![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
'সিক্রেট' টা হলো, বেগম জিয়ার ঢাকা ক্যানটনমেন্টে অবস্হান কালে কতজন বাংগালী অফিসারকে উনি দেখেছেন, কিংবা জেনেছেন, কতজনকে মনে হয়েছে যে, তারা নিজ ইচ্ছার বাইরে বাধ্য হচ্ছে থাকতে, এবং কতজন বাংগালীদের বিপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে?
২৫ শে মার্চের রাতে, পাকীরা ঢাকা ও কুমিল্লা ক্যানটনমেন্ট সহজেই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল; চট্টগ্রামের মুল ক্যান্টনমেন্টও তারা দখলে রেখেছিল; কিন্তু চট্টগ্রামের কিছু অফিসার হালি শহর ও শহরের অন্য এলাকায় ছিল, যারা উল্টো কিছু পাকীকে আটকায়ে ছিল। চট্টগ্রামে পাকীরা বেশ পরিমাণ সৈনিক হত্যা করেছিল, কিন্তু অফিসারদের হত্যা করেনি। ঢাকার বাইরে অবস্হিত অফিসারেরা পাকীদের বিপক্ষে অবস্হান নিয়েছে সহজে। এ ছাড়া, ইপিআর'এ ডেপুটেশনে থাকা অফিসারেরাও মুক্ত ছিল।
বেংগল রেজিমেন্টের বড় সংখ্যক অফিসার পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েছিল; তাদের ভেতর যারা ছুটিতে ছিল, এদের খুবই সামান্য অংশ যুদ্ধে যোগ দেন। পুর্ব পাকিস্তানে অবস্হিতদের থেকে খুবই সামান্য সংখ্যক অফিসার যুদ্ধে যোগ দেন; অফিসারদের তুলনায়, সৈনিকদের সংখ্যা ছিল বেশী। ২৫ শে মার্চের পর, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সবাই কিন্তু যু্দ্ধে যাননি, অনেকে পালিয়ে ছিলেন।
পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা মাত্র ১ জন লেফটান্যান্ট, লে: খালিদ 'যেড-ফোর্সে' যোগ দেন। লে: খালিদের সাথে নাকি কয়েকজন পালিয়ে ছিলেন পাকিস্তান থেকে; যুদ্ধে যোগ দেয়া ছিল ভলনটিয়ারের কাজ, কেহ বাধ্য নন; কিন্তু বাংগালী কোন অফিসারের বাংগালীদের বিপক্ষে যুদ্ধ করা ছিল বড় ধরণের অপরাধ।
বেগম জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালীন বাংগালী অফিসারদের দেখেছিলেন কিনা, এবং বাংগালী কোন অফিসার বাংগালীদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন কিনা, এটা জাতিকে জানালে ভালো হতো।
যুদ্ধকালীন সময়ে, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নাগরিক, যাদের বন্দী করা হয়েছিল, তাদের বেশীর ভাগ প্রাণ হারায়েছেন; ২/৪ জন বেঁচে গেলেও তারা নির্যাতনের ভয়ংকর কাহিনী বলেছেন; বেগম জিয়া কোনদিন একবারের জন্যও উনার বন্দী জীবন নিয়ে অভিযোগ করেননি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন কারো বিরুদ্ধে হয়তো ব্যবস্হা নেয়ার দরকার নেই; তবুও জাতি জানলে ভালো হতো যে, কার কি ধরণের অবদান ছিল।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৭
রাফা বলেছেন: উনি এতই হতবাক হয়ে গেছেন পাক বাহিনির পরাজয়ে যে সব কিছু ভুলে গেছেন।কিন্তু শুধু এইটা ভুলেন নাই যে ৩০ লক্ষ শহীদ হয় নাই।উনি এখন শহীদের সংখ্যা গণনায় ব্যাস্ত আছেন।আবার যদি পাকিস্তানিদের সাথে আমাদের যুদ্ধ হয় তখন হয়তো জানা যাবে।
খালেদা জিয়ার সেই "সিক্রেট"
ধন্যবাদ আপনাকে একটি ভালো প্রশ্ন উত্থাপনের জন্য।তদন্ত চালিয়ে যান ,আমরা সাথেই আছি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তিনি অনেক সিক্রেট হজম করে বসে আছেন; পাকীদের পরাজয় উনাকে নিরাশ করেছে।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩১
তাহের বলেছেন: বেগম জিয়া কোনদিন একবারের জন্যও উনার বন্দী জীবন নিয়ে অভিযোগ করেননি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেকেই অভিযোগকে বড়ও করেছেন; কিন্তু বেগম জিয়ার কোন অভিযোগ নেই
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১০
গোধুলী রঙ বলেছেন: তেনার তো সেসব ব্যাপার নিয়ে অভিযোগ নেইই, তার উপর স্বামীর হত্যা নিয়েও কোন অভিযোগ নাই।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো উনাকে সরকার চালনায় ডিস-কোয়ালীফাই করার কথা ছিল; কিন্তু ডা: বদরু কাকা, ড: এমাজুদ্দিন ও কিছু জেনারেল উনাকে সাহায্য করেছে সরকার প্রধান হতে।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেগম জিয়া নিজেই এখন পারলে পাকিস্তান চলে যায়| ওর কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেখানে যাবেন যাক, প্রশ্ন, উনি কি ঢাকা সেনানিবাসে বাংগালী অফিসার দেখেছিলেন?
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: খালেদা জিয়ার 71 স্মৃতি ছিল লজ্জাজড়িত স্মৃতি । তা কিন্তু জিয়া সাহেবের মধ্যে প্রকাশ ছিল ।কেননা জিয়া সাহেব খালেদাকে স্ত্রী মর্য্যদা দিতে চান নি ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেটা আরেক সমস্যা; সেটার সমাধান হয়েছিল; আমি বলতে চেয়েছি অন্য কথা, কোন বাংগালী অফিসারকে উনি কি ক্যান্টটনমেন্টে দেখেছিলেন, কোন বাংগালী অফিসার কি বাংগালিদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিল?
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
আহা রুবন বলেছেন: অফিসারদের চেয়ে সৈনিকরা বেশি সংখ্যক মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। আবার যারা একটু নিজেদের অভিজাত(?) মনে করত, তারা মুসলিমলীগকে সমর্থন করত। শ্রেণিগত অবস্থানের কারণে দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ডও ভিন্ন হয়েছে।
'সিক্রেট' টা হলো, বেগম জিয়ার ঢাকা ক্যানটনমেন্টে অবস্হান কালে কতজন বাংগালী অফিসারকে উনি দেখেছেন, কিংবা জেনেছেন, কতজনকে মনে হয়েছে যে, তারা নিজ ইচ্ছার বাইরে বাধ্য হচ্ছে থাকতে, এবং কতজন বাংগালীদের বিপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে?'
খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে তখন কঠিন নিরাপত্তার মধ্যে বন্দী। তার পক্ষে সেসব পর্যবেক্ষণ ঝুঁকিপূ্র্ণ ছিল, তাই দু-চোখ বন্ধ করে ছিলেন। যেহেতু তিনি পাকি সৈনিকদের ভয়ে পাকি অফিসারদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছন, তাদের নির্দেশ তিনি বাধ্য হয়ে মেনেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, এটা জানার পর পাকি অফিসারেরা তাকে খুব খাতির করেন। আসলে সৈনিকরা ছিল খারাপ, অফিসাররা খুব সজ্জন ছিলেন। তাইতো সাবেক অফিসারের মৃত্যু সংবাদ শুনে... গুল্লিমারি ওসব প্রটোকলের...
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্যান্টনমেন্টে যুদ্ধ জীবন ছিলো না; পাকীরা বেশ আমোদেই ছিল এই যুদ্ধে; সেখানে বাংগালী অফিসারও ছিলেন যথাসম্ভব।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "বেগম জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালীন বাংগালী অফিসারদের দেখেছিলেন কিনা, এবং বাংগালী কোন অফিসার বাংগালীদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন কিনা, এটা জাতিকে জানালে ভালো হতো।" উনি দেখেছিলেন কী না জানিনা, তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অনেক বাঙালি কুলাঙ্গার তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঙালি নিধনে নেমেছিলো । কয়েকদিন অাগে প্রয়াত প্রাণ-অারএফএল এর প্রধানও তাদের একজন ছিলেন । এই কুলাঙ্গারদের নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, উনি বেশ কিছু অফিসারকে জানটেন।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: কি বলেন এসব ????? উনি একজন শম্মানিয়া বীরাঙ্গনা , বীর মুক্তিজুদ্ধা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতি জানলে ভালো হতো, উনি ওখানে বাংগালী অফিসারদের দেকেছিলেন কিনা!
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এপ্রশ্নটা আমাদের সাহসী (?) কোন সাংবাদিক কোন সংবাদ সম্মেলনে উনাকে করতে পারবেন ?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা কেহ কোনদিন জানটে চাহেনি; জানার ডরকার ছিলো।
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৬
রাফা বলেছেন: ১৯৭১-এ সবচাইতে নিরাপদ স্থান ছিলো ১৬ই ডিসেম্বরের পুর্ব পর্যন্ত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সেনানিবাস।আর সেখানেই আর্মি অফিসারদের হেফাজতে আরো বেশি নিরাপদ ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।উনি সেখানে স্বেচ্ছায় ছিলেন।কারন তিনি ২৬শে মার্চ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ছিলেননা ।জিয়াউর রহমানের কাছে যাওয়ার সুযোগ থাকতেো তিনি সেখানে বা সীমান্ত এলাকায় না গিয়ে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে এসেছিলেন।আর এখানে এক উজবুক (আহা রুবন)বলতেছেন তিনি বন্দি ছিলেন।তিনি আরো অনেক সেনা পরিবারের সাথে মুক্ত ও স্বাধীন ছিলেন।কাজেই তিনি অনেক কিছু দেখেছেন,শুনেছেন ও বুঝেছেন।যেহেতু গৌরব করার মত কোন ভুমিকা নেই তার তাই তিনি নিশ্চুপ ছিলেন এবং আছেন ঐ সময়ের ব্যাপারে।যা হয়তো আমরা জিবনেও জানতে পারবোনা।এটাই হলো মূল কথা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনাকে ভারতে নেয়ার জন্য ৩ বার চেস্টা করা হয়েছিল, উনি 'না' করেছেন।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪
আহা রুবন বলেছেন: রাফা বলেছেন...এক উজবুক (আহা রুবন)বলতেছেন তিনি বন্দি ছিলেন।তিনি আরো অনেক সেনা পরিবারের সাথে মুক্ত ও স্বাধীন ছিলেন।
আমি যে,কথাটা ব্যঙ্গ করে বলেছি, রাফা খেয়ালই করেন নি। তিনি প্রটোকল ভেঙ্গে জানজুয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছিলেন কেন?
তিনি সত্যিকারের বন্দি থাকলে শোক জানাতেন না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মিস-আন্দারস্টেন্ডিং
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৩
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: সিক্রেট টা উনার কাছে হয়তো ততটা সুখকর ছিলো না ।