![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
মাঝে মাঝে কিছু ব্লগার পোস্ট দিয়ে হইচই শুরু করে দেয়, ভারতীয়রা কেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধ বলে, এবং কেন আমাদের বিজয়কে তাদের বিজয় দাবী করে? অমুক ভারতীয় জেনারেল এই লিখেছে, ইন্দিরা গান্ধী ঐ বলেছে; হাজার রেফারেন্স!
আসলে, ঐ সময়ে ২টি যুদ্ধ হয়েছিল, একটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, অন্যটি পাক-ভারত যুদ্ধ; আমাদেরটা শুরু হয়েছিল পাক-ভারত যুদ্ধের ৯ মাস আগে।
অনেক ব্লগারেরা মুক্তিযুদ্ধকে বুঝার মতো অবস্হানে নেই, তবুও উহাকে একটা বিষয় করতে চায়, কিছু একটা বলতে চায়, উহার অংশ হতে চায়; আবার কিছু নিজামী ব্লগার এগুলো লিখে কৌশলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেকের ধারণা পরিস্কার নয়; নিরক্ষরতা, দারিদ্রতা, রাজনৈতিক অস্হিরতা, স্বাধীনতা-বিরোধীদের ক্ষমতায় আসা, নতুন জেনারেশনের পাঠ্য-সুচীতে সঠিক ইতিহাসের অভাব, দৃশ্যপট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্হান, যুদ্ধে শিক্ষিত শ্রেণীর অনুপস্হিতি, ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অনেকের মাথায় ঠিক মতো প্রবেশ করেনি!
পাকিস্তানী আক্রমণের জবাবেই মুক্তিযুদ্ধের সুচনা হয়; যুদ্ধের শুরুতে ইপিআর ও বেংগল রেজিমেন্ট পাকিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে; এরপর ক্রমেই সাধারণ মানুষ যোগ দেন। পুরো যুদ্ধে ড: এমাজুদ্দিন, ড: মুনতাসির মামুন, ড: আনু আহমেদ, ড: হুমায়ুন আহমেদ, ড: মমতাজ উদ্দিনদের মতো লোকজন রণাংগণে বা কোন সেনা-অবস্হানে যাননি; ফলে, কোন কিছু লেখার মতো লোকজন ছিলো না।
যুদ্ধের শুরু থেকেই ভারত অস্ত্র ও ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছিল; ফলে, এটা পরিস্কার ছিল যে, মুক্তি বাহিনীকে সরারি অস্ত্র, আশ্রয় ও ট্রেনিং দেয়ার কারণে, একদিন পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করবে, এক সময় পাক ভারত যুদ্ধ হবে।
মুক্তিযুদ্ধ সাড়ে ৮ মাস চলার পর, পাকিস্তান বাহিনী বুঝতে পেরেছিল যে, তারা পুর্বান্চলে হেরে যাবে। তখন তারা ভারত আক্রমণ করে পশ্চিম সীমান্তে। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে, ভারত দুর্বল পুর্ব পাকিস্তানী বাহিনীকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়; বাংলাদেশ সরকার এই সুযোগ নেয়, চুক্তি করে 'মিত্র বাহিনী' গঠন করা হয়। আমরা মিত্র বাহিনীতে গিয়েছি আমাদের যুদ্ধকে শেষ করে বিজয় আনতে। ভারতের মুল যুদ্ধ ছিল পশ্চিম সীমান্তে।
আমাদের বাহিনী যুদ্ধ শুরু করেছে ২৭ শে মার্চ, এবং বাহিনী জানতো আমরাই জয়ী হবো, সেটাই ঘটেছে, আমরা জয়ী হয়েছি। ভারত জানতো মুক্তিবাহিনীকে সরাসরি সাহয্য করার কারণে একদিন যুদ্ধ হবে, সেটা হয়েছে ডিসেম্বরে; সেটাতে তারা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে।
আশাকরি ব্লগারেরা এখন বুঝতে পারবেন; সামনের দিনগুলোতে অকারণে এধরণের পোস্ট দিয়ে হয়রান হবেন না।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো উপরের তলার নন্দলাল
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১
আহা রুবন বলেছেন: কেউ কেউ হয়ত না জেনে বলে। বেশিরভাগ এসব বলে জেনে-বুঝে শুধু ভারতের অবদানকে বিতর্কীত করতে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
তবে ওরা জানে না যে, তারা নিজের জাতিকে প্যাথেটিক্যালী ছোট করে, নিজেও ছোট হয়!
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৭
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: জি পড়েছি এবং জেনেছি। ধন্যবাদ সঠিক তথ্যের জন্য।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু কিছু বিষয় আছে, সেগুলো সঠিকভাবে জানার দরকার আছে, মুক্তিযুদ্ধ সেই রকম ১টি বিষয়।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এইতো সঠিক তথ্যগুলি বেড়িয়ে আসছে একে একে । সত্যকে মিথ্যে দিয়ে বেশীদিন ডেকে রাখা যায়না , তবে ইদানিংকার লিখাযুকি দেখে মনে হয় অনেকেই সটকে পড়তেছে দৃশ্যপট থেকে এবং কৌশলটাও পরিবর্তন করেছে । তবে তারা দল বেদে চলে
একে বেকে, সময় সুযোগমত হুল ফুটায় কায়দা করে , বুঝা যায় কথার সুরতে । ধন্যবাদ মুক্তি যুদ্ধ , পাক-ভারত যুদ্ধ ও তার বিজয় কৃতিত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের উদ্যোগের জন্য ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতির অনেক কুসন্তান ও বেকুব সন্তান আছে, তারা নিজ জাতির গৌরবকেও অনুধাবন করতে পারে না; কোনটা অপমান, কোনটা গৌরবের, গোবর মাথায় উহাও ঢোকে না। অবশ্য পরাজিতরা কোনদিন জাতির অংশ হতে চাহেনি, পরাজিত হিসেবেই থাকতে চেয়েছে।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: অবশ্য পরাজিতরা (জামাত) কোনদিন জাতির অংশ হতে চাহেনি, পরাজিত হিসেবেই থাকতে চেয়েছে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো আগাছা, আবর্জনা, না চাইলেও বাড়তে থাকে।
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সত্য অনেকসময় তিতা হয়। এক পক্ষ এটাকে হাইড করতে চেয়েছে আরেক পক্ষ এটাকে নিয়ে 'তেনা' প্যাঁচাতে চেয়েছে...
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছাগলদের সমস্যাই বিচিত্র
৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেশে মূর্খের সংখ্যা অাশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে; এমন করে বোঝার অবস্থানে নেই তারা ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ আসলে স্বাধীনতা, মুক্তিযু্দ্ধ ইত্যাদি নিয়ে আর তেমন মাতামাতি করবে না।
৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬
জেন রসি বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়, পাক-ভারত যুদ্ধে ভারতের বিজয়
সহমত। যারা ভ্রান্ত প্রচারনা চালায় তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা নিজের জাতির বিজয়কে অনুধাবন করতে পারে না, উহাদের রাজনীতি মানে ছাগলামী করা
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন: ৩০ লাখ প্রাণের মুল্যের স্বাধীনতা, বিরোধী নেত্রীটা আপনার কে হন?
শেখ হাসিনার সরকার, স্বাধীনতার পক্ষের সরকার; ২০০ একরের উপর বিরাট পালামেন্টে সেশন বসায়, বিল আনে, আইন করে মানুষের অধিকার রক্ষায়, ও মৌলিক অধিকারকে আরো উপরের স্তরে নেয়ার জন্য; কিন্তু হাজার হলেও আমাদের এমপিরা তো মানুষ, তারা ভুল করতে পারে; ক্ষুদ্র জনগোস্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় বিল নিয়ে আসতে পারে, যাতে বৃহৎ জনসাধারণের ক্ষতি হতে পারে; এই অবস্হায় আমাদের রক্ষা করার দায়িত্ব কার?
এই ২০০ একর জমির উপর বড় ভবনে কোন এক কক্ষে একজন আছেন, উনি আমাদের রওশন এরশাদ, আমাদের বিরোধী দলের নেত্রী; উনি আমাদের রক্ষা করার কথা; সরকারী দলের ভুল ও জনস্বার্থ বিরোধী বিলকে আটকায়ে দেবেন উনি, সেই বিরাট দায়িত্ব নিয়েই তিনি ওখানে বসে আছেন? আপনার ভরসা লাগে?
৩০ লাখ মানুষের বিনিময়ে এই দেশ পেয়েছি আমরা; ২০০ একরের উপর বিশ্বের সেরা পার্লামেন্ট ভবন বানায়েছি আমরা; ৪৬ বছর উন্নয়নের পর, ওখানে বিরোধী নেত্রী হিসেবে বসে আছেন আমাদের এরশাদ সাহেবের স্ত্রী; আপনার কেমন লাগে আমি জানি না; যখনই ইহা আমার মাথায় আসে, আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়!
প্রশ্ন হলো, কি করে উনি রাজনৈতিক দলের মালিক হয়েছেন, কারা উনাকে ভোট দিয়েছেন, কোন সিস্টেমে উনি আমাদের পার্লামেন্টে বিরোধী দলের প্রধান হলেন? মনে হয়, প্রতিটি পদক্ষেপ ত্রুটিপুর্ণ; এই বিজয় দিবসে এগুলোর সমাধান করা হোক!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০০
উৎপল চক্রবর্ত্তী বলেছেন: পুরো যুদ্ধে ড: এমাজুদ্দিন, ড: মুনতাসির মামুন, ড: আনু আহমেদ, ড: হুমায়ুন আহমেদ, ড: মমতাজ উদ্দিনদের মতো লোকজন রণাংগণে বা কোন সেনা-অবস্হানে যাননি; ফলে, কোন কিছু লেখার মতো লোকজন ছিলো না।