![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
১৯৫২ সালে, উর্দুকে রাস্ট্র ভাষা বানাতে বাধা দেয়; এটা সঠিক পদক্ষেপ ছিলো; বাংগালীদের বাধার সন্মুখে উর্দু রাস্ট্র ভাষা না হওয়াতে বরাবরের মতো, ইংরেজীই পাক প্রশাসনের ভাষা হিসেবে থেকে যায়; বাংগালীরা বাংলা ভুলে ইংরেজ হয়ে যায়নি; যদি উর্দুও রাস্ট্র ভাষা হয়ে যেতো, বাংগালীরা বাংলা ভুলে যেতো না; শুধু চাকুরীর কারনে উর্দু শিখার দরকার হতো; যারা শিক্ষিত নন, তাদের চাকুরী হওয়ার কথা ছিল না; সুতরাং, উর্দু মুর্দু কিছুরই দরকার হতো না; ছাত্রদের জন্য স্কুল কলেজে উর্দু ভাষা চালু হতো, নিশ্চয়।
উর্দু রাস্ট্র ভাষা হয়ে গেলে, বাংগালীরা যারা পড়ালেখা শিখতো, তাদেরকে ৩টি ভাষা পড়তে হতো স্কুলে; যারা স্কুলে পড়তো না তাদেরকে কয়টি ভাষা শিখতে হতো? যারা স্কুলে পড়েনি, তারা কি বাংলা ভাষা জানতো? স্কুলে না গিয়ে, যারা বাংলায় কথা বলছেন, তারা ইংরেজীতে বললেও কি কিছু আসে যায়?
যাঁরা ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, উর্দুকে ঠেকানোর পর, উনাদের দায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে উনারা ধরে নেন; কিন্তু একজন বাংগালী যে, বাংলা জানে না, বাংলায় পড়তে পারে না, লিখতে পারে না, নজরুল বা রবী ঠাকুর কি লিখেছে জানে না, এবং জীবনে চাকুরী পাবে না, সেটা যে বিরাট সমস্যা, সেটি তাঁরা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন।
ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িতদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে, উনাদের বক্তৃতা শোনার সুযোগ হয়েছে; উনারা একটা বিষয়ে জোর দিয়েছেন স্বাধীন বাংলায়, "সর্বস্তরে বাংলা চালু করা হোক"; ধরলাম, আমেরিকায়ও বাংলা চালু হলো, জাতি সংঘে বাংলা চালু হলো; কিন্তু যেই বাংগালী পড়ালেখার সুযোগ পায়নি, তাতে তার কি লাভ? যেই বাংগালী স্কুলে যেতে পারেনি, তার জন্য বাংলা, উর্দু বা ইংরেজীর মাঝে পার্থক্য কি?
১৯৫২ সালে, মাত্র ৬% বাংগালী পড়ালেখা জানতেন; তখন কারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিটে পড়তেন? যারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিটে পরতেন, ঢাকা মেডিক্যালে পড়তেন, তারাই উর্দুকে ঠেকায়েছেন; কিন্তু এদের কেহ বাকী বাংগলীদের পড়ালেখা, বা বাংলা শেখার ব্যাপারে কোন উৎসাহ দেখাননি; উর্দু ঠেকানোর দরকার ছিল; কিন্তু সেই আন্দোলনের চেয়ে বড় আন্দোলন হওয়ার দরকার ছিল, সবাইকে বাংলা শেখানোর আন্দোলন, সবার জন্য শিক্ষার আন্দোলন।
যতটুকু করেছেন, সেটার জন্য উনাদের ধন্যবাদ; মুল সমস্যা আজও রয়র গেছে।উ১৯৫২ সালে, বাংগালীদের বাধার সন্মুখে উর্দু রাস্ট্র ভাষা না হওয়াতে বরাবরের মতো, ইংরেজীই পাক প্রশাসনের ভাষা হিসেবে থেকে যায়; বাংগালীরা বাংলা ভুলে ইংরেজ হয়ে যায়নি; যদি উর্দুও রাস্ট্র ভাষা হয়ে যেতো, বাংগালীরা বাংলা ভুলে যেতো না; শুধু চাকুরীর কারনে উর্দু শিখার দরকার হতো; যারা শিক্ষিত নন, তাদের চাকুরী হওয়ার কথা ছিল না; সুতরাং, উর্দু মুর্দু কিছুরই দরকার হতো না; ছাত্রদের জন্য স্কুল কলেজে উর্দু ভাষা চালু হতো, নিশ্চয়।
উর্দু রাস্ট্র ভাষা হয়ে গেলে, বাংগালীরা যারা পড়ালেখা শিখতো, তাদেরকে ৩টি ভাষা পড়তে হতো স্কুলে; যারা স্কুলে পড়তো না তাদেরকে কয়টি ভাষা শিখতে হতো? যারা স্কুলে পড়েনি, তারা কি বাংলা ভাষা জানতো? স্কুলে না গিয়ে, যারা বাংলায় কথা বলছেন, তারা ইংরেজীতে বললেও কি কিছু আসে যায়?
যাঁরা ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, উর্দুকে ঠেকানোর পর, উনাদের দায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে উনারা ধরে নেন; কিন্তু একজন বাংগালী যে, বাংলা জানে না, বাংলায় পড়তে পারে না, লিখতে পারে না, নজরুল বা রবী ঠাকুর কি লিখেছে জানে না, এবং জীবনে চাকুরী পাবে না, সেটা যে বিরাট সমস্যা, সেটি তাঁরা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন।
ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িতদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে, উনাদের বক্তৃতা শোনার সুযোগ হয়েছে; উনারা একটা বিষয়ে জোর দিয়েছেন স্বাধীন বাংলায়, "সর্বস্তরে বাংলা চালু করা হোক"; ধরলাম, আমেরিকায়ও বাংলা চালু হলো, জাতি সংঘে বাংলা চালু হলো; কিন্তু যেই বাংগালী পড়ালেখার সুযোগ পায়নি, তাতে তার কি লাভ? যেই বাংগালী স্কুলে যেতে পারেনি, তার জন্য বাংলা, উর্দু বা ইংরেজীর মাঝে পার্থক্য কি?
১৯৫২ সালে, মাত্র ৬% বাংগালী পড়ালেখা জানতেন; তখন কারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিটে পড়তেন? যারা ঢাকা ইউনিভার্সিটিটে পরতেন, ঢাকা মেডিক্যালে পড়তেন, তারাই উর্দুকে ঠেকায়েছেন; কিন্তু এদের কেহ বাকী বাংগলীদের পড়ালেখা, বা বাংলা শেখার ব্যাপারে কোন উৎসাহ দেখাননি; উর্দু ঠেকানোর দরকার ছিল; কিন্তু সেই আন্দোলনের চেয়ে বড় আন্দোলন হওয়ার দরকার ছিল, সবাইকে বাংলা শেখানোর আন্দোলন, সবার জন্য শিক্ষার আন্দোলন।
যতটুকু করেছেন, সেটার জন্য উনাদের ধন্যবাদ; মুল সমস্যা আজও রয়র গেছে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভাষার উপর দক্ষতা বাড়লে বানান শুদ্ধ হওয়ার কথা; আমার বাংলা খুব একটা ভালো নয়।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২০
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: কিন্তু সেই আন্দোলনের চেয়ে বড় আন্দোলন হওয়ার দরকার ছিল, সবাইকে বাংলা শেখানোর আন্দোলন।
সহমত পোষণ করছি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেই আন্দোলন হলো, সবার জন্য শিক্ষা; আজও শিক্ষিতরা সেটা বলছে না।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৫
আনোয়ারুল করিম বলেছেন: যৌক্তিক কথাই বলেছেন গাজী ভাই। কিন্তু, এ কথা বলে আবার রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যাবেন কি না, তাই ভাবছি...
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
না, রাস্ট্রদ্রোহী হওয়া কঠিন ব্যাপার।
আমাদের শিক্ষিত শ্রেণী 'সবার জন্য শিক্ষা' চায়নি কোনদিন; বরং বাকীদের জন্য শিক্ষাকে চেস্টা করে কঠিন করে ফেলছেন অনেকভাবে।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩
মহা সমন্বয় বলেছেন: ঝামেলই বটে, অন্য ভাষা তাড়িয়ে দিয়ে এখন নিজের ভাষারই খবর নেই।
যদিও আমি ভাষা নিয়ে অতটা মাথা ঘামাই না, এ জন্য যে, এটা পরিবর্তনশীল এবং পরিবর্তন হওয়াই এর কাজ ।
তবে বাংলা ভাষাকে গত ৪-৫ বছরে হিব্রু ভাষায় রুপান্তরিত করার মহান কাজটি করছে রেডিও জকিরা।
ফেসবুক, ব্লগও কিছুটা দায়ী।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তখনই দাবী তোলার দরকার ছিলো, "সবার জন্য শিক্ষা"।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৬
কল্লোল পথিক বলেছেন: শতভাগ সহমত।
যার পড়ালেখা জানে তাদের কাছে উর্দূই কি আর বাংলায় কি?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
৪৪ বছরে মানুষকে বাংলাই পড়তে দেয়া হলো না; বাংলাকে রক্ষা করা হলো প্রাণ দিয়ে, সেই বাংলায় কয়েক কোটী বাংগালী নিজের নামটাও লিখতে পারলো না জীবনে।
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
বিজন রয় বলেছেন: ভাষা আন্দোলনকারীরা মুল সমস্যা সমাধানের কথা ভাবতে পারেননি, বলেননি.............. সবসময় সবকিছু মনে পড়ে না।
আর আপনি আমার ওখানে গেলেন কিন্তু কোন কথা বললেন না।
এটা কিন্তু কেমন হলো না?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ছি এখনো।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬
কবি এবং হিমু বলেছেন: সহমত।এখন ও জানি লিখতে গেলে অনেক বানান ভূল করি।ইংরেজিতে কিছু লিখতে গেলে দশবার দেখে নেই বানান ভূল হলো কিনা,পেছনে কেউ নি সেটা নিয়ে আবার হাসাহাসি করে কিন্তু বাংলার বেলায় একটা হলেই চলে।বানান দেখে নেবার সময় কই।একটা ১০০ লাইনের লেখায় ২০০ বানান ভূল হলে ও সমস্যা নাই।এটাই আমাদের মন-মানসিকতা।আমি আমারটা বললাম বাকিদেরটা জানি না।