নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে ১৯৭১ সালে অনেক বেশী প্রাণহানী ঘটেছে

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬



তাজুদ্দিন সাহেব পালিয়ে গেলেন; শেখ ফজলুল হক মনি, ৪ খলীফা, সিরাজুল আলম খান সবাই পালিয়ে গেলেন; রোকেয়া হলে ছাত্রীরা রয়ে গেলো কিভাবে, জগন্নাথ হলে ছাত্ররা রয়ে গেলো কিভাবে? পাকীরা প্রস্ততি নিচ্ছে, চট্টগ্রাম পোর্ট ওরা দখলে নিয়েছে, চট্টগ্রাম পোর্টের দায়িত্ব থেেকে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে সরানো হলো, আওয়ামী লীগের কেহ এগুলো মনিটরিং'এর দায়িত্বে ছিলো? ৪ খলীফা পালানোর আগে ইউনিভার্সিটি হল খালি করা হয়েছিল? সন্ধ্যার পর, কেন মানুষ ব্যারিকেডে ছিলো?

এখন সবকিছু মিলিয়ে দেখলে বুঝা যাবে যে, অসহযোগ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, জনতা ও ছাত্রদের মাঝে পুরোপুরি সমন্ময় ছিলো না; এত বড় আন্দোলনে সবকিছু কড়াগন্ডায় মিলায়ে সমন্ময় করা কঠিন; কিন্তু আন্দোলনের মুল কমান্ডকে আরো অনেক দক্ষ হওয়ার দরকার ছিলো, এবং পাকী সরকারের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য একটা কমান্ড সেল থাকার দরকার ছিলো; তা'হলে ২৫শে মার্চের রাতে এত বেশী প্রাণহানী হতো না।

এর পরবর্তী আরেকটা পদক্ষেপের দরকার ছিলো, সেটা হলো, গ্রামবাসীদের থেকে রাজাকার বাহিনীতে যোগদানে নিরুৎসাহিত করার ব্যাপারে। জামাত ও ছাত্রসংঘ গ্রামের অপড়াধী ও বেকুব ধরনের লোকজনকে রাজাকার বাহিনীতে নেয়ার প্রচেস্টা চালানোর পর, আওয়ামী লীগ থেকে গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ করলে, মানুষ এই ব্যাপারে চিন্তা করার সুযোগ পেতো। রাজাকার বাহিনীতে ছাত্র সংঘের কমবুদ্ধিমান সদস্য ও গ্রামের বেকুব ও দুস্টদের নেয়া হয়েছে, এরা অস্ত্র পেয়ে হত্যা ও লুন্ঠনে মেটে উঠে; প্রথমেই যদি ধারনা দেয়া যেতো যে, পাকীরা পরাজিত হবেই হবে, এবং রাজাকাররা যুদ্ধের পর বিচারের সন্মুখীন হবে, তা'হলে তারা এভাবে নির্ভয়ে হত্যাকান্ড চালাতো না।

আরেকটা বড় পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিলো, যখন শান্তি বাহিনী গঠন করা হচ্ছে; দরকার ছিলো, শান্তি বাহিনীর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে, তাদেরকে ব্যবহার করা; যদি সম্ভব না হতো, তখন সরায়ে দেয়ার ব্যবস্হা নেয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগের বড় নেতারা পালানোর পর, আর বর্ডার ক্রস করে কোনদিন বাংলাদেশে ঢুকেনি; গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা নিজে যা ভালো মনে করেছেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্হা নিয়েছেন; কিন্তু শান্তি বাহিনীকে ব্যবহার করে, প্রাণহানী কমানো সম্ভব হতো; উত্তর চট্টগ্রামে এই পলিসি কাজ করেছে।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অতীতকে নিয়ে সহজেই সমালোচনা করা যায়। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে কাজটি তত সহজ ছিলো না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



অবশ্যই, অতীতকে জেনে বর্তমান আওয়ামী লীগকে বুঝা একটু সহজ হবে। আওয়ামী লীগ আজ যা বলছে, আগামী কাল হলেও বুঝার চেস্টা করতে হবে।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: বর্তমান আওয়ামীলীগকে দেখলেই ৭১ এর আওয়ামীলীগকে চেনা যায়। ১৯৭১ বিজয়ের সকল গৌরব বাংলাদেশের সাধারন জনগনের।- ধন্যবাদ আপনাকে ইতিহাস জানানোর জন্য।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল মানুষের, আর ক্ষমতায় যাবার যুদ্ধ ছিলো আওয়ামী লীগের।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন:


কাক্কু - আমি নিশ্চিত অলসতায় ব্লাক কফি খাইতে খাইতে পোষ্টাইছো ।
তানা হইলে
চোর পালায় যাওনের পর ,বুদ্ধির ভান্ডার দেখাইয়া লাভ কি ????
আছ ত বিদেশ ! টের পাও না

গতকাল সকাল প্রায় সাড়ে 8 টার দিকে প্রেসিডেন্ট বের হবেন.গুলিস্থানের মত ব্যাস্ত এলাকা যদি মাত্র একজনের জন্য 10 মিনিট স্থির হয়ে যায় .


আর আমরা পঞ্চাশ টেকা দিয়া বিজয়ের প্রস্তুতি নেই

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



তখনো কিছু কিছু মানুষ এগুলো বুঝতেন; বলতে চেয়েছেন; কিন্তু অদক্ষরা বুঝতে াপরেনি।

প্রেসিডেন্টার থাকার কথা সিংগাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে, উনি আবার গুলিস্তানে কেন; তাবিজ কেনার দরকার? এদের জন্মানোর কথা ছিল নবাব সিরাজ দৌলার সময়ে, পথে কোথায় দেরী করে ফেলেছিলেন!

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ৭ই মার্চের পর আলোচনা চালিয়ে যাওয়াতে বিপুল সংখ্যক মানুষ দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিল। গ্রামের মানুষকে রাজাকার রা সহজেই বুঝিয়েছিল মুসলিম দেশ ভাগ হয়ে যাবে হিন্দু ভারতের দোসরদের কারণে। বঙ্গবন্ধু নিজেও স্পষ্ট করে কিছু বলার আগেই গ্রেফতার। তাজউদ্দিনরা নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে ভারতের পরামর্শ ও সহায়তায় দেশ স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যায়। যে পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশীরা ভারত থেকে আলাদা হলো সেই পাকিস্তানের আর্মিরা এরকম আচরণ করবে এটাও অনেকের মেনে নিতে সময় নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ছাড়াই সাধারণ জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে...

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


হারানোর সাথে পাওয়া'র যদি কিছুটা মিল থাকতো, সেই বিরাট ক্ষতিকে মেনে নেয়া যেতো; অদক্ষদের জন্য, প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশী মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে; ৪ খলিফা ও সিরাজুল আলম খান পালানোর সময় তাদের পরিচিত ছাত্রদের হলে রেখে পালিয়ে গেছে, এগুলো সত্যই মগজহীন মানুষ ছিল।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের পথের পাচালি লিখার কাজ চলছে ,শেষ হলে পাঠিয়ে দিব এক কপি ।
এক বাড়ীতেই রাজা কার মুক্তি যোদ্ধা ছিল বাঁচার তাগিদে, ইতিহাস বড়ই করুন , যোগাযোগ
ছিল বিচ্ছিন্ন , ন্বাধীন বাংলা বেতার কেন্ত্র শুধুই ছিল এম আর মুকুলের চরমপত্র পাঠের জন্য
যেমন:
আপনাকে স্বাগতম! কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষ। আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ। ঠাস্ কইয়্যা একটা আওয়াজ হইলো। কি হইলো? কি হইলো? ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পিঁয়াজী (নিয়াজী) সা’বে চেয়ার থনে চিত্তর হইয়া পইড়া গেছিলো। আট হাজার আষ্টশ’ চুরাশি দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখ মুছলমান-মুছলমান ভাই-ভাই কইয়া, করাচী-লাহুর-পিন্ডির মছুয়া (গোঁফওয়ালা হানাদার বাহিনী) মহারাজরা বঙ্গাল মুলুকে যে রাজত্ব কায়েম করছিলা, আইজ তার খতম্ তারাবী হইয়া গেল। বাঙালি পোলাপান বিচ্চুরা দুইশ পঁইষট্টি দিন ধইরা বাঙাল মুলুকের ক্যাদো আর প্যাঁকের মাইদ্দে ওয়ার্ল্ড-এর বেস্ট পাইটিং ফোর্সগো পাইয়া, আরে বাড়িরে বাড়ি! ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়াগুলো ঘঁৎ ঘঁৎ কইরা দম ফ্যালাইলো। ‘ইরাবতীতে জনম যার ইছামতীতে মরণ’।..... ২৫শা মার্চ তারিখে সেনাপতি ইয়াহিয়া খান বাঙালিগো বেশুমার মার্ডার করনের অর্ডার দিয়া কি চোট্পাট। জেনারেল টিক্কা খান হেই অর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙালির খুন দিয়া গোসল করলো। তারপর, বঙ্গাল মুলুকের খাল-খন্দক, দরিয়া-পাহাড়, গেরাম-বন্দরের মাইদ্দে তৈরি হইলো বিচ্চু (মুক্তিবাহিনী)। ‘যেই রকম বুনোগুল, সেইরহক বাঘা তেঁতুল।’ গেরামের পোলাপান যেমতে কইর্যা বদমাইশ লোকের গতরের মাইদ্দে চোতরা পাতা ঘইস্যা দেয়, বিচ্চুগো হেই রকম কাম শুরু হইয়া গেল। হেই কাম বিগিন.....ঢাঁই-ই-ই-ই! কি হইলো কি হইলো? ঢাকার মতিঝিলে বিচ্চুগো কারবার হইলো।.... ঘেটাঘ্যাট, ঘেটাঘ্যাট। কি হইলো? কি হইলো? অংপুরের ভুরুঙ্গামারীতে ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়ারা হালাক হইলো।

এরকমই তো ছিল সেদিনকার চরম পত্র । তাই বলা চলে চরমপত্রের আকারে সকল ধরনের কথাই তখন বলা হত ।

তবে আপনি ঠিকই বলেছেন বিবিধ কারণে সে সময়ে অওয়ামী নেতৃত্ব ছিল দুর্বল ও পলায়নপর, যেন চাচা আপন প্রাণ বাঁচা ।

এবং এটাও ঠিক মুক্তিযুদ্ধের সময় সকল সত্যিকার বাঙালিই যুদ্ধ করেছেন। একেকজন একেকভাবে। কেউ অস্ত্র দিয়ে কেউ অশ্রু দিয়ে, কেউ স্টেনগান নিয়ে, কেউ মাইক্রোফোন নিয়ে শব্দসৈনিক হয়ে, কেও সংবাদ আদান প্রদানে , কেও মুক্তি যুদ্ধাদেরে আশ্রয় দানে , আশ্রয় যারা দিয়েছেন ভোগান্তি তাদেরই বেশী গেছে, কারো ঘরবাড়ী পুড়েছে, কেও লাইন ধরে গুলি খেয়ে মরেছে সপরিবারে । তাই এ সকলেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সকলের লক্ষ্য ছিলো একটি পতাকা ও একটি দেশ, বাংলাদেশ। আর ১৬ ডিসেম্বরের পরে দেশ ত্যাগী নেতারা দেশে ফিরলেন বিজয়ের বেশে । হয়তবা তারা ব্যস্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে , থেকে নিরাপদে দুর দেশে । যাহোক, এর কারণও ছিল অনেক, যা আলোচনা করতে গেলে কেবল ধৈর্যচ্যুতিই হবে ।


০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যা ঘটেছে তা বদলানো যাবে না; কিন্তু আগের ইতিহাসের আলোকে, শিক্ষিতদের উচিত হবে আওয়ামী লীগের পদক্ষেপগুলো বুঝা, তারা কি বলছে, কি করছে; কারণ, তারা দ্রুত নেতা জন্ম দেয়, যেগুলো নিজের কাজটাই মনে রাখতে সক্ষম মাত্র।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১০

শাব্দিক হিমু বলেছেন: ইতাহাস পর্যন্ত আজ বাঙালীকে ক্ষমা করে দিয়েছে, আপনিও দেন ;) ;)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



দু:খজনক যে, বেশীর বাংগালী এগুলো বুঝার পজিশনে আজও নেই; সেজন্য তাদিগকে ভয়ংকর মুল্য দি্যে হচ্ছে অন্যদের ভুলের জন্য।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

আহা রুবন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের অনেক দূর থেকে বুদ্ধিতে যা বুঝি--শহরের শিক্ষিত সচেতন মানুষ স্বাধীনতা কী তা বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর গ্রামের চাষা-ভুষারা স্বাধীনতাকে দেখেছে বঞ্চনা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে। এদের সংখ্যাটাই ছিল সব থেকে বেশি। দেশের সমস্ত জনগণই এতে জড়িয়ে পড়েছিল, হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয়ত বিপক্ষে। মুক্তিযুদ্ধকে আমি ব্যাপক অর্থ দেখি। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছে কেবল তারাই নয়, যারা ঝুঁকি নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করেছে, খাইয়েছে, চিকিৎসা-সেবা দিয়েছে, উৎসাহ দিয়েছে, সংগঠিত করে ভারতে যাবার ব্যবস্থা করেছে, দেশে-বিদেশে জনমত তৈরি, সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছে কারও অবদানকেই ছোট করে দেখি না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুদ্ধটা ছিল ৯ মাস, এবং ভয়ংকর।
নেতৃত্ব থেকে মানুষকে বেশী দায়িত্ব নিতে হয়েছে।

অবদান ছিল সবার, স্বাধীনতা সবার; কিন্তু স্বাধীনতা থেকে সুফলে সবার সমান প্রবেশাধিকার নেই, এবং ছিল না।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



চিটাগং'এর খোঁজ খবর কি? আমার জন্য কিছু আছে?

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: টাইম মেশিনে বর্তমান সময়টাকে ৭১ এ ফেলে চোখ বন্ধ করে ভাবলেই তখনকার সার্বিক চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এই সুবিধাবাদী দলেরা চেটে-পুটে খাওয়ার জন্যই জন্ম হয়েছে। বিপদে এদের কাওকেই ধারে কাছে পাওয়া যাবে না। অার অন্যের অর্জনকে কীভাবে নিজের করে নেওয়া যায় তা ভালোমতো রপ্ত করেছে। গ্রামে একটা কথা প্রচলিত আছে, 'খেটে (জনগণ) মরে অালম, টেপা (নেতা) খায় সালোন (ভালো ভালো খাবার)'।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালেই নিজকে প্রমাণ করেছে।

রোহিংগারের সঠিক নেতৃত্ব না থাকায় ওদেরকে কচুকাটা করেছে মগেরা; আমাদেরো সঠিক নেতৃত্ব নেই।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করতে ভয় লাগে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভয়ের কিছু নেই, জাতিকে এগুলো বুঝটে হবে, না'হলে একদিন রোহিংগা হয়ে যেতে পারেন।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অতীতকে খুব সহজেই সমালোচনা করা খুব সহজ,, কিন্তু এরকম একটা বিষয় নিয়ে লেখছেন সেজন্য অভিনন্দন জানাই।
তবে সেই সময়ের প্রেক্ষাপট দেখলে সম্ভবত এই সব বিষয় নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনা করতে পারে নাই; কিছু পরিস্থিতিতে চিন্তা শক্তি কাজ করে না এরকমও হতে পারে!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:

হ্যাঁ, ঘটে যাওয়া ঘটনাকে এনালাইসিস করা সহজ; কিন্তু ইহা যদি ধরা না পরে, অন্যভাবে আবার ঘটতে পারে।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম সময় করে পড়ব।

তবে পরযালোনামুলক লেখাটা ভাল লাগল

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:




চেস্টা করছি বুঝার জন্য, দেখেন, নেতৃত্বের ভুলের জন্য সামনে কি কি ঘটার সম্ভাবনা আছে!

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

বাবুল বাদশা বলেছেন: নেতৃত্ব ভূলের করনে যেটা ঘটবে সেটা পরিস্থিতি পরিপেক্ষিতে বুঝাযায় :) (-_-)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বুঝেন, আপনার বুঝাটা রোহিংগাদের সমান বলে মনে হচ্ছে!

১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

বাবুল বাদশা বলেছেন: নেতৃত্ব ভূলের করনে যেটা ঘটবে সেটা পরিস্থিতি পরিপেক্ষিতে বুঝাযায় :) (-_-)

১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮

প্রামানিক বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



চেস্টা করছি, চেস্টা করছি।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

প্রবাসী দেশী বলেছেন: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল মানুষের, আর ক্ষমতায় যাবার যুদ্ধ ছিলো আওয়ামী লীগের।অবদান ছিল সবার, স্বাধীনতা সবার; কিন্তু স্বাধীনতা থেকে সুফলে সবার সমান প্রবেশাধিকার ছিল না এবং নেই,

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আওয়ামী লীগারা ছিল মুসলীম লীগার ভালো ছোট ভাই।

১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০১

ইফতি সৌরভ বলেছেন: সে সময় শেখ সাহেব হয় তো নিজেই বুঝতে পারেননি পাকিরা এমন শুরু করবে! আসলেই মনিটরিং সেল দরকার ছিল কিন্তু আমার মনে হয় সে সময় কেউ এটা চিন্তা করেন নি। মূল কমান্ডকে আরও বেশি দক্ষ হওয়া উচিত ছিল কিন্তু আমার মনে হয়, তাদের নজর এ দিকে ছিলই না। থাকলে সে রাতেই বেশিরভাগ নেতা গা ঢাকা দিতেন না আর মাঝ থেকে স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে সৃষ্টি ঝামেলা হত না।

দেশ স্বাধীন করেছেন এ দেশের গরীব সাধারণ জনগণ যাদের মধ্যে কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ সহ ছিঁচকে চোর, ডাকাতদের সংখ্যাই বেশি। ধনীদের বেশিরভাগ সপরিবারে পাড়ি দিয়েছিল বিদেশে যাদের অনেকের পরিচয় আজ "মুক্তিযোদ্ধা"! বঙবীর কাদের সিদ্দিকীকে আজ ডাকা হয় 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী' হিসেবে আর মুরগি শাহরিয়ার কবির আজ 'সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা'!! ভারতের যারা মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিল তাদের আজ পুরস্কৃত করা হচ্ছে - ভালো কিন্তু এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখনও ভিক্ষা করে চলছে, টাকার অভাবে চিকিৎসা পায় না, অনেককে তো তাদের বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করছে চেতনাধারী লীগ সম্প্রদায়, আরও কত কাহিনী ..... সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন শুধু সময়ের প্রয়োজনে, মধু খেয়েছে যুদ্ধের সময় রাজাকার গুলো আর যুদ্ধের পরে নেতারা।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল মানুষের, আর ক্ষমতায় যাবার যুদ্ধ ছিলো আওয়ামী লীগের। - একমত

আওয়ামী লীগারা ছিল মুসলীম লীগারের ভালো ছোট ভাই। আর ছোট ভাই চেয়েছিল পাকিস্তানকে শাসন করার ক্ষমতা, স্বাধীনতা না

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধারাই দেশকে সঠিকভাবে চালাতেন, তাঁরাই প্রাণ দিতে গিয়েছিলেন দেশের জন্য; আমাদের নেতারা রোহিংগা নেতাদের মতোই, ভাগ্য যে, আমরা সবাই একই জাতির, মগদের মতো শক্তিশালী কেহ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.