নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের সর্বোচ্চ পদে যখন কম-বুদ্ধিমানরা, পার্ল হারবার আক্রমণ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১



১৯৪১ সালের ৭ই ডিসেম্বর সকাল ৮'টায় জাপানীরা বিমান আক্রমণ চালায় পার্ল-হারবারে; দিনটি ছিল রবিবার, সবাই ছুটিতে, জাপানী পাইলটেরা মোটামুটি বিনা বাধায় বন্দরের ৫/৬টি যুদ্ধ জাহাজ, পাশের ২টি এয়ারপোর্টের সব যুদ্ধ বিমান ধ্বংস করে দেয়; ২৪০৩ জন আমেরিকান নিহত, ১১৭৮ আহত হয়েছে; জাপান বিজয়ী, জাপানী নেভী বিজয়ী!

এই বিজয় কি কোনভাবে ধরে রাখা সম্ভব? এই বিজয় ধরে রাখতে হলে আমেরিককে পরাজিত করতে হবে; যদি তা না ঘটে, আমেরিকা জাপান দখল করবে; জাপান সরকার ও জাপানী মিলিটারী কি ভেবে পার্ল-হারবার আক্রমণ করলো? তারা কি শেষ ফলাফল নিয়ে ভাবেনি?

জাপানী মিলিটারীর জেনারেলারা প্রায় বছর খানেক সময় নিয়ে আমেরিকা আক্রমনের প্ল্যান করেছে, তাদের হাতে আক্রমনের দিন প্রথম বোমা ফেলার ১ মিনিট পুর্ব পর্যন্ত সময় ছিলো; ১ম বোমা ফেলার পর, জাপানের পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল; এটি ছিল ১ম ভুল।

২য় বিশ্ব যুদ্ধকালীন জাপান সরকার, হাজার জেনারেল যেই ভুলটি করেছিল, আজকের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রও এই ভুলটা করার কথা নয়।

১৯৪৫ সালের ৭ই মে জার্মানী সারেনডার করে, এরপর জাপানের জন্য কোন পথ খোলা ছিল? জাপানের জন্য একমাত্র পথ ছিল আমেরিকার কাছে সারেন্ডার করে চীন ও পাশের এলাকা থেকে সৈন্যদের উইথড্র করা; জাপান সেটি না করে ২য় ভুল করলো।

আমেরিকা পার্ল হারবারের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মানবিক গুণ হারায়ে দৈত্যে পরিণত হলো, তারা ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট হিরোশিমায় এটম বোমা ফেললো 'সাধারণ মানুষের' উপর; ৮০ হাজার মানুষ প্রাণ হারালেন; এখানে থেমে গেলে চলতো, আমেরিকান সরকারের বেকুবেরা ২য় বোমা ফেললো ৯ই আগস্ট নাগাসাকীতে, ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারালেন, মগজহীনতার উদাহরণ মানব সভ্যতায় যোগ করলো আমেরিকার সরকার ও মিলিটারী।

এটম বোমা বানানোর পর, আমেরিকার সরকারের লোকেরা ইহাকে ব্যবহার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল; জাপানকে থামানোর চেয়ে, সোভিয়েতকে এই বোমা দেখানোর দরকার ছিল হয়তো; কম-বুদ্ধিমানরা রাজনীতির সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এই কম-বুদ্ধিমত্তার স্বাক্ষর রেখে গেছে ধরণীর বুকে।






মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার জানামতে জাপানিরা স্যারেন্ডার চেয়ে পত্র পাঠিয়ে ছিল, কিন্তু শব্দ চয়নের জটিলতার কারণে অনুবাদক সেটিকে স্যারেন্ডার না পড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার কথা অনুবাদ করেছেন। ( লিংক মনে না থাকার কারণে দিতে পারছিনা, আপনার কি মনে হয়?)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



৭ই মে থাকে ৬ই আগস্ট, কত ট্রিলয়ন শব্দ লেখা ও চয়ন সম্ভব? এগুলো হলো, সর্বোচ্চ পদে বেকুবদের অবস্হানের স্বাক্ষর।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০

রাতুল_শাহ বলেছেন: নতুন পোশাক একটা বানাইছি, আলমারিতে তুলে রাখার জন্য তো না। মানুষকে তো দেখানো দরকার। তারাও দেখিয়েছে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষের উপর বোমা ফেলা ছিল ভয়ংকর ক্রিমিনালদের কাজ। জাপানের যেকোন সেনা ঘাঁটিতে ফেললেও কিছুটা লজিক দেখাতে পারতো।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: ২য় বিশ্বযুদ্ধকে আমি ফ্রান্স ও ব্রিটিশদের ভুলের ফলাফল। এই দুটো দেশের কামড়াকামড়ির ফল এখন গোটা বিশ্ব পাচ্ছে। এই দুটো সাধু সেজে বসে আছে। একেবারে মাসুম বাচ্চা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠিক আছে, বৃটিশ, ফ্রান্স, জার্মান মারামারি করুক; কোন বুদ্ধি নিে জাপান আমেরিকাকে আক্রমণ করলো? পরিণাম বের করার জন্য ১ বছর সময় নিয়েছিল?

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৪

প্রামানিক বলেছেন: বড় বড় বোমা ফেলে নিরীহ মানুষ মারাটাই বোকামি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৩০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল ছিল বেকুবদের রাজত্ব; ২০০০ সাল থেকে ২০৩৫ সাল হবে বেকুবদের রাজত্ব

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ২য় যুদ্ধপুর্ব সময়টা পার কর্ছি

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেকুবদের ঠেকানো মুশকিল, ওরা পার্টির সিঁড়ি বেয়ে টিকটিকির মতো সিলিং'এ চলে যায়।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: এদেশের সর্বোচ্চ পদেও এখন মূর্খরাই বসে আসে ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মাথার উপর আবর্জনার বস্তা

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বিশ্বযুদ্ধ কমবেশি যেকোন দেশেই ধ্বংস ডেকে এনেছিল। হোক সে জাপান কিংবা জার্মানি। আইনস্টাইনরাই বিশ্বের যুদ্ধাদিতে এমন ভয়ংকরতা যুগ যুগ ধরে ছড়িয়েছে। বিজ্ঞানের এমন বিধ্বংসী অপব্যবহার পৃথিবীকে আরো ঝুঁকির দিকে নিয়ে গেছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সায়েন্টিস্টরা এসব আইডিয়া ও এসব অস্ত্র রাজনীতিবিদদের হাতে দিয়ে ভয়ংকর বেকুবী করেছেন।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

আহা রুবন বলেছেন: আমি দ্বিধান্বিত! মারণাস্ত্র কেবল বেকুবদের হাতেই যায়, না কি এসব হাতে পেলে মানুষ বেকুব বনে যায়?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




মারনাস্ত্রও সায়েন্সের অংশ, এগুলো ব্যবহার করার দরকার আদৌ আছে কিনা বুঝার জন্য সায়েন্সের মানুষ দরকার।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১০

CamEye বলেছেন: পার্ল হারবার আক্রমণ ছিল জাপানীদের একটা ঐতিহাসিক ভুল! আর আমেরিকার পরমাণু হামলার কোন প্রয়োজন ছিলোনা, এমনকি ম্যানহাটান প্রজেক্টের অধিকাংশ বিজ্ঞানী শেষ মুহূর্তে বোমা বানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কিন্তু সেটা ছিল খুব দেরিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত কারণ তখন যতটা কাজ এগিয়ে গিয়েছিল তাতে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা নিজেরাই সে কাজ শেষ করতে পারতো! এদিকে জাপানের যখন নাভিশ্বাস দশা তখনও কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি শেষের দিকে রাশিয়ার কাছে তারা সাহায্য পাঠায় কিন্তু রাশিয়া সাহায্য না করে জাপানের বিরুদ্ধে তার সেনা নামায়! আমেরিকা দেখলো যুদ্ধ শেষে যুদ্ধ জয়ের বেশি ক্রেডিট রাশিয়া নিয়ে নেবে তাই তড়িঘড়ি একটা বোমা ফেলে কিন্তু তখনও মাথামোটা জাপানিরা আত্মসমর্পণ করার বদলে পরিস্থিতি বিচার করছিল তার পর আর একটা বোমা পড়লে তবেই আত্মসমর্পণ করে!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকেও এশিয়া ও আফ্রিকার প্রায় দেশে কমবুদ্ধিমানরা পার্টির সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে বসে আছে, এমনকি রাশিয়ায়ও দুস্ট বুদ্ধির লোকেরা ক্ষমতায়; ামুষের জন্য এগুলো সমুহ বিপদ

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১২

CamEye বলেছেন: হিটলার এত ইহুদি বিদ্বেষী না হলে পৃথিবীতে এত তাড়াতাড়ি পরমাণু বোমা তৈরী হতোনা!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হিটলারের ভুলের জন্য জার্মান জাতি লম্বা ও শোকবহ ক্ষতিকে মেনে নিয়েছে; সারা ইউরোপ, জাপান, আমেরিকার মানুষ বিনা কারণে প্রাণ হারায়েছে।

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৫

CamEye বলেছেন: আমার প্রথম কমেন্টে ওখানে "রাশিয়ার কাছে তারা সাহায্য চেয়ে পাঠায় হবে"

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাশিয়াই ছিল বিজয়ী; কিন্তু ১ কোটী প্রাণের বিনিময়ে

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৪

CamEye বলেছেন: "ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বিশ্বযুদ্ধ কমবেশি যেকোন দেশেই ধ্বংস ডেকে এনেছিল। হোক সে জাপান কিংবা জার্মানি। আইনস্টাইনরাই বিশ্বের যুদ্ধাদিতে এমন ভয়ংকরতা যুগ যুগ ধরে ছড়িয়েছে। বিজ্ঞানের এমন বিধ্বংসী অপব্যবহার পৃথিবীকে আরো ঝুঁকির দিকে নিয়ে গেছে।"

পরমাণু বোমা তৈরীর ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় বোমা তৈরীতে হিটলারের ইহুদি বিদ্বেষ ও হিটলারের পাগলামি সরাসরি দায়ী। হিটলার ইহুদিদের দেশ ছাড়া না করলে কখনোই তারা আমেরিকায় গিয়ে সেখানে ম্যানহাটান প্রজেক্ট শুরু করতনা। তারা হিটলারের পাগলামি থামানোর জন্য, কিছুটা ভয় পেয়ে ও বাকি পৃথিবীর মানুষদের বাঁচানোর জন্য এটা বানিয়েছিল! কিন্তু তারা সব থেকে বড় ভুল করেছিল আমেরিকাকে শান্তিরদূত ভেবে মারণাস্ত্রটা আমেরিকার হাতে তুলে দিয়ে!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



টিপিক্যাল রাজনৈতিক দল, সাধারণ রাজনীতিবিদ বর্তমানের কমপ্লেক্স অর্থনীতি ও সায়েন্স বুঝে দেশ চালানোর মত অবস্হানে নেই; সায়েন্স ও টেকনোলোজির মানুষকে কমপ্লেক্স সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে।

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন এদেরকে আর কমবুদ্ধিসম্পন্ন বলা যায় না।
১৯৭৩ রে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে পর্যুদস্ত হওয়ার পরও কেউ কোন পক্ষের হয়ে বোমা ফেলেনি।
আমেরিকাও সুযোগ থাকা সত্তেও ইরাক আফগানিস্থানে ফেলেনি।
৬০ থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত ঠান্ডা যুদ্ধে প্রতিযোগিতা করে বিপুল পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েন হলেও উভয় পক্ষ মাথা ঠান্ডা রেখেছিল। এখন বোমা থাকলেও কেউ বোমা ফেলবে না।

কিছু আবাল এখনো আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করে - " ভাই বিশ্বযুদ্ধ শুরু হইবো শুনছিলাম .. রাশিয়া খেপছে!
কবে সুরু হইবো ভাই?"
কেন? পারমানবিব যুদ্ধ হলে তোমার কি লাভ?
ভাই পৃথিবীটা পাপে ভরে গেছে, অনেক লোক মরা দরকার।
আমি কিছু বলিনি। বলা দরকার ছিল -
"শালা তুই নিজেই আত্নহত্যা কইরা মইরা বেহেস্তে যাগা, পাপ দেইখা আর কষ্ট পাওন লাগবো না।"

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোভিয়েত ইউনিয়নের সামাজিক অবস্হান ছিলো যুদ্ধ-বিরোধী, আমেরিকানদের অবস্হানও যুদ্ধ-বিরোধী; ফলে, কোল্ড ওয়ারের সময়, আমেরিকা ও সোভিয়েত যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি; এখনো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে, পারমানবিক অস্ত্র ধ্বংস করার জন্য চাপ দেয়ার সময় হয়েছে; ওরা ২ শক্তি বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি পারমানবিক বোমা রাখার অধিকার রাখে না।

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আনবিক বোমার আঘাতে লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। জাপান বাধ্য হয় আত্মসমর্পণ করতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। পারমাণবিক বোমা হামলার বিপক্ষে সারা পৃথিবীর মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠলে এখনো এ নিয়ে তর্ক রয়েছে আমেরিকা কেন পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক হয়ে রয়েছে। সেখানে কলঙ্কের তিলকটি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এ দুটি পারমাণবিক বোমা। কৌতূহলের বিষয়, আমেরিকা কেন এই হামলা করেছিল। এ নিয়ে বিশ্লেষকদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। প্রথমেই বলা হয়, যে কোনো মূল্যে যুদ্ধ জয়। দ্বিতীয়ত, বিশ্বযুদ্ধের পরিসর ও বিস্তৃতি এতটাই বিশাল ছিল যে, সেখানে যুদ্ধের পরিধি সারা বিশ্বই। প্রতিটি রাষ্ট্রই এ যুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিল। রাজনীতি, অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। এই যুদ্ধ থামানোর বিকল্প কোনো উপায়ও ছিল না। কোনোভাবেই একপক্ষকে পরাজিত করা সম্ভব নয় বলেই এমন একটি নির্মম পথ বেছে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। অল্প সময়ে নিজেদের বড় কোনো ক্ষতি ছাড়াই বিশ্বযুদ্ধে নিরঙ্কুশ বিজয়ের বিকল্প কোনো উপায় না পেয়ে পারমাণবিক বোমা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল, পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা পৃথিবীকে দেখিয়ে দেওয়া। পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের সুদূরপ্রসারী প্রভাব কিন্তু এখনো রয়ে গেছে। যে কারণে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে আলাদা মর্যাদায় দেখা হয়ে থাকে। সেনাবাহিনীর শক্তি ছাড়াও এমন একটি অস্ত্র আমেরিকা বেছে নেয় যা শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রতিপক্ষকে ভয়ে কাবু করে রাখবে। আরেকটি কারণ হিসেবে বলা হয়, আমেরিকা চেয়েছিল এমন বড় আকারের আঘাত করতে, যাতে প্রতিপক্ষ শুধু নিশ্চিহ্নই হবে না আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে। প্রতিপক্ষকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বিশ্ব্বযুদ্ধ জয়ের পথ খুঁজে পেতেই এই অমানবিক ও কলঙ্কজনক পথ বেছে নিয়েছিল আমেরিকা।
এই পোস্টের শেষ কথাটাই সঠিক কম-বুদ্ধিমানরা রাজনীতির সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এই কম-বুদ্ধিমত্তার স্বাক্ষর রেখে গেছে ধরণীর বুকে।


১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


২য় বিশ্বযুদ্ধ অফিসিয়েলী শেষ হয়েছে ৭ই মে, ১৯৪৫ সালে; আমেরিকার দরকার ছিলো অপেক্ষা করা, জাপান কি করে? আমেরিকা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল, জাপান পরাজিত হয়ে ঘরে ফিরছিলো; কিন্তু আমেরিকা সৈনিক হারায়েছে এই টাইম পিরিয়ডে, এগুলো নিতান্তই বেকুবী ছাড়া আর কিছুই নয়। ৭ই মে'র পরে জাপান মিলিটারীর মাথায় মগজ অবশিস্ট ছিলো না।

আমেরিকা বোমার ব্যাপারে সোভিয়েত ও বিশ্বকে সতর্ক করার জন্য ভয়ংকর অপরাধ করেছে মানবতার বিরুদ্ধে; তবে, তাদের মনে পার্ল হারবারের পরাজয়ের প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিলো।

১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:১১

মহা সমন্বয় বলেছেন: এজন্যই তো বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে গবেট লোকজনই হয় রাজনীতিবিদ। B:-)
তবে রাজনীতিবিদরা গবেট হলেও প্রচুর ধুরন্দর :-B

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



গবেটগুলো সরকারে গেলে এরা রাজা হয়ে যায়; চালচলন রাজার মতো হয়ে যায়; ওদের ভুলের মাশুল গুনে সাধারণ মানুষ।

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সবই বুঝলাম , এখন বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড যুদ্ধের ফলাফল দেখেন
New Zealand v Bangladesh
JANUARY 12-16, 2017
1st Test - NZL v BAN

Bangladesh 1st Inn 8/595
New Zealand 1st Inn 0/19
New Zealand won the toss and elected to bowl
Day 3, 1st Session
New Zealand Over:6.4 RR:2.85

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, দেখি

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

সপ্তম৮৪ বলেছেন: কম-বুদ্ধিমানরা রাজনীতির সিড়ি বেয়ে উপরে উঠেআর বেশি বুদ্ধিমানরা বলগিং করে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্ব এখন কমপ্লেক্স, দেশ চালনায় প্রফেশানেল ও সায়েনটিস্টদের আসতে হবে।

১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০১

খোলা মনের কথা বলেছেন: জাপানীরা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করবে এমন একটি চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু জাপানি ভাষার কোন এক শব্দে ভুল বুঝাবুঝির জন্য আমেরিকানরা হিরোশিমা, নাগাশিকা হামলা চালায়। ইতিহাস পড়েছিলাম, সত্য মিথ্যা জানি না। তারপর হাজার মানুষ হত্যার ইতিহাস...

গবেটগুলো সরকারে গেলে এরা রাজা হয়ে যায়; চালচলন রাজার মতো হয়ে যায়; ওদের ভুলের মাশুল গুনে সাধারণ মানুষ। আপনার কথাটি ভাল লেগেছে। সাধারন মানুষ মাশুল গুনেছে, গুনছে, গুনবে.....

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



কমপক্ষে সঠিক হতো, ৭ ই মে, বা তার ১ স্প্তাহের মাঝে যদি জাপান এক তরফা যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা করতো। সামুরাইদর মাথায় তেমন বুদ্ধি না থাকায় ১ াখ ৩০ হাজার মানুষকে অকারণে প্রাণ দিতে হয়েছে।

১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: জাপানের চিঠি .. ভাষার গোলমাল.. সব বাকোয়াস, রূপকথা। হ্যাঁ জাপানের পার্ল হারবার আক্রমন জাপানের প্রথম আর মারাত্মক ভুল। মিলিটারীর বুদ্ধি মাথায় না থেকে হাটুতে থাকে শুনি! রাজনীতিবিদদের বুদ্ধি কোথায় থাকে জানিনা, তবে ভাল জায়গাতে নয় শিউর।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩৫০০ আমরিকানকে হতাহত করে, জাপান নিজের ১ লাখ ৩০ হাজার সাধারণ মানুষকে হারায়েছিল; এটা ভয়ংকর কমবুদ্ধিমানের আচরণ।

২০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ঝিকে মেরে বউকে শিখানো আর কি? মুর্খ কখন কি করবে তা আগে টের পাওয়া যায়না।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিছু বউ কখনো শিখে না, সমস্যা থেকে যায়, বউটি কখনো শ্বাশুড়ি হওয়ার সুযোগ পায় না।

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

সপ্তম৮৪ বলেছেন: "বিশ্ব এখন কমপ্লেক্স, দেশ চালনায় প্রফেশানেল ও সায়েনটিস্টদের আসতে হবে।"
কথা ঠিক বলেছেন। এই কথা সবাই বলে; কিন্তু গায়ে কাদা লাগার ভয়ে তথাকথিত ভালোরা কেউ রাজনিতীর মাঠে নামতে চায় না। ঘরে বসে রাজনিতীর গোষ্ঠি উদ্ধার করেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, সায়েন্সের লোকেরা মানুষের সংস্পর্শে কম আসছে, এটা পৃথিবীর জন্য হতাশজনক পরিস্হিতি

২২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

তপোবণ বলেছেন: এখন সামনে ট্রাম্প রাজ চলবে, মনে হয় আমরা আবার বেকুব রাজত্বে ফিরে যাচ্ছি। এই ট্রাম্প কি করে বসে কে জানে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেহেতু সে রাজনীতিবিদ নন, কেহ ঠিক সঠিকভাবে বলতে পারছে না যে, কি হবে! তবে, ভালো হওয়ার সম্ভাবানা আছে।

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
হুম! কথা সত্য!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের মাথার উপর যদি কমবুদ্ধিমানরা বসে থাকে, প্রাণ হারানো খুবই সহজ হয়ে যায়।

২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০

সপ্তম৮৪ বলেছেন: ফারমার স্যার আপনাকে তো রাজনিতীর ক্ষেত্রে বিচক্ষণ মনে হয়। তা দেশের কল্যাণে রাজনিতীতে আপনার ভূমিকা কতটুকু?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই মহুর্তে কোন ভুমিকা নেই; আমি অংশ নেবো, আপনারাও আসেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লিখুন, মানুষকে নিয়ে লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.