নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়ায় ও চীনে সমাজতন্ত্র এসেছিল রাজতন্ত্রে ও আধা রাজতন্ত্রে

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮


ছবিতে জার নিলোলাস ২য়

রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটে ভয়ংকর শত্রুতার মাঝে; বিপ্লবে, জার(রাজা) নিকোলাসের সাম্রাজ্য দখল করে নেয় সোস্যালিস্টরা ১৯১৭ সালের মার্চে; সোস্যালিস্টদের ভেতরে ২ ভাগ হয়ে যায়, ও বলশেভিকরা পুরো ক্ষমতা নিয়ে নেয় সেই বছরের অক্টোবরে; তারপর শুরু হয় জারের সেনা বাহিনীর সাথে গৃহযুদ্ধ, যা চলে ১৯২২ সাল অবধি; এতে লেনিনের সোস্যালিস্ট দল জয়ী হয়; কিন্তু অসংখ্য সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায় যুদ্ধে ও দুর্ভিক্ষে।

১৯০৫ সালে, প্রথম রাশিয়ান সোস্যালিস্ট বিপ্লব হয়, তাতে সোস্যালিস্টরা পরাজিত হয়; ধৃত নেতাদের ফাঁসী দেয়া হয়; এতে লেনিনের বড় ভাইয়েরও ফাঁষি হয়; ফলে, রাশিয়ান বিপ্লবের মাঝে অনেক আক্রোশও ছিল; তার ফলেই, লেনিনের অজান্তেই জারের পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয় ১৯১৮ সালে।

রাশিয়ান রাজতন্ত্র সব সময় মোটামুটি কম দয়ালু ছিল সব সময়; মানুষের নিজস্ব জমি ছিল না, তারা জমিদারের জমিতে বসবাস করতো; শ্রমিকেরা টু শব্দ করতে পারতো না; রাশিয়ায় জারের নীচে বহু স্তরের ধনী ও শাসন বিভাগ ছিল; মানুষের কিছুই ছিল না।

বিপ্লবের আগে রাশিয়া আর্থিক দিক থেকে ইউরোপের দুর্বল জাতি ছিল; তারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মোটামুটি পরাজিত হয়েছিল; ভাগ্যে জার্মানীর পরাজয় ঘটাতে তারা বেঁচে যায়; সেই জাতি, সোভিয়েত ইউনিয়ন পরে, ২য় বিশ্ব যুদ্ধে হিটলারকে পরাজিত করে; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, তারা বিশ্বের ২য় শক্তিতে পরিণত হয়; ৭০ বছর টিকে ছিল; এখন তারা ১৫ দেশে বিভক্ত হয়েও, সবাই মোটামুটি ভালো আছে।


ছবিতে সিয়াং কাই শেক

চীনের সর্বশেষ রাজারা ছিলেন কুইং রাজপরিবারের; তাদের রাজত্বের অবসান ঘটে মোটামুটি ১৯১২ সালে; ১৯১৭ সাল অবধিও তাদের কিছু প্রভাব ছিল; ১৯১৭ সালের পর, চীন মোটামুটি নেশানেলিস্টদের অধীনে আধা রিপাবলিক, আধা মিলিটারী রাজতন্ত্রের মতো চলছিলো; ১৯২৭ সালের দিকে শুরু হয় সোস্যালিস্ট বিপ্লব, এবং ১৯৪৮ সালে সোস্যালিস্ট পার্টি চেয়ারম্যানের মাও'এর অধীনে বিজয়ী হয়ে 'মেইনল্যান্ড' চীন দখল করে; নাম দেয়, পিপলস রিপাবলিক অব চীনা; যুদ্ধে সিয়াং কাই শেকের আধা মিলিটারী আধা রাজতন্ত্রীয় সরকার পরাজিত হয়, কিন্তু তাইওয়ানের দখল ধরে রাখতে সক্ষম হয়; সেই অংশের নাম ছিল, রিপাবলিক অব চীনা; তারা আজও আছে।

চীনের সিভিল ওয়ারের ১৯২৭ সাল থেকে ১৯৪৮ সালে হয়তো ৭/৮ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারায়েছে।

চীন আজকের পৃথিবীর ১ নং অর্থ নীতি; কাগজে পত্রে তারা আজও সোস্যালিস্ট; আসলে তারা বিশ্বের সবচেয়ে গলাকাটা ক্যাপিটেলিস্ট; তবে, তারা চীনা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী; তারা বিশ্বের জন্য হুমকি, মানব সভ্যতা যদি মানুষের হাতে নিশ্চিহ্ন হয়, তবে ওদের হাতেই তা ঘটবে। তারা সোস্যালিস্ট, তাদের পার্লমেন্ট সদস্যদের ভেতরে ১২০ জনের বেশী আমেরিকান ডলারে 'বিলিওনিয়ার'।

তারা আমাদের পদ্মাসেতু করছে; আমাদের সরকার তাদেরকে আনার পেছনে অনেক কারণ আছে; বড় কারণ তারা সস্তা ও মিথ্যুক; ওরা ভয়ানক টেকনিক্যাল মানুষ, আপনাকে মার্সেডেজ গাড়ী বানায়ে দিতে পারবে ৫ হাজর ডলারে; সুইস ঘড়ি রোলেক্স বানাতে পারে ৫ ডলারে।

এই ২ দেশকে সোস্যালিম বড় বড় শক্তিতে পারিণত করেছিল; আমরাও শক্তিশালী হতে চাই; আমাদের সাথে রাশিয়ান ও চীনাদের মিল নেই; আমাদের দেশে রাজতন্ত্র নেই(?); আমরা পরিবর্তিত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি অনুসরণ করে শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারবো; আমাদের মেয়েদের আরবে বিক্রয় করা লাগবে না; আমাদের মানুষকে বউ ফেলে রেখে উট চরাতে হবে না; তারা বউয়ের সাথে বাড়ীতে থেকে, নিজের জাতির জন্য কাজ করে, নরওয়ের মানুষের মতো সুখী হতে পারবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




ববস বাদ, বুবস'এর যত্ন নেন।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

রাজসোহান বলেছেন: সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন শুধু ধোঁয়াশা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বাসা বোধ হয় ইটের ভাটার কাছাকাছি।
অথবা ভুল মেয়ের সাথে ঘুরছেন।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: রাজসোহান, আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাকে আরব পাঠায়ে দেবো, উট চরাতে পারবেন আপনি

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

হাসান নাঈম বলেছেন: "আমরাও শক্তিশালী হতে চাই।"

কেন চাই?

ব্রিটিশ, ফরাসী, স্পেনিশ ঐপনিবেশিক শক্তি, আগ্রাসী রাশিয়া ও চিনের সোসালিস্ট শক্তি যেভাবে নিজেরা সুখি হতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য বিপর্যয় নিয়ে এসেছিল, আর বর্তমান আমেরিকা যেভাবে শক্তির জোরে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নরক কায়েম করে রেখেছে আমরাও কি তাই চাই?

যদি না চাই, তাহলে শক্তিশালী হওয়ার আগেই শক্তি নিয়্ন্ত্রনের উপায় ভাবতে হবে।
অন্যথায় দুর্বল থাকাই ভাল, কার উপকার করতে না পারি ক্ষতি তো করব না।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিজের জাতি শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হলে, পৃথিবীকে ভালো লাগবে।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: খুব চমৎকার তথ্যবহুল অত্যাবশ্যকীয় পোষ্ট। লেখককে ধন্যবাদ অজস্র।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি তো সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা!

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

কালনী নদী বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই আপনি বিষন পাজি, প্রতিউত্তরে ববস বাদ দিয়ে বুবস ! হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগ হলো মতামত শেয়ার করার জায়গা, এখানে এসে ক্যাচাল করেন কিছু মানুষ

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সেই রামও নাই সেই অযোধ্যাও নাই ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাম ভগবান ছিলেন, এসেছিলেন অবতার হয়ে, আসবে দিল্লিতে না হয় ঢাকায়; এবার আর অযোধ্যায় নয়।
মানুষ পায়ের উপর দাঁড়ায়; বাদুর পা দিয়ে ঝুলে থাকে।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫১

কল্লোল আবেদীন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের বেলায় কি সমাজতন্ত্র কাজ করবে?

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়ে যাচ্ছি।।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হয়, বাংলাদেশের সমস্যা সমাধান করতে আধুনিক উন্নত সোস্যালিজম লাগবে; কারণ প্রাকৃতিক সম্পদ নেই, আছে মানব সম্পদ

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: "সম্পদ" টাতো শুধু মিটিং-মিছিলেই কাজে লাগে।। উন্নয়নের হাতিয়ার হবে কবে??

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসে সব মানুষকে চাকুরী দেয়া যেতো; কারণ, তখন জীবনযাত্রার মাণ কম থাকাতে বেতন ছিল একেবারেই কম।
শেখ সাহেব ও টাজুদ্দিন সাহেব বুঝেননি।

আজ জীবন যাত্রার মান অনেক উপরে, সবাইকে সরকারী প্ল্যানে চাকুরি দেয়া কঠিন হবে।

তবে সম্ভব। সব মানুষকে কাজে লাগাতে পারলে, সব বাচ্ছাকে স্কুলে পাঠাতে পারলে, ১০ বছরে আমরা শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হবো।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

সুলেমানের বাপ বলেছেন: বাংলাদেশের কম্যুনিস্টদের নিয়ে আপনার মতামত কি?
ছাত্রইউনিয়নের হম্বিতম্বি দেকলে তো মনে হয় বাংলাদেশের কম্যুনিজম কায়েম হওয়া মাসখানেকের ব্যাপার

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্র ইুনিয়নের সর্বকালের ৩ বড় নেতা, মতিয়া চৌধুরী, মেনন ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ক করছেন এখন?

ছাত্র ইউনিয়নের সমস্যা, তারা সোস্যালিজমের সঠিক প্রয়োগ ও ফলাফল কখনো বুঝতে পারেনি, মানুষকে সেই পথ বুঝাতে পারেনি।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি বুঝি না কিভাবে?? একটি ছেলে এমবিএস কমপ্লিট করেছে অনেক আগেই।। এই ৯তারিখে তার সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা শেষ হলো।। আমাকে ধরেছে খুব করে।। সুপারিশও করেছি নিকটজনদের কাছেই।। কি হবে জানি না।। ছেলেটির ভবিষ্যত.......??
বললে তো অনেক কথাই বলা যায়।। অভিজ্ঞতায় বলি, শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না।। সুতরাং নিকট ভবিষ্যতে সে কোন পথে যাবে, তাই ভাবছি।।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এমবিএস, নাকি এমবিবিএস; ডাক্তারী?

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এমবিএস।।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা কোন সাবজেক্টে? আমার জানা নেই

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অটোম্যান সাম্রাজ্য প্রতিস্ঠিত হয়েছিল ১২৯৯ সালে; প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যানরা জার্মনীর পক্ষ নেয়, যুদ্ধে তারা পরাজিত হয়ে, সাম্রাজ্য হারায়, রাজত্বের অবসান ঘটে; রাজত্বের অবসান ঘটার সাথে সাথে তুর্কী জাতির মুল বাসস্হান বৃটিশের দখলে চলে যাচ্ছিল; তখন, কামাল পাশা যুদ্ধ করে, তুর্কীদের মুল বাসস্হান রক্ষা করতে সমর্থ হন; সাম্রাজ্য জাহান্নামে যাক, নিজের জাতীর ঘর রক্ষা করাই বড় কাজ ছিলো সেদিন।

গার্ভাচভের 'গ্লাসনস্তের' ফলাফল হিসেবে, পুর্ব জার্মানীকে সোভিয়েত বলয় থেকে বের হতে দেয়া হয়

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন: আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট হবে ইতিহাসের সবচয়ে বিচিত্রতম ও দুর্বল আমেরিকান প্রেসিডেন্ট; হিলারী ক্লিনটন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেড ক্রুজ, বার্নি সেন্ডারস থেকে একজন প্রেসিডেন্ট হবেন; বা এর বাইর থেকে হওয়ার ৫% সম্ভাবনা আছে; যদি এই ৪ জনের বাইর থেকে কেহ হন, সেটা হবে 'কনটেস্টড কনভেনশনের' ফলে; তখন, হয়তো খুবই যোগ্য একজন ক্যানডিডেট বের হয়ে আসবেন।

ডেমোক্রেটদের হিলারী হলো রংগিন পানি, যা যেকোন পাত্রের আকার ধারণ করছেন, সবকিছু মেপে মেপে তোতার মতো বলছেন; আসলে, তার আগের ইতিহাস হলো দক্ষতাহীন মহিলা, যিনি স্বামীর কারণে বড় বড় পদ দখল করে এসেছেন; এবার সেটাকে ব্যবহার করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেস্টা করছেন; উনার সবকিছু বেগম খালেদা জিয়ার সাথে অনেকদিক থেকে মিলে যায়।

হিলারীর বিপক্ষে আছেন বার্ণি সেন্ডারস, যিনি সব ক্যান্ডিডেটগুলোর মাঝে যোগ্য, ও বিশাল ভাবনার ও তত্বের লোক; কিন্তু উনি এখনো বেশ পেছনে; উনার কিছু অবস্হাংত সমস্যা আছে, প্রথমটা হলো উনি সোস্যালিস্ট বলে নিজকে দাবী করেছেন; আমেরিকানরা 'সোস্যািস্ট' শব্দটাকে বাংগালীদের চেয়েও বেশী ভয় করে; উনার অন্য সমস্যা হচ্ছে, উনি ইহুদী; আমেরিকানরা কি ইহুদীকে শেষমেষ ভোট দেবে? ২০০০ সালে, ডেমোক্রেটদের ক্যানডিডেট আল গোর'এর পরাজয়ের পেছনে ১টা ফ্যাক্টর ছিলো, উনার উহুদী ভাইস।

রিপাবলিকানদের ডোনাল্ড ট্রাম্প'এর মুল প্রচারণ হচ্ছে, বর্তমান আমেরিকান রাজনীতিবিদদের বিপক্ষে, উনি বলছেন এরা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের মতো; এরা বড় বড় কর্পোরেশনের মালিক ও নিজেদের ব্যতিত বাইরের কারো জন্য কেয়ার করে না; কমদামে উৎপাদন চালায় চীনে ও মেক্সিকোতে; উনার ২য় বৃহত্তম বক্তব্য হলো মুসলিমদের ও আরবদের বিপক্ষে; উনার যুক্তি হলো, ওরা খেতে না পেয়ে, ও বিতাড়িত হয়ে পশ্চিমে আসে; খেয়েদেয়ে ভালো থাকে, তারপর একদিন পশ্চিমের মানুষকে মারে, সিরিয়া ও ইরাকে গিয়ে আমেরিকান মারে। ইনি সবকইছু ভালো করার আশ্বাস দিচ্ছেন; আশ্বাসের দিক থেকে হাসিনার মতো, কোন মাপজোপ নেই, সবই হবে, এটাই বড় কথা; কিন্তু জীবনে খুবই সফল; শেখ হাসিনাকে পার্টির সবাই ভয় পায়, নেত্রী ডাকে; কিন্তু ট্রাম্পকে তার নিজের পার্টি চাহে না; আজকে পুরো পার্টির বিপক্ষে বিরাট বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প, বলেছেন, পার্টির নেতারা অসৎ।

টেড ক্রুজ বহুরূপী মানুষ, ভালো বক্তা, ধর্মীয়; তবে, মিথ্যার আশ্রয় নেন; উনি ট্রাম্পের পেছনে; তবে, 'কনটেস্টড কনভেনশনের' ফলে উনি ক্যান্ডিডেট হয়ে যেতে পারেন; পার্টি উনাকেও কম পছন্দ করে।

'কনটেস্টড কনভেনশন' হলো, মানুষের ভোটে যদি কোন ক্যানডিডেট প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পায়; পার্টির স্পেশাল ডেলিগেইটরা ভোট দিবে কনভেনশনে। কনভেনশন হলো, ক্যানডিডেট নির্বাচনের সভা। রিপাবলিকানদের ক্যানডিডেট হতে হলে, ১২৩৭ ডেলিগেটের সমান ভোট পেতে হবে; ডেমোক্রেটদের ক্যানডিডেট হতে হলে, ১২৩৭ ডেলিগেটের সমান ভোট পেতে হবে। কোন রাজ্যে ভোটে জিতলে ঐ রাজ্যের ডেলিগেইট পায় বিজয়ী, তবে এখানে অনেক ধরণের বন্টন ব্যবস্হা আছে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.