![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
গত ৩ দশকে বিশ্বে ধর্মীয়দের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অধর্মীয়দের থেকে অনেক বেড়েছে; এর কারণ হচ্ছে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, সোভিয়েত ব্লক ও চীনের সোস্যালিজম থেকে সরে যাওয়া। ১৯৯০ সালের দিকে সোভিয়েতের ৩২ কোটী ও পুর্ব ইউরোপের সোস্যালিস্ট ব্লকের ২৫ কোটীর প্রায় সবাই ছিল "এথেইস্ট", এরা ধর্ম তো দুরের কথা জীবিত সৃস্টিকর্তায় বিশ্বাস করতো না; তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে চীনের ১২৫ কোটী।
সোস্যালিজম থেকে বের হয়ে আসা ১৯০ কোটীর মাঝে বিরাট সংখ্যাক ক্রমেই ধর্মীয় হচ্ছে, হওয়ার চেস্টা করছে; অধর্মীয় ও এথেইস্টদের থেকে ১৯০ কোটী সরে যাওয়ায় অধর্মীয়রা আনুপাতিক হারে কমে গেছে।
এতে বিশ্বে সমস্যার সৃস্টি হচ্ছে কিনা? না, এতে ধর্মীয় ও অধর্মীয়দের মাঝে নতুনভাবে কোন সমস্যা সৃস্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই; কারণ, এই ১৯০ কোটী মানুষ বেশ শিক্ষিত, এরা সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে আধুনিক বিশ্বের পুরোভাগে আছে। ধর্ম এদের কাছে অনেকটা রহস্যের মতো ছিলো, কারণ, রাস্ট্র তাদেরকে ধর্ম-চর্চা ও ধর্ম নিয়ে ভাবার সুযোগ দেয়নি; এখন তারা তাকে আলিংগন করছে, তাকে বুঝার চেস্টা করছে, বুঝার সুযোগ হচ্ছে। এদের ধর্মীয় মনোভাব তাদের সমাজ ও রাস্ট্রীয় জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
একা রাশিয়ায়, ১৪ কোটী মানুষ ধর্মীয় হয়েছে; এতে রাশিয়ানদের জীবনের উপর নতুন কোন প্রভাব পড়েছে? তারা কি রাশিয়াকে খৃস্টান দেশ হিসেবে দেখতে চায়? না, তারা এটাকে অনেকটা সাংস্কৃতিক জীবনের বৃহত্তর পরিসর হিসেবে নিচ্ছে। পোল্যান্ড, রুমানিয়া, হাংগেরীতে নতুন নতুন ধর্মীয় সংস্হা গড়ে উঠছে; কিন্তু সামাজিক বা রাস্ট্রীয় জীবনে কোন নতুন প্রভাব পড়ছে না।
এদিকে অধর্মীয়দের সংখ্যা তেমন বাড়েনি, কিন্তু ধর্মের প্রভাব বিশালভাবে কমে আসছে পশ্চিম ইউরোপ ও ২ আমেরিকায়; এশিয়ায় জাপানকে এখন পুরোটাই ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত দেশ বলা চলে। জাপানের প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ কোরিয়ায় ও ভিয়েতনামে। আফ্রিকান দেশ সমুহের মাঝে আলজিরিয়ায় ধর্মের প্রভাব অনেকটা ইউরোপীয় দেশসমুহের পর্যায়ে পৌঁচেছে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভুল পোস্টে এসেছেন।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: বিগত বছরগুলোর থেকে দ্রুত আনুপাতিক হারে নাস্তিকদের সংখ্যা বাড়ছে ।
স্ব-প্রভাবিত বা অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যেভাবেই হোক না কেন এই সংখ্যাটা বাড়ছে ।
এতে কোন সমস্যা হবার কথা না যদি না মৌলবাদীরা বেঁকে না বসে ।
আমি আপাতত বাংলাদেশের কথাই বলছি । এদেশের এথিজমের চর্চা ২০১০/২০১১ থেকে কয়েকগুন বেড়েছে যার কারন প্রচারণা ।
মানুষের কাছে এটা একটা নতুন সাবজেক্ট ছিল । তারা বেশি আগ্রহী ছিল ।
এতে ধর্মীয় ও অধর্মীয়দের মাঝে নতুনভাবে কোন সমস্যা সৃস্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই;
একমত ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলায় ( এপার, ওপার) এথেইস্টরা ছিল, শিক্ষার সাথে সামানুপাতিকভাবে বাড়বে; কিন্তু প্রচার ছিলো না; বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ফলে, কিছুটা প্রচার হচ্ছে। ওপার বাংলায় এথেইস্টরা সমস্যা পড়বে না; কিন্তু এই বাংলায় সমস্যা হবে।
যেহেতু 'এথেইজম' ধর্মের বিপরিত কিছু নয়, বরং শুধুমাত্র শিক্ষার ফসল, এর প্রচার ও ধর্মের বিপরিতে দাঁড় করানো মহা ভুল; ধর্ম ও এথেইজম মানুষের জীবনের ভিন্ন ধারা হয়ে থাকবে কয়েক শতক ধরে।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: ধার্মিক হলেও সমস্যা নাই, ধার্মিক না হইলেও সমস্যা নাই, বক ধার্মিক আর কট্টরপন্থী হইলেও সমস্যা দাড়াইবো
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইউরোপ, আমেরিকায় ও উন্নত দেশ সমুহে ধার্মিক ও অধার্মিক কোনভাবে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল না হওয়ায় কোন সমস্যা হচ্ছে না।
ধর্ম যেহেতু লজিক, বা সায়েন্স নয়, তার বহুরূপ থাকবে, এবং ক্রমাগতভাবে বদলাতে থাকবে, সবচেয়ে বড় পুরোহিতও ধর্ম জানে, গৃহহীনও ধর্ম জানে; কিন্তু গৃহহীন সায়েন্স জানার কথা নয়।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১১
রাফা বলেছেন: মূল কথা ধর্ম যার যার আর রাষ্ট্র সবার এই বিশ্বাস যতদিন না আসবে একটি দেশের অধিকাংশ নাগরিকদের মধ্যে ততদিন সমস্যা হোতেই থাকবে।
বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যে কয়েকজন ব্লগার হত্যা করা হয়েছে তা শুধু ধর্মকে ব্যাবহার করেই করা হয়েছে।কাজেই একটু চিন্তা করে দেখেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য কোন উদাহরণ নয়, বিশ্বের বড় অংশে ধর্মীয় ও অধর্মীয়রা এক সাথে বসবাস করছে; শিক্ষা, সায়েন্স, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ধর্ম, টেকনোলোজীর জন্য বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে নেই।
বাংলাদেশকে শিখতে হবে অনেক কিছু, শিক্ষা নিতে ও শিক্ষাকে কাজে লাগাতে গিয়ে কিছু দ্বন্দ্ব হবে; শিক্ষাই জয়ী হবে।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: এর প্রচার ও ধর্মের বিপরিতে দাঁড় করানো মহা ভুল
প্রচার তো আসলে অটোমেটিক হয়ে যায় ।
আর ধর্মের বিপরীতে দাঁড় করানো হয় না ঠিকই কিন্তু ধার্মিকেরাই তো ধর্মকে এথিজমের বিপরীতে দাঁড় করায় ।
আর হ্যাঁ, এপার বাংলার এথিষ্টরা আসলেই বিপদে ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এথেইজম হলো একটি কমপ্লেক্স ধারণার সমস্টি; এ ধারণাটি ধর্মের পক্ষের ধারণা নয়; ফলে, ধর্মীয়রা এই ধারণাকে সহ্য করবে না; আমাদের মতো কম শিক্ষিত সমাজে কনফ্লিক্ট এড়ানো খুবই দরকারী বিষয়।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩০
রাফা বলেছেন: অবশ্যই বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য অপরিহার্য।ভবিষ্যত পৃথিবিকে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ-এটা শুধু আমার কথা নয় বিভিন্ন গবেষণা থেকেই বেরিয়ে আসছে এগুলো।
সারা পৃথিবীর জন্য যদি শুধু একটি শহর থাকতো সেটার জন্য সবচাইতে উপযুক্ত হোচ্ছে আমাদের ঢাকা শহর।খুব আশ্চর্য লাগছে তাইনা?কিন্তু এটাই বেরিয়ে এসেছে বর্তমান গবেষণায়।এরপরে সিরিয়ালি আছে নিউ ইয়র্ক ও কলকাতা।
আসলে আমাদের চিন্তা ও মননে নেতিবাচক ধারনা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই এটাই হইতেছে সমস্যা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমস্যা আছে বলেই মানুষ মাথা ঘামাচ্ছে।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: এথিজম মোটেই কোন কঠিন ধারনা না । এটা একটা সহজ ব্যাখ্যাঃ ঈশ্বর নেই ।
বরং ধর্মই জটিল । কত শাখা, প্রশাখা , নদী , উপনদী ।
তবে হ্যাঁ এথিজমের মূল ধারনাটা অর্জন করাটাই শক্ত। নট জটিল ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম জটিল হচ্ছে, কারণ ধর্ম মুলত কোন লজিকের উপর প্রতিস্ঠিত নয়; ফলে, এর শুরু ও শেষ নেই; কিন্তু সায়েন্টিফিক ধারণা লজিক্যাল, কোন শাখা প্রশাখা নেই, তবে বুঝতে শিক্ষার দরকার।
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আই খম্পিলিঠলি এ্যাগ্রি উইথ ইউ
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
তৃতীয় বিশ্বে, ধর্মের কারণে জনসংখ্যার একাংশ দ্বৈত জীবন যাপন করছে, এর ফলে, সমাজে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
সকলেই সকলের মঙ্গল চাওয়াই একটি বড় ধর্ম । যতদিন মানুষ এ ধর্মে দিক্ষীত হতে না পারবে ততদিন চলমান ধর্ম অধর্ম কি কাজে লাগবে এ দুনিয়ায় । দুনিয়াতে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বসী ও ধর্ম-অবিশ্বাসীদের সার্বিক চিত্রটা দেখা যাক নিচে ।
শুভেচ্ছা রইল
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় ও অধর্মীয়রা ইউরোপ, আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাস করছে একত্রে। মুসলিম দেশ সমুহে অসুবিধা হচ্ছে; কারণ, মুসলিম দেশগুলোতে মানুষ দ্বৈত জীবন যাপন করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
ব্যাপক গবে +এষণা