নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়ালেখা থেকে বন্চিত হওয়ার বেদনা কি বাচ্চারা অনুভব করে?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬



একটা বাচ্চা স্কুল থেকে বন্চিত হলে, কখন, কোন সময়ে সে হারানো এই সুযোগের জন্য ব্যথা অনুভব করার শুরু করে? তারা কি কাউকে এজন্য মনে মনে দোষারূপ করে?

আমরা যারা ব্লগে আছি, তারা জীবনে স্কুল থেকে বন্চিত হওয়ার বেদনা পাইনি; আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যারা কোন একটা সাবজেক্ট পড়তে চেয়ে, সেটি পড়ার সুযোগ না পেয়ে অনেক কস্ট পেয়েছেন। আজকাল, ডাক্তারী, ইন্জিনিয়ারিং, কম্প্যুটার সায়েন্সে সুযোগ না পেয়ে কত ছেলেমেয়ে বিশালভাবে হতাশ হচ্ছে, তা আপনারা দেখছেন। কিন্তু যে বাচ্চা জীবনে পড়ালেখা বন্চিত হয়েছে, তার কি অবস্হা? কখন, কোন বয়সে সে বুঝতে পারে যে, সে বন্চিত! তখন কি ধরণের বেদনায় সে ভোগে, কত সময় অবধি সে ভোগে?

এখন দেশে প্রায় ৪/৫ লাখ চাকরাণী আছে, যাদের বয়স ১৫ বছরের নীচে, এবং ২ লাখের মতো তথাকথিত 'জাতীয় টোকাই' আছে, যারা সম্প্রতি স্কুল থেকে বন্চিত হয়েছে; তারা কি স্কুল থেকে বন্চিত হওয়ার বেদনায় ভোগে?

অবশ্যই ভোগে, এই বেদনা বিশাল বেদনা, কিন্তু তারা তা প্রকাশ করতে পারে না, প্রকাশের অবস্হানে নেই! মনে হয়, এই বেদনা সারা জীবনের জন্য সাথী হয়ে যায়।

আমার প্রাইমারী স্কুলে যাওয়ার পথে, পাশের গ্রামে একটা দরিদ্র হিন্দু বাড়ী পড়তো, তাদের পেছনের পুকুরের পাড় ঘেঁষে রাস্তা চলে গেছে; পুকুরের পাড়টা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করা ছিল, এবং ভেতরে ছোট্ট একটা গরু ঘর, সেখানে ১টি মাত্র গাভী ছিল; ৭/৮ বছরের ১টি মেয়ে গাভীটির দেখাশোনা করতো; আমি স্কুলে যাবার পথে তাকে দেখতাম, ফিরে আসার পথেও তাকে দেখতাম। আমি নিজের থেকে তার সাথে কথা বলার শুরু করেছিলাম, ওর নাম ছিলো পুস্প; ওর বাবা ওর বয়সের তুলনায় বেশ বুড়ো ছিলো, ওরা খুবই দরিদ্র ছিলো; পুস্প কোনদিন স্কুলে যায়নি; সে আমার বইগুলো দেখতে চাইতো সব সময়, সে বই'এর ছবি দেখতো, লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে পেয়ারা, লেবু, আম দিতো। আমি ২য় শ্রেণীতে উঠার পর, আমার ১ম শ্রেণীর ২টি বই আমি ওকে দিয়েছিলাম; কিন্তু সে সেগুলো কখনো পড়তে শিখেনি।

হাই স্কুলে পড়ার সময়, তার সাথে মাঝে মাঝে দেখা হতো; কলেজের সময় আমি শহরে ছিলাম, ২/১ বার দেখা হয়েছে; মুক্তিযুদ্ধের পর, সে আমাকে দেখতে এসেছিল; সেদিন আমি জীবনে প্রথমবার অনুভব করেছিলাম যে, আমি তো ওর জীবন নিয়ে ভাবিনি কোনদিন, সে আমাকে মনে রেখেছিল। আমি ৫ বছর ওর সামনে দিয়ে স্কুলে গিয়েছি, ফিরে এসেছি, সে আমার যাওয়া আসা দেখতো; সে কি মনে মনে স্কুলে যাবার জন্য ব্যথাতুর হতো?

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যিই তো আপনার মনে রাখা উচিত ছিল। আমরা কেহই পার্শ্বের কারোর তেমন খবর রাখিনা ।
বঞ্চিত শিশুদের পাশ্বে এখন কিছু সংগঠন এসে দাড়াচ্ছে । তা চোখে পড়ে মাঝে মধ্যে সোসাল মিডিয়ার কল্যানে।
সবার জন্য শিক্ষা চাই।
ভাল লাগলো আপনার পোষ্ট খানি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবার শিক্ষার অধিকার প্রতিস্ঠা করা আজকের ১ম কাজ।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার শেষের কথা গুলো পড়ে হৃদয় নাড়া দিয়ে ওঠলো। আমার এক প্রাইমারী বাল্য বন্ধু (অন্য গ্রামের) আমি যখন বি বি এ করি আমাদের দাওয়াত দিয়েছিল। দারিদ্রতার কষাঘাতে প্রাইমারী পার করতে পারেনি সে। আমি আর আমার এক বন্ধু গিয়েছিলাম। সেদিন পুরানো দিনের অনেক কথা বলেছিল যেগুলো আমাদের অধিকাংশ মনে ছিল না। লেখাপড়া করতে পারেনি তার একটা ব্যাথা তার ছিল সেদিন কিছুটা অনুভাব করলেও আজ সেটা পুরাপুরি মনে হল।

লেখাপড়া শেখা থেকে বঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য আমাদের দেশে, আমাদের সমাজ, আমরা কেউ কোন পদক্ষেপ নিই না। তাদের লেখাপড়া বঞ্চিত হওয়ার পিছনে আমরাও দায়ী....

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরাই দায়ী; ওরা সমাজের দুর্বল অংশ, ওরা জানে না যে, পড়ালেখা ওদের অধিকারের মাঝে ছিলো।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮

জাহাজী বলেছেন: রাস্তায় বের হলে দেখা যায় কোথায় কোন সমস্যা। কিন্তু আমরা তো চোখ বন্ধ করে হাটি। কখন মানতে চাই না যে তারাও সমাজের অংশ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমরা নিজেদের মাঝে প্রতিযোগীতায় নেমেছি; একাংশকে পেছনে রাখার অপরাধ-বোধ মনে আসছে না।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে উন্নয়নের জোয়ার হয়, অনেকে এই উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেন। সমাজের উপ্রের মহল ওদের মানুষ হিসেবে ভাবতে নারাজ। আবার তথা কথিত বু+র+জু+য়া সু-চীল সমাজের ওদের নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তাদের দায়িত্ব হল প্রগতিশীল প্রগতিশীল জিগির তোলা। প্রগতিশীল না থাকাটাই সব সমস্যা মূল। দেশে আর কোন সমস্যা নেই। প্রগতিশীল জিগির তুলতে পারলে সব মুছিবত আছান হয়ে যাবে। তাদের এস্কে ক্লবে অসাম্প্রদায়িক নূরে তাজ্জালিতে আলোকিত হব।

অন্য দিকে,
হাসিনা তার সন্তানদের য়ূরোপে এবিসি শিখাইছে, খালেদার বড় ছেলে দৌড় খেয়ে লন্ডনে ক. খ, এবিসি শিখতেছে।
কিন্তু এ সমস্ত আদম সন্তানেরতাদের শৈশব ব্রাকেটের বৃত্তে বন্ধি হয়ে আছে। আমি তাদের নিয়ে ছোট্ট পরিসরে একটি ছবি ব্লগ দিয়ে ছিলাম। আপ্নিও তাদের নিয়ে লিখলেন। সবার লেখা উচিত।

http://www.somewhereinblog.net/blog/shadathosain/30174828

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের তেমন কিছু করতে হবে না, ওদের অধিকার আছে, এ কথাটা বুঝলেই হবে; ওদের জন্য সম্পদও আছে জাতির।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যতই বলুক- যাইই বলুক-- এখনও লক্ষ লক্ষ বাচ্চা স্কুলে যায় না। যাওয়ার সুযোগ পায় না। এজন্য দায়ী সরকার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা সরকারে আছেন, সবাই দুর্নাম নিয়ে হারিয়ে যাবেন; মধুর কেন্টিনের মাথা নিয়ে আর কত দুর?

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সব সরকার চেস্টা করে গেছে এবং করছে। দরকার জনসচেতনতা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখানে আপনার সাথে দ্বিমত, পড়ালেখায় জন সচেনতার ব্যাপারটা বড় নয়; কারণ, জাতিকে শিক্ষিত করে তোলা একটা কাজ; কাজটা হলো শিশুদিগকে স্কুলে আনা ও ধরে রাখা। আর, প্রাইমারী শিক্ষা কলোনীর শেষ সময়ে বৃটিশরা চালু করেছিল ১৯২০ সালের দিকে; আমরা কেন এখনো প্রাইমারীর কথা বলছি?

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আমি জানি আপনি এখন সেটা মনে করে কষ্টপান মাঝেমধ্যেই যখন মনে হয় আপনার শিশুকাল। সেও শিশুকালে কষ্ট পেয়েছে স্কুলে না যেতে পেরে। তাই বলে আপনাকে দায়ি সে করে না। আফসোস করে, আহ! তারও যদি পারিবারিক অবস্থা ভাল থাকতো, তবে সেও আপনার সাথে, অন্যান্য শিশুদের সাথে স্কুলে যেতে পারতো! তার সেই আফসোস এখন দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। নিশ্চয় হয়েছে।

আপনার মনন চিন্তা লাখো স্যালুট। সবাই যদি আমরা আপনার মতো ভাবতে পারতাম, অসহায়দের জন্য সামান্য চিন্তা করতে পারতাম তাহলে এইদেশে কোনো মানুষই নিজেকে অসহায় মনে করার সুযোগ পেতো না।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির শিক্ষিত অংশ যদি বুঝতে পারে যে, জাতির প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার আছে, এবং সেটার জন্য জাতির যথেস্ঠও আছে; জাতি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারবে; গত ৪৬ বছর ধরে যারা দেশ চালাচ্ছেন, তারা জনসংখ্যাকে নিজেদের বাজার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাদের পিতাদের কর্মক্ষম রাখলে তারাও স্কুলে যেতে পারতো...

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্র ও অশিক্ষিত পিতামাতার সন্তানদের পড়ালেখা করানোর দায়িত্ব জাতির; সেটা জন্য প্রতিটি জাতির যথেস্ঠ সম্পদ আছে।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫১

প্রবাসী দেশী বলেছেন: দেখুন ২২ লাইন এর ব্লগ লিখেছেন ধন্যবাদ।যদিও বিষয়টা আপনার আদর্শিক কিন্তু বিষয়টা কিন্তু ২২ লাইন এর নয়.. আর এর উত্তর ও কিন্তু ২ লাইন এ দেয়া বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়না।যেখানে নুন আন্তে পান্তা ফুরায় সেখানে কিছু মানুষের দূর থেকে কাশ বন জঙ্গল মনে হতে পারে। আপনার এই কথাটার ব্যাখ্যা দিলে খুশি হতাম : "আমাদের তেমন কিছু করতে হবে না, ওদের অধিকার আছে, এ কথাটা বুঝলেই হবে; ওদের জন্য সম্পদও আছে জাতির"

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথমত: ১০ শ্রেণী অবধি বাচ্ছাদের পড়াতে নতুন স্কুলের দরকার নেই, দরকার শিক্ষক। যেই পরিমাণ বাংগালী ছেলেমেয়ে "টিউসানী" করে, তদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে ১২ ক্লাশ অবধি পড়াতে পারবে। সবাই টিউশানী করে নিজ বাসার আশেপাশে ও পার্ট টাইম। ২০% ছেলেমেয়ের খাবার ও কাপড়ের দরকার হবে; বিশ্বের সবাই সাহায্য করবে।

যারা টেননিক্যাল ক্লাসে পড়বে আজকের বিশ্বে, তাদেরকে পড়ানোর জন্য করচ খুবই সামান্য; ২০% ছেলেমেয়েদের খাবার ও থাকার ব্যবস্হা করতে বছরে দেড় থেকে ২ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে; চুরিদারীর পরও, আমাদের অলস রিজার্ভ বছরে ২/৩ বিলিয়ন ডলার।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বর্তমান বিশ্বে শিক্ষিত মানুষই সম্পদ; আমাদের অলস রিজার্ভ ও পার্ট টাইম টিউসানীর লোকেরা ১০ বছরের সবাইকে শিক্ষিত করতে সক্ষম; যারা ১০ বছরে শিক্ষিত হবে, তারা গত ৪৬ বছরের সম্পদ ২ বছরে জমা করতে সক্ষম হবে।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৫

আহা রুবন বলেছেন: আমি ৫ বছর ওর সামনে দিয়ে স্কুলে গিয়েছি, ফিরে এসেছি, সে আমার যাওয়া আসা দেখতো; সে কি মনে মনে স্কুলে যাবার জন্য ব্যথাতুর হতো? বড় একটা ধাক্কা খেলাম! আসলেই আমরা তো কেউ এভাবে কখনও ভাবিনি। বাপের বয়সি একজন পড়া শিখতে চেয়েছিল, তাকে পড়তে না শিখিয়ে নাম লিখতে শিখিয়েছিলাম। একটু চেষ্টা করলে পড়তে শেখানো যেত। আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা ব্যাপক।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি যদি আমার কথায় ধাক্কা খন, মন্ত্রী নাহিদ সাহেব আরো বড় ধাক্কা খাবে, উনি চোখে কম দেখেন ও মাথায় ভাবনাও কম।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শিরোনামে বাচ্ছারা না বাচ্চারা হবে??

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি।

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি ৫ বছর ওর সামনে দিয়ে স্কুলে গিয়েছি, ফিরে এসেছি, সে আমার যাওয়া আসা দেখতো; সে কি মনে মনে স্কুলে যাবার জন্য ব্যথাতুর হতো?
চিন্তার বিষয় বটে, তবে উত্তর আপনি লেখার মাঝখানেই দিয়েছেন! "মনে হয়, এই বেদনা সারা জীবনের জন্য সাথী হয়ে যায়।"
আমাদের চিন্তাশিল ব্যাক্তিবর্গ বা মন্ত্রী বা নেতারা কখনো ভাবেন না, এই বিষয়ে!!
আপনি ভাবেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশটার শুরু ছিল বিরাট, ক্রমেই বাল্যখিল্যরা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে চলে গেছে, কিংবা দখল করে নিয়েছে।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: আন্তানিও গ্রামসি নামক একজন ভদ্রলোক হেজেমনি নামক একটা তত্ত্ব প্রদান করেছিলেন চাইলে পরতে পারেন, ধারনায়নে সামান্য বৈচিত্রতা আসলেও আসতে পারে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ে দেখবো, তৃতীয় বিশ্বের সরকার ও প্রশাসন 'হেজেমনি' চালিয়ে যাচ্ছে।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: একটি লোককে চিনি, অনেক বছর আগে, রিকসা চালাত। পরে তাকে অফিসের কাজে নেয়া হয়। মাঝে মধ্যে বাড়িতেও ডাকা হতো বিশেষ প্রয়োজন পরলে। এমন কোন কাজ ছিল না, যা সে পারে না। বিদ্যুতের সমস্যা থেকে রান্না সব কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে পারত।
একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এলেন অফিসে, চা নাস্তা এগিয়ে দেয়ার জন্য লোকটা সামনে আসতেই অবাক হয়ে তার দিকে খানিক তাকিয়ে থেকে তিনি তার নাম বলে জানতে চাইলেন, তুমি অমুক না?
পরে বললেন, পুরান ঢাকার স্কুলে এক সাথে পড়তেন। এবং সেছিল ক্লাসের প্রথম ছাত্র।
অনেক মেধাবী ছাত্র শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না, জীবন সংগ্রামে নেমে পরতে হয় বলে। ইচ্ছা তো তাদের করেই। আবার অনেকে নিজেদের সুবিধার জন্য চান না। সব মানুষ লেখা পড়া শিখে সচেতন বা ভালো কাজ করে মানুষের জীবন যাপন করুক।
অনেকে তাই জন্মগত ভাবেই চিন্তা করতে শুরু করে, লেখা পড়াটা আমাদের জন্য নয় তাদের জন্য।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



একটা বাচ্চা জানে না যে, তাকে শিক্ষিত হতে হবে, সেই দায়িত্ব জাতির। আমাদের জাতির সবাই পড়ার সুযোগ পাবার কথা ছিল, আমাদের শুরু ছিল বিরাট।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

আহলান বলেছেন: আমরা অপরের জন্য ভাবিনা .. নিজেকে নিয়েই বাঁচিনা ...

ব্লগে অনেক কিছু নিয়েই হা হুতাশ করি, কিন্তু বাস্তবে আর কিছুই করা হয়ে ওঠে না ... মাঝে মাঝে ফকিরকেও ভিক্ষা দেই না...বলি ব্যাটা কাজ করে খেতে পারো না? অথচ কাজও দেই না ... অনেকেই আছেন যারা হাতও পাততে পারেন না, খিদাও সহ্য হয় না .... সমাজে যে কত রকম সমস্যার জর্জরিত মানুষ আছে !!
লেখ পড়াটা আসলে সার্বজনীন হয়ে উঠলো না আজ অবধি। কেউ পড়তে খরচ এক লাখ টাকা, কারোর খরচ শত টাকা, কেউ পড়ার খরচই পায় না, সুযোগই পায় না ...এসব বৈষম্য কি আদৌ দূর হবে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের জীবন মানে শিক্ষিত জীবন, একজন অশিক্ষিত মানুষকে আজ কোন রাস্ট্রীয় ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া হয় না, অর্থাৎ তার কোন মুল্য নেই।

পড়ালেখা শিখতে কোন শিশু কোন টাকা ব্যয় করার কথা নয়, সে টাকা নিয়ে জন্মেনি।

১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্রকৃত শিক্ষা এখন বইয়ের পাতায়। বাস্তবে শুধু ডেমনের জয়!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুল শিক্ষা হোক, খারাপ শিক্ষা হোক, মানুষকে পড়াতে হবে, এবং সেটাই জাতির প্রথম দায়িত্ব।

১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আপনার দেখার চোখ হয়ে উঠুক যারা রাষ্ট্র চালায় তাদের চোখ। আমাদের মানবিক অনুভূতি সামানুপাতিকহারে ছুয়ে যাক তাদের হৃদয়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



গত ৪৬ বছরের ইতিহাস হলো, কমজানা লোকেরা দলবদ্ধ হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দখল করেছে।

১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাদের জন্য আসলে আমরা কিছু করতে পারব না। সেই সামর্থ্য আমাদের নেই! কেবল টাকা দিয়ে বই কিনে ফিস দিয়ে দিলেই হবে না। তাদের পরিবারের আর্থিক নিরপত্তার দিক এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ!!


১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের অনেকেই পারছে, আমরা না পারার কারণ কি? আপনার অংশটুকু আপনি পারবেন বলে মনে করেন? অন্যের দায়িত্ব আপনার নেয়ার দরকার নেই, আপনারটুকু পারলে সবই ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।

১৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমরা এখন পারব না, আমাদের সরকারের জন্য এটার চেয়ে নিজের গদি ঠিক রাখার ব্যাপারটা গুরুত্বপুর্ণ!!

আমার কাজ তো আমি করছি!! কিন্তু অন্য ৯৯টা দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করবে কারা! কাউকে দেখছি না আপাতত!!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


গদি রাখার চেস্টা করলে উহা চলে যায়; যারা রাখার চেস্টা করে না, তারা ইতিহাসে থাকে।

২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৮

প্রািন্ত বলেছেন: আমাদের সমাজে এখনও সচেতনার অভাব রয়েছে। আমার পাশের গ্রামের এক ব্যক্তি তার ফর্সা, সুন্দর, হিস্টপুষ্ট ছেলেটিকে কোন দিন স্কুলে যেতে দেয়নি। এজন্য এলাকার মানুষ তাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে কোন লাভ হয়নি। চহারায় ছেলেটি অফিসারের মত। ১২/১৩ বছর হওয়ার পর তার বাবা তাকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান কিনে দিয়েছে। এখন সে ভ্যান চালায়। কিন্তু লোকটির তেমন অভাব না থাকার পরেও শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে নিজের ছেলেকে চিরকালের জন্য মূর্খ করে রেখে দিল। সে কোন দিন কারও কথায় কর্ণপাত করেনি। কেউ তাকে ছেলের লেখাপড়া শেখানোর বিষয়ে বলতে গেলে তার সাথে র্দুব্যবহার করেছে। এখনও ছেলেটিকে আমার সামনে দেখলে মনে হয় ‘এরা সমাজের বোঝা, এদের জন্যই দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে না’। এই ছেলেটি যত দিন বেচে থাকবে তত দিনই সে অশিক্ষিত হিসেবে তালিকার স্থান দখল করে থাকবে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সংবিধানের কাজটা মানুষের করেছে, মানুষকে ধন্যবাদ; বুঝা যাচ্ছে ছেলের বাবা বেকুব।

এসব বেকুবদের জন্যই তো সরকার রাখা হয়েছে, সংবিধান আছে।

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫২

প্রবাসী দেশী বলেছেন: Click This Link


১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার দেয়া লিংক দেখেছি; দু:খের বিষয় যে, আমাদের লিটারেসী রেইট ৬০%, যা প্যালেস্টাইন থেকেও কম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.