নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'২১ কার? জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম সামান্য শিক্ষকতার চাকুরী পাননি জীবনে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯


বৃটিশ-বিরোধী আত্মা নিয়ে জন্মেছিলেন কবি নজরুল; সেই কবি নজরুলকে স্কুল ত্যাগ করে, ১৭ বছর বয়সে বৃটিশ মিলিটারীতে যোগ দিতে হয়েছিল ভাইবোনদের জন্য সামান্য আয়ের জন্য, এটাই ছিল সেইদিনের অর্থনীতি। ১৯২২ সালে পুরো বাংলা ও ভারত জানতো যে, বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধুমকেতুর আগমন ঘটেছে; রবি ঠাকুরও জানতেন, কিন্তু শান্তি নিকেতনে কবি নজরুলের স্হান হয়নি শিক্ষক হিসেবে।

কবি নজরুলকে ভালোবাসতেন শেরে-বাংলা একে ফজলুল হক; আইনবিদ, মুসলীম লীগার হিসেবে, ও শিক্ষায় একে ফজলুল হকের বিরাট অবদান থাকায়, তিনি হাজার হাজার মানুষকে চাকুরী পেতে সাহায্য করেছেন; কিন্তু কবি নজরুলকে 'বাংলার শিক্ষক' হিসেবে চাকুরী দিতে পারেননি; কারণ, কবি ১০ ক্লাশ (এনট্র‌্যাসন্স ) পাশ করেননি।

কবি নজরুল কি ড: শহীদ উল্লাহ থেকে, ড: হুমায়ুন আজাদ থেকে বাংলা কম জানতেন? আসলে পড়ালেখার ডিগ্রি না থাকলে, শুধু বাংলার কোন দাম নেই।

চট্টগ্রামের মোখলেছ, উত্তর বংগের মফিজ, আর সিলেটের পাখী মিয়ার বাংলার কোন দাম নেই; একুশে ফেব্রুয়ারী এদের বাংলার জন্য নয়; একুশে ফেব্রূয়ারী হচ্ছে, যাদের ডিগ্রি আছে তাদের জন্য, হোক সেই ডিগ্রি উর্দু ভাষায়।

২১ বাংলাকে সাহায্য করেনি কোনভাবে; ২১ উর্দুকে ঠেকায়েছে ভালোভাবে, সেদিনের পরিস্হিতিতে ঠেকানোর দরকার ছিল; কারণ, সেদিনের চাকুরী বলতে যা ছিল, তা'হলো সরকারী চাকুরী; সেটা পেতে হলে উর্দু জানার দরকার হয়ে পড়তো; তা'হলে সেদিনের ৬% শিক্ষিত বাংগালীও চাকুরী থেকে বন্চিত হতো।

১৯৪১ সালে কবি অসুস্হ হওয়ার পর, চরম দরিদ্রতার মাঝে দিন কাটায়েছেন; ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, উনি সামান্য ভাতা পেয়েছিলেন, যা দি্যে উনার পরিবার স্বচ্ছলভাবে চলতে পারতো না।

আমাদের বাংগালী জাতিকে বিরাট সন্মান এনে দিয়েছিলেন শেখ সাহেব; তিনি কবিকে ঢাকা নিয়ে আসেন, থাকার মতো একটা বাড়ী দেন; অসুস্হ কবির শেষ জীবটা কমপক্ষে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছিল; আমার মতে, এটাই শেখ সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান।

তা'হলে, বুঝতে পেরেছেন, কবি নজরুলের বাংলাও জীবনধারণের জন্য যথেস্ঠ ছিলো না; ডিগ্রীহীন বাংলা ভাষা কাউকে সাহায্য করতে পারবে না; ১৯৫২ সাল থেকে আজ অবধি যারা পড়ালেখার সুযোগ পায়নি, তাদের বাংলা কি কাজে লেগেছে, ২১ তাদের কি দিয়েছে? সবাইকে ফ্রি পড়ানোর মত সম্পদ বাংগালীর আছে, তাদের ফ্রি পড়তে দা।

আজকে উর্দু আমাদের বাংলা পড়ার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে না; আমাদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে আমাদের নির্বাচিত ও অনির্বাচিত বাংগালীরা ।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল বলেছেন। একাডেমিক শিক্ষার দিকে নজর ও এটার ভেতরের জঞ্জালগুলো দূর করা দরকার। কেবল পাশ করাই যেন শিক্ষিত না, সেটা বুঝা ও প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ বাড়ানো অতি জরুরী।

এ জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া যায় বলে আপনি চিন্তা করেন?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


একটা সোজা পথ হলো, ইউনিভার্রসিটিগুলোর মালিকানা ও পরিচালনার ভার ছাত্রদের পরিবার ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিয়ে আসা।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: চমৎকার বলছেন ।তবে এখন ডিগ্রিধারীদের দাম নাই যদি না অর্থ থাকে ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা সাময়িক সমস্যা, এই সমস্যার সৃস্টি করেছে কিবরিয়া, সাইফুর রহমান, মুহিত ও একই সাথে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়; আজকের অবস্হা দেখুন, ক্রিকেটের এক লোক বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী; এই লোক কিভাবে বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার সঠিকভাবে ব্যয় করবে?

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: কবি জনরুল সামান্য শিক্ষকতার চাকুরী পাননি জীবন

জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম
শিরোনাম ঠিক করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।
ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি অতি ভক্তির লোক নই, আমি উনাকে কবি হিসেবে ভালোবাসি; আপনি হয়তো সরকারী চাকুরী করেন, খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী আপনার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: এজন্য পুস্তক বিদ্যার পাশাপাশি করিগরী শিক্ষার উপর জোড় দেওয়া যেতে পারে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব বিদ্যাই বিদ্যা; টেকনোলোজিক্যাল লোকেরা আজকের দিনের বড় সাহিত্যিক

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিরোনাম টা ঠিক করুন প্লিজ

কবি জনরুল = কবি নজরুল

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্যরি, ধন্যবাদ

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: কবি জনরুল সামান্য শিক্ষকতার চাকুরী পাননি জীবন

জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম
শিরোনাম ঠিক করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।
ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

লেখক বলেছেন:


আমি অতি ভক্তির লোক নই, আমি উনাকে কবি হিসেবে ভালোবাসি; আপনি হয়তো সরকারী চাকুরী করেন, খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী আপনার।



:|| =p~

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিরোনামে যে, ভুল ছিল আমি টের পাইনি, স্যরি; উনি সেটার কথা বলেছিলেন।

আমি ভেবেছিলাম যে, উনি "জাতীয় কবি" যোগ করতে বলেছেন।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজন দরিদ্র শ্রমজীবী বালক রুটি বেলতে বেলতে যে অগ্নিঝড়া কাব্য রচনা করেছেন তা বিশ্বে নজিরবিহীন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



তা নজিরহীন ছিল; ঢাকায় আনার আগে, উনার পরিবার যে, দারিদ্রতার মাঝে ছিল, সেটাও নজিরবিহীন। যাক, সবাই কবি নজরুল নন, তাই সবার ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের দরকার আছে; কারণ, শেখ সাহেব সবার জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্হা করবেন না।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

আলমগীর হোসাইন আরমান বলেছেন: মন্তব্য করার মত কিছু পেলাম না।।।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সানী লিওনের উপর লিখব শীঘ্রই, তখন আপনার চান্স আসবে মন্তব্য করার।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সহমত।
রবি ঠাকুর করে নিন

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুনিয়ার কমপ্লেক্স নাম রাখেন বাংগালীরা; রব ঠাকুর হলে হয়তো সোজা হতো কিছুটা।
ঠিক করেছি।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩

আহা রুবন বলেছেন: বর্তমানে সার্টিফিকেট-ধারীর সংখ্যা শিক্ষিত মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। যারা কষ্ট করে নিজ চেষ্টায় শিক্ষিত তাদের কোনও মূল্যায়ন আমরা পূর্বেও করিনি এখনও করি না। ডিগ্রির দাপটে যোগ্যদের ছুড়ে ফেলা হয়। অথচ আজ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী কবি, সাহিত্যিক বলতে যাদের চিনি প্রায় সবাই সাহিত্যে ডিগ্রি বিহীন। বাংলা সাহিত্যের মাঠ বরাবর দখল করে রেখেছে অধ্যাপক-সাহিত্যিকেরা। ডিগ্রি নেই তো দাম নেই, অবশ্য প্রশংসা জোটে মেলা। নজরুলের একটি চাকরির দরকার ছিল জোটোনি। জীবনানন্দ বরিশাল ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে গেলে চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরতে হয়েছে—দিনের পর দিন বেকার থাকতে হয়েছে। তার একটি চাকরি প্রয়োজন ছিল সহজে পাননি। প্রতিভাবানদের আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা দরকার এবং সেটা আমাদের স্বার্থেই। উল্লেখ করা যেতে পারে রবীন্দ্রনাথের কথা—যার ডিগ্রি না থাকা ষত্বেও শিক্ষার্থীদের ভাল হবে চিন্তা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার চ্যান্সেলর হাসান সোহরাওয়ার্দী তাঁকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই সৎ চিন্তাটা থাকা দরকার। অনেক মেধাসম্পন্ন শিল্পী-সাহিত্যিক রয়েছেন যারা ডিগ্রির অভাবে শিক্ষক হতে পারেননি, কিন্তু তারা যদি ক্লাসে পড়াতে পাড়তেন আমরা উপকৃত হতাম। উপযুক্ত সম্মানী দিয়ে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠা তাদের লেকচারের ব্যবস্থা করলে ভাল বৈ খারাপ হবে না। রাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে ভাবা উচিত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাস্ট্র কারা চালচ্ছে, এটা বের করা মুশকিল হবে; তবে, তারা বর্তান যুগের লোকজন নন।

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মাতৃভাষা বাংলার বিকাশ ও উৎকর্ষ

একাডেমিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলার একটা ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস করার চেস্টা করছি, দেখবেন প্লিজ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আচ্ছা, পড়াতে পেছনে পড়ে যাচ্ছি

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "আসলে পড়ালেখার ডিগ্রি না থাকলে, শুধু বাংলার কোন দাম নেই।" তাই তো দেখছি!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




এটা তো সব ভাষার জন্য সত্য; বর্তমান সময়ে, পড়ালেখাহীন পান্ডিত্য মানুষকে সাহায্য করবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.