নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজুদ্দিন সাহেবকে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হলো কেন?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫



শেখ সাহেবকে হত্যা করার জন্য অনেকেই চেস্টা করে যাচ্ছিল ১৯৭২ সালের শুরু থেকেই; অবশেষে, শেখ সাহেব ও আওয়ামী লীগের দক্ষতা ও দুরদর্শীতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে সিআইএর নেতৃত্বে শেখ সাহেবকে হত্যা করা হলো! শেখ সাহেবের পর, সেই তালিকায় কে ছিল ১ম স্হানে? আমার মনে হয়, তাজুদ্দিন সাহেব। উনিও যদি আমার মতো ভাবতেন, উনার দরকার ছিলো ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শেখ সাহেবের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর, প্রথমে একটি নিরাপদ যায়গায় আত্মগোপন করা, তারপর প্রথম সুযোগেই ভারতে চলে যাওয়া। তিনি পালিয়ে যাননি, এটা ছিল ভুল; উনি ভুলের মাশুল দিয়েছেন।

উনাকে ধরে জেলে নেয়ার পর, জেল কেন আক্রান্ত হলো না উনার ১৯৭১ সালের বাহিনীর দ্বারা? দেশে তখন, উনার ১৯৭১ সালের সেনা বাহিনীর ১ লাখ সৈনিক ছিল, যাঁদের ২০/২৫ হাজার তখন ক্যান্টনমেন্টগুলোতে!

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ সকাল থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা যোগদান করেছেন, অংশ নিয়েছিলেন, বিজয় অবধি যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা কোন বাহিনীর সদস্য হয়েছিলেন, তাঁরা কোন সরকারের বাহিনী? তাঁরা বাংলাদেশ বাহিনীর সদস্য ছিলেন, তাঁরা তাজুদ্দিনের সাহেবের সরকারের অংশ, বাংলাদেশ বাহিনী।

যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সদস্য মোটামুটি ১ লাখ ২০ হাজারের মতো ছিলেন; ১৬ই ডিসেম্বর অবধি ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন; বাকীরা বিজয় অবধি যুদ্ধ করেছেন।

যুদ্ধ জয়ের পর, বাহিনীর কে কোথায় গেলো? কমান্ডারেরা কোথায়, সরকার কোথায়, সৈনিকেরা কোথায়?

১৮ই ডিসেম্বর, ১ নং সেক্টরের সৈনিকদের বলা হয় যে, যাঁদের বাড়ী নিকটে, তাঁরা বাড়ী যেতে পারবেন, অস্ত্র জমা দিয়ে যেতে হবে; বেংগল রেজিমেন্ট, ইপিআর, আনসারদের বলা হলো ১ সপ্তাহ পরেই চিটাগং ক্যান্টনমেন্টে ফেরত আসতে; পুলিশদের বলা হলো, চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে ফিরে আসতে। ছাত্র, কৃষক ও শ্রমিকদের ফেরত আসতে বলা হয়নি, এবং ফিরে আসার ঠিকানা দেয়া হয়নি।

১ নং সেক্টরে ২২ হাজার মানুষ ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন; এঁদের থেকে আড়াই হাজার প্রাণ দিয়েছেন। যুদ্ধকালীন, এঁরা কোনদিন তাজুদ্দিন সাহেবকে দেখেননি; বাড়ী যাবার পর, এঁদেরকে আর কোথায়ও ডাকা হয়নি, অফিসিয়েলী ডিসসার্জ করা হয়নি; যুদ্ধে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়নি তাজুদ্দিন সাহেবের পক্ষ থেকে, অস্ত্র জমা দিয়ে বাড়ী যাবার পর, এই সৈনিকেরা সাধারণ জনতার মাঝে
হারিয়ে গেছেন।

এই হারিয়ে যাওয়া সৈনিকদের সরকার প্রধান ছিলেন তাজুদ্দিন সাহেব; উনি নিজের বাহিনীকে ছেড়ে দিয়েছেন জনতার মাঝে; উনাকে ধরে নেয়ার পর, এই সৈনিকেরা ভাবার সুযোগ পায়নি যে, তাঁদের সরকার প্রধানকে কালো শক্তি ধরে নিয়ে গেছে, উনাকে উদ্ধার করার দরকার আছে; সেই ভাবনার সেতু তাজুদ্দিন সাহেব ভেংগে দিয়েছিলেন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
এই সৈনিকেরা ভাবার সুযোগ পায়নি যে,
তাঁদের সরকার প্রধানকে কালো শক্তি ধরে নিয়ে গেছে,
উনাকে উদ্ধার করার দরকার আছে;
সেই ভাবনার সেতু তাজুদ্দিন সাহেব ভেংগে দিয়েছিলেন।


এত সত্য কথা ও অবস্থা একমাত্র চাঁদগাজী ছাড়া আর কেঊ বলে না ব্লগে।
এ জন্যই চাঁদগাজীকে কুর্ণিস করতে হয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন একদিন সবকিছুকেই সঠিকভাবে বুঝতে হবে; অথবা বুঝার সাধ্যের বাহিরে থেকে যাবে।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: জনতার মাঝে হারিয়ে যাওয়া একজন নেতা তিনি ৷

:)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



হ্যাঁ, হারিয়ে কিংবা হেরে যাওয়া নেতা।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার এক শিক্ষক বলতেন, আস্তিক, সুশীল, সেক্যুলার, এবং বামপন্থীদের কাজই হলো মিথ্যা ছড়ানো, বিভাজন সৃষ্টি করা, একজনকে কৌশলে আরেকজনের পিছনে লাগিয়ে দিয়ে দূরে বসে মজা দেখা।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি কি পড়াতেন? শিক্ষকেরা সন্মানী মানুষ; কিন্তু বাংলাদেশের সব শিক্ষক শিক্ষক হওয়ার মতো যোগ্য নন।

আমি আমার শিক্ষকদের সন্মান করি, আমি শেখ সাহেবকে সন্মান করি, কিন্তু কারো কোটেশন আমি ব্যবহার করি না, কে কি বলেছেন, সেটাকে আমি এনালাইসিস করি, কিন্তু আমার বক্তব্য আমারই।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যুদ্ধকালীন, এঁরা কোনদিন তাজুদ্দিন সাহেবকে দেখেননি; বাড়ী যাবার পর, এঁদেরকে আর কোথায়ও ডাকা হয়নি, অফিসিয়েলী ডিসসার্জ করা হয়নি; যুদ্ধে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়নি তাজুদ্দিন সাহেবের পক্ষ থেকে, অস্ত্র জমা দিয়ে বাড়ী যাবার পর, এই সৈনিকেরা সাধারণ জনতার মাঝে হারিয়ে গেছেন । এর পরের কাহিনী আরো করুন।নীজের চোখে দেখা । লিখছি একদিন প্রকাশ করা হবে অনেক অজানা অধ্যায়, মনের মধ্যে জমানো ব্যথাগুলো করে যাব প্রকাশ । ইতিহাস বিষয়টি এমনই যে কালের অমোঘ টানে সঠিক মুল্যায়নটা বেরিয়ে আসেই । ধন্যবাদ অপনার অনুভব টুকু প্রকাশের জন্য ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, ঘরবাড়ী হারায়েন, স্ত্রী পরিবার রেখে মানুষ যুদ্ধ গেছেন; শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব মানুষের এই বিশাল অবদানকে অনুধাবন করতে পারেননি; ১৯৭১ সালের মানুষ সব দিয়েও কিছুই পায়নি; পেয়েছেন পাকিস্তানী-হীন পুর্ব পাকিস্তান, শুধু নতুন নামে।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনার অবকাশ আছে । পথের পাচালীর মত মুক্তযুদ্ধ ও এর অব্যবহিত পরের কথাগুলি বলে করা যাবেনা করা শেষ । এ বিষয়ে যত বেশী আলোচনা হবে জানবে তা সকলেই ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়নি, হবেও না; কারণ, যারা আলোচনা করার লোক, তারা কেহ মুক্তিযুদ্ধে যায়নি; যাণনরা গিয়েছেন, তাদের সামাজিক অবস্হান "আলোচনা" চালিয়ে যাওয়ার মত ছিলো না, ছিল যুদ্ধ করে জাতিকে মুক্ত করার মতো; যারা স্বাধীনতার বেনেফিসিয়ারী হয়েছে, তারা যু্দ্ধ ও যোদ্ধাদের পেছনের কাতারে ঠেল দিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবার ভাসা ভাসা ধারণা আছে; শেখ সাহেবও সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেননি।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি যতার্থ বলেছেন যারা সমাজের মাথা হয়ে বসে আছেন তাদের কাছে মুক্তি যুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলা হলে তা শুনে তারা টিপ্পনী কাটেন । ভাবখানা এমন যে তারা মুক্তিযুদ্ধকে বেশী দেখেছেন ও জানেন । আর যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তারা বরন করেন করুন পরিনতি । ১৮ ই ডিসেম্বর অস্র জমা দেয়ার ঘোষনা দেয়ার আগে মনে করা হয়েছিল ঘোষনা বোধ হয় আসবে যার যার অস্র নিয়ে যাদের ইচ্ছা তারা যেন বাংলাদেশের জন্য গঠিতব্য নিয়মিত সেনাবাহনীতে যোগদান করেন । কিন্তু তা কেন করা হলোনা তা বোধগম্য নয় । বিনা বেতনে না খেয়ে জীবন বাজী রেখে যে সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নয় মাস থাকতে পেরেছিলেন বনে বাদারে , তারা নি্শ্চিত আশ্বাস পেলে খুশী মনে আরো কয়েকমাস বেতন ছাড়াই বাংলাদেশ নিয়মিত সেনাবাহিনীতে থাকতে পারতেন । এটা ঠিক যে সে সময় রাজকোষ ছিল শুন্য । কিন্তু শুন্য রাজকোষ দিয়েইতো লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে করা হয়েছিল মরনপন যুদ্ধে লিপ্ত, মুক্তি যোদ্ধরা নীজ থেকেও দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য ছিলেন উদ্দিপ্ত । কোন রকম দিক নির্দেশনা না পেয়ে অস্র জমাদানকারী মুক্তি যোদ্ধারা হন অাশাহত ও দিকভ্রান্ত । অস্র জমা দেয়া হলেও ট্রেনিং জমা দেয়া হয় নাই , পরিনামে দু চারটি অপ্রিয় ঘটনাও ঘটেছিল । সুযোগ সন্ধানিরা বিষয়টাকে কাজে লাগায় সুচতুরভাবে । এর মাঝে করা হলো আরেক মহাভুল , মুক্তিযোদ্ধা থানা/ইইনিট কমান্ডাডের হাতে তুলে দেয়া হলো অস্র জমাদানকারী মুক্তিয়োদ্ধাদের কাছে মুক্তি যুদ্ধের সনদ বিতরণ কার্যক্রম । অনেক জায়গায় এর হলো যথেচ্ছাচার । এটা দেখে অনেক প্রকৃত মুক্তিয়োদ্ধা অপমানিত বোধ করে তার নীজের সনদটি রাগে দু:খে ছিড়ে করেছেন টুকরো টুকরো, এর রয়েছে অনেক প্রমান । মুক্তি যোদ্ধা আজহারুল ইসলাম , ইউনিট কমান্ডার বীর সেনানী নুরুল আমীন , মিজানুর রহমানদের মত অনেকই পাগলের মত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে করেছেন দিবাবসান । পরে অনেক বিলম্বে করা হলো রক্ষীবাহনী , যোগ দিলেন অনেক সুযোগ সন্ধানী , ফলটা কি হলো সুনামের থেকে দুর্নাম বেশী কুড়াল , অাস্থা হারাল জনতার , ১৫ আগস্টের পরে কি করুন পরিনতি ভোগ করতে হল তাদের, তা বলতে গেলে এ মহুর্তে কলম যায় থেমে ।

মুক্তি যুদ্ধ ও তার পরের সময়টুকু নিয়ে মাঠনির্ভর তথ্য সমৃদ্ধ গবেষণামুলক পুস্তকাদির যথেস্ট অভাব রয়েছে । আশা করি এখনো যাদের স্মৃতিতে মুক্তি যুদ্ধের কথা জেগে আছে তারা কলম ধরবেন । এখন কলম ধরায় যারা সরব আছেন, তারা খুব কায়দা করে শুধু টিপ্পনিই কাটেন আর তাতে মহুর্তেই শত শত লাইক পরে । অনেকেই লিখার কোন এক অংশে বা শেষে এসে একটি প্রশ্ন রেখে যান, মুক্তি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে কি পেলাম । এতে যে প্রকারান্তরে মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধিনতাকেই ছোট করা হয় তা বুঝতে হয়না তেমন কস্ট । তাই এটাই ভাল এর জন্য দায়ী যারা তাদের ভুলটুকু আপনার মত করে তুলে ধরে তাদের সেই আকাশচুম্বী মহানগুনের সাথে মুল্যায়ন করে তুলে ধরা, যাতে করে কেও খোদ মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধিনতাটাকেই প্রশ্ন না করে বসে মুক্তি যুদ্ধ ও দেশটাকে স্বাধিন করে কি পেলাম । ভুল ভ্রান্তি মানুষের থাকতেই পারে , ভুলের খেসারতও তাদের দিতে হয় জীবন দিয়ে , তাজউদ্দীন পালিয়ে গেলে হয়ত বাচতেন আরো কয়েকটা বছর বেশী , তাতে তার জন্য হয়তবা লিখা হতো ভিতু পলায়নপরতার ইতিহাস , সেসময়কার ভিতর বাহিরদের যড়যন্ত্র ও মিথ্যা প্রপাগান্ডার তোরে হয়তবা ভেসে পেতে পারতেন ইতিহাসের আস্তাকুরে । ৭৫ পরবর্তীতে তার আত্নগোপনের সুবিধামত জায়গা ছিল ভারত , কিন্ত সেসময়ে ভারতের বিষয়ে জনতার মনে কৌশলে রব আর জলীলকে দিয়ে কি করা হয়েছিল তা কেবল বুঝে সচেতন ইতিহাস বিদে । তাছাড়া ৭৫ উত্তরে ভারতের ভুমিকাটাও ছিল কিছুটা ধুয়াটে । মনে হয় বঙ্গবন্ধুর বিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বটা সম্পর্কে তাদের মনে একটু একটু করে ভয় ধরে বিভিন্ন কারণে । যাহোক, এখন ভুল করে হলেও জীবন দিয়ে তাজউদ্দীন রয়ে গেলেন মহা বীরের বেশে লক্ষ কোটি বাংগালী হৃদয়ে গৌরবের ইতিহাস হয়ে । ইতিমধ্যে পদ্মা মেঘনা যমুনা দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে গেলেও সেখান দিয়ে এখন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিনতার চেতনার বারি বয়ে যাচ্ছে অবিরত , এর গতি কোনভাবেই করা যাবেনা রুদ্ধ ।

অনেক ধন্যবাদ ভাল একটি বিষয়ে লিখে মুক্ত আলোচনার দ্বার উম্মোক্ত করে দেয়ার জন্য ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, ত্যাগ বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ।

শিক্ষিতরা মুক্তিযুদ্ধ না যাওয়াতে উনার কলমে মুক্তিযুদ্ধ "থিওরিটিক্যাল" হয়ে গেছে; এরপর, মুক্তিযোদ্ধাদের না জানিয়ে ডিসচার্জ করায়, অশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের অবদানকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করতে পারেনি, উনারা নিজেরাই নিজের কাছে হেরে গেছেন।

শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব যেভাবে প্রাণ হারায়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদে কাছে রাখলে এসব ঘটনা ঘটতো না; কারণ, এরাই ছিল ত্যাগী মানুষ।

৯ মাস বিনা বেতনে, বিনা খাবারে, বিনা বিছানায় থাকার লোকেরা আরও ৯ বছর জাতিকে বিনা পয়সায়, বিনা সাপোর্টে সাহায্য করতে পারতেন; এটি আপনি অনুধাবন করতে পেরেছেন; অনেকে এতটুকু বুঝতে পারেননি সেদিন।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ লাখ সৎ ও শক্তিশালী সেনাদের রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছেন তাজুদ্দিন সাহেব; উনার ছাত্র রাজনীতির ভাবনা জাতিকে অনেক কিছু থেকে বন্চিত করেছে।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাজউদ্দিন শেখ মুজিবের প্রক্সি দিয়েছিলেন। উনি(শেখ মুজিব) ফিরে আসার পর তাই সব কিছু ফিরিয়ে দিয়েছিলেন...

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



জীবনটাও হারায়েছেন প্রক্সির মতো।

উনি বুঝতে াপরেননি যে, উনার হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ত্যাগী মানুষদের ১ লাখ সেনা ছিলো; কেন উনি এঁদের বাড়ী পাঠায়ে দিয়েছিলেন, আমি জানি না; এটা সঠিক যে উনি বুদ্ধিমান ছিলেন না।

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৭১এ পরাজিত পাকিরা এবং ৭২ এর মার্চে সকল ভারতীয় সৈন্য চলে যাওয়ার পর একটা বাহিনী শুন্যতার শৃষ্টি হয়। বিধ্বস্ত পুলিশ, আনসার বাহিনীর অনেক সদস্যই নিহত, তরুন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে যুদ্ধশেষে অনেকেই অস্ত্র জমা না দেয়ায় একটা বিপদজনক অবস্থার শৃষ্টি হয়েছিল।
এজাবৎ পৃথিবীতে যুদ্ধ করে স্বাধীন অধিকাংশ দেশেই বড় সমস্যায় পড়েছিল, যোদ্ধারা পরবর্তিতে অস্ত্রধারি আত্মঘাতি বিপ্লবী বা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এর উদাহরন আমাদের কাছের দেশ লাওস আর ক্যাম্বডিয়া, আফ্রীকায় এংগোলা, কংগো, মোজাম্বিক আর কিছুটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ইরাক লিবিয়া আফগানিস্তানে। আস্ত্রধারীরা দেশ স্বাধিনের পরও ২০-২৫ বছর জাবত পরস্পর সংঘাত চালিয়েগেছে। এংগোলা, নামিবিয়া ও কংগোতে এখনো ভারি অস্ত্রে গৃহযুদ্ধ চলছে। লিবিয়াতে আইএস ছাড়াও যোদ্ধারা ৩গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভয়াবহ অকারন যুদ্ধ করছে।
মুজিব অনেক ভুল করলেও দেশকে অরাজগতা গৃহযুদ্ধ থেকে বাচিয়ে দেশকে ইউনাইটেড রাখতে পেরেছিল।

এদিকে পাকিস্তানে প্রায় ২০-৩০ হাজার বাংলাদেশি বাঙ্গালি সেনাবাহিনীর সদস্য সহ পুলিশ, আধাসামরিক মিলিশিয়া আটক থাকায় আইনশৃক্ষলা বাহিনীর স্বল্পতা আরো প্রকট আকারে দেখা দেয়।
পাকিস্তানে চাকুরিরত ২০-৩০ হাজার সেনাসদস্য, নৌ ও বিমান বাহিনী, আধাসামরিক রেঞ্জার্স শিমান্তরক্ষী, মিলিশিয়া এবং পুলিশ সদস্য। এছাড়া সরকারি-আধাসরকারি সংস্থায় চাকুরিরিত ১৫-২০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি, ছাত্র, দোকান, কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অগনিত বাঙ্গালি সহ প্রায় ৩-৪ লাখ বাঙ্গালি পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছিল।
এই বিপুল সংখক বাঙ্গালিদের ৭১ সাল থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে প্রায় তিন বছর যাবত যুদ্ধবন্দির মত জিম্মি করে রাখা হয়েছিল বিচারাধিন ১৯৫ জন পাকি যুদ্ধাপরাধি সামরিক অফিসারদের বিপরিতে।

মুজিব-তাজউদ্দিনরা অনেক চড়া মুল্যে ৪ বছর পাকিস্তানে আটক ৪ লাখ আটক বাংগালী ও ৩০ হাজার বাংগালী সেনাসদস্যদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।
এরপরও পাকি ফেরত সেনারা মুজিব-তাজউদ্দিনকে পছন্দ করতোনা, পাকিদের লাত্থিগুতোই ভাললাগতো, এখনো পাকিবন্দনায় মুখর। এদের সমর্থনেই জিয়া মুজিব-তাজউদ্দিনদের নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি অনেক সুন্দর লিখেছন; তবে, দেশের প্রশাসনের কোন কাজ করবেন না, জাতির ক্ষতি হবে; আপনি যা দেখেন, তাও হয়তো বুঝেন না।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৯

ইমরান নিলয় বলেছেন: পালিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি মোটামুটি কোন কিছুর গুরুত্ব কম বুঝতেন

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২২

গরল বলেছেন: আমার বাবা ভারতে ট্রেইনিং নিয়ে ২নং সেক্টরে ধামরাইতে সরাসরি সম্মুখভাগে যুদ্ধ করেছে। তার কাছ থেকে শুনা যে অস্ত্র জমা দেওয়ার পর কিছু যুবককে যারা একটু স্মার্ট ও শিক্ষিত ছিল আলাদা করে একটা ক্যাম্পে রাখা হয়। আমার বাবা ৭১ সালে আইচ, এস, সি পরিক্ষার্থী ছিল কিন্তু পরীক্ষা দিতে পারে নাই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। তো বাবা ভেবেছিল তাদেরকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হবে। কিন্তু যখন শুনল যে তাদেরকে রাখা হয়েছে রক্ষীবাহিনীতে যোগদানের জন্য তখন একজন বাদে সবাই ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে আসে। রক্ষী বাহিনী ছিল তাজউদ্দিনের সবচেয়ে বড় ভূল। উনি একটা সেকেন্ডারী সামরিক বাহিনী করতে পারতেন যা মোটামুটি অনেক দেশেই আছে, যেমন আমেরিকাতে ন্যাশনাল গার্ড। একেবারেই কাউকে কিছু বলা হয় নাই বা নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই এটা ঠিক না, সিলেক্টিভ কিছু মুক্তিযোদ্ধা যারা মুজিব বাহিনীতে ছিল তাদেরকে এরকম ক্যাম্প করে আলাদা রাখা হয়েছিল এবং অনেকেই রক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বাবা যথাসম্ভব বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সে (বিএলএফ) এ ছিলেন; ওখানে প্রায় ২০ হাজার যুবকদের সংগঠিত করা হয়েছিল।

আমি যে ১ লাখের কথা বলছি, এঁরা ফ্রিডম ফাইটার (এফএফ)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.