নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেয়ারম্যান ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সংসদীয় ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭



চেয়ারম্যান ভোটে বিএনপি'র উহ: আহ: শুনে মনে হচ্ছে যে, সবগুলো চেয়ারম্যান পদ বিএনপি থেকে নির্বাচিত হওয়ার কথা ছিল; আওয়ামী লীগ জোর করে দখল করে নিচ্ছে; সরকার চালচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর সবগুলো চেয়ারম্যান পদ বিএনপি প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছে কেন, আওয়ামী লীগ কি সরকারে বসে ঘাস কাটছে?

চেয়ারম্যান ভোট নিয়ে বিএনপি'র উহ: আহ: করার কথা নয়; উহ: আহ: করার কথা আম-জনতার; প্রথম কারণ হলো, বর্তমান অর্থনীতি ও সামজিক অবস্হায়, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদের কোন দরকার নেই; টিএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি মিলে ৩ ধাপের প্রশাসন চলছে একটা সংসদীয় এলাকায়; এরপর, নতুন মাসল-ম্যান চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে সমাজের তৃণমুলে। একসময় লোক্যাল গর্ভরমেন্ট'এর তৃণমুল ইউনিট ছিল ইউনিয়ন কাউন্সিল; এখন এগুলো হলো মাফিয়াদের চারণভুমি।

১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা; এটা একটা ভালো 'সাইকল' ছিল; বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এতে খুবই মজা পাচ্ছিল; সেই অনুসারে, ২০১৪ সালে খালেদা জিয়ার প্রাপ্য পদ ছিল 'প্রধানমন্ত্রী'র; কিন্ত শেখ হাসিনা সেই সাইকল ভেংগে দিয়েছে; বিএনপি চাচ্ছে পুরানো সাইকেলে ফেরত যেতে; শেখ হাসিনা তা হতে দেবে না, মনে হচ্ছে; এবং এবারের পার্টি লেভেলে 'চেয়ারম্যান ভোট' সেটারই প্রস্তুতি।

শেখ হাসিনা যদি শারিরীক দিক থেকে ভালো থাকে, খালেদা জিয়া আর প্রাইম মিনিস্টার হতে পারবে না; উনার জন্য বিরোধীদলের নেত্রীর পথ খোলা থাকবে; উনি হয়তো সেটা বুঝেছেন ইতিমধ্যে। সেটা বুঝে গেলে, অকারণে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে উহ: আহ: না করে, চেয়ারম্যান পোস্টের বিলোপ সাধনের জন্য রাজনীতি করতে পারতেন; কারণ, চেয়ারম্যানরা উনাকে আর ক্ষমতায় নিতে পারবে না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

মুসাফির নামা বলেছেন: বর্তমান অর্থনীতি ও সামজিক অবস্হায়, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদের কোন দরকার নেই; টিএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি মিলে ৩ ধাপের প্রশাসন চলছে একটা সংসদীয় এলাকায়; এরপর, নতুন মাসল-ম্যান চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে সমাজের তৃণমুলে।


আগেও আপনার একটা লেখাতে এই কথাটা আমি বলছি।আসলে আন-পোডাক্টিভ খাতে জনগণের ক্ষমতায়নের নামে শুধু বাটপার আমদানি ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য মানুষ বাধ্য হয়ে সামরিক শাসকদের স্বাগতম জানায়। কারণ ওদের একজন মাস্তান বসিয়ে দিলেই পুরো এলাকা ঠান্ডা। অনেক জনের চাইতে একজনের মাস্তানি অনেক ভালো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তান মোটামুটি মিলিটারী চালাচ্ছে; জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সময় বাংলাদেশে মোটামুটি মিলিটারীই ক্ষমতায় ছিলো; সুবিধা হয়নি।

মিলিটারী ক্ষমতায় এলে, ২/১ বছর কেরমতি দেখায়; তারপর, আর পারে না।

সমাধান হলো, শিক্ষিতদের রাজনীতি করতে হবে। লোক্যাল গভর্মেন্ট হিসেবে, উচ্চ শিক্ষিত সরকারী এডমিনিস্ট্রেটর দরকার।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

মুসাফির নামা বলেছেন: আমিও তাই মনে করি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি,কেন মানুষ স্বাগতম জানায়। তবে আমি সামরিক শাসনের পুরই বিপক্ষে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ দেখেছে আওয়ামী ও বিএনপি'র লোকেরা দুর্নীতি করে, প্রশাসন দুর্নীতি তাদের চোখের উপর, তারা প্রতিবাদ করে; কিন্তু থামাতে পারে না; মিলিটারী এলে এসব ডাকাতেরা কিছুদিন ভালুকের মত কাঁপতে থাকে; মানুষ এই আনন্দটুকু অনুভব করে, শান্তনা পায় মাত্র; সমস্যা থেকে যায়।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই প্রথমবারের মত আপনার পুরো লেখার সাথে সহমত প্রকাশ করছি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনাকে জীবিত অবস্হায় বিএনপি সরাতে পারবে না; শেখ হাসিনা কিন্তু বিরোধীদলে এরশাদ মেরশাদ বাদ দিয়ে খালেদা জিয়াকেই চায়।

মির্জা ফখরুল মনে হয়, রাজনীতি করতে পারবেন না; এখন সময় জাতিকে কিছু দেখানোর।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মিরাকল না হলে খালেদার আর সুযোগ নেই বলেই ধরে নেয়া যায়। তাই তারেকও প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



তারেক মিয়া শেখ সাহেব বিরোধী যেসব কথা বলেছে, উহার কপালে বাংলাদেশের ভাত নেই মনে হয়।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাজনীতিতে কিন্তু " শেষ" বলে কোন কথা নেই।।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



'শেষ' বলতে অবশ্যই কিছু নেই; না হলে শেখ হাসিনা কি করে ৩৪ বছর রাজনীতি করছে, আর খালেদা জিয়া ৩২ বছর?
তবে, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে, জাতি খালেদা জিয়ার শেষ দেখে ফেলেছেন।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দুঃখিত আপনারা বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন?? যতই বদনাম থাকুক না,নামের পাশে শেষ পর্যন্ত আপনিও!!
আপনি জানেন "স্লীপ অব টাং" এর অন্য অর্থের কথা।।
আমার লেখায় সে প্রমান দিতে পারলে, আমি ব্লগ ছেড়ে দেবো।। কথা দিলাম।।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্যরি, ভুল হয়েছে, ঠিক করে দিয়েছি।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধন্যবাদ।।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৬

কালনী নদী বলেছেন: টানেল ভিসন করলে হবে না, রাজনীতিতে রেসনাল হতে হবে। আর যাই হোক স্লিপ অফ টাঙ করে চাঁদগাজী ভাই যে ঝারি খাইছেন থাতে সত্যি আমি কষ্ঠ পেয়েছি (আমার গুরু সমান ভাই ইনি) আর দুঃখ পাওয়াটাও মর্মান্তিক!
আর যাই হোক এই প্রথম চাঁদগাজী ভাই কার হাতে পাকরাও হলেন দেখে হৃদয়ে পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছি তবে সাথে সাতে ভাইয়ের নিরপেক্ষতাও প্রসংশার দাবিদার।
হ্যাপি ব্লগিং এভরিওযান (ভাই ইংরেজি বলায় আবার জারি দিয়েন না/ আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনীতি করছি)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভুল হলে, তা স্বীকার করতে হয়।

আমি নিজের অবজারবেশনটুকু মিলায়ে দেখছি।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৯

কালনী নদী বলেছেন: হুমম ভুল স্বীকার না করলে উঠে আসা যায় না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




নেচার‌্যালী

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

হাসান নাঈম বলেছেন: "লোক্যাল গভর্মেন্ট হিসেবে, উচ্চ শিক্ষিত সরকারী এডমিনিস্ট্রেটর দরকার।"

আমাদের অভিজ্ঞতা কিন্ত বলে উচ্চ শিক্ষিতরা বেশী দুর্নিতিগ্রস্থ হয়।
জনগনের মতামত ছাড়া যদি সরকারের পক্ষ থেকেই চুড়ান্ত মনোনয়ন দেয় হয় তাহলে সেখানে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে এবং জনগনের কাছে জবাবদিহিতা না থাকালে তাদের পক্ষে শৈরাচার হয়ে ওঠাও সহজ।
এখনতো তাও চার পাঁচ বছর পর একবার জনগনের কাছে যেতে হয়,
নির্বাচন উপলক্ষে জনগন কিছুটা হলেও সম্মান/গুরুত্ব পায়।
তখন শুধুমাত্র সরকারে থাকা নেতা/নেতৃদের কৃপাই চুড়ান্ত বিবেচিত হবে।
দুই একজন সৎ ভাল মানুষ হয়ত ভাল কাজ করবে কিন্তু গড়ে অধিকাংশ মানুষই জনগনকে শোষনের সুযোগ হাতছাড়া করবে না।
বিশেষ করে বাংলাদেশেরমত চরম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের জন্য এটা আরো বেশী ক্ষতিকর হবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকারী চাকুরে ঘুষ খায়, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কমিশনাররা মানুষ মারে, দখল করে, সরকারী টাকা ডাকাতি করে।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

হাসান নাঈম বলেছেন: সরকারী চাকুরে আপাতত ঘুষেই সন্তুস্ট আছে - ঐ রকম একক ক্ষমতা হাতে পেলে কোন কিছুই বাদ রাখবে না।

মানুষ তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছে রাজা বাদশা জমিদার দখলদার অথবা যে কেউ যখন শক্তির জোরে ক্ষমতায় থাকে, প্রশাষণের সকল পর্যায়ের নিয়োগ/বদলি তাদের ইচ্ছাতেই হয় তখনই সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়ে থাকে। এই অভিজ্ঞতা থেকেই - শাষিতের মতামতের ভিত্তিতে শাষক নির্বাচনের ধারনা ( যা গনতন্ত্র নামে পরিচিত ) উদ্ভব হয়েছে। এর মধ্যেও সমস্যা আছে, কিন্তু অন্য যেকোন ব্যাবস্থার চেয়ে এটা এই দিক দিয়ে উন্নত যে এতে কোন না কোন সময় জনগনের সামনে দাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

এটা উন্নত বলেই আজকের পৃথিবির দুই একটা ব্যাতিক্রম বাদে প্রায় সব দেশেই একে সাদরে গ্রহন করে নিয়েছে। আপনি চাইলেও আমার মনে হয় না মানুষ আবার সেই আগেরমত 'কর্তার ইচ্ছায় কর্মে'র যুগে ফিরে যেতে চাইবে না। আপনি বর্তমান কর্তৃত্ব পরায়ন শাষন জনগন মুখ বুজে মেনে নিচ্ছে দেখে হয়ত ভাবছেন এরকম একতরফা প্রশাষনিক ব্যাবস্থাও এ'দেশের মানুষ মেনে নেবে। কিন্তু বাস্তবতা তেমন নাও হতে পারে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই মহুর্তে সরকার গঠনে গণতন্ত্রই গ্রগনযোগ্য পন্হা; কিন্তু অর্থনীতিই মানুষকে কস্ট দিচ্ছে, যা সাধারণ শিক্ষিতরাও বুঝতে পারে না। অর্তনীতিতে সবার জন্য কার্যকরী ব্যবস্হা বের করা সম্ভব, শুধু কিছু অর্থনৈতিক নিয়ম চালু করলেই হবে।

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন: সংবিধানে যা যা লেখা আছে, কোনটাি আইন নয়; কিন্তু পার্লামেন্ট যদি কোন বিল পাশ করে, উহাকে আইনে পরিণত করতে চায়, তখন দেখটে হবে যে, এি নতুন আইন কোনভাবে সংবিধানের পরিপন্হি কিনা; যদি পরিপন্হি হয়, উহাতে প্রেসিডেন্ট সাইন করতে পারবে না; পাশ করা বিল পরিপন্হি কিনা উহা ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেশের সর্বোচ্চ কোর্টের; আপনি যদি এ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.