নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংকিং, ফোন, বিদ্যুত, গ্যাস, রাস্তা, বাড়ী নির্মাণে, যান বাহনে মানুষের বিনিয়োগ প্রসংগে

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬

মাত্র গতকালও সরকার একনেকের এক মিটিং'এ, চলতি এক প্রকল্পে ৫০০০ কোটী টাকা বরাদ্ধ করেছে; যারা এসব প্রকল্পে কাজ করছে, এই টাকার সামান্য ২০% যদি লাভ করে, তারা ১০০০ কোটী লাভ করবে; লাভের অর্ধেক যদি ঘরে নেয় ৫০০ কোটী ঘরে যাবে; এই টাকাটা একটা চাইনীজ কোম্পানী ও কয়েকজন বাংগালীর ঘরে যাবে। ৫০০ কোটী ঘরে নিতে কত লাখ চাষীকে কত বছর মাঠে কাজ করতে হবে? কিন্তু এই প্রকল্পকে এমনভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব যে, এই ৫০০ কোটী টাকা ১০/২০ লাখ পরিবার পেতে পারতো, এবং কাজও অনেক ভালো হতো!

এটা তো কিছুই না; ৫০০০ কোটী হলো ছিটেফোটা, সরকার ও আধা সরকার মিলে প্রায় ৩ লাখ কোটী টাকার কাজ করায় বছরে; এবং এই টাকার ৩০% থেকে ৪০% সামান্য কিছু লোকের পকেটে যাচ্ছে। ৩ লাখ কোটী টাকা খরচ করে সরকার উন্নয়নের যে ঢোল বাজাচ্ছে, সেটা ১৭ কোটী লোক শুনে, কিন্তু সেটার প্রত্যক্ষ ভাগ ওরা পায় না, পায় পরোক্ষ ভাগ; কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাগই ১৭ কোটীর পাওনা, এবং মানুষকে সেটা দিলে আসল উন্নয়ন হবে; না হয়, আসল উন্নয়ন হবে কর্ণেল ফারুক, মেজর মান্নান, ওরিয়ন, সালমান রহমান, বসুন্ধরাদের।

আমাদের সরকার আমেরিকা, বৃটেনের মতো কড়া কয়াপিটেলিজম চালাচ্ছে দেশে; কিন্তু আমাদের লোক সংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে বেশী; শিক্ষার হার আফগানিস্তানের চেয় ভালো, দক্ষতার দিক থেকে অদক্ষ শ্রমিক; আর মাথাপিছু সম্পদ হিসেব করলে, আমরা ফকির। আমরা আসলে বৃটেন, আমেরিকা বা জার্মানী নই।

আমাদের দেশে এসে ফোন, ব্যাংকিং, বিদ্যুত, গ্যাসে বিনিয়োগ করছে বিদেশীরা; অথচ বাংগালীর কাছে বিদেশীদের বিনিয়োগের থেকে বেশী টাকা অলস হয়ে পড়ে আছে; আর বিদেশীরা যেই টেকনোলোজী আনছে, সেগুলো ক্রয় করা সম্ভব।

বাংগালীর টাকাকে বিনিয়োগ করতে হলে, কিছু নতুন পদক্ষেপ নিতে হবে পুরাতন সমবায় পদ্ধতি ব্যবহার করে; এগুলো বর্তমান ব্যাংককিং ও ম্যানেজমেন্টের ফলে সোজা হয়ে গেছে।

ব্যাংকিং, ফোন, বিদ্যুত, গ্যাস, রাস্তা ও বাড়ী নির্মাণে, যান বাহনে মানুষকে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হোক; মানুষ নিজ দেশে প্রবাসী হয়ে বসে আছে; বাহিরের মানুষ এসে টাকা আয় করছে এই গরীব দেশে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল বলেছেন। মাথায় ঢুকেছে এই পোস্টটি। আপনি সত্যিই দেশ নিয়ে যে, চিন্তা করেন সেটা বুঝা যায়। তবে সরকারে ও প্রসাশনে যারা আছেন, তারা তো আখের গোছায় ব্যস্ত। তারা তো শুনবে না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা সরকারে ও প্রশাসনে আছে, তাদের অনেকের পক্ষে এগুলো বুঝা সম্ভব নাও হতে পারে; নতুন জেনারেশনের কিছু অংশ বুঝতে পারলে, জাতিকে দারিদ্রতা থেকে বের করে আনতে পারবে।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

আজাদ মোল্লা বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন , কিন্তু আমাদের সরকার কি শুনতে পায় ?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কানা, বধির আর কতদিন রাখবো?

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভাল কথা বলেছেন। ধন্যবাদ

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি হাসিনখুশী মানুষ; আপনাকে এসব দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবছি।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বাঙালী অলস। বাঙালীর টাকাও অলস।
সরকার প্রতিবন্ধী। জনগণ ভুক্তভোগী।

আমরা আসলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এখন পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেই দায়সারা যাবে না। পরিবর্তক হতে হবে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটাই সঠিক, বলে লাভ নেই, নিজকে চেস্টা করতে হবে; তবে, সমর্থক দরকার।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকার ভোটে এবার প্রস্তাব আসছে, ব্যাচেলর অবধি ফ্রি পড়ানোর জন্য।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

সায়েল বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদিগকে এই ভাবনাকে প্রতিস্ঠিত করতে হবে আমাদের জাতির জন্য; জাতির মানুষ অমানুষিক কস্ট করছে।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

আইএমওয়াচিং বলেছেন: সুন্দর ভাবনা ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতিকে উন্নয়নের বাজার করা ঠিক হচ্ছে না; প্রতিটি উন্নয়নে প্রতিটি মানুষের ভাগ থাকতে হবে।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: আপনার প্রায়ই পোস্ট গুলো সব মাথার উপ্রে দিয়া যায়! তবে এই পোস্টের বক্তব্যটা বেশ পরিষ্কার লাগলো!
শুভ কামনা!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



চেস্টা করছি ব্লগারদের কাছে পৌঁছতে

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন বিষয়!

১। সমবায় ভিত্তিক ফাইনান্সের জন্য চরম উপযোগী হোল কৃষি ভিত্তিক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরন, ট্রান্সপোর্টেশন, ফুড প্রসেসিং, বিপণন ইত্যাদি।

প্রবাসীদের উপার্জন সহ বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য মানি খালি জমি এবং আবাসিক ফ্ল্যাটে লেগে আছে, যা নন প্রডাক্টিভ, এই বিনিয়োগ নতুন পণ্য এবং সেবা সৃষ্টি না করে ইনভেস্টমেন্টের চেইনকে টার্মিনেট করে ফেলছে। অথচ এই টাকা মাঝারি এবং ক্ষুদ্র শিল্পে গেলে নতুন নতুন পণ্য, সেবা, ইউটিলিটি সৃষ্টি সহ অনেক অনেক কর্মসংস্থান আনতে পারত। মানি ফ্লো বাড়াতে পারতো।

বেশি বেশি ধনী লোকের জমিতে ইনভেস্টের অন্যদিক হচ্ছে সেই জমির কৃষি উৎপাদন কমানো এবং কৃষককে ভূমিহীন করা।

মানুষকে ফার্ম করার উৎসাহ দেয়া, ফার্মের উৎপাদনকে চাহিদা এবং বছরের বিভিন্ন সময়ের উপযোগীকে ডাইভারসিফাইড করা এবং উৎপন্ন পণয়ের মূল্যের নিশ্চয়তা দেয়া (না পেলে কম্পেন্সেশন) বহু আইডল মানি এই খাতে আসবে।

কিন্তু হচ্চে উল্টো, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজে উচ্চ সুদে (ফিক্সড ডিপোজিটের) বন্ড ছাড়ছে পাবলিক সেক্টর থেকে বাজেট খরচের টাকা টোলার জন্য। দরকার ছিল মানিকে বাজারে ফ্লো করতে দিয়ে সেখান থেকে সহনীয় সার্ভিস রেভেনিউ, ভ্যাট আদায়ের ফ্রেইম ওয়ার্ক বানানো। অন্যদিকে উচ্চ চাঁদাবাজি, ঘুষ এবং প্যাসিভ পারসেন্টেজের কারনে মানুষও ফিক্সড ডিপোজিটের দিকে ঝুঁকছে।

২। বর্তমানের রেইটের চেয়ে বেশী বা সময়ের সাথে এই রেটের যে গ্রোথ ট্রেন্ড তা থেকে বেশি টোল না নেয়ার বাধ্যবাধকতা ধরিয়ে দিয়ে সাধারণ ব্রিজ গুলো পাবলিক সমবায়ে দিয়ে দেখা যায়, যেখানে বিদেশী ডিজাইনার লাগবেনা, বিদেশী নির্মাতা লাগবে না। এতে করে নাগরিকের অর্থ ক্রিয়েটিভ এবং রিপ্রডাক্টিভ চেইনে আসবে।
(যেহেতু এটা বড় ইনভেস্টের বিষয়, এই খাতে কৌশলে কালো টাকা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রাখা চাই। আমরা এটা আবাসন খাতে নেয়ার কুফল দেখেছি)।
৩। রেমিটেন্স নির্ভরতায় সরকার শুধু ম্যাসিভ কন্সট্রাকশন গুলোতে ফোকাস করবে এতে কন্সট্রাকশনে ফরেন কারেন্সি নির্ভরতা কমে আসবে। ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে করছে চাইনিজ কোম্পানি, এটা একটা সম্পূর্ন নন টেকনিক্যাল হাইওয়ে। এই ধরনের কাজ দেশীয়দের দিয়ে ( নাগরিক এবং বেসরকারি কোম্পানীর ফাইনান্সিয়াল সমবায়) করালে ফরেন কারেন্সির উপর চাপ কমবে, এতে বৈদেশিক ঋণ নেয়ায় সরকারের নেগসিয়েশন বাড়বে।

৪। আমি চাই, সরকার একটা ইনভেস্টর পার্ক করুক। যেখানে হাজার হাজার হলের মত রুম বরাদ্দ দেয়া হবে ইনভেস্টর দের জন্য ৩-৫ বছর মেয়াদে নামে মাত্র ভাড়ায়। এই এলাকায় সকল ফেসিলিটি থাকবে তবে কমন (বাথরুম, কিচেন,স্পোর্টস, পার্কিং, প্রেয়ার, স্মুকিং জোন)। থাকবে সকল ব্যাংক, কমন আইটি সেটাপ, ডেটা সেন্টার, ইন্টারনেট এর জন্য শক্তিশালী ল্যান। পার্সোনাল কিছু থকবে না শুধু একটা অফিস স্পেইস ছাড়া। এই পার্কে এসে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় একটি কোম্পানি খোলার সব কাগজ করে দিবে বিনিয়োগ বিভাগের লোকেরা। এদের সকল ট্রাঞ্জ্যাকশন ব্যাংকিং চেনেলেখবার বাধ্যবাধকতা থাকবে, একটা মাত্র ব্যাংক একাউন্ট থাকবে। এটার সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক নিরাপত্তা থাকবে চরম, মানে কোন চাঁদাবাজি থাকবে না। ৩-৫ বছরের মধ্যে গ্রোথ অনুসারে কোম্পানিকে নিজ অফিসে স্থানান্তর হতে হবে, ইনভায়রনমেন্ট সার্টিফিকেট সহ সকল সার্টিফিক্যাশন এবং আয়করের বিষয় সেটেল করে।

আমার বিশ্বাস এতে হাজার হাজার তরুন এবং ছাত্র ধুন ফুন না করে, রাস্তায় রাস্তায় না ঘুরে, চাদাবাজিতে জর্জরিত না হয়ে প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠবে। বাড়বে ব্যাপক কর্মসংস্থান। নাগরিক বিনিয়োগ বাড়বে এতে। এখানেও সমবায়কে ইন্টেগ্রেট করতে হবে।

অনেক বড় করে ফেললাম!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো আজকের সবচেয়ে দরকারী ভাবনা; এগুলোই উন্নয়নের পথ; সরকার একা চলছে, মানুষ পেছনে পরে আছে।

খুবই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ক্থা বলেছেন আপনি।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মন্নু সিরামিকের মালিক মাহমুদুর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া বাংগালী ব্লগারদের নাস্তিক ডেকেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.