নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানে ইউনিভার্সিটি আক্রান্ত, ২১ জন নিহত

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

পেশোয়ার থেকে সামন্য দুরে অবস্হিত কবি বাচা খান ইউনিভার্সিটিতে হত্যাকান্ড চালায়েছে তালেবান জাতীয় সন্ত্রাসীরা, এতে ২১ জন নিহত হয়েছে; আহতদের অনেকই পরে প্রাণ হারাবে।
পাকিস্তানী সেনা বাহিনী সন্ত্রাসের চাষ করে; তারা সন্ত্রাসের চাষের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখে; কে প্রেসিডেন্ট, কে প্রাইম মিনস্টার থাকবে, সেটা সেনা বাহিনী ঠিক করে।

পাকিস্তানী জন সাধারণও চায় যে, সেনা বাহিনী দেশ চালাক; তারা শুধু চায়, তাদের পরিবারের কেহ যেন সেনা বাহিনীতে কমপক্ষে সেপাহী হিসেবে চাকুরী পায়; আর যারা তথাকথিত এলিট, তাদের ছেলেরা অফিসার হয়।

সিন্ধু ব্যতিত, পাকিস্তানের বাকী এলাকার লোকজন যুদ্ধবাজ ও টাউট; এই জাতীকে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলানোর জন্য যে ধরণের সরকার ও প্রশাসন দরকার, পাকিস্তান তা কখনো পায়নি; ফলে, মানুষ অনেকটা এনারখিজমের মাঝে বাস করে।

পাকিস্তানের যে সম্পদ আছে, তা দিয়ে ১৮ কোটী মানুষ ভালোভাবে থাকতে পারতো; কিন্তু মিলিটারী ও সরকার মিলে জনগণকে অধিকার বন্চিত করে রাখে।

পাকিস্তানী ব্যুরোক্রেটরা গরীবদের পড়তে দেয়নি, বা কমপক্ষে মাদ্রাসায় যেতে বাধ্য করছে; বাংলাদেশেও একই প্রথা বজায় রেখেছে সরকার।

পাকিস্তান যে পরিমান সম্পদ আফাগানিস্তান, কাশ্মীর, সেসনিয়া, ভারত ও বাংলাদেশে ব্যয় করে, তা দিয়ে দেশের সবাইকে 'ফ্রি' পড়াতে পারতো।

মনে হয়, এখন বাংলাদেশ প্রজরক্ট লাভের ঘরে গেছে; এখন জাল টাকা ও মাদক ব্যবসা করছে বাংলাদেশ হয়ে; তারা আমাদের দেশে ভালো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

জেনারেল জিয়ার পদক্ষেপ আমাদের দেশের একাংশ মানুষকে পাকিস্তানী মনোভাবের করে তুলেছে; আমরা যুদ্ধ করে, পাকিস্তানকে প্রত্যাখান করে এসেছিলাম; কিন্তু জিয়া আমাদেরকে আবার সেই পথে নিয়ে গেছে; উনার মৃত্যুর পর, উনার সামরিক ও বেসামরিক শিষ্যরা আমাদেরকে সেই পথে টেনেছে ২৬ বছর, এখনো চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।







মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: সহীহ কথা। ধন্যবাদ

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওদের বিরাট প্রভাব আছে আমাদের দেশে, ভাবনার বিষয়

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

কল্লোল পথিক বলেছেন: পাকিস্তান যে পরিমান সম্পদ আফাগানিস্তান, কাশ্মীর, সেসনিয়া, ভারত ও বাংলাদেশে ব্যয় করে, তা দিয়ে দেশের সবাইকে 'ফ্রি' পড়াতে পারতো। হায়রে পাকিস্তান।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওরা মিজের মানুষের ক্ষতি করে, আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে ১৯৭২ সাল থেকে; এখন হয়তো লাভের ঘরে গেছে; এখন জাল টাকা ও মাদক ব্যবসা করছে বাংলাদেশ হয়ে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: আর একটা কথা,আমাদের সামরিক বাহিনীগুলোতে পাকি পোনা ঢুকতেই আছে! ভাবনার বিষয়।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার পর, পাকিস্তানে আটকা-পড়া অফিসারদের সেনা বাহিনীতে রেখে শেখ সাহেব আমাদের ডুবায়েছেন; সেই দিক থেকে আমরা ছোট খাট পাকিস্তান

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাকিস্তানে আটকা-পড়া অফিসারদের ফিরিয়ে আনতে বংগবন্ধুকে অনেক চড়া মুল্য দিতে হয়েছিল। ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই পাক ফেরত সেনারাই পরে মুজিব হত্যা জেলহত্যার ষড়যন্ত্র করে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি এসব ব্যাপারে ভেবেচিন্তে কিছুই করেননি; বাংলাদেশের এত সৈনিকের তখন দরকার ছিলো না; ওদেরকে এয়ারপোর্টে একটা বড় অংকের টাকা দিয়ে, বাড়ীতে পাঠানোর দরকার ছিল; পরে সরকারী সিভিলিয়ান চাকুরী দিলে সব সঠিক হতো; উনি কেন ওদেরকে ক্যানটনমেন্টে নিয়েছিলেন, বুঝা মুশকিল।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পাকিস্তান একটা জাড়জ রাস্ট্র| তালেবান টাইপ কেউ হয়তো মেরেছে| আর আমি সেন্ট পার্সেন্ট সিওর যে ওদের অনেকেই এটাকে সাপোর্ট করে

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানের যারা পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না, যারা সৌদীতে উট চরাচ্ছে, যাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নেই, তারাও ক্ষ্যাপতে পারে।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

যোগী বলেছেন:
পাকিস্থানে গুলিতে ২১ জন মারা যাওয়া তেমন কোন ঘটনাই না। খোদ পাকিস্থানীরাই অনেকে এই ঘটনা এখনো সুনেনি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মসজিদে, বাজারে মানুষ মারছে; তবে, ইউনিভার্সিটি আক্রমণ, নতুন কিছু।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এটাকে “পাকিস্তানী সেনাবাহিনী” না বলে সন্ত্রাসীবাহিনী বলাই যুক্তিসঙ্গত।
আর পাকিস্তানের এই সন্ত্রাসীবাহিনী শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, এটি বিশ্বের জন্য অভিশাপ।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এরা এখন সৌদীতে কাজ করবে, যাতে ইরানের সাথে যুদ্ধ লাগে; এরা জর্ডানে আছে এডভাইজার হিসেবে

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: পাকিস্থান অন্য দেশের দিকে না তাকিয়ে নিজের দেশের দিকে তাকালে হয়তো তাদের এ সমস্যা হতো না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকী টাউটরা জন্ম থেকে বিশ্ব নেতা, জালিয়াত ও মাফিয়া।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন: চাকুরীর কারনে বিদেশেও কাজ করতে হয়; নিউইয়র্কের লং-আিল্যান্ডে কাজ করছিলাম; অফিসে চা-কফি ফ্রি; লান্চের পর, বাহিরে হাঁটার সময়, বাহিরের দোকান থেকে ১ কাপ কফি কেনার ইচ্ছে হলো; গেলাম পাশের ডাংকিন ডোনাটে; দুপুর বেলায় লম্বা লাইন; বেশীর ভাগই বয়স্ক লোকজন, সিনিয়র সিটিজেন এলাকা; সার্ভিসে সবাই বাংলাদেশী, ৪ জন তরুণী, ১ জন একটু বয়স্ক মহিলা, ১ জন তরুণ, আরেকজন মধ্য বয়সী পুরুষ, এবং ইনি ম্যানেজার। ক্যাশে ২ জন অর্ডার নিচ্ছেন, কিন্তু লাইন নড়ছে না; সার্ভিসের এক তরুণী ডোনাট ইত্যাদি সাজাচ্ছে, এবং কোন আরেক তরুণীর হানীমুনের আধা-পর্ণ জাতীয় গল্প পুরো গ্রাফিকসহ বলছেন, সবাই সেটাতে মত্ত।

অনেকক্ষণ পর, ক্যাশের কাছে আসলাম; সামনের মহিলা, প্রায় ৮০ বছর বয়স হবে, ২টি ডোনাট ও মিডিয়াম কফির অর্ডার দিলেন; দাম দেয়ার সময় কুফন দিলেন ক্যাসিয়ারকে; ৪ ডলার থেকে সামান্য বেশী বিল আসলো, মহিলা ৫ ডলারের বিল দিয়ে বিল দিয়ে খাবার নিয়ে টেবিলে গিয়ে বসলেন। এক ক্যাসিয়ার বাংলায় আমাকে বললেন,

-কিভাবে সাহায্য করবো আপনাকে?
অকারণ দেরী ও হৈ চৈ'তে মেজাজ ভালো ছিল না; ইংরেজীতে অর্ডার দিলাম,
-দুধসহ ছোট ডি-কাফ, ফ্যাট-ফ্রি মিলক, চিনি লাগবে না।

পয়সা দিচ্ছি, সেই সময় ঐ বয়স্ক মহিলা ফেরত এলেন ক্যাশে, বললেন,
-আমি কুফন দিয়েছিলাম, আমার থেকে বেশী পয়সা নেয়া হয়েছে!

ক্যাশের তরুণী অগ্নিমুর্তি ধারণ করে বললেন, "এই কুপন আমরা নিচ্ছি না"।
মহিলা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন; আমি ক্যাশিয়ারকে বললাম,
-কুপনটা আমাকে দেখাবেন?

-তুমি আবার কে? ক্যাশিয়ার আমাকে ধমক দিলো; ভেতরে গল্প হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলো, সবাই আমাকে দেখছে; আমি বললাম,
-আমি কেহ নই; তবে, বড় যায়গায় নালিশ করবো।
-যাও, করগে, উঁচু গলায় বললো ক্যাশিয়ার; এরপর মাহিলাকে ডেকে তার পুরো ৫ ডালারের নোট ফেরত দিলো; আমি কফি নিলাম, দোকানে ভয়ংকর নীরবতা।

দুইদিন পর, বাড়ী ফেরার পথে সেই দোকানে গেলাম, লাইন ছিল না; ক্যাশে ছিল ঠিক আগের দিনের মেয়েটি; ভেতরে হইচই করে গল্প চলছিল; আমি অর্ডার টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতে মেয়েটা ঘোষনা করলো:
-গন্ডগোলটা এসেছে, গন্ডগোলটা এসেছে।
সে ক্যাশ থেকে সরে দাঁড়ালো, সবাই চুপ; বয়স্ক মহিলাটি ক্যাশে এলো; আমি অর্ডার দিলাম, বাটারসহ টোস্টেড খোয়াসঁ ও এক বোতল সোডা। পয়সা দেয়ার সময় মহিলা বললেন:
-কফি?
-না, আমি বললাম।
-ফ্রি।
আমি না করলাম। আমি টোস্টেড খোয়াসঁ'র জন্য অপেক্ষা করছি, ম্যানেজার বললো, "এই লোক বাংগালী"। ক্যাশের মহিলা বললো,
-না, বাংগালী নয়; আমি ফ্রি কফি দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি তো।

ট্রেনে উঠে প্যাকেট খুলে দেখি, টোস্টেড খোয়াসঁ'র যায়গায় ব্যাগল; আমি ব্যাগল পছন্দ করিনা, একবার খেলে সহজে ক্ষুধা লগে না; তবুও খেলাম।
পরেরদিন, কাজে যেতে থামলাম দোকানে, তরুণী ক্যাশিয়ার আমাকে দেখেই জোরেই ঘোযনা করলো,
-মাশী, গন্ডগোলটা এসেছে।
-গতকাল আমাকে টোস্টেড খোয়াসঁ'র যায়গায় ব্যাগল দেয়া হয়েছিল, বয়স্ক মহিলাকে বললাম।
-তাই নাকি? ঠিক আছে, ভবিষ্যতে যাতে ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবো; আজ কি দেবো?
-আমি আমার টোস্টেড খোয়াসঁ চাই।
মহিলা গ্রিলের ছেলেটাকে অর্ডার দিয়ে আমার কাছে পয়সা চেলো। আমি বললাম:
-পয়সা তো গতকাল দিলাম।
-আপনাকে তো ব্যাগল দেয়া হয়েছিলো।
-ওটা আমার অর্ডার ছিলো না।
দোকানে সবাই চুপ, ম্যানেজার সামনে এলো, বললো:
-ব্যাগল তো আপনি ফেরত আনেননি।
-আপনি চান, আমি ট্রেন থেকে এসে ব্যাগল দিয়ে যাবো? গন্ডগোল ছেড়ে দেন।
মহিলা আমাকে খোয়াসঁ'র প্যাকেট দিলো; আমি বেরিয়ে যাচ্ছি, শুনলাম, ম্যানেজার মহিলাকে বলছে, বিনা পয়সায় দেয়া ঠিক হয়নি তোমার; লোকটা মাথায় উঠবে।

শুক্রবারে কাজের থেকে আগে বাড়ী ফিরছি, কফির জন্য থামলাম, লোকজন তেমন নেই; ক্যাসিয়ার মেয়েটি ঘোষনা করলো,
-গন্ডগোল, গন্ডগোল।
সবাই কাজ কর্ম বন্ধ করে আমাকে দেখছিল; গ্রিলের ছেলেটা বললো, "তুমি যে গন্ডগোল, গন্ডোগল বলছ, লোটা এক সময় বুঝতে পারবে"
"আজ এই লোকের অর্ডার আমি নিচ্ছি", বলে ম্যানেজার ক্যাশে এসে দাঁড়ালো।
আমি অর্ডার দিলাম, "মিডিয়াম ডি-কাফ, ফ্যাট-ফ্রি মিলক, চিনি লাগবে না"

লোকটা নিজেই কফি বানাতে গেলো, ডি-কাফের পটে সামান্য তলানী পড়ে ছিল, সেটুকু ঢাললো, বাকীটুকু দিলো রেগুলার থেকে; আমি জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকানোর ভান করে দেখছিলাম; পুরো ক্রু ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে আছে; আমি কফি নিয়ে পয়সা দিয়ে, এক চুমুক খেয়ে বললাম:
-আমি ডি-কাফের অর্ডার দিয়েছিলাম?
ম্যানেজার বললো, "এটা ডি-কাফ"।

বয়স্ক মহিলা এগিয়ে এলেন, "একটু অপেক্ষা করুন, নতুন ডি-কাফ তৈরি করে দিচ্ছি"; উনি নিজেই কফি বসালেন, মিনিট চারেকের মাঝ কফি হয়ে গেছে; মহিলাটি আরেকটি অর্ডার নিচ্ছে; ম্যানেজার আমার জন্য কফি বানালো; দেখা যাচ্ছে সে রাগান্বিত; সে ফ্যট-ফ্রি দুধের যায়গায় রেগুলার দুধ দিলো দেখলাম। আমি কফিটা হাতে নিয়ে এক চুমুক খেয়ে মহিলাকে বললাম:
-আমি ফ্যাট ফ্রি দুধ চেয়েছিলাম।
মহিলা ম্যানেজারের দিকে তাকালো; দোকানের এক পাশে ম্যানেজারের টেবিল, সে সেখানে গিয়ে বসে পড়লো। মহিলা নতুন করে কফি বানিয়ে দিলো; বললেন,
-ফ্রি খোয়াসঁ দেবো আপনাকে।
-না, ধন্যবাদ।
আমি দোকান থেকে বের হচ্ছি, তরুণীটি বললো:
-গন্ডগোল গেলো।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন: প্রাইমারী হলো, মুল নির্বাচনের আগের নির্বাচন, যেখানে দলের সদস্যরা নিজ দলের 'ক্যানডিডেট নির্বাচিত' করে; ওখানে দল-প্রধান, বা দলের নেতৃত্ব নমিনেশন দেয় না; তা' করা হয় দলের মানুষদের সরাসরি ভোটে। এবারের নভেম্বরের ভোটে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে; আগামি বছরের জানুয়ারী্তে নতুন প্রেসি ক্ষমতা বুঝে নেবে।

আমেরিকায় বড় দল ২টি, ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দল; ডেমোরা শ্রমিক ও দরিদ্রদের ভোট বেশী পায়, ব্যবসায়ীরা রিপাবলিকানদের ভোট ব্যাংক।

এবার ডেমোদের শক্ত প্রার্থী হচ্ছে, হিলারী ক্লিনটন; তার কাছাকাছি শক্ত হচ্ছে, বার্নি সেন্ডারস; বার্নি নিজকে আধা সোস্যালিস্ট হিসেবে তুলে ধরেছেন, সেই কারণে ছাত্র ও তরুণদের সমর্থন বেশী পাচ্ছেন; ধর্মীয় দিক থেকে ইহুদী, এটা আপাতত সমস্যা হচ্ছে না।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন: রিপাবদের শক্তিশালী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিয়েলস্টেইট টাইকুন; ইনি নিজের টাকায় ভোট করছেন, ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করবেন, পদ্মাসেতুর এক তৃতীয়াংশ; বাকীরা দানের টাকায় ভোট করছেন; এদের মোট ১২ জন প্রার্থী। এদের ২য় শক্ত প্রার্থী টেড ক্রুজ, বর্তমানে সিনেটর; তৃতীয় স্হানে ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও, কিউবানদের ছেলে; রুবিও ঘন কথা বলে, ওবামাকে অনুসরণ করতে চাচ্ছে; কিন্তু সৎ বলে মনে হয় না। ত্বতীয় বুশ আছে অনেক পেছনে, কিন্তু দলের বেশী সমর্থন ছিল বুশের পেছেন; শিয়ালের মত ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছে, যদি ট্রাম্পের ভোটগুলো কেটে উনার কাছে আসে; তবে, সেই সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে।

প্রাইমারীতে প্রথম বিজয় খুবই গুরুত্বপুর্ণ; তাই আজকের ভোট সামনের দিন গুলোর ডিরেকশান ঠিক করবে; আজ ভোট হবে 'আইওয়া' রাজ্যে; ভোট শুরু হবে সন্ধ্যা ৭ টায়; উভয় পার্টির লোকেরা নিজেদের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে থাকবেন সেই সময়।

ডেমোদের ভোট সুন্দর; সাধারণত: চা-পানির ব্যবস্হা থাকে; এরপর, ভোটারেরা নিজের প্রাথীর জন্য নির্ধারিত যায়গায় গিয়ে সমবেত হবেন; কোন ব্যালট নেই এখানে, মাথা গুণা হবে।

রিপাবরা গোপনে ভোট দেয়; তবে, সেখানেও ব্যালট নেই; একটা কাগজে নাম লিখে দিতে হয়। পুরো রাজ্যে ভোটের রেজাল্ট রাত ১০টার আগেই জানা যাবে হয়তো।

আমাদের রাজনৈতিক থিংক ট্যানক, ড: এমাজুদ্দিন, ড: কামাল, ড: বদিউল আলম কোনদিন আমাদের জাতির জন্য এ ধরণের প্রাইমারী শুরু করার জন্য বলেননি; আসলে উনারা এগুলো বুঝার মতো বিদ্যান বলে মনে হয় না।

কিন্তু প্রাইমারী গণতান্ত্রি নির্বাচনের জন্য প্রথম ও খুবই নিরপেক্ষ ধাপ; আমাদের দেশের জন্য ইহা খুবই দরকারী; আমাদেরকে এই অধিকারের জন্য লড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.