নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার সংস্হাগুলো কেন পুরোপুরি অকেজো হয়ে যাচ্ছে?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩



আরাকানের সাধারণ নাগরিক, রাখইন মগেরা যদি রোহিংগা গ্রামকে ঘেরাও করে, রাত ১২টায় আগুন লাগায়, আর গুলি করে মানুষ হত্যা শুরু করে , কোন মানবাধিকার সংস্হার বাবার সাধ্য আছে তাদের ঠেকায়? কুর্দী টেরিটোরীর ৪/৫ মাইলে দুরে অবস্হিত সুন্নী গ্রামের কয়েক কিশারকে যদি কুর্দী মিলিশিয়ারা ধরে তুলে নিয়ে যায়, কে বাধা দিবে? মোসুলে আইএস যদি ধৃত ইয়াজিদীদের খাঁচায় ঢুকায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরায়ে দেয়, কিভাবে আইএসকে ঠেকাবে? সৌদী পাইলট যদি ইয়েমেনের শিয়া এলাকায় বোমা ফেলে, কোন সংস্হা ওদের বাধা দেবে? আলেপ্পোতে কামানের গোলা ফেলছে রাশিয়ান বাহিনী, উহাদের থামাবে কে? আমেরিকা এক বিন-লাদেনকে উৎখাত করতে দেড় লাখ আফগান, ৩ লাখ ইরাকীকে হত্যা করেছে, এবং নিজের ৫০০০ সৈন্য হারায়েছে; আহতদের সংখ্যা ৩ গুণ; এই অবস্হায়, আমাদের ঝোলা-প্যান্ট-পরা ড: মিজানুর রহমান কার মাথার চুল ছিড়বে?

যারা মানবাধিকার সংস্হাগুলোর বেতন যোগায়, তারাই মানুষ মারছে; এবার আপনি থামানোর চেস্টা করেন; যারা মানুষ মারে, তারাই মানবাধিকার সংস্হার বড় বড় পদে চাকুরী দেয়; চাকুরী দেয়ার সময় ওরা সংস্হায় নিজেদের লোক ঢুকায়ে দেয়!

অন্য দেশের কথা ছাড়েন, আমাদের দেশের কথা ধরেন, আমাদের মানবাধিকার সংস্হার প্রধান ড: মিজানুর রহমানকে দেখলে কি আপনার মনে হয়, যদি ব্লগে কিছু লেখার কারণে পুলিশ আপনাকে আটকায়ে রাখে, উহা আপনার খোঁজ নেবে? উহা যেসব কথা বলে, তাতে মনে হয়, উহার বাকী ভায়েরা পুলিশে কিংবা ডিজিআইএফ চাকুরী করে, অথবা আওয়ামী লীগের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য।

ঘুরেফিরে মানবাধিকার সংস্হাগুলো এনজিও, এরা আমেরিকা ও নিজ দেশের সরকারী পয়সায় চলে; জাতি সংঘ থেকে যে পয়সা পায়, উহা আরো খারাপ, এজন্য যে, জাতি সংঘে চাকুরী পায় পরিচিতের মাধ্যমে, ও দেশীয় কোটায়; এভাবে মানব-দরদী মানুষ এসব সংস্হায় যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে।

বিশ্ব যে রকম হিংস্র অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতায় প্রবেশ করেছে, এই অবস্হায়, মানবাধিকার সংস্হার প্রধানকে হতে হবে বার্ট্রান্ড রাসেল, লিও টলস্টয়,মার্ক টোয়েন, স্টিফেন হকিং'এর মতো লোক; কিন্তু ওখানে এখন ঢুকে যাচ্ছে ড: মিজানের মতো লোকেরা; কয়েকদিন পরে হয়তো জাসদের ইনু, রওশন এরশাদ কিংবা ড: কারজাইও ওখানে বড় কর্তা হয়ে যাবে!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভাবনার বিষয়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




ভাবনার বিষয়, হুশিয়ারে লিখবেন ব্লগে; ধরা খেলে ড: মিজানুর রহমান আপনার খোঁজ না নেয়ার সম্ভাবনা ১০০%

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গোফরান চ.বি বলেছেন: নাম্বার দিলাম কল তো দিলেন না। আপনার নাম্বার দেন আমি কল দেই। ০১৯৭২০৯১০১১

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



কল করবো, একটু দুরে আছি; আমার নাম্বার কল করে দেবো।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নিজেরা ঠিক না হয়ে 'মানবাধিকার ব্যবসায়ী'দের দিকে তাকিয়ে লাভ কী? সবার সব কিছুতে মানবাধিকার ব্যবসায়ী'রা নাক গলালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। নিজ নিজ দেশের সমাধান নিজ নিজ জনগণকেই করতে হবে। মিজান সাহেবদের আগেও অনেক লোক বক বক করেছেন। বকবক চলছেই। আসিফ নজরুল, জাফরুল্লাহ, নুরুল কবির। কারো কথাতেই কাজ হবে না বা অবস্থার পরিবর্তন হবে না যতক্ষণ দুই পরিবার থেকে দেশ মুক্ত না হবে...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন প্রা্য দেশে সরকার কর্তৃক পরিচালিত মানবাধািকার সংস্হা আছে, যারা সরকারের মানবাধিকার লংঘনকে তুলে ধরে না; বরং কৌশলে সরকারকে সমর্থন করে।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিভিন্ন সময়ের কাজ ও বক্তব্য আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে । যতদূর জানি মানবাধিকার সংস্থাগুলি ডোনারদের অর্থে চলে। ডোনারদের স্বার্থেই তাদের অনেক সময় মানবাধিকার নিয়ে একপেশে কথা বলতে হয়। কি আর করা। সেখানে কিছু লোকের চাকরীতো হয় !!!! তবে সবাই এখন জানে কোন মানবাধিকারসংস্থা কার টাকায় চলে , তাই তাদেরকে কেও এখন আর নেয়না আমলে , সকলেই তাদের যায় বিফলে শুধু বিপন্ন মানুষ মরে হরেক রকম তালে ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিপন্ন মানুষকে যদি শিক্ষিতরা বুঝাতে পারেন যে, নিজদের অধিকার রক্ষার জন্য সবাইকে জাতীয় বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, শুধুমাত্র জাতীয় বিষয়ে।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

এই আমি রবীন বলেছেন: মানবাধিকার সংস্থাগুলো হল পাড়ার মাতব্বরের মতো, যাই বলুক না কেন, এক পক্ষ গালি দিবেই।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাতব্বরদের কথা কেহ না কেহ শোনে, কিন্তু মানবাধিকার সংস্হাগুলো কথা কেহই কানে তুলছে না

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

আহা রুবন বলেছেন: দূর্বলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে সারা পৃথিবীর ষণ্ডাদের মধ্যে যেন একটা বোঝা-পড়া আছে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিছু মানুষ অন্যের সম্পদ দখল করে, নিজেদের জীবনের মান উপরে নেয়ার অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যুক্তিপুর্ন পোস্টে, লাইক নাম্বার ৪।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি, আমি ও অনেকে যদি সঠিক সমস্যা বুঝতে পারি, আমরা হয়তো ভুলের পেছনে থাকবো না, যারা ভুল করছে, তাদের সাথে আমরা সহযোগীতা করবো না

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বার্ট্রান্ড রাসেল যদি এখন থাকতেনও এবং মানবাধিকার সংস্থার প্রধানও হতেন তাও কি লোভীদের, অপকর্মকারীদের এসব কাজ বন্ধ হতো? কতটুকু তাঁকে শুনতো বিশ্ব মোড়লরা যথেষ্টই সন্দেহ হয়। ধরা যাক, বিশ্ব মোড়লরা না শুনুক, সাধারণ জনগণ, নিপীড়িত মানুষকে বুঝিয়ে তিনি প্রবল চাপ তৈরি করে রাখতে পারতেন। সেটাও হতো কিনা, হলে কদ্দিন থাকতো সন্দেহ। কারণ, মানবজাতি মজ্জাগতভাবেই প্রচণ্ড স্বার্থপর। নিজ সত্তা ব্যতীত বৃহত্তর মানবিক অনুভূতিটা দমকা হাওয়ার মত মানব মনে এসে ক্ষণিক বিলম্বেই চলে যায়। লিও টলস্টয়,মানবাধিকার সংস্থার প্রধান না হলেও উনি উনার সময় মানুষের জন্য কথা বলার একটা বড় অবস্থানে ছিলেন কিন্তু তিনিও কি পেরেছিলেন ওইসময়ের অরাজকতাগুলো বন্ধ করতে? স্টিফেন হকিং বর্তমানে যে মর্যাদায় আসীন আছেন, উনি চাইলে দায়বদ্ধতা থেকে অনেক কিছু না হোক সামান্য হলেও মানবতার জন্য কিছু করতে পারতেন। কিন্তু বলেননি কিছুই কখনো। উনি মানুষের জন্য করেছেন, মানবতার জন্য নয়। তবে মিজানুর রহমান ঝোলা প্যান্টের মতই ঢোলা মানুষ, একথা সত্য। আমাদের দেশের মানবাধিকার সংস্থাকে একটা সার্কাস দল ছাড়া আর কিছু মনে হয়না।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


হকিং ক্রমাগতভাবে মানবতার কথা বলছেন, পশ্চিমের লোকেরা বুঝতেছে; বাংগালীরা ইনার কথা বুঝার স্তরে যায়নি। রাসেলকে বৃটেনের রাণীও সমীহ করতেন, ব্যক্তিত্ব দরকারী বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.