worked in Biafra, were of the opinion that the malnutrition in the Indian refugee camps was worse than that of Biafra. Many more children died as a result of the severe winter. In mid-November, an accepted figure of the number of children dying was 4,300 per day in the refugee camps alone. I remember attending a coordination meeting at that time where it was estimated that by the end of December 1971 up to 500,000 children would have died largely from malnutrition.
http://www.thedailystar.net/op-ed/it-important-remember-1971-187654


http://www.bd-pratidin.com/mohan-bijoy-dibosh-songkha/2014/12/16/50261

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি নিজেই ইতিহাসের সাক্ষী

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভারত কি তবে ৭১ যুদ্ধ করে ভুল করেছিল? নাকি ভারত মিথ্যা মিথ্যা যুদ্ধ করেছে বলে দাবি করে ? বাংলাদেশের কাছে ভারত কোনদিনই ভাল হতে পারবে না । কারণটা………………«
ভারতের সবাই দুষ্ট বেকুব চালাক ইত্যাদি ।আমি ভারতীয় আমাকে কি তোমার খারাপ মনে হয় ? ব্যাকারণ জানাটা জুরুরি ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

ভারত বড় দেশ, ওখানে অনেক ধরণের মানুষ আছে; আপনি হলেন ব্লগার, এ যুগের শক্তিশালী মানব।

আমরা আমাদের যুদ্ধ করেছি, ভারতকে সেজন্য জড়াতে হয়েছে; জাতিে সাহায্যের কথা মনে রেখেছে।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৬

াহো বলেছেন:

অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির নতুন মিশন

পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণটা শুধু বাংলাদেশের কাছে ছিলো না, শুধু ভারতের কাছেও না। আত্মসমর্পণটা ছিলো যৌথ বাহিনীর কাছে। বিজয়টা তাই আমাদের যেমন তেমনি ভারতীয়দেরও যে ভারত আমাদের শুধু সহায়তাই করেনি, এক কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছিলো। তবে পার্থক্য হচ্ছে আমাদের জয়টা মুক্তিযুদ্ধে, ভারতের জয় যে কোনো একটা যুদ্ধে। আরেকটা পার্থক্য আমরা বিজয় দিবস বলছি সেই একাত্তর থেকে, ভারতের জন্য এই শব্দের ব্যবহার নতুন। কিন্তু এর মানে এই না যে ভারত আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে! আমাদের মতো তাদেরও এই বিজয় উদযাপনের অধিকার আছে এবং সেটা তাদেরও সৈনিকদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। যারা নানা কথা বলে এটাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে তাদের আসল কষ্ট আসলে ৩০ লাখ মানুষ হত্যাকারী পাকিস্তানের আত্মসমর্পণে। দুয়েক বছর পর তারা হয়তো বলবে, আত্মসমর্পণটা আন্তর্জাতিক মানের ছিলো না, তাই এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
https://www.facebook.com/zahid.n.khan.50?fref=nf

http://www.channelionline.com/news/details/অনলাইনে-মুক্তিযুদ্ধের-ইত/12885

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক ভাবনা

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমাদের ইতিহাস জানার জন্য নিজেদের মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে জানাটাই সর্বোত্তম৷ তাদের মত আর কেউ ভাল জানে না, জানতে পারে না৷ তাছাড়া পাকিস্তানি বা ভারতীয় জনগণকে তাদের সরকার তৎকালিন সময়ে আসল সত্য হয়ত সেভাবে জানার সুযোগ দেয়নি৷তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বকে খাটো অন্য কোন দেশ তার ক্রেডিট নিতে চাইলে বা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বকে অবমূল্যায়ন করলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করা উচিত৷

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সরকারের মান সন্মানের বালাই নেই, জাতির কিন্তু আছে।

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৬

াহো বলেছেন:
আত্মসমর্পনের দলিল এবং ওসমানীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তির জবাব
SAIFUR R. MISHU·TUESDAY, DECEMBER 15, 2015
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে প্রতিবার ছাগু সম্প্রদায় কিছু কথা সামনে আনে যা সবৈর্ব মিথ্যা। তাদের প্রথম কথা ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের কাছে নয়। তাদের এই মিথ্যার জবাব সয়ং আত্মসমর্পণের দলিল যেখানে পরিষ্কার লিখা আছে, পাকিস্তানের পক্ষে নিয়াজি ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের প্রধানের নিকট আত্মসমর্পণ করছে। "বাংলাদেশ" এর নাম ইন্স্ট্রুমেন্ট অফ সারেন্ডারে একাধিকবার আছে শুধুমাত্র একবার নয়।

Instrument of Surrender
এছাড়া ইচ্ছেকৃতভাবে আরেকটি মিথ্যা বলা হয় তা হলো, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কোন বাঙ্গালী অফিসার উপস্থিত ছিলো না কিংবা কেন ওসমানী আত্মসম্পর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো না। প্রথমতঃ শুধুমাত্র দলিলে দস্তখত করার ছবিটাই আত্মসম্পর্ণ অনুষ্ঠানের সব কিছু নয়। শুধুমাত্র একটি ছবি দেখেই ইতিহাস জানার কিংবা জানানোর চেষ্টা করলে পৃথিবীর কোন ইতিহাসই পূর্ণতা পেতো না। নিচে একটি ছবি যুক্ত করলাম যাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর হায়দারকে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সাথেই নিয়াজীর পাশে হেঁটে যাচ্ছেন।

আত্মসম্পর্ণের দলিলে দস্তখত করতে নির্দিষ্ঠ স্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে
এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের পঞ্চদশ খন্ডে যুক্ত উইং কমান্ডার এ কে খন্দকারের বক্তব্য থেকে জানা যায়, ওসমানী সেসময় সিলেট অবস্থান করছিলেন বলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ভাষায়, "অবশেষে সেই বহু কাক্সিত সময়, শত্রুর পূর্ণ আত্মসমর্পণের সময় ঘনিয়ে এলো। ১৬ ডিসেম্বরের সকালবেলা পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্তের কথা ইতোমধ্যে এসে গেছে। এমন সময় খবর পেলাম বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ কেবিনেটের মিটিং বসেছে এবং আমাকে ওখানে জরুরি কোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য খোঁজ করা হচ্ছে। কর্নেল ওসমানী তখন সীমান্তের অগ্রবর্তী এলাকা পরিদর্শনের জন্য সিলেটে ছিলেন। সুতরাং সেই অল্প সময়ে তার সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমাকে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন জানালেন, বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবে এবং কর্নেল ওসমানীর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র অফিসার হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে আমাকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : পঞ্চদশ খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪)"
এ কে খন্দকারের উক্ত বক্তব্য থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কোন বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়নি এমন কথা যারা প্রচার করছে তারা মিথ্যাচার করছে। অবশ্য উপরে সংযুক্ত ছবি থেকেও এমন বক্তব্য যে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণেদিত তা প্রমাণিত হয়।
এবার আসা যাক উক্ত অনুষ্ঠানে ওসমানীর অনুপস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট ধুম্রজালের ব্যাপারে। ওসমানীর নিজ ভাষায় জানা যাক এই ব্যাপারে, "দেখুন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হলো স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কোনো চেতনা এখনও জন্ম হয়নি। আমাকে নিয়ে রিউমার ছড়ানোর সুযোগটা কোথায়? কোনো সুযোগ নেই। তার অনেক কারণ রয়েছে। নাম্বার ওয়ান- পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করবে আমি জানতাম না। আমি কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব এসেছে।
নাম্বার টু- ঢাকায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এই সশস্ত্র যুদ্ধ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের অধীনে হলেও যুদ্ধের অপারেটিং পার্টের পুরো কমান্ডে ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল স্যাম মানেকশ। সত্যি কথা হচ্ছে আমি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানও নই। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমার কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে না। কারণ বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ নয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল মানেকশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন লে.জে অরোরা। জেনারেল মানেকশ গেলে তার সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্ন উঠতো। সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে আমার অবস্থান জেনারেল মানেকশর সমান। সেখানে তার অধীনস্থ আঞ্চলিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অরোরার সফরসঙ্গী আমি হতে পারি না। এটা দেমাগের কথা নয়। এটা প্রটোকলের ব্যাপার। আমি দুঃখিত, আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধের বড় অভাব।
ঢাকায় ভারতীয় বাহিনী আমার কমান্ডে নয়। জেনারেল মানেকশর পক্ষে জেনারেল অরোরার কমান্ডের অধীন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করবে যৌথ কমান্ডের ভারতীয় বাহিনীর কাছে। আমি সেখানে (ঢাকায়) যাবো কি জেনারেল অরোরার পাশে দাড়িয়ে তামাশা দেখার জন্য? হাও ক্যান আই!
আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করবেন জেনারেল মানেকশর পক্ষে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আর পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে জেনারেল নিয়াজী। এখানে আমার ভূমিকা কি? খামোখা আমাকে নিয়ে টানা হ্যাচড়া করা হচ্ছে।"
সূত্রঃ একাত্তরের রণাঙ্গন অকথিত কিছু কথা, নজরুল ইসলাম, অনুপম প্রকাশনী ১৯৯৯।
এই ব্যাপারে আগে একাধিকবার জবাব দেয়া হয়েছে। অমি রহমান পিয়াল ভাইয়ের সামুর ২০০৯ সালের পোস্টটিই যথেষ্ঠ ছিলো, তবুও আজ এক ভাইয়ের একটি মেসেজ পেয়ে পুনরায় বিষয়টির জবাব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি।


https://www.facebook.com/notes/saifur-r-mishu/10153790992643899

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিবাহিনী জেনেভা কনভেনশন অনুয়ায়ী স্বীকৃত সেনা বাহিনী ছিল না, পাকী বাহিনী জেনেভা কনভেশনের শর্তানুসারে আত্ম সমর্পন করতে শর্ত দিয়েছিল; না হয় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল।

ভারতীয় কমান্ড অকারণে আর সৈনিক হারাতে চায়নি, তাই এভাবেই হয়েছে।

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জাতির শিক্ষাগত যোগ্যতা অল্প । অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী । তাই কিছু না বুঝেই লাফালাফি করে ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব জাতির কিছু বৈশিস্ঠ্য আছে, বাংগালীদের বৈশিস্ঠ্য হলো, বুঝার চেস্টা না করে মতামত দেয়া

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি অতি চালাক!

সস্তা যুক্ত দিয়ে সরকারের নতজানুতা ঢাকার অপচেষ্ট করলেন।
বিষয়টা আজকের নয়-যে পাগল ছাগল কি বলল েইগনোর করলেই হবে। বিষয়টা আন্ত:রাষ্ট্রীয়। আন্তর্জাতিক। আপনি ভোলাভালা ভাব নিয়ে অস্বীকার করতে চাইল্ওে এটা ঐতিহাসিক রেকর্ড হয়ে গেল ভবিষ্যতের জন্য।
আপনার প্রতিবাদ হীনতা আপনার সরকারের দুর্বলতা নতজানতিার দলীল হয়েই রইল।

আমজনতা পরের মূখে ঝাল খায়না। খায়না বলেই তারা প্রকৃত সত্য জানে বুঝে মানে। যদ্ওি সবসময় ক্লেশে জড়ায় না। কিন্তু সত্য সবচে ভঅল জানে আমজনতা। যে জন্য এখনো এতএত মিডিয়ার পূর্ণ শক্তি দিয়্ওে অপপ্রচার আর গোয়েবলসীয় প্রচারণায় অনর্বিাচিত স্বরৈাচারকে জনতা ঐ হিসাবেই জানে।
আর এই চেষ্টা একবারের বা প্রথম ভূল হলে আপনার চকলেট দিয়ে বাবুর কান্না ভোলানো লেখায় ভাবা যেত- তারা ক্রমাগত এই অপচেষ্ট করছে। সিনেমায়, উপন্যাসে, বক্তব্যে!
আর এই যে এইবার এটাতো কোন ব্যাক্তি সিনেমা বা সংগঠনের অনুষ্ঠানে বক্তৃকা নয়। এটা ভঅরতের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের ঘটনা। সো এটাকে চকলেট তত্ত্ব েইগনোর করা মানেই আপনি নতজানু। আপনার কিছূ বলার ক্ষমতা নেই । তাই জনতাকেই বেকুব বানানোর ক্লাশ মুরু করেছেনে।
এই আপনারা যুদ্ধ করেছেনে???
নাক িমাঠে ময়দানে দৌড়াদৗড় িকরেই এখণ গালগল্প শোনাচ্ছেন!!!!!!!!!!! েএকটু কড়াই বল্লাম।
আপনার মতো এজন দাবীকুত মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে হুংকার আশা করেছিলাম।

নতজানু সরকারের চামচামী করা চকলেট তত্ত্ব নয়।

কি আর করা বাঙালী কপাল খারাপ! যে যায় লংকা সেই হয় রাবন!!!!!!!!!!!!!!!





















































১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




লিলিপুটিয়ান ভাবনা

১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আসলে পাকি ও ভারতীয়দের বিভিন্ন বক্তব্য ও কাজ নিয়ে লাফালাফি করার ও নিজেদের বীরগণকে উপেক্ষা করার পেছনে সর্বনাশী রাজনীতিই দায়ি। আওয়ামীরা জিয়াপন্থী বীরদের কুৎসা আর জিয়াপন্থীরা আওয়ামী বীরদের কুৎসা রটনায় ব্যস্ত। তাঁরা একে অপরের কৃতিত্বকে অস্বীকার করে ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। নিজেই সব খেতে চায়, পেতে চায়। অন্যদিকে ক্ষুদ্রমনা স্বার্থান্বেষী লেখকেরাও হয় এদল, নাহয় ওদলের দালালি করে। ড. কামালের মত নিরপেক্ষ মানুষ আছে হাতে গুণা। সে জন্যই আসল ইতিহাস আমজনতার কাছে পৌঁছে না; তাঁরা জানতে পায় দলীয়কৃত ভিত্তিহীন, খণ্ডিত ও অসম্পূর্ণ ইতিহাস। একারণের জাতির কপালে এত দুর্দশা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশ স্বাধীন করছে, সেখানে সবাই বাংগালী ছিলেন।

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: দলীয় ও বানিজ্যিক অপ-মিডিয়ার দায়ও এখানে অনেক বেশি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধা মুক্ত করেছেন। তাঁদের চালাতে দিলে, তাজুদ্দিন সাহেব ঠিক করতেন; উার সেই মেধা ছিল না।

আজ যারা আছে, তারা যেভাবে চালাবে, সেইভাবে চলবে।

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

কিরমানী লিটন বলেছেন: বিজয়ীরা বরাবর ভগবান এখানেতে, পরাজিতরা পাপী এখানে।রাম যদি হেরে যেতো, রামায়ণ লিখা হতো- রাবন দেবতা হতো সেখানে...
অনেক শুভকামনা প্রিয় গাজী ভাইকে ..।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

আমাদের যুদ্ধে জয় পরাজয় ব্যতিত আরো অনেক কিছু ঘটেছে; একেবারে সাধরণ অশিক্ষিত মানুষ মানুষ যিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কিছুতে ছিলো না, যিনি হাতে অস্ত্র নেননি, সেই রকম মানুষকে পাকী বাহিনী, বিহারী ও রাজাকারেরা হত্যা করেছে; সেজন্য এই যুদ্ধ মানুষের উপর প্রচন্ড আঘাত ছিল।

২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভারতের অবদান তারই বলতে পারবে যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিল । কিন্তু বেশিভাগ মুক্তিযোদ্ধা আজ মারা গিয়েছে । অবশ্য ৭১টিভি তে কিছুকিছু দেখাচ্ছে । সামু যখন ভারত বিরোধি ট্যাটাস দেখি তখন মনে হয় ভারত ভুল করেছিল বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে । সামু তে বোধহয় আমি টিকতে পারব না । কেননা আমি ভারত কে যেভাবে শ্রদ্ধা করি ঠিক বাংলাদেশ কেউ একই ভাবে শ্রদ্ধা করি । তুমি যদি ভারতকে বাজে কথা বল আমি কিন্তু পারব না বাংলাদেশ নিয়ে বাজে কথা বলতে । কিন্তু সামু আমার জীবনের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা রইল ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

ব্লগে মতামত বিনিময় হয়, এখানে কথার সাথে কথা আসবে; লজিক্যাল কথা টিকবে, বাকীগুলো গ্রহনযোগ্য হবে না।

৪৫/৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন।

২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: চিলে কান নিয়েছে শুনে , কানে হাত না দিয়ে চিলের পেছনে দৌড়ানো বাংগালীর পুরানো অভ্যাস।আর স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি রা এই সুযোগ সবসময়ই ব্যাবহার করে আমাদের বিজয়কে খাটো করার জন্য।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি কোনদিন বিজয়ের সুখ অনুভব করতে পারেনি; ওরা মানসিকভাবে আজীবনের জন্য পরাজিত।

২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: ভারত কিসের বিনিময়ে সাহায্য করেছে -তা উঠে এসেছে ১৯৯৬ আওয়ামী সরকারের স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌ এর সাক্ষাতকারে।যেটি মাসুদুল হকের বই বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে র এবং সি আই এ তে আছে।হুমায়ুন সাহেব ৭১ দিল্লিতে প্রবাসী সরকারের দুত ছিলেন।
সাত দফা (বাস্তবে দাস খত চুক্তি)গুলো সংক্ষেপে
১স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনি থাকবে না
২/বৈদেশিক সম্পর্ক নয়া দিল্লীর পরামর্শ ক্রমে হতে হবে
৩/ স্বাধীন দেশের প্রশাসনে শুধু মুক্তি যোদ্ধা রাই প্রশাসনে বসবে বাকি শূন্য পদ পূরণ করবে ভারতীয় কর্তা রা
৪/একটা প্যারা মিলিটারি বাহিনি থাকবে অভ্যন্ত্রীন শৃং্খলা বজায় রাখার জন্য। বহি আক্রমণ হলে ভারতের নেতৃত্বে বাহিনী কে প্যারা মিলিটারি বাহিনী সহযোগিতা করবে।
৫/মুক্ত বাজার ভিত্তিক ব্যবসা হবে বছর শেষে যার যা প্রাপ্য তা ভাগ করে দেয়া হবে
বাকি দুটো মনে পড়ছে না। হুমায়ুন আরও উল্লেখ করেছেন যুদ্ধ চলাকালে এদেশের এক হিন্দু এম এন এ দিল্লিতে গিয়ে এদেশ কে ভারতের অন্ত্ররভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়
বইটা পাক-ভারতেও অনুবাদ করা হয়েছে।
ভারত তার প্রয়োজনে নিজ স্বার্থে যুদ্ধে জড়িয়েছে। আমাদের সাহায্য করে পাকিস্তান ভেংে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছে। এর জন্য কৃতজ্ঞ হওয়ার কিছু নাই।
মুক্তি যোদ্ধার বয়ানে যুদ্ধ তাহলে মেজর জলিলের অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা পড়েন। কেন এই সেক্টির কমান্ডার কোন খেতাব পেলেন না তার লেখনি এবং মুক্তিযুদ্ধের পরে ভারতীয় লুটেরা দের বিরোধিতার কারণে বাহিনি থেকে অবসর দেয়া হয় তাকে।কেন?
ভারতীয় রা যুদ্ধে কেমন হামবড়া ভাব নিয়েছে তা জানতে ৩য় বেংগল রেজি মেন্ট প্রকাশিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মাইনর টাইগার্স (৩য় বেংগলের আদুরে নাম মাইনর টাইগার্স) পড়ে দেখুন।
মুজিব বাহিনি কারা ছিল জানেন? মুজিব বাহিনি ছিল র এর তৈরি একটা দল যাকে ট্রেনিং দিত মে জে উবান।উদ্দেশ্য এদেশে প্রো ভারতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা।উবান শেখ মুজিবের সময় স্বল্প মেয়াদে মুজিবের সামরিক উপপদেষ্টা ছিলেন।তার বুদ্ধি পরামর্শ ও ঐ দাস চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্যারা মিলি রক্ষি বাহিনি গঠিত হয়।
ইতিহাস পড়ুন। দালালি ছাড়ুন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


" ১স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনি থাকবে না "

-আমি আজও বলছি যে, আমাদের এ ধরণের মিলিটারীর দরকার নেই; আমাদের দরকার 'পিপলস বাহিনী', ১৬ বছরের উপরের সবার মিলিটারী ট্রেনিং থাকটে হবে; পাইলট, ট্যাংক ড্রাইভার, নেভীর জাহাজ চালনার লোক মিলে ৩০/৩৫ হাজার নিয়মিত সৈনিক দরকার; বাকী পুরো জাতি ভলনটিয়ার।

বাংগালীরা চুক্তির দিক থেকে ভারতীয়দের থেকে চালাক; কিন্তু পড়ালেখা কম।

যেমন, ভারতীয়দের তুলায়, আপনার পড়ালেখাও কম হওয়ার সম্ভাবনা ৬০%।

২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: আরও কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলোর লজিক্যাল উত্তর দেয় নাই কেউ।
নিয়াজির সারেন্ডারের ছবিতে একটা বাংলাদেশিও নাই কেন?
আর এইসব ৩০ লাখ (প্রায় ৪.৫%) মানুষ মেরেছে তাইলে সে হিসেবে সেই সময়ে প্রতি ২৩ জনে একজন মানুষ মরেছে। আমাদের জেলায় একজন ও রেপড হয় নি,মারা হয়েছে পুরো জেলায় ৫০/৭০ জন কে/
২ লাখ রেপ হলে সাত কোটির অর্ধেক মেয়ে হলে প্রতি ১৫০ জনে একজন রেপড হইত। যদি এমনিই হইত তাইলে আশে পাশে এমন অনেক কেই পাওয়া যেত।
আপনাদের আশে পাশে এরকম কয় জনের কথা শুনেছে যারা যুদ্ধে মারা গেছে?৩০ লাখ লোক মারতে প্রতিদিন পাক বাহিনি কে ১২০০০ করে মানুষ মারতে হত(৩০ লাখ/২৬০ দিন) সেটা কি সম্ভব?বুদ্ধি জিবী রা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ছিলেন তার মানে ঢাকা মোটামুটি নিরাপদ ছিল? সবচে বড় কথা শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ও পুরো একাত্তরে ঢাকাতেই কাটিয়েছে যদিও তার কাজিন মনি রা র এর নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী বানিয়েছিল।
হেফাযতের সমাবেশ, গত ভন্ডামির ভোটের পর সাতক্ষিরাতেও গণ হত্যা চলেছে পুলিশ বিজিবি নিরাপত্তায় রেপ করেছে সরকার দলিয় রা, সে সময় সাতক্ষিরায় কেন সাংবাদিক দের ঢুকতে দেয়া হল না?। সারা দেশে রাস্তা ঘাটে লাশ পাওয়া গেছে।এসবে নেতৃত্বে ছিল বেনজির, জিয়াউল আহসান,আজিজ, তারা আজ র‍্যাব বিজিবীর শীর্ষ পদে।
তখন কার ঘটনাও এমনি ছিল।
কিছু দিনের মধ্যেই সিকিম এর ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছি, সিকিম এর জনগণ ভারতের নাগরিকতা পেলেও আমরা বাংালি মুস্লিম্ রা হব রোহিংা দের মত।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক প্রশ্ন করেছেন, অনেক উত্তর ইতিমধ্যে জানা থাকার কথা।

তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেবের উচিত ছিল, যুদ্ধের মৃত ও আহতদের পরিস্কার লিস্ট করা, তা হয়নি; ফলে, শেখ সাহেব মৃতের সংখ্যা অনুমানের উপর বলেছেন। মানুষ যদি এর থেকে কম মরে, এর থেকে কম যদি নারী নির্যাতন হয়ে থাকে, তাতেও সাধারণ নাগরিক হত্যার অপরাধ কমে যাবে না।

আমার জানা পরিবারের মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে রাজাকারেরা, আরেকজন মরেনি, পাকীদের কর্তৃক নির্যাতীত হয়েছে; এটা আমার জন্য যথেস্ট যে, পাকী বাহিনী ও রাজারকারদের বিচার চাওয়া।


২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগুর লেখাতেও গোল্লা গোল্লা, গোয়েন্দাপ্রধান এর লেখাতেও গোল্লা গোল্লা। কমেন্ট ও একই ধাচের। কি মিল কি মিল?? :P

গ্রামের চাষীর ছেলে যুদ্ধ শেষ এসে যা বলেছেন সেটাই আমাদের যুদ্ধ, যা বলেছেন বেংগল ও ইপিআর' সৈনিক, সেটাই আমাদের ইতিহাস। পিরিয়ড।

৪৪ বছর ধরেই ত্যানা প্যাচানি চলতেছে। মগজ ধোলাই করা যেই প্রজন্ম তৈরী করা হয়েছে সেটাকে সঠিক ইতিহাস বোঝানো কার বাপের সাধ্যি আছে ? X(

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

নিম্ন মানের তরুণ সমাজ আমাদের মাঝে আছে; সেই রকমদের থেকে পাকিরা ও জামাত রাজাকার ও আল বদর বাহিনী গঠন করেছিল।

২৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরে অনেক কথা বলা হয়েছে তাই আর বললুম না। আপনার সাথেই একমত।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

৪৪ বছরে, জাতির শিক্ষিত অংশ অনেক কিছু বুঝার কথা।

২৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

প্রামানিক বলেছেন: জাতিকে ৭১-এর যুদ্ধটা ভাল করে বোঝা দরকার, তা না হলে সবসময় উল্টাপাল্টা বক্তব্য আসবে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:
কোনটা কমপ্লেক্স, ৭১ সালের যুদ্ধের লজিক বুঝা, নাকি পীথাগোরাসের সুত্র, বা নিউটেনের ২য় সুত্র প্রমাণ করা?

পীথাগোরাসের সুত্র, বা নিউটনের সুত্র প্রমাণ করে দেখায়ে দেয়ার পর, ড: এমাজুদ্দিন, সায়েদী, ডা: বদরুদ্দোজা, আমান উল্লা আমান ১ ঘন্টা পরে তা নিজে প্রমাণ করে দেখাতে পারবে না। এখানেই সমস্যা, বাংগালীদের ৯০% এর এনালাইটিক্যাল ভাবনা খুবই দুর্বল।

২৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আজ ৭১ টিভি চ্যানেলে জয়তু নামে একটা প্রোগাম দেখছিলাম । সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা বসেছিল । তারা কথা বলতে বলতে বারবার ভারত প্রসংগ টানছে । তারা যেভাবে ভারতকে রেসপেক্ট করছে । কিন্তু সামুতে ঠিক ততটুকুই ভারতকে নিয়ে কটু কথার বিনোদন শুরু হয়েছে ।
আমি সমলোচনার পক্ষে তবে ভদ্র ও সন্মান জনক ভাবে ।সত্য ও বাস্তব ঘটণা নিয়ে । মিথ্যা বলে বড় হওয়া যায় , কিন্তু জ্ঞানী হীওয়া যায় না ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



যাঁরা বাংলাদেশের জন্য জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন, যাঁদের সাথীরা প্রাণ দিয়েছেন; আর যারা দেশে বোমাবাজী করছে, বেআইনীভাবে সকল সুযোগ নিচ্ছে, যারা নিজকে ব্যতিত অন্যকে কিছুই দিতে চায় না; এই ২টি আলাদা জেনারেশন।

২৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আর তর্ক করব না । ভাল থেক । দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাও । হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম সবাই মিলে বসবাসের আনন্দ নিয়ে আবার তৈরি হোক সোনার বাংলাদেশ ।।।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলার মানুষকে প্ল্যান করে পড়ালেখা থেকে দুরে রেখেছে সরকারগুলো, সুখ সহজে আসবে না

২৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৩

গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: বলেছেন: আমি বিভিন্ন পোস্ট ঘুরে দেখেছি মোটামোটি কয়েকজন বিভিন্ন রোস্টে ঘুরে ফিরে তারাই মতামত দিচ্ছে ৷
আমি একটা প্রস্তাব দিব মানলে নিজেদের মধ্যে একটা গুরুর লেখা বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে ৷ সাহস দিলে বলা যেতে পারে৷৷৷৷৷

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠিক আছে।

৩০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৮

গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: তাহলে দিলাম

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি কোথায়ও কোন লেখা দিয়েছেন, যার উপর আলোচনা করতে চান?

৩১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

াহো বলেছেন:
















১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৪ বছর পরে, কোন কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই, যারা বুঝতে পারেনি, তারা ভিন্ন ভাবনার মানুষ

৩২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০২

াহো বলেছেন:
@গোয়েন্দাপ্রধান



@গোয়েন্দাপ্রধান






আপনার পরিবারে কেউ মারা যায় নাই;
কিন্তু ডক্টর দীগেন্ত চন্দ্রের পরিবারের আটজন মারা গিয়েছিলেন।
আপনার গ্রামে কেউ মারা যায় নাই;
কিন্তু চুক নগরে এক ঘন্টার ১৫,০০০ মানুষকে মারা হয়েছিলো।
আপনার শহরে কোন বধ্যভূমি নাই;
কিন্তু এক চট্রগ্রাম শহরে ১১৬টা চিহ্নিত বধ্যভূমি আছে।
সেই চট্রগ্রামের ১১৬ টা বধ্যভূমির একটা বধ্যভূমি নাম পাহাড়তলি বধ্যভূমি যার কেবল একটা গর্ত থেকে ১ হাজার ১০০ টা মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিলো, আর সেই একটা বধ্যভূমিতে এরকম প্রায় একশটি গর্ত ছিলো।
WCFC-র হিসাব অনুসারে-
সারাদেশে এখন পর্যন্ত বধ্যভূমি আবিস্কার হয়েছে ৯৪২টা।
কথা পরিস্কার;
সব সময় ভালো মানুষী দেখাই
কিন্তু আমার সাথে গনহত্যা নিয়ে পাঙ্গা নিতে আসলে স্ট্রেট ভরে দিবো...
একেবারে ভরা মজলিশে পাছা মেরে দিবো জানোয়ারের বংশধরদের...
তিরিশ লক্ষ শহিদের প্রমাণ আমরা রক্তে নিয়ে ঘুরি;
এটা হাওয়ায় হাওয়ায় চেতনার কথা না, হাতে হাতে প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছি... মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যার যে ঘাটতি হয়েছিলো সেটা এখনো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নাই...
আজ ৪৪ বছর পরেও...
UN এর পপুলেশান গ্রোথ রেটে মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটু দেখেনঃ
১৯৫০-১৯৫৫ সালে ১৪.৬,
১৯৫৫-১৯৬০ সালে ১৫.৩,
১৯৬০-১৯৬৫ সালে ১৫.৩,
১৯৬৫-১৯৭০ সালে ১৫.৭,
১৯৭০-১৯৭৫ সালে ৫.৩ *,
১৯৭৫-১৯৮০ সালে ১৪.২,
১৯৮০-১৯৮৫ সালে ১৪.৫,
১৯৮৫-১৯৯০ সালে ১৪.১
১৯৬৫-১৯৭০ সালে গ্রোথ-রেট ১৫ এর উপরে থাকা একটা দেশের পপুলেশান গ্রোথ রেট হঠাৎ ১৯৭০-১৯৭৫ সালে ৫.৩ হয়ে গেলো!! আরেকটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ১৯৬৫ সালে আমাদের পপুলেশান গ্রোথ রেট যে ১৫.৭% ছিলো সেটা আমরা এখনো অর্জন করতে পারি নাই। অর্থাৎ এই যে তিরিশ লক্ষ শহিদ বেঁচে থাকলে তাদের যে বংশধরদের জন্ম হতো সেটা তিন প্রজন্ম পর হতো প্রায় এক কোটি এবং এই এক কোটি মানুষের ঘাটতি আমাদের পপুলেশান ডাটায় স্পষ্ট।
যদি আসলেই হিসেবটা করেন তাহলে দেখবেন স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ৭০১-৭০৬= ৬৫ লক্ষ মানুষের হিসাব মিলছে না...
এবং সেই হিসাব আর কখনোই মেলেনি...
৭১ থেকে ৭৫ সালের ভেতরে আমাদের দেশ বেশ বড় বড় কয়েকটি দুর্যোগের ভেতর দিয়ে গিয়েছে...
১) সত্তরের ঘূর্ণিঝড়
২) চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ
৩) যুদ্ধের পর ভারতে থেকে যাওয়া শরণার্থী
৪) রাজনৈতিক হত্যাকান্ড
এবং
৫) মুক্তিযুদ্ধ
আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি ১ থেকে ৪ পর্যন্ত ঘটনাগুলোতে যে কোন উন্মুক্ত সোর্স থেকে সর্বোচ্চ দাবীকৃত হতাহতের সংখ্যা দিয়ে হিসেব করুণ দেখুন কোন ভাবে তিরিশ লাখের কম বানাতে পারেন কি না।
আমাদের প্রজন্মের মত নিমোখারাম জাতি সম্ভবত একটাও নাই।
হে প্রজন্ম তোমাদের এত যখন সন্দেহ; যাও না দেখ না পৃথিবীর অন্যসব গনহত্যার খতিয়ান। এত যে শহিদের লিস্টি দাবী কর, দেখাও না এমন একটা যুদ্ধ যেখানে শহিদের লিস্ট করা হইসে...?এটা যুদ্ধ, কোন সার্কাস না। পৃথিবীর কোন যুদ্ধে কখনো শহিদের নামিয় তালিকা তৈরি করা যায় না।
কম্বোডিয়ার খেমারুজরা ২৬০ দিনে তাদের দেশের ২১% মানুষ মারসিল,
রুয়ান্ডা ১০০ দিনে মোট জনসংখ্যার ২০% মারলো,
চিনের নানকিং মাসাকারে এক মাসে ৩ লাখ মারলো,
আর্মেনিয়ায় জনসংখ্যা ৪৩ লাখ এর ভিত্রেই ১৫ লাখ মাইরা ফেললো...
নাইজেরিয়ার ৩৫,০০০ সৈনিক মিল্লা৩০ লাখ মারসিলো
আর সাড়ে সাত কোটি জনগণের দেশে আর ৯২,০০০ পাকি সৈনিক আর দুই লাখ প্রশিক্ষিত রাজাকার নিয়া ৩০ লাখ ফিগার, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪% মানুষের মৃত্যু তোমার এত অসম্ভব মনে হয় কেন?
যে কোন হিসাবে, যে কোন যুক্তিতে
১৯৭১ সালে শহিদের সংখ্যা তিরিশ লাখের বেশি...
বেশি... বেশি... বেশি...
কম না...
কখনোই না...
______
লেখাটা আরিফ রহমান এর।পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্য করে নয়,আমাদের জন্যে লেখা,আমাদেরই জন্মযুদ্ধের খতিয়ান।
আমার প্রায়ই মনে হয়,মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং মুক্তিযুদ্ধত্তোর বাংলাদেশ,বিশেষতঃ পচাত্তর পরবর্তী সময়ে,মনস্তাত্ত্বিকভাবে পুরোপুরি দুটো আলাদা জাতিকে লালন করেছে। প্রথম বাংলাদেশের জন্য আজকে আমি এই কথাগুলো লিখতে পারছি,দ্বিতীয় বাংলাদেশের কারণে লিখতে হচ্ছে।লিখতে হচ্ছে আমাদের আত্মবিস্মৃতি আর মর্ষকামিতার কারণে।নিজেদের পায়ুপ্রহার করে এতটা আনন্দ অন্য কোন স্বাধীন জাতি পায় কী না সন্দেহ।চুয়াল্লিশ বছর কেটে গেছে,এখনও একজন বাঙালিকে তার সোনামাছ সহনাগরিকদের কাছে নিজেদের জন্মযুদ্ধে মৃত্যুর খতিয়ান তুলে ধরতে হয়!
সত্য স্বপ্রতিষ্ঠ।কিন্তু আর যেটা দরকার,সেটা হচ্ছে লজ্জা।
ত্রিশ লক্ষ লোক একটা নির্লজ্জ জাতির জন্যে জীবন দেননি।
বুমবুম বিলাসীদের লজ্জা হোক।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের বিরাট অংশের মানুষ দেশকে, জাতিকে অনুভব করার মত মানসিক ক্ষমতা রাখে না।

৩৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

াহো বলেছেন:


During the cholera epidemic, I remember that in one refugee camp of 15,000 people, over 750 died in one month - about 5 percent. People should also remember that many of the refugee camps were severely flooded during the heavy monsoon of 1971. Sanitation could not be maintained and many died of gastroenteritis as well as cholera. By September 1971, hundreds of children were dying every day from malnutrition and doctors, who had also earlier worked in Biafra, were of the opinion that the malnutrition in the Indian refugee camps was worse than that of Biafra. Many more children died as a result of the severe winter. In mid-November, an accepted figure of the number of children dying was 4,300 per day in the refugee camps alone. I remember attending a coordination meeting at that time where it was estimated that by the end of December 1971 up to 500,000 children would have died largely from malnutrition.

জুলিয়ান ফ্রান্সিস: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য অক্সফামের ত্রাণ কর্মসূচির সমন্বয়কারী
http://www.thedailystar.net/op-ed/it-important-remember-1971-187654

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

যে পরিবারের লোক মরেনি, ওসব পরিবার অন্যদের জন্য তেমনভাবে দু:খিত হয়নি।

৩৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৯

াহো বলেছেন:
যে মুক্তি যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শহীদ আমাদের জেলা খুলনাতেই।
দেড় লক্ষ জীবন শহীদ হয়েছে শুধু খুলনা জেলাতেই যা বাংলাদেশের আর কোনও জেলাতে হয় নি। ত্রিশ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে শুধু একদিনে চুক নগরে।

http://www.globalkhulna.com/p/independence-and-story-of-braves-2.html

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানী সৈন্যরা এক সময় মানসিকভাবে জল্লাদে পরিণত হয়েছিল।

৩৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

াহো বলেছেন: মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল) "

এই ঘরবাড়ী কি সরকার তুলে দিয়েছিল যে, সরকারের কোন ক্ষতি হয়েছিল? আপনারা ফাইন্যান্স ও অংক বুঝেন না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:

১৬ ই ডিসেম্বরে যে দেশটা আমরা পেয়েছিলাম, পুরোটাই লাভ।

৩৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

াহো বলেছেন:

পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ গুলোর কোনটাতেই বেসামরিক মৃত্যুর কোন নাম ধরে তালিকা নাই।
এমন তালিকা এখনো করা হয়না। কারণ এটা করা সম্ভব না। যুদ্ধ একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, এটা রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্ট নয়। এসময় শুধু তথ্য সংগ্রহের সমস্যা নয়, এই অস্বাভাবিক অবস্থায় আরো অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ দেশ ত্যাগ করে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফেরেনা, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, পরিবার-সমাজ বিহীন ভবঘুরে মানুষরাও নিহত হন যাদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়না। এছাড়াও আছে যুদ্ধের কারণে পরোক্ষ মৃত্যু। যারা হত্যা করে তারাও অপরাধ ঢাকার জন্য মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলে। এসব কারণেই যুদ্ধে নিহতের পরিসংখ্যান সব সময় একটা সংখ্যা; একটা নামসহ পুর্নাঙ্গ তালিকা নয়। এটাই পৃথিবীব্যাপী গৃহীত নিয়ম। যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা চায় তাদের যে কোন একটা গণযুদ্ধের বেসামরিক নিহত নাগরিকদের তালিকা দেখাতে বলুন। যুদ্ধে মৃত বা নিখোঁজ সামরিক ব্যাক্তিদের তালিকা করা সম্ভব কিন্তু বেসামরিক ব্যাক্তিদের নয়।

http://www.somewhereinblog.net/blog/pinaki007/29876016

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেব আপনার মতো ভেবেছিলেন; তাই মানুষ উনাদের থেকে দুরে সরে গিয়েছিলেন; ৬৩ হাজার গ্রামের ৬৩ হাজার প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক ১৯৭২ সালের ১ সপ্তাহে হিসেবটা ঢাকাকে জানাতে পারতো; এটা তো চেংগিস খানের যুদ্ধ ছিলো না; ছিলো মানুষের যুদ্ধ।

৩৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: "নিজের জাতির গল্প নিজেদের সৈনিকদের থেকে শুনুন; আপনার সম্পর্কে সব কাহিনী আপনার মা জানেন, আপনার মাসী নয়; " দারুন বলেছেন। সহমত।


কেমন আছেন চাঁদগাজী ভাই?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো।

আপনি কি ব্লগে ছিলেন না কিছুদিন?

৩৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

খোঁচা বাবা বলেছেন: নীলক্ষেত সার্টীফায়েড মুক্তিযোদ্ধা পাকী জারজ বেজন্মা ছাগু গাজী, তোর লাইগা কাঁঠালপাতা। প্রান ভইরা খা। ;) =p~



২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগিং শেষ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.