নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্লোবেল ওয়ার্মিং ফান্ড থেকে টাকা পাবার সম্ভাবনা আছে?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮

গ্লোবেল ওয়ার্মিং বাংলাদেশকে কঠিনভাবে আঘাত করবে ২০৫০ সালের পর; আপনাকে নোয়াখালী, ভোলা, বা পটুয়াখালীতে গিয়ে দেখতে হবে না, কোন কোন এলাকা ডুবে গেছে, আপনি যদি খবর পান যে, মালদ্বীপ ডুবে গেছে, তাতেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, আমাদের দেশের চারভাগের এক ভাগ পানির নীচে চলে গেছে; অবশ্য তার আগেই দক্ষিণানচলের লোকজন হাঁডি পাতিল নিয়ে, বাসে করে পদ্মাসেতু পার হয়ে ঢাকায় চলে আসবে।

আপনাদের যদি কারো মনে থাকে, ২০০৯ সালেও একবার পশ্চিম বলেছিল যে, ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটা ফান্ড গঠন করে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশের লোকদের ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে; এ কথা শোনার পর, আমাদের ব্যুরোক্রেটরা দিনরাত আমাদের ক্ষতির ইতিহাস টাইপ করে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সব দেশের সন্মেলনে পাঠাচ্ছিল; প্রধানমন্ত্রী প্লেইন থেকে প্লেইনে মাস চারেক ছিলেন, আর সেক্রেটারীরা ডলার গোণার মেশিন কিনছিল জাপান থেকে।

এবার প্যারিস সন্মেলনে ওবামা মোটামুটি সিরিয়াস ছিল, এবার নিয়ম বদলে গেছে, টাকা মোটামুটি সবাইকে ফান্ডে রাখতে হবে। মাথাপিছু ক্ষতিপুরণ পেলে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিপুরণ পাবার কথা; কিন্তু তার আগে অনেক শর্ত মানতে হবে।

বাংলাদেশ টাকা পাবে কি, না পাবে, দেশের মানুষকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে হবে, সায়েন্স ও টেকনোলোজী প্রয়োগ করে। আগামী কয়েক বছরের মাঝে, মানুষ হাজারো সমাধান নিয়ে আসবে, সেগুলো প্রয়োগ করার মত অবস্হানে থাকলে, আমরা পথ খুঁজে পাবো; অনেক বাংগালীও হয়তো সমাধান বের করতে পারবেন।

সবচেয়ে সহজ হবে, মানুষকে উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষা দিলে, বেশীর ভাগ মানুষকে অন্য দেশগুলো নিয়ে যাবে। আর যদি 'সস্তা শ্রমিক' উৎপাদন চালু রাখে, সবাই ঢাকা এসে গণভবনে রান্নাবান্না শুরু করবে, কিংবা সিলেট গিয়ে মন্ত্রী নাহিদ ও মুহিত সাহেবের বাড়ীতে উঠবে মালের আশায়।

২০৫০ সাল আসার আগেই হয়তো চীন, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের উপর ক্ষেপে, পশ্চিমের দেশগুলো জলবায়ু ফান্ডের টাকা তুলে নিতে পারে; এখন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ইন্ডাা্টরিয়েল পলুশান করছে চীন, তারপরে পশ্চিম; কিন্তু ২০৫০ আসতে আসতে অনেক কিছু বদলে যাবে, বাংলাদেশের নামও পলুশনে যোগ হবে, বাংলাদেশ 'রি-সাইকেলিং' করে না, এবং সবচেয়ে বেশী পুরানো গাড়ী চালায়; ফলে, টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা সময়ের সাথে কমেও আসতে পারে।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার কনসার্নের সাথে সহমত পোষণ করছি।

তবে এই প্যারায় না হেসে পারলাম না।

সব চেয়ে সহজ হবে, মানুষকে উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষা দিলে, বেশীর ভাগ মানুষকে অন্য দেশগুলো নিয়ে যাবে। আর যদি 'সস্তা শ্রমিক' উৎপাদন চালু রাখে, সবাই ঢাকা এসে গণভবনে রান্নাবান্না শুরু করবে, কিংবা সিলেট গিয়ে মন্ত্রী নাহিদ ও মুহিত সাহেবের বাড়ীতে উঠবে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



গণভবন, সুধা-ভবন, হাওয়া ভবন সব জায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ দেখা যাবে; সিলেট উঁচু যায়গা, সবাই গিয়ে নাহিদের বাড়ীতে উঠবে; মাল মানে টাকা, ফলে মালের বাড়ীতে লোক যাবে।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি অনুদান আদায় করার মত দক্ষ কূটনৈতিক এর অভাব আছে আমাদের। আর এবার প্যারিস সম্মেলন ছিল খুব কঠিন গরীব দেশ গুলোর জন্য। দরকষাকষি করে তেমন কোন লাভ হয় নাই। কারণ অনুদান পেতে হলে প্রথমে নিজস্ব ফান্ড দেখাতে, জলবায়ু দূষণ রোধে দৃশ্যমান কাজ দেখাতে হবে। বিনা প্রজেক্টে আর কোন অনুদান নই। শুধু বাংলাদেশ নয় প্রায় সব গরীব দেশ গুলোর আর্থিক অনিয়মের প্রতি মনোযোগ বেশি তাই অনুদানের ব্যাপারে বেশি কড়াকড়ি। আর তাছাড়া বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ গুলো বছরের প্রায় বেশীরভাগ সময় প্রচণ্ড শীতের কারণে বরফাছন্ন থাকে যা তাঁদের কৃষি কাজের অন্তরায়। জলবায়ুর উষ্ণতার কারণে এখন পশ্চিমে জলবায়ু উষ্ণতার দিকে যাচ্ছে যা তাঁদের জন্য সাময়িক ভাবে ভাল। তাই তাঁরা মুখে যায় বলুক কাউকে অর্থ দিতে নারাজ। তাই তো প্যারিস সম্মেলন কোন দৃশ্যমান আর্থিক ফান্ড গঠন ও বণ্টন কাগজে কলমে রয়েগেছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


তৃতীয় বিশ্বে মানুষ বাড়ছে হুহু করে, এটা নিয়ে সমস্যা হবে; আরবরা ধ্বংস হবে, সেটা সমস্যা; বাংলাদেশে মৌলবাদী বাড়লে সেটা হবে সমস্যা; ফলে, টাকা পাওয়া কঠিন হবে।

তবে, আমাদের দেশের দক্ষিণ এলাকা ডুববে, ও একই সাথে মানুষ বাড়বে; বাণনচার উপায় উচ্চ ও কারিগরী শিক্ষা।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৪

প্রামানিক বলেছেন: ২০৫০ আসতে আসতে অনেক কিছু বদলে যাবে, বাংলাদেশের নামও পলুশনে যোগ হবে, বাংলাদেশ 'রি-সাইকেলিং' করে না,
কথা ঠিকই বলেছেন চাঁদগাজী ভাই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ টাকা পাবে, নাকি পলুশনের জন্য ফান্ডে উল্টা টাকা দিতে হবে, সময়ের সাথে বুঝা যাবে।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সময়ই সব আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিবে।

আপনার চিন্তাধারার সাথে সহমত।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


টাকা গোনার মেশিন না কিনে, মানুষকে উচ্চ শিক্ষা দিটে হবে, ও এখন থেক দক্ষিণান্চলে বৃস্টির পানি সংগ্রহের জন্য দীঘি খনন করতে হবে।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: আজ কোথায় জানি একটা নিউজ দেখলাম সমুদ্রে ১০০ তলা বিল্ডিং বানাবে কোন দেশ। এই বিল্ডিং বানানোর প্রযুক্তি আমাদের দেশে আনলেই নো টেনশন! চারভাগের একভাগ নয় পুরো বাংলাদেশ ডুবে গেলেও নো চিন্তা ডু ফুর্তি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




বিল্ডিং'এর ভেতর বোরো ধান চাষের কৌশল বের করতে হবে আপনাকে।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৮

আবু শাকিল বলেছেন: অনেক কথাতেই সহমত আছে ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্যুরোক্রেটরা টাকার জন্য বসে থাকবে; আমাদের দরকার পদ্মার মতো কিছু মেগা প্রজেক্ট নেয়া, যেন ২০/২৫ বছরে শেষ করা যায়।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৪

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ধান চাষের জন্য আছে হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। হাহাহা ...

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ অবশ্য সবকিছুর জন্য বিকল্প পদ্ধতি বের করবে; কিন্তু মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে; এখন অনেক চাচ্ছে সবাই যেন লেখাপড়া না করতে পারে।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৩

সুচিন্তকবোধ বলেছেন: অামাদের দেশের যারা নিতি নিরধারনী পর্যায়ে কাজ করেন, তাদের বাড়ি ঘর, ছেলে মেয়ে সব বিদেশে থাকে। তাই তাদের এইসব নিয়ে না ভাবলেও চলে। আমাদের দেশের সেই দিন উননতি হবে, যখন সকল পলিটিসিয়ান দের বিদেশে এই সব কাজ করা বনধ্ করা যাবে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুস্টরা পলিটিশিয়ান নয়, তারা পলিটিশিয়ানদের যায়গা দখল করেছে, তাদের পতন হবে।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: এদিকে যে সন্দ্বীপ আর নিঝুম দ্বীপের চারিদিকে লাখ খানেক হেক্টর জমি জেগে উঠেছে, তাতে আবার চাষ করে সাইক্লোন শেল্টার বানিয়ে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করা যেতে পারে




০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


২০৩৫ সালের পর বুঝা যাবে, তখন হয়তো ব্যবস্হা নেয়ার দরকার হবে; এখন থেকে প্রষ্তুতি নেয়ার শুরু করা দরকার; এগুলো হতে হবে মেগা প্রজরক্ট।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

হাবীব কাইউম বলেছেন: চর জেগে দেশের আয়তন বাড়ছে, আর আপনি বলছেন ডোবার কথা। আসেন এই চর জাগা উদযাপন করি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


চর জাগছে, সৌভাগ্যের কথা; কিন্তু এগুলো আবার পানির নীচে চলে যাবে একদিন।

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার বিষয়ে আলকপাত করার জন্য অনেক অভিবাদন প্রিয় গাজী ভাই, অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ....

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

টাকা পাবে কিনা কেহ জানে না, তবে, গ্লোবেল ওয়ার্মিং এর ফলে যে সব সমস্যা হবে, সেগুলোর সমাধান এখন থেকে বের করার চেস্টা চালাতে হবে।

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সমস্যা+সৃজনশীলতা = সমাধান।

সৃজনশীল তারাই যারা গতানুগতিকতায় আচ্ছন্ন না থেকে নতুন আঙ্গিকে ভাবতে পারেন। নতুনের জন্য আমাদের বোধোদয় হওয়া উচিত - সবক্ষেত্রে।

আর যে কোনো ক্ষেত্রেই শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। আমাদের দেশে আবার শিক্ষিত মানেই হলো বিএ, এম এ পাস। আর পাস করতে পারলে আলসেমি করার গেটপাস!
এই ধারণা থেকেও বের হওয়া দরকার।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

সুন্দভাবে আপনার ভাবনাকে প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষা হলো আধুনিক বিশ্বকে বুঝার ক্ষমতা, এবং সাথে সাথে প্রফেশানেল দক্ষতা।

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০

রাফা বলেছেন: টাকার দরকার নেই টেকনি্ক্যাল হেল্প আর আমাদের দেশ থেকে জনশক্তি নিয়ে গেলেই হবে।পৃথিবির যে কোন দেশেই আমরা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলতে পারি।আমাদের একটা দেশ কিনে নিতে হবে।মালদ্বিপ যেমন অস্ট্রেলিয়াতে কিনেছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


উঁচুমানের শিক্ষা থাকলে, সব দেশে যায়গা হবে।
বিশ্ব কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশী ভোগ করতে গিয়ে, বেশী উৎপাদন করতে গিয়ে সমস্যাকে ত্বরান্নিত করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.