নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিটিশ কেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হতে ভোট দিল?

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২১



সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে, বিশ্বের অনেকের সাথে প্রতিযোগীতা করার মত অবস্হানে নেই আজকের বৃটেন ; জার্মানী, জাপান, চীন, ইসরায়েল, ফ্রান্সের কাছে বৃটিশ তার বড় বাজার আমেরিকাকে হারায়ে ফেলেছে। বৃটিশ পড়ালেখাও এখন আর আগের মত ধারালো নয়; বিশ্বের ধনীদের ছেলেমেয়েদের পরিবর্তে আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্রদেশগুলোর ছেলেমেয়েরা লন্ডনে পড়তে এসে কাজ করছে অনেকেই।

পুর্ব ইউরোপের ধনীরা নিজের দেশ ছেড়ে বৃটেনে চলে আসছে, কিন্তু ওরা বৃটিশদের মতো সৎ নয়; তাছাড়া কলোনী থেকে আসা পুরাতন নাগরিকদের আত্মীয় স্বজন এখনো আসছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের লোকেরা যখন ইচ্ছা করছে, লন্ডনে এসে চাকুরী করছে, ব্যবসা বাণিজ্য কিনে নিচ্ছে। পর্তুগাল, স্পেন, গ্রীকদের বোঝা আর টানার মতো অবস্হানে আর নেই বৃটিশরা।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টের অনেক আইন বৃটিশের সংস্কৃতি ও ট্রেডিসানের সাথে সম্পুরক নয়। আরো বড় সমস্যা আছে, সেটা হলো, ইউরো মুদ্রার ওজন কমে বাড়ে সব সদস্যদের ফাইন্যানসিয়ালের উপর নির্ভর করে; গ্রীক, স্পেন, পর্তুগালের অর্ধেক লোক বেকার; ইউরোর সাথে তাল মিলাতে গিয়ে পাউন্ডকে অকারণ চাপের মাঝে পড়তে হচ্ছে ক্রমাগতভাবে।

ব্রিটেনের মানুষ বলছে, ওরা এশিয়া ও আফ্রিকার রিফিউজীদের চাপে নিজ দেশে আর নিশ্বাস ফেলতে পারছে না; সাধারণ মানুষের ধারণা, ইউরোপ ও আফ্রিকার মানুষেরা এইদেশে বাস করতে এসে নিজেদের সংক্কৃতি ধরে রাখে, সেটা ভালো; কিন্তু তারা বৃটিশ জীবন ও সংস্কৃতিকে সমালোচনা করে, যা এখন সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছে; এদের চাপে বৃটিশ সংস্কৃতি হারিয়ে যাবার উপক্রম হচ্ছে; কিন্তু এদের ব্যাপারে বৃটিশের নিজের আইন থেকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আইন বেশী খাটানো হচ্ছে।

লন্ডনের বৃটিশ শ্রমিকেরা বলছে যে, গত ২০ বছরে ওরা মালিককে বেতন বাড়াতে বলার সাহস করেনি; কারণ, অনেক কম বেতনে চাকুরী করার লোক দরজার বাইরে অপেক্ষা করছে; তারা নিজ দেশে প্রবাসী শ্রমিক; এটা আর চলতে দেয়া যায় না।

খারাপ হয়নি, কয়েক'শ বছর পৃথিবীকে চালায়েছে, আলোক দেখায়েছে, এখন একটু ক্লান্ত, নিজের দিকে নজর দিক; নতুন সংবাদ হলো, সাময়িকভাবে ইউরোপের নেতা হবে জার্মানী।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩১

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ভোটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এবং তার ফলই বলে দিচ্ছে যে সমগ্র বৃটেন এখন প্রায় দুই ভাগে বিভক্ত। জানিনা ফল কি দাঁড়ায়। সময়ই সব প্রশ্নের উত্তর দিবে।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, ক্যামেরন ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের সাথে কয়েকটি ব্যাপারে নেগোসিয়েসন করে, ইউনিয়নের প্রভাব কমায়ে আনবে; বিশেষ করে চাকুরী, ইমিগ্রেসন, রিফিউজী ও পাউন্ডাডের মুল্যের ব্যাপারে; তারপর সে ভোটে দাঁড়াবে, ও ইউনিয়নে থাকার চেস্টা করবে।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অবস্থাটা এটু নীচে দেখুন কিছু বুঝা যাবে
Donald Trump: Republican Presidential Candidate Arrives in Scotland, Comments on EU Referendum
Trump arrived in Scotland Friday and told reporters as he landed he thinks Britain's departure from the European Union is a "great thing," adding voters "took back their country.

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:




ট্রাম্পের ভাবনার সাথে মিলছে; ট্রাম্প অনেক বাণিজ্য চুক্তি থেকে আমরিকার সরে যাওয়ার কথা বলছে।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লাভ হয়নাই। ওরা বের হয়ে গেছে।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




যেহেতু ভোটের ফলাফল খুবই কাছাকাছি, এই নিয়ে আরো অনেক রাজনীতি হবে।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একশন শুরু হয়ে গেছে

Prime Minister David Cameron has announced his resignation following Britain's vote to leave the European Union.

In a speech given outside Downing Street this morning, he explained he would step down by October to ensure the country has a "strong, determined and committed leadership".

Here is Mr Cameron's speech ...

"Good morning everyone, the country has just taken part in a giant democratic exercise, perhaps the biggest in our history.

Over 33 million people from England, Scotland, Wales, Northern Ireland and Gibraltar have all had their say.

We should be proud of the fact that in these islands we trust the people for these big decisions.

We not only have a parliamentary democracy, but on questions about the arrangements for how we've governed there are times when it is right to ask the people themselves and that is what we have done.

The British people have voted to leave the European Union and their will must be respected.
.....................
There will be no initial change in the way our people can travel, in the way our goods can move or the way our services can be sold.
....................
the British people have made a very clear decision to take a different path and as such I think the country requires fresh leadership to take it in this direction.

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামান্য ব্যবধানের ভোটে পরাজয়কে সে শেষ পরাজয় হিসেবে মেনে নিচ্ছে না; সে ইউনিয়নে ফিরে যাবার পথ বের করবে; সেজন্য পদত্যাগ করেছে, মনে হয়।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২০

কল্লোল পথিক বলেছেন:






আমার মনে হয় এতে বৃটেনেরেই বেশী ক্ষতি হবে।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




মনে হয় না; ওরা ন্যাশানেলিস্ট হয়ে উঠেছে, ওদের আয় কম, অন্যদের জন্য ওদের অনেক ব্যয় করতে হয়; ওরা নিশ্চয় অংক করে দেখেছে।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: "এই নিয়ে আরো অনেক রাজনীতি হবে" আপনার এ কথাটাই ঠিক বিশ্বরাজনীতি শুরু হয়ে গেছে :
Putin comments on Brexit...
Vladimir Putin said Britain's vote to leave the EU reflects growing concerns about immigration and security.

Speaking to reporters in Tashkent, the Russian president also said the vote is a response to unhappiness with Brussels bureaucracy.

But he condemned David Cameron for accusing him of backing Brexit, saying the British prime minister's warning that leaving the EU would please the Kremlin was "the lowest level" of politics.

"We followed this with close attention, but we did not in any way influence it and made no attempt to do so," Mr Putin said in comments carried by Russian media.

"The British prime minister's comments ahead of the vote, in which he announced the Russian position, had and has no basis." he said. "I think that was an inappropriate attempt to influence public opinion."

Mr Putin said Brexit would have both "positive and negative" consequences for Russia and the rest of the world, but that he expected markets to stabilise from the initial shock.

"Life will show us whether there are more plusses or minuses," he said.

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:





কিছু সময়ের জন্য, ইউরোপের লিডারশীপ চলে যাবে জার্মানীর হাতে; খারাপ হবে না, ওদের কাছে সম্পদ আছে।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ব্রিটিশরা ব্রিটিশই থেকে গেলো। আত্মম্ভরি আর জাত্যাভিমানি। ব্রেক্সিট তাদের আত্মকেন্দ্রীকতার পরিচয়, স্বার্থপরতার ফল। তারা হয়তো দেশ হিসেবে আরও মুক্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের একটি নীতিনির্ধারক রাষ্ট্র হিসেবে অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি এটি অত্যন্ত সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:




মনে হচ্ছে, ইুরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্টের লিবারেল ফ্রান্স, স্পেন, গ্রীকদের রচিত আইনের সাথে বৃটিশদের রক্ষণশীল আইনের সংঘর্ষ হচ্ছে; আর, গ্রীক, পর্তুগাল, স্পেন নিজ পায়ে দাঁড়ানোর চেস্টা করছে না; তাদের শিক্ষিত লোকেরা লন্ডনে চাকুরীকরতে আসছে।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হুম। এরকম বলার যথেষ্ট ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। আপনার লেখা ও মন্তব্য থেকে আরও কিছু অভ্যন্তরীন বিষয় উন্মোচিত হলো। একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পেলাম এখানে।

ব্রিটেনে বাংলাদেশী প্রবাসী ব্লগারদের নিকট থেকে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু কৌতূহল জাগছে। :)

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, লন্ডনের ব্লগারেরা ভেতরের খবর দিতে পারবে।

৯| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৪

কালনী নদী বলেছেন: ব্রিটেনের মানুষ বলছে, ওরা এশিয়া ও আফ্রিকার রিফিউজীদের চাপে নিজ দেশে আর নিশ্বাস ফেলতে পারছে না; সাধারণ মানুষের ধারণা, ইউরোপ ও আফ্রিকার মানুষেরা এইদেশে বাস করতে এসে নিজেদের সংক্কৃতি ধরে রাখে, সেটা ভালো; কিন্তু তারা বৃটিশ জীবন ও সংস্কৃতিকে সমালোচনা করে, যা এখন সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছে; এদের চাপে বৃটিশ সংস্কৃতি হারিয়ে যাবার উপক্রম হচ্ছে; কিন্তু এদের ব্যাপারে বৃটিশের নিজের আইন থেকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আইন বেশী খাটানো হচ্ছে।

- আপনি সঠিক বলেছেন!!!

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




তবে, বিশ্বে ভিক্ষা দেয়ার লোক কমে আসছে; আমাদের সরকারের লোকগুলো কি হবে ভাবছি

১০| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ৫ নং মন্তব্যের উত্তরের সাথে এটুকু যুক্ত করতে চাই
The UK contributes more overall to the EU
budget than it receives,

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




জার্মানী ও বৃটেন বেশী টাকা খরচ করে, সেটাই সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে, সন্দেহ নেই।

১১| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৪০

কালনী নদী বলেছেন: তাহলে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে সাবলম্বি হতে হবে।

ব্যাপারটা ভালোই।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ভিক্ষা করা ছাড়বে না; আফ্রিকা ভিক্ষা ছাড়া কিছু বুঝে না।

১২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৫:২৪

সম্রাট৯০ বলেছেন: আপনার বলা কারণ গুলো মুখ্য নয়, সেগুলো উপ-কারণ,আর ইউনিয়ন থেকে বের হলে ইউকেই লাভবান হবে, ইউকে আমেরিকা বলয় থেকে মুক্ত হতেই এমন সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে।ফলাফল সামনে।

২৫ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি যা বলেছেন, সেটা মুখ্য

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: ইইউ আবার নতুনভাবে পূনর্গঠিত হবে এবং বৃটেনও নতুনভাবে সেখানে যোগদান করবে। ই ইউ ব্যতিত গ্রেট বৃটেনের কোন ভবিষ্যত নেই বরং স্কটল্যান্ড, ওয়ালস, নর্দান আয়্যারল্যান্ড ও তাদের হাতছাড়া হবে অর্থাৎ গ্রেট বৃটেন আর গ্রেট থাকবে না। এককালে বৃটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য্য ডুবতো না কিন্তু সেটা এখন ইতিহাস, কাজেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক।
ওরা হলো আজীবনের নেতা; বের হওয়ার পর, ওরা কেহ নয়।

ইইউ'র সাথে নতুন নেগোসিয়েশন হবে বৃটিশদের, বৃটিশরা আবার ফিরে যেতে বাধ্য হবে; না'হয় স্কট, আইরিশদের ঠেকাতে পারবে না।

১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দেখা যাক কি হয়, তবে সার্বিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে এর ইম্প্যাক্ট খুব একটা ভাল হবে না।
ইউকে এক থাকে কিনা সেটাই দেখেন!

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




এখন জার্মানী নেতৃত্ব দেবে; তবে, ০.২% ভোটে জয় দীর্ঘদিন টিকবে না, বৃটিশরা বুঝতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.