নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো, পাকী আমলে ছিল রেসকোর্স, এখন মাদ্রাসা

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৩



আমাদের জাতীয়বাদী নেতা, শেখ সাহেব যা পড়ালেখা করেছিলেন, সেটা কলকাতায়; উনি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করেই বিপ্লবী হয়ে যান, উনি প্রেফতার হয়ে যান, জেলে যান; এরপরে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন; উহার রেশ না ফুরাতেই আইয়ুব বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন; সবই হচ্ছিল আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে।

১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল অবধি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও বুয়েট ছিলো ৬ দফা আন্দোলনের রাজধানী; মিটিং বক্তৃতা, হরতাল সব কিছু মিলিয়ে রেসকোর্স; পড়ালেখা কি হচ্ছিল কে জানে! ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রসব করলো ৪ খলীফা; এরা কি ছাত্র, না সুপার ছাত্র, নাকি জাতির সুপার রাজনীতিবিদ? এখন এসব খলীফা মলিফার ততকালীন কার্যক্রমকে বিশ্লেষণ করলে বুঝা যাবে যে, এরা ভুল যায়গায় ভুল কাজ করে বেড়ায়েছে; যা করার দরকার ছিল আওয়ামী লীগের অফিসে, রেসকোর্সে, উনারা সব করেছেন ইউনিভার্সিটিতে; উনারা পড়ালেখাকে ব্যাহত করেছেন, জাতির জন্য খারাপ করেছেন।

এখন ইউনিভার্সিটিগুলো ইসলামিক পন্ডিত প্রসব করিতেছে; সেদিন বুয়েটের এক ইন্জিনিয়ার আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন; আমেরিকায় মাস্টার্স করে, আটলান্টায় স্টেটের চাকুরী করছেন, সফটওয়ার ডেভেলোপমেন্টে ছিলেন, এখন ইন্টারনেট সিকিরিটিতে; অনেক ম্যানেজ করে, সময় করে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে এক করার চেস্টা করছেন, বললেন।

উনার ধারনা, আমাদের দেশে যা ঘটছে, বিশ্বে যা ঘটছে, এরপরও বহু মতামতের মানুষ পাশাপাশি শান্তিপুর্ণভাবে বাস করতে পারবেন, যদি মদিনা সনদ কার্যকরী করে। আমাি জানতে চাইলাম, মদিনা সনদের কথা কি ইরানের পন্ডিতেরা জানে না, সৌদী ইমামেরা কি জানে না, তারা কেন এটম বোমা বানাচ্ছে? উনার যুক্তি হলো, সব সনদের, সব চুক্তির জন্য শক্তির দরকার হয়। সেটা হয়তো ভালো যুক্তি; তবে, মদীনা সনদকে কার্যকরী করতে হলে এটম বোমা থাকতে হবে সংগ্রহে, এটা আসলেই সবচেয়ে আধুনিক ধারনা হয়তো; এগুলো আমাদের বুয়েট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে বের হচ্ছে! রাজশাহী ও চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি থেকে কি বের হচ্ছে, একমাত্র শফি হুজুর বলতে পারবেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল অবধি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও বুয়েট ছিলো ৬ দফা আন্দোলনের রাজধানী; মিটিং বক্তৃতা, হরতাল সব কিছু মিলিয়ে রেসকোর্স; পড়ালেখা কি হচ্ছিল কে জানে! ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রসব করলো ৪ খলীফা; এরা কি ছাত্র, না সুপার ছাত্র, নাকি জাতির সুপার রাজনীতিবিদ? এখন এসব খলীফা মলিফার ততকালীন কার্যক্রমকে বিশ্লেষণ করলে বুঝা যাবে যে, এরা ভুল যায়গায় ভুল কাজ করে বেড়ায়েছে; যা করার দরকার ছিল আওয়ামী লীগের অফিসে, রেসকোর্সে, উনারা সব করেছেন ইউনিভার্সিটিতে; উনারা পড়ালেখাকে ব্যাহত করেছেন, জাতির জন্য খারাপ করেছেন।" এগুলো কী বললেন?

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




পড়ালেখাকে যারা পড়ালেখার স্হানে রেখেছে, তারা মানুষ হয়েছে; যারা ইুনিভার্সিকে রেসকোর্স বা মাদ্রাসা বানয়েছে, তারা মানুষ বিক্রয় করছে আরবে।

আমি সঠিক কথা বলছি, আমার ধারণা।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছাত্র আন্দোলনের অতীত গৌরবের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে সব সরকার। শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি শুরু করেছে সরকারগুলো। সবার আগে বিচার করা উচিত উপাচার্যগুলোর। যারা কোনদিন ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা মুখে আনে না...

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেব নাকি 'একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ' পেয়েছিলেন, কিছুই ছিলো না; কিন্তু বিদ্যানিকেতনগুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করতে উনার কত খরচ হওয়ার কথা ছিল, কে জানে!

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পড়ালেখাকে যারা পড়ালেখার স্হানে রেখেছে, তারা মানুষ হয়েছে; যারা ইুনিভার্সিকে রেসকোর্স বা মাদ্রাসা বানয়েছে, তারা মানুষ বিক্রয় করছে আরবে এ বক্তব্যের সাথে সহমত ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয়, এটাও একটা ভালো স্টেইটমেন্ট

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটা ছোট্ট ঘটনার কথা এখানে প্রাসঙ্গিকক্রমে বলতে হয়, একবার ১৯৮৯ সনে ইউকেতে লৌহ মানবী খ্যাত মার্গারেট থ্যাচার কতৃক নতুন জারীকৃত POLL TAX এর বিপক্ষে সারা ইউকে ব্যাপী প্রতিবাদ চলচিল । দেশব্যপী প্রতিবাদের প্রকাশ ছিল A4 সাইজের কাগজে NO POLL TAX লিখে বাহির থেকে দেখা যায় এমনভাবে সিটিং রুমের জানালায় সাটিয়ে রাখা । কয়েক মাস চলল এমন লিখা । পার্লামেন্টে আইন পাশ হয়ে গেল, POLL TAX চালু হল । এবার লিখার ধরণ পাল্টে গেল লিখা হল OK,WE ARE NOT PAYING, তবে বাস্তবে সকলেই টেক্স পরিশোধ করতে লাগলেন । এদিকে ছাত্ররা এর প্রতিবাদে একদিনের জন্য ক্লাশ বর্জন কর্মসূচী আহবান করল । ভার্সিটির স্টুডেন্ট চত্তরে একজন ছাত্র নেতা তুখোর ভাষন দিচ্ছিলেন । দাঁড়িয়ে শুনছিলাম । একসময় দেখলাম ভাষন দানকারী নেতা হঠাৎ করে হাত ঘরির দিকে চেয়ে কি জানি দেখলেন , সংক্ষপে অর্ধপথে তার ভাষন শেষ করে কাধে ব্যাগ নিয়ে উর্ধমুখে দৌড়াচ্ছেন । কৌতুহল হল, জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাচ্ছেন । তিনি বললেন ক্লাশ এটেন্ড করতে । বললাম তোমরা তো ক্লাশ বর্জন কর্মসূচী দিয়েছ । হেসে বললেন Don’t miss Class , ক্লাশে না গেলে আমাদের লছ , থ্যাচারের কিছু হবেনা , সেতো প্রধানমন্ত্রী হয়েই আছে , ক্লাশ মিস করলে তার কি ক্ষতি হবে । ক্লাশ বর্জনের কর্মসূচী আসলে একটি প্রতিকি প্রতিবাদ, এর বেশী কিছু নয়, এখানে এর বেশী কিছু হয়না । অথচ ১৯৬৯ এ তৎকালীন ডাকসুর নেতাদের ডাকে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাশ বর্জন করে সারা দেশের স্কুল কলেজ এর ছাত্রদেরকে মিছিল নিয়ে ক্যামপাছ প্রদক্ষীন করতে হত । সন্দেহ নেই এতে আন্দোলন বেগমান হয়েছিল , কিন্তু দেশের কয়েক লক্ষ কোমল মতি ছাত্রদেরকে অান্দোলনে না জড়িয়ে উচিত ছিল দেশের কয়েক কোটি অছাত্র জনতাকে অান্দোলনে জড়িয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচী সফল করা । কিন্তু তা করা হয়নি । এই প্রেক্ষাপটেই আপনার স্টেটমেন্টের সাথে সহমত প্রকাশ করেছি।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি লিখার জন্য ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




ইংরজেরা রাজনীতিবিদ; আমাদের ৪ খলিফা (ঢাকা ইউনি'র) ছিলেন ম্যাও ম্যাও প্যাও প্যাও

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একসময় এই চার খলিফাই কিন্তু ছাত্রদের মাঝে ছিল ধর্মগুরু ।। আজকের হুজুরদের মতই।। যা সামনে দিয়েছেন তাই গোগ্রাসে সবাই গিলেছে।। আজ বিচার হচ্ছে ভুল-শুদ্ধ নিয়ে।। ইতিহাস এভাবেই প্রকাশ করে নিজেকে।।
এখন ইউনিভার্সিটিগুলো ইসলামিক পন্ডিত প্রসব করিতেছে তাহলে দিন না বন্ধ করে সব।। যারা প্রতিদিনই শত শত জঙ্ঙ্গী প্রসব করছে!!

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বন্ধ না করে, আগাছা পরিস্কার করার দরকার হয়েছে।

৪ খলীফা ছিল মোটামুটি ইডিয়ট; ওরা আমাদের ইউনিভার্সিটিকে রেসকোর্স বানায়ে জাতিকে ১০০ বছর পেছনে নিয়ে গেছে।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাহলে কি ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইনই ঠিক ছিলেন?

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমাদের সায়েন্টিস্সট, গবেষক, চিন্তাবিদ,শিক্ষাবিদ, আবিস্কারক বের হওয়ার কথা ছিল ইউনিভার্সিটি থেকে, আর আমরা পেয়েছি খলীফা, আল-বদর আর অনেক গার্বেজ, ঝাটা মারেন, ঝাটা মারেন এদের,

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: মাদ্রাসা বা ধর্মতত্ব নিয়ে পড়াশুনা কি খারাপ? দুনিয়ার পহেলা বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দায় কিন্তু এসবই পড়ানো হত।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



নলদা নিশ্চয় বলদা তৈরি করে গেছে।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

জেন রসি বলেছেন: পড়ালেখা কোন গন্ডীবদ্ধ ব্যাপার না। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হইল আপনি বলতে চাচ্ছেন ইউনিগুলোতে ছেলেমেয়েদের টেক্সট বই নিয়েই থাকা উচিৎ। আমি এই ব্যাপারে একমত না। ছাত্রদের বরং রাজনীতি নিয়ে অনেক বেশী সচেতন থাকার দরকার আছে। এই সচেতনতার অভাবেই দল কানা ক্যাডার আর জঙ্গিতে পরিনত হচ্ছে তারা।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যে টেক্সট বই পড়ে সে অন্য বই বুঝতে পারে; যেই ছাত্র সারা বছর রাজনৈতিক দলের ক্যাডারী করে, সে না পড়ে ভালো রেজাল্ট করে।

ছাত্র বলতে সারা বিশ্ব একটা শ্রেণীকে, সারা বিশ্বের সবাই যা পড়ে, যেভাবে নিজকে গড়ে দেশ ও জাতিকে সাহায্য করছে, আমাদেরগুলো ঐ রকম হওয়া দরকার; আমাদের গুলো ঐ রকম নয়।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: নলদা নয় নালন্দা , দাদা

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




বিশ্ব এখন সভ্যটার উচ্চ শিখরে; কিন্তু বাংলাদেশের শতকরা ৮৫% মানুষ কোন ইউনিভার্সিতে ক্লাশ করার সুযোগ পায়নি; এটা ভয়ানক সমস্যা; জংগী সমস্যা ভয়ানক সমস্যা নয়।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মাহিরাহি বলেছেন: বুয়েটের এক ইন্জিনিয়ার আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন; আমেরিকায় মাস্টার্স করে, আটলান্টায় স্টেটের চাকুরী করছেন, সফটওয়ার ডেভেলোপমেন্টে ছিলেন, এখন ইন্টারনেট সিকিরিটিতে

আপনার সাথে যেহেতু দেখা করতে এসেছিলেন, আপনি নিশ্চয় তার চাইতে বেশি বিদ্বান।

ভিন্ন মতালম্বী দুই ব্যক্তি পরষ্পরকে হেয় করতে চাইবেন (সবক্ষেত্রে নয় - যখন নয় সেটাই তখন সহনশীলতা), সামহোয়ার এখন অনেককে সূবর্ন সুযোগ দিয়েছে প্রতিপক্ষকে হেয় করার।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন হেয় করার চেস্টা, কোনটা সমস্যাকে বুঝানোর প্রচেস্টা, সেটা আপনি যেভাবে বুঝেছেন, সেটাই আপনার পৃথিবী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.