নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনারা সবাই তো ডিবেইটের সুপার স্টার, বাংলাদেশ মানেই তর্কের দেশ

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১১



বাংলাদেশে, কোন ব্যাপারে, আপনি যে কোন ধরণের স্টেইটমেন্ট দেন না কেন, আপনার আশপাশ থেকে তার বিপক্ষে, বা কমপক্ষে সেই স্টেইটমেন্টের সম্পুরক ধরণের হলেও একটা স্টেইটমেন্ট আসবে; ২ জন বাংগালী নিউটেনের ৩য় সুত্র নিয়েও একমত হতে পারার কথা নয়, যদিও ২ জনেই অংকের মাধ্যমে প্রমাণ করবেন যে, নিউটন সঠিক ছিলেন।

বাংলাদেশের টেলিভিশনে টক-শো গুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে বেশ; সেখানে ডিবেইট হয়। বাংলাদেশের স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি অবধি ডিবেইট অনুস্ঠান ও প্রযোগিতা হয়ে থাকে, এটা ভালো; কিশোর বয়স থেকে কিছু হলেও লজিক্যালী তর্ক করা শিখে। তবে, বাংলাদেশের টক-শো গুলোতে সক্রেটিস বা বারট্রান্ড রাসেলের লজিক ব্যবহার হয় না, উনারা লোকেল লজিক ব্যবহার করেন, তালগাছের লজিক।

আপনি যদি কোনভাবেই ডিবেইট পছন্দ করেন, তাহলে, আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ইলেকশানের ডিবেইট আপনার পছন্দ হবে; কারণ, নির্বাচনের আগে ক্যান্ডিডেটেরা দেশের রাজনৈতিক এজন্ডাগুলোর উপর নিজের অবস্হান, সেগুলো কার্যকরীর রোড-ম্যাপ নিয়ে আলাপ করেন।

এবারের আমেরিকান নির্বাচনটা একটু আলাদা, ২ জন দুর্বল ক্যান্ডিডেটের প্রতিযোগীতা হচ্ছে, যেখানে ১ জন আবার প্রফেশানেল রাজনীতিবিদ নন। তবুও আমেরিকান নিয়মানুসারে সবকিছু এগুচ্ছে; সেই অনুসারে ২৬ শে সেপ্টেম্বর অনিস্ঠিত হচ্ছে ১ম ডিবেইট।

হিলারী ক্লিনটনকে অনেকেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে; উনার আগের ইতিহাস ডিবেইটার হিসেবে ভালো নয়, এবারের প্রাইমারীতে প্রায় প্রতি ডিবেইটে উনি বার্ণি সেন্ডার্সের কাছে পরাজিত হয়েছেন; কিন্তু আমেরিকা আধা সোস্যালিস্ট বার্ণিকে মেনে নেয়ার অবস্হানে নেই। এদিকে ট্রাম্প মোটামুটি প্রস্তুতি নিচ্ছে না, সে মনে করে যে, ডিবেইট হলো 'কমনসেন্সের' ব্যাপার, সাথে সাথে প্রশ্ন ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসই যথেস্ট। অবশ্য, প্রাইমারীর ডিবেইটে ট্রাম্প নাম-করা সিনেটর ও গভর্ণরদের তুলা-ধুনো করে বাতাসে উড়ায়ে দিয়েছে অরাজনৈতিক ভাষায়।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: অত্যন্ত জঠিল আলোচনা। তবে পোস্টটা শিক্ষা থেকে হঠাৎ করে ইউটার্ণ নিয়ে কিভাবে জানি রাজনীতিতে প্রবেশ করলো! ;) যাহোক, আপনার কাছে একটা প্রশ্ন- 'আমেরিকান নির্বাচনে অথবা জয়-পরাজয়ে এই ডিবেইট ঠিক কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে বলে আপনি মনে করেন?'

শুভ কামনা রইলো!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এইবার বিরাট ভুমিকা রাখবে; ট্রাম্প হিলারীর প্রায় সমানে সমান ছিল; বুড়ো বুশ হিলারীকে ভোট দেয়ার কথা ঘোষণা করায় ট্রাম্প ৪ পয়েন্ট পেছনে; ডিবেইটে সে হিলারীকে পেছনে না ফেলতে পারলে সে শেষ। আর ডিবেইটে সে যদি হিলারী থতমত খাওয়ায়, হিলারীর খবর আছে।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জাহাজী বলেছেন: নোয়াখালীর গাড়ী চট্টগ্রাম গিয়া পৌছালো :-P

শুরুর অংশটা যদি গভীরে গিয়ে পূর্নাঙ্গ আলোচনা করতে তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেত।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে আমি আমেরিকান ভোটের ১ম ডিবেইট সম্পর্কে বলতে চেয়েছিলাম

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

জাহাজী বলেছেন: *করলে তবে তা

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের আলোচকরা ৯৯.৯৯% তাঁদের মতাদর্শের চিন্তাধারা থেকেই তর্ক করে। দর্শকও সহজে বুঝতে পারে কে কোন ঘরানার বুদ্ধিজীবি। যাই হোক, কথা হচ্ছে আমেরিকান প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট নিয়ে। এটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিতর্ক। এখানে ভোটের আগেই এক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা কাকে ভোট দিবেন তা প্রকাশ্যে বলে দেন। এমন কি নিজ দলের বিপক্ষের প্রার্থী হলেও সেটা বলতে তারা দ্বিধা করেন না। এখানের ডিবেটের সঞ্চালক খুবই নিরপেক্ষ থাকেন। মুন্নী সাহা, মিথিলা ফারজানাদের মত কথা কেড়ে নেয় না। বিতর্কের পরপরই আবার জরিপ হয়। উঠানামা করতে থাকে জনপ্রিয়তা। সব দিক দিয়ে চমৎকার একটা আবহ থাকে পুরো বিশ্ব জুড়ে এই নির্বাচন নিয়ে।

হাল আমলে ঢাকার মেয়র নির্বাচনে আনিসুল হক থাকাতে কিছুটা সুন্দর বিতর্ক দেখতে পেয়েছিলাম। আশা করি বাংলাদেশেও সুন্দর একটা চর্চা গড়ে উঠবে...

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আনিসুর রহমানেরা নিজেরা নিজেরা সুন্দর সুন্দর তর্ক করবেন, বিতর্ক করবেন, অন্যদের রাজনীতিও করতে দিবেন না; যা করতে হয়, উনারা নিজেরাই করবেন।

যদি এবারের নির্বাচনটা ভালো কোন ফল বহন করবে না, নীতিগতভাবে ওরা ঠিক আছে।

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ট্রাম্প প্রচন্ড আত্ম বিশ্বাসী, তিনি ডিবেইটের জন্য কোন পুর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছেন না । তিনি সত্য মিথ্যা যাই বলবেন না কেন, তা স্পস্ট করেই বলে দিবেন । তার উক্তিগুলো যতক্ষন ভোটারদের মনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে ততক্ষণ বাস্তবতার সঙ্গে তার বক্তব্যের কোন সম্পৃক্ততা আছে কি-না তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামান না তিনি । এভাবে তিনি বাস্তবতা বিবর্জিত যে কোন কথা দিব্যি বলে বসতে পারেন । বাস্তব তথ্য-পরিসংখ্যানের তোয়াক্কা না করেই তিনি অবলীলায় বলতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শহর-নগরে অপরাধ রেকর্ডমাত্রায় পৌঁছেছে। বাস্তবে যার ভিত্তি নেই তেমন কিছুকে সত্য বলে ধরে জোরালো উক্তি করার ওপর নির্ভরশীলতাই হলো তার নব্য রাজনীতি। ট্রাম্প হলেন এ নতুন রাজনীতির প্রবক্তা। অথচ তার উল্টা পাল্টা কথার জন্য তার কোন মাথা ব্যথা নেই বরং এলিট শক্তির মোকাবেলায় এটাকে তার শক্তির পরিচয় বলে ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প একা নন তার পিছনে অবশ্য বেশ কিছু বুজর্গ আছেন । দেখা যাক ২৬ তারিখে কার জয় হয় ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ পার্টির এলিট(?) রাজনীতিবিদরা ট্রাম=পকে পরাজিত করার জন্য সব চেস্টা করছে; মনে হয়, বেশীর ভাগ মানুষ ট্রাম্পের মনগড়া বক্তব্যকে বুঝে; তারপরও তারা ট্রাম্পকে সাপোর্ট দিচ্ছে রাজনীতিবিদদের প্রতি ঘৃণা পরকাশ করতে।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যতার্থ বলেছেন ।

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

আকবর হাসান বলেছেন: ভালোই বলেছেন। এদেশ সত্যিই তর্কের দেশ।

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।

পোস্টে +++ ।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১

গিলগামেশের দরবার বলেছেন: ট্রাম্পের ভাষা গুলা মনে হয় গায়ের জোরে বলছে। আপনার কমন সেন্স থাকতেই পারে তাই বলে দেশ চালানোর জন্য আইন আছে, নির্বাচনে জেতার জন্য ম্যানিফেস্টো দরকার। লজিকালি কথা বলতে হবে। ট্রাম্পের কোন কথায় আজ পর্যন্ত লজিক দেখাতে দেখলাম না।

এবারের রিপাবলিকানদের ক্যান্ড্রিডেট মারাত্বক ফাউল মার্কা। ওরে দেখলেই চামড়া ঝুলে পড়া বুল ডগের মত লাগে।

লুল লুল! হিলারি জিতুক সেটাও এখন বলব না। তবে মনে মনে একটা পক্ষকে সমর্থন করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.