![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
বর্তামান রিটায়ার্ড জেনারেল হারুণ সাহেব কথা বলার সময় একবার উল্লেখ করেছিলেন যে, ১৯৭১ সালে, ২ নং সেক্টর থেকে হয়তো ৭/৮ হাজার মানুষকে বাড়ীতে ফেরত পাঠাতে হয়েছিল, এঁরা মুক্তিযুদ্ধ করতে এসেছিলেন; ২ নং সেক্টর এঁদেরকে ট্রেনিং ও খাবার দেয়ার মতো অবস্হানে ছিলো না; ২ নং ছিলো বৃহত্তর কুমিল্লা; এঁদের সাময়িক হেড-কোয়ার্টার ছিলো ত্রিপুরায়।
পাশেই ছিলো ১ নং, ১ নং সর্বমোট ২২ হজার মানুষকে ট্রেনিং দিয়েছিল, ও যুদ্ধে পাঠায়েছিল। মোট এগারো সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা!
যুদ্ধ চলাকালীন কেহ কি এদের ডেকে নিয়ে গিয়েছিল? এঁরা কি কারো দেয়া খাবারের জন্য বসেছিল, এঁরা কি ঘুমানোর জন্য যায়গা চেয়েছিলো, এঁরা কি বেতন চেয়েছিলো? পৃথিবীতে কোন রাজার এমন সৈন্য বাহিনী ছিল, কোন সেনাপতির এ রকম বাহিনী ছিল?
যুদ্ধে প্রাণ দিলেন ২২ হাজার; ২৫ হাজারের বেশী আহত হলেন, এঁরা কি পালিয়ে গিয়েছিলেন? যুদ্ধে এঁরা ৯ মাস, কোন মতে খেয়ে, বিনা বেতনে যদি যুদ্ধ করতে পারেন, যদি বিজয় নিয়ে আসতে পারেন, ১৯৭২ সালে আরো ৯ মাস কি তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেবকে পাহারা দিতে পারতেন না, উনাদের দুই জনকে কাজে সাহায্য করতে পারতেন না?
কি ভুল করে উনারা ২ জন এই বিশাল বাহিনীকে নিরস্ত্র করে নিজেদের পোড়া-বাড়ীতে পাঠালেন? এক বিশাল শক্তিকে নিজেরদের ভুলে শুন্যে পরিণত করলেন? এঁদের মতো পরীক্ষিত আর কে ছিলেন শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের জন্য? শেখ সাহেব নিজের বুদ্ধিতে শক্তিহীন হলেন, একা হলেন!
১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এঁরাই বাংগালী জাতির শ্রেস্ঠতম বাহিনী ছিলেন, তাজুদ্দিন সাহেব বুঝলেন না, শেখ সাহেব বুঝলেন না; কয়েকজন ২ পয়সায় কেনা ক্রীতদাস উনাদের জীবনের বাতি নিবিয়ে দিলো।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫০
প্রামানিক বলেছেন: কি আর বলবো ভাই বলার কিছু নাই
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনাদের ২ জনেরই ধারণা ও সৃজন ক্ষমতা খুবই সীমিত ছিলো।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তখন অস্ত্র ফেরত নেয়া দেশ পুনর্গঠনের জন্যই দরকার ছিল। অস্ত্র ফেরত না নিলে বহির্বিশ্বে হয়তো প্রচারণা হতো দেশে গৃহযুদ্ধ চলছে...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাহিনীর কাছে অস্ত্র থাকলে কেন কেহ ভাববে দেশে যুদ্ধ চলছে; ওটা তো বাংলাদেশের প্রথম বাহিনী।
যে সৈনিককে ডেপুটেশনে অন্য কাজ দেয়া হয়, সে অস্ত্র বহন করে না। আমি বলতে চাচ্ছি যে, বাংলাদেশের ১ম বাহিনীকে শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন অকারণে 'ডিজলভ' করে দিয়েছিল; ফলাফল, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিনকে হত্যা করতে পারলো; ১ম বাহিনী থাকলে কেহ উনাদের হত্যা করতে পারতো না।
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানুষ নিঃসঙ্গ হয় নিজের ভুলেই।।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব ভুল করে উনাদের সবচেয়ে কাছের মানুষদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫১
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: এভাবে কখনও ভেবে দেখিনি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা ভেবে শত্রু হয়েছিলাম
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ভাই আমার জন্ম স্বাধীনতার অনেক পড়ে।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, "আমরা ভেবে শত্রু হয়েছিলাম", এ বলতে চেয়েছি যে, দেশের সাথে আমরা থাকতে চেয়েছিলাম, আমাদের থাকতে দেয়া হয়নি।
৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভুল করেছিলেন, তাই তো নিজেদের জীবন দিয়েই তার মাশুল দিলেন । পাকিস্তান প্রত্যাগত সৈন্যগুলোকে অবসরে পাঠানো উচিত ছিলো, উচিত ছিলো পাকিস্তান সরকারের অধীনস্থ সব কর্মচারীকে বরখাস্ত করা! কিন্তু হায়, তিনি বেঈমানদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ পুনর্গঠন করতে চেয়েছিলেন তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিকদের ছেড়ে!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনাকে পাকী আমলের বাংগালী ব্যুরোক্রেটরা মোটেই সহ্য করতেন না; উনি সেটা কখনো বুঝতে পারেননি; এসব ব্যুরোক্রেটদের মানসিকতা এত নীচু ছিল যে, ওদের দক্ষতার কোন মুল্যই ছিলো না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ১৯৭২ এর ফেব্রুয়ারি মাস। শুনলাম মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবেন। বেশ উৎসুক হয়ে বাড়ীর কাছেই সার্কিট হাউস ময়দানে গেলাম। সেক্টর কমান্ডারের বদলে একজন সেনা অফিসার আর ডেপুটি কমান্ডারের পায়ের কাছে তারা অস্ত্র মাথার ওপর উচিয়ে রেখে দিচ্ছিল। প্রথম প্রশ্ন জাগল কিশোর মনে এরা এখন কি করবে?? এদের দিয়েইত বিশাল বাহিনী গড়া যেত। এর থেকে কিশোর মনে আর বেশি কিছু আশ্রয় পায়না তবে আমি মেনে নিতে পারিনি । বাকি আপনিই বয়ান করেছেন তাতেই সহমত ।