![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
[Link to Dr. Emajuddin's article
ড: এমাজুদ্দিন সাহেব মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক সুন্দর এক প্রবন্ধ লিখেছেন বিডি-নিউজ-২৪ এ, পড়ে দেখতে পারেন; আমি এখানে উনার বিপক্ষে লিখব। ১৯৭১ সালে, যাদের বয়স ছিল, যারা শিক্ষিত ছিলেন, কিন্তু যুদ্ধে যাননি, আজকে উনাদের আনুমানিক লেখার মুল্য এক পয়সাও আছে কিনা কে জানে? উনারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললে উনাদের থামিয়ে দেয়াই হ্য়তো ভালো কাজ হবে। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা, এক বিখ্যাত প্রফেসরের এক বই কিনতে আমি অনেকটা বাধ্য হয়েছিলাম একবার, উনার এক ছাত্রের অনুরোধে; আমি ঐ বইয়ের মলাট ছিঁড়ে আবর্জমার মাঝে ফেলে দিয়েছিলাম পরে।
যেখানে গ্রামের দিন মুজুর গেছেন যুদ্ধ করতে, দরিদ্র ঘরের ছাত্ররা গেছেন, কৃষক গেছেন, স্বল্প শিক্ষিত ইপিআর ও বেংগল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা গেছেন, সেখানে একজন প্রফেসর, লেকচারার যায়নি যুদ্ধে; কিছু না দেখে, যোদ্ধাদের না দেখে উনারা আজ কি লিখছেন? আমার দেখা মুক্তিযুদ্ধের ৪টি হেডকোয়ার্টারে, কোন মাস্টার ডিগ্রিধারী বাংগালীকে আমি দেখিনি; কোন লেখককে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের আশেপাশে দেখিনি; আজ কারা বই লেখে দোকান ভরায়ে ফেলছে?
যুদ্ধ চলাকালীন, ১ নং সেক্টরে ততকালীন সময়ের চট্রগ্রাম স্টিল মিলের এক সিকিউরিটি অফিসারের সাথে আমার দেখা হয়েছিল; উনাকে খুবই বিষন্ন দেখাছিল; কথা বলে জানতে পারলাম যে, উনার ৬ মেয়েসহ স্ত্রীকে স্টিল মিলের স্টাফ কোয়ার্টারে ফেলে যুদ্ধ করতে এসেছেন উনি; এখানে পোঁছার পর, উনি পরিবারের বিপদ অনুমান করে ভয় পেয়েছেন; উনি বেংগল রেজিমেন্টের রিটায়ার্ড হাবিলদার। আমি জানতাম যে, ১ নং সেক্টর হ্য়তো এই পরিবারের জন্য তেমন কিছু করতে পারবে না; আমি উনাকে বললাম আমাদের সাথে 'যেড-ফোর্সে' চলে আসতে' 'যেড-ফোর্স' তাদের সৈনিকদের পরিবারদের সম্ভবমতো নিরাপদ যায়গায় সরানোর চেস্টা করছিলো। উনার সাথে রাতে ট্রাকে 'যেড-ফোর্সের' হেড কোয়ার্টারে যাচ্ছিলাম, দেখছি উনার চোখের পানি পড়ছে; উনি বললেন, ৬টি মেয়ে কেমনে কোথায় যাবে? যাক, 'যেড-ফোর্স' ঠিক সময়ে উনার পরিবারকে নিরাপদ যায়গায় সরায়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এই হাবিলদার সাহেব ড: এমাজুদ্দিন থেকে বেশী বয়স্ক ছিলেন সেই সময়ে; হাবিলদার মোটামুটি লিখতে পারতেন না, তবুও আমাদের দরকারী ব্যাপারগুলো উনি লিখে রাখার চেস্টা করতেন; আমি জানি উনি সেই সময়ে যেই কয়টি লাইন লিখেছিলেন, আমার জন্য সেটাই ইতিহাস, সেটাই আর্টিকেল; ড: এমাজুদ্দিনের লেখা অপ্রয়োজনীয় ও কাগজ নস্ট করা ব্যতিত কিছুই নয়।
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি কাউকে ঘৃণার চোখে দেখি না, যারা যুদ্ধে যাননি, তারা শিক্ষিত হলে আমি তাদের লেখা পড়ি না, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উনাদের কোন কথা শুনতে চাই না ।
যে ৬ কোটী স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন, সবার যুদ্ধে যাবার কথা ছিলো না; কিন্তু শিক্ষিতদের যাবার কথা ছিল।
২| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:১৮
মেঘ নাকি রোদ্দুর বলেছেন: আমার জানা মতে হুমায়ূন আহমেদ, এমনকি জাফর ইকবালও প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন তারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন জানতে পারি কি?? তারাও তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, গল্প লিখেছেন!
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেইজন্য আমি হুমায়ুন আহমদের লেখা একটি লাইনও পড়িনি; উনার লেখার সাথে আমি অপরিচিত; জাফর ইকবালের আর্টিকেলের হেডিং পড়ি মাত্র।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
কলাবাগান১ বলেছেন: জামাতি-রাজাকার রা আপনার লিখাতে উদ্বুদ্ধ ....(Inspired). সাড়ে সাত কোটির মধ্যে সাত কোটিই ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে...আর বাকী ৫০ লাখ ছিল রাজাকামুসলিম লীগ/বামপন্হীরা....। আর তাদের ছানাপোনা দের এখন দেখা যায় উপরের কমেন্টের মাধ্যমে...ওদের অস্ত্রই হল কিভাবে স্বাধীনতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে দুই একজন ভিক্ষা করলে, তাদের ই সামনে এনে জামাতি রাজাকার দের দেখা যায় মায়া কান্না করতে....আমেরিকার হোমলেস পোপুলেশনের ৫০% ই হবে আর্মি ভেটেরানস
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাক, মোটামুটি দেড় কোটী স্বাধীনতা চায়নি; যারা ১৯৭০ সালে নৌকাকে ভোট দিয়েছিল, তাদের অনেকেই যুদ্ধের শেষদিকে স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না।
জামাতীরা পেছনে পড়া মানুষ, ওরা এখনো অটোম্যান ও সৌদী রাজত্বের মানুষ, তারা আরব ও আফগানী মনোভাবের লোকজন; ওরা সময়ের সাথে কম গতিতে তাল মিলাবে বিশ্বের সাথে।
আওয়ামীরা দেশের জন্য কম কাজ করে, নিজেদের জন্য বেশী নিয়ে, সাথে সাথে স্বাধীনতার দল হয়ে, স্বাধীনতার গুরুত্ব কমায়ে দিয়েছে; না হয়, বিএনপি- জামাত কোয়ালিশন অনেক আগেই ক্রমেই বিলুপ্ত হতে থাকতো।
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ২/১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভিক্ষা করতে দেখেছেন, আমি ৬৫ হাজারকে কস্ট করতে দেখেছি; এবং সেটা ঘটেছে তাজুদ্দিন সাহেবের কারণে; তখন বেগম খালেদা জিয়া ছিলো না।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২১
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: যুদ্ধে না গিয়ে, শ্রেফ কবিতা লিখে ও চাটুকারিতার জোরে নির্মলেন্দু গুন স্বাধীনতা পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছিলো। সেই ব্যাপারে তো কিছু লিখলেন না
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতার উপর লিখে যারা পুরস্কৃত হয়েছেন, এদের কেহই যুদ্ধের করতে যাননি, মনে হয়; যাক, পুরস্কার আমি দেয়নি, আমি ওসব লিখককে 'মুক্তিযুদ্ধের' উপর লেখক বলে মনে করি না, আমি ওদের কারো লেখা পড়ািনি; তবে, নির্মলেন্দু গুণ প্রফেসর হওয়ার, থিংক ট্যাংক হওয়ার সুযোগ পাননি, মনে হয়।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: নির্মলেন্দু গুণ প্রফেসর হওয়ার, থিংক ট্যাংক হওয়ার সুযোগ পাননি ঠিক তবে আওয়ামিলীগের সভাকবি ছিলেন বেশ কিছু দিন। যদিও বর্তমানে সৈয়দ শামসুল হক সভাকবির প্রতিদ্বন্দীতায় নির্মলেন্দু গুণ কে পেছনে ফেলে দিয়েছেন
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের কাজের জন্য আমাকে জবাবদিহি নিশ্চয় করতে হবে না; ওরা আমার মতামত নিয়ে কিছু করে না।
ঐসব লেখকের এই ধরণের লেখা দেখলে, আমার প্রতিক্রিয়া সব সময় একই রকম হবে।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি।
এবার আপনার বিপক্ষে কথা বলবো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুটি কয়েক নারী ছাড়া বাকিরা প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেনি। নির্যাতিত প্রসঙ্গ আনছি না। এখন সেই নারীরা কেউ মুক্তিযুদ্ধের উপর বই লিখলে গ্রহণযোগ্য হবেনা বলছেন?
যুদ্ধে আরো অনেকে যায় নি, তাই বলে কি তারা দেশদ্রোহী। রাস্তায় যখন কোন অন্যায় হয় তখন দু একজন এগোয় যাদের অনেক বেশি সাহস আছে, যারা এগোয় না তারা কি সবাই মজা দেখে?
এমাজউদ্দিন একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। তার বই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পঠিত হয়। এসব বিষয়ে লিখতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। সঠিক তথ্য থাকতে হয়। সেটা যে করতে পারবে তাকে তার উপযুক্ত সম্মান দিতে হবে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাই যুদ্ধপরবর্তী সময়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, তাহলে কি তারা ঠিক ততোটাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য?
আশা করি আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন।
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারীদের যুদ্ধে যাবার কথা নয়; আপনার লজিকে সমস্যা আছে।
যাদের বয়স ছিলো, ও শিক্ষিত, তাদের যাওয়ার দরকার ছিলো।
এমাজুদ্দিন সাহেব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নন, উনার দেয়া বুদ্ধিতে, ঢাকা নির্বাচনে খালেদা জিয়া গো-হারা হেরেছে; শেখ হাসিনার কোন চালের মুখে তথাকথিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী খড়কুটার মতো উড়ে গেছেন।
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন মুক্তিযোদ্ধা আখের গোচায়নি; অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদের নাম মুক্তযোদ্ধা লিস্টে তুলেছে বিএনপি ও আওয়ামী লিগের সাহায্যে, এরাই আখের গোছায়েছে।
৭| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখাটা আবেগের বশবর্তী হয়ে লিখেছেন বোধহয়!
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
অবশ্যই আবেগ আছে; মানুষের আবেগ না থাকলে যুদ্ধে ভলনটিয়ার হওয়ার মানুষ পাওয়া যেতো না।
৮| ১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫
প্রািন্ত বলেছেন: আসলে আমার মনে হয় এই লেখার লেখক একটি বিশেষ দলের অনুগামী। তাই এমাজ উদ্দিনের উপর এত বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। আমার প্রশ্ন এমাজ উদ্দিন সাহেব কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন? সে সময় আওয়ামীলীগের বড় বড় অনেক নেতাও তো ভারতে গিয়ে ভোগ বিলাসে জীবন কাটিয়েছেন, যুদ্ধ করেননি, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কথা বলেন না কেন? সরাসরি যুদ্ধ না করেও যুদ্ধে স্বপক্ষে থেকেও অনেক কিছু করা সম্ভব। এই যেমন ধরুন- যুদ্ধ না করেও বর্তমানে বড় একটা সংখ্যক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সরকারী মোটা অংকের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলে খাচ্ছে, বড় বড় চাকুরী তারা কোটায় হাতিয়ে নিচ্ছে। দেশে আজ মেধার কোন মূল্য নেই। আবার ঐসব ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা অক্কা পেলে প্রশাসন থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হচ্ছে। কি তামসা.... সব ফকফকা। সুতরাং আপনার লেখা সুপার ফ্লপ।
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
যুদ্ধ না করে, মিথ্যা বলে কম পক্ষে ২ লাখ লোকজন মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ ভোগ করছে; সেই লোকগুলো লেখা প্রবন্ধ নিয়ে আমি কিছু লিখছি না; আমি জানি যে, ড: এমাজুদ্দিন একজন শিক্ষিত মানুষ, শিক্ষক মানুষ হয়ে যুদ্ধে যাননি, কিন্তু উনার কিছু ছাত্র গিয়েছিলেন, এখন সেই যুদ্ধ নিয়ে, আনুমানিক অনেক কিছু লিখছেন, এটকু।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৯
আহলান বলেছেন: জনাব কিছু মনে নেবেন না- একটা প্রশ্ন করি, যুদ্ধে না যাওয়ার কারণে এমাজ উদ্দিনকে যদি আপনি ঘৃণার চোখেই দেখেন, তবে ১৪ই ডিসেম্বর যে সকল বুদ্ধিজীবী নিহত হলেন, তাঁরাও তো যুদ্ধে যাননি , তাদের ব্যপারে আপনার বক্তব্য কি ?