নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্প আমেরিকানদের আস্হা হারানোর মত কিছু কাজ করছে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩



**** আজ থেকে, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, সুদান, ইয়েমেন, সোমালিয়ার নাগরিকেরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবে না; প্রাথমিকভাবে ১ মাসের জন্য নিয়ম করা হলো। *****

ট্রাম্প ৭ দিনে অনেক প্রেসিডেন্সিয়াল এক্সেকিউটিভ অর্ডার দিয়েছেন, প্রায় সবগুলোই নির্বাচনের এজেন্ডার মাঝে ছিল; কিন্তু ৩টি বিষয়, মানুষকে ট্রাম্পের উপর আস্হা হারানোর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।

১ম বড় ভুল করেছে, "জাল ভোটের উপর" তদন্তের অর্ডার দিয়ে। হিলারী ক্লিনটন সাধারণ ভোটে আড়াই মিলিয়ন বেশী "পপুলার ভোট" পেয়েছে; ট্রাম্প বলছে, জাল ভোটের কারণেই তা ঘটেছে, সেজন্য তদন্তের দরকার; আমেরিকান নির্বাচন পদ্ধতিতে পপুলার ভোটের দাম নেই, ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। গত কয়েক বছরে বারবার চেস্টা করেও জাল ভোটের প্রমাণ পাওয়া যায়নি; পুরো আমারিকায় ২/১ শত জাল ভোটের প্রমাণ পেয়েছে; ট্রাম্পের এই আদেশ মানুষকে হতবাক করেছে; কারণ, এতে আমেরিকান নির্বাচন সিস্টেমই প্রশ্নের সন্মুখীন; সাথে সাথে এত বড় জাল সংগঠিত হলে, এই ভোট সঠিক হয়নি, আবার ভোট করতে হবে।

২য় ভুল হচ্ছে, মেক্সিকান বর্ডারে দেয়াল তৈরি; যদিও ভোটে এটা বিরাট সাপোর্ট পেয়েছে, কিন্তু ভোটারেরাই এখন এই দেয়াল চাচ্ছে না; কারণ , দেয়াল কাজ করবে না, অর্থনৈতিক কারণে দরিদ্র মেক্সিকানরা যাওয়া-আসা করবে; প্রাকৃতিক কারণে অনেক এলাকায় দেয়াল মানুষের আসা যাওয়ায় বাধা দিতে পারবে না। যদি কাজই না করে, তা'হলে ২০ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের এই দেয়াল দেয়া ভুল; কিন্তু ট্রাম্প ওর্ডার দিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প বলেছিল যে, দেয়াল মেক্সিকোকে করতে হবে; তারপর বলেছে, দেয়াল আমরা করবো, পয়সা দেবে মেক্সিকো, এখন বলছে, পয়সা ভাগাভাগি হবে; মেক্সিকো বলছে, পয়সা দেবে না, এবং দেয়াল দেয়া মানে মেক্সিকোকে অপমান করা। দেয়াল হলে, মেক্সিকোর বাণিজ্যের আমেরিকা নির্ভরশীলতার বিপক্ষে মেক্সিকান মনোভাব গড়ে উঠবে।

৩য় ভুল হচ্ছে, টিপিপি বিলোপ করা; ১৩ জাতির এই ট্রেড-সংস্হা আসলে আমেরিকাকে সাহায্য করছে; তারা আমেরিকান বলয়ে আছে; তারা আমেরিকার সাথে "ফেয়ার ট্রেডিং" করছে। ট্রাম্প চুক্তির বিলোপ ঘটায়েছে ওবামা'কে ভুল প্রমাণ করতে; কিন্তু মানুষ মনে করছে, এটা বড় ভুল হয়েছে।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ট্রাম্পকান্ড জানতে আপনার জুড়ি নেই। পোষ্টের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি চাচ্ছি, ব্লগারেরা রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক প্রেসেস বুঝুক; বাংলাদেশের অপরাজনীতিতে, কোনটা মাথা কোনটা লেজ বুঝা মুশকিল।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার আজকের ভাবনা, স্বল্প জীবনের অভিজ্ঞতায় অনেকের সাথে নানান ভাবে পরিচয় হয়তো কিছু একটা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি শিখার সুযোগ পাচ্ছেন, বলার সুযোগ পাচ্ছেন; ফেরাউনরাও এই সুযোগ পায়নি।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ট্রাম্প আরও অনেক ভুল করবেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। আমেরিকানদের উঁচু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিচু করে ফেলবেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ এখন আসল ট্রাম্পকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন; সামনে আরো ৩ বছর ৩৫৮ দিন।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: যা বোঝা যাচ্ছে ট্রাম্প একটা ভালোই তাল পাকাবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


তিনি ভিন্ন, এটা পরিস্কার ছিলো, এখনও তা স্পস্ট; মানুষ পর্যবেক্ষণ করছে

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাননীয় অবশেষে আপনি আমার সৌভাগ্য স্বীকার করলেন। আপনার মন্তব্য সব সময় উপভোগ করি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা সবাই বিশ্বের সুসময়ে পাশাপাশি অবস্হান করছি; পরস্পরের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খবরে দেখলাম মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট দেয়াল দেয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেয়নি!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কাঁটা তারের বেড়াকে মানতে পারবে না কোনদিন; সেখানে আরেকটি আমেরিান দেশ, মেক্সিকো কোনভাবে মানার কথা নয়; ওরাও আমেরিকান।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ট্রাম দেশটির সার্বভৌম মৌলিকতা, অবিভাজ্যতা, অখন্ডতা, একক অবিচ্ছেদ্যতা, অহস্তান্তরযোগ্যতা, ব্যাপকতা, স্বাধীনতা, স্থায়ীত্ব, এককতা, ব্যাপকতা নিয়ে খেলছে।

উইড্রো উইলসন একসময় বলেছিলেন- সার্বভৌমত্ব একটি দেশের আইন প্রনয়ন ও এর কার্যকারিতা রক্ষার একক দৈনন্দিন শক্তি। ট্রাম্প এবার সেখানে হাত দিয়েছে। কাউকে লাগবে না। সার্বভৌমত্ব এত বড় শক্তি যে তা ঘোড়ার লাথির থেকেও প্রবল! আর আমেরিকায় তার ভুরিভুরি প্রমান আছে। কেনেডি থেকে আব্রাহাম লিংকন তা প্রমান করেই গেছে। ওসওয়াল্ডদের জন্ম কিন্তু সার্বভৌমিক শক্তির হাতে, কোন পুতুলখেলার কারিগরেরা তাদের তৈরি করেনা। ওবামার কষ্টদানে পাওয়া টিপিপি যখনি বাতিল করেছে, তাদের ভ্যাটকানো পররাষ্ট্রনীতি তাদের আরো কাঁদানোর পথে নিয়ে গেছে! ২০০৮ এর গ্রেট রিসেশন এরপর কি হবে সেটা অনুমেয়!

এই জন্যই কেনেডি একদা আড়ালে কেঁদে বলেছিলেন-

Domestic policy can defeat us but foreign policy may kill us.


আমেরিকার বিদঘুটে পররাষ্ট্রনীতি আর উগ্র জাতীয়তাবাদ আমেরিকানদের উন্নতিতে বাধা তৈরি করবে। বিশ্বের সুপার পাওয়ার চীন, রাশিয়ার পরমানু বোমা গুলো কাদের দিকে তাক করা সেটা কি ট্রাম্প বা প্রশাসন বুঝছে না?


এভাবেই কি শান্তিময় বিশ্বের পথে আমেরিকা? দেওয়াল দিয়ে, একঘরে হয়ে "Make America Great Again?"


সত্যি বিশ্বে আমেরিকার এই চেহেরা দেখে অবুঝ শিশুটিও হাসবে!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


উইড্রো উইলসন ও কেনেডি বড় ধারণার মানুষ ছিলেন। হিলারী ও মার্কো রুবিও'দের অযোগ্যতার ফাঁক দিয়ে ট্রাম্প প্রবেশ করেছে; এটা আমেরিকানদেরন জন্য বড় ধরণের এক্সপেরিমেন্ট।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ট্রাম্প যেভাবে এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেওয়া শুরু করসে, দুনিয়ার ব্যালেন্স নষ্ট হইতে সময় বেশি লাগবে না!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



হ্যাঁ, আপাতত: সেইদিকে যাচ্ছে; তবে, অর্ডারই শেষ নয়, সব অর্ডারকেই কংগ্রেসে যেতে হবে; মনে হয় না, ওখানে সবাই গবু।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০১

খালিদ১২২ বলেছেন: ট্রাম্প বিষয়ে আপনার দেখছি ভালো নজর আছে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, আমি ট্রাম্প নিয়ে খুব বেশী উৎসাহী নই; ব্লগারদের সামান্য সাহায্য করতে চাচ্ছি, উনারা যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বুঝতে পারেন। আমাদের দেশে গণতণ্ত্র না থাকায়, উনারা গাধাকে ঘোড়া মনে করে নিজেরা সন্তুস্ট হচ্ছেন।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-)) আপাত দৃষ্টিতে এটা খারাপ হলেও চূড়ান্তভাবে এখনো অনেক কিছু বাকী আছে। ট্রাম্প যেহেতু নিবাঁচিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন বাজী ধরেছেন এবং সেখানে সফলতা দেখিয়েছে সেক্ষেত্রে জনগণ কে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ ট্রাম্পের বিরোধীতা করছে না, এজেন্ডা নিয়ে অর্ডারের ফলাফল মাপছে; এবং অর্ডারের কি হয়, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করবে; এ দেশে অর্ডার মানে পুরোপুরি অর্ডার নয়।

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: ট্রাম্প সম্পর্কে আগেই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না, কখন যে ট্রাম্প কার্ড মেরে বসে ঠিক নেই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, মোটামুটি আনপ্রেডিক্টটেবল।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪

প্রবাসী দেশী বলেছেন: "আমি চাচ্ছি, ব্লগারেরা রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক প্রেসেস বুঝুক ": আপনি কি এখানে আমেরিকার কথা বলছেন নাকি বাংলাদেশের ?
" বাংলাদেশের অপরাজনীতিতে, কোনটা মাথা কোনটা লেজ বুঝা মুশকিল:" বাংলাদেশ এর উদাহরণ দিয়ে আমেরিকা কে দেখা , বেপার টা অতিমাত্রায় বুদ্ধিমানের কাজ হয়ে গেলো না ! আপনার পোস্ট পরে একটা কৌতুক মনে পরে গেলো , .....

তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম
জনের অপরাধ
সে হেঁসেছে, দ্বিতীয় জন
কেঁদেছে এবং তৃতীয় জন চুপচাপ ছিল।
এ নিয়ে সাংবাদিক ও পুলিশের
কথোকথনঃ
* সাংবাদিকঃ প্রথম জনকে গ্রেফতার
করলেন কেন??
* পুলিশঃ দেশের সবাই কেঁদে অস্থির!
আর এই ব্যাটা হাঁসবে
কেন? নিশ্চয় গন্ডোগল আছে।
* সাংবাদিকঃ Ok, তবে যে কাঁদছিল
তাকে কেন গ্রেফতার করলেন?
* পুলিশঃ ঐ ব্যাটা তো সরকারের
বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কেঁদে বোঝাতে চাইছে দেশের মানুষ
সুখে নাই।
* সাংবাদিকঃ তা ঠিক আছে কিন্তু
অন্যজন তো চুপচাপ ছিল?
তাকে গ্রেফতার করলেন কেন??
* পুলিশঃ দেশের এই
পরিস্থিতিতে কেউ চুপ
থাকতে পারে না।
এর অন্য কোন মতলব আছে।
নিশ্চই # নাশকতার পরিকল্পনা। তাই
একেই আগে রিমান্ডে
নিতে হবে!!
পৃথিবীতে একটি মাত্র দেশ
আছে যেখানে এমন ঘটনা সম্ভব।
বলুন তো, সেই দেশের নাম কি

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"প্রবাসী দেশী বলেছেন: "আমি চাচ্ছি, ব্লগারেরা রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক প্রেসেস বুঝুক ": আপনি কি এখানে আমেরিকার কথা বলছেন নাকি বাংলাদেশের ? ্

-বাংলাদেশকে বুঝায়েছি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কৌতুকটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্হাকে তুলে ধরেছে!
সভ্যতার বর্তমান স্তরে জাতিকে পেছনে টেনে রাখা হয়েছে।

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৪

রাফা বলেছেন: ট্রাম্প যে গতানুগতিক কিছু করবেনা সেটা পূর্বেই বলেছে ,ওলট-পালট করাই প্রধান কাজ হবে ট্রাম্পের পুরো চার বছর।টিপিপি বাতিল হলে বাংলাদেশের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
বাংলাদেশ নিয়ে হিনমন্যতায় ভুগেন কেনো সেটাই বুঝতে পারছিনা।বাংলাদেশ যা করে এসেছে আমেরিকা এতদিনে সেই পথে পা বাড়িয়েছে।তারমানে আমারিকা বাংলাদেশকেই অনুসরণ করছে।বাংলাদেশের পলিটিক্স অনেক আগেই রাজনিতিবিদদের হাতের বাইরে চলে গেছে।সব ব্যাবসায়িরা এখন সংসদ সদস্য।(যা হওয়ার কথা ছিলোনা)।রাজনিতি ব্যাবরিত হোচ্ছে ব্যাবসায়িক কাজে।সেই পথ অনুসরন করে আমেরিকার পুরো সরকার গঠিত হয়েছে ব্যাবসায়ি দ্বারা কাজেই ট্রাম্প প্রশাসনের কাজও হবে দেশ পরিচালনা নয় ,বানিজ্য করাই মূল লক্ষ্য।এর মাধ্যমে যতটুকু দেশের কাজ হয় আর কি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ১ জন হতো, এবং সেজন যদি আপনি হতেন, দেশ নিয়ে আমি বড় বড় কথা বলতে পারতাম। বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যবসায়ীদের হাতে যায়নি, দলে ঢুকে, এমপি হয়ে, লোকজন ব্যবসায়ী হয়েছে; মেননও ব্যবসায়ী হচ্ছে। পরিবারের কেহ দলে পদ দখল করার পর, কমপক্ষে মানুষ ব্যবসায়ী হয়েছে ৯০ ভাগে ক্ষেত্রে।

১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ট্রাম্প, নাইজেল ফারাজ, এরদোয়ান, কিম জং ইল, আং সাং সুকি, হিটলার, স্টালিন এদের মধ্যে একটা মিল আছে। এরা নিজের ইচ্ছেকেই জনগনের ইচ্ছেতে রূপান্তরিত করতে ওস্তাদ। ইংল্যান্ডের ৪৮.৮ পারসেন্ট কি কিছুই না। আমেরিকার ৪৬ পারসেন্ট কি জলে ভাসা পদ্ম।


ট্রাম্প এসব বোঝেন নি। প্রচারণায় তিনি বলেছেন- গনতন্ত্র কিছুই না। শুধুই জনগনকে এক্ত্রীকরন কর আর বাকিদের ভুলে যাও। এই যে নতুন শ্রেনীর এলিটরা গজিয়েছে তাতে বিশ্ব কি পাবে? এই যে নয়া চেতনার নব্য গনতন্ত্রবাদীরা যারা বলছে গনতন্ত্র জনগনের হাতে দিবে তারা কি দিবে?

হুয়াটিজ পপুলিজম নামে একটি বই লিখেছেন ওয়ার্নার মুলার। তিনি প্রিস্টন ইউনিভার্সিটির রাজনীতির গবেষক, অধ্যাপক। লোকটি আক্ষেপ করেই এসব লেখেছেন। ফাকা বুলিওয়ালা এইসব পপুলিষ্টরা জনগনের ইচ্ছার কথা শুধু তারাই ভাবেন তা প্রচার করেন কি করে?

এই ফ্যান্টাসি থেকে, ট্রাম্পেদের ট্রাপ থেকে, পপুলিজমের গ্রাস থেকে জনগন কি বেরিয়ে শ্বাস ফেলতে পারবে?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


হিটলারের আসার পথ তৈরি হয়েছিল অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ফলে, সেটার সাথে স্টালিনের মিল ছিল না; তবে, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২ জনের ভংকরতায় অনেক মিল ছিল।

ট্রাম্প এসেছে দলগুলোতে ভুল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে; যেমন মার্কো রুবিও, একে পরাজিত করতে ট্রাম্পকে তেমন বেগ পেতে হয়নি। ইউরোপের মানুষ রাজনীতি সক্রিয় ছিল ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে; ১৯৯০ সালের পর থেকে সাধারণ মানুষ একটু ঝিমিয়ে পড়েছে।

আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান দলগুলো নতুন দলগুলোর জন্য রাজনীতি কঠিন করে ফেলেছে; সেখানে কিছু সমস্যা হচ্ছে।

ট্রাম্প যদি যুদ্ধ কমায়ে আনে, বিশ্ব ব্যাপি মানুষ উৎসাহিত হবে, ও রাজনীতিতে অংশ নেবে।

১৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

প্রবাসী দেশী বলেছেন: " কৌতুকটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্হাকে তুলে ধরেছে!
সভ্যতার বর্তমান স্তরে জাতিকে পেছনে টেনে রাখা হয়েছে।"



এখানেই তো ভুল বুঝলেন। আর কেউ ভুল বুঝলে খুব খারাপ লাগে। মানব সভ্ভতার উপর গণতন্ত্রের প্রভাব , ইহা বিশ্ব ব্যাপী সব দেশেই অহরহ ঘটছে , আবার এই কথা বলবেন না যে যিনি এই কৌতুক তৈরী করেছেন তিনি নর্থ কোরিয়ান। কৌতুক এর মূল রহস্য এখানেই নিহীত। আর এই কৌতুক বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার সাথে মিলে গেলে অতীব কাকতালীয় ও সম্পূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্ক দেড় জন্য প্রযোজ্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্ব এখন গণতান্ত্রিক পন্হায় সরকার চালাচ্ছে ও ক্যাপিটেলিজম অনুসারে অর্থনীতি চালাচ্ছে; ২টি সিস্টেমেই গোজামিল দেয়াতে সিস্টেমগুলো সমসয়া সৃস্টি করছে; আপাতত, সোস্যালিজমের সাথে সিনথেসিস হওয়ার আগ পর্যন্ত, দেশগুলোর ভালো রাজনৈতিক দলগুলোকে চেস্টা করে যেতে হবে বর্তমান অবস্হাকে যথাসম্ভব পরিঅধন করতে।

১৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৯

রাফা বলেছেন: তারমানে দাড়াচ্ছে আপনিও বাংলাদেশের নাগরিক নন।আমার চাইতে অধিকতর ভালো-মানুষ বাংলাদেশে আছে ।আবার খারাপের সংখ্যাও আনুপাতিক হারে কম নয়।মেনন যদি রাজনিতীবিদ থেকে ব্যাবসায়িতে রুপান্তরিত হয়ে থাকে সেটাও ঐ আমাদের ব্যাবসায়ি রাজনিতিকদের কল্যাণেই হয়েছে।ব্যাবসায়িরাই জয়ী হয়েছে।বাংলাদেশে এক সময় রাজনিতী করতো শিক্ষক ,এ্যডভোকেট,ছাত্র ও সাধারণ জনতা।কিন্তু এখন রাজনিতীবিদ হওয়ার প্রধান শর্ত যদি হয় পেশি শক্তি আর অর্থবল তাহোলে সেই রাজনিতীতে টিকে থাকবে কে?
(নিজেকে খুব সাধারণ একজনই মনে করি-জানিনা আমাকে আপনি কি কটাক্ষ করেই মন্তব্য করেছেন কিনা)।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কটাক্ষ নয়, ব্লগিং থেকে যতটুকু বুঝা যাচ্ছে, আপনি আদর্ষ নাগরিক।
কিছু ঐতিহাসিক কারণে, বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক তত্ব ও কমনসেন্সের বাহিরে চলে গেছে; যেমন ১৯৭৫ এর ঘটনা, ১৯৮২ সালের ঘটনা, ২০০৪, ২০০৬ সালের ঘটনাসমুহ।

এখন, একটা সময় এসেছে, রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিস্ঠা করার।

১৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু এটুকুই বলবো, ট্রাম্প তার নির্বাচনী অঙ্গীকারই বাস্তবায়ন করছে।। যা আমাদের দেশে বিরল!! অথচ উচিৎ।। দেখবেন মিডিয়া ছাড়া প্রতিক্রিয়াই হবে না।। যাও হবে আমেরিকার বাইরেই।।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক, সে নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
তবে, ভোটার ফ্রড ওখানে ছিলো না; এ ধরণের কিছুর উপর এক্সেকিউটিভ অর্ডার আসায় মানুষ হতবাক।

আমেরিকানরা বসে নেই, সবকিছুকে কংগ্রেসে পাশ করাতে হবে।

১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩৮

পবন সরকার বলেছেন: দেখা যাক সামনে আরো কত ভুল করে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সামনে হয়তো মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাবে, এখন সবার দৃস্টি ট্রাম্পের উপর

১৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮

মানিজার বলেছেন: লেখক বলেছেন:


কৌতুকটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্হাকে তুলে ধরেছে!
সভ্যতার বর্তমান স্তরে জাতিকে পেছনে টেনে রাখা হয়েছে।


ভুল কথা । বাংলাদেশ না, এইটা হইলো কোরিয়ার অবস্তা । বাংলাদেশে গণতন্ত চালু আছে ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ ১৯২০ সালের পর, ভারতে "সীমিত গণতন্ত্র" দিয়েছিল; পাকিস্তানে ছিল "মৌলিক গণত্ণ্ত্র"' বাংলাদেশে "ছাত্ররাজনীতিবিদদের গণতন্ত্র"; বাংগালী জাতি এখনো আসল গণতন্ত্র দেখেনি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৭ মাসে আপনি কইছুই লিখেননি; আপনি বিরাট প্রিভিলেইজ মিস করছেন।

২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

রাফা বলেছেন: about donald tramp.

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভিডিও দেখলাম, হাসি ভালো; তবে, ইউরোপের চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে, আমেরিকা তাদের বাজার।

২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ট্রাম্প ভুল করছে না ঠিক করছে, সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে! তবে আপাত দৃষ্টিতে সে যেগুলো করে চলেছে, দেখা যাবে একদিন সেগুলোই তার ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! গাজী ভাই, আপনি যেহেতু আমেরিকা আছেন, সেহেতু আপনার উচিৎ ট্রাম্পকে এই বাংলা প্রবাদটা জানিয়ে দেওয়া-

"পিপিলিকার পাখা গঁজায় মরিবার আগে!"

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


হয়তো, প্রবাদটির ইংরেজী অনুবাদ প্লাকার্ডে লিখে ট্রাম্পকে দেখানো সম্ভব হবে সময়ের সাথে।

আজকে ৮ম দিন, মানুষ নতুন কিছু শোনার জন্য প্রস্তুত। সে আরবের যুদ্ধ নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি; তার মনোনীত ডিফেন্স ও ফরেন সেক্রেটারী এখনো শপথ নেয়ার জন্য সিনেট থেকে ক্লিয়ারেন্স পায়নি।

২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ট্রাম্প অনেক হিসাব নিকাশ পাল্টে দেবেন। অনেক মিত্র দেশকে রেডকার্ড দেখাবেন ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, তাই ঘটবে; বিশ্ব তাকিয়ে আছে; এখনো আরব যুদ্ধ নিয়ে কিছু করেনি; তবে, ইরান, তুরস্ক ও কোরিয়া নিয়ে অনেক টান-পোড়নের সৃস্টি হবে।

২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দেখতে থাকি, আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্পকে স্লো করে দেবে সিনেট ও কংগ্রেস; ভোটার ফ্রড অর্ডার গতকাল সন্ধ্যায় গতি হারায়েছে, সে ধরে রেখেছে অর্ডারটি। তবে, কোরিয়া ও ইরান ও আরব যুদ্ধ নিয়ে কি বলবে, এখন সেটা নিয়ে মানুষ চিন্তিত।

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ট্রাম্প ক্রমেই নীজকে জটিল করে তুলবে ।
এই সুযোগ অন্য পরাশক্তিরা ভাল করেই কাজে লাগাবে ।
আমিরিকার গনতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রসেসে বড় ধরনের গলদ আছে
তাদের পুরা সিসটেমটারই সংস্কার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ।
তাদের জন্য এখন বাকশাল বেশ উপযোগী হবে!!!
নিক্সনীয় ষড়যন্ত্রের কারণে এটা অংকুরেই
বিনস্ট না হলে এতদিনে এটা বিশ্বের
সেরা গনতান্ত্রিক মডেলে পরিনত
হতে পারত অবলিলাক্রমে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা তখন (১৯৭২) ভাবতেও পারতো না যে, বাংলাদেশ আমেরিকান বলয়ের বাহিরে যেতে পারে; সেই মনোভাবের কারণে শেখ সাহেবকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.