নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিলারী ক্লিনটন একটি ইতিহাস গড়ার কথা ছিল, নারী প্রেসিডেন্ট

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮



যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো নারীকে রাস্ট্র-প্রধান করতে পেরেছে, সেখানে বিশ্বের লীডার আজো নারীকে সেই বিশাল মর্যদা দিতে পারেনি; এবার একটা সুযোগ এসেছিল, সেটাও ন্যাক্কারজনকভাবে হারিয়ে গেলো; লজ্জার বিষয়ই বটে!

রাজনৈতিকভাবে ভাবলে, লজ্জার কিছু ঘটেনি, যা ঘটেছে তাই সঠিক হয়েছে; মানুষ হিলারীর ৩০ বছরের অবদানকে মেপে, সঠিক উত্তর দিয়েছেন। হিলারীর অবদান ছিল, সেটাকে মাপা সম্ভব হয়েছে, এবং সেটার উপর নির্ভর করে মানুষ ডিসিশন নিয়েছেন।

বেগম খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, বেনজীট ভুট্টো বা ফিলিপাইনের কোরাসন আকিনোর কোন অবদান ছিলো না, মাপার মতো কিছু ছিলো না, মাপার দরকার হয়নি, মানুষ নিজের পায়ে কুড়াল মারতে চেয়েছিল, তারা তাই করেছে; আমেরিকানরা পায়ে কুড়াল মারলে একা ওদের পায়ে পড়তো না, পড়তো অনেকের পায়ে, তাই তাদের ভাবতে হয়!

রাজনীতিতে হিলারীর অবদান বিভিন্ন উপায়ে মাপা হয়েছে, এবং আমেরিকানরা মনে করেছে যে, জাতি হিলারীর ৩০ বছরের অবদান থেকে কোনভাবে উপকৃত হয়নি; কিন্তু হিলারী নিজে বেশী উপকৃত হয়েছে; সেখানেই সবকিছুর শেষ, নতুন ইতিহাস গড়ার আগেই ইটিহাসের যবনিকা।

হিলারীর বড় পরীক্ষা ছিল প্রেসিডেন্ট ওবামার ফরেন সেক্রেটারী হিসেবে; ওবামা যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল; যুদ্ধ শেষ করার বড় বড় পদক্ষেপগুলো নির্ভর করেছিল ফরেন সেক্রেটারীর বিশ্ব রাজনীতির উপর; যুদ্ধ থামেনি; ববরং ভয়ানক মোড় নিয়ে দীর্ঘ সময় চলার উপক্রম হয়েছে; পরীক্ষায় ফেল, ইতিহাস গড়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ইতিহাসের পরীক্ষায় ফেল করতে নেই। ওটা আমেরিকার স্যারদের প্রিয় বিষয়। বুশ ফেল করেছিলেন। জনগন মাফ করেনি। ন্যাটো থেকে আম্রিকার দুরত্ব স্টারটেঞ্জেন সাহেব মেনে নিচ্ছে না। একই অবস্থা ইইউ প্রধানের। ট্রাপের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ। পুতিন কোন নরেন্দ্র মোদি বা কিম জং উন নন। পুতিন কেজিবি। ট্রাম্প যদিওবা আম্রিকান সেনাবাহিনীর তবুও সে দাবার চালে রাশিয়ার কাছে হারবে।


মিডিল ইস্টের মিডফিল্ডার সৌদিদের আর দুবাই শেখদের কি হয় সেটাই ভাবছি! এই দুই প্লেয়ার এই মিডফিল্ডে সব গেম খেলবে। ১১০০০ পারমানবিকের মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকা একটা নিউক যদি কোথাও পড়ে তবে খেল শেষ।


হিলারি এলে আরো খারাপ হতো। ট্রাম যতটা না মুখে তার থেকে বেশি হিলারি কাজে করে গেছে। মকিংবার্ড ট্রাম্প তার ট্রাম্পেট বাজিয়ে যে এ্যামেরিকান স্যারদের ভোট নিল তা কিন্তু ভাংগনের খেলায় মেতে যাবে। খোদ মার্কিন জাতির মধ্যে ব্রেক্সিট স্টাই শুরু হতে পারে। পুতিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে! রেড আর্মিদের খেলার স্টাইল টা দারুণ। শুরুতেই আত্নঘাতী গোল!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যা বলেছেন, এগুলো ভাবনার বিষয়।

রাশিয়ানদের সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না; ৭০ বছর পর, আবারও ব্যক্তির হাতে সম্পদ আটকা পরে গেছে; সেইদিক থেকে আমেরিকানরা পুটিনকে 'ষাঁড়" হিসেবে নিয়েছে। বিশ্ব কোনদিন রাশিয়াকে বা চীনাকে লীডার হিসেবে নেয়ার কথা আজো ভাবেনি।
তবে, পুটিন বিষাক্ত, এবং একজন মানুষের হাতে এত ক্ষমতা কোন কালে ছিলো না।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৬

আলী আজম গওহর বলেছেন: ফরেন সেক্রেটারি হিসেবে হিলারী ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন।ট্রম্পের উল্টাপাল্টা কথার সুবাদে, তারপও সম্ভাবনা ছিল।জেমস কোমি সেটা নষ্ট করে দিয়েছেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



জেমস কোমির ঘটনার নায়িকা হিলারী ক্লিনটন। কোমি কিছু না বললেও হিলারী জয়ী হতো না।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এগুলো সুক্ষ্ম বিচার বিশ্লেষণ। তবে নারী হওয়াতে মনে হয় জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশানের শিকার হয়েছেন তিনি। নজিরবিহীন ভাবে 'not my president' দেখেই বোঝা যায় এটা অপ্রত্যাশিত পরাজয় ছিল হিলারির...

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্পকে ভোট দিতে গিয়ে, ও ভোট দেয়ার পর অনেক মানুষই কস্ট পেয়েছে; কিন্তু হিলারীকে পরাজিত করেছে আনন্দ চিত্তে

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: অনেকেই এই কথা বলছেন যে হিলারি নারী তাই আমেরিকানরা তাকে জেতায়নি। আমার মনে হয় এটা অনেকটা নারীবাদী কথা । যারা এ কথা বলে তারা এটা কেন ভাবছে না যদি নারীকেই যেটাতে হয় তবে নির্বাচনের কি দরকার ছিলো। হিলারি কে এমনিই প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করে দেওয়া যেতো । ভোট ই যদি নির্বাচিত হওয়ার শর্ত হয় তখন কে পুরুষ কে মহিলা এসব মনে রাখা মানে নির্বাচন বিষয়টা কেই অপমান করা । আর নির্বাচন মানেই যোগ্যতম নির্বাচিত হবে (ব্যতিক্রম আছে ) । সেখানে যদি হেরে গিয়ে বলা হয় অমুক মেয়ে তাই হেরেছে/ কালো তাই হেরেছে / সংখ্যালঘু তাই হেরেছে এসব হবে সত্যের অপালাপ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




ঠিকই বলেছেন, আমেরিকায় কোন কিছুর জন্য নারী কোটা নেই, বিশেস করে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তীরে এসে ডুবেছে তরী। প্রচার পর্বে প্রচুর মার্জিনে এগিয়ে থাকার পরেও বাজিমাত করে গিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে হিলারি ক্লিন্টনের। নির্বাচনে এ হেন পরাজয়ের জন্য আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকেই দুষলেন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি। এমনই ছিলেন তিনি গুনবতী , বুঝলেন না শুধু ভোটারদের মতিগতি, মিডিয়ার মিস্টি কথায় ডানা মেলে হয়েছিলেন উর্ধগতি !!!
তাঁর নির্বাচনী প্রচারে এত দিন যাঁরা টাকা ঢেলেছেন, সেই ডেমোক্র্যাটিক ফান্ডরেইজারদের সঙ্গে গত কাল ভি়ডিও কনফারেন্স করেন হিলারি। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলে সেখানে। সংবাদমাধ্যমের অবশ্য প্রবেশ নিষেধ ছিল সেই আলোচনায়। কিন্তু পরে সেই কথোপকথনের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে চলে এসেছে। নির্বাচনী বিপর্যয়ের জন্য ফান্ডরেইজারদের কাছে সরাসরি এফবিআই-এর ডিরেক্টর জেমস কুমেকেই দায়ী করেছেন হিলারি।
ভোট গ্রহণের মাত্র কয়েক দিন আগে ই-মেল কাণ্ড নিয়ে ফের তদন্ত শুরুর কথা ঘোষণা করেন কুমে, । এ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে তিনি একটি চিঠি দেন অক্টোবরের শেষের দিকে। বিদেশসচিব থাকাকালীন ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে হিলারি যে সব মেল পাঠিয়েছিলেন, সেগুলি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। যদিও ভোটের মাত্র দু’দিন আগে, ক্লিন্টনকে ক্লিনচিট দেয় এফবিআই। কিন্তু তাতে শেষ পর্যন্ত আর কোনও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ করেছেন হিলারি।
কিন্তু এখানে একটি বিষয় খটকা লাগে । সন্দেহের তীরটা অনেকে্ই চালান দিয়েছেন হিলারীর দিকেই । ডেমোক্রেটরা এখন ক্ষমতায় । কোমে সহ এফবিঅআই এর লোকজন ও নিয়ন্ত্রন তাদেরই হাতে থাকার কথা । বিষয়টাকি এমন কি এমনভাবেই সাজানো হয়েছিল যে নির্বাচনের আগে এফবিঅআই ও কোমেকে দিয়ে তাকে যেন দুধে দোয়া তুলসি পাতা করে তুলা যায় ভোটারদের কাছে যাতে করে ইমেইল কেলেংকারীর কোন আছর তার পর না পড়ে । কিন্তু বিষয়টা মনে হয় বুমেরাং হয়ে গেছে । ভোটের মাত্র দু’দিন আগে, ক্লিন্টনকে ক্লিনচিট দেওয়ায় কোন লাভ দিলনা !!!!!
হিলারির বক্তব্য, কুমের চিঠির আগে পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভাল মার্জিনে এগিয়ে ছিলেন তিনি। আরিজোনা বরাবরই রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি। ওই রাজ্যেই একমাত্র ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু কুমের ঘোষণার ন’দিনের মধ্যেই কয়েক লক্ষ পপুলার ভোট হিলারির বিরুদ্ধে পড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী কালে ইলেক্টোরেট কলেজের ভোটে যার প্রভাব পড়ে। হেরে যান প্রাক্তন বিদেশসচিব।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার বিচার ব্যবস্হায় নাম এসে গেলে, চেস্টা করে ছাড় পাওয়া যায়, কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়া কস্টকর; তাইই ঘটেছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



হিলারী কোন কিছুতে সঠিকভাবে কাজ না করে কয়েক মিলিয়ন আয় করেছে; মানুষ কাজ করেও ৪০ হাজার ডলার আয় করতে হিমশিম খাচ্ছে এটাও ফ্যাক্টর ছিলো।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: সম্ভবত , নির্বাচন-নির্বাচিত নিয়ে আলোচনার সময়ের শেষ হয়েছে ।

ট্রাম্পের পজিটিভিটি নিয়ে কিছু জানা যাক এবার.....

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই মহুর্তে ট্রাম্প সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে, সে আমেরিকার অবস্হানকে ভালো করবে, যা পরোক্ষোভাবে বিশ্বের জন্য ভালো হবে।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

ভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আমেরিকা রাশিয়া চীন ফ্রান্সের মোট দেশ কোনদিন মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান দেখবে বলে আমার মনে হয়না। তবে ব্রিটেন এবং জার্মানি কিন্তু মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান দিয়ে যা অর্জন করেছে, কোন পুরুষ তা করে দেখাতে পারেনি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


জার্মানীর মার্কেল বিশ্বকে এগিয়ে নিচ্ছে, থেচার আস্তাকুড়ে গেছে।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একমত না হয়ে পালামনা, কি আর করা। শুধু শুধুতো আর বিরোধীতা করা যায়না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমেরিকা এমন অবস্হানে এসেছে যে, বাংগালীদের মতো হাসিনা, খালেডা নিয়ে ম্যায়াও প্যায়াও করে সময় ব্যয় করতে পারবে না।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৯

starit বলেছেন: To know more news click this Daily industry

http://www.dailyindustry.news

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ক্লকিক ফ্লিক ভালোবাসি না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.