নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিবেইটে হিলারী জয়ী, ট্রাম্প অপরাজিত!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০২



গত রাতের ডিবেইটে হিলারী জয়ী হয়েছে জরীপে; আবার ট্রাম্পও জয়ী হয়েছে; কারণ, ট্রাম্পের এই ডিবেইট ছিল হিলারীর সাথে, কিন্তু নিজের পার্টি ও আমেরিকান মিডিয়ার বিপক্ষে; সে নিজের পার্টিকে পরাজিত করেছে; তার পার্টির সিনেটর, কংগ্রেসম্যান মিলে ৫০ জনেরও বেশী নেতা পার্টির অফিসের কাছে ট্রাম্পের বহিস্কার দাবী করেছিল; তাদের মুখে ছাই, সেটা ঘটছে না আর, এটাই তার জয়; হয়তো, ট্রাম্প যদি কোন কারণে পরে নিজে সরে যেতে চায়, সে সরতে পারবে; কিন্ত পার্টিকে সে গলা টিপে ঠান্ডা করেছে।

সে মিডিয়াকে একটা বড় লাথি দিয়েছে, সে তার বিরু্দ্ধে আনীত অপবাদকে খুব হালকাভাবে নিয়ে, মিডিয়াকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে; যদিও মিডিয়া আজকে সকাল থেকে আরও জোর গলায় বলছে যে, নতুন নারী-ঘটিত কেলেংকারী আসছে! আসলে, গত ৪৮ ঘন্টার চেঁচামেছিকে সে হতাশ করে দিয়েছে। সে হালকাভাবে মাফ চেয়েছে, সে আরেকটু বিনয়ী হয়ে মাফ চাইতে পারতো, সেটা তার পক্ষে যেতো। সে মিডিয়াকে বলেছে, আমেরিকানরা লকার রুমে এ ধরণের কথা হরদম বলে থাকে।

আমেরিকানরা সধারণত ১২/১৩ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না; কিন্তু এবার ট্রাম্পকে সবাই ভয় পেয়ে, হাতের কাছে যা পাচ্ছে, সেটা ছুঁড়ে মারার চেস্টা করছে।

ট্রাম্প ভালো কি খারাপ করবে, বুঝা মুশকিল; কিন্তু হিলারী যে খারাপ করবে, সেটা সবাই জানে; যারা ট্রাম্পকে ভয় পায়, তারা ক্ষমতার সাথে দীর্ঘদিন, এবং মিডিয়াও ভাবছে যে, ট্রাম্প ক্ষমতা পেলে, তাদেরকে মোটেই গুনবে না।

ট্রাম্প ডিবেইটে ৩টা বড় ভুল করেছে: ১) প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের বিপক্ষে যেসব নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল, তাদেরকে ডিবেইট হলে আনা ২) মাফ চাওয়ার সময় কম বিনয়ী হওয়া ও ডিবেইট হলে প্রবেশ করে, হ্যান্ড শেক করার জন্য নিজের থেকে হাত বাড়িয়ে না দেয়া ৩) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, হিলারীকে জেলে পাঠানোর ভয় দেখানো; এগুলো তার বিপক্ষে যাচ্ছে!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৮

শিপন মোল্লা বলেছেন: আমি অ্যামেরিকার ভোটার হলে হিলারিকে নয় ট্রাম্পকেই ভোট করতাম । আমার কাছে মনে হয় হিলারির চেয়ে ট্রাম্পের হাতেই বিশ্ব বেশি নিরাপত থাকবে। অতান্ত উনার ভীতরে গোপনীয়তার ভণ্ডামি নেই যা ভীতরে আছে প্রকাশও তাই করছেন উনি অকপটে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:




ট্রাম্প দুষিত, মিথ্যুক রাজনীতিবিদ নয়; আমেরিকায় ভালো রাজনীতিবিদ আছে, তারা এবার প্রার্থী হয়নি, হিলারীকে ছেড়ে দিয়েছে, যা আসলে বড় ধরণের ভুল।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
হিলারী, কিন্তু ক্লিনটন নন তবে ট্রাম্প বিলক্ষণ সিরিয়াস।তবে সে বেশ সোজাসাপ্টা কথা বলে। কাজের সময় হিলারী অভিবাসীদের প্রতি আরো কঠোর হতেও পারেন যদিওবা ট্রাম্প মুখে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




হিলারীর কোন উদ্দেশ্য আদর্শ নেই; সুযোগ এসেছে, ধরে নেয়ার চেস্টা করছে; বিশ্ব পরিস্হির কিছুই সে জানে না, বুঝে না।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যকার দ্বিতীয় বিতর্ককে ‘নোংরা যুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছে মার্কিন সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন।বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে এমন বিদ্বেষপূর্ণ ও কটু মুখোমুখি বিতর্ক সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেখা যায়নি।

কিস্তু আসলে দেখা গেছে টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন এবং বিতর্কের সঞ্চালকেরাই বেশী নোংরামো করেছে । সঞ্চালকেরা বার বার অনাবশ্যকভাবে ট্রাম্পের বক্তব্যের মাঝখানে ইন্টার ফেয়ার করেছে । টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বিতর্কের আগে ও পড়ে বেশ কিছু পক্ষপাতমুলক কার্যক্রমও করেছে ।

বিষয়গুলি অনেকটকই পরিস্ফুট, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে ট্রাম্প মনে করেন, নির্বাচনে হিলারি জয়ী হলে ওবামাকেয়ারে সমর্থন দেবেন। ট্রাম্প বলেন, ওবামাকেয়ারে ভয়ংকর সব বিষয় রয়েছে। ট্রাম্প বিভিন্ন পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, ওবামার স্বাস্থ্যবিমা, স্বাস্থ্যসেবা খাত থেকে কোনো সুফল আসেনি। ওবামাকেয়ারের স্বাস্থ্যবিমা সম্পর্কে হিলারি বলেছেন, এতে দুই কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পেয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যবিমা হার ৯০ শতাংশ। আগে এমনটা কখনই ছিল না। সিএ এনের সত্যতা যাচাইকারী দল বলছে হিলারীর কথার সত্যতা আছে ।

ই-মেইল নিয়ে ট্রাম্প বলেন, বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯-২০১৩ পর্যন্ত সময়ে হিলারি ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল লেনদেন করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করেছেন। ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে ট্রাম্প বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। সিএনএনের সত্যতা যাচাই দল মনে করে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এফবিআইয়ের হিসেবের সঙ্গে ট্রাম্পের দেওয়া এসব পরিসংখ্যানের বেশির ভাগটাই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই সত্যতা যাচাইকারী দলের মতে, হিলারির কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করতে ট্রাম্প বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগ দিতে পারেন বলে তারা অভিহিত করেছে ।

ইরাক প্রসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন সেনা অভিযান সমর্থন করতেন না। এমনকি মার্কিন সেনাদের ইরাকে মোতায়েনের পক্ষেও ছিলেন না। তাহলে ক্যাপ্টেন হুোমায়ুন খান এখনো বেঁচে থাকতেন। হিলারি বলেন, ইরাক যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান ভণিতামূলক। তাই ইরাক যুদ্ধ ট্রাম্পের বিষয়েও সিএনএনের সত্যতা যাচাই দল অবস্থান নেয় ।

ট্যাক্স এর বিষয়ে ট্রাম্প তার কথা স্পস্টভাবে বলেছে । সে বলেছে করপোরেট টেক্স রেট সকলের জন্য কমাবে , হিলারী এ ক্ষেত্রে স্পস্ট করে তেমন কিছু বলেনি ।

শরনার্থী বিষয়ে ট্রাম্প তার অবস্থান স্পস্ট করেছে । এটাতে মনে হয় সে মেজরিটি আমিরিকানের সমর্থন পাবে । আমিরিকান জনগন সকলেই ডিবেটের জনমত জরীপে অনলইনে অংশ নিবেনা , সি এন এন ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম এর সাথে সংস্লিস্ট তরিকার সংখ্যা গরিস্ট মানুষ টেক্সট মেসেজ ও অন্যান্য অনলাইনে হিলারীর পক্ষে বেশী মতামত দিলেও তা মেজরিটি আমিরিকানের মতামত বলে ধরে নিলে ভুল হবে বলে মনে হয় ।

ডিবেইটটা পুরাটাই অনলাইনে দেখেছি ও শুনেছি । এটা খুবই একটি কঠীন কাজ হবে কাওকে বিতর্কে জয়ী ঘোষনা করা । অনেক ক্ষেত্রই ট্রাম্পকে মনে হয়েছে সে হিলারীকে পর্যুদস্ত করেছে । হিলারী তার রাজনৈতিক কেরিয়ারের ফিরিস্তি দিয়ে প্রমান করতে চেয়েছেন যে তিনি যোগ্যতর প্রার্থী । কিন্তু তাঁর এসব কথা সকলেই জানে বিষয়টা একঘেয়েমী মনে হয়েছে । তিনি বিতর্কের মুল কথা হতে দুরে সরে গিয়েছেন । পক্ষান্তরে ট্রাম্পের যুক্তিপুর্ণ কথা বলার সময় কথার মাঝখানে সঞ্চালকেরা কথা বলে তাঁর কথা বলায় বিঘ্নতা সৃস্টি করেছে । বিষয়টি বেশ দৃস্টি কটু মনে হয়েছে । মোদ্দা কথায়, একটি বিষয় পরিস্কার অনুভুত হচ্ছে আর তা হল আমিরিকান রাজনীতি যেন পেশাদার রাজনৈতিক ও প্রোপাগান্ডিস্ট সংবাদ মাধ্যমের হাতছাড়া হতে না পারে সে জন্য পক্ষ বিপক্ষ সকলেই ট্রাম্পের বিপক্ষে উঠে পরে লেগেছে । দেখা যাক নভেম্বরে কোথাকার পানি কোন দিকে গড়ায় ট্রাম্প যদি তার দলের কোন পক্ষের চাপে পরে সরে না দাঁড়ায় । ট্রাম্প নীজের ভুল বুঝতে পারে ও ন্বীকার ও করে । হিলারীর মত কুটনৈতিক চাল চালেনা , বিশ্ববাসী এটমের থেকে কুটনৈতিক চালকে বেশী ভয় পায় ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ডিবেইট অনুসরণ করেছেন বেশ ভালোভাবে।

এটা টাউন হল ফরমেটে ডিবেইট ছিলো, কিন্তু ২ সন্চালক ট্রাম্প বিরোধী প্রশ্ন গুলোকে নিজেরাই 'হাই লাইট' করেছে।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমি একটা বলতে পারি, ট্রাম্প যদি নির্বাচন থেকে না সরে তাহলে হিলারী জিতবে। সেটা হবে খারাপ। হিলারী দুর্বল রাজনীতিবীদ।
ট্রাম্প সরবে কিনা জানিনা।

আর ট্রাম্প জিতবেও না। যদি জিতে তাহলে অনেক খারাপি আছে সমগ্র বিশ্বের কপালে। ট্রাম্প রাজনীতিবীদ না। রাজনীতির সুক্ষ্ণ চালটা সে ধরতে জানেনা। সে ব্যবসায়ী। কিন্তু ক্ষেপাটে স্বভাবের। সে নির্বাচিত হলে খামখেয়ালি প্রাচীন রাজাদের মত শাসন শুরু করবে। যেটা হবে সবচেয়ে বেশি খারাপ।

এইবারের আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধারায় ডেমোক্রেট-রিপাবলিক ক্রমের ব্যতিক্রম হবে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার কথায় লজিক আছে; ট্রাম্পের সরার পথ নেই

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সবটাই ভালোলেগেছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির বন্চিত অংশের অধিকার নিয়ে লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.