নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরায়েলের সেটেলমেন্ট বিরোধী প্রথম রেজুলেসান

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮



******** আমার পোস্ট ১ম পেইজে যাচ্ছে না **********************

গত শুক্রবারে, সিকিউরিটি কাউন্সিলের ১৪ দেশ, প্যালস্টাইনের ভুমিতে ও পুর্ব জেরুযালেমে ইসরায়েলের সেটেলমেন্ট নির্মাণ বিরোধী রেজুলেসান পাশ করেছে; আমেরিকা ভোট দেয়নি, ভেটোও দেয়নি; ইসরায়েলের প্রাইম মিনিস্টার নাতিনিয়াহু আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে ভেটো দিতে অনুরোধ করে; ওবামা ভেটো দিতে অস্বীকার করে; এরপর, নাতিনিয়াহু ট্রাম্পকে ফোন করে; ট্রাম্প আমেরিকার সকল নিয়ম অমান্য করে, ওবামাকে ডিংগায়ে সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যদের ফোন করে; এতে মিশর ভোটকে ১ দিন পেছনে নিয়ে যায়; যাক, শেষ অবধি ভোট হয় শুক্রবারে। ট্রাম্প ভয় দেখায়েছে যে, ২০ জানয়য়ারীর পর, এগুলো বদলে যাবে। ট্রাম্পের মেয়ে ইহুদী ধর্ম গ্রহন করেছে, যদিও ইহুদী ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া খুবই কঠিন।

মগজহীন, প্যালেস্টাইনীয়ান গর্দভগুলো এটাকে বিরাট বিজয় হিসেবে নিয়ে বিরাট খুশী; কিন্তু নাতিনিয়াহু বলেছে, তারা এসব 'এবসার্ড রেজুলেসন' মানে না; আসলেই ইসরায়েল গত ৬৮ বছরে জাতি সংঘের কোন রেজুলেসান মানেনি।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে, ইসরেয়েল প্যালেস্টাইনের যে এলাকাগুলো দখল করেছে, সেখানে তারা 'হাউসিং কমপ্লেক্স' গড়ে তুলছে; এগুলোর বিরাট অংশ হচ্ছে আমেরিকান ইহুদীদের ডলারে। বাড়ীগুলো খুবই বিলাসবহুল ও মোটামুটি ফ্রি, শর্ত হলো, বসবাসকারীরা এগুলোকে রক্ষা করবে; তাদেরকে অস্ত্র দেয়া হয়; আশেপাশে প্যালেস্টাইনী বাড়ীঘর থাকলে তাদের সরায়ে দেয়া হয়; কোন আরবকে এলাকায় ঢুকতে দেয়া হয় না; কোন আরব শ্রমিকও এগুলোতে কোন কাজ পায় না।

ইসরায়েলের বিপক্ষে ৫০/৬০ টি বিভিন্ন ধরণের রেজুলেসন পড়ে আছে, জাতি সংঘের ক্ষমতা নেই এগুলোকে কার্যকরী করার; সর্বোপরি জাতি সংঘ ও সিকিউরিটি কাউন্সিলের লোকেরা বুঝেছে যে, আরবেরা এ সমস্যা সমাধান চাহে না, তারা এভাবে গন্ডগোল করে, ছোটখাট প্রতিশোধ নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়।

আসলে, প্যালেস্টাইনীরা যেসব শর্তে দেশ চায়, সেইসব শর্ত মেনে প্যালেস্টাইন করা সম্ভব নয়; সিমন পেরেজ, জেনারেল ইয়াহুদ বারাকের সময় সুযোগ এসেছিল প্যালেস্টাইনকে রাস্ট্রে পরিণত করার, কিন্তু প্যালেস্টাইনীদের নির্বুদ্ধিতার কারণে সম্ভব হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সময়ে, আমেরিকানরা মোটামুটি প্যালেস্টাইনীদের প্রতি কিছুটা নমনীয় হয়েছিল; ইয়াসীর আরাফাতের আমেরিকা ভ্রমণ মানুষকে কিছুটা নমনীয় করেছিল; ইয়াসীর আরাফাত সেই সুযোগ গ্রহন করতে পারেনি; সেইই শুধু প্যালেস্টাইনীদের পক্ষে কথা বলার মতো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এখন কোন প্যালেস্টাইনী নেতার প্রতি আরবদের আস্হা নেই।

প্যালেস্টাইনীরা অন্য আরবদের থেকে আরো বেশী রক্তপিপাসু ও গর্দভ ধরণের; সর্বোপরি, ওরা রিফিউজী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে; রেডক্রস খেতে দেয়, বস্তিতে ঘুমায়; ওরা দেশ চাহে না, যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ চায়; কিন্তু প্রথম আক্রমণটা ওরাই করেছিলো ১৯৪৮ সালে; বেকুবেরা মনে করেছিলো যে, তারা জয়ী হবে; গর্দভেরা বুঝতে পারেনি যে, ইসরায়েলের ইহুদীদের বিরাট অংশ ইউরোপিয়ান; ইউরোপিয়ানদের মাথা আছে, আর উহাদের ইট পাথর আছে।




মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্যালেস্টাইনদের আমিও গর্দভ মনে করি। না হলে স্বাধীনতা সংগ্রামে সবাই যেখানে এক দলের পেছনে থাকে সেখানে হামাস আর ফাতাহ গ্রুপ কেন মারামারি করবে নিজেদের মধ্যে?

(আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় না থাকলেও আমরা মন্তব্য করলে প্রথম পাতায় সাম্প্রতিক মন্তব্য অংশে যাবে)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবেরা পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না; যা পড়ছে ঔগুলো গুহা-মানব স্টানডার্ড; ওরা ইসরায়েল ও আমেরিকার সাথে মিলে, ১০৯৯৩ সালের চুক্তিটা কার্যকরী করতে পারত.

সেটা না করে, ইহুদী মারার জন্য হামাস ইত্যাদি করেছে; গতবার, ৩ জন ইহুদী মেরে ২৩০০ প্যালেস্টাইনী মরেছে, ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নস্ট করেছে; বেদুইনরা জন্মেছে মরার জন্য।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এদের মুরুব্বিরা জমি যুদ্ধের সাথে ধর্ম যু্দ্ধ মিলিয়ে ফেলেছে। জমির জন্য যুদ্ধ পবিত্র হলে বর্তমান আরব রাষ্ট্রগুলোতেও যুদ্ধ লেগে থাকতো। কারণ, বর্তমান আরব রাষ্ট্রগুলো এক সময় এক ছিল এবং আলোচনা ও কিছুটা মারামারি করে এখন আলাদা আলাদা রাষ্ট্র হয়েছে...

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওরা আলাদা হয়েছে তেলের এলাকাগুলো দখলে রেখে, অন্যদের বন্চিত করার জন্য; না হয় কুয়েত, ওমান, কাতার হবে কেন?

যাক, বেদুইনরা কিছুই শিখলো না; ওদের রক্ত দেখে বিশ্ব কাঁদছে, ওদের একাংশ প্যারিসে গিয়ে বাড়ী কিনে ফরাসী মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করছে।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: মুসলিম তাই প্যালেষ্টাইনের কথা বলি, না কি ন্যার্য দাবী তাই সমর্থন করি। সারাক্ষণ নিজেরা নিজেরা ঝগড়ায় লিপ্ত। রিলিফ খাচ্ছে আর রাজনীতিবিহীন রাজনীতি করছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক বলেছেন, "রাজনীতিবিহীন রাজনীতি করছে", কিংবা "বেদুইন রাজনীতি" করছে ইউরোপিয়ান দুস্ট ইহুদীদের সাথে। এগুলো করে, ২ টি জেনারেশনকে শিয়াল কুকুরের মত বাস করতে হয়েছে, ভেঁড়ার মত মরতে হয়েছে।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জাতি সংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে গৃহীত এই রেজুলিশনকে আমরা সাধুবাদ জানাই, কারণ গৃহীত এই রেজুলেশনে ১৯৬৭ সন থেকে দখলীকৃত সকল প্যলেস্টাইনী এলাকায় ইজরায়েলী সেটেলমেন্টকে no legal validity হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে । এই অবৈধ সেটেলমেন্ট ছিল আন্তর্জাতিক আইনের চরম সীমা লঙ্গন এবং ইসরাইল ও প্যলেস্টাইনের মধ্যে দির্ঘমেয়াদী শান্তি স্থাপনের পথে একটি বড় অন্তরায় ।

এটা আর কিছু না হোক বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষে একটি বড় ধরনের গুরুত্বপুর্ণ স্টেপ, এটা দিয়ে পরিস্কারভাবে বুঝানো হয়েছে যে বিশ্ব সম্প্রদায় এক হয়ে কাজ করলে বিবাদমান এই দুই দেশের জন্য এখনো শান্তি অর্জন সম্ভব এবং এর ফলে পরবর্তী মার্কীন সরকার তথা ট্রাম্পকে কিছু করতে হলে বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিপক্ষে গিয়েই করতে হবে ।

জাতি সংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের এরকম গুরুত্বপুর্ণ একটি রেজুলেজনে গ্রহনের মাহেন্দ্রক্ষনের একটি দৃশ্য সামুর পাতায় এ ব্লগে থাকা সমীচীন বলে মনে করি । শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ইতিবাচক একটি দিক কালের সাক্ষী হয়ে থাকুক আমাদের এই সামু ব্লগে । প্যলেস্টাইনীরা হোক না বেদুইন আর মগজহীন, তার পরেও তারা আজ নিরাপত্তাহীন , কামনা করি বিশ্বের বুদ্ধিমান সকল মানব সম্প্রদায় মিলে এদেরকে ফিরিয়ে দিন তাদের আবাস ভুমি ও নীজ পিতৃভুমে বাচার অধিকার ।

১৯৬৭ সন থেকে দখলীকৃত সকল প্যলেস্টাইনী এলাকায় ইজরায়েলী সেটেলমেন্ট বন্দের জন্য জাতি সংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশন

ধন্যবাদ এ গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট দিয়ে সকলকে এ বিষয়ে অবহিত করার জন্য ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতিটি আরব অন্য আরবের শত্রু: কেহ শিয়া, কেহ সুন্নী, কেহ কুর্দি, কেহ ওয়াহাবী; এরা পরস্পরকে হত্যা করার জন্য প্রস্ত্তুত; বিশ্ব কতটুকু করতে পারবে!

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ কথাটা যতার্থ বলেছেন প্রতিটি আরব অন্য আরবের শত্রু:। এখন পর্যন্ত যতজন বিভিন্ন পদের আবরীয় ও প্যলেস্টাইনীদের সাথে ঘনিষ্টভাবে মেলামেশার সুযোগ হয়েছে তাদের করো মধ্যেই সেখানকার শান্তির জন্য আমাদের মত এত মাথা ব্যাথা নেই বলেই দেখা যায় । তাদের জন্য শান্তির বিষয়ে আমাদের জানার মাত্রা ও উৎকন্ঠা দেখলে তারা টাসকি খাইয়া যায় এমনকি সর্বোচ্চ পিএইচ ডি ডিগ্রীধারীরাও । এখন এদেরকে নসিহত করবে কে? ট্রাম্প বাবাজীই মনে হয় উপযুক্ত হতে পারে । ওবামা হিলারীদের কুটনৈতিক চিনি মিঠা কড়া কথা ও আচরণে ওরা আসল পেচটা বুঝতে পারেনা । ট্রাম্পের সোজা সাপটা খোলামেলা আচরণ দেখে যদি তাদের কিছু শিক্ষা হয় । সেখানকার শিয়া, সুন্নী, কুর্দি, ও ওয়াহাবীদের একটা বিষয় শিখা দরকার তা হল কেও কাওকে মেরে বেহেস্ত পাবেনা, আর সকলে মিলে একসাথে শান্তিতে থাকলে দোজখেও কেও যাবেনা ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার মনে হয়, আরবেরা কখনো ধর্মকে বিশ্বাস করেনি; ওরা এটাকে ট্রেডিসন হিসেবে নিয়েছিল। ট্রাম্প একবার বলেছে, " ২ দেশ সমাধান কার্যকরী করে, স্হায়ী শান্তি আনা হবে"। আবার সেইদিন, সিকিউরিটি কাউন্সিলের ভোট বন্ধ করার জন্য টেলিফোন করেছিল।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

আহা রুবন বলেছেন: ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ইহুদিরা ফিলিস্তিনে দখলদার। তাহলে ওদের আদি বাসভূমি ছিল কোথায়? ওরাও তো আরব। ওদিকের কোথাও হবারই কথা। আমার কাছে ব্যাপারটা খুব পরিষ্কার নয়। সম্ভব হলে অল্প কথায় জানানোর অনুরোধ থাকল।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন: ইহুদীরা দাবী করে যে, মুসা নবীর আগে থেকে শুরু করে, যীশুর আগমন অবধি তরা যেরুজালেমের ২/১ শত মাইলের ভেতরে সব সময় ছিল; পরে তারা যেরুজালেম থেকে খৃস্টান ও মুসলিমদের কারণে চলে যায়; মুসলিম সুলতানদের "জিজিয়া কর", ও ক্রুসেড থেকে বাঁচার জন্য তারা ইউরোপে চলে যায়, ও মধ্য এশিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়ে। ১৮০০ সালে থেকে তারা ইউরোপ থেকে যেরুজালেমে ফেরার শুরু করে; আশে পাশের মুসলিম দেশ থেকেও তাদের বের করে দেয়া হচ্ছিল; রাশিয়া থেকেও বের করে দেয়া হচ্ছিল।

১৭৯০ সাল থেকে শুরু করে রাশিয়া থেকে বড় বড় দল ইহুদী এসে হাইফার আশে পাশে পতিত ভুমিতে চাষাবাদ শুরু করে; ১৮৯৭ সালে, তারা সুইজারল্যান্ডে এক মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা যেরুজালেমে ফিরবে, এটি ছিল "জিওনিস্ট সন্মেলন"।প্যালেস্টাইন তখন অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রদেশ, রাজতন্ত্রের অংশ; প্যালস্টাইন স্বাধীন ছিলো না; এরপর ইউরোপ থেকে আসা শুরু করে; যেরুজালেমে বাড়ীঘর কেনে, আশেপাশে জমি কেনে।

১৯১৭ সালে, ১ম মহাযুদ্ধ চলাকালে বৃটিশ প্যালেস্টাইন দখল করে, উহা ভারতের মতো কলোনীতে পরিণত হয়; ১৯২২ সালে বৃটিশ ঘোষনা দেয় যে, তারা প্যালেস্টাইন ছেড়ে যাবে। তখন ইহুদীরা প্যালেস্টাইনের একাংশে ইহুদী দেশ করতে চায়; মুসলমানেরা বৃটিশকে নিষেধ করে; কিন্তু মুসলমানেরা বুঝতে পারেনি যে, ইহা কলোনী, কলোনীর মালিক বৃটিশ। ১৯৩০ সাল থেকে দলে দলে ইহুদী ইউরোপ থেকে আসা শুরু করে; তারা আরবদের থেকে কিছু জমি কিনে নেয়; কিছু দখল করে; কারণ, মালিক বৃটিশ, বিক্রয় করছে আরবেরা। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর, জাতিসংঘ ও ইুরোপ মিলে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ওখানে ২ টি দেশ হবে: ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন। মুসলমানেরা বিরোধীতা শুর করে; এতে অনেক গ্রামে দাংগা হয়, তাতে মুসলমানেরা মরতে থাকে; কারণ, "জিওনিস্ট"দের কাছে ইউরোপিয়ান অস্ত্র ছিল ও তারা আরবদের চেয়ে ধুর্ত ছিলো।

মুসলমানদের প্রতিনিধি ছিল আল-আকসা মসজিদের মুফতি; বেকুব আরবেরা আর লোক খুঁজে পায়নি!

এবার, জর্ডান, ইরাক, মিসর, সিরিয়াসহ ১২ মুসলিম দেশ সিদ্ধান্ত নেয় যে, জাতি সংঘ ইহুদীদের দেশ দিলে, মুসলমানেরা যুদ্ধ করে দখল করে নেবে।
১৯৪৮ সালে, মে মাসে ১৪ তারিখে বৃটিশ ও জাতিসংঘ ২ পক্ষকে ডাকেন কাগজে সাইন করে দেশ বুঝে নিতে; ইহুদীরা গিয়ে দেশ নেয়, ৫৪% ভুমি; আরবেরা যায়নি; সকালবেলা, ১২ দেশ মিলে নতুন দেশ ইসরায়েলকে আক্রমণ করে; ৩ দিনের যুদ্ধে মোটামুুটি বড় এলাকা দখল করে নেয় আরবেরা; ইহুদীরা যুদ্ধ বিরতী চায়; ১ সপ্তাহের মাঝে ইহুদীরা আমেরিকান অস্ত্র ও আমেরিকান ভলনটিয়ার নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে নতুন ভাবে; ১০ মাসের ভেতর ইহুদীরা ১২ দেশকে পরাজিত করে ৬০% ভুমি দখল করে নেয়।

৪০% যায়গা আরবদের দখলে থাকে, উহা জর্ডান ও মিশরের দখলে যায়; তবে, উহা কোন রাস্ট্র নয়।

প্যালেস্টান বলে কোন রাস্ট্র আজও নেই, আছে ইহুদী দেশ ইসরায়েল; এরপর ১৯৬৭ সালে, ১৯৭৩ সালে পুরো প্যালেস্টাইন দখল করে নেয় ইহুদীরা। এখন ওয়েস্ট ব্যাংকে ও গাজাতে আছে "প্যালেস্টাইনী রিফিউজী ক্যাম্প"; দেশ বলটে কিছু নেই।

তবে, প্যালেস্টাইনীরা প্রতিশোধের কথা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে দেশ করতে চাইলে, দেশ করা সম্ভব; আবার, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের সুন্নী, শিয়া, কুর্দি ও ওয়াহাবীদের যুদ্ধ দেখলে মনে হয়, ইহুদীরা ভয়েও দেশ দেবে না।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

রাফা বলেছেন: আমেরিকা ও ইজরাইল কখনও জাতিসংঘের তোয়াক্কা করেনা।ঐখানে কি পাশ হলো আর কি হলোনা তাতে তাদের কিছুই আসে যায়না।ইরাক যুদ্ধ সবচাইতে নতুন প্রমাণ।প্যালেস্টাইনিরা যুদ্ধ করে কখনই স্বাধীনতা পাবেনা।তাদেরকে দয়া করে ভারত/পাকিস্তানের মত দান করতে হবে তাদেরই ভূমি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকার উচিত, গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাংক দখল করে, সব হামাস ও পিএলও'কে ইরান ও মরক্কো'তে পাঠায়ে দেয়া; এরপর, সেখানে প্যালেস্টাইন করে, ভেতরের লোকদের দ্বারা ১০ বছর চাানোর পর, দেশ ওদের কাছে ফেরত দেয়া।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

আহা রুবন বলেছেন: তাহলে যা বোঝা গেল ইহুদীরা যখন দূর্বল ছিল আরবের মুসলিম দেশগুলো ইহুদীদের কোনও দেশ গঠন করতে দিতে রাজি হয়নি। যেহেতু ওরা সবাই আরব, ধর্মীয় কোন দেশ না গড়ে সবাই মিলেমিশে থাকলে মনে হয় এইসব সমস্যা তৈরি হত না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৪ মে, ১৯৪৮ সালের রাতে বৃটিশদের মিটিং'এ উপস্হিত থাকলে, ৪৬% ভুমি নিয়ে প্যালেস্টাইন দেশ পেয়ে যেতো; প্যালেস্টাইনীরা যায়নি, কারণ তারা পুরো প্যালেস্টাইন চেয়েছিলো ও প্ল্যান করেছিলো যুদ্ধ করে দখল করার; এখন এই অবস্হা; সব বাংগালী খালি ইহুীিদের দোষ দেয়, তারা জানে না যে, প্যালেস্টাইন দেশ ছিলো না, ছিল বৃটিশ কলোনী। বৃটিশ ২ দেশ করতে চেয়েছিলো, আরবেরা মানেনি; আজ দেশ নেই।

আরবেরা সব দেশ থেকে সব ইহুদীকে বের করে দিয়েছে ক্রমেই; পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেভাবে হিন্দুদের বের করা হয়েছে।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

এই আমি রবীন বলেছেন: চালিয়ে যান, সাথে আছি.......
(আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় না থাকলেও আমরা মন্তব্য করলে প্রথম পাতায় সাম্প্রতিক মন্তব্য অংশে যাবে)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজ ২ দিন ধরে নাতিনিয়াহু ওবামাকে দোষারোপ করে চলেছে; নাতিয়ানাহু বিশ্বের অশান্তির কারণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.