নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজতন্ত্র, সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও মানবিক রাজনৈতিক তত্ব

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৫



প্রকৃতি যে রীতিনীতি অসুসরণ করে, সেই রীতিনীতি অনুসারে, সবার বাঁচার ও সুন্দর জীবন যাপান করার মত সম্পদ প্রকৃতির কাছে ছিল ও আছে; এবং এসব সম্পদের কোন মালিকানা ছিল না এক সময়; প্রতিটি প্রাণী এই সম্পদ নিয়েছে প্রয়োজন মতো; মানুষ ব্যতিত, অন্য কোন প্রাণী নিজের প্রয়োজনের বাইরে কোন সম্পদ দখল করে রাখেনি। সভ্যতা বড় হওয়ার সাথে সথে, প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে নতুন সম্পদ উৎপন্ন করার দরকার হয়েছে; সেটা উৎপাদনে ও ব্যবহারে প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করার দরকার আছে; প্রকৃতির নিয়ম না মানলে, স্বয়ং প্রকৃতি নিজেই অস্হিতিশীল হয়ে যাবে, তখন প্রকৃতি বর্তমান জীবনচক্রকে ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

'অন্যের থেকে ভালো থাকার' ইচ্ছা মানুষকে অন্যের প্রাপ্য থেকে কিছুটা সম্পদ দখলে উৎসাহিত করে; 'সবাই ভালো থাকবো' মনোভাব প্রকৃতির নিয়মের মাঝে পড়ে, যা আসলে সমাজতান্ত্রিক।

মানুষ সামন্তবাদ, রাজতন্ত্র, ক্যাপিটেলিজম ও সমাজতণ্ত্র দেখেছেন; সামন্তবাদ ও রাজতন্ত্র মোটামুটি বিলুপ্ত হয়েছে; অন্যের সম্পদ দখল করে ভালো থাকাই রাজতন্ত্রের মুলমন্ত্র ছিল; মানব সমাজের সবচেয়ে কস্টকর সময় ছিল রাজতন্ত্র। ইউরোপের জ্ঞানচর্চা, রেনেসাঁ বিশ্বের নির্যাতীত মানুষকে রাজতন্ত্র থেকে মুক্ত করার পথ বের করে; দু:খের বিষয়, সেই পথ ছিল বিশাল, এবং সীমাহীন; এবং সেই পথই মানুষকে ক্যাপিটেলিজমে নিয়ে যায়; কারণ, জ্ঞানচর্চায় প্রতিটি মানুষের সমান প্রবেশ ছিল না; সেটা এখন স্পস্ট।

এশিয়ার বাংলাদেশ এলাকায় জ্ঞানচর্চা এসেছে খুবই দেরীতে ও খুবই ধীরে, এবং রেনেসাঁর মত মানবিক প্রকৃতি নিয়ে আসতে পারেনি; কারণ, মানব সভ্যতার উপর স্হান, কাল, কালচার ও মানুষের সামাজিক অবস্হান বড় ধরণের ফ্যাক্টর হয়ে আছে; তদুপরি, জ্ঞানচর্চার অভাব, মানুষকে ভুল জ্ঞানচর্চার দিকে নিয়ে যায় সব সময়; কারণ, মানুষের জানার ইচ্ছা থেমে থাকে না। আজ যখন ৪০% বাংগালী নিজের নামটা লিখতে পারে না, জাতীয় সংগীতটা পড়তে পারে না; আবার, তাদেরই কিছু ভাই আমেরিকা ও ইউরোপে শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে ও বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভাষায় কথা বলছে, চিন্তা করছে। এই অসমতা মানুষের জীবনে বিরাট সমস্যা হয়ে গেছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের জন্মলগ্নে, প্রায় মানুষই দরিদ্র ছিলেন; ধনী ছিলেন ঢাকার নবারেরা, একে খান, রণদা শাহা ও ব্যাংকার আখতারুজ্জমান; বাকী সবাই মোটামুটি কাছাকাছি ছিলেন; আজ ৪৫ বছর পর, কয়েক লাখ মানুষ বেশ বড় সম্পদের মালিক; নবাবরা, রণদা সাহা ও একে খানরা সামানুপাতিভাবে বাড়েনি, বরং হারিয়ে গেছে।

কয়েক লাখ মানুষ বড় সম্পদের মালিক না হয়ে, ১৭ কোটী যদি বড় সম্পদের মালিক হতো, তা'হলে প্রকৃতির নিয়ম ঠিক থাকতো; অথবা, ১৯৭২ সালের জানুয়ারীর অবস্হানের সাথে সামানুপাতিক হতো, তা'হলেও ভালো হতো।

বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল একটি আশা নিয়ে, 'সবাই মিলে ভালো থাকার আশায়'; না'হলে, মানুষ পাকিস্তানের নাগরিক হয়েই থেকে যেতো। 'সবাই মিলে ভালো থাকার' কোন তত্ব বিশ্বে আছে কিনা? অবশ্যই আছে, সেটা প্রকৃতির তত্ব, সেটাই সমাজতন্ত্র; সমাজতন্ত্র সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিশ্বের ২য় শক্তিতে পরিণত করেছিল; চীনকে বর্তমান অবস্হানে আসতে সাহায্য করেছে; আমেরিকার পতন ঠেকাতে বার্নি সেন্ডারস সমাজতণ্ত্রের পক্ষে কথা বলছে; জার্মানী উচ্চ শিক্ষাকে ফ্রি করে দিয়ে, বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী টেকনোলোজী জাতি হিসেবে সুস্হ জীবন যাপন করছে; কানাডায় সবাই শিক্ষা ও চিকিৎসা পাচ্ছে।

(চলবে)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

কল্লোল আবেদীন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোস্ট ভালো লেগেছে শুনে খুশী হলাম।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

হোসেন মালিক বলেছেন: আবর্জনা পোস্ট
বৃদ্ধ লোকের সময় কাটে এসব আবর্জনা চিন্তা করে। অযথা খামোখা
আপনার পোস্ট পড়ে দেশ চায়না আমেরিকার সমান হয়ে যাবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃদ্ধ লোকদের ভালোবাসার ফল তরুণরা।
তরুণরা তো এখনও হরমোন-তাড়িত, তাদের ভাবনার সময় তো আসেনি; হরমোন কমলে ভাবনার শুরু হবে।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অযথাই বিতর্কে জড়াচ্ছেন।। এড়িয়ে যান।।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটাই সঠিক হবে।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪০

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: সমাজতন্ত্র নিয়ে আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই নেগেটিভ ধারণা রাখে। যার কারনে এর জনপ্রিয়তা আসেনি। তবে এখন আস্তে আস্তে আমাদের দেশের সচেতন সমাজ সমাজতন্ত্রকে নিজেদের করে নিবে এর কারন গণতন্ত্রের মারাত্মক অপব্যবহার।

ধন্যবাদ, দারুন লেখাটির জন্য।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মানুষ কোন 'তন্ত্র' বুঝার মতো অবস্হানে নেই; যেহেতু বৃটিশ নির্বাচন দিয়ে গিয়েছিল, মানুষ সেটা নিয়ে বেঁচে আছে; এবং নির্বাচনকে 'গণতন্ত্র' মনে করে রিক্সা ড্রাইবার থেকে ড: এমাজুদ্দিন।

সমাজতন্ত্র কঠিন অর্থনীতি, সমাজনীতি, পিলিটক্যাল সায়েন্স, ও পলিটিক্যাল ইকোনোমীর সমন্ময়; ফলে, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেননরাও উহা বুঝার মত অবস্হায় ছিলো না; সুতরাং, ইহার সম্পর্কে মানুষের অমুলক ধারণা থাকা স্বাভাবিক। ইহাকে যদি সহজ করে মানুষকে মুল অংশ বুঝানো যায়, মানুষ শুধু সমাজতন্ত্রই চাইবে; কারণ, অন্য কোন তন্ত্র বাংলার সমস্যা সমাধান করতে পারবে না।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

মাসূদ রানা বলেছেন: ভালো একটা পোস্ট লিখেছেন ........ এরকম কয়েকটা পোস্ট দিতে পারলে মধ্যপ্রাচ্যের সব সোসিওলিস্ট হয়ে যাবে মা-সা আল্লাহ । সমাজতন্ত্রের দুয়েকটা খ্রাপ দিক থাকলেও সবচেয়ে ভালো ব্যপার হচ্ছে - মাসে ৩০ টা ইট ভাংগা লোকের বেতন মাসে ১০ টা ইট ভাংগা লোকের সমান।

বড়ই সমতার দৃষ্টান্ত :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দু:খের বিষয় যে, আপনারা অংক ও দরকারী সায়েন্সগুলো পড়ার সুযোগ পাননি, বা পড়লে বুজার মতো অবস্হানে নেই; ইট ভেংগে চীনারা আমেরিকান অর্থনীতিকে অতিক্রম করে ১ম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।

হোয়াংহো নদী ছিল চীনের দু:খ, আপনারা বাংগালী জাতির জন্য দু:খ হয়ে আছেন

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১১

কালনী নদী বলেছেন:

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এ ধরণের ভিডিও হয়তো অনেক মেমোরী দখল করে।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

সাবরিনা নেওয়াজ বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




ব্লগারেরা বাংলাদেশকে বুঝার সুযোগ পাচ্ছে

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বাঙালীর সতাজ তন্ত্রের দরকার নেই। বাঙালী গনতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছিলো। সমাজ তন্ত্রের জন্য নয়।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



গণতন্ত্র থেকে উপকৃত হচ্ছে ইসরায়েল, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া।
বাংগালীরা মালয়েশিয়া ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রয় হচ্ছে; বাংগালীরা সৌদী ও অন্য আরবদেশে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রয় হচ্ছে; কারণ, বাংলাদেশে আপনার মত মানুষদের গণতন্ত্র চলছে। আপনি কতবার নির্বাচিত হয়েছেন, আর যারা আপনাকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রয় করতে চায়, তারা কতবার নির্বাচিত হয়েছে?

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: বাঙালি জাতির দু:খ এই কথাটি চমৎকার লাগল ভাই...
এদের কারণেই আমাদের দেশের মানুষ সমাজতন্ত্রকে বুঝতে চেষ্টাও করে না

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এরা পড়ালেখা করে, তাবিজ ব্যবহার করা শিখেছে

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

হাসান নাঈম বলেছেন: যে তন্ত্র নিজ জন্মভুমিতে আত্মহত্যা করেছে মাত্র ৭০ বছর বয়সে তাকে আর যাই হোক 'প্রাকৃতিক' বলা যায় কি?
প্রাকৃতিক সবকিছুইতো দীর্ঘস্থায়ী, সার্বজনীন।
হাজার কোটি বছর ধরে চলমান প্রকৃতির মাঝে বা মাবন সভ্যতার কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের মধ্যে মাত্র ৭০ বছর বিবেচনার জন্য খুবই নগন্য সময় নয় কি?

সবাই মিলে ভাল থাকা। কেউ খাবে তো কেউ খাবে না - তা হবে না, তা হবে না - এইসব জনপ্রিয় শ্লোগানের আড়ালে সমাজতন্ত্র আসলে কী জিনিস সেটা রাশিয়া এবং চিনের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বলেই সুযোগ পাওয়া মাত্র এই তন্ত্রকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। অথচ আফসুস এখনও কিছু মানুষ এই মৃত লাশ আমাদের জাতির ঘাড়ে চাপাতে চেস্টা করছে।

যদি সত্যিই সাবই মিলে ভাল থাকতে চান, সম্পদ বন্টনের প্রাকৃতিক সার্বজনীন পদ্ধতি অনুসরণ করতে চান - তাহলে ঐ মৃত তন্ত্রের ঘোর থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু চিন্তা করুন। পুঁজিবাদ তার অন্তিম অবস্থায় পৌছে গেছে সত্য - কিন্তু তার অর্থ কখনই সেই পুরোন সমাজতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন নয়। মানুষের শৃজনষীলতার প্রতি আস্থা রেখে নতুন কিছু চিন্তা করাই উত্তম।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ সবচেয়ে বেশী সময় গুহায় ছিলেন, সেই জন্য ওটাই টেকসই হতে পারে না।
সোভিয়েতে ৭০ বছরে 'এক ধরণের সমাজতন্ত্রের' পতন ঘটেছে; অন্য ধরণের সমাজতন্ত্র ফিরে এসেছে কানাডায়, ফ্রান্সে, জার্মানীতে; সমাজতন্ত্র রিফাইন হচ্ছে।

"যদি সত্যিই সাবই মিলে ভাল থাকতে চান, সম্পদ বন্টনের প্রাকৃতিক সার্বজনীন পদ্ধতি অনুসরণ করতে চান - তাহলে ঐ মৃত তন্ত্রের ঘোর থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু চিন্তা করুন। "

-এই মহুর্তে সমসজতন্ত্রই নতুন; বাংলাদেশে নতুন ফরমে আসলে ভালো হবে।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

হাসান নাঈম বলেছেন: আলোচনার জন্য শিরনাম থেকে দুটি প্রশ্ন রাখছি - ১. 'বুদ্ধিমান' তত্ব বলতে কাদের কথা বুঝাতে চেয়েছেন? শাষক শ্রেনীর হাতে দেশের সর্বময় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা তুলে দেয়া জনগনের জন্য কিভাবে বুদ্ধিমত্বার পরিচয় হয়? হ্যা, আপনি যদি কোন জাতিকে অবদমিত করে রাখতে চান তাহলে শাষকদের দৃস্টিতে এটা একটা বুদ্ধিমান পদ্ধতি হতে পারে।
২. 'রাজনৈতিক' - সমাজতন্ত্র কি আসলেই রাজনৈতিক না অর্থনৈতিক তন্ত্র? আমরাতো একে অর্থনৈতিক তন্ত্র বলেই জানি - অন্তত কার্লমাক্স একে অর্থনৈতিক দৃস্টিকোন থেকেই বর্ণনা করেছিলেন - আপনারা একে রাজনৈতিক বানালেন কখন এবং কিভাবে?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:
"১. 'বুদ্ধিমান' তত্ব বলতে কাদের কথা বুঝাতে চেয়েছেন? "

-বুদ্ধিমান তন্ত্র বলছি এই কারণে; সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও তার পেছনে যে দর্শন, উহা মানব মস্তিকের ইনটেলেকচুয়েল প্রোপার্টি।

"২. 'রাজনৈতিক' - সমাজতন্ত্র কি আসলেই রাজনৈতিক না অর্থনৈতিক তন্ত্র? "
-"ডাস ক্যাপিটেল" অর্থনীতির বই; কিন্তু উহাতে আছে মেটরিয়েলিজম, যা একটা দর্শন তত্ব, যেটা আসলে রাজনীতির মেরুদন্ড

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

প্রামানিক বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেখা যাক, ব্লগারেরা কি বলেন

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

মাসূদ রানা বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: দু:খের বিষয় যে, আপনারা অংক ও দরকারী সায়েন্সগুলো পড়ার সুযোগ পাননি, বা পড়লে বুজার মতো অবস্হানে নেই; ইট ভেংগে চীনারা আমেরিকান অর্থনীতিকে অতিক্রম করে ১ম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।

তা যা বলেছেন। সমাজতন্ত্র বোঝতে হলে বিজ্ঞান জানতে হবে, ক্যালকুলাস, ম্যাট্রিক্স জানতে হবে, কেমিকেল রিয়েকশনের কেনু হয় ? মহাকর্ষ কি ? আপেক্ষিকতা কেমনে কি ? জিনেটিক্স / প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কিতা ...... এইসব জানা আবশ্যক বটে । তা আপনাদের তেদর সমাজবাদী লোগ মার্ক্স মিয়ার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডটা জানি কি ছিল ।

আর আপনার কি মনে হয় না, যে তত্ব সাধারণ মানুষ, আর্টস, কমার্স ব্যাসড পলিটিসিয়ানরা বুঝতে অক্ষম, তা সমাজ পরিচালনার জন্য পরিপক্ক নয় ?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মার্কস ফিলোসোফি ও আইন পড়েছেন, অবশেষে পলিটিক্যাল ইকোনোমী পড়েছেন।

যেকোন শিক্ষিত লোকের পক্ষে সমাজতন্ত্র বুঝা সম্ভব; তবে, এটাতে সায়েন্স আছে।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

হাসান নাঈম বলেছেন: "মানুষ সবচেয়ে বেশী সময় গুহায় ছিলেন, সেই জন্য ওটাই টেকসই হতে পারে না" - খুব চমৎকার যুক্তি!
মানুষ দীর্ঘ দিন গুহায় থাকার পর যখন একবার বেরিয়ে এসেছে তখন আর সেখানে ফিরে যায় নাই। একই ভাবে সমাজতন্ত্রের যাতাকল থেকে বেরিয়ে আসা মানুষ আর কখনই সেই অন্ধকার গুহায় ফিরে যাবে বলে মনে হয় না।

আচ্ছা আসুন আমরা সমাজতন্ত্রের তাত্বিক দিকটা একটু দেখার চেস্টা করি। মোটা দাগে সমাজতন্ত্র বলতে আমরা বুঝি দেশের সকল সম্পদ (জমি, শিল্প কল-কারখানা, সেবা খাত ইত্যাদি) জাতীয় করণ বা রাস্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত হওয়া।

এটা কেন করা হয়? পুঁজি বাদের একটা খারাপ পরিনতি অল্প কিছু মানুষের হাতে সকল সম্পদ পুঞ্জিভুত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য। তাই তো? অথচ প্রকারান্তরে এটা যে সম্পদ ও ক্ষমতাকে আরো বেশী পুঞ্জিভুত(সেন্ট্রালাইজড) করছে তা কি বিবেচনা করা হচ্ছে?

পুঁজিবাদী ব্যাবস্থায় কয়েক দশকের ক্রমাগত পুঞ্জিভবনের মাধ্যমে সমাজের অল্প কিছু মানুষের হাতে সকল সম্পদের নিয়ন্ত্রন চলে যায়। এই অল্প মানুষের সংখ্যা কত? অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের সময় বলা হচ্ছিল ১% মানুষ ৯৯% সম্পদ নিয়ন্ত্রন করছে। তাহলে আমেরিকার ৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ১% হারে অন্তত ৩০ লাখ মানুষের হাতে সম্পদের নিয়ন্ত্রন থাকছে। এই ব্যাবস্থায় রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় সরাসরি পুঁজিপতিরা থাকে না - তাদের প্রভাব নিশ্চয়ই থাকে, কিন্তু রাজনৈতিক নেতারাই তা পরিচালনা করে। তাহলে দেখা যাচ্ছে কয়েক দশকের ক্রমাগত প্রচেস্টার পর পুঁজিবাদ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা ১% এর বেশী মানুষের মাঝে পুঞ্জিভুত করতে পারছে।

এবার প্রচলিত ধারনার সমাজতন্ত্রের কথা চিন্তা করুন। যদি বিপ্লবের মাধ্যমে কোন দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এক সংবিধান প্রনয়নের মাধ্যমেই পুরো দেশের সকল সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতা রাস্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হয়। আর সেই রাস্ট্রেরতো হাত পা নাই, তাকে পরিচালনা করার জন্য মানুষ প্রয়োজন। কত জন মানুষ? রাস্ট্রের শীর্ষস্থানিয় সর্বোচ্চ কয়েক হাজার। তাহলে পুঁজিবাদ যে কাজ কয়েক দশকে যে মাত্রায় করল - সমাজতন্ত্র তার চেয়েও ভয়াবহ পুঞ্জিভবন, অর্থ ও রাজনৈতিক পুরো ক্ষমতা আরো কম সংখ্যক মানুষের হাতে অতি অল্প সময়ে তুলে দিল। এটাকে তাহলে পুঁজিবাদের বিপরিত পদ্ধতি কিভাবে বলা যায় - এ'তো বরং পুঁজিবাদেরই (অর্থ ও ক্ষমতা পুঞ্জিভবনের) আরো তীব্র ভয়াবহ ব্যাবস্থা। বাংলা প্রবাদে এটাকেই কি 'তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় পরা' বলে না?

আমি সমাজতন্ত্র বাস্তবায়নের ব্যাবহারিক ত্রুটি বা বাস্তবায়নকারীদের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলছি না - আমি বলছি একেবারে তাত্বিক ভাবেই সমাজতন্ত্রে সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার সুষম বন্টনের পরিবর্তে আরো ভয়াবহ রকম কেন্দ্রীভবন ঘটে। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে - ১। হয় রাস্ট্রের মাঝে প্রাণ সঞ্চালন করতে হবে যাতে সে কোন মানুষের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই সম্পদ ও ক্ষমতার সুষম বন্টন করতে পারে - আর ২। না হলে কোন ফেরেশতাকে (অথবা শয়তানকে!) এনে রাস্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব দিতে হবে যে সকল মানবিক দুর্বলতার উর্ধে থাকবে এবং কোন ভুল করবে না। কিন্তু কোন মানুষকে সকল রাস্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদ পরিচালনার একক কেন্দ্রীভুত দ্বায়িত্ব দেয়া কখনই যৌক্তি হতে পারে না। বিশেষ করে আপনি যখন সম্পদ ও ক্ষমতার পুঞ্জিভবন এর দ্বায়ে পুজিবাদকে অভিযুক্ত করে তার প্রতিকারের চেস্টা করছেন, তখন আরো তীব্র আকারের পুঞ্জিভবনকে কিছুতেই গ্রহনযোগ্য বলতে পারেন না।

আমি আপনার পুঁজিবাদ বিরোধীতা বা সম্পদ অল্পকিছু মানুষের হাতে পুঞ্জিভুত হওয়ার বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন করছি, কিন্তু তা অর্জনের জন্য সমাজতন্ত্র, বিশেষ করে যেটা রাশিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - তাকে কিছুতেই সমর্থন করতে পারছি না। ঐ এক্সপেরিমেন্ট ব্যার্থ হয়েছে। তাত্বিক ভাবেই ঐ পদ্ধতিতে সম্পদ ও ক্ষমতার সুষম বন্টনের পরিবর্তে আরো ভয়াবহরকম পুঞ্জিভবন ঘটে। একবার ঐ কাজ করতে গিয়ে কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে - দয়া করে ন্যাড়াকে আবার বেল তলায় নিয়ে আবারো কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন করার চেস্টা করবেন না। তার চেয়ে নতুন কিছু চিন্তা করুন যাতে সম্পদ ব্যাক্তি বা রাস্ট্র কার হাতেই পুঞ্জিভুত না হয়ে বরং সর্বাধিক মানব কল্যানে নিয়োজত হতে পারে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তার চেয়ে নতুন কিছু চিন্তা করুন যাতে সম্পদ ব্যাক্তি বা রাস্ট্র কার হাতেই পুঞ্জিভুত না হয়ে বরং সর্বাধিক মানব কল্যানে নিয়োজত হতে পাবিনিয়োগের জন্য রে। "

-নতুন ভাবনা হচ্ছে, রাশিয়ার মডেল অন্ধভাবে অনুসরণ করা যাবে না; যেকোন দেশের বর্তমান অর্থনীতিতে দেশের সব মানুষের বিনিয়োগের ব্যবস্হা থাকবে; যাদের হাতে এই মহুর্তে বিনোয়োগের জন্য সম্পদ নেই, দেশ তাকে ঋণ দেবে(দেশ ধনীদের প্রতিদিন ঋণ দেয়, বাকীদের দেয় না বর্তমান অবস্হায়); কোন ব্যবসায় কোন পরিবার মনোপলি ব্যবসা যেন করতে না পারে; মানুষের জন্য পরিকল্পিত উপায়ে ফ্রি পড়ালেখা, সবার জন্য চাকুরী, ফ্রি চিকিৎসা ও প্রয়োজন অনুসারে বাসস্হান

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: 'সমাজতন্ত্র' হয়তো তত্ব হিসাবে ভালো, তবে বাস্তবিক প্রয়োগের যে দুর্বলতা সেটা এর ভালদিকের চেয়ে, মন্দ দিকটাই মানুষকে নিরুতসাহিত করে। আর মানুষ এখন 'সমাজ' বদ্ধ চিন্তা থেকে 'নিজে' ভাল থাকাটাই বুদ্ধিমানের মনে করে। আপনি দেখেন সমাজের সবচেয়ে কার্যকরি ও ক্ষুদ্র ইউনিট হল 'পরিবার' বিশ্বব্যাপি সেই পরিবারের ধারনাটাই অস্তিতহীন হয়ে পরেছে। এখন পরিবার বলতে বড় জোর স্ত্রী ও সন্তান কে বোঝায়, কিন্তু আসলে তো পরিবারের ব্যাপ্তি আরো বড়।কিন্তু ঐযে , যেখানে যেনতেন ভাবে নিজে ভাল থাকাটাই যেখানে মুখ্য, সেখানে বয়স্ক বাবা মা, কর্মহীন ভাই বোনের জন্য নিজের সাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে নারাজ। আর আপনার 'সমাজ' ও তার 'তন্ত্র' বহু দুর কি বাত।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ তার সমাজ ব্যবস্হার প্রোডাক্ট; বাংলাদেশের মানুষ ৪৫ বছরে বদলে গেছে, অনেক ফ্যাক্টরের কারণে; বাংলাদেশে যা ঘটছে, এগুলো মানুষকে পেছনেের দিকে নিয়ে যাচ্ছে; ফলে, তারা নিজ পরিবারকে নিয়ে বাঁচার চেস্টা করছে।

শেখ পরিবার, জিয়া পরিবার, সালমানপরিবার, আলম গ্রুপ, ফালু পরিবার, সামিট পরিবার'এরা সব দখল নিয়ে নতুন মানসিকতার জন্ম দিয়েছে।

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

হাসান নাঈম বলেছেন: যেনে ভাল লাগল যে আপনারা রাশিয়ায় পরিক্ষিত(এবং ব্যার্থ) সমাজতন্ত্রের ঘোর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তাহলে আপনাদের নতুন সমাজতন্ত্রের মডেলটা কেমন হচ্ছে, একটু স্পেসিফিক হলে ভাল হয় -
১. দেশের সকল সম্পদ জাতীয়করণ করা হবে না ব্যাক্তি মালিকানা ব্যাব্স্থা বহাল থাকবে?
২.কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যাবস্থা সম্মিত হবে (রাশিয়া মডেলে যেভাবে যৌথ খামার করা হয়েছিল) না কি প্রচলিত ব্যাক্তি/পরিবার কেন্দ্রীক স্বাধীন ব্যাবস্থা অব্যাহত থাকবে?
৩. রাজনৈকিত ব্যাবস্থা কি এক দলীয় হবে না বহু দল বহু মতের সুযোগ থাকবে?
৪. দেশের নেতৃত্ব কি পার্টি ঠিক করবে না মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন বেছে নেয়ার স্বাধীনতা পাবে?
৫. সম্পদ যাতে অল্প মানুষের হাতে পুঞ্জিভুত না হয় তার জন্য স্পেসিফিক কী ব্যাবস্থা নেয়া হবে? ধরুন আপনার রাস্ট্রের দেয়া ঋণ কাজে লাগিয়ে কোন এক ভুমিহীন কৃষক পরিবার তার অর্থনৈতিক যাত্রা শুরু করল। যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সে নিজে লাখপতি, তার সন্তানরা মিলিওনিয়ার শিল্পপতি এবং এই ধারাবাহিকতায় তার নাতিরা ট্রিলিওনিয়ার ধনকুবের হতেই পারে - এটা আপনারা যৌক্তিক ও আইনগত কোন নীতির ভিত্তিতে প্রতিহত করবেন?
৬. "মানুষের জন্য পরিকল্পিত উপায়ে ফ্রি পড়ালেখা, সবার জন্য চাকুরী, ফ্রি চিকিৎসা ও প্রয়োজন অনুসারে বাসস্হান" - এই বাক্যে 'প্রয়োজন অনুসারে' এই অংশটা খুবই বিভ্রান্তিকর। যার টিনের ঘর আছে তার বিল্ডিং প্রয়জোন, যার একতলা দালান আছে তার দশ তলা প্রয়োজন, যার একটা দশ তলা আছে তার আর একটা আলীশান প্রাসাদ প্রয়োজন। কাজেই কার প্রয়োজন, কে নির্ধারণ করবে? এই প্রশ্নের সমাধান ছাড়া 'প্রয়োজন অনুযায়ী' ব্যাবস্থা প্রয়োগ করতে গেলে চরম বিশৃংখ্যলা দেখা দেবে। নেতা এবং তার চ্যালাদেরই সব প্রয়োজন পুরোন হবে স্বাধারণ মানুষের প্রয়োজন থাকবে উপেক্ষিত।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, আপনি এগুলো নিয়ে বেশ ভাবেন; এগুলো নিয়ে নতুন পোস্ট দেবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.