নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হত্যা করেই এসেছিলেন জেনারেল জিয়া, মুল্য দিয়ে চলে গেছেন

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬



বাংগালী অফিসারদের মাঝে জেনারেল জিয়া নিশ্চয় সবচেয়ে স্মার্ট ছিলেন; সেই হিসেবে পাকিস্তান আমল থেকেই জিয়া সিআইএ'র খাতায় ছিলেন। বাংলাদেশকে রাশিয়ান ব্লক থেকে ফিরায়ে আনার জন্য, ও বাকশালকে ধ্বংস করার জন্য সিআইএ নিজেই মনে হয় জে: জিয়াকে সিলেক্ট করেছিল; অথবা জিয়া নিজের উচ্চ আকাংখা পুরণের উদ্দেশ্য সিআইএ'র কাছে গিয়েছিল। তৃতীয় সম্ভাবনা, পাকিস্তান ও জামাত সিআইএ ও জিয়ার মাঝখানে ছিল। যেভাবেই উনি সিআইএর প্ল্যানে ঢুকুক না কেন, উহা ছিল ওয়ান-ওয়ে।

স্মার্ট জে: জিয়া ও সিআইএ বাংলার ভিলেজ পলিটিসিয়ানদের ভেঁড়া বানায়েছে অতি সহজেই, জে জিয়ার মুক্তিযুদ্ধকালীন অবদানকে কাজে লাগিয়ে শেখ হত্যাকে বীরত্বের কাজ হিসেবে প্রতিস্ঠিত করতে কোনরূপ বেগ পেতে হয়নি। সিআইএ ২ দিকে থেকে এগিয়েছে: তারা ২ পয়সা দিয়ে সেনা বাহিনীর ১২ ক্লাশ পাশ করা ১০/১২ জন নীচু র‌্যাংকের অফিসারকে কিনেছিল হত্যাকান্ড চালাতে, আর জে: জিয়াকে সমান্তরালভাবে নিয়ে এসেছে হত্যার পর দেশের ভার নিতে। সিআইএ একই সাথে শেখ সাহেবের কিছু সাথীকে সহজেই পকেটে নিয়েছিল, যারা হত্যাকান্ডকে সামলাবে; আরেকটা ব্যাপার, রাজনীতির শুরুতে শেখ সাহেব ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাসী ছিলেন, এবং ১৯৭৪ সালের দিকে তিনি ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাস হারান, সিআইএ এসব সহ্য করেনি কোনদিন।

পাকিস্তানীরা ও বাংগালীরা মিলিটারীকে সন্মান করেন, নিজের মেয়েটাকে কলেজের লেকচারারের কাছে বিয়ে না দিয়ে মিলিটারীর লেফটেন্যান্টের কাছে বিয়ে দিয়ে এলিট হন উনারা। সেই দিক থেকে জে: জিয়া রাতারাতি পপুলার হয়ে যান; জাতির জন্য কি কি করেছেন? বিএনপি গঠন করেছেন, সৌদী ও কুয়েতী টাকা এনে বিএনপি করেছেন, অফিস নিয়েছেন, ছাত্রদের কিনেছেন, যারা বাংলাদেশ চাহেনি, তাদেরকে পায়ের নীচের পোষা কুকুরের মত স্হান দিয়েছেন।

সবকিছু ভালো মতে চলতে পারতো, উনি আইয়ুব খান হতে পারতেন; কিন্তু উনার অপরাধকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকেরা মেনে নেয়নি; তারা উনাকে শাস্তি দিতে গিয়া নিজেরা প্রাণ হারায়েছেন। আনুমানিক ৩০০ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে ঝুলানোর পর, উার ঘনিস্ট অফিসারেরা শেষ অবধি ব্যবস্হা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন; রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে এসেছিলেন, রক্তের উপর দিয়ে ভেসে প্রস্হান করলেন; মাঝখানে নিজ সিআইএ'এর গোলামী করলেন ও জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাপ্তিকে মাটির সাথে মিশায়ে দিয়ে গেলেন।

উনি বাংগালী জাতির জন্য স্মার্ট ছিলেন, কিন্তু সিআইএ'র জন্য খুবই সাধারণ একজন ছিলেন; এবং সিআইএ'র খাতায় লম্বা লিস্ট থাকে সেটা বোধ হয় বুঝতে পারেননি, বা বুঝলেও কিছু করার মতো সেই লম্বা হাত উনার ছিলো না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

ফেনী বুলবুল বলেছেন: যিনি জিয়াকে বীরউত্তম খেতাব দিয়েছেন শাহবাগ যেয়ে তার ফাঁসি দাবি করেন।

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি নিজে যান, আমি ব্লগে লিখি মাত্র।

২| ৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

সরকার আলমগীর বলেছেন: তাহলে জাল্রাদ কে ছিল চাঁদগাজী দাদা

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:





রাজনীতিতে 'মেঘ'কে মেঘ হিসেবে বুঝতে হয়, মেঘ সেখানে মেঘ বালিকা নয়।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

কলম চোর বলেছেন: আপনার লেখা পরলাম এবং মনে মনে হাসলাম !!
দেখুন ১৯৭৫, বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতি পরিবর্তন করে দেওয়ার একটি বছর যেটা রক্তের বিনিময়ে হয়েছিল (একই সাথে কলঙ্কজনক)। অনেকে অনেক কথা বলে। কেউ পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে। কেউ বুঝে, কেউ বা না বুঝে। আমরা যারা ৭৫ পরবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণ করেছি তারা সঠিক ইতিহাস না জেনে শুধুমাত্র শোনা কথার উপর ভিত্তি করে নিজের মনের মধ্যে মনগড়া ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছি এবং এই মনগড়া ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে চায়ের কাপে ঝড়ও তুলে দিচ্ছি।
যাই হোক এবার মূল বিষয়ে আসি। আমি আগেই বলেছি যেহেতু আমাদের জন্ম ১৯৭৫ সালের পর, সেহেতু কি ঘটেছিল সেই সময়ে, কেনই বা ঘটেছিল সে ব্যাপারে আমরা তেমন কিছু জানি না। সেই সব ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ১৫ আগস্টে ঢাকা সেনানিবাসে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত অনেক সেনা অফিসার কিছু বই লেখেন। এই বইগুলোতে ১৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। নিম্নে বর্ণিত বই গুলো পড়ার জন্য বলছি। এই বইগুলো হল----

১। এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য, স্বাধীনতার প্রথম দশক: মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী,
২। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নবেম্বর, কর্নেল শাফায়াত জামিল,
৩। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা: লে. কর্নেল এম. এ হামিদ।
৪। পঁচাত্তরের রক্তক্ষরণ- মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম; আফসার ব্রাদার্স।

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


" ১। এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য, স্বাধীনতার প্রথম দশক: মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী,
২। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নবেম্বর, কর্নেল শাফায়াত জামিল,
৩। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা: লে. কর্নেল এম. এ হামিদ।
৪। পঁচাত্তরের রক্তক্ষরণ- মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম; আফসার ব্রাদার্স। "

-উপরের লেখকেরা আমার ১৫ লাইনের পোস্ট পড়লে মহামানবে পরিণত হবেন।

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



"আমি আগেই বলেছি যেহেতু আমাদের জন্ম ১৯৭৫ সালের পর, সেহেতু কি ঘটেছিল সেই সময়ে, কেনই বা ঘটেছিল সে ব্যাপারে আমরা তেমন কিছু জানি না। "

আপনার জন্মার আগে কি কি ঘটেছে তা দেখার দরকার নেই, লজিক্যালী বুঝলেই চলবে। আপনার জন্মার পর যা ঘটছে, তার যিলিয়ন্থ অংশও আপনি দেখছেন না; লজিক্যালী দেখতে হবে

৪| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

পাহাড়ী গাংচিল বলেছেন: শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাংলাভাষী ব্লগার োঁনগাজী এইমাত্র আরেক পিস পাকনা বাল পয়দা করলেন। তালিয়া। !:#P

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার নিজস্ব ভাবনা থাকলে লেখেন, দেখেন কারা আপনার ভাবনাকে কেনেন; আমাকে গালি দিয়ে আপনি কেহতে পরিণত হবার সম্ভাবনা নেই

৫| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

পাহাড়ী গাংচিল বলেছেন: ১৯টা শব্দের বাক্যে বানান ভুল ১টা, বিরাম চিণ্হের ভুল ২টা =p~
ভুল হৈসে, আমি তো আবার ব্লগার না |-)

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার দক্ষতা আছে, প্রুফ রিডার হিসেবে আপনাকে নেয়ার কথা ভাবছি।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

পাহাড়ী গাংচিল বলেছেন: আপনার অনেক দয়া। আমার মগজ নাই, আফগানিস্তানে চইলা যাইতাম আপনে দয়া কৈরা এই বাল ছিড়তে না দিলে।

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার লেজ ধরে বসে থাকবেন না, অন্য পোস্টও পড়ুন।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

পাহাড়ী গাংচিল বলেছেন: সামুতে সবাই মগজহীন, আপনে ছাড়া কোন ব্লগার নাই। তাই বাধ্য হয়া আপনের োন ধইরা ঝুইলা থাকতে হয়।
আপনে আমার গুরু। আপনে বললে আমার হোগাতে চুমা খাইতেও রাজি আছি, হাজার হোক আপনে আমারে চাক্রি দিয়া আফগানিস্তান যাওয়া থিকা বাচাইসেন।

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামুর ব্লগারদের লেখা আমি পড়ছি, ১৬ মাসে ১৪ হাজার মন্তব্য করেছি; আপনার লেখা নেই, তাই মন্তব্য করা সম্ভব হয়নি; লিখুন।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

পাহাড়ী গাংচিল বলেছেন: আমার আপনার দুইজনের হোগাতে চুমু খাইতেই রাজি আছি আমি আফগান যাওয়ার চেয়ে।

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




অশালীনদের জন্য ব্লগে যায়গা নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.