![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
যামিনী দৌঁড়ায়ে এসে পুকুরের পুর্বপাড়ে একটা ঝোপের মাঝে ঢুকলো, একটা খেজুর গাছের আড়ালে বসে পুর্ব দিকে তাকিয়ে রলো; বুঝলো এরা পাকী সৈন্য; মনে ভয়, এরা কি রাস্তা থেকে নেমে মাঠে আসবে, মাকে কি গুলী করে মেরে ফেলবে? মাকে নিয়ে আসার মতো সময় ও শক্তি ওর ছিলো না সেই মহুর্তে; ট্রাংকরোডের দিক থেকে আবারো ব্রাশ-ফায়ার করলো দুইবার; সে গাছের নীচে শুয়ে পড়লো। একটু পরে, পুরো এলাকা দিনের মত আলোকিত হয়ে উঠলো; তার অবস্হান থেকে পুর্বদিকে আকাশে ৩টি লাল আলোকের গোলক বাতাসে ভাসছে, সে বসে পুরো মাঠ দেখলো; কোথায়ও কেহ নেই; তার মা, বাবা ও শফির দেহগুলো স্পস্ট দেখা যাচ্ছে; সে পুকুরটাকে ভালো করে দেখে নিলো, প্রায় পুরো পুকুরটা কচুরি পানায় ভরে আছে; তার থেকে একটু উত্তরে একটু যায়গা পরিস্কার; সে বুঝলো, পিপাসায় তার বুক ফেটে যাচ্ছে। প্রায় দুই তিন মিনিট পর, আলোকের গোলকগুলো নীচের দিকে নেমে এলো, নিভে গেলো; সে পানিতে নেমে পানি খেলো, মুখে ও মাথায় পানি দিলো। সে খেজুর গাছের নীচে এসে অবস্হা বুঝার জন্য পুর্বদিকে তাকিয়ে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো; তাকে ফিরে গিয়ে, মা বেঁচে থাকলে মা'কে এখানে আনতে হবে; যেই করে হোক এখানে নিয়ে আসতে হবে।
সে পুকুর পাড় থেকে বের হয়ে আস্তে আস্তে মাঠে নামলো; সেই সময় আবার টর্চের আলো দেখলো পুর্বদিকে; সে আগের যায়গায় ফেরত গেলো; দুইটি টর্চের আলোক ক্রমেই এদিকে আসছে; এরা কি পুকুর এলাকায় আসবে? সে একটু উত্তর দিকে সরে গেলো, ওরা যদি এইদিকে আসে সে কচুরী পানার নীচে পালিয়ে যাবে, ভাবলো। আবার ভাবলো গ্রামের দিকে পালাবে নাকি? তর্চের আলো দেখে, মনে হচ্ছে, লোক দুইজন হবে; ওরা এসে বাবা ও শফির উপর আলো ফেললো, তারপর মায়ের উপর। সে চোখ বন্ধ করে বসে রলো, মনে মনে বললো, " বিধাতা, আমাকে শক্তি দাও"। কতক্ষণ সে চোখ বুঁজেছিল তার মনে নেই; ছোখ খুলে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রলো ঐদিকে; ষে দেখলো আলোগুলো ট্রাংকরোডের দিকে সরে গেছে। সে উঠে আবার পানিতে গেলো, গায়ের শার্টটা খুলে প্রথমে ধুয়ে নিল, তারপর, ভেজা শার্টে পানির রক্ষা করার জন্য পানিসহ শার্টিকে দুই হাতের তালুর মাঝে ধরে মায়ের দিকে এগুতে লাগলো; তার মন ক্রমেই ভয়শুন্য হয়ে উঠলো, সে ভাবলো, মাকে বাঁচাতে হবে, এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে; এবং আমি পারবো।
যামিনী মায়ের নিশ্বাস অনুভব করে দেখলো, মা'র শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত বইছে; সে শার্টকে চিপায়ে মায়ের চোখে-মুখে পানি দিলো; ভেজা শার্টকে কপালের উপর চেপে ধরলো; কিছুই ঘটলো না। সমগ্র শক্তি দিয়ে মাকে কাঁধে তুলে নিয়ে পা পা করে পুকুরের দিকে রওয়ানা হলো; সে নিজের মনের ও শরীরে অফুরন্ত শক্তি অনুভব করলো; তার বিশ্বাস, সে মাকে বাঁচাতে পারবে; মাকে এনে খেজুর গাছের নীছে রেখে ভেজা শার্টটি ভিজিয়ে পানি এনে মায়ের মাথায় দেয়ার শুরু করলো; কয়েকবার পানি দেয়ার পর, মায়ের মুখ থেকে আওয়াজ পেলো; মায়ের মাথাকে কোলে নিয়ে, মুখে একটু পানি দিলো; সে অনুভব করলো মা পানি খাবার চেস্টা করেছে; সে আবার পানি এনে মায়ের মুখে দেয়ার সময়, মা অস্ফুটভাবে বললো, "যামিনী, মা তুই কোথায়?" যামিনী উত্তর করলো, "মা আমি আছি তোমার সাথে"।
যামিনী মায়ের চোখে মুখে আরো পানি দিলো; মাকে জড়িয়ে ধরে রাখলো; সে অনুভব করছে, মা হাত নাড়ছে, বসার চেস্টা করছে। মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো, " মা তুমি শুয়ে থাকো, নড়িও না, আমি আছি"। কিছুক্ষণ পর, মা বললো, "যামিনী আমার কি হয়েছে"? যামিনীর বুক ফেটে যাচ্ছিল, মায়ের কানের কাছে ফিস ফিস করে বললো, " মা তুমি সামান্য ব্যথা পেয়েছ, সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি তোমার সাথে"। যামিনী উঠে গিয়ে কোমর থেকে টাকা ও স্বর্ণের বেল্টটগুলো খুলে ঝোপের ভেতরে লুকায়ে রাখলো; পানিতে নেমে লুংগিটাকে ধুয়ে নিলো; ফিরে এসে মাকে বললো, "মা, তুমি ভয় পেয়ো না, আমি কিছুক্ষণের জন্য থাকবো না; তুমি এভাবে শুয়ে থাকো। মা বললেন, "তোর বাবা ও শফি কোথায়?"
-ওরা আছে মা; আমাদের উপর গুলি করেছে সৈন্যরা, ওরা ঐদিকে পালিয়ে আছে।
-যামিনী, আমি বসতে পারছছি না কেন, মা?
-মা তুমি শুয়ে থাক, এখন কথা বলিও না, আমি বাবাকে খুঁজে আনি।
যামিনী মাঠে নেমে, পশ্চিম দিকে গ্রামের দিকে দৌড়াতে লাগলো; ওরা যেই বাড়ীতে এই কয়দিন ছিল, সেই বাড়ির উত্তর দিকের কয়েকটা বাড়ীতে মানুষ ছিল; মাকে বাঁচাতে হলে মানুষের সাহায্য দরকার; গত আড়াই মাসে, সে বুঝেছে যে, এদেশে হাজার হাজার মানুষ আছে যাঁরা নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও সাহায্য করেন।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়া যায়?
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০১
মুসাফির নামা বলেছেন: Go ahead.....I wanna a better writter
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ আমার রাজনৈতিক পোসট পরে নাকি ক্লান্ত হয়ে গেছে?
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৪
খোলা মনের কথা বলেছেন: কিছু সময়ের জন্য সে সব দিনের কথা অনুভব করলাম ভাই। যদিও সেটা অনুভব করা আমাদের সাধ্য নেই। ধন্যবাদ ভাই
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের যুদ্ধে, সমসাময়িক লেখক সাহিত্যিকেরা যাননি; উনারা কি লিখেছেন, জানা দরকার, মনে হয়। উনারা কেহ যুদ্ধে যাননি বলে, আমি উনাদের কিছুই পড়িনা, সমস্যা
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন সিনেমা যেমন দেখেছি ঠিক তেমন করে আপনার লেখাতে দৃশ্যগুলি চোখে ভেসে উঠছে।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের ইতিহাসের কস্টের কাহিনী
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৬
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ওপর এমন সাবলীল লেখার জন্য একটি ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। চালিয়ে যান।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঠিক আছে, মানুষের সংগ্রামের কথা ফিরে ফিরে আসবে।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪
চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন:
অসামান্য,
ছবিগুলো যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সাল মানুষকে পুড়ে পুড়ে ইস্পাতে পরিণত করেছিল।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
বিজন রয় বলেছেন: আপনি আবার এমন লেখা দিলেন??
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আবার টাবার বলতে কিছু নেই, এটা এমন একটা বিষয়, যা মানুষের বুঝা দরকার।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখা আমি বুঝি কিন্তু অনেকে বোঝে না।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি চাচ্ছি, মানুষ নিজের জাতিকে বুঝুক, জাতির সুখে দু:খে পাশে থাকুক।
৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: তার কারণ কি জানেন?
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বলেন, দেখা যাক, আপনি পাশ করতে পারেন কিনা!
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
কাবিল বলেছেন: আপনার লেখায় বাঙ্গালী জাতির শেখরকে মনে করিয়ে দেয়। লিখতে থাকুন।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনারা পড়াতে লেখার উৎসাহ পাচ্ছি
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: লিখতে থাকুন, আমাদের এই গল্প বলার লোক বেশী নেই। আপনি আছেন , আপনি বলতে থাকেন।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
কস্টের বিষয় যে, আমাদের ততকালীন লেখকেরা কেহ যুদ্ধ করতে যাননি; ফলে, উনারা যা লিখেছেন, অনেকটা শুনে শুনে।
১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পরের অংশ পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
মানুষ যদি সে সময় মানুষের পাশে এসে না দাঁড়াতো, এই স্বাধীনতা আসতে আরো সময় লাগতো হয়তো!
ভালো থাকুন
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
'৭১ ছিল বাংগালী জাতির পরীক্ষার বছর।
১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১১
প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব ধরণের কিছু কি আগে এভাবে জানতেন?
১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
কাবিল বলেছেন: একটা প্রশ্ন ছিল, আপনি কি মুক্তিযোদ্ধা?
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হ্যাঁ,
আমার লেখা কেমন হচ্ছে?
১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২০
কাবিল বলেছেন: শুনে শুনে লেখা, আর প্রত্যক্ষ ভাবে লেখার মধ্যে পার্থক্য আছে।
সরাসরি কোন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিহাস জানা হয়নি কখনো আমার।
আপনার লেখা পড়া মানে অন্য রকম রোমাঞ্চকর।
আপনার কাছে ৭১ এর ইতিহাসের আসল নির্যাস পাব আশা করি।
শুভ কামনা রইল।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
১ লাখ ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের ৫০% লেখাপড়া জানতেন না; ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা লেখাপড়া খুবই সামান্য জানতেন; অফিসারেরা কিছু কিছু লিখেছেন; তবে, উনারা লিখক ছিলেন না; সেখানে সমস্যা।
আমি মোটেই লেখক নই; যাক, চেস্টা করছি।
১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০০
তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনি একটা সত্য ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এরকম অনেক ঘটনাই তো ছিল। তাই আগ্রহ ছিল
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
'৭১ সালে আমাদের জাতির রূপান্তর ঘটেছে; ঘটেছে লাখ লাখ ঘটনা
১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো হচ্ছে। প্লীজ দ্রুত গল্পটা সমাপ্ত করুন। আপনার এই কাহিনীর প্রথম অংশটা ইতিমধ্যে ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হয়েছে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
শেষ করবো।
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধের তত্তকালিন আবহ মেজাজ বুঝতে এই লিখাটি পড়ুন ১৯৭১ এ মক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত কিছু আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
যুদ্ধে কিছু ভুল অস্ত্রও দেয়া হয়েছিল; তাতে আমরা কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েছি। যাক, দেখবো
১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
রোদেলা বলেছেন: যামিনী শেষটায় কি করে তার মাকে নিয়ে তাই জানবার জন্যে অপেক্ষা করছি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
টাইপ করবো শীগ্রই
২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: বাকীটুকু শুনার অপেক্ষায়।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
অলরাইট, সময় হয়েছে, মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪১
মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: ধন্যবাদ,
ভাই