নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার \'পাখী-মারা জেনারেল\'রা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১

এক জেনারেল বিএনপি'র জন্ম দিয়েছিল, আর বিএনপি অনেক জেনারেলের জন্ম দিয়েছিল, যারা জীবনে জেনারেল হওয়ার কথা ছিলো না, এগুলোর মাঝে ছিল তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার পাখী-মারা ২ জেনারেল কমপক্ষে। খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ডিংগিয়ে এক কলিমুদ্দিকে জেনারেল বানায়ে, সেনা প্রধান করেছিল; উনার ছেলে তাারেকও সাথে সাথে এক ছলিমুদ্দিকে জেনারেল নানায়েছিল; সেই জেনারেলকে সাথে নিয়ে দুবাই, মালয়েশিয়ায় প্রমোদ ভ্রমনে যেতো, টাকা পাচার করতো।

২০০৭ সালে, নির্বচান দেয়ার আগে, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা জেনারেলকে ডিংগায়ে, উনার পাখী-মারা জেনারেলকে সেনা বাহিনীর প্রধান করেন; এদিকে উনার ছেলে চাচ্ছিল উহার ছলিমুদ্দিকে ক্ষমতায় আনতে; ভাগ্য ভালো যে, কোকোর নিজস্ব কোন জেনারেল ছিল না, ছিল এক মেজর; সেই মেজরকে ব্যবহার করে কোকো ব্যবসা দখল করার কাজে ব্যস্ত ছিল বিধায়, সেনা বাহিনী নিয়ে মাথা ঘামায়নি।

মা ও ছেলের হস্তক্ষেপের ফলে, সেনা বাহিনী আনসার বাহিনীর পর্যায়ে এসেছিল; কেহ র‌্যাব হয়ে মানুষ মারছিল, কেহ সীমান্তে গিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করছিলো। খালেদা জিয়ার জেনারেলকে সরায়ে তারেকের জেনারেল ক্ষমতায় আসার চেস্টাও করেছিল একবার; সেনা বাহিনী নিয়ে এসব করার ফলে, বাহিনীর কোন মরাল ছিল না, নিয়ম কানুন ছিল না।

যাক, এই সেনা বাহিনীই 'ফিল খানার' কমান্ডে ছিল; এই সেনা বাহিনীর অফিসারেরাই 'বিডিআর'দের কমান্ডার ছিলো। বিডিআর'দের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কার ছিল? নিশ্চয় কমান্ডিং অফিসারদের ও সেনা বাহিনী প্রধানের! ফিল খানার সমস্যার সমাধান হয়েছে ২০০৯ সালে, কিভাবে সমাধান করা হয়েছে আপনারা দেখেছেন।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: সমস্যার সমাধান যেভাবে হয়েছে আমর দেখছি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




সেনা বাহিনীকে রাজনীতি ইত্যাদি করতে দিলে যা হওয়ার কথা, তাই হয়েছে।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: নির্মম সমধান

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মগজ না থাকলে, শৃংখলা না থাকলে, অস্ত্রই সমাধানের পথ ।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯

প্রামানিক বলেছেন: মেধা মগজ না থাকলে যা হয়

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




মগজ ও মেধাহীনতার ৪৫ বছর!

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: মেধা মগজ শুধু সেনা প্রধানদের থাকলেই হবে না মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীদেরও থাকতে হবে ভাই। ভোটার থাকলে আরো ভালো হয়।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ছোট মগজ নিয়ে বড় দায়িত্ব কেহ নিলে, তার অধীনে চাকুরী করতে হয় না; ৫৭ জন অফিসার ভুল জেনারেলের অধীনে চাকুরী করছিলেন।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বুঝলাম না আপনার কথা, একটু খোলসা করুন তো

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া বাংলাদেশ মিলিটারীতে হস্তক্ষেপ করায়, মিলিটারীর ভেতরে কম মেধার লোকেরা জেনারেল হয়ে গিয়েছিল, যারা মিলিটারীর নিয়ম কানুন অনুসরণ করেনি; এসব জেনারেলদের অযোগ্যতার কারণে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ হারায়েছে পিলখানায়।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: সমাধান দেখেছি। তবে ভুল সমাধান।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




ভুল মানুষের কাছে সঠিক সমাধান থাকতে পারে না।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: সেনাবাহিনীর মধ্যে যদি সত্যিই রাজনীতি ঢুকতো তাহলে আওয়ামিলীগ এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। বাংলাদেশের মধ্যে যদি এখনো কোন বাহিনী সচ্ছ থাকে সেটা হলো সেনাবাহিনী! তবে হ্যাঁ, ভালোর মধ্যে খারাপ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এখনো খারাপটা ভালকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি হয়তো ভালো জানেন।
পিলখানা প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ মিলিটারীতে প্রফেশানেল অফিসার নেই।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

মুসাফির নামা বলেছেন: আজগুবি কাহিনী আর কত?লিখলে তার দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার পোস্টের বিষয়কে আজগুবি বলছেন, নাকি অন্য কিছু নিয়ে বলছেন?

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫

প্রবাসী দেশী বলেছেন: ব্লগে লেখার কোনো দায়বদ্দতা নাই তাই কত লোক কত কাহিনী (অনেক আবার স্বপ্নে পাওয়া ) লেখে।আজগুবি কাহিনী আর কত?লিখলে তার দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ। (সহমত )

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের মতো মানুষ থাকলে দায়বদ্ধতাও কাজ করবে না; প্রতিবদ্ধি ট্রেনিং সেন্টার একমাত্র সমাধান।

১১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন: শফি অপেক্ষা করছে, প্রথমে কিছু শরণার্থী পার হোক; সে জানে আশেপাশের বাড়ীতে কয়েকটা গ্রুপ অপেক্ষা করছে। শফি তার ছোট কালো কাপড়ের থলির মাঝে হাত ঢুকিয়ে ছোট টর্চের আলোয় সময় দেখলো, যদি টর্চের কাঁচে কালো কাপড় লাগিয়ে, খুবই ছোট ছিদ্র করে সে আলো নিয়ন্ত্রণ করছে; রাত একটা'র থেকে সামান্য বেশী; থলির মাঝে সে একটা লুংগি বহন করে; লুংগির মাঝে দুইটি ক্যামি ঘড়ি ও এক ডজন উইংসাং কলম লুকানো আছে; সে এগুলো ত্রিপুরায় বিক্রি করবে। সবার দৃস্টি মাঠের উপর, কেহ পার হচ্ছে কিনা! পনের বিশ মিনিট পর, যামিনী হাত নেড়ে উত্তর দিকে সবার দ্বস্টি আকর্যন করলো;

১২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন: তাদের থেকে এক'শ দেড়'শ গজ উত্তরে অন্ধকারে কিছু মুর্তি পুর্ব দিক থেকে দ্রুত হেঁটে গ্রামে প্রবেশ করছে; শফি ফিশফিশ করে বললো"
-স্যার, এগুলো মুক্তিযোদ্ধা হবে, দেশে প্রবেশ করছে।
-পাকী সৈন্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে? সীতানাথবাবু প্রশ্ন করলেন।
-না, রাতে পাকীরা মাঠের মাঝ দিয়ে গ্রামের দিকে আসতে সাহস করবে না, স্যার। আমরা আরো ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে যাত্রা শুরু করবো।

যামিনীর বুকের মাঝে একটা উত্তেজনা অনুভব করলো, অবশেষে মুক্তির সময় এসেছে; সে মায়ের হাতটা নিজের হাতে তুলে নিল; মায়ের হাতটা সামান্য কাঁপছে।

১৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন: কল্পনা মনে মনে বিধাতাকে স্মরণ করলো; সামনে শফি ও সীতানাথবাবু; তদের থেকে ৫ গজ পেছনে কল্পনা, একটু পেছনে উ্ত্তর পাশ দিয়ে হাঁটছে যামিনী; তারা দ্রুতপদে হাঁটছে। মাঠের মাঝ বরাবর একটি মজে-যাওয়া পুকুর ছিল, সেটার পশা দিয়ে সামনে আসতে অন্ধকারে ট্রাংকরোডের গাছপালাগুলো দৃস্টিসীমার মাঝে এলো। যামিনীর নিশ্বাস প্রশ্বাস একটু দ্রুত বইছে, সামনে সুক্ষ্ম দৃস্টি; তারা এখন ট্রাংকরোডের কাছাকাছি। হঠাৎ সামনে ট্রাংকরোডের উপর যেন এক মহর্তের জন্য বিজলীর আলোর মতো কি একটা আলো জ্বলে উঠলো; এবং কিছু বুঝার আগেই ভয়ংকর কি এক বিস্ফোরণে শব্দে পা অবশ হয়ে, সে মাটিতে পড়ে গেলো। সে মাটিতে পড়ে আছে, গত তিন মাসে পরিচিত ব্রাশ ফায়ারে তার কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম হলো; সে দুইহাতে কান চেপে ধরে পড়ে রলো; মনে, হলো এই ব্রাশের শেষ নেই; তার নিশ্স বন্ধ হয়ে আসছিল, সে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নেয়ার চেস্টার করছে।

১৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন: এক সময় ব্রাশ ফায়ারের আওয়াজ বন্ধ হলো, যামিনী উঠে বসার চেস্টা করলো; তার হাত-পা কাঁপছে, শরীরে একফোঁটা শক্তিও নেই; সে শোয়ার মাঝে যেন মায়ের গলা শুনতে পেলো; মা তাকে যেন অস্ফুট গলায় ডাকছে, "যামিনী, যামিনী, মা তুই কোথায়?" যামিনী সমস্ত শক্তি যোগাড় করে উঠে বসলো; তার থেকে ৮/১০ হাত দুরে মা অসাড় হয়ে পড়ে আছে; সে হামাগুড়ি দিয়ে মায়ের কাছে আসলো।

১৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

গেদু চাচা বলেছেন: পেমেন্ট কি শব্দানুপাতে না বাক্যানুপাতে? পেমেন্ট কি দিল্লি থেকে সরাসরি হয় না বাংলাদেশ থেকে?

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুল যায়গায় এসে গেছেন লিলিপুটিয়ান!

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন: যামিনী দৌঁড়ায়ে এসে পুকুরের পুর্বপাড়ে ঢুকলো, একটা খেজুর গাছের আড়ালে বসে পুর্ব দিকে তাকিয়ে রলো; ভাবতে লাগলো, এরা পাকী সৈন্য; তারা কি রাস্তা থেকে নেমে মাঠে আসবে, মাকে কি গুলী করে মেরে ফেলবে? ট্রাংকরোডের দিক থেকে আবার ব্রাশ-ফায়ার করলো দুইবার; সে গাছে নীছে শুয়ে পড়লো। একটু পরে, পুরো এলাকা দিনের মত আলোকিত হয়ে উঠলো; তার থেকে পুর্বদিকে আকাশে ৩টি লাল আলোকের গোলক বাতাসে ভাসছে, সে বসে পুরো মাঠ দেখলো; কোথায়ও কেহ নেই; সে তার মা, বাবা ও শফির দেহগুলো স্পস্ট দেখছে; সে পুরো পুকুরটা দেখলো, প্রায় পুরো পুকুরটা কচুরি পানায় ভরে আছে; তার থেকে একটু উত্তরে একটু যায়গা পরিস্কার; সে বুঝলো, পিপাসায় তার বুক ফেটে যাচ্ছে। প্রায় দুই তিন মিনিট পর, আলোকের গোলকগুলো নীচের দিকে নেমে এলো, নিভে গেলো; সে পানিতে নেমে পানি খেলো, মুখে ও মাথায় পানি দিলো। সে খেজুর গাছের নীচে এসে অবস্হা বুঝার জন্য পুর্বদিকে তাকিয়ে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো; তাকে ফিরে গিয়ে মা'কে এখানে আনতে হবে; যেই করে হোক এখানে নিয়ে আসতে হবে।

সে পুকুর পাড় থেকে বের হয়ে আস্তে আস্তে মাঠে নামলো; সেই সময় আবার টর্চের আলো দেখলো পুর্বদিকে; সে আগের যায়গায় ফেরত গেলো; দুইটি টর্চের আলোক ক্রমেই এদিকে আসছে; এরা কি পুকুর এলাকায় আসবে? সে একটু উত্তর দিকে সরে গেলো, ওরা যদি এইদিকে আসে সে কচুরী পানার নীচে পালিয়ে যাবে, ভাবলো। আবার ভাবলো গ্রামের দিকে পালাবে নাকি? আলোগুলো এসে বাবা ও শফির উপর আলো ফেললো, তারপর মায়ের উপর। সে চোখ বন্ধ করে বসে রলো, মনে মনে বললো, " বিধাতা, এদের শক্তি হরণ কর"। কতক্ষণ সে চোখ বুঁজেছিল তার মনে নেই; ছোখ খুলে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রলো ঐদিকে; ষে দেখলো আলোগুলো ট্রাংকরোডের দিকে সরে গেছে। সে উঠে আবার পানিতে গেলো, গায়ের শার্টটা খুলে প্রথমে ধুয়ে নিল, তারপর, পানির রক্ষার জন্য পুরো পানিসহ দুই হাতের তালুর মাঝে ধরে মায়ের দিকে এগুতে লাগলো; তার মন ক্রমে ভয়শুন্য হয়ে উঠলো, সে ভাবলো, মাকে বাঁচাতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.