নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের রূপান্তর: কোনটা সরকার, কোনটা পার্টি?

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৫



আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশের প্রধানমন্ত্রী, সেক্রেটারী মন্ত্রী, সেন্ট্রাল কমিটির প্রায় সবাই মন্ত্রী, একজন প্রেসিডেন্ট; ওয়ার্কিং কমিটির অনেকেই মন্ত্রী; ফলে, কোনটা সরকার, কোনটা আওয়ামী লীগ বুঝা বেশ কস্টকর; মীর্জা ফখরুল যদি আওয়ামী লীগের সেক্রেটারীর সাথে বসতে চায়, উনাকে সরকারের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের সাথে বসতে হবে; এটা বিশুদ্ধ রাজনীতি হতে পারে না।পার্টি ও সরকারের মাঝখানে একটা লাইন তো থাকাতে হবে, সরকার তো সবাইকে নাগরিক হিসেবে সমান চোখে দেখার কথা; পার্টির তো সেই দায়িত্ব নেই!

আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল বাংগালী জাতীয়তাবাদকে ধারণ করার লক্ষ্যে; বৃটিশ কলোনী থেকে মুক্ত হওয়ার সময়, বাংলাকে ভারত থেকে আলাদা করার জন্য বাংলার মানুষকে মুসলিম লীগ করতে হয়েছিল; পাকিস্তান হওয়ার পর, শুরুটা সঠিক ছিল না; মানুষর আশা ছিল বিরাট, কিন্তু মুসলিম লীগ মানুষকে কোন রোডম্যাপ দেখাতে পারেনি; এবং মুসলিম লীগ অনেকটা পশ্চিম পাকিস্তানীদের পার্টি হিসেবে নিজকে প্রতিস্ঠিত করে।

বৃটিশ থেকে মুক্ত হওয়ার সময় আরেকটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল, বৃটিশ দখল করেছিল রাজতান্ত্রিক ভারত, রেখে গেছে গণতান্ত্রিক ভারত ও পাকিস্তান; পাকিস্তানের মুসলিম লীগের নেতারা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি রপ্ত করার মতো দক্ষ ছিলেন না।

মুসলিম লীগ নতুন দেশে রাজার দলে পরিণত হয়েগিয়েছিল; মওলানা ভাসানী ও উনার সাথীরা মিলে নতুন দল গঠন করেন, প্রথম বাংগালী জাতীয়তাবাদী দল। দলটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে; আবার দলটিকে সাহায্য করছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক; আওয়ামী লীগ শেরে বাংলার দল ও আরো ২/১টি ছোট দলের সাথে কোয়ালিশন করে ১৯৫৪ সালে পুর্ব পাকিস্তান এসেম্বলীতে ও ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সেন্ট্রালে জয়ী হয়।

পাকিস্তান মিলটারী প্রধান আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে দেশের ক্ষমতা দখল করে, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভাটার সৃস্টি করে; যাক, ১৯৬৬ সালে দলের সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান পুর্ব পাকিস্তানে আরো বেশী স্বায়ত্ত-শাসনের অধিকারের জন্য ৬ দফা নামে এক এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামেন। আইয়ুব খান ৬ দফাকে দমন করতে গিয়ে শেখ মুজিবর রহমানকে রাস্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচার করেন; বিচারে ফাঁসী রায় আসছিলো; ঠিক সেই মহুর্তে মওলানা ভাসানী শেখ সাহেবকে মুক্ত করার জন্য রাস্তায় নামেন; শেখ সাহেব মুক্ত হন, এবং বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী নেতায় পরিণত হন তিনি।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

বিজন রয় বলেছেন: আওয়ামীলীগ কি আছে?

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আওয়ামী লীগ মনে হয় সরকার হয়ে গেছে!

২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

আহলান বলেছেন: পড়লাম ...

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:




পড়েছেন, ভালো করছেন, সময় নিয়ে বুঝার চেস্টা করেন; অনুধাবন করার চেস্টা করেন।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন চাঁদগাজী ভাই, আওয়ামীলীগ এখন সরকার হয়ে গেছে, দলে র চিহ্ন নেই মাঠে //

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি ঠিক জানি না, পার্টির পোস্টগুলো হয়তো খালি হয়ে গেছে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত বছর পার হওয়ার পরও আওয়ামীলীগের মত মানসম্পন্ন একটি বিকল্প দল তৈরি হলনা কেন?

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



"আওয়ামীলীগের মত মানসম্পন্ন একটি বিকল্প দল তৈরি হলনা কেন? "

-আসলে, বাক্যটা হবে, "আওয়ামীলীগের থেকে আরো ভালো মানসম্পন্ন একটি বিকল্প দল তৈরি হলনা কেন? "

-রাজনৈতিক দল তিরি হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার; আসলে মওলানা ভাসানীর দল হতে পারতো আোয়ামী লীগ থেকে ভালো দল; বা শেখ সাহেব যদি আওয়ামী লীগকে দখল না করে, ১৯৭২ সালে উনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় দলটাকে দলে আসল প্রতিস্ঠাতার হাতে দিটেন, মৌলানাকে দলের সভাপতি করতেন, শেখ দেশের প্রেসিডেন্ট হতেন, ইতিহাস অন্য রকম হতে পারতো।

১৯৬৯ সালে মৌলানা নেমেছিলেন পথে আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রাণ বাঁচাতে; ১৯৭৫ সালে মৌলানা শেখকে বলেছিলেন যে, এবার শেখের প্রাণ যাবে!

আওয়ামী লীগ কোনদিন সঠিক রাজনৈতিকদলে পরিণত হতে পারেনি; কারণ, আওয়ামী লীগের নেতা তৈরির কারখানা হলো ছাত্রলীগ।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: বৃটিশ থেকে মুক্ত হওয়ার সময় আরেকটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল, বৃটিশ দখল করেছিল রাজতান্ত্রিক ভারত, রেখে গেছে গণতান্ত্রিক ভারত ও পাকিস্তান; পাকিস্তানের মুসলিম লীগের নেতারা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি রপ্ত করার মতো দক্ষ ছিলেন না। কথাটি চমৎকার।

@হাসান কালবৈশাখী ভাই, আওয়ামীলীগ কি একটি মানসম্পন্ন দল??? বাংলাদেশে এখনো কোন মানসম্পন্ন গনতান্ত্রিক দল তৈরি হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। একটি মানসম্পন্ন দল তৈরি হলে তাদের গনতন্ত্র চর্চা করা লাগতো আর তখন ইচ্ছায় অনিচ্ছায় বিকল্প কোন দল আসলে গনতন্ত্রের গান গাইতে হত। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের সেটা হয়নি। যারা ক্ষমতায় এসেছে সবাই গনতন্ত্রের নামে ফাকা বুলি আওয়াড়ায়ে নিজেদের ফায়দা লুঠে চলেছে। গনতন্ত্র এখন শুধু রুপকথার গল্পের মত আছে.....

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বৃটিশ থেকে গণতন্ত্র পেতে হয়তো প্রাণ দিয়েছেন কয়েক'শ, বা হাজার; পাকিস্তান থেলে আলাদা হতে প্রাণ দিয়েছেন কয়েক লাখ।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

জলে জঙ্গলে বলেছেন: যেখানে দলের মধ্যই গনতন্ত চর্চা হয় না,সেখানে আবার দেশের মধ্য গনতন্ত চর্চা,এই তো অলৌকিক ব্যাপার,কারন এখানে নেতার কথায় দল চলে,দলের সংবিধান অনুযায়ী নেতা চলে না।আর একটা দল রাজনীতিতে কতটা শক্তিশালী আর সক্রিয় সেটা প্রমানিত হয় যখন তারা ক্ষমতার বাইরে থাকে,সেটা আওয়ামীলীগের ক্ষেেএ অাদৌ হবে কিনা সেটা ভেবে দেখার বিষয়।।।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগ এভাবেই থাকবে, ৬৬ বছরের মাঝে ১ জন সভাপতি আছেন ৩৫ বছর; আশাকরি আরো থাকবেন।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।পৃথিবির বিভিন্ন দেশে যেখানে দলের প্রধান রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারেন না।আমাদেরও এই বৃও থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের জীবনে আমরা শেখ হাসিনাকে ৩৫ বছর সভাপতি দেখলাম; বাকিটাও উনিই থাকুক, কমপক্ষে বিশ্বে একটা রেকর্ড থাকুক।

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের সব সমস্যার মূলে হলো এই দলটি। আবার এই দলটি সঠিক গণতন্ত্র চর্চা করলেই কিন্তু দেশে শান্তি আসবে কিংবা অন্য দলগুলো লাইনে থাকবে...

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




দলটি স্বপ্নের মাঝে ছিল ১৯৭২ সাল অবধি; উহার পায়ে মাটি লাগে ১৯৭২ সালে; উহা মানুষকে আশা দিটে পারেনি; দলটি লাইনচ্যুত হয়েছে ১৯৭৫ সালে; এরপর, তারা রাজনীতি বাদ দিয়ে ক্ষমতা ফিরে পেতে সবকিছু করেছে; এখন ক্ষমতা ফিরে পেয়েও নিজকে বিশ্বা করতে পারছে না।

দলটি এখন বিএনপি নামে মরা বাঘকে পিটায় নিজের লাঠি ভাংছে ও নিজেই হয়রাণ হয়ে যাচ্ছে।

দলটির রাজনৈতিক নেতা তৈরির কাঁচামাল খারাপ, নেতা তৈরি হচ্ছে ছাত্রলীগ থেকে, যা ছাত্রও নয়, রাজনীতিবিদও নয়।

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৩

বেরসিক কথক বলেছেন: অবৈধ আওয়ামী সরকারকে না বলুন........

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:





তা'হলে, এখন বৈধ সরকারটা কাহাদের সরকার যা দেশ চালানোর কথা?

১০| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:





হুম যতার্থই বলেছেন।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার মনে হয়, রাজনীতি হলো জাতিকে পরিচালনা করার জন্য, জাতিকে সাহায্য করার জন্য; যারা নিয়মই মানে না, তারা কিভাবে জাতিকে সাহায্য করছে? এগুলো কি রাজনীতির নিয়মের মাঝে পড়ে?

১১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৪

কালনী নদী বলেছেন: -রাজনৈতিক দল তিরি হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার; আসলে মওলানা ভাসানীর দল হতে পারতো আোয়ামী লীগ থেকে ভালো দল; বা শেখ সাহেব যদি আওয়ামী লীগকে দখল না করে, ১৯৭২ সালে উনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় দলটাকে দলে আসল প্রতিস্ঠাতার হাতে দিটেন, মৌলানাকে দলের সভাপতি করতেন, শেখ দেশের প্রেসিডেন্ট হতেন, ইতিহাস অন্য রকম হতে পারতো।

১৯৬৯ সালে মৌলানা নেমেছিলেন পথে আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রাণ বাঁচাতে; ১৯৭৫ সালে মৌলানা শেখকে বলেছিলেন যে, এবার শেখের প্রাণ যাবে!


সত্য কথা অকপটে বলেছেন,,,,,,,, ভাই।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:




এসব কথা সবাই জানে।

১২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৭

কালনী নদী বলেছেন: জ্বি ভাই।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুল লিখা ও মন্তব্য তার প্রতিউত্তর গুলো বিশ্লেশণ করেও বিষয়টির কোন সুরাহা পাচ্ছিনা । তবে একটি মন্তব্যের নীচের লিখা প্রতিউত্তরটিতে স্টিকি হয়ে গেছি । আমার মনে হয় আওয়ালীগও নীচের বিষয়টিতেই স্টিকি হয়ে আছে । মনে হয়না এ জনমে লীগ এটা কাটিয়ে উঠতে পারবে ।

"দলটির রাজনৈতিক নেতা তৈরির কাঁচামাল খারাপ, নেতা তৈরি হচ্ছে ছাত্রলীগ থেকে, যা ছাত্রও নয়, রাজনীতিবিদও নয়।"

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আওয়ামী লীগের নেতা মানে বুড়ো ছাত্রলীগ

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: প্রথমে লেখকের লেখা তারপর বিভিন্ন মন্তব্য ও লেখকের প্রতিমন্তব্যের প্রতিটাই পড়লাম। অসাধারণ! আসলে, আমরা এই গন্ডি পার হতে চাইলেও পারবোনা। কারণ, আমরা ঘুমাই। শুধুই ঘুমাই। ঘুম থেকে যখন জাগি তখন চোখ কচলে হাঁই তুলে আবার চিতপটাং!
আওয়ামীলীগ তার বর্তমান চেনাজানা গন্ডি পেরুতে পারলে দেশে উন্নতির বন্যা বয়ে যাবে। অবশ্য সেই আওয়ামীলীগে দলকানারা থাকলে হবেনা।
আপনি যথার্থই বলেছেন-"বিএনপি একটি মরা বাঘ" আর এই মরা বাঘতে মারতে মারতে নিজেরা ক্লান্ত হয়ে গেছে।
একসময় দেখবেন আওয়ামীলীগের পিছনে দাঁড়িয়ে কেউ হেঁচ্ছো দিলে হিসি করে দিবে।

*****রাজনৈতিক দল তিরি হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার; আসলে মওলানা ভাসানীর দল হতে পারতো আোয়ামী লীগ থেকে ভালো দল; বা শেখ সাহেব যদি আওয়ামী লীগকে দখল না করে, ১৯৭২ সালে উনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় দলটাকে দলে আসল প্রতিস্ঠাতার হাতে দিতেন, মৌলানাকে দলের সভাপতি করতেন, শেখ দেশের প্রেসিডেন্ট হতেন, ইতিহাস অন্য রকম হতে পারতো।

১৯৬৯ সালে মৌলানা নেমেছিলেন পথে আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রাণ বাঁচাতে; ১৯৭৫ সালে মৌলানা শেখকে বলেছিলেন যে, এবার শেখের প্রাণ যাবে!
এই কথাগুলোও আমারও।
শেষের কথাটি আমি মাওলানা ভাসানীর হস্ত লিখা পত্রে দেখেছিলাম।(একটা বইতে কোটেড)।
ধন্যবাদ লেখককে।

২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



২ কোটী মানুষ কৃষি কাজে নিয়োজিত, এঁদের ন্যুনতম শিক্ষা দেয়া হয়নি; এঁরা জানে না বিশ্ব কিভাবে চলছে, বাংগালীরা কিভাবে চলছে! এরা জানে না, ফালু কি করে বিলিওনিয়ার হয়, কর্ণেল ফারুক কি করে বিলিও নিয়ার হয়, লিয়াকত শিকদার কি করে মিলিওনিয়ার হয়, খোকা কি করে বিলিওনিয়ার হয়, আব্বাস কি করে বিলিওনিয়ার হয়; এবং উনারা জানেন না, উনাদের ছেলেরা কেন জমি বিক্রয় করে, দুবাই গিয়ে মেথর হয়, রাস্তা পরিস্কার করে।

আওয়ামী লীগ ৬ দফায় ও বাকশালে বলেছিল যে, বাংলাকে সোনার বাংলা করা হবে; আমাদের ছেলেরা আরব গেছে সোনা খুঁজতে?

১৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: -রাজনৈতিক দল তিরি হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার; আসলে মওলানা ভাসানীর দল হতে পারতো আোয়ামী লীগ থেকে ভালো দল; বা শেখ সাহেব যদি আওয়ামী লীগকে দখল না করে, ১৯৭২ সালে উনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় দলটাকে দলে আসল প্রতিস্ঠাতার হাতে দিটেন, মৌলানাকে দলের সভাপতি করতেন, শেখ দেশের প্রেসিডেন্ট হতেন, ইতিহাস অন্য রকম হতে পারতো।

১৯৬৯ সালে মৌলানা নেমেছিলেন পথে আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রাণ বাঁচাতে; ১৯৭৫ সালে মৌলানা শেখকে বলেছিলেন যে, এবার শেখের প্রাণ যাবে!






মৌলানা লীগের হাল ধরলে অনেকেই নাখোশ হতো বৈকি! বর্তমান অনেক পাড় লীগারের পেটেও লাথীটা পড়তো

২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৬৯ সালে, মওলানা পথে না নামলে শেখ সাহেবের কি হতো বলা মুশকিল! শেখ সাহেব মওলানার সেই অবদানের প্রতি সন্মান দেখায়েছেন বলে মনে হয় না।

১৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

চিরান ডেভিড বলেছেন: শুভেচ্ছা,
সংক্ষেপে অনেক সুন্দর একটা লেখা লেখনের জন্য। আর সুন্দর লেখা আহবান করি। তবে অবশই তথ্য নীরবর।

ধন্যবাদ ;-)

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার পোস্ট তথ্য-নির্ভর না হওয়ার সম্ভাবনা আছে; আমি দেখে শুনে, নিজের ভাবনা থেকে লিখি; আমি অন্যের লেখাকে তথ্য, কোট ইত্যাদি হিসেবে নিই না।

১৭| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কি বলেন ভাই। প্রজন্মলীগ, বেজন্ম লীগ, নরসুন্দর লীগ, শিশু লীগ এইযে পার্টির এত এত শাখা প্রশাখা বাইর হইতেছে এইগুলা কি দল হিসাবে আওয়ামীলীগের উন্নয়ন বোঝায়না?

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:





আওয়ামী লীগ এখন দল; রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে সাধারণ দলে পরিণত হয়েছে।

১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

কবি সুবর্ণ আদিত্য বলেছেন: আওয়ামী লীগের বিকল্প কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বি কোন দল নেই। আর মন্দের ভালোই শুধু নয়, কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা ছাড়া এ দলটি ব্যাপক সফল, কোন দ্বিধা নেই।

২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সফল; সাপোর্টার হিসেবে জনসাধারণ অসফল। আওয়ামী লীগের অসফলতার কারণে ১৯৭৫ সালের ঘটনায় মানুষ নীরব ছিলো; যদি লীগ সফল দল হতো, ১৯৭৫ সালের ঘটনার পর, বিএনপি তৈরি করাই সম্ভব হতো না।

মন্ত্রী সভার দিকে তাকালে, আপনি বুঝতে পারবেন যে, লীগ সফলভাবে দেশ চালচ্ছে না। বড় কথা হলো, "বিএনপি থেকে ভালো চালাচ্ছে"; কিন্ত ৬ দফা তো বিএনপি দেয়নি।

১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

কবি সুবর্ণ আদিত্য বলেছেন: আমি বলবো আপনি সব গুলিয়ে ফেলছেন। ৭৫ একটা পরিকল্পিত ঘটনা। ঐসময়ে হয়তো দেশবাসির কিছু করার ছিল না, এখনকার সময় আর তখন ব্যাপক ব্যবধান। ২১অগাষ্ট-এর কথাই ধরেন, নেতা-নেত্রীরাই কিন্তু শেখ হাসিনা মানববর্ম করে বাঁচাতে পেরেছে। আর বিএনপি উত্থানের কথা বলছেন! ইতিহাস ভালো করে পড়ুন। ৬ দফার নিজস্ব একটা দাবী ছিল, তৎকালীণ প্রেক্ষাপটে। একটা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে সেই দফার বাস্তবায়ন করতে বলেন? হাসালেন ভাই...

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



"ইতিহাস ভালো করে পড়ুন। ৬ দফার নিজস্ব একটা দাবী ছিল, তৎকালীণ প্রেক্ষাপটে। একটা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে সেই দফার বাস্তবায়ন করতে বলেন? হাসালেন ভাই... "

-কার লেখা ইতিহাসে ৬ দফার প্রয়োগের 'স্হান, কাল' লেখা হয়েছে?
৬ দফা শেখ সাহেবের ইলেকশান এজেন্ডায় পরিণত হয়েছিল; সেটার আলোকে উনি জয়ী হয়েছিলেন; উহাকে প্রয়োগ করার দায়িত্ব ছিল উনার, আইয়ুব খানের নয়; ৬ দফা পুর্ব পাকিস্তানের মানুষের মৌলিক অধিকার উন্নয়নের জন্য; একই মানুষ, একই এলাকা, শুধু নাম বদলে গিয়েছিল।

২০| ২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

কবি সুবর্ণ আদিত্য বলেছেন: আমি আবারো বলছি প্রেক্ষাপট বিবেচ্য। ভালো করে ভাবুন...আবারো পড়ুন, কোথাও একটু ভুল করছেন ব্যাখা বুঝতে কিংবা ৬ দফা'র আবেদন বুঝতে। তৎকালিন সময়ে অথাৎ ১৯৬৬ সালের রাজনৈতিক বিবেচনায় সেটাই প্রযোজ্য ছিল। কিন্তুু তাতে করে বারং বার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন বেগবান হয়েছে। আর স্বাধীনতা! সে তো শেরে বাংলার দ্বি-জাতি তত্ব, সোহরাওর্য়াদী এবং সয়ং শেখ মুজিব সহ সকল নেতার মজ্জাগত চেতনার ফসল। একদিনে স্বাধীনতা আসেনি...৭ই মার্চের ভাষণকে কীভাবে দেখছেন কে জানে! আবার কি নতুন ফর্মূলা দাঁড় করাবেন!

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

রমজান আলী মানিক বলেছেন: আ'লীগ চেতনা লীগ হইয়া গেছে

২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

নিভু প্রদীপ বলেছেন: চেয়ার অনেক টি রাখলে আর মা রা মা রি হয় ব না।আর ভাই কেন এত ইতিহাস এর পাতা উল্টান! ইতিহাস ধামা চাপা দিয়া রাখেন।

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

নিভু প্রদীপ বলেছেন: চেয়ার অনেক টি রাখলে আর মা রা মা রি হয় ব না।আর ভাই কেন এত ইতিহাস এর পাতা উল্টান! ইতিহাস ধামা চাপা দিয়া রাখেন।

২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

নিভু প্রদীপ বলেছেন: চেয়ার অনেক টি রাখলে আর মা রা মা রি হয় ব না।আর ভাই কেন এত ইতিহাস এর পাতা উল্টান! ইতিহাস ধামা চাপা দিয়া রাখেন।

২৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৬

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আসলে বাংলাদেশের জনগন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেনি, সক্রেতিস বলেছিলেন “যদি কোন আইন স্বয়ং অন্যায়জনক আইন হইয়া থাকে তবে তাহা অমান্য কর”...।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

আমি তনুর ভাই বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.