নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ সাহেবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় চিনিয়ে নেয়ার পর, পুরো জাতি শেখ সাহেবের জন্য উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েন; জাতি জানতো না, শেখ সাহেব কি জীবিত আছেন, নাকি নেই; কারণ, পাকিস্তানীদের বিশ্বাস করার অবস্হা ছিল না। যাক, সব উৎকন্ঠার অবসান হলো, যখন তিনি পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন পৌঁছেন।

ভারত হয়ে তিনি ১০ই জানুয়ারী দেশের মাটিতে পা রাখলেন; সেদিন তিনি এত বড় বিজয়ী ছিলেন যে, কেহ লিখে তা প্রকাশ করতে পারবে না; সাড়ে ৭ কোটীর মাঝে, কমপক্ষে ৬ কোটী মানুষ দ্বিতীয় বিজয়ের উৎসবে মেতে উঠলেন।

দেশে আসার ৩ দিনের মাথায় তিনি সরকারের ভার গ্রহন করলেন; এটা ভয়ংকর ভুল ছিল; কারণ, মানুষ উনাকে দেখতে চেয়েছিলেন, মানুষ উনার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন; মানুষ ৯ মাসের দু:খ, বেদনা, স্বজন হারানোর শোক, বিজয়ের গাঁথা উনার সাথে শেয়ার করতে চেয়েছিলেন; মানুষ জানতে চেয়েছিলেন, ৯ মাস উনি কেমন ছিলেন! তিনি সরকারের জোয়াল কাঁধে নিয়ে, ঢাকা শহরের এক অফিসে আটকা পড়লেন; মানুষের ৯ মাসের গাঁথা উনার জানা হলো না, মানুষ উনার ৯ মাসের কস্টের কথা উনার থেকে শুনতে পারলেন না; যে সময়ে সেতু রচনা হওয়ার কথা, সেই সময়টুকু বয়ে গেলো, মানুষের নিজের কস্ট বুকে নিয়ে নিজের ঘরে একা হলেন।

উনি ফিরে আসার পর, দরকার ছিলো একটি বিজয়ের ভাষন দেয়ার, যেখানে মানুষের বীরত্বকে সবার উপরে স্হান দিয়ে, বিজয়কে মানুষের বিজয় হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ নিতে পারতেন, মানুষের অবদানকে ইতিহাসের পাতায় স্হান করে দিতে পারতেন; সেখানেই তৈরি হতো মানুষ ও উনার মাঝে আজীবনের সেতু।

মানুষকে তিনি রোডম্যাপ দেখাননি সেদিন; মানুষকে দেশ গড়ার জন্য ডাক দেননি; মানুষ জানতো না, এত বড় বিজয়ের পর তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি!

উনার দরকার ছিলো সর্ব প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে শান্তনা দেয়া, তারপর যুদ্ধে শহীদদের পরিবারের সাথে কথা বলার; তারপর মানুষের সাথে বিজয়কে উদযাপন করা। তিনি কোনটাই করেননি, তিনি সরকারের জোয়াল কাঁধে নিয়ে টানার শুরু করলেন; সামান্য ছুটিও নিলেন না; অথচ দেশে তখন পুরো সরকার ছিলো, এবং সরকার ইতিমধ্যে কাজ করছিল বিনা সমস্যায়।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
একটি সুভ দিনে অযথাই বিতর্ক টেনে আনছেন।
রোডম্যাপ দেননি কে বললো? মানুষকে দেশ গড়ার জন্য বিপুলভাবে ডাক দিয়েছেন।

দেশে এসেই উচ্চশিক্ষিত সহকর্মিদের নিয়ে একটি প্রায় নির্ভুল একটি সংবিধান রচনা করেন। যা অনেক দেশের যুদ্ধজয়ী যোদ্ধারা ১০ বছরেও সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি, সংবিধান পায়নি।
মুক্তিযদ্ধাদের দ্রুত চাকরি দিয়ে বিশৃক্ষলা এড়ান।

যুদ্ধ করে স্বাধীন করা অধিকাংশ দেশেই পরবর্তিতে অস্ত্রধারি বিপ্লবিরাই আত্মঘাতি গৃহযুদ্ধে মেতেউঠে। আমাদের কাছের দেশ লাওস আর ক্যাম্বডিয়া, এবং আফ্রীকায় এংগোলা, কংগো, মোজাম্বিক আর আফগানিস্তানে দেখুন। ১৫-২০ বছর নিজেরাই তান্ডোব চালিয়ে গেছে।

মুজিব এসেই হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুত সেনাবাহিনী ও রক্ষীবাহিনীতে চাকরি দিয়ে বিশৃক্ষলা ও গৃহযুদ্ধ এড়ান হয়েছিল।
এরপর ১৯৭৩এ যুদ্ধাপরাধ আইন তৈরি হয়, যুগপযুগী এই এই আইনের আলোকেই বসনিয়া, রুয়ান্ডা ও ক্যাম্বোডয়ার যুদ্ধাপরাধ আইন প্রস্তুত হয়েছিল।
পাকিস্তানে আটকে পরা ৪ লাখ সিভিলিয়ান হষ্টেজ করে রাখা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধ বিচার বন্ধ করতে।
৩ বছর লড়াই করার পর ৪ লাখ সিভিলিয়ান+আর্মি ফিরিয়ে আনা হয়।
দুর্ভাগ্য যাদের এত কষ্টে ফিরিয়ে আনা হল তারাই পরে জোটবদ্ধ হয়ে বংগবন্ধুকে হত্যা পরিকল্পনা করলো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"রোডম্যাপ দেননি কে বললো? মানুষকে দেশ গড়ার জন্য বিপুলভাবে ডাক দিয়েছেন। "

-'দেশ গড়ার কাজে ডাকের অর্থ' আপনি বুঝেননি; দেশ গড়ার কাজ শুরু হলে, কার্যক্ষম কোন মানুষ বেকার থাকতো না।
-রোডম্যাপ আজও নেই। সামান্য যে দিয়েছিলেন, তা ১৯৭৫ সালে; এবং সেটার জন্য উনাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আপনি যেই রোডম্যাপ পেয়েছেন, সেটা জাতি পায়নি।

সংবিধান যেটা করেছিলেন, সেটা আজও আছে, ওটা 'প্রশাসন পরিচালনার', ওটাতে নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা নেই।

পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা সেনাদের ক্যানটনমেনটে কেন নিয়েছিলেন, সেটা আজও পরিস্কার নয়; সেসব সেনাদের অবসরে পাঠানোর দরকার ছিল এয়ারপোর্ট থেকে।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: চমৎকার অতি চমৎকার সারগর্ভ পোষ্ট। কিন্তু ভাই সেই সময়ের শোক দুঃখ আনন্দ উত্তেজনাকর পরিস্থিতে*আজ আপনি,আমারা* যা উপলব্ধি করছি সেই সময়টায় তাঁর পার্শ্বচরদের মাথায়ও তো এই ধারনা আসেনি যে ওনাকে এই জাতীয় সুপরামর্শ দানে পরিচালিত করা উচিৎ। আজ আমরা যা যা ভাবছি তা হল "চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে" অবস্থা ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সময়র সাথে, আজ অনেক কিছু বুঝা সহজ হচ্ছে।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জ্ঞ্যানী মানুষ হয়ে একটা ফালতু মন্তব্য করলেন।
মুজিবকে সময় দিছিলেন কয়দিন? মাত্র সাড়ে ৩ বছর।
যা আপনারা ৪০ বছরেও পারেন নি, সেটাই কৈফিয়ত চাইছেন প্রথম ৩ বছরে কেন হয়নি!
স্বাধীনতার পর চরম খাদ্য সমস্যায় জর্জরিত ও ধ্বংসপ্রায় বাংলাদেশ শূন্য থেকে নয়, শুরু করেছিলো শূন্যেরও যথেষ্ঠ নীচ থেকে; শূন্য ট্রেজারী, বিধ্বস্থ অবকাঠামো এবং সীমাহীন খাদ্য সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি বাংলাদেশকে চরমভাবে পর্যদূস্ত করেছে শুরুর দিনগুলোতে।
ভারতে ১ কোটি সরনার্থি ও পাকিস্তানে ৪ লাখ আটক বাংলাদেশী নাগরিক ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করছিল নবগঠিত সরকার।
যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠমো শুন্য রাজকোষ বৈরি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদিদের রোষানলের ভেতর সুরু করা, ৭৩ এ দেশটি মোটামোটি দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। তখই বিপর্যয়। কিন্তু ৭৩ এ আরব ইসরাইল যুদ্ধ, তেলের মুল্য ৩ ডলার থেকে একলাফে ১২ ডলারে উন্নিত হলে সব দ্রব্যমুল্যের দাম ২-৩ গুন বেড়ে যায়।এরপর জরুরি অবস্থা জারি করতে হয় বাধ্যহয়েই। এত বৈরি পরিবেশেও ৭৫ এর আগেই কয়েটি ৪লেনের বড় সেতু, কাচপুর, নয়ারহাট, গাবতলি তৈরি হয়ে ব্যাপক কানেক্টিভিটির সুচনা হয়। কিন্তু তারপর জিয়ার আমলে আর কোন বড় সেতু হয় নি। এরপর এরশাদ এসে অতি গুরুত্তপুর্ন একই হাইওয়েটিতে ৪ লেনের বদলে ২লেন মেঘনা সেতু করলেন। খালেদাও একই পথে ৪ লেনের বদলে ২লেন গোমতি সেতু করলেন। এরসাদ-খালেদা কতখানি অবিবেচক, দুরদৃষ্টির কত অভাব! দেশের সবচেয়ে ব্যাস্ত মহাসড়কে ২লেন! জিয়া ৫ বছর এরশাদ ৯ বছর সময় পেয়েছিল, মুজিব পেয়েছিল যুদ্ধ পরবর্তি বৈরি ৩ বছর। তফাৎ খেয়াল করেন।
মুজিব সরকার গ্লোবাল টেলি কানেকটিভিটির জন্য পরিকল্পনা করা হয় ৭২এই। তালিবাবাদ ও বেতবুনিয়া দুটি ভু উপগ্রহ কেন্দ্র। তৈরি সম্পন্ন হয়। বেতবুনিয়া ভুউপগ্রহ কেন্র চালু হয়ে যায়, সুরুহয় গ্লোবাল টেলি কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাথমিক সুচনা। ৭৪ এর বন্যার পর বংগবন্ধুর সবুজ বিপ্লবের আলকে বাম্পার ফলন ইরি-বোরো, আমনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। ৭৫ এর সুরুতেই দুর্বিক্ষের ছায়া সরে যেতে থাকে।
প্রবাসীদের দ্বারা ওয়েজ আর্নার্স স্কিম যা ১৯৭৩ সালে ড. মোমেন অর্থমন্ত্রনালয়ে থাকাকালে লন্ডনের প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিম করে খসড়া তৈরি করে ঢাকায় পাঠালে বঙ্গবন্ধুর সরকার সেই প্রস্তাবটি আমলে নেন। এবং ১৯৭৪ সালে তাজউদ্দিনের সহায়তায় ওয়েজ আর্নার্স স্কিম আইনে পরিণত করা হয়।
এত বৈরি পরিবেশে মাত্র ৩ বছরে একে বিপুল উত্থানই বলা যায়।
হত্যাকারি চক্র সুধু মুজিবকেই হত্যা করেনি, ইতিহাসকেও হত্যা করেছে। তানা হলে আপনার মত চাদগাজী ৩ বছরে এত কিছু করার পরও মুজিবকে কটুক্তি করতেন না। অতচ বাকি সরকারগুলো যা ৩৬ বছরেও পারেনি, এই মহাসড়কে কাঁচপুর সেতুর মত চওড়া সেতুর দরকার বোঝেনি ৩৫ বছরেও।
এরপরও চাদগাজীরা বলে মুজিব সব ভুলে যায়, মুজিব অযোগ্য!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

প্রথমত: আমি কোন কটুক্তি করছি না।

এবং আমি উনাকে অযোগ্য বলছি না।

আমি বলছি যে, উনি দেশে ফেরার পর, সময় করে মানুষের সাথে সময় ব্যয় করেননি; উনি নিজকে সরকারের কাজে আটকায়ে ফেলেছিলেন; সেজন্য উনার সময় হয়নি সবকিছু সঠিভাবে বুঝার, ৯ মাস পরে মানুষের নতুন আশা, নতুন ভাবনাকে বুঝার, নতুন চাওয়াকে জানার।

একটা বিজয় ভাষন দেয়ার জন্য উনার দরকার ছিল ১ সপ্তাহ; সেই বিজয় ভাষণ কখনও দেয়া হয়নি।

স্বাধীনতার পর, ৩ বছরের যা হয়েছে, তা বিপ্লবের আশার ভেতরের কিছু নয়, সেটা সাধারণ দেশে যা হওয়ার তা হয়েছে।

আপনারা যা চেয়েছেন, তা পেয়েছেন। ৭১ এর জেনারেশন চেয়েছিলেো উনার হয়ে কাজ করতে, সেটা ঘটেনি।


১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

" যে সময়ে সেতু রচনা হওয়ার কথা, সেই সময়টুকু বয়ে গেলো, মানুষের নিজের কস্ট বুকে নিয়ে নিজের ঘরে একা হলেন। "

-এই সেতু কাঁচপুরের সেতু নয়, পদ্মাসেতু নয়; মানুষের সাথে শেখ সাহেবের প্রাণের সেতুর কথা বলেছি।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

বিপরীত বাক বলেছেন: মানুষকে তিনি রোডম্যাপ দেখাননি
সেদিন; মানুষকে দেশ গড়ার জন্য ডাক
দেননি; মানুষ জানতো না, এত বড় বিজয়ের
পর তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি! -----

তিনি কোনটাই
করেননি, তিনি সরকারের জোয়াল কাঁধে
নিয়ে টানার শুরু করলেন; সামান্য ছুটিও
নিলেন না; অথচ দেশে তখন পুরো সরকার
ছিলো, এবং সরকার ইতিমধ্যে কাজ করছিল
বিনা সমস্যায়।---------

লেখক বলেছেন:
" যে সময়ে সেতু রচনা হওয়ার
কথা, সেই সময়টুকু বয়ে
গেলো, মানুষের নিজের কস্ট
বুকে নিয়ে নিজের ঘরে একা হলেন। "
-এই সেতু কাঁচপুরের সেতু নয়, পদ্মাসেতু নয়;
মানুষের সাথে শেখ সাহেবের প্রাণের
সেতুর কথা বলেছি।--------


সহমত।
দেশের প্রয়োজনে আমাদের দরকার সবকিছুর চুলচেরা নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ। এজন্য আমাদের সহনশীলতা বাড়াতে হবে।
আবেগের বশে অন্ধ হওয়া যাবে না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে শেখ সাহেব সরকারের অংশ হয়ে যাওয়ায়, সরকার বিরোধী অভিযোগগুলো উনাকে মানুষের প্রতিপক্ষ করে তোলে; তিনি সরকারে না থাকলে, অবস্হানগত কারণে, তিনি মানুষের সাথে থাকতেন; উনার উচিত ছিল সময় নিয়ে সরকারের যাওয়া।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি আপনার সেতুরচনা নিয়ে কোন জবাব দেইনি। অযথা বিভ্রান্ত করবেন না।
আপনি বলে দিলেন ৩ বছরের যা হয়েছে, সেটা সাধারণ দেশে যা হওয়ার তা হয়েছে।
ভুল। আপনার কোন খবরই নেই, বিবেকও হারিয়ে ফেলেছেন।

আমি বলতে চেয়েছি উনি মাত্র ৩ বছরেই খাদ্য বিপর্যয় সামলে ধ্বংশ হয়ে যাওয়া থামিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছিলেন।
যেটা মাওসেতুং পেরেছিলেন ৮-১০ বছরে, ২ কোটি লোক না খেয়ে মৃত্যুবরন করার পর।
এংগোলা, মোজাম্বিকের লেগেছিল ১৫-২০ বছর।
মুজিবকে বন্ধু ভারতও একমুঠো চাল দেয় নি, আমরিকা গমভর্তি জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গেছিল। চট্টগ্রাম বন্দর মাইনের বর্জে ২ বছর বন্ধ। সুধু ভাঙ্গাচোরা চালনা বন্দর চালু। এরপরও বিধ্বস্ত বিপুল ঘনবসতির দেশে ৭৪এর বন্যা পরবর্তি দুর্বিক্ষ অল্প কয়েকমাসের বেশী স্থায়ী হয়নি।

তবে একটি ব্যাপারে আপনার সাথে একমত।
উনি সরকারে যোগ না দিয়ে দল প্রধান হয়ে গান্ধী, মেন্ডেলা, দেংসিয়াওপিঙ্গের মত নেপত্থে থেকেও কাজ করে বাকি জীবন অমর হয়ে থাকতে পারতেন। সেটাই ভাল হত।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

"এংগোলা, মোজাম্বিকের লেগেছিল ১৫-২০ বছর। "

-সোমালিয়া ও আফগানিস্তানে হয়তো ১০০ বছর লাগবে; এগুলো ব্যতিক্রম, এবং ব্যতিক্রম কারো জন্য উদাহরণ হতে পারে না, বিশেষ করে শেখ সাহেবের জন্য, যিনি ৬ দফার মতো দলিল দিয়ে মানুষকে আশা দিয়েছিলেন।

উনার স্হান ছিল মানুষের সাথে, সাড়ে ৭ কোটী ও আগত দিন গুলোর নতুন প্রজন্মের সাথে; উনি সরকার প্রধান হয়ে, অভিযোগকারী মানুষের বিপরিত অবস্হানে চলে গিয়েছিলেন; উনি ভাবার, দেখার সময় নেননি।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২

চাঁনপুইরা বলেছেন: শেখ মুজিব হয়তো মহা মানব ছিলেন, নিশ্চয়ই অতিমানব নয়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের একটা মাত্র শেখ মুজিব ছিলেন; উনার ভাবনা, উনার পদক্ষেপ, উনার ভুল, সবকিছু মিলে উনি আমাদের নেতা ছিলেন; আমরা উনাকে অনুসরণ করছি না আর; কিন্তু অনুসরণ করতে হলে, উনাকে বুঝতে হবে।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: আমাদের একটা মাত্র শেখ মুজিব ছিলেন; উনার ভাবনা, উনার পদক্ষেপ, উনার ভুল, সবকিছু মিলে উনি আমাদের নেতা ছিলেন; আমরা উনাকে অনুসরণ করছি না আর; কিন্তু অনুসরণ করতে হলে, উনাকে বুঝতে হবে

- অসাধারন মন্তব্য, সহমত।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদেরকে কমপক্ষে উনার উডারতা গ্রহন করা দরকার; আজকাল রাজনীতিবিদরা ছোট মনের মশায় পরিণত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.