নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বদলায়, কিন্তু নীতি বদলায় না"

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

"আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বদলায়, কিন্তু নীতি বদলায় না", এ ধারণাটি বাংলাদেশে চালু আছে; যদিও এটা ভয়ংকর একটি ভুল ধারনা, কিন্তু অনেক রাজনীতির প্রফেসর থেকে শুরু করে, টিউটোরিয়েল জেনারেশন'এর বিরাট অংশ এ ধারণাটি পোষণ করে আসছে। রাতের পরিস্কার আকাশে তাকালে নভোমন্ডলে যত তারকা দেখা যায়, তার সবগুলো তারকা নয়; এদের মাঝে গ্রহ, উপগ্রহও আছে, স্ট্রোনোমারেরা বুঝতে পারেন, কোনটা কি!

সাম্প্রতিক কালের ৪ জন প্রেসিডেন্টকে কেহ চিনলে, এবং তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ বুঝলে, দেখা যাবে যে, প্রতিটি প্রেসিডেন্টের নীতি আলাদা; ১৯৮৮-১৯৯২ সময় কালে প্রেসিডেন্ট ছিলেন সিনিয়র বুশ; উনার ছেলে, বুশ জুনিয়র প্রেসিডেন্ট ছিলেন ২০০০-২০০৮ সময় কালে; সিনিয়র বুশ, সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনীতে নিজের ছেলেকে দুর্বল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখায়েছেন; তিনি মনে করেছেন যে, ভাইস চেইনী ও ডিফেন্স সেক্রেটারী রামসফেল্ড হোয়াইট হাউজে নিজেদের নীতি চালু করেছিল।

প্রথম বুশ বিদায় নেয়ার সময়, আমেরিকা ভয়ানক রিসেশনে ছিল; ক্লিনটন এসে ৮ বছরে আমেরিকাকে পুনরায় ভালো অবস্হানে নেয়; ক্লিনটন মিডল-ইস্টের নীতিহীন ডিক্টেটরদের পেছনে আমেরিকান জীবন খরচ করতে চায়নি; কিন্তু বুশ জুনিয়র আমেরিকান সৈনিকদের এক অন্তন্থীন যুদ্ধে পাঠায়ে দেয়; এখানে ২ জনের মাঝে নীতির পার্থক্য ছিল অনেক অনেক।

২০০৮ সালে, আমেরিকাকে ভয়ংকর দুর-অবস্হার মাঝে নিয়ে যায় ওয়াল স্রীট; সেটাও ছিল ছোট বুশের ভুল নীতিকে ব্যবহার করে; ওবামা এসে ৬ বছরে আমেরিকাকে ক্লিনটনের চেয়েও ভালো পজিশনে এনেছে; এই বিরাট সাফল্যার পেছেন অনেক নীতিমালাকে কাজে লাগাতে হয়েছে।

বাংলাদেশের মিডিয়ার মফিজ মিয়াদের লেখা পড়ে, বা ঢা ইউনিভার্সিটির ক্যাডার প্রফেসরের লেখা থেকে আপনি যদি মুখস্হ করেন যে, "আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বদলায়, কিন্তু নীতি বদলায় না", উহা ভুল ব্যতিত কিছুই নয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৮

দিশেহারা আমি বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম- আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি পযায়ক্রমে একবার ঠাণ্ডা আর একবার গরম থাকে। এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য নেয়, এগুলো সাধারণ মানুষের সাধারন আলাপের অংশ; আমেরিকা পররাষ্ট্রনীতি'এর উপর নিয়মিত রিচার্চ করছে, হাজার হাজার লোক এতে কাজ করছে; আমেরিকাকে চলমান বিশ্বের সথে সারাক্ষণ তাল মিলাতে হচ্ছে।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১২

তার আর পর নেই… বলেছেন: ওয়াল স্রীট?

রাতের পরিস্কার আকাশে তাকালে নভোমন্ডলে যত তারকা দেখা যায়, তার সবগুলো তারকা নয়; এদের মাঝে গ্রহ, উপগ্রহও আছে, স্ট্রোনোমারেরা বুঝতে পারেন, কোনটা কি

এই তিনটি লাইন দেখে অবাক হইছি।

দূর থেকে দেখে বুঝতে পারা যায়না নীতি বদলাচ্ছে কি বদলাচ্ছে না, তাই বোঝাতে চেয়েছেন?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"দূর থেকে দেখে বুঝতে পারা যায়না নীতি বদলাচ্ছে কি বদলাচ্ছে না, তাই বোঝাতে চেয়েছেন? "

-হ্যাঁ, সেটাই বুঝাতে চেয়েছি।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭

রাফা বলেছেন: শুধু নীতি নয় -সব কিছুই বদলে যায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বদলের সাথে সাথে।পররাষ্ট্র নিতীর দিকে সারা বিশ্বের দৃষ্টি বলে মানুষ টের পায়না অনেক কিছুই।তৃতিয় বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি তেমন কোন পরিবর্তন হয়না বলেই এটা মনে হয়।কারন আমেরিকার দৃষ্টি সব সময় সম্পদশালী রাষ্ট্রের দিকেই নিবন্দিত থাকে।কোথা থেকে লুটপাট করে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করা যাবে।আর নিজের দেশের নাগরিকদের বেকার ভাতা দেওয়া যাবে তাতেই মশগুল থাকে।সেই জন্যই আমেরিকার মানুষ আমেরিকার নীতি নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না।
আগামিকাল থেকে সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিলে পরের দিন থেকে আমেরিকার সরকারের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধারে লেগে যাবে সকল সিটিজেন।এটাই হইতেছে বাস্তবতা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক, সব কিছুই বদলে যায়।
আমাদের দেশের লোকদের পশ্চিমের রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা নেই; ফলে, তারা টের পায় না যে, কি হচ্ছে।
আমাদের লোকদের রাজনীতি খালেদা জিয়ার হবুগিরি, ড: এমাজুদ্দিনের গবুগিরির মাঝে আটকা পড়ে গেছে।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

কল্লোল পথিক বলেছেন: সহমত "আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বদলায়, কিন্তু নীতি বদলায় না", উহা ভুল ব্যতিত কিছুই নয়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ আমেরিকান রাজনীতি বুঝার চেস্টা করেনি কোনদিন।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। আমাদের নীতি নির্ধারকরা ওদের খোলা চোখে দেখতে পারেন না। তাই হয়তো এরকম প্রথা চালু হয়ে গেছে। এই প্রথা এতো সহজে মুছবে তাও মনে হয় না।

লেখাটি ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীদের সামনে রাজনৈতিক কোন উডাহরণ নেই দেশে।

৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমাদের সব বদলায়। নেতা গদি চেয়ার তোষক। বোঝাও যায়। তবে বলার কিছু নাই। গাঙের উলটো স্রোত আমাদের রাজনীতি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমাদের কোন নীতি ছিলো না, কোন সময়ে; ফলে বদলানোর দরকার হয়নি; ষড়যন্ত্র বদলায়েছে।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার এই লেখার সাথে সহমত পোষণ করছি। তবে উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সিক্রেট রাখার ক্ষেত্রে আমেরিকা একটি মডেল। তাদের সিক্রেট সার্ভিস খুব ভাল দক্ষতা দেখাতে পেরেছে এবং এক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপ্রধানের নীতির ব্যাপক রদবদল হয়েছে যেটা ভাল করে ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়। (+)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা এসব ব্যাপারে অনেক দক্ষ লোকদের সাহায্য নিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.