নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে, কাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, শেখ সাহেব অনুধাবন করতে পারেননি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩২



উত্তর ট্টগ্রামের দিন-মুজুর মনামিয়া সকালে কাজে বের হয়ে, বিকেলে ঘরে ফেরেননি; তিনি চলে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে; ৬ মাসের বাচ্ছাসহ মনামিয়ার স্ত্রীর বিকেলের জন্য চাউল ছিলো না; একই গ্রামে বাপের বাড়ী, মনামিয়ার স্ত্রী বাচ্ছাটিকে কোলে করে হত-দরিদ্র বাবার ঘরে গিয়ে উঠলো। মনামিয়া রামগড়ে যুদ্ধ করেন; পরে, 'জেড-ফোর্সের' গেরিলা হিসেবে দেশের ভেতরে যুদ্ধ করেন; তিনি পাকী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ধরা পড়ার পরদিনই, উত্তর চট্টগ্রামে পাকী বাহিনী উনাকে হত্যা করে। যুদ্ধে মনামিয়ার কমান্ডার লোকমান খানও প্রাণ দেন।

যুদ্ধ শেষ হলো; মনামিয়ার স্ত্রী বিধবা, কোলে দেড় বছরের বাচ্ছা; বিধবার পিতা হত-দরিদ্র দিন-মুজুর; এই বিধবা ও তাঁর দেড় বছরের সন্তানকে সান্তনা দেয়ার দায়িত্ব কার ছিলো? দেড় বছরের সন্তানের দায়িত্ব কার নেয়ার কথা ছিল?

আমার ধারণা ছিলো, শেখ সাহেব কিংবা তাজুদ্দিন সাহেব মনামিয়ার স্ত্রীকে সান্তনা দেবেন, মাথায় হাত বুলিয়ে দেবেন, বাচ্ছাটিকে একবার কোলে তুলে আদর করবেন, এই পরিবারটির দায়িত্ব নেবেন। মনামিয়ার স্ত্রী বা গ্রামবাসী মনামিয়াদের অবদানের বিশালত্ব বুঝার অবস্হানে ছিলো না; কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব এই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য সবকিছু করবেন, পিতৃহীন শিশুকে জাতির সন্তান হিসেবে বড় করবেন।

কোনদিন বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্পুর্ণ কোন লোক মনামিয়ার স্ত্রীর খোঁজ খবর নেয়নি; যে মহান বীর নিজের প্রাণ দিয়ে গেলেন, তাঁর স্ত্রীকে সান্তনা দিতে কেহ এলো না, তাঁর সন্তানটিকে কেহ কোলে নিয়ে আদর করলো না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই সংবাদটা কি শেখ সাহেব-তাজউদ্দীন পর্যন্ত পৌঁছেছিলো?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১১ সেক্টরের ২২০০০ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ২৫ হাজার আহত মুক্তিযোদ্ধার নাম উনাদের মুখস্হ করে নেয়ার দরকার দিল।
আপবার ভাবনাশক্তি ভয়ংকর দুর্বল; খবর পৌঁছার কথা কথা নয়, খবর নেয়ার কথা।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: মনামিয়ার মত স্ত্রী সন্তান ছিল সারা দেশের আনাচে কানাচে। কিন্তু তাদের খবর নেওয়ার কেউ কখন মনে করেনি। সবাই ছিল নিজ নিজ ধান্ধায়। মনা মিয়া, মনা মিয়ার স্ত্রী সন্তানের ইতিহাস সেখানেই মাটি চাপা পড়ে গেছিল। ক্ষমতার সমঝোতার স্বাদ পেতে চাইলে তো আর স্বাধীনতার স্বাদ কেমন সেটা উপলদ্ধি করার কথা না.....

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনারা নিজের সৈনিককে বুঝেননি, পাশে স্হান দেননি; উনাদের রক্ষা করতে পারতেন জীবিত ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধা

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

Nayan Singha বলেছেন: তখন কী শুধু উনিই গিয়েছিলেন? ৩০ লক্ষ শহীদের প্রত্যকেরই কেউ না কেউ আত্মীয় ছিল,স্ত্রী পুত্র ছিল!
এখন কী শেখ সাহেব বা তাজুদ্দীন আহমেদ সবাইকেই সান্তানা দিবে!
তাহলে তারা দেশ পরিচালনা করতো কখন?
সবাইকে সান্ত্বনা দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না!
আজাইরা পোস্ট!
যুদ্ধে সবার ত্যাগই স্মরণীয়!
শুধু একজনের টা দেখলে হবে না!
আমরা সব বাঙ্গালী প্রত্যেকটা শহীদের কাছে কৃতজ্ঞ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার ভাবনা ও ধারণা-শক্তি বানারের চেয়ে কম।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

ক্লে ডল বলেছেন: সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।

আপনার এই পোষ্টে মাইনাচ!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




ওকে

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

মেহেদী রবিন বলেছেন: সরকার কিছুই করবে না ভাই; করলে জনগনেরই করতে হবে

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখা যাক।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১০

লেখা পাগলা বলেছেন: @ক্লে ডল বলেছেন সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।

আপনার এই পোষ্টে মাইনাচ!! ;)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ সাহেব কম বুঝতেন, সেই জাতির অংশ আপনিও

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
চাঁদ গাজী'র অনেক অভিমতের সাথে আমি একমত নই।
কিন্তু
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই সংবাদটা কি শেখ সাহেব-তাজউদ্দীন পর্যন্ত পৌঁছেছিলো?
উত্তরে লেখক বলেছেন:

১১ সেক্টরের ২২০০০ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ২৫ হাজার আহত মুক্তিযোদ্ধার নাম উনাদের মুখস্হ করে নেয়ার দরকার দিল।
আপবার ভাবনাশক্তি ভয়ংকর দুর্বল; খবর পৌঁছার কথা কথা নয়, খবর নেয়ার কথা।


গাজী'র অভিমতের সাথে একমত।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব কত বড় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারেননি, তা অনেকের পক্ষে অনুমান করা অসম্ভব; মুক্তিযুদ্ধ করা জীবিত ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সাড়ে ৭ কোটী মানুষের সমান শক্তিশালী।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: Nayan Singha বলেছেন: তখন কী শুধু উনিই গিয়েছিলেন? ৩০ লক্ষ শহীদের প্রত্যকেরই কেউ না কেউ আত্মীয় ছিল,স্ত্রী পুত্র ছিল!
এখন কী শেখ সাহেব বা তাজুদ্দীন আহমেদ সবাইকেই সান্তানা দিবে!
তাহলে তারা দেশ পরিচালনা করতো কখন?
সবাইকে সান্ত্বনা দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না!
আজাইরা পোস্ট!
যুদ্ধে সবার ত্যাগই স্মরণীয়!
শুধু একজনের টা দেখলে হবে না!
আমরা সব বাঙ্গালী প্রত্যেকটা শহীদের কাছে কৃতজ্ঞ।[/sb

সবাইকে দেখতে না পারলেও একটা বিল পাশ করেও অনেক কিছুই করা যেত বইকি।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


১১ সেক্টরের শহীদদের স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবাকে ঐ এলাকার স্টেডিয়ামে এনে শেখ সাহেব উনাদের সাথে ২ ঘন্টা ব্যয় করতে পারতেন; তখন শেখ সাহেবকে হত্যা করার মতো কোন শক্তি বাংলাদেশে উদ্ভব হতো না।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনুধাবনে সমস্যা থাকাতেই তো খুব কম সময়েই অজনপ্রিয় সরকারপ্রধান হয়ে পড়েন...

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




সেটাই ঘটেছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.