নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের জাতীয় প্রেরণা বলতে কি কিছু বাকী আছে?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৪



ভারতীয়রা আমাদের পানি কেন দিচ্ছে না? চল চল, ফারাক্কা চল, ভাংগো ফারাক্কা নামুক ঢল; টিপাইতে বাঁধ দিলে, ভেংগে দিবো সবাই মিলে; করবো সবাই দেশের কাজ, ঘাস খেলেও থাকবে না লাজ; সুন্দর বন, বান্দর বন, বাঘ-হরিণ জাতীয় ধন; ফেলানীকে মেরেছে যারা, শুলেতে ছড়বে তারা; কাঁটাতার, মাটাতার, ছিঁড়ে করবো একাকার; এই রকম কোন কিছু জাতির মনের ভেতর এখনো আছে?

অথবা, সবাই মিলে গড়বো দেশ, দু:খের দিনের হবে শেষ; দাসত্বের হোক শেষ, ব্উ ফেলে যাবো না বিদেশ; ভোট দিতে না দিলে, পাকাবো কাঁঠাল হাতের কিলে! এই রকম মনোভাবের কিছু কি আজকেও আছে?

১৯৭৩ সালে, শেখ সাহেব বলেছিলেন ৩ বছর অপেক্ষা করতে, ১৯৭৫ এর ডিসেম্বর অবধি; অপেক্ষা করা মানে অপেক্ষা করা; জাতি যখন কাজ করতে প্রস্তত ছিল, জাতি যখন পোড়া বাড়ীতে ঘর বানানোর কথা, জাতির যখন সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কথা, জাতি যখন ভাংগা কালভার্ট মেরামত করার কথা; তখন শেখ সাহেব জাতিকে অপেক্ষা করতে বললেন। সেই অপেক্ষা আজো চলছে!

জাতি বিশাল এক স্বপ্নে বিভোর ছিল ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে; এই জাতির ছেলেরা যুদ্ধে গিয়েছিল, কি ছিল তাঁদের মনে! আজকে ট্রাম্প ট্রুম্পের কারণে যদি কিছু ঘটে, কারো দেখা মিলবে?

জাতীয় প্রেরণা গড়ে উঠে যখন জাতির সামনে আশা থাকে, উদ্দীপনা থাকে, স্বপ্ন থাকে! আরবে গিয়ে রাস্তা পরিস্কার, এয়ারপোর্টে সিমেন্ট ঢালা, মালয়েশিয়া গিয়ে পাম গাছে পানি দেয়া কি উদ্দীপনার ব্যাপার! রওশন এরশাদের বক্তৃতা শোনা কি কারো জন্য স্বপ্ন হতে পারে? এক রুমে ১০জন ঘুমায়ে চাকুরী করা কি কারো স্বপ্ন?

মানুষে মানুষে, পরিবারে পারিবারে প্রতিযোগীতা চলছে; প্রেরণা দেয়ার মতো কিছু নেই; জাতীয় ঐক্য না থাকলে, সঠিক উদ্দেশ্য, আশা ও স্বপ্ন না থাকলে, জাতীয় প্রেরণা থাকতে পারে না। যাকগে, উপরে যেগুলো বলেছি, সবগুলো জাতীয় প্রেরণার কথা নয়, হুজুগও যোগ করেছি, যাতেএনার্জি বাড়ে। প্রেরণা না থাকলে জাতির আত্মা ক্রমেই ক্ষীণবল হয়ে যায়।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথার গভীরে না গিয়ে উপরে ভেসে কোন লাভ নেই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বড় দম নিতে পারলে ডুব দেন, না হয়, ভাসতে থাকেন; আপনার মনে কোন প্রেরণা আছে, জাতীয় প্রেরণা?

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা ঠিক যে আপনি প্রেরণা যোগানোর কাজ করছেন। বাস্তবে সবাই মিলে গড়লে দেশ গড়া হয়। আর কেউ কেউ যদি ভাঙ্গে, তখন আবার যোগ বিয়োগ করতে হয়। এতে করে দেশ কখনো পিছায়, কখনো জায়গায় বসে থাকে, আর কখনো কিঞ্চিত আগায় ধীর গতিতে, সাকুল্যে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়তে হয়। দ্রুত গতির গড়ার জন্য সকলকে গড়ার মধ্যেই অবিরত গড়াতে হবে। থামলে কিছুতেই আর চলবে না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত জাতীয় ঐক্যকে ভয় পেয়ে, মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছে; আসলে, এদের দেখলে মানুষ প্রেরণা থেকে ভয় পায় বেশী।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের সারবত্তা হীনতাই ফুটে উঠে আমাদের শ্লোগান ও কথায়।।
আচ্ছা একটা কথা বলি, ইউরোপে দেশের প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের একটা পরিসংখ্যান কি পেতে পারি??

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউরোপ বলতে তো ২ দেশ, ইংল্যান্ডে আছেন ৬ লাখ; আর ইতাীতে ৬০/৭০ হাজার; বাকীগুলোতে সামান্য মানুষ।

এখন ভুল শ্লোগানও নেই

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: দেশ আমাদের সবার। দেশের মঙ্গল নিজ দায়িত্বে করতে হবে। এর জন্য প্রেরণা দিতে হবে কেন?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার জন্য জাতীয় প্রেরণার দরকার নেই, আপনি বিজাতীয়।
আপনি জাতীয় প্রেরণা বলতে কি বুঝায়, সেটা অনভব করার সুযোগ পাননি। প্রেরণা ব্যতিত মানুষ বড় কাজ করতে পারে না, কেরানীর চাকুরী করতে পারে।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঠতা বাদ দিয়ে সততা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা ও টেকনোলজিতো লাগবেই। আর আমরা এখনো গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে উঠিন। বিজ্ঞান দেখে অজ্ঞান না হয়ে এর যথাযথ প্রয়োগ দরকার। আমি আবার গণিতেরও ভক্ত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি আধুনিক বিশ্বের নাগরিক।

আজকের মানুষের মুল্য নির্ধারণের জন্য, প্রথম ইনপুট শিক্ষার স্তর ও মান, দক্ষতা বলতে সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে জ্ঞান।
অংক হলো জ্ঞানের সুক্ষ্মতার পরিমাপ।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেশ আমাদের সবার। দেশের মঙ্গল নিজ দায়িত্বে করতে হবে। অরুনির এ কথা প্রেরণা হিসেবে বেশ ভাল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অরুনি বলেছেন, "দেশ আমাদের সবার"; মনে হয়, উনি বিদেশে থাকেন।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত জাতীয় ঐক্যকে ভয় পেয়ে, মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছে ওরা এটা নিজেদের জন্য করে। আমরা যদি আমাদের জন্য কাজ করা শুরু করি তবে আমানেরো একটা দল হবে। এক সময় হয়তো সে দল ওদের থেকেও বড় হবে। তবে কাজ না করে বসে থাকলে কিছুই হবে না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব প্রতিকুলতা সত্বেও শিক্ষিতদের জাতির জন্য কাজ করতে হবে; জাতির সুদিন তাঁদের উপর নির্ভর করছে।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রেরণা ব্যতিত মানুষ বড় কাজ করতে পারে না, কেরানীর চাকুরী করতে পারে। কথাটা শতভাগ যুক্তি সম্মত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেখছি, শিখার চেস্টা করছি, বুঝার চেস্টা করছি।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১২

আহা রুবন বলেছেন: আজকের মানুষের মুল্য নির্ধারণের জন্য, প্রথম ইনপুট শিক্ষার স্তর ও মান, দক্ষতা বলতে সায়েন্স ও টেকনোলোজীতে জ্ঞান।
কিন্তু সায়েন্স ও টেকনোলোজি গরিবের সত্যিকারের কতটুকু কাজে আসে? পুরোটাই গ্রাস করে নেয় ধনিরা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৬০ সালের পর, বিশ্বে গরীব থাকার কথা ছিলো না; ১৯৭২ সালের পর, বাংলাদেশে গরীব থাকার কথা ছিলো না।

আমাদের দেশের গরীবদের পড়ালে, ওরা কেহ ড: ইুউনুস বা সারা কামাল(ড: কামালের মেয়ে) থেকে পেছনে থাকবে না। টেকনোলোজী সবার জন্য; আমাদের দেশে সবকিছু ধনীরা দখল করে নেয়; দেশের সরকার ওভাবেই সবকিছু সাজায়।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৩

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: এখন জাতীয় প্রেরণা বলতে 'হুজুগে বাঙালী' নামক শব্দটাই মনে হয় উৎকৃষ্ট !
শেখ সাহেব নিজের কম্বলখানা খুঁজে না পাওয়াতে জিয়া সাহেব খুঁজতে নামলেন রাজাকার-মজাকার যেখানে যা ছিল সকলকে নিয়ে; ফলাফলে কোঁদালখানাও খুঁজে পাওয়া গেলো না ! এরপর এরশাদ চাচার স্বৈরতন্ত্রের প্রেরণাকে ঝেটিয়ে বিদায় করলো পারিবারিক গণতন্ত্র ! বাঙ্গালী আবার প্রেরণার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো ! ভ্যাজালটা ঐখানেই লাগলো ! কি দরকার ছিলো অতীত ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি টানাটানির ? কিছু বাঙ্গালী যেই মুসলমানগো বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, পরবর্তীতে সেই মুসলমানগো বাড়ি-গাড়ি-রাস্তাঘাট'ই পরিষ্কার করতে যাওয়া লাগছে তাহলে এই মুক্তিযুদ্ধের কি দাম রইলো আর এ থেকে কি প্রেরণাটাই না খুঁজবে বাঙ্গালী ?? এর চেয়ে-
"এদেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধই হয়নি, কোথাও কোথাও বাঙালীদের সাথে পাকিস্তানী সেনাদের সাথে সামান্য 'গন্ডগোল' হয়েছিল" এই উক্তি থেকে বাঙ্গালী হিসেবে না হলেও অন্ততঃ মুসলিম হিসেবে তো প্রেরণা পাওয়া যেতো !
হয়তো বাঙ্গালী এবং মুসলিম এক হইতে পারে নাই; যে কারণে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেও ওঠে না ! ঐক্যের অভাবেই হয়তো পনেরোই আগস্ট জন্মদিন হয়, কোকোর মরা দেহ দেখতে না দেয়া, রেড টেলিফোনে বিরল আলাপনের প্রেরণাই না জানি কতদিন বয়ে বেড়াতে হবে বাঙালীকে !!!!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

কোকোর বিদেশের মরার কথা ছিলো না, জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর, উনার ছেলেদের পড়ানোর জন্য সরকার যে পরিমাণ ক্যাশ টাকা, বাড়ীঘর, গাড়ী, চাকর চাকরাণী দিয়েছিল, ভারতের মহারাজাদের ছেলেরাও সেই সুযোগ পায়নি; সেই সুযোগ নিলে, কোকো ও তারেক আজকে পিএইচডি করে, বাংলার মাথামনি হতে পারতো।

বাংগারীরা ১ কলোনিয়েল থেকে বের হয়ে, অন্য কলোনিয়েল সিস্টেমের শিকার হচ্ছে বারবার।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: 8-| ৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে ইষ্ট ইন্ডিয়া কলোনী বিলুপ্তি হলেও তাদের আইডলজি এদেশের সামন্তবাদ প্রভুরা দূর করতে পারেনি। ফলে জাতি কিছু দিকে উন্নতি করতে পারলেও বাকী সব অর্জণের গ্রাফ নিন্মমুখী।

আবার মানুষ যাদের কে নিয়ে অনুপ্রাণিত হবে তাদের নিয়ে দলবাজী চলে। দলবাজরা মানুষের সামনে যাদের কে উপস্হাপন করছে তারা আবার তাদের নামে ব্যবসা করে,কেউ মোম্বাতি জালায়, কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিত্ব কে ছাড়িয়ে অধিক চাটুকারিতার আশ্রয় নেয়। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।

ধন্যবাদ, সময়ের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে তুলে ধরেছেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলোনিয়েল সময়ের শেষ ভাগে যারা পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছিলেন, তারা কলোনিয়েল সরকারের প্রিয়ভাজন হয়েছিলেন, চাকুরী করেছেন, সুযোগ পেয়েছিলেন; এগুলো স্বাভাবিক।
কিন্তু কলোনিয়েল সিস্টেমের অবসানের পর, তারা জাতিকে অশিক্ষা ও দারিদ্রতা থেকে তুলে আনার চেস্টা করেননি; উল্টো নিজেদের প্রতিস্ঠিত অবস্হানকে কাজে লাগায়ে নিজেরা বেশী উপকৃত হয়েছেন; সেই ধারা আজকেও চলছে।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: যে কোনো জাতির উন্নতির জন্য চাই একটি ভিশন যা রাষ্ট্র তার জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিবে। বাংলাদেশের জন্মের পরে এই ভিশনটার মনে হয় বড্ড অভাব ছিল। যার জন্যে অামরা অাজও জানি না জাতি হিসেবে অামাদের সম্ভাবনা কতটুকু?

অথচ ভাবতে অবাক লাগে ১৯৭১ সালেও দক্ষিণ কোরিয়ার মাথাপিছু আয় ছিল ৩১৬ ডলার; আর বাংলাদেশের ছিল ১৩০ ডলার। ২০১৫ সালে কোরিয়া ২৭,২২২ ডলার; অার বাংলাদেশ ১,৪০০ ডলারের নিচে হামাগুড়ি দিচ্ছে।

কারণ ভিশনের অভাব। কোরিয়াও পঞ্চাশের দশকের একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। কী এমন জাদুর পরশ পেল যে এত তাড়াতাড়ি তারা বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে?

জাদু একটাই; শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ। জিডিপির বড় একটা অংশ তারা শিক্ষার পিছনে ব্যয় করেছে। যার সুফল ঘরে তুলছে। আর আমরা স্বাধীনতার পরে শিক্ষার জন্য কী করেছি এর ইতিহাস জানলে শুধু অাক্ষেপই বাড়ে? এখনো এইটা নিয়ে ভাবনার লোক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আছে বলে মনে হয় না?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে, জাতির শিক্ষার হার খুবই নীচে ছিলো; অশিক্ষিতদের ভিশন পরিস্কার হয় না; কিন্ত উদ্যোম ছিলো; যেই অংশের কাঁধে ভিশনের ভার ছিলো, তারা ছিল অন্ধ।

আমাদের মতো দেশে, ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে আজ অবধি, কয়েক টাকার বিনিময়ে জাতিকে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব; কিন্তু জাতির মাথারা ঠিক যায়গায় বিনিয়োগ করতে জানে না, অথবা ষড়যন্ত্র করে পড়া থেকে দুরে রাখছে; আমার ধারণা, উনারা সড়যন্ত্র করছেন, কারণ উনাদের ছেলেমেয়েরা ঠিকই বিদেশে বড় স্কুলে পড়ছে।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩১

খোলা মনের কথা বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখন টুঙ্গিপাড়ায় ভ্যানে ঘুরে বেড়াচ্ছে মনের সুখে। জনগনও এখন একই সুখে আছে। কে বলেছে মানুষের সুখ নেই??? সব বোকায়াস, রাবিস, ফালতু কথা....

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, উনার ভুবন আলাদা।

উনাকে কিছু বাংগালী ভয়ংকরভাবে আঘাত করেছে ২ বার; উনি যখন বুদ্ধি ও শক্তি দিয়ে ওদের পরাজিত করতে পেরেছেন, উনি সেটা নিয়েই আছেন, উনার হিসেবটা সবার সাথে মিলার কথা নয়, মিললে ভালো হতো।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল লিখাটি । আত্ম বিশ্বাস ও দেশপ্রেমই হোক সকল প্রেরনার উৎস ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতীয় প্রেরণার দরকার, মানুষ কিছু একটা নিয়ে লেগে যাক।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২৭

দেশী পোলা বলেছেন: দেশের প্রত্যেকটা মেয়ের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত বিনে পয়সায় পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করে দিন, দেশ পাল্টে যাবে

এই জেনারেশনের ছেলেগুলা বিদেশে গিয়ে কামলা খাটুক, অসুবিধা নেই, শ্রমের মর্যাদা শিখবে
দেশের প্রত্যেকটা মেয়ের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক করা হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসবে আর সেসব মাস্টার্স পড়া মায়েরাই শিক্ষিত হয়ে নেক্সট জেনারেশনগুলোকে শিক্ষা দিয়ে উপরে উঠিয়ে দেবে, বাঙালীকে আর আরব দেশে গিয়ে কামলা খাটতে হবে না

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


চলেন, সেটা করার চেস্টা করি; এটা মোটামুটি হয়তো সম্ভব।

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: জাতিয় পেরোনার জন্য কাজ করতে গেলে এখন শুধু বারি আর কাদানি গ্যাস পাইতে হয়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, শেখ শেখ হাসিনা একাই সব কাজ করতে চাচ্ছেন, উনার ৩৪ কোটী হাত আছে কিনা জানাবেন তো! আমরা তো জানি ১০ হাতি একজন ছিলেন মাত্র, ১০ মাথাও মাত্র ১ জনের ছিলো।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ``জাতি বিশাল এক স্বপ্নে বিভোর ছিল ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে; এই জাতির ছেলেরা যুদ্ধে গিয়েছিল, কি ছিল তাঁদের মনে! আজকে ট্রাম্প ট্রুম্পের কারণে যদি কিছু ঘটে, কারো দেখা মিলবে?

জাতীয় প্রেরণা গড়ে উঠে যখন জাতির সামনে আশা থাকে, উদ্দীপনা থাকে, স্বপ্ন থাকে! আরবে গিয়ে রাস্তা পরিস্কার, এয়ারপোর্টে সিমেন্ট ঢালা, মালয়েশিয়া গিয়ে পাম গাছে পানি দেয়া কি উদ্দীপনার ব্যাপার!``
অসাধারণ প্রেরণাদায়ক লেখা।

কিন্তু আমার আপনার মত যারা বিশ্ববিদ্যালয় জনগনের অর্থে পড়ালেখা করে সবাই দেশ ছেড়ে বিদেশে চাকুরী/স্লেভারী করাকে জীবনের কাম্য মনে করছে তখন আর আশা করে লাভ কি?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, বিদেশে পালিয়ে যাবার সুযোগ পেলে, দেশে থেকে যাবেন, শুধু শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, রওশন এরশাদ, সালমান রহমান, কর্ণেল ফারুক, এইচটি ইমাম, আর ওবায়দুল কাদের; জঘন্য অবস্হা!

দেশের উপর মানুষ আস্হা হারিয়ে ফেলছে, নতুন প্রজন্মেকে এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

মো: ওসমান গনি তালুকদার বলেছেন: আপনার লেখাটা সবার কাছেই গুরুত্ব পাবে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের জাতীয় বিষয়সমুহে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রেরণা দরকার।

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

পলাশমিঞা বলেছেন: দেশ কী হচ্ছে বা হবে কেউ জানে না। যার মন যা চায় তা করে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবাই স্বাধীন, নতুন কাবুলী-বাংগালী?

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পলাশমিঞা বলেছেন: ঘুম থেকে উঠেই হাঁইহুই শুরু করে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলা বোধ হয় কঠিন।

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির প্রতিটি পরিবার অন্য পরিবারের সাথে প্রতিযোগীতায় নামতে বাধ্য হচ্ছে।

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

পলাশমিঞা বলেছেন: জি, বাংলা আসলে খুব কঠিন। দাঁত কটকট করে :((

আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.