নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরিদ্র শিশুদের জন্য ১৯৭২ সাল নতুন কিছুই আনেনি, খালি হাত

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৯



বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাস, ১৯৭০ সালের জানুয়ারী মাস থেকে কোনভাবেই আলাদা ছিল না; ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসে কেহ ঘোষণা দেয়নি যে, আমরা স্বাধীন হয়েছি, আমাদের প্রতিটি শিশু স্কুলে যাবে, স্কুল সবার জন্য বাধ্যতামুলক। ১৯৭০ সালে, লাখ শিশু প্রথমবারের জন্য স্কুলে গেছে, ১৯৭২ সালেও গেছে; যেসব দরিদ্র পরিবারের শিশুরা ১৯৭০ সালে স্কুলে যেতে পারেনি, ১৯৭২ সালেও সেই দরিদ্র শ্রেণীর শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনি; বরং, দরিদ্র শ্রেণীর অনেক শিশু এতিম হয়েছিল ১৯৭১ সালে, কারণ যুদ্ধ দরিদ্র শ্রেণীর মানুষই বেশী প্রাণ হারায়েছেন।

অত্যন্ত দু:খের বিষয় যে, দরিদ্র ঘরের শিশুদের জন্য এত বড় স্বাধীনতা কিছুই আনেনি; একেবারেই খালি হাতে এসেছিল স্বাধীনতা এসব শিশুদের জন্য। যদি ততকালীন সরকার ঘোষনা দিতো যে, ৫ বছর থেকে শুরু করে, ১৫ বছর বয়সের সবাইকে জানুয়ারী মাস থেকে স্কুলে যেতে হবে; তা'হলে সারা জাতি নড়ে বসতো, অনুভব করতে পারতো ভয়ংকর কিছু ঘটেছে, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আমাদের জীবন বদলে গেছে!

১৯৭২ সালের স্বাধীনতা ছিল, পাকিস্তানীরা আর নেই, কেহ উর্দুতে কিছু বলে না, বিহারীরা চুপ; পাকিস্তানের ফলে যাওয়া কল-কারখানা জাতির; পোড়া ঘরবাড়ী জাতির, ব্যাংকগুলো জাতির, পাকীদের ফেলে যাওয়া ঘরবাড়ী জাতির; কিন্তু দরিদ্র ঘরের শিশুদের জন্য কইছুই ছিলো না; তারা ব্যাংক দিয়ে কি করতে পারতো? তারা আলমাস সিনেমা হল দিয়ে কি করতো? তারা আদমজী জুলমিল দিয়ে কি করতো? তাদের দরকার ছিলো ১ টা বই ও ১টা শ্লেট, সাথে হয়তো একটা শার্ট ও একটা হাফ প্যান্ট; দরিদ্র স্বাধীনতা দরিদ্র শিশুদের জন্য কিছুই আনেনি, একেবারেই খালি হাত!

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: অশিক্ষিত প্রশাসন, অদক্ষতা আর দুর্ণীতি সেই জনমের সকাল থেকেই এদেশে রাজত্ব করছে!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমরা স্বাধীন হয়েছি এটা সত্য, তবে অনুধাবন করা কঠিন

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

রবিউল আলম মোহন বলেছেন: এদেশের রক্তে দুরবাস্থাতা ঢুকে গেছে। বদলানো কঠিন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



৪৬ বছর পরও, সবকিছুই কঠিন মনে হচ্ছে

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: রুদ্রের কথাই ঠিক, "স্বাধীনতার পতাকা আখড়ে ধরেছে সেই পুরনো শকুন! " আর তাইতো আমরা স্বাধীনতা পেয়েও স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি!! আর তাইতো মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ বলেন, "স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা! স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা! "

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতা চাওয়ার পেছনে ছিল সাধারণ মানুষের বড় বড় আশা, সেগুলোর দিকে দেশকে নেয়নি দেশের ততকালীন নেতারা; দেশ চালায়েছে পাকিস্তানী সিস্টেমে, আজও একই সিস্টেম চলছে।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

পুলক ঢালী বলেছেন: পুরনো কথা, এগুলো বলতে আর ভাল লাগেনা। সমস্যা ছিলো দিকনির্দেশনার অভাব, মুক্তি যোদ্ধাদের দেশগড়ার কাজে লাগানো উচিৎ ছিল এবং বৃটিশ প্রনীত জনপ্রশাসনের খোলনলচে পুরো বদলে দেওয়া,কেরানী তৈরীর শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এরকম অনেক কারন খুঁজে পাওয়া যাবে। এই ব্যার্থতার ফাঁক গলে উগ্রপন্থা সমাজ ও রাষ্ট্রে আসন গেঢ়ে বসেছে । বলতে পারেন ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিগুলি আওয়ামি লীগকে কেন মধ্যপন্থী ইসলামী দল বললে আওয়ামিলীগ খুশী হয়? বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িকতার ডাকে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃশ্চিয়ান সবাই মুক্তিযুদ্ধে প্রানবাজী রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলো অথচ এখন এটা সাম্প্রদায়িক দেশে পরিনত হয়েছে, মানুষের মননে, রাষ্ট্রের/সরকারের খুব অল্পসংখ্যক মানুষ আছে অস্ম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন, তাহলে' যারা প্রান দিলো তারা কি চিটিংবাজীর শিকার হলো?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেব ও আওয়ামী লীগ ভেবেছিল দেশ নিজের থেকেই চলবে, পাকিস্তানীরা না থাকলেই হলো।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: কেবল ১৯৭২ সাল কেন? ২০১৬ সালই বা বর্তমান শিশুদের জন্য কি করছে? সৃজনশীলতার নামে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেভাবে স্লো পয়জনিংয়ের মত ধ্বংস করা হচ্ছে, সেটা দেখেই আমি সংকিত!

আফসোস, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড! অথচ আজ কালকার ছেলে মেয়েরা সেই শিক্ষাগ্রহণ করতে গিয়ে এক গাদা বইয়ের চাপায় যেভাবে পিষ্ট হচ্ছে, সেটা সত্যিই ভয়াবহ!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



নাহিদ ছিল ছাত্রনেতা, উনি জীবনে পড়ালেখা করেননি; উনি অনেকের চেয়ে ভালো করছেন; কিন্তু বিশাল কিছু করার মতো আইডিয়া নেই।

জাতির কাছে সম্পদ আছে, সব বাচ্ছাকে ফ্রি পড়ানোর মতো; নাহিদ, মতিয়া, রওশন এরশাদ, মেনন, এরা জীবনে কিছু করেনি, পড়েনি; দল করে সরকারে ঢুকে গেছে।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাস, ১৯৭০ সালের জানুয়ারী মাস থেকে কোনভাবেই আলাদা ছিল না,
একটা ডাহা মিথ্যা কথা।
বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও একসাগর রক্তের বিনিময়ে ৭১ বাংলাদেশ স্বাধীন হল।
৭২ এ শুন্য রাজকোষ জিরো ব্যালেন্স নিয়ে সুরু করা স্বাধীনতাপক্ষ মাত্র ৩ বছরের মত সময় পেয়েছিল,
বিধ্বস্ত হার্ডিঞ্জ, ভৈরব ব্রিজ মেরামত করবে না চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করে চালু করবে, খাদ্য আমদানি করবে। এরপর সবই হল, হার্ডিঞ্জ, ভৈরব ব্রিজ চালুহল দ্রুতই, মাত্র ২ বছরেই মার্কিন ঠিকাদারের দ্বারা গাবতলী, নয়ার হাট ও কাঁচপুর এই ৩টি বৃহদাকার সেতু তৈরি হল।
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ছিলনা বললেই চলে, খাম্বার মাধ্যমে রেডিও রিলে মারফত ভাঙ্গাচোরা টেলিযোগাযোগে এক্সচেঞ্জে বৈদেশিক ট্রাঙ্ককল করতে হত। গরিব দেশে ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র বসানো গরিবের ঘোড়া রোগই। এরপরও দুই দুটি ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশটি, বেতবুনিয়া কেন্দ্রটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩বছরেই চালুকরা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাথমিক সুচনা সেখানেই। চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করে চালু করতে ২ বছর লেগেছিল রুশ নৌবাহিনীর। ২ বছরে মাইন দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছিলেন ডজন খানেক অকুতভয় সোভিয়েট নাবিক, পতেঙ্গায় এখনো সেই অকুতভয় বীর সোভিয়েট নৌসেনাদের সমাধী আছে।
সেসময়কালেই ফৌজদারহাটে তৈরি হয়েছিল দেশের প্রথম মিলিটারি একাডেমী। কিন্তু তখনো বিপুল সংখক সেনা সহ ৪ লক্ষ বাংগালী তখনো পাকিস্তানে আটক। ৩বছরের বেশী সময় আটকে জিম্মি করে রেখেছে। ১৯৫ যুদ্ধাপরাধী পাকি সেনা অফিসারের সাথে বিনিময় করে চড়া মুল্য দিয়ে ৪ লাখ আটক বাংগালী ছাড়িয়ে আনা হয়।

এখন বর্তমান বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যু, শিশুস্বাস্থ, শিক্ষার হার, দারিদ্র বিমোচন ইত্যাদি সকল সুচকে বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তানের চেয়ে ভাল
বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ এক সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন “দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয়। এমনিক ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের চেয়েও ভালো।”

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, ১ লাখ ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বাহিনী নিয়ে ৯ মাস যুদ্ধ চালাতে বাংলাদেশ সরকারে কত টাকা খরচ হয়েছিল?

-উত্তর, ১ টাকার থেকেও কম, শুন্য টাকা।

আপনি সরকারী ফাইন্যান্স বুঝেন না। সরকারকে কোনকিছু করতে হলে, হাতে নগদ টাকা থাকতে হয় না, দেশটাই টাকা।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: , স্কুল সবার জন্য বাধ্যতামুলক। +++
ভাই লেখাটা খুব ভালো লাগছে। আসলে সে সময় এসব চিন্তা কেউই করেনি। যেটা করার খুব দরকার ছিলো,
যাই হোক খুব গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

সেই সময় বুঝতে পারেননি, আজকে বুঝুক; আজকেও বুঝতেছে না শেখ হাসিনা।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

শাব্দিক হিমু বলেছেন: অনেকগুলো লেয়ারে জমা হয়েছে সব দুর্নীতি। এগুলোকে ছোঁয়াচে স্টাইলে বাড়ছে। মাঝি দরকার, সাহসি মাঝি,যে নতুন করে পথ দেখাবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:




মানুষ নতুন পথ অনুসরণ করে ভালো জীবন যাপন করছে, জাপানী, জার্মান, এমন কি মালয়েশিয়াও; ১ম শর্ত হলো শিক্ষা। নতুন পথের কথা বলা হয়েছে, সেই পথে ক্যাবার দরকার, শুরু হবে শিক্ষা দিয়ে।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথা ষোল আনা সঠিক। কিন্তু আমরা ভুল স্বীকার করতে চাইনা। কাজেই আমাদের সংশোধনের দরকার পড়েনা। কাজেই গাজী সাহেবের লেখা ব্লগে পড়ে গড়াপড়ি খায়। জ্ঞনীর জ্ঞান এদেশে ভীষণ বেদরকারী। হীরক রাজার দেশে সিনেমার একটা ডায়ালগ খুব মনে পড়ে, ‘বিদ্যালাভে লোকশান, নাহি অর্থ নাহিমান’। আমার এক জ্ঞানী ছাত্রের ভালোবাসার বউ সেদিন তাকে ছেড়ে চলে গেছে। কাজেই বুদ্ধিজীবি সেই যে বুদ্ধি করে অর্থ সম্পদ গড়তে পারে। এবার সেটা যে ভাবেই হোক।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রটিটি শিশুকে পড়ালেখা করানোর দা্যিত্ব ছিল স্বাধীনতার অংশ, এবং আমাদের সেই পরিমাণ সম্পদ আছে; শিক্ষা হলো শিশুর নাগরিক অধিকার ও রাস্ট্রের দায়িত্ব; যারা এই দায়িত্ব পালন করেনি, তারা সবাই অপরাধ করেছে।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ দেশে সবচেয়ে বড় অপরাধ গরীব হওয়া, কারণ তারা সরকারকে কর দেয়না। দেশে সম্পদ থাকলে সেটা রাজার প্রাপ্য, প্রজার নয়। স্বাধীণতা মানে রাজার স্বাধীণতা। প্রজারা স্বাধীণ এ কথা আপনাকে কে বলেছে? প্রজার স্বাধীণতা হলো স্বাধীণ ভাবে রাজার কর প্রদান করা। নতুবা রাজার সম্পদ আসবে কোথা থেকে? রাজাতো আর চাষবাস করেনা! আমাদের দেশ প্রজাতন্ত্রী! প্রজা থাকলে রাজা না থেকে উপায় কি? আপনার সাহসতো মন্দ নয়, রাজার স্বাধীণতায় প্রজার ভাগ বসাতে চান। আরে প্রজারাতো জীবন দিয়ে স্বাধীণতা এনেছে রাজার জন্যই। আর রাজার জন্য জীবন দিতে পারার মাঝেই প্রজার জীবনের স্বার্থকতা। নতুবা প্রজার তুচ্ছ জীবনের আর কি ভেলু আছে?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ নিজের মানুষকে অশিক্ষিত করে রেখেছে ৪৬ বছর; মানুষ একদিন এসব তাসের রাজারাণীদের ছবিও ঘরের বাহিরে ফেলে দেবে।

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কীপারের ছেলেকে রাজা বাহাদুর বাঘের টোপ বানালেন, বাঘের থাবায় কীপারের ছেলে উপরে চলে গেল। আর রাজা বাহাদুরের গুলিতে প্রাণ গেল বাঘের। সেই বাঘের চামড়ার জুতো। অনেক সুন্দর আর মোলায়েম। রাজা বাহাদুর সে জুতো গুনিজনে বিতরণ করে অনেক সুনাম কামালেন। এখানেই কীপারের জীবনের পরম পাওয়া। নতুবা এমন একটা ছেলে বেঁচে থাকলেইবা কীপারের কি লাভ হতো। সুতরাং রাজার কথা ভাবতে শিখুন। রাজ কর্তব্য পালন করুন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রেখে হঠাৎ এতো নীচে নামলেন কেন?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের তো রাজতন্ত্রেই থাকার কথা; আমাদের মানুষ কি এখনো নবাব সিরাজের জন্য কাঁদছে না? সমস্যা করে গেছে ইংরেজেরা, তারা রাজতন্ত্র দখল করলো, ২০০ বছর পর, প্রজাতন্ত্র প্রসব করলো।

১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ছি ছি রাজ ভক্ত জাতীর প্রতি আপনি এ কি কথা বলছেন? এদেশের প্রজায় রাজা চিনে। আপনি এদের টেনে চীনে নিলেই তারা যাবে নাকি?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে বদলায় "জ্ঞান"; জ্ঞান পাবার ১ম শর্ত হলো শিক্ষা; মানুষকে তার অধিকার হিসেবে শিক্ষা প্রদান করলে, মানুষ জীবন বদলায়ে দেবেন।

১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ম্যাক্সিম গোর্কীর মা মনোযোগ দিয়ে পড়ে ছিলাম। তারা ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামায়নি। আর আমাদের গরীব বন্ধু বামেরা শুরুতেই ধর্ম নিয়ে মিউ মিউ শুরু করে। সুতরাং ধর্মের গ্যাঁড়া কলে এরা প্রথমেই সাইজ হয়ে যায়। কাজেই রাজার রাজত্ব থাকে চির অক্ষয়। আর মুসলমানের চেয়ে এদেশে বামের দল সংখ্যা ঢের বেশী। কাজেই এদের বাম হাত সৌচকর্ম ছাড়া কোন কাজে লাগবেনা। নকাজেই আমরা আল্লাহকে স্মরণ করে দেখছি তথাপি যদি পরকালে কিছু পাওয়া যায়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফ্রান্সে যে ঘটনা থেকে 'বাম' শব্দের জন্ম হয়েছে, বাংলায় আসতে আসতে উহা হারিয়ে গেছে; কার্ল-মার্ক্স অর্থনীতিতে যে নতুন পদক্ষেপের কথা বলেছেন, ফাইন্যান্সে সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহনের যে থিওরী দিয়েছেন, সেগুলো "ডাস ক্যাপিটেলে" থিওরী হিসেবে ছিলো, আছে; সেগুলো কঠিন বিষয়, সেগুলোকে বুঝা ও কার্যকরী করা আমাদের মতিয়া, মেনন, নাহিদ, দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া, মান্নান ভুঁইয়া, বা নোমানের পক্ষে সম্ভব নয়; সেগুলো বুঝার জন্য অর্থনীতিতে বড় ধারণার দরকার।

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গাজী সাহেব আপনি অনেক বুদ্ধিমান। শাহাবাগ আন্দোলনের ফসল কার ঘরে গেল, একবার ভেবে দেখবেন কি?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শাহবাগকে আদৌ আন্দোলন বলা থি হবে কিনা? আন্দোলনের বৃহৎ কারণ থাকে; শাহবাগে জনসমাবেশ হয়েছিল ক্ষোভ প্রকাশের জন্য, কেহ জা্তির জন্য কিছু চাহেনি!

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমরান এইচ সরকারের মতো বেহুদা সরকারেরা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা ছাড়া আর কোন কাজে লাগে না। কেস্ট্রোর মন্ত্র এদেশে অচল।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীদের নিজস্ব জীবনধারা, সংস্কৃতি ও ট্রেডিশন আছে; সবকিছুই আধুনিকতার পক্ষে; ভালো অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের নিয়ম প্রয়োগ করে, সবাইকে শিক্ষিত করে, সবার জন্য ভালো জীবন গড়ে তোলা সম্ভব।

১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আপনি সরকারী 'ফাইন্যান্স' ভাল বুঝেন, ভালো কথা।
আসলে কোন ালটা বুঝেন সেটাতো জানাই আছে।
যুদ্ধকরে স্বাধীন করা পৃথিবীর কোন দেশ ১ মাসের ভেতর স্টেবল হতে পেরেছে? আপনি উদাহরন দিতে পারবেন?
আগে স্ট্যাবিলিটি, তারপর অন্যকিছু।
৭০ দশকে অনেকগুলো দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভিয়েতনাম, ক্যাম্বোডিয়া, লাওস, এঙ্গোলা, গিনি, মোজাম্বিক স্বাধীন হওয়ার পরও ১০-১৫ বছরেও স্থিতিশীল হতে পারে নাই
নিজেদের ভেতর সংঘাত চালিয়ে গেছে। দেশের সকল অবকাঠামোর নিয়ন্ত্রন নিয়ে শৃক্ষলা ফিরিয়ে আনতে পারে নি। ভিয়েতনাম, ক্যাম্বোডিয়া, লাওসে নিজেদের ভেতর সংঘাত বন্ধ করতে পারেনি, স্কুলকলেজ বন্ধ ছিল বছরের পর বছর। ইতিহাসের বড় বড় গনহত্যাগুলো এসকল দেশের যুদ্ধবিজয়ীরাই করেছিল।
১৫ বছর পর সোভিয়েটদের পতন হলে হানাহানিরতদের হুশ ফিরে আসে। পশ্চিমা প্রভাবে আবার তারা যার যার কাজে ফিরে আসে, আবার স্কুল-কলেজ খুলতে থাকে।
আর সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ১৪ দিন পরেই সবগুলো জেলায় সব স্থানে সরকারি নিয়ন্ত্রনে (০১-০১-১৯৭১) স্কুল-কলেজ খুলেছিল।
মুক্তিযোদ্ধারা বংগবন্ধুর কাছে অস্ত্রজমা দেয়া সুরু করে। ভারতীয় সেনাদের চলে যেতে বলা হয়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



"আর সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ১৪ দিন পরেই সবগুলো জেলায় সব স্থানে সরকারি নিয়ন্ত্রনে (০১-০১-১৯৭১) স্কুল-কলেজ খুলেছিল। "

-স্কুল কলেজ খোলার পর, ছাত্রা কারা ছিল, সেটাই আমার বক্তব্য; ছাত্র ছিল তারা, যারা ১৯৭০ সালে ছাত্র ছিল; নতুন কোন ঘোষনায়, হঠাৎ করে সব ৫ থেকে ১৫ বছরের বাচ্ছারা ৭২ সালে স্কুলে যায়নি; যদি যেতো, তা'হলে শেখ সাহেব বুদ্ধির পরিচয় দিতে পারতেন; কিন্তু তা ঘটেনি।

আফ্রিকার সাথে আমাদের তুলনা করা ঠিক নয়; ওরা নিজের মানুষকে বিক্রয় করেছে সব সময় ক্রীতদাস হিসেবে।

১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কিছু লিখেছেন? আমি সামান্য অংশ দেখছি মা্ত্র।

যারা পতাকা হাটে দৌঁড়েছেন, যারা খালি পায়ে পল্টন, রেসকোর্স, লাল দীঘি, পলোগ্রাউন্ডে গেছেন, তাঁদের স্বপ্ন মনে হয় পুরণ হয়নি।

১৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: না আর কোন কথা ছিলনা , ছবিটাই কথা বলে,। খালি পায়ে রেস কোর্সে হাটার দলে এ অধমও ছিল , বুকে তাই অনেক দীর্ঘস্বাস , তবু দেশটাকে গড়তে চাই না করে কোন হা হুতাস। জনতার শক্তিই বড় শক্তি , দিকে দিকে বাড়িতেছে তারা , বেক ব্যঞ্চার ছাত্র হতে শাসকে রূপান্তরিত অবুঝেরা বুঝিবে কি করে , তাদের দিন যে আসিতেছে ফুরিয়ে নব প্রজন্মের হাত ধরে , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবটা এ সমস্ত বেকুব মধুর কেন্টিনের ডিগ্রীধারী বুড়া ছাত্ররা বুঝবে কি করে , ৬০ বছর বয়সেও ছিল তারা মধুর কেন্টিনের তালিকাভুক্ত ছাত্র , তাই তাদের কাছ হতে কিছু আশা করাটাই একান্ত বোকামী । বিদ্যা তারা শিখেছে একটাই, তাহল ডান্ডাবাজী আর মাথার উপরে থাকা নেতার চাটুকাগিরি । এ পথে হেটেই তারা পৌঁছে গেছে অর্থ বিত্ত আর ক্ষমতার শীর্ষে । তাদের কাছে নীজেদের প্রাপ্তি অনেক, সে মানদন্ডেই তারা অন্যকে বিচারে, যে যেমন অন্যকেও সে তেমনই ভাবে ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখনও জাতি সুযোগ পেলে ভালো করবে।

১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শেখ সাহেব বুদ্ধির পরিচয় দিতে পারিতেন; কিন্তু তা ঘটেনি।

বিধ্বস্ত দেশটিতে শেখ সাহেবরে মাত্র ৩ বছর সময় দিছিলেন।
বাকি ৪২ বছরে আপনারা কাহার াল ফেলিয়াছিলেন?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেবকে কেহ ৩ বছর দেয়নি, উনি ৩০০ বছর থাকতে পারতেন; কেন মাত্র ৩ বছর উনি থাকলেন, সেটা এনালাইসিস করুন; উনার ভুলের পথ ধরে হায়েনারা ঢুকে গেছে; আবার যারা উনাকে রক্ষা করার কথা, তাদিগকে তিনি পথে তাড়ায়েদিয়েছিলেন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারীর ১০ তারিখে যদি মানুষকে "রোডম্যাপ" দেখাতেন, উনি আজীবন থাকতে পারতেন; উনি মুক্তিযুদ্ধের কস্টের সাথে মিল রেখে কোন রূপরেখা দেখাননি; ফলে, মানুষ উনার থেকে দুরে সরে গেছেন।

২০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

মোহাম্মাদ শাওন বলেছেন: আমাদেরকে মূলত সার্টিফিকেটধারী বানানো হচ্ছে। শিক্ষার নামে প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছে। কে কার থেকে বেশী নম্বর পেতে পারে!!অথচ মানুষের অন্তরের প্রধান ব্যাধি- হিংসা,বিদ্বেষ,ক্রোধ,দেশ ও সমাজের প্রতি মূল্যবোধের অভাব,অনৈতিকতা ইত্যাদি দূর করতে পারলো না বর্তমান শিক্ষা-ব্যাবস্থা। আমাদের অনেক শিক্ষক যে মনুষত্বের দৃষ্টিতে মানুষই না,সেটা বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষন করলয়ে বোজা যায়

২১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারের লোকেরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি চালিয়ে জাতির সম্পদ লুট করছে।

২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৩

মোঃ জাহিদ আনোয়ার বলেছেন: কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কিছু কথা
বেশ কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া ও মিডিয়াতে যে বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত সেটি হল এই কোটা সংস্কার আন্দলন ২০১৮।
এই আন্দলনটি বেশ কদিন আগেও দেখা গিয়েছিল। আমরা এর আগে ২০১৩ সালে এরকম একটি আন্দোলন দেখেছিলাম, যেটি সেই সময় সফলতার মুখ দেখেনি।
এবারও আমরা দেখছি, এই আন্দোলনে বেশ সাড়া পাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এর জন্য আন্দোলন হচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমার অত্যন্ত ক্ষুদ্র জ্ঞানে কিছু লিখতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি আপ্রান চেস্টা করেছি প্রতিটি বিষয় যেন নিখুত ও নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, যাতে এই “ সময়ের দাবি”র সঠিক মূল্যায়ন হয়, এক্ষেত্রে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
আমি এই আলচনায় যে যে বিষয় গুলো সম্পর্কে বিশ্লেষণ করার চেস্টা করব,
১। কোটা ও কোটাধারি কি?
২। মেধা ও মেধাবি কি?
৩। কেন এই আন্দোলন ?
৪। মেধার মূল্যায়ন,
৫। মেধাহীন প্রশাসন
৬। মুক্তিযোদ্ধা কোটা কি আদৌ যৌক্তিক
৭। কোটা ৫৬% না ১০%
৮। শেষের কথা


আসুন আলোচনা শুরু করা যাক,
১। কোটা ও কোটাধারি কি ?
বিশ্বের বহুল প্রচলিত একটি শব্দ হল কোটা (Quota) । শব্দটি কমবেশি বিশ্বের প্রায় সকল দেশে সকল সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সকল প্রতিষ্ঠানে কমবেশি প্রচলিত। কোটা হল একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যককে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। “ বিশেষ করে, একটি সিমিত বা নির্দিষ্ট সংখক মানুষ বা জিনিস” – সুত্রঃ গুগল অনলাইন অভিধান।
যাদের কোটা আছে তারাই কোটাধারি।
২। মেধা ও মেধাবি কি ?
“মেধা হল ভাল বা যোগ্য হওয়ার মান, বিশেষ করে যা প্রসংসা বা পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে” – সুত্রঃ অনলাইন অক্সফোর্ড অভিধান।
এবং যাদের এই মান আছে তারাই মেধাবি।
৩। কেন এই আন্দোলন ?
চলমান এই আন্দোলনের মুল বিষয় হল, কোটা সংস্কার করা, কোটা পুরপুরি বাতিল করা নয়। বিষয় হল সংস্কার, বাতিল নয় কেন ? কারন আন্দোলনকারিরা মনে করছেন, কোটা থাকা দরকার কিন্তু তা সহনীয় মাত্রায়। এটাই হল মুল কথা।
আসুন আমরা আরেকটু গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি।
বিভিন্ন সুত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে বর্তমান কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে প্রাই চার কোটি লোক বেকার। এখানে শিক্ষিতের পাশাপাশি আশিক্ষিত বেকারও রয়েছে । সুত্রঃ দৈনিক আমাদের সময় , ২ জুলাই ২০১৭
বাংলাদেশের অর্থনিতির এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রতিবছর ২২ লক্ষ কর্মক্ষম শিক্ষিত লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করে, এর মধ্যে কাজ পায় ৭ লক্ষ্য আর বেকার থেকে যায় বাকি ১৫ লক্ষ লোক।
বাংলাদেশে প্রতিবছর মোট কতটি পদে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয় তার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই, কিন্তু ২০১১ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৫, বরতমানে এর সংখ্যা ১৩ লাখ। -সুত্র উইকিপিডিয়া।
সুতরাং দেখা যায় যদি, বর্তমানে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুনরায় সকল পদে নিয়োগ দেওয়া যায় তবে, শুধু এক বছরে যুক্ত হওয়া ১৫ লাখ বেকারকেও চাকুরি দেওয়া সম্ভব না।
কাজেই আমাদের মাথাই রাখতে হবে আমাদের মুল উদ্দেশ্য কি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাথে শত্রুতা করা নাকি, নিজের রুজির ব্যাবস্থা করা। আন্দোলন একটি গনতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেই আন্দোলনটি হতে হবে সঠিক জায়গায়, তা যেন বিফলে না যায়। তা না হলে একবার দেখি, বয়স ৩৫ করার দাবি, আরেকবার দেখি কোটা বাতিলের দাবি। কবে দেখব বয়স ৪৫ করার দাবি, নতুবা, মেধার জন্য সাধারন চাকরি পাচ্ছেন না তাই, মেধা কোটাও বাতিলের দাবি।

৪। মেধার মূল্যায়ন
মন্তব্যটি অত্যন্ত যৌক্তিক, “কোটা থাকলে মেধাবিরা মূল্যায়ন পান না”। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার, সেটা হল, আপনি যে মেধার মূল্যায়ন করতে চান সেটাও কিন্তু একটি কোটার মাধ্যমে সেটি হল, মেধা কোটা । ধরুন চাকরিতে কোন কোটা নাই অর্থাৎ মেধা কোটাও নাই, তাহলে কর্ম-কমিশনের নিয়োগ নিতি কি হবে তখন, কমিশন নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যাকে খুশি তাকে নিয়োগ দিতে পারবে।
বর্তমানে চাকরির বাজারে যে লক্ষ্য লক্ষ্য প্রতিযোগীর মধ্যে ১০/১৫ হাজারে টিকে, ১০/১৫ হাজারের মধ্যে আবার যখন ৩/৪ হাজারে টিকে তখন ওই ৩-৪ হাজারের সবাইকেই কি আপনি আমেধাবি বলবেন। তহলে, যারা প্রিলিতে বাদ পড়ে রিটেনে বাদ পড়েন তাদেরকে আপনি কি বলবেন আমার জানা নেই।

৫। মেধাহীন প্রশাসন
“কোটার কারনে মেধাহীন হয়ে পড়ছে প্রশাসন” – মন্তব্যটিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা জানাই ও এর ভূয়সী প্রশংসা করি এই কারনে, যে যারা মন্তব্যটি করে থাকেন তারা আমাদের প্রশাসনকে, আমাদের প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। তবে আমি আপনাকেই বলছি, দেশের সবচেয়ে বড় প্রশাসন ত জনপ্রতিনিধিরা, তারাই তো দেশের সচিব, ডিছি, এসপি কে চালান। তাহলে তাদেরকে পরিক্ষা দিয়ে নিরবাচিত করুন। রাষ্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রি, মন্ত্রি সবাইকে এক্সাম এ বসান।
সুতরাং, কোটার কারনে যে প্রশাসন মেধাহিন হয়ে পড়ছে তা একটি অবান্তর ও উদ্ভট ধারনা। যারা বলছেন তারা অবশ্যই কোননা কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বলছেন অথবা না বুঝে বলছেন।
আমরা ইতিমদ্ধেই দেখেছি বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ সকলেই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, যার ফলে আচিরেই আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্তি হতে যাচ্ছি। “মার্চেই আমরা উন্নয়নশীল দেশে রুপান্ত্রিত হতে যাচ্ছি” – জননেত্রি শেখ হাসিনা।
কাজেই বর্তমানে পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যায়গাতে অনেকেই আছেন যারা কোটা থেকে নিয়োগপাপ্ত হয়েছেন এবং শুধু চালাচ্ছেনই না বরং দক্ষতার সাথে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এরুপ মন্তব্যে তাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

৬। মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকা বা না থাকা
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে, সবচাইতে বেশি আলচিত যে কোটা সেটি হল, মুক্তিযোদ্ধা কোটা (যেটি সবচাইতে বড় বলির পাঠা)। এইখানে আরেকটি বিষয় পরিস্কার হওয়া দরকার, সেটা হল, এই কোটা কিন্তু আসলে মুক্তিযোদ্ধার কোটা। স্বাধীনতার পর দেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করা হয়। আমরা অনেকেই মনে করি এটা শুধু তাদের সন্তান্দের জন্য, বিষয়টি আসলে তা না। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যাবে না, সেখানে তাদের সন্তান , যেখানে তাদেরও পাওয়া যাবে না সেখানে নাতি-নাত্নি(যদিও নাতি-নাত্নি কোটা খুব কম যায়গাতেই প্রয়োগ করা হয়)।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, তারা সেই সময় কোটা পেয়েছেন ভাল কথা, কিন্ত তাদের বংশধররা (সন্তান, নাতি-নাত্নি) পাবে কেন ?
প্রশ্নটি আমার কাছে খুবই মূল্যবান, একটু ভালোভাবে খেয়াল করবেন। যারা এই দাবিটি করেন, তাদের কাছে আমার ছোট্ট একটি প্রশ্ন, যারা যুদ্ধে মারা গেছেন, বা পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর মারা গেছেন তারা তো এখন আর দেশে নেই, তবে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন দের কে সাহায্য করার দরকারটা কি? বঙ্গবন্ধু আজ নেই, সুতরাং তার পরিবার কেন সরকারি সয়াহতা পাবে? যারা মারা গেছেন তারা তো আর টাকা-পয়সা পাচ্ছেন না।
দেখুন খুব সংক্ষেপে একটা কথা না বলে পারছিনা, আপনি যার টাকায় ফ্রাইড রাইছ আর চিকেন খাবেন তাকে দিবেন রুটি তরকারি (মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা), তা কোন মানবিকতার মধ্যে পড়ে।
৭। কোটা ৫৬% না ১০%
বর্তমানে দেশে প্রচলিত ব্যবস্থা আনুযায়ি বিভিন্ন কোটা ৫৬% ও মেধা কোটা ৪৪%। এখন বিষয়টি হল এই ৫৬% কি সত্যিই সঠিক ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না !
আগেই বলা হয়েছে কোটার সংগা আনুযায়ি “একটি সিমিত সংখ্যক মানুষ বা জিনিস বিশেষ করে” তাহলে আবার প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পাশ করা লাগবে কেন ?
আরেকটা বিষয়, বলা হয় দেশের এত পারছেন্ট এর জন্য এত কোটা কেন ?
বিষয়টি যদি একটু চিন্তা করেন তাহলেই এর উত্তর পাবেন আশা করি, কোটার অর্থটা কি ? এর মানে কি পারছেন্টেন্স ?
যেরকম কোটা আসলে হওয়া উচিত সেটিই তো নাই। কোটার যে অর্থ তাতে প্রিলি থেকে কোটার প্রয়োগ করা দরকার, অন্যথাই কোটা থাকা না থাকা সমান কথা।
সুতরাং বর্তমান যে ৫৬% কোটা, তা ১০০% নিয়ে গেলেও কোন যাই আসে না, কেননা ভাইভাতে কোয়ালিফাই করার পরেই না কেবল কোটা বিবেচনা করা হয়।
সুতরাং কোটা সংস্কার করা অবশ্যই করা দরকার, আর তা হল, প্রিলি থেকেই। তবেই কোটার মুল উদ্দেশ্য সফল হবে।


৮। শেষের কথা
আমরা বাঙালি, চিলে কান নিয়ে গেছে বলে আমরা চিলের পিছে দৌড়াই, আসলে কান আছে কিনা তা একবারও কানে হাত দিয়ে দেখি না। আমরা যারা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছি একবারও ভাবছি না, আমাদের সমস্যা আসলে কোথাই। কোটা ৫৬% থেকে ১০% নামিয়ে আনলেই সকল সমস্যা সমাধান হবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী, যারা কোনদিনও চাইনি এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা প্রতিষ্ঠা পাক, তারাই আজ কিছু সাধারন শিক্ষার্থীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই আসুন আমরা এই আন্দলনের মাধ্যমে শুধু একটি মহলকে উপকৃত না করি।
“বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঠাই নাই” – না বলে, বলি-
“বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনার ঠাই নাই””
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ২/৩ লাইনের বেশী পড়তে ভালোবাসি না

২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

অভিশপ্ত জাহাজী বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সিরাজ সিকদারের খোলা চিঠির ব্যাপারে জাতি কিছুই জানে না। ওহ দুঃখিত , এই সিরাজ শিকদারটা কে যেনো ?
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মাওলানা ভাসানীর জনসভার ভিডিও অডিওর খবর কেউ রাখে না। আচ্ছা এই ভাসানী লোকটা কি পশ্চিম পাকিস্তানি ছিলেন ? নাকি ভারতীয় ? :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিজকে প্রকাশ করতে শিখুন!

২৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৯

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন আসলে এবিষয়ে লেখালেখি
বিশেষ প্রয়োজন। দেশে শিক্ষিতদের চাকরী নাই
কর্ম নাই শিক্ষিতরা হতাশ হচ্ছে,নতুন প্রজম্ম
হতাশ হয়ে পড়লে শিক্ষার হাড় কমবে বই
বাড়বে না। গরীব ঘরের মেধাবী ছাত্র
বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট চুয়েট যাই বলুন
পাশের হাড় অনুজায়ী দশভাগও
মেধা অনুযায়ী চাকরী নাই।
এই হতাশায় গরীব কৃষক ঘরের
বাবা মা এগুবে না পড়াশুনার অগ্রযাত্রায়।
বাবা মা ভিটা মাটি বিক্রি করে
বিদেশ যেতে বাধ্য করে।
এভাবে আমাদের দেশ মেধা
শুন্য হয়ে পড়েছে।
দেশে এখনো স্টেশন ফুটপাতে
শিশুরা না খেয়ে ঘুমায় অথচ
হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও
তার কোনও প্রতিকার নাই।
এদেশে চরিত্রহীনতার হার বেড়েছে
যারা মাতাল নেশাখোর তারা
চৌদ্দ নারী আশক্ত হয় এবং
জম্ম দেয় তাদের সন্তানরা ফুটপাত
স্টেশনে আশ্রয় নেয়। পতিতালয়ে
জম্ম নেওয়া বা বড় হওয়া ছেলেরা
চোর ডাকাত হয় আর মেয়েরা বড়
হয়ে পতিতাই হয় কারন তারা
সেই পরিবেশ ছাড়া অন্য কিছু
শিক্ষা পায়না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরা দেশ চালাচ্ছে কলোনিয়েল বৃটিশের মতোই; এগুলো দেশ পরিচালনা নয়, ক্রাইম করা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.